Tag: PM Modi

PM Modi

  • India’s First Laser Weapon: এক লহমায় ধ্বংস এক ঝাঁক ড্রোন! পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দেশীয় লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

    India’s First Laser Weapon: এক লহমায় ধ্বংস এক ঝাঁক ড্রোন! পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দেশীয় লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের দুনিয়ায় পা রাখল ভারত। লেজার অস্ত্রের (India’s First Laser Weapon) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এর এই অস্ত্র মনে করাচ্ছে জর্জ লুকাসের তৈরি বিখ্যাত সিরিজ স্টার ওয়ারস-এর (Star Wars) যোদ্ধাদের। যেখানে যোদ্ধাদের অত্যাধুনিক তলোয়ার থেকে প্রতি নিয়ত বেরোচ্ছে আলোক রশ্মি। যা মাঝখান থেকে চিরে দিতে পারে একটা আস্ত বিমানকেও। এবার প্রায় একই রকম শক্তি নিজের হাতে তুলতে চলেছে ভারতীয় সেনা। শত্রু রাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান থেকে গুপ্তচর ড্রোন, যে কোনও কিছু নিমিষে ধ্বংস করে দিতে পারে ডিআরডিও-র তৈরি এই লেজার অস্ত্র।

    ৩০ কিলোওয়াট লেজার অস্ত্রের ট্রায়াল রান সফল

    ডিআরডিও সূত্রে খবর, রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে এক দল গবেষক এই সদ্য নির্মিত ৩০ কিলোওয়াটের লেজার অস্ত্রের ট্রায়াল রান করায়। যাতে সফল হয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এই অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির মাধ্যমেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে গেল ভারতের নাম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই নতুন মার্ক-২(এ)  ডিইডব্লু সিস্টেমটি দূর পর্যন্ত যে কোনও শত্রু ড্রোনের আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারে। সেই ড্রোন এক ঝটকায় উড়িয়েও দিতে পারে। তারা আরও জানিয়েছে, এই অস্ত্র থেকে নির্গত লেজার বা আলোকরশ্মি ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা যে কোনও ড্রোন বা হেলিকপ্টারকে আকাশপথেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। যা স্থল ও নৌসেনা উভয়েই নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করতে পারবেন।

    সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি লেজার অস্ত্র

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলের ন্যাশনাল ওপেন এয়ার রেঞ্জে লেজার (India’s First Laser Weapon) হাতিয়ারের পরীক্ষা করা হয়। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম’ বা ডিইডব্লিউ। বর্তমান বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে আছে এই হাতিয়ার। এটি তৈরির মূল কৃতিত্ব ডিআরডিওর ‘সেন্টার ফর হাই এনার্জি সিস্টেমস অ্যান্ড সায়েন্সেস’-এর (সিএইচইএসএস)। লেজার হাতিয়ারের গবেষণায় হারদরাবাদের একাধিক ল্যাবরেটরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য পেয়েছে ডিআরডিও। পরে নকশা অনুযায়ী অস্ত্রটিকে তৈরি করে একটি দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা। ট্রাক আকৃতির গাড়ির উপর ‘মার্ক-টু(এ) লেজার’কে বসানো হয়েছে। যুদ্ধের সময়ে একে একাধিক রণাঙ্গনে মোতায়েন করতে পারবে ফৌজ।

    ‘ড্রোন ঘাতক’ লেজার অস্ত্র

    প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা সূত্রে খবর, শত্রুর নজরদারি সেন্সর, অ্যান্টেনা বা রাডার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে পারবে ‘মার্ক-টু(এ)’। চোখের পলক ফেলার আগে নিখুঁত নিশানায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালাতে পারবে এই সমরাস্ত্র। লেজার হাতিয়ারটি ৩০ কিলোওয়াট শক্তি সম্পন্ন। তবে এর পাল্লার বিষয়টি গোপন রেখেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা। ডিআরডিওর তরফে অত্যাধুনিক অস্ত্রটিকে ‘ড্রোন ঘাতক’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির কর্তা-ব্যক্তিদের দাবি, ‘মার্ক-টু(এ)’র সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এর নামমাত্র খরচ। এক-দু’লিটার পেট্রলের দামে কয়েক সেকেন্ডের জন্য লেজার রশ্মি ছুড়তে পারবে এই হাতিয়ার।

    ৩০-কিলোওয়াট লেজার অস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

    ● এই লেজার অস্ত্র ড্রোন, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আকাশপথের হুমকি ৫ কিলোমিটার দূর থেকেই ধ্বংস করতে পারে।

    ● শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্যাটেলাইট সিগন্যাল জ্যাম করতে সক্ষম।

    ● স্থল ও সমুদ্র – দুই জায়গায়ই এটি ব্যবহারযোগ্য।

    ● ৩৬০ ডিগ্রি সেন্সর দ্বারা সজ্জিত, যা টার্গেটিং-এ নির্ভুলতা নিশ্চিত করে।

    ● সহজেই বিমান, রেল, সড়ক বা জলপথে মোতায়েন করা যায়।

    ● বিভিন্ন সামরিক প্রয়োজনে এর ডিজাইনকে মানিয়ে নেওয়া যায়।

    বদলে যাবে আকাশ প্রতিরক্ষার সংজ্ঞা

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’র (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) সংজ্ঞা বদলে দেবে ডিআরডিওর তৈরি অত্যাধুনিক এই অস্ত্র (India’s First Laser Weapon)। এর দু’রকম ব্যবহারের কথা বলেছেন সাবেক সেনাকর্তারা। দীর্ঘ দিন ধরেই ড্রোনের সাহায্যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে হাতিয়ার ও মাদক চোরাচালান চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। বাহিনীতে ‘মার্ক-টু(এ)’ চলে এলে সেই সূচক অনেকাংশেই নেমে আসবে, তা বলাই বাহুল্য। এ ছাড়া যুদ্ধ বা সীমান্ত সংঘর্ষের সময়ে শত্রুর ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা ড্রোনকে পুড়িয়ে শেষ করতে পারবে নতুন লেজার হাতিয়ার। তবে ভারতীয় সেনা কবে থেকে এটি ব্যবহার করবে, তা স্পষ্ট করেনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    ডিআরডিও-র পরের লক্ষ্য ‘সূর্য’

    ডিআরডিও-র পরের লক্ষ্য এরই আরও উন্নত সংস্করণ ‘সূর্য’, ৩০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। যার সীমা ২০ কিমি। এটি এখন গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে ‘সূর্য’কে সামনে আনার চেষ্টায় রয়েছে ডিআরডিও। নতুন লেজার (India’s First Laser Weapon) হাতিয়ারটির সঙ্গে ‘সূর্য’-র কোনও মিল রয়েছে কি না, সেটা জানা যায়নি। তবে ‘সূর্য’র মাধ্যমে লেজার, মাইক্রোওয়েভ বা পার্টিকল বিমের (কণা রশ্মি) মতো কেন্দ্রীভূত শক্তিকে শত্রুর উপর সরাসরি প্রয়োগ করা যাবে বলে জানা গিয়েছিল। ‘সূর্য’ নিয়ে গবেষণার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ডিআরডিওর লেজার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যে হাতিয়ারটির প্রোটোটাইপ তৈরি করার কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারবে তারা। তবে এর জন্য একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

  • Rose Valley Ponzi Scam: রোজ ভ্যালি পনজি কেলেঙ্কারির ক্ষতিগ্রস্তদের ফেরত দিতে ৫১৫.৩১ কোটি টাকা হস্তান্তর করল অর্থ মন্ত্রক

    Rose Valley Ponzi Scam: রোজ ভ্যালি পনজি কেলেঙ্কারির ক্ষতিগ্রস্তদের ফেরত দিতে ৫১৫.৩১ কোটি টাকা হস্তান্তর করল অর্থ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজ ভ্যালি পনজি (Rose Valley Ponzi Scam) কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে ₹৫১৫.৩১ কোটি টাকার ডিমান্ড ড্রাফট অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির (ADC) হাতে তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী শ্রী পঙ্কজ চৌধুরী। ডিমান্ড ড্রাফটটি গ্রহণ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি ডি.কে. শেঠ। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) ডিরেক্টর শ্রী রাহুল নবীন ও অন্যান্য সিনিয়র আধিকারিকরা। এই অর্থে প্রায় ৭.৫ লক্ষ প্রতারিত বিনিয়োগকারী উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩১ লক্ষ ব্যক্তি ‘www.rosevalleyadc.com’ পোর্টালের মাধ্যমে দাবি জানিয়েছেন।

    বিনিয়োগেকারীদের অর্থ ফেরত

    চিটফান্ড কাণ্ডে টাকা জমা রেখে জালিয়াতির শিকার হওয়া বিনিয়োগেকারীদের ইতিমধ্যেই ধীরে ধীরে অর্থ ফেরত দিচ্ছে ইডি। ‘রোজ ভ্যালি’ চিটফান্ড (Rose Valley Ponzi Scam) মামলায় এখনও পর্যন্ত ২১ কোটি ৯৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৪৪ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ৩১ হাজার ৩১৯ জন টাকা পেয়েছেন। মোট পাঁচ দফায় এই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে ইডি। চিটফান্ড কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অসম এবং ত্রিপুরা থেকে ইডি এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে স্রেফ বাংলা থেকেই বা‌জেয়াপ্ত হয়েছে ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগ

    এবারের ৫১৫.৩১ কোটি টাকার সম্পদ ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ইডি বিভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে ২,৯৮৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে সংযুক্ত করেছিল। এই অ্যাকাউন্টগুলি আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করে প্রায় ৭০০টিরও বেশি ফিক্সড ডিপোজিটে রূপান্তর করা হয়। সেই টাকাই বিনিয়োগকারীদের ফেরত দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি দরিদ্রদের থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ ফেরত দেবেন। অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার ভবিষ্যতেও এই ধরনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে এবং সাধারণ মানুষের টাকা তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

     

     

     

     

  • Shubho Nabo Barsho: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Shubho Nabo Barsho: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১৪৩২ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানাতে মেতেছে গোটা বাংলা। বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে আজ হালখাতার জন্য লক্ষ্মী ও সিদ্ধিদাতা গণেশ পুজোও চলছে। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রভাত ফেরীর অনুষ্ঠান। এই আবহে বঙ্গবাসীকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিজের এক্স মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘পয়লা বৈশাখের (Shubho Nabo Barsho) শুভেচ্ছা। আশা করি এ বছর আপনাদের সব আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে। আমি সকলের সাফল্য, সুখ সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি। শুভ নববর্ষ।’’

    পয়লা বৈশাখ কীভাবে পালিত হয়?

    এই দিনে বাঙালি সমাজের মানুষ সব কাজ থেকে অবসর নিয়ে নতুন ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে। এর পাশাপাশি মন্দিরে অনেক সাজসজ্জার পাশাপাশি নিয়ম-কানুন মেনে পুজো করেন তারা। এই দিনে গরুর পুজো করারও বিধান আছে। গরুকে তিলক, ভোগ এবং পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়া হয়। অন্যদিকে এদিন ব্যবসার হিসাব দেখেন ব্যবসায়ীরা (Shubho Nabo Barsho)। বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হওয়া এই উৎসবে খড় পোড়ানোরও ঐতিহ্য দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। মনে করা হয়, খড় জ্বালিয়ে গত বছর যে কষ্ট পেয়েছিলেন তা থেকে মুক্তি মেলে।

    ঐতিহ্যবাহী খাবারও তৈরি করার রীতিও দেখা যায় (Shubho Nabo Barsho)

    বাঙালিরা আজ ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন। একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে। চলে নানা অনুষ্ঠান। এর পাশাপাশি এদিন ঐতিহ্যবাহী খাবারও তৈরি করার রীতিও দেখা যায়। এই দিনে অনেক বাঙালি বাড়িতে পান্তা ভাত তৈরি করে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ এবং ভাজা ইলিশ মাছ সহযোগে খাওয়া-দাওয়া চলে। এছাড়াও এই দিনে অনেক ধরনের মিষ্টিও তৈরি করা হয়। বাংলা জুড়ে বর্ষবরণের (Shubho Nabo Barsho) উৎসব উপলক্ষ্যে দিকে দিকে সাজো সাজো রব। নতুন বছরে প্রিয়জন, গুরুজনদের নতুন বছরের প্রণাম ও শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারেও।

  • PM Modi: ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়’’, শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মোদি

    PM Modi: ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগ জাতির ইতিহাসে কালো অধ্যায়’’, শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার ১৩ এপ্রিল। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ১০৬তম বার্ষিকী। শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) পাশাপাশি শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুও।

    জাতির ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি কালো অধ্যায়

    এক্স মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লেখেন, ‘‘আমাদের জাতির ইতিহাসে এই ঘটনা একটি কালো অধ্যায়। জালিয়ানওয়ালাবাগের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আগামী প্রজন্ম সর্বদা শহিদদের স্মরণ করবে।’’ জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলেও উল্লেখ করেন মোদি (PM Modi)। তিনি লেখেন, ‘‘জাতির ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ একটি অন্ধকার অধ্যায় ছিল। এই ঘটনায় শহিদদের আত্মত্যাগ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে ওঠে।’’

    এদেশ শহিদদের প্রতি সদা কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবে বললেন রাষ্ট্রপতি

    জালিয়ানওয়ালাবাগে জীবন উৎসর্গকারী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ‘‘তাঁদের (শহিদদের) আত্মত্যাগ আমাদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও তীব্র করে তুলেছিল। এদেশে তাঁদের প্রতি সদা কৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকবে।’’ রাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh Massacre) ভারত মাতার জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই সকল স্বাধীনতা সংগ্রামীকে আমি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তাঁদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাকে (PM Modi) আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল।’’ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত যে সেই অমর শহিদদের কাছ থেকে প্রেরণা নিয়ে, সমস্ত দেশবাসী তাঁদের তন-মন-ধন দিয়ে ভারতের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে।’’

    ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড

    প্রসঙ্গত, ১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে বৈশাখী মেলায় জড়ো হয়েছিলেন শত শত সাধারণ নাগরিক। যাদের মধ্যে ছিল শিশুও। ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র মানুষদের এই সমাবেশে গুলি চালায় ব্রিটিশ বাহিনী। রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে দমন করতে এইভাবেই বর্বরোচিত হামলা করে ব্রিটিশ পুলিশ। সরকারি হিসেবে এই ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা হাজার পার করেছিল।

  • Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ২০১১। তখনও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি। তাঁর পরিচয় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকেই তাঁর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন তাহাউর রানা (Tahawwur Rana Trial)। অবশেষে ২৬/১১-এর ‘মাস্টার মাইন্ড’কে ভারতে এনেছে তাঁর সরকার। রানার প্রত্যর্পণের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশবাসী। মুম্বই হামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তাহাউর রানাকে বৃহস্পতিবারই ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপরই মোদির একটি পুরনো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে আমেরিকার ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ভারতে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মোদি (Narendra Modi)।

    কী রয়েছে সেই পোস্টে

    ২০১১ সালে করা সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana Trial) মার্কিন আদালতের দেওয়া ছাড়পত্র নিয়ে নরেন্দ্র মোদি তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে দুষেছেন। নরেন্দ্র মোদি সেই পুরোনো পোস্টে লিখেছিলেন, “তাহাউর রানাকে মার্কিন সরকারের নির্দোষ তকমা দেওয়া আদতে ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত। এটা দেশের বিদেশনীতির বিরাট ব্যর্থতা।” নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্ট নেটিজেনদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে। তাহাউর রানাকে ভারতে সফল ভাবে প্রত্যর্পণ করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান গাইছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, ‘আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ হল।’ আবার কারও কথায়, ‘আপনি করে দেখিয়েছেন স্যার। আপনাকে কুর্নিশ।’ অনেকের পোস্টেই দেখা গিয়েছে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান।

    অমিত-বার্তা

    ২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রানাকে মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন আমেরিকা কিসের ভিত্তিতে মুম্বই জঙ্গি হামলার অপরাধীদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে। মুম্বই হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ রানাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে আনা হয়েছে। রানাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পাটিয়ালা হাউস কোর্টে আনা হয়। আদালত রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, রানাকে দেশে ফেরানো মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। এবং সেই সঙ্গেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, ‘যে সরকারের আমলে ওই হামলা হয়েছিল তারা কিন্তু ওকে দেশে ফেরাতে পারেনি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মোদি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যারা ভারতের মাটি অপব্যবহার করেছে, দেশের সম্মান অবমাননা করেছে, এমনকি ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাদের ভারতীয় আইনের অধীনে বিচার করার জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হবেই।”

    মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফলে এই প্রত্যার্পণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “কংগ্রেস সরকার কিছুই করেনি ২০০৮ সালের হামলার পর। একজন মাত্র জঙ্গি ধরা পড়েছিল— আজমল কাসব, তাকেও জেলে বসে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল। আর এখন যারা দেশকে আক্রমণ করেছে, তাদের দেশের মাটিতে এনে শাস্তি দেওয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই হচ্ছে নতুন ভারতের সংকল্প।”  ইউপিএ আমলে ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে সন্ত্রাসের সঙ্গে সর্বদা নরম মনোভাব দেখিয়েছে কংগ্রেস, দাবি বিজেপির। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “ইউপিএ আমলে যারা সন্ত্রাসকে আশ্রয় দিয়েছে, তাদের ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আজকের ভারত পাল্টে গেছে। উরি কিংবা পুলওয়ামার মতো ঘটনার জবাব এমএফএন দিয়ে নয়, এমটিজে— ‘মুহ তোড় জবাব’ দিয়ে দেওয়া হয়।”

    মুখ খুলেছে আমেরিকা

    রানার ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “এই ধরনের হামলার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের উদ্যোগকে দীর্ঘ দিন ধরে সমর্থন করে এসেছে আমেরিকা। এখন উনি (রানা) ভারতের হাতে। আমরা খুশি।” মার্কিন আদালতে রানা বার বার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ভারতের জেলে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হবে। তবে ভারত অবশ্য আমেরিকার সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, জেলেও সুরক্ষিত থাকবেন রানা। এদিকে, মুম্বই হামলার চক্রীকে ভারতে আনা হতেই, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। উল্লেখ্য ২ মাস আগে, মোদির মার্কিন সফরের সময়ই রানার প্রত্যর্পণ ইস্যুটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছিল। তারপরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। অবশেষে এখন ভারতে রানা। জনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল,অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

  • Victory Day Celebrations: রাশিয়ার ভিকট্রি ডে-র প্যারেডে মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের, আর কে কে ডাক পাচ্ছেন?

    Victory Day Celebrations: রাশিয়ার ভিকট্রি ডে-র প্যারেডে মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের, আর কে কে ডাক পাচ্ছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাশিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ৯ মে ভিকট্রি ডে পালন (Victory Day Celebrations) করবে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ওই দিন জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল রাশিয়া। আগামী ৯ মে সেই যুদ্ধ জয়ের ৮০ বছর পূর্তি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেঙ্কো জানান, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অবশ্য এখনও কিছু জানানো হয়নি। পুতিন সরকারের আশা, ৯ মে প্যারেডে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য (Victory Day Celebrations)

    রাশিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যমে রুদেঙ্কোর বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “এই বছরের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।” চলতি বছরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারতে আসার কথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। তিনি কবে ভারতে আসবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তার মধ্যেই ফের আমন্ত্রণ জানানো হল প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। এ বছর ভিকট্রি ডে-র প্যারেডে একাধিক মিত্র দেশের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মস্কো। ১৯৪৫ সালের জানুয়ারি মাসে জার্মানির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ৯ মে দুই দেশের কামান্ডার ইন চিফ বিনা শর্তে জার্মান সেনার আত্মসমর্পপণ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করেন। তার পরেই শেষ হয় যুদ্ধ। তার পর থেকে ৯ মে দিনটিকে ভিকট্রি ডে হিসেবে পালন করে আসছে রাশিয়া।

    মস্কোর আশা

    মস্কোর আশা, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন। কারণ এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়াটা অত্যন্ত সম্মানজনক বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানদের কাছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া না- যাওয়ার বিষয়টি এখনও রয়েছে দু’দেশের বৈদেশিক আলোচনার স্তরে। গত জুলাইয়েই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানানো ছাড়াও বহু বিষয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছিল। পুতিন ভারতে আসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। তবে ঠিক কবে তিনি ভারত সফরে আসবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি।

    প্যারেডে ভারতীয় সেনাবাহিনীও!

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটও রেড স্কোয়ারের (মস্কোর) প্যারেডে অংশ নিতে পারে। তা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। রাশিয়ার ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকেও। যদি তা হয়, তাহলে ফের একবার মোদি-শি জিনপিং মুখোমুখি হবেন। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    মোদি-পুতিন সম্পর্ক

    মোদির সঙ্গে পুতিনের সুসম্পর্কের কথা জানে তামাম বিশ্ব (Victory Day Celebrations)। দুই দেশের এই সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে গিয়ে গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজান শহরে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে পুতিন জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই ভালো যে কে কী বলছেন, তা অনুধাবনের জন্য অনুবাদকের প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, “আমাদের (মোদি-পুতিন) মধ্যে সম্পর্ক এমন যে কোনও অনুবাদকের প্রয়োজন নেই। এ কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) হেসেও ফেলেছিলেন। কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, নরেন্দ্র মোদিই একমাত্র রাষ্ট্রনেতা, যাঁর সঙ্গে বিবদমান দুই রাষ্ট্র রাশিয়া ও ইউক্রেন – দুই দেশেরই সুসম্পর্ক রয়েছে।

    প্রথম বিদেশ সফরেই রাশিয়া

    তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েই প্রথম বিদেশ সফরে মোদি গিয়েছিলেন রাশিয়া। ৪ জুলাই মস্কো সফরে গিয়েছিলেন তিনি। গত পাঁচ বছরে ওটাই ছিল তাঁর প্রথম রাশিয়া সফর। ২০২৪ সালের আগে ২০১৯ সালে রাশিয়ার পূর্বে অবস্থিত ভ্লাদিভোস্তকে গিয়েছিলেন একটি সম্মেলনে অংশ নিতে। জুলাইয়ের সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। গত ২৭ মার্চ রাশিয়ার (Victory Day Celebrations) বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরফ জানান যে, প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারতে আসার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তিনি কবে নয়াদিল্লি আসবেন, তা এখনও জানা যায়নি।

    মোদির এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তিনি যে সময় রাশিয়ায় যাচ্ছেন, সেই সময় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। রাশিয়া সফরের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Victory Day Celebrations)। তিনি যে যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষেই, সেই অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

  • Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের (Brahma Kumari) কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী প্রয়াত হলেন। ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক জগতের অন্যতম খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ছিলেন দাদি রতন মোহিনী (Dadi Ratan Mohini)। সমাজ সংস্কার তথা সমাজ গঠনে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে জানা যায়। গভীর আধ্যাত্মিকতা, সহানুভূতির সঙ্গে নেতৃত্ব দান করতেন রতন মোহিনী। তিনি দেশ-বিদেশে আধ্যাত্মিকতা তথা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারে অসংখ্য কাজ করেছেন বলে জানা যায়। ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের দাদি রতন মোহিনী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ১০১ বছর বয়সে। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে সমাপ্ত হল একটি যুগ। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ভক্ত তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। রতন মোহিনীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আরএসএস প্রমুখ মোহন ভাগবত।

    শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতির

    দাদি রতন মোহিনীর (Dadi Ratan Mohini) প্রয়াণের খবর সামনে আসতেই এক্স মাধ্যমে শোক জ্ঞাপন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রতন মোহিনীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে নিজের পোস্টে রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘‘আমি গভীরভাবে দুঃখিত এই খবর জানতে পেরে যে দাদি রতন মোহিনী পরলোকগমন করেছেন। ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা ছিল। এই সংগঠন আমার ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক অবদান রেখেছে।’’ হিন্দিতে লেখা পোস্টে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, সমাজের সম্প্রীতি, শান্তি এবং জনগণের কল্যাণের জন্য দাদির ভূমিকা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    শোক জ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর (Brahma Kumari)

    অন্যদিকে, ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের (Brahma Kumari) কর্ণধারের প্রয়াণে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাদি রতন মোহিনীকে তিনি নিজের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন। দাদি রতন মোহিনীকে (Dadi Ratan Mohini) বিশ্বাস ও সরলতা ও নিঃস্বার্থপরতার প্রতীক হিসেবে নিজের পোস্টে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘‘তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) ব্যক্তিত্বের ভিত্তি ছিল গভীর বিশ্বাস, সরলতা এবং সমাজসেবা। তিনি অসংখ্য মানুষের কাছে প্রেরণা ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের জন্যই ব্রহ্মা কুমারী আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা ও মানবিকতার পাঠ শেখায় এই সংগঠন।’’

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    শোক প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নিজের পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দাদি রতন মোহিনী তাঁর সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন জনগণকে দিশা দেখাতে এবং আধ্যাত্মিকতার উন্নতির সাধনে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তদের কাছে আজও তিনি প্রেরণা হয়ে থাকবেন।’’ অমিত শাহ আরও লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনী আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে অন্তরের শক্তিকে জাগ্রত করার পাঠ শেখাতেন। তিনি আমাদের কাছে প্রেরণা। তাঁর প্রয়াণ অত্যন্ত যন্ত্রণার। আমি তাঁর ভক্তদেরকে এই দুঃখের মুহূর্তে সমবেদনা জানাই।’’

    শোক প্রকাশ করেন লোকসভার স্পিকার

    ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের কর্ণধারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শোক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন যে আধ্যাত্মিকতার আলোকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দাদি রতন মোহিনী। স্পিকারের মতে, ‘‘অগণিত মানুষ তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) দেখানো পথেই চলছেন। দাদি রতন মোহিনী সত্য শান্তি এবং জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

    শোকবার্তা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের

    দাদি রতনমোহিনীর মৃত্যু মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনীর মহাপ্রয়াণে প্রত্যেকেই খুব দুঃখিত। তিনি বৈকুণ্ঠ ধামে যাত্রা করেছেন। পরম পূজ্য রাজযোগিনী রতনমোহিনী দাদিজিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই। তিনি ছিলেন ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের কর্ণধার। সমাজ গঠনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। হাজার হাজার মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন আধ্যাত্মিকতার। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার ও ভারতীয় মূল্যবোধের আজীবন প্রচার করে গিয়েছেন তিনি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁকে মোক্ষ দেবে এই আশা করি।’’

    দাদি রতন মোহিনীর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ

    প্রসঙ্গত, দাদি রতন মোহিনী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ। বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদে। জানা যায়, দাদি রতন মোহিনী ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। ৮৮ বছরের এই আধ্যাত্মিক যাত্রা শেষ হল তাঁর প্রয়াণে। এভাবেই তিনি মানুষের মঙ্গল এবং কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন সারাজীবন। আধ্যাত্মিকতার প্রচার ও ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশনাতেই এই সংগঠন চলত। সামাজিকভাবে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করত এই সংগঠন। সমাজ সংস্কারের পাশাপাশি মহিলা সশক্তিকরণ, যুব সমাজের উন্নয়ন, নেশা মুক্ত সমাজগঠন, পরিবেশের সংরক্ষণ, এর সঙ্গে সঙ্গে যোগাভ্যাস- এই সমস্ত কিছুতেও তিনি অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর এই উদ্যোগগুলির জন্য তিনি বারবার প্রশংসিত হয়েছেন জাতীয় স্তরের নানা অনুষ্ঠানে। মিলেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিও। ২০১৪ সালে গুলবার্গ ইউনিভার্সিটি নাকে ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে। রতন মোহিণীর প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যেমন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া।

  • Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৪০ দিনে দুবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) মনে করিয়ে দিলেন যে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তুলনায় বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কেন্দ্র থেকে তামিলনাড়ুকে তিনগুণ বেশি অর্থ দিয়েছে। সেই সময় ডিএমকে এনডিএ জোটের অংশ ছিল। তামিলনাড়ু নির্বাচনের আগে এটি বিজেপির একটি মূল বার্তা (Modi Shah)। রবিবার রামেশ্বরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ কথা বলেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কোয়েম্বাটোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই কথা বলেছিলেন।এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত এক দশকে, কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুকে যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা ২০১৪ সালের আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি। তবুও কিছু মানুষের অকারণে অভিযোগ করার অভ্যাস আছে। তারা সব সময় কিছু না কিছু নিয়ে কাঁদতে থাকে। মোদি সরকার তামিলনাড়ুকে যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, তা ইন্ডি জোটের ক্ষমতায় থাকার সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ডিএমকে সেই সরকারেরই অংশ ছিল।”

    কী বলেছিলেন শাহ (Modi Shah)

    ২৬ ফেব্রুয়ারি কোয়েম্বাটোরে ভাষণ দিয়েছিলেন শাহ। তিনি আরও স্পষ্টভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪-২৪ সময়কালে রাজ্যটিকে ৫,০৮,৩৩৭ লাখ কোটি টাকা দিয়েছে। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে বলছি। তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে (২০০৪-২০১৪) তামিলনাড়ু মাত্র ১.৫২ লাখ কোটি টাকা পেয়েছিল। আর আপনি কিনা বলছেন মোদি সরকার অবিচার করছে। কিন্তু ইউপিএ শাসনকালেই রাজ্যটির প্রতি অবিচার হয়েছিল, যখন আপনি সেই সরকারের অংশ ছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়াও এনডিএ সরকার তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    শীর্ষ সরকারি সূত্রে খবর, এটি বিজেপির একটি প্রচার। কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তামিলনাড়ুকে অর্থ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করেছে, বারবার এমনই মন্তব্য করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তারই জবার দিতে রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদি-শাহ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন (Tamil Nadu), “বিকশিত ভারতের যাত্রায় তামিলনাড়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে তামিলনাড়ু যত শক্তিশালী হবে, ভারতের উন্নয়ন তত দ্রুততর হবে।” তিনি বলেন, “কেন্দ্র তামিলনাড়ুর অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গত এক দশকে তামিলনাড়ুর জন্য রেলওয়ে বাজেট সাত গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৪ সালের আগে, তামিলনাড়ুর রেলওয়ে প্রকল্পগুলির জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯০০ কোটি টাকা (Modi Shah)।”

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন রামানাথপুরম জেলার রামেশ্বরমে নয়া পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন করেন। এটি ভারতের পরিকাঠামোর উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী একটি রিমোটের সাহায্যে সেতুর উল্লম্ব লিফট স্প্যানটি পরিচালনা করেন। এর ফলে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ নীচ দিয়ে চলে যায়। নয়া উদ্বোধন করা কাঠামোটি দেশের প্রথম উল্লম্ব লিফট রেলওয়ে সমুদ্র সেতু, যা দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি বড় অগ্রগতি। রবিবার ছিল রামনবমী। এদিন তামিলনাড়ুতে সড়ক ও বিভিন্ন রেল প্রকল্প মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজ

    রেল সূত্রে খবর, শতবর্ষ প্রাচীন সেতুটি অকেজো হওয়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নয়া সেতুটি তৈরি করেছে রেল। প্রধানমন্ত্রী মান্নার উপসাগরে দেশের প্রথম সেই উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেল সেতুর উদ্বোধন করেন। প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাঝ বরাবর জাহাজ চলাচলের পথ খোলা রাখতে তৈরি করা হয়েছে ৭২ মিটার লম্বা ও ৬৪০ টন ওজনের উল্লম্ব একটি অংশ। বৈদ্যুতিক মোটর ও ক্রেনের সাহায্যে (Tamil Nadu) তা জলস্তর থেকে ১৭ মিটার উঠে পথ খুলে দেবে। পুরানো পাম্বান সেতুতে ওই চ্যানেল খুলতে সময় লাগত ৪৫ মিনিটের বেশি। নয়া সেতুতে সেই কাজটিই হয়ে যাবে মাত্র সাড়ে পাঁচ মিনিটে। আর্দ্র আবহাওয়ায় সেতু সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ প্রযুক্তিতে এমন রং করা হয়েছে, যা প্রায় ৩৮ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে (Modi Shah)।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী চেন্নাইয়ের রামেশ্বরম ও তাম্বারমের মধ্যে একটি নয়া ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধনও করেন। এর ফলে আরও উন্নত হবে আঞ্চলিক যোগাযোগ। যাত্রী ও তীর্থযাত্রীরা আরও মসৃণভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। নীলগিরির এই অনুষ্ঠানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন (Tamil Nadu)। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ইউপিএ সরকারের চেয়ে এনডিএ সরকারের আমলে ঢের বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু (Modi Shah)।

  • Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শেষের দিকে ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ৩৮ মিনিটের কথা হয়। তবে মোদি-ইউনূসের এই বৈঠক ছিল এককথায় সৌজন্যমূলক। তবে ওই সম্মেলনেই অন্য বৈঠকে অজিত ডোভাল তুলোধনা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে। ডোভাল (Ajit Doval) কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘেঁষাঘেঁষি ভারত ভালো চোখে দেখছে না। কোনও কূটনৈতিক সৌহার্দ্য নয় বরং সোজা কড়া সত্য কথা বলে বাংলাদেশকে তুলোধনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ঢাকাকে সীমারেখা টেনে দেন ডোভাল (Ajit Doval)

    প্রসঙ্গত, অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৈশভোজের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, এখানেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে একেবারে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন যে কোনও পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশকে বেশ কতগুলো সীমারেখাও টেনে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ইউনূসদের দেশকে সতর্ক করা হয়েছে, এই রেখা যদি অতিক্রম করা হয় তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না।

    ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে

    স্বরাজ্য পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানের সঙ্গে একেবারে খোলামেলা স্তরে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশে হওয়া ভারতবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কেও খলিলুর রহমানকে সতর্ক করেন অজিত ডোভাল। এর পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ বাংলাদেশ করা হচ্ছে বলে রহমানকে সতর্ক করেন ডোভাল।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন ডোভাল

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উঠে আসে ওই আলোচনাতে। অজিত ডোভাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে যে কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রহমানের উদ্দেশ্যে ডোভাল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় তা ভারতের জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ।’’ জানা যাচ্ছে, এই সময়ই খলিলুর রহমান অজিত ডোভালকে আশ্বস্ত করতে যান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের কোনও স্বার্থহানি ঘটাবে না। অজিত ডোভাল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের আইএসআই অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছে এমন রিপোর্ট রয়েছে।’’

    ভারতে অশান্তি পাকানোর ব্যবস্থা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    এই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া দিল্লির তরফ থেকে ঢাকাকে বলা হয়, ‘‘ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কোনও সংগঠন যদি দায়ী থাকে তাহলে সেই সংগঠন এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর এবং শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, এরপরেই খলিলুর রহমান ডোভালের কথায় সম্মতি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা সর্বদাই ভারতের কথা মনে রাখবে এবং কখনও বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’

    উগ্র মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে ইউনূস সরকার, বৈঠকে বলেন ডোভাল

    এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করছে। সরকার স্বাধীনতা প্রদান করেছে ইসলামিক সংগঠনগুলিকে। এই সংগঠনগুলি ভারত-বিরোধী। তারা ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেখা যায় যে সে দেশের মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের একাধিক নেতাকে ইউনূস সরকার মুক্তি দিয়েছে এবং তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে।

    ভারত বিরোধী কার্যকলাপ, ঢাকা যেন দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন যে বাংলাদেশে কীভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এই কাজে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান ডোভাল। এ প্রসঙ্গে অজিত ডোভাল জামায়াতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্য জোট এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলির ভারত-বিরোধী কার্যকলাপকে তুলে ধরেন। খলিলুর রহমানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অজিত ডোভাল আরও বলেন, ‘‘উগ্র মৌলবাদীদের এমন ভারত-বিরোধী বক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করছে, তাহলে বাংলাদেশ যেন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে।’’

    হিন্দু নির্যাতন নিয়েও সরব হন ডোভাল

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন। তবে ডোভালের বক্তব্যকে রহমান খণ্ডন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যে ধরনের খবর রটছে তা অতিরঞ্জিত।’’ রহমানের মুখে এমন কথা শুনে অজিত ডোভাল হিন্দুদের আক্রমণের একাধিক ঘটনাকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদীরা খুবই শক্তিশালী। তাদের লাগাম টেনে ধরা উচিত। উগ্র মৌলবাদীরা যদি এদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং ভারত-বিরোধী প্ররোচনা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকতে পারে না।

    কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, হুঁশিয়ারি দিল্লির

    ভারতের সঙ্গে সীমানা নিয়েও অজিত ডোভাল এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি চোরাকারবারি, পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফের পদক্ষেপকে তুলে ধরেন অজিত ডোভাল। বাংলাদেশকে ডোভাল জানান, কেউ যদি এভাবে সীমান্ত লঙ্ঘন করতে চায়, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএসএফ কেবল আত্মরক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি চালায়। একইসঙ্গে অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলি যেন এটা নিশ্চিত করে যে তাদের দেশের কেউ যেন অবৈধভাবে ভারতের সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা না করে।

    চিন সফরে ইউনূসের বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান ডোভাল

    একইসঙ্গে ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যে সমস্ত ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের পালন করা উচিত। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই তাঁর একটি বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। নিজের বক্তব্যে ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতকে একটি স্থলবেষ্টিত আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। খলিলুরে সামনে এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন অজিত ডোভাল।

  • Pradhan Mantri Mudra Yojana: ‘‘অসংখ্য মানুষকে সুযোগ দিয়েছে’’, ১০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার প্রশংসায় মোদি

    Pradhan Mantri Mudra Yojana: ‘‘অসংখ্য মানুষকে সুযোগ দিয়েছে’’, ১০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার প্রশংসায় মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার (Pradhan Mantri Mudra Yojana) ১০ বছর পূর্তি। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার এই ফ্ল্যাগশিপ স্কিমের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মুদ্রা যোজনা অসংখ্য মানুষকে তাদের উদ্যোগী দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ দিয়েছে। এই প্রকল্পের কিছু সুবিধাভোগীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের যাত্রা প্রেরণাদায়ক।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Pradhan Mantri Mudra Yojana)

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর আলোচনায় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প মূল্যায়ন ও উন্নত করার প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সরকার এমন যে এটি দশ বছর পরে কোনও প্রকল্পের ফল মূল্যায়ন করে। আমরা সুবিধাভোগীদের তাদের অভিজ্ঞতা জানতে চাইছি এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে উন্নতি আনা হবে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, মুদ্রা যোজনা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য উদ্যোক্তা তৈরি করে মানসিকতায় মৌলিক পরিবর্তন এনেছে। এ পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে ৫২ কোটিরও বেশি ঋণ বিলি করা হয়েছে, যার অপরিশোধিত ঋণের হার আশ্চর্যজনকভাবে কম। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (PMMY) অ-কর্পোরেট, অ-কৃষি ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ দান করে। এই প্রকল্প উৎপাদন, বাণিজ্য ও সেবা খাতের পাশাপাশি ডেয়ারি, পোল্ট্রি এবং মৌমাছি পালনের মতো কৃষি-সম্পর্কিত ক্ষেত্রে যাঁরা রোজগার করতে চান, তাঁদের জন্য।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার সুবিধা কারা পায়?

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা (Pradhan Mantri Mudra Yojana) মূলত অ-কর্পোরেট, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলিকে সাহায্য করে যেগুলি সাধারণত একক মালিকানায় বা অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে নানা ধরনের স্থানীয় উদ্যোক্তারা রয়েছেন। যেমন, ক্ষুদ্র উৎপাদনকারী, দোকানদার ও বিক্রেতা, অটো ও ট্রাক চালক, খাবারের স্টল ও সেবা প্রদানকারী, কারিগর ও মেরামত টেকনিশিয়ান, কুটির শিল্প ও প্রক্রিয়াকরণকারী (PM Modi)। এই তৃণমূলস্তর পর্যায়ে পৌঁছানোর কারণে মুদ্রা সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় ঋণ কীভাবে পাওয়া যাবে?

    প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার অধীনে ঋণ দেওয়া হয় মেম্বার লেন্ডিং ইনসস্টিটিউশন (MLIs)-এর একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি খাতের ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক (RRB), রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, মাইক্রো ফাইনান্স ইনস্টিটিউশন (MFI), নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনান্সিয়াল কোম্পানি (NBFC), ক্ষুদ্র অর্থ ব্যাঙ্ক (SFB) এবং মুদ্রা লিমিটেড দ্বারা অনুমোদিত অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। মুদ্রা ঋণের সুদের হার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্ধারিত হয়। ঋণগ্রহীতার প্রোফাইল ও উদ্যোগের প্রকৃতিভেদে এই সুদের হার ভিন্ন হতে পারে।

    চার্জ এবং প্রসেসিং ফি

    ব্যাঙ্কগুলি তাদের (Pradhan Mantri Mudra Yojana)অভ্যন্তরীণ নীতির ভিত্তিতে অগ্রিম ফি ধার্য করতে পারে। তবে ‘শিশু’ লোনের প্রসেসিং ফি সাধারণত বেশিরভাগ ব্যাংকই মকুব করে দেয়। এটি প্রথমবার এবং ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতাদের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করে। অর্থমন্ত্রক ও পিআইবির তথ্য অনুযায়ী, মুদ্রা লোনের ৬৮ শতাংশ গ্রহণ করেছেন মহিলা উদ্যোক্তারা। ৫০ শতাংশ অ্যাকাউন্ট এসসি, এসটি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। আর ১১ শতাংশ সংখ্যালঘুদের দ্বারা গৃহীত। এ সবই এই প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত (PM Modi)।

    লোনের বিভাগ এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের চাহিদা

    মুদ্রা লোন তিনটি ভাগে বিভক্ত। এগুলি হল, শিশু (৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত), কিশোর কিশোর (৫০,০০০ – ৫ লাখ টাকা) এবং তরুণ (৫ – ১০ লক্ষ টাকা)। উচ্চমূল্যের লোনের দিকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষে কিশোর লোন বিলির পরিমাণ ছিল ৪৪.৭ শতাংশ। ২০১৬ অর্থবর্ষের চেয়ে এই বৃদ্ধির হার ৫.৯ শতাংশ। এই সময়ে গড় লোনের আকার তিনগুণ বেড়ে ৩৮,০০০ টাকা থেকে ১.০২ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে।

    মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সহায়তা

    ২০১৬ অর্থবর্ষ (Pradhan Mantri Mudra Yojana) থেকে ২০২৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত, মহিলাদের গড় ঋণ ১৩ শতাংশ (PM Modi) সিএজিআরে বৃদ্ধি পেয়ে ৬২,৬৭৯ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁদের গড় ডিপোজিট ব্যালেন্স বার্ষিক ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৫,২৬৯ টাকায় পৌঁছেছে। মহিলাদের জন্য বেশি লোন বিতরণকারী রাজ্যগুলিতে মহিলা নেতৃত্বাধীন এমএসএমইতে কর্মসংস্থান বেশি দেখা গিয়েছে। এমএসএমইদের জন্য ২০১৪ অর্থবর্ষে ঋণ ৮.৫১ লাখ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ অর্থবর্ষে হয়েছে ২৭.২৫ লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে এটি ৩০ লাখ কোটি টাকার গন্ডি পার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সামগ্রিক ব্যাঙ্ক ঋণের মধ্যে এমএসএমই ঋণের অংশ ১৫.৮ শতাংশ থেকে প্রায় (PM Modi) ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে (Pradhan Mantri Mudra Yojana)।

LinkedIn
Share