Tag: PM Modi

PM Modi

  • Semicon India 2025: ভারত পেল প্রথম দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ‘ডিজিটাল হিরে’, বললেন মোদি

    Semicon India 2025: ভারত পেল প্রথম দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ‘ডিজিটাল হিরে’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক মাইলফলক স্পর্শ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপস্থিতিতে দেশের প্রথম সম্পূর্ণ দেশিয় মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor) ‘বিক্রম ৩২০১’ (Vikram 3201) লঞ্চ করল ইসরো (ISRO)। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাইক্রোচিপকে ‘ডিজিটাল হিরে’ আখ্যা দিলেন। তিনি বলেন, “যদি বিগত শতক তেলের দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে, তবে এই শতক গঠিত হবে মাইক্রোচিপ দ্বারা।”

    প্রধানমন্ত্রীকে চিপ উপহার

    মঙ্গলবার ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে দেশের প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চিপ তুলে দেন। অশ্বিনী জানান, “ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন চালুর পর থেকে গোটা বিশ্বের আস্থা ভারতের প্রতি বেড়েছে। বর্তমানে দেশে পাঁচটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।” তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দেশের প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চিপ উপহারও দেন। মন্ত্রী আরও জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দুটি নতুন উৎপাদন ইউনিট চালু হতে চলেছে।

    সেমিকন্ডাক্টর চিপ এখন ‘ডিজিটাল হিরে’

    ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ (Semicon India 2025) সম্মেলনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “গত শতক গড়ে উঠেছিল তেলের উপর। আর বর্তমান যুগ দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট একটি চিপের উপর (Oil Was Black Gold, Chips Are Digital Diamonds)।” তিনি বলেন, তেলকে যেমন একসময় ‘কালো সোনা’ (Black Gold) বলা হত, তেমনই সেমিকন্ডাক্টর চিপ এখন ‘ডিজিটাল হিরে’ (Digital Diamond)। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বিশ্ব আজ ভারতের উপর আস্থা রাখছে, বিশ্বাস রাখছে। ইতিমধ্যেই ২০২১ সালের পর থেকে ১০টি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পে প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। “ভারতই গড়ে তুলবে ভবিষ্যতের সেমিকন্ডাক্টর দুনিয়া,” জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫ সম্মেলন আগামী তিন দিন ধরে চলবে এবং দেশের সেমিকন্ডাক্টর খাতকে গতি দিতে গবেষণা, প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং নীতিনির্ধারণী দিক থেকে এক নতুন দিশা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ভারতে তৈরি ক্ষুদ্রতম চিপ বদলাবে দুনিয়া

    মোদি আরও জানান, কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশনের পরবর্তী ধাপে কাজ শুরু করেছে। নতুন ‘ডিজাইন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (DLI)’ প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে। তাঁর কথায়, “দূরে নয় সেই দিন, যেদিন ভারতে তৈরি ক্ষুদ্রতম চিপ বদলে দেবে গোটা দুনিয়া।” শুধু চিপ উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়, সেমিকন্ডাক্টরকে ঘিরে গোটা এক ইকোসিস্টেম তৈরি করছে ভারত। এমনটাই দাবি প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর মতে, এই উদ্যোগ ভারতের শিল্পকে করবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক এবং আত্মনির্ভরশীল। তিনি আরও বলেন, দেশের চাহিদা মেটাতে এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত প্রয়োজনে উপযুক্ত খনিজ পদার্থের জোগান নিশ্চিত করতে ভারত ‘ক্রিটিক্যাল মিনারেলস মিশন’-এর উপর কাজ করছে।

    মাইক্রোচিপ ‘বিক্রম’ আদতে কী?

    ‘বিক্রম-৩২০১’ একটি ৩২-বিট মাইক্রোপ্রসেসর, যার নিজস্ব ইনস্ট্রাকশন সেট আর্কিটেকচার রয়েছে। এটি একসঙ্গে ৩২ বিট ডেটা প্রসেস করতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের নির্দেশ পালন করতে সক্ষম। প্রসেসরটি বিশেষভাবে সমর্থন করে এডিএ প্রোগ্রামিং ভাষাকে—যা উপগ্রহ, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, লঞ্চ ভেহিকলসহ উচ্চ-নির্ভরযোগ্য সিস্টেমে বহুল ব্যবহৃত। কঠিন পরিবেশ মাথায় রেখেই এটি তৈরি হয়েছে। মাইনাস ৫৫ থেকে ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে এটি। এর ফলে মহাকাশ মিশনের খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে।

    আত্মনির্ভরতার পথে এক ধাপ

    শুধু তাই নয়, এই অগ্রগতি বেসামরিক খাতেও দেশিয় চিপ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। স্থানীয়ভাবে উচ্চমানের চিপ পাওয়া গেলে বিদেশি ইলেকট্রনিকস ও অটোমোবাইল জায়ান্টরা ভারতেই উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে উৎসাহিত হবে। ফলে এটিকে প্রযুক্তির দুনিয়ায় ভারতের এক বড় মাইলফলক হিসেবে দেখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে এটি আত্মনির্ভরতার ক্ষেত্রেও এটি দেশকে এগিয়ে রাখবে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বাজার ছিল প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবর্ষে তা বেড়ে ৪৫-৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাজার আরও দ্বিগুণ হয়ে ১০০-১১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের (PMO) তরফে জানানো হয়েছে, ‘সেমিকন ইন্ডিয়া ২০২৫’ (Semicon India 2025)  এই মহাসম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ২০,৭৫০ জন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৪৮টি দেশের ২,৫০০-র বেশি প্রতিনিধি। বক্তব্য রাখছেন ১৫০-রও বেশি বক্তা, তার মধ্যে ৫০ জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পনেতা। প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে প্রায় ৩৫০ প্রতিষ্ঠান।

     

  • Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রয়াত মায়ের উদ্দেশে কুকথা বলা হয়েছিল কংগ্রেস-আরজেডির মঞ্চ থেকে। তার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “এটা গোটা দেশের মা-বোন এবং কন্যাদের অপমান।” দেশের মহিলাদের অপমান করায় বিহার বনধের (Bihar Bandh) ডাক দিল এনডিএ। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাকে।

    প্রধানমন্ত্রীর মাকে কটু কথা (Bihar Bandh)

    প্রধানমন্ত্রী যখন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁর মায়ের উদ্দেশে কটু কথা বলা হয়। চিন থেকে ফিরেই এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিহারের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও, কেন তাঁর মাকে টেনে আনলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং হাত শিবিরের লেজুড় আরজেডি নেতা? বিষয়টিকে দেশজুড়ে মহিলাদের প্রতি অপমান হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তাঁর মৃত মায়ের উদ্দেশে এভাবে অপমানসূচক মন্তব্য অকল্পনীয়।”

    রাহুল-তেজস্বীকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

    রাহুল এবং তেজস্বীকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী (Bihar Bandh) বলেন, “একজন দরিদ্র মায়ের সংগ্রাম, তাঁর ছেলের কষ্ট – রাজপরিবারে জন্ম নেওয়া এই তরুণ রাজকুমাররা বুঝতে পারেন না। এই নামদার লোকেরা মুখে রূপার চামচ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। দেশ ও বিহারের ক্ষমতা তাঁদের কাছে পরিবারের উত্তরাধিকারের মতো মনে হয়।” তিনি বলেন, “দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বিহার সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে। বিহারের সব মহিলা আরজেডিকে সরিয়ে বারবার পরাজিত করার ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই আরজেডি হোক বা কংগ্রেস আজ এই (PM Modi) লোকেরা মহিলাদের ওপর সব চেয়ে বেশি বিরক্ত। এই লোকেরা আপনাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়, তারা সুযোগ খুঁজছে যাতে তারা আপনাদের শাস্তি দিতে পারে (Bihar Bandh)।”

  • VVIP: মাঝ-সেপ্টেম্বরে মণিপুর সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    VVIP: মাঝ-সেপ্টেম্বরে মণিপুর সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বা ১৪ সেপ্টেম্বর মণিপুর সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জাতিগত হিংসার ঘটনায় দীর্ণ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি। গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে। এ নিয়ে আরও জোরালো ধারণা তৈরি হয়েছে মণিপুরের সাধারণ প্রশাসন বিভাগের এক সরকারি নোট প্রকাশের পর।

    সরকারি নোট (VVIP)

    ওই নোটে বলা হয়েছে, “প্রথমেই মণিপুর সরকারের মুখ্যসচিব প্রস্তাবিত ভিভিআইপি (VVIP) সফর (সেপ্টেম্বর ২০২৫) উপলক্ষে প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত সকল সদস্য ও কর্মকর্তাকে স্বাগত জানান।” নোটে আরও বলা হয়েছে, “এই সফরকে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করতে হবে। তাই সাধারণ প্রশাসন বিভাগের সচিবকে আলোচনা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।” নোটে ইম্ফলের কাংলা ও চূড়াচাঁদপুরের পিস গ্রাউন্ডকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভিভিআইপির নাম স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

    কী বলছে প্রশাসন?

    প্রশাসনের তরফে কেউ কিছু না বললেও, রাজ্যের শাসক দলের এক বিধায়ক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রায় নিশ্চিত।” প্রসঙ্গত, মেইতেই ও কুকি-জো উপজাতিদের মধ্যে জাতিগত সংঘাত এবং তৎপরবর্তী হিংসায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ও প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম মণিপুর সফর। মাস কয়েক হল হিংসা থেমেছে। কিন্তু দু’বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, রাজ্য জাতিগতভাবে বিভক্তই রয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যে এখনও (PM Modi) মেইতেই ও কুকি-জো উপজাতিরা একে অন্যের এলাকায় যেতে পারেন না। রাজ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পরেও মণিপুর সফরে না যাওয়ার জন্য বহুবার প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছে কংগ্রেস (VVIP)।

    মণিপুর সফর সেরে প্রধানমন্ত্রী যাবেন অসমেও। সেখানে তিনি ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বাইরাবি–সাইরাং রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। অসমে প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন ভূপেন হাজারিকার শতবর্ষব্যাপী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন (VVIP)।

  • PM Modi: “গালিগুলি আমার মায়ের অপমান নয়, দেশের মা, বোন ও কন্যাদের অপমান,” তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “গালিগুলি আমার মায়ের অপমান নয়, দেশের মা, বোন ও কন্যাদের অপমান,” তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মা আমাদের পৃথিবী। মা আমাদের আত্মসম্মান। কয়েকদিন আগে সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যের অধিকারী এই বিহারে যা ঘটেছিল, তা আমি কল্পনাও করিনি। বিহারের মানুষও এটা কল্পনা করেননি। বিহারে আরজেডি-কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে আমার মাকে গালি দেওয়া হয়েছিল। এই গালিগুলি আমার মায়ের (Dead Mother) অপমান নয়, এগুলি দেশের মা, বোন ও কন্যাদের অপমান।” মঙ্গলবার বিহারের এক জনসভায় টানা কথাগুলি বলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    সমস্ত নারীর প্রতি অপমান (PM Modi)

    তিনি এই ঘটনাকে দেশের সমস্ত নারীর প্রতি অপমান বলে বর্ণনা করে বলেন, “রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে আমার প্রয়াত মাকে এভাবে গালিগালাজ করা অকল্পনীয়।” তিনি বলেন, “আমি জানি, আপনাদের সবার, বিহারের প্রতিটি মায়ের, এই ঘটনা দেখে ও শুনে কতটা খারাপ লেগেছে। আমি জানি, আমার হৃদয়ে যতটা কষ্ট আছে, বিহারের মানুষও সেই একই কষ্টে আছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার মায়ের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক ছিল না। তার পরেও কেন তাঁকে অপমান করল আরজেডি এবং কংগ্রেস?” তিনি বলেন, “যারা এ ধরনের গালাগালি দেয়, তারা এমন এক মানসিকতার পরিচয় দেয় যা নারীকে দুর্বল মনে করে। বিহারে কংগ্রেসের ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র সময় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি শুধু আমাকেই নয়, দেশের প্রতিটি নারীকে অপমান করেছে (PM Modi)।”

    মহিলাদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার

    এদিন নতুন এক সমবায় উদ্যোগের উদ্বোধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে (এটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে উদ্যোক্তা সৃষ্টিকে উৎসাহিত করবে) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিহারে এনডিএ সরকার ধারাবাহিকভাবে মহিলাদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। এই নতুন সমবায় বিহারের কন্যা ও বোনদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী মঞ্চ হয়ে উঠবে।” তিনি বলেন, “আমি আমার দেশের জন্য প্রতিদিন, প্রতিটি মুহূর্তে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আর এতে আমার মা অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আমাকে মা ভারতীর সেবা করতে হয়েছিল। তাই আমার মা (Dead Mother), যিনি আমাকে জন্ম দিয়েছেন, তিনি আমাকে আমার দায়িত্ব থেকে মুক্ত করেছেন। সেই মায়ের আশীর্বাদেই আমি আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম (PM Modi)।”

  • US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী। একবিংশ শতাব্দীতে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।” সোমবার নয়াদিল্লিকে এই মর্মে বার্তা দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন (US)। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (PM Modi) এই বার্তা পাঠানোর সময়টা খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ। রবিবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বেলা ১২টা নাগাদ বৈঠক করেন মোদি।

    আমেরিকার বিদেশসচিবের বার্তা (US)

    এর কিছুক্ষণ আগেই ভারতের মার্কিন দূতাবাসে পোস্ট করা হয় আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর বার্তা। তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্বই আমাদের সহযোগিতার ভিত্তি এবং এটি আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়, যখন আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করি।” মার্কিন দূতাবাসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়েছে, “এই মাসে আমরা আলোকপাত করছি সেই মানুষদের ওপর, অগ্রগতির ওপর এবং সম্ভাবনার ওপর, যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন ও উদ্যোগ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যন্ত – এই যাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে কাজ করছে আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্ব।”

    মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ক্ষুব্ধ আমেরিকা

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US)। শাস্তিস্বরূপ, তিনি দুদফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। সঙ্গে করেছেন জরিমানাও। তবে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। সেই জন্য একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের তরফে। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। ইতিমধ্যেই এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি পার্শ্ব বৈঠক করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। পার্শ্ববৈঠক হয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও। একটি গাড়িতে করে মোদি-পুতিন পৌঁছন সম্মেলনস্থলে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-চিন-রাশিয়া এই তিন (PM Modi) শক্তিধর দেশ এক মেরুতে চলে আসায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেই চলে আসে মার্কিন ‘বন্ধুত্বে’র বার্তা (US)।

  • PM Modi: একসঙ্গে গাড়িতে সফর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে কথা মোদি-পুতিনের!

    PM Modi: একসঙ্গে গাড়িতে সফর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে কথা মোদি-পুতিনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম যখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। তারপর মস্কোভা নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে গ্যালন গ্যালন জল। বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যদিও জারি রয়েছে শান্তি প্রচেষ্টা। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার পুতিনকে মোদি বলেন, “ভারত আশা করে সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে এগিয়ে আসবে।”

    ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট (PM Modi)

    দিন দুয়েক আগেই রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। চিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের পর পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন যে, ডিসেম্বরেই ভারত সফরে আসবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করছি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি সম্প্রতি পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের প্রতি ইঙ্গিত মোদির। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি যে সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে এগিয়ে যাবে। দ্রুত যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এটাই সমগ্র মানবজাতির আহ্বান।”

    একই গাড়িতে মোদি-পুতিন

    এদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রপ্রধান একই গাড়িতে করে শীর্ষ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যান। পরে উভয় পক্ষের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী পুতিনের সঙ্গে তাঁর নিজের ছবি শেয়ার করে লেখেন, “এসসিও সম্মেলনের কার্যক্রম শেষে, প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং আমি একসঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ভেন্যুতে যাই। তাঁর সঙ্গে আলোচনা সবসময়ই গভীর চিন্তাশীল হয়।” সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেই চেয়েছিলেন যে এসসিও সম্মেলনের ভেন্যু থেকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের স্থান রিটজ-কার্লটন হোটেলে যেতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এক সঙ্গে সফর করবেন। এজন্য তিনি প্রায় ১০ মিনিট মোদির জন্য অপেক্ষাও করেন (Ukraine)। সূত্রের খবর, “এরপর দুই নেতা এক সঙ্গে তাঁর গাড়িতে ভ্রমণ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকের ভেন্যুতে পৌঁছানোর পরেও তাঁরা প্রায় ৪৫ মিনিট গাড়িতেই আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। এর পর দুই নেতা পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে (PM Modi)।”

    ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

    উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আমেরিকা। তারপর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন মোদি-পুতিন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রুশ প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি এমন একটা সময়ে এসেছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের রাশিয়ার সঙ্গে তেল বাণিজ্যের নিন্দে করেছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধে অর্থায়ন করার জন্য নয়াদিল্লিকে কাঠগড়ায় তোলেন। গত মাসে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা এশিয়ায় সর্বোচ্চ। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ওই জ্বালানি কেনার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া। আমেরিকার চাপ সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা বন্ধ করেনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Ukraine), তাদের জ্বালানি আমদানি নীতিকে জাতীয় স্বার্থই পরিচালনা করবে। নয়াদিল্লি মার্কিন শুল্ককে অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অমূলক বলেও আখ্যা দিয়েছে (PM Modi)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ আখ্যা

    এদিকে, গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ বলে দেগে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “শান্তির রাস্তা আংশিকভাবে হলেও নয়াদিল্লির মধ্যে দিয়েই যায়। ভারত যা করছে তার কারণে আমেরিকার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।” অন্যদিকে, ভারত তার কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের অবস্থান দৃঢ়ভাবে বজায় রেখেছে। রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে বলেন, “ভারতীয় কোম্পানিগুলি যেখানে সর্বোত্তম চুক্তি পাবে, সেখান থেকেই (তেল) কিনতে থাকবে।” ভারতের দাবি, চিন এবং ইউরোপও সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। কিন্তু ওয়াশিংটন বিশেষভাবে নয়াদিল্লিকেই নিশানা করছে। রাশিয়াও ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সমালোচনা করেছে। জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের নিজস্ব বাণিজ্যিক অংশীদার বেছে (Ukraine) নেওয়ার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন এসসিও সম্মেলনের জন্য চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছন, তখনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই (ইউক্রেন) যুদ্ধের অবসান অবশ্যই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হতে হবে।” জেলেনস্কি এও (Ukraine) বলেন, “ভারত প্রয়োজনীয় চেষ্টা করতে এবং রাশিয়া ও অন্যান্য নেতার কাছে যথাযথ বার্তা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত (PM Modi)।”

  • Shehbaz Sharif: শাহবাজকে এড়িয়ে গেলেন পুতিন-জিনপিং! বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান?

    Shehbaz Sharif: শাহবাজকে এড়িয়ে গেলেন পুতিন-জিনপিং! বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চ থেকে ক্রমেই কি দূরে যাচ্ছে পাকিস্তান? অন্তত এমনই প্রশ্ন উঠছে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) শেষে আনুষ্ঠানিক ছবি তোলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) পুতিনের সঙ্গে হাত মেলাতে দৌড়ে গিয়েছেন। এই ছবির জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ব্যাপকভাবে ট্রোলের শিকার হয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন,  “অন্য নেতারা যেখানে সংযম দেখিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দৌড়ে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। যেনতেনভাবে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। শি জিনপিং বুঝতে পেরেছিলেন শাহবাজ কী করতে যাচ্ছেন, তাই তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে তাঁকে উপেক্ষা করেন।”

    এসসিও সম্মেলন (Shehbaz Sharif)

    প্রসঙ্গত, চিনের উত্তরাঞ্চলে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে (SCO Summit) ১০টি দেশ অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-সহ অন্যরা। অন্য একজন লিখেছেন, “এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন আয়োজক দেশের প্রধান স্বয়ং শি।” ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুতিন যখন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে হাঁটছিলেন, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হঠাৎই পিছন থেকে এগিয়ে এসে পুতিনের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করেন। ভিডিওটি ‘ইনকগনিটো’ নামের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একাই নজর কেড়ে নেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই আচরণের জন্য নিন্দে করেছেন নেট নাগরিকদের একাংশ। কমেন্ট বক্সে প্রচুর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য জমা হয়েছে। কেউ কেউ তাঁকে জোকারও বলেছেন। ভিডিওটি এখনও পর্যন্ত ৫ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। তাতে জমা পড়েছে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি লাইক (Shehbaz Sharif)।

    শাহবাজ শরিফের হোঁচট খাওয়ার ঘটনা

    প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থিতির ক্ষেত্রে শাহবাজ শরিফের বেশ কয়েকবার হোঁচট খাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় শাহবাজ শরিফ অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন। অনুবাদের জন্য ব্যবহৃত হেডফোন তিনি বারবার চেষ্টা করেও ঠিক করতে পারছিলেন না, সেটি বারবার খুলে যাচ্ছিল। এই সময় পুতিনকে হাসতে দেখা গিয়েছিল (SCO Summit)। সহকারীদের সাহায্য সত্ত্বেও এই সমস্যার কারণে বৈঠক শুরু হয় দেরিতে। ঘটনাটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রিয়া নভোস্তির ভিডিওতে ধরা পড়ে, যেখানে শরিফকে বলতে শোনা যায়, “কেউ কি আমাকে সাহায্য করতে পারেন?” এই ক্লিপ দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং পাকিস্তানের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ২০২৩ সালের জুন মাসে আর একটি মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, শরিফকে প্যারিসে গ্লোবাল ফিন্যান্সিং প্যাক্ট সম্মেলনের সময় এক মহিলা কর্মীর কাছ থেকে ছাতা নিচ্ছেন। নিজের ছাতা দিয়ে দেওয়ায় সেই কর্মী বৃষ্টিতে ভেজেন। এই ঘটনায়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয় (Shehbaz Sharif)। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেও বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন শরিফ। সেবার তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টটি পাকিস্তানের এক্স হ্যান্ডেল নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত হয়। যার জেরে বিব্রত হন শরিফ (SCO Summit)।

    শরিফকে উপেক্ষা মোদির

    উল্লেখ্য, চিনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও বৈঠকে অংশ নিতে দীর্ঘ সাত বছর পর চিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-সহ একাধিক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে মোদি উপেক্ষা করেছেন সম্পূর্ণভাবে। কূটনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী এহেন আচরণের মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইলেন পাকিস্তানকে। বার্তাটি হল, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার কড়া অবস্থান বজায় রাখবে। আর সন্ত্রাস ও আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না (Shehbaz Sharif)।

    বিশেষজ্ঞদের মত

    প্রকাশ্যে আসা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, সম্মেলন কক্ষের ভেতরে প্রবেশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমেই পুতিনের সঙ্গে উষ্ণ অভিবাদন বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা দুজনে মিলে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর তাঁরা কথাবার্তা বলতে বলতে এগিয়ে যান। এই সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বারংবার মোদি ও পুতিনের দিকে তাকালেও, তাঁকে উপেক্ষা করেই সামনে এগিয়ে যান তাঁরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকেই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (SCO Summit)। শরিফকে প্রকাশ্যে উপেক্ষা করে তিনি ফের বুঝিয়ে দিলেন, ভারতের অবস্থান অপরিবর্তিত, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া দেশগুলির সঙ্গে আলোচনার কোনও সুযোগ নেই (Shehbaz Sharif)।

  • Afghanistan Earthquake: মৃত্যু ৮০০ পার, ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস মোদি, জয়শঙ্করের

    Afghanistan Earthquake: মৃত্যু ৮০০ পার, ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস মোদি, জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার গভীর রাতে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে (Afghanistan Earthquake) মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়াল। আহতের সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই বিপর্যয়ে আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়াল ভারত। চিন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন, ‘সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত।’ একই কথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও।

    সাহায্যের আশ্বাস ভারতের

    এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে চিন সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে (Afghanistan Earthquake) প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। এই কঠিন সময়ে আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির পাশে রয়েছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ভারত সবরকম মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পাঠাতে প্রস্তুত।” প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পাশাপাশি, আফগানিস্তানের এই বিপর্যয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীও। এস জয়শঙ্কর এই বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই কঠিন সময়ে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি রইল আমাদের গভীর সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

    মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প

    মার্কিন ইউএসজিএস-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল জালালাবাদ শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী রিখটার স্কেলে প্রথম ভূকম্পনের (Afghanistan Earthquake) মাত্রা ছিল ৬.৩। মূল কম্পনের পর আরও অন্তত চারটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৫ থেকে ৫.২ তীব্রতার মধ্যে। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২০। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্ধারকারী দলগুলো দুর্গম এলাকাগুলিতে পৌঁছাতে লড়াই করছে। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল, ফলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারিত হয়নি। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে শুধুমাত্র প্রত্যন্ত কুনার প্রদেশেই প্রায় ৮০০ জন নিহত এবং ২ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছেন। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তিনি আরও জানান, পার্শ্ববর্তী নাঙ্গারহার প্রদেশে আরও ১২ জন নিহত এবং ২৫৫ জন আহত হয়েছেন। তালিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি জানান, অসংখ্য বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।

    কেন ভূমিকম্পপ্রবণ আফগানিস্তান

    আফগানিস্তান একটি ভূমিকম্পপ্রবণ (Afghanistan Earthquake) অঞ্চল, কারণ এটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি ভূপ্রকৃতির কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে ব্যাপক, ফলে উদ্ধারকার্যও চরমভাবে ব্যাহত হয়। এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে তালিবান সরকারের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে তাখার ও বাদাখশন প্রদেশে প্রায় ৪,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে। রাষ্ট্রসংঘের হিসেব অনুযায়ী, গত এক দশকে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭,০০০ জনের, অর্থাৎ প্রতিবছর গড়ে ৫৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে।

  • SCO Summit: ‘‘কোনও দেশ খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, আমরা মেনে নেব?’’ শরিফের সামনেই এসসিও সম্মেলনে প্রশ্ন মোদির

    SCO Summit: ‘‘কোনও দেশ খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, আমরা মেনে নেব?’’ শরিফের সামনেই এসসিও সম্মেলনে প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও সম্মেলনের (SCO Summit) মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) উপস্থিতিতেই সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে সরব হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা থাকতে পারে না। সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ। এই হুমকি যতদিন থাকবে, ততদিন কোনও দেশ বা সমাজ নিরাপদ নয়। তাই সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবে সহ্য করা যায় না, অভিমত প্রধানমন্ত্রী মোদির।

    খোলাখুলি সন্ত্রাস-কে সমর্থন

    সোমবার চিনের তিয়ানজিন শহরে এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) উপলক্ষে ভারত, পাকিস্তান-সহ মোট ২০টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে সম্মেলনের আগে মোদি একান্তে কথা বলেন। তার পরেই মঞ্চ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হন। বলেন, ‘‘কোনও কোনও দেশ যে ভাবে খোলাখুলি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে, তা কি আমরা মেনে নিতে পারি? প্রশ্ন ওঠে।’’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সামনে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে কঠোর বার্তা দিলেন মোদি। আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনের নামও করলেন। জানালেন, সন্ত্রাসের জন্য শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের ক্ষতি হচ্ছে।

    পহেলাগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা

    পহেলাগাঁও হামলা (Pahalgam Terror Attack) নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘‘পহেলাগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা তো শুধু ভারতের আত্মায় আঘাত নয়, বরং তা সেই সমস্ত দেশের প্রতি খোলামেলা চ্যালেঞ্জ, যারা মানবতায় বিশ্বাস রাখে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও দ্বিচারিতা বরদাস্ত করা হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে আমরা সন্ত্রাসবাদের একটা খুব খারাপ, উগ্র রূপ দেখেছি। আমাদের সন্তানদের হারিয়েছি। অনেকে অনাথ হয়ে গিয়েছে। গত চার দশক ধরে ভারত এই সন্ত্রাসবাদের শিকার। যে সমস্ত দেশ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের ধন্যবাদ।’’ মোদির এই ভাষণের সময় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফও।

    সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ

    সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে মোদি (PM Modi At SCO Summit) বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বের জায়গা নিয়েছে ভারত। আল কায়েদা এবং তার সহযোগী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আমরা লড়়াই করেছি। অর্থ দিয়ে সন্ত্রাসবাদের সহযোগিতার বিরোধিতা করি আমরা।’’ মোদি সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিষয়টি “গভীর উদ্বেগের” বলে উল্লেখ করেন এবং এসসিও সদস্য দেশগুলোকে চরমপন্থা ও মৌলবাদ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

    সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি

    এসসিও গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপস না-করার অনুরোধ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গিবাদ, চরমপন্থা মানবতার জন্য যৌথ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ থাকলে কোনও দেশ, কোনও সমাজ সুরক্ষিত বোধ করতে পারে না। নিরাপত্তা সকল দেশের অধিকার।’’

    ভারতের পাশে চিন, চাপে পাকিস্তান!

    এসসিও সম্মেলনের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে সোমবারই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর আগে রবিবার চিনের প্রেসিডেন্টের (Xi Jinping) সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। বিবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সীমান্তপারের সংঘাতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বোঝান যে, এই সন্ত্রাসবাদ ভারত এবং চিন, দুই দেশকেই প্রভাবিত করছে। তাই সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ রুখতে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগ জরুরি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছে ভারত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নয়াদিল্লির নিশানায় থেকেছে ইসলামাবাদ। তবে জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উত্থাপন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক বরাবরই বেশ মসৃণ। এমনকি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ও পাকিস্তানকে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে। এই আবহে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের কথা বলে ভারত পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দিল, বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সোমবারই ভারতে ফেরার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির।

  • SCO Summit: পুতিন, জিনপিং-এর সঙ্গে খোশগল্পে মগ্ন মোদি, দূরে একা দাঁড়িয়ে শাহবাজ শরিফ

    SCO Summit: পুতিন, জিনপিং-এর সঙ্গে খোশগল্পে মগ্ন মোদি, দূরে একা দাঁড়িয়ে শাহবাজ শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-র শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের (SCO Summit) মূল অধিবেশনের আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আলোচনার ফাঁকে তিন নেতাকে হাস্যরসে মেতে উঠতে দেখা যায়। সম্মেলনের একটি ভিডিও সংবাদমাধ্যমে বিপুল ভাইরাল হয়েছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারত-চিন-রাশিয়া— তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান নিজেদের মধ্যে খোশগল্পে মগ্ন। এর পরেই, পুতিনের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে বলতে হাঁটতে শুরু করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পিছনে একা দাঁড়িয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার একমঞ্চে দেখা গেল যুযুধান দুই পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। রবিবার এসসিও বৈঠকের শুরুতেই দেখা গেল, একসারিতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে একে অপরের থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিলেন তাঁরা।

    বন্ধু পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত আনন্দের

    চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনে আগত নেতাদের স্বাগত জানান। সেখানে পুতিন ও মোদিকে একসঙ্গে হাঁটতে ও প্রাণবন্ত আলোচনায় মেতে থাকতে দেখা গিয়েছে। এসসিও সম্মেলনের মধ্যেই দেখা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পুতিনকে জড়িয়ে ধরেন মোদি। অতীতেও পুতিনের সঙ্গে আলিঙ্গন কূটনীতি সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। রুশ তেল কেনার শাস্তি হিসেবেই ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বারবার মার্কিন চোখরাঙানি সত্ত্বেও ভারত অবশ্য রুশ তেল কেনা বন্ধ করেনি। রাশিয়ার তরফেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় পণ্যের জন্য সেদেশের বাজার খুলে দেওয়া হবে। আমেরিকা ভারতীয় পণ্য না কিনলে রাশিয়া কিনবে, এমনটাই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি নিজের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মোদি লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা হওয়াটা সবসময়ই খুব আনন্দের।’ কেবল পুতিন নন, এসসিও সামিটে যেসব দেশ অংশগ্রহণ করেছে, প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেই আলাদা করে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আলাদা করে সকলের ছবি পোস্টও করেছেন নিজের সোশাল মিডিয়ায়।

    মোদি-শরিফ দূরত্ব

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তবে মোদি ও শাহবাজ শরিফের মধ্যে দৃশ্যত কোনও আলাপচারিতা হয়নি। বরং দুজনকে আলাদা আলাদা দেখা যায়, এমনকি একটি ছবিতে দুজনকে একে অপরের পিঠের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডলে শেয়ার করা ছবিতেও দেখা যায়, শাহবাজ শরিফ পিছনের সারিতে থাকলেও মোদি কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত টোকায়েভের সঙ্গে “গঠনমূলক মতবিনিময়”-এর কথা উল্লেখ করেন। সম্মেলনের ঐতিহ্যবাহী ফটোতেও মোদি ও শরিফকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

    এসসিও সম্মেলনের হাইলাইটস

    এসসিও-র ১০ সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণে এবারের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে সোমবার। দিনভর নানা আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের দিশা নির্ধারণে উদ্যোগ নিচ্ছে এসসিও। রবিবার রাতে এক বর্ণাঢ্য ভোজসভার মাধ্যমে ২৫তম সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই অনুষ্ঠানে মোদির পাশাপাশি পুতিনসহ অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। চিন এবছর এসসিও-র সভাপতিত্ব করছে। এবারের সম্মেলনই এখনও পর্যন্ত সংগঠনের ইতিহাসে বৃহত্তম। এসসিও প্লাস ফর্ম্যাটে মোট ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান,সম্মেলনে আমন্ত্রিত। যার মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও রয়েছেন। এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান, ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেস্কিয়ান ও উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জন উন। নিয়মিত সদস্য ছাড়াও অতিথি এবং পর্যবেক্ষক হিসাবে বেশ কয়েকটি দেশের প্রধানকে এবারের এসসিও সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্মেলনের প্রথম দিনেই অতিথিদের জন্য একটি ব্যাঙ্কোয়েটের আয়োজন করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও তাঁর স্ত্রী পেং লিউয়ান।

LinkedIn
Share