Tag: PM Modi

PM Modi

  • Bangladesh Crisis: “যা ভাবছেন, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ’’! মোদিকে চিঠি বাংলাদেশি হিন্দু ছাত্রীর

    Bangladesh Crisis: “যা ভাবছেন, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ’’! মোদিকে চিঠি বাংলাদেশি হিন্দু ছাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যা ভাবছেন, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে এই কথাগুলিই লিখেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) এক হিন্দু ছাত্রী। পক্ষকালেরও বেশি সময় ধরে অস্থিরতা চলছে বাংলাদেশে। আগুনে পোড়ানো হচ্ছে (PM Modi) হিন্দুদের ঘরবাড়ি। লুটপাটের পাশাপাশি চালানো হচ্ছে ভাঙচুরও। মহিলাদের ওপর নিদারুণ নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

    অরাজক পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)

    অরাজক এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন বাংলাদেশের ওই হিন্দু কিশোরী। ওই কিশোরীর হৃদয় বিদারক চিঠিটি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন সৌর্য চক্র পদক প্রাপ্ত মেজর পবন কুমার। এই পোস্ট থেকেই জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী বাংলাদেশের একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠিটি পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছে সে। বাংলাদেশে দেশে হিন্দুরা কীভাবে ভয়ঙ্কর সব ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন, চিঠিটির ছত্রে ছত্রে তা তুলে ধরেছে ওই ছাত্রী।

    কী লিখেছেন ছাত্রী

    চিঠিতে ওই কিশোরী লিখেছে, “এ দেশে সব চেয়ে খারাপ যে জিনিসটা ঘটছে, তা হল হিন্দুদের ওপর নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণ ও নির্যাতন। আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি, যা ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমাদের ওপর অকল্পনীয় নির্যাতন শুরু করেছে। মহিলারা ধর্ষিত (Bangladesh Crisis) হচ্ছেন। ওরা বাড়িঘর-মন্দিরে গুলি চালাচ্ছে। হিন্দুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালাচ্ছে, ভাঙচুর করছে। লাখ লাখ টাকা চাঁদা চাইছে। না দিলে খুনের হুমকি দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই যা দেখছে, তার চেয়েও খারাপ অবস্থা। আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হচ্ছে। এ দেশে সব অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি একে চিরতরে বাজে লোকদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার মধ্যে ভালো কিছু দেখি না। বরং এই অপশক্তিকে রুখতে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। আমি মনে করি, এ পৃথিবীতে ওদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশ হিন্দুহীন হলে ক্ষতি ভারতেরই, দাবি ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন’ কর্তার

    বিনীত অনুরোধ

    চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “স্যর, আমি আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের জন্য কিছু করুন। এটা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে আমরা আমাদের সব অধিকার নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারি। আমি জানি, আপনারা সবাই আমাদের নিয়ে চিন্তিত। আমি বাংলাদেশের সমস্ত হিন্দুর পক্ষ থেকে আপনাকে অনুরোধ করছি, দয়া করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। আর হ্যাঁ স্যর, আপনি আমাদের জন্য যা করছেন, সেজন্য আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। একই সঙ্গে ভারতের সব বাসিন্দাকে তাদের উদ্বেগ ও আমাদের প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভগবান আমাদের রক্ষা করুন।”

    উত্তাল বাংলাদেশ

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বস্তুত, তার পরেই বাংলাদেশজুড়ে চলছে অরাজক পরিস্থিতি। হিন্দুদের খুন করে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাস্তায়। কোথাও আবার আক্রোশ মেটাতে খুন করে লাথি মেরে থেঁতলে দেওয়া হচ্ছে মৃতদেহের মুখ। হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি নির্যাতন করা হচ্ছে মহিলাদের।  এককথায়, বাংলাদেশ এখন হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য।

    ভারতের বিপদ

    বাংলাদেশের মোট জনসংখ্য মাত্র ৮ শতাংশ হিন্দু। এই হিন্দুরা বরাবর আওয়ামি লিগের সমর্থক। রাজনৈতিক মহলের মতে, তার জেরে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে। দুষ্কৃতীরা হিন্দু শূন্য বাংলাদেশ গড়ার সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে বলেই অভিযোগ। বাংলাদেশ হিন্দুহীন হলে আদতে বিপদে পড়বে ভারতই। এমনই মনে করেন ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশনে’র সাধারণ সম্পাদক দীপন মিত্র। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে।”

    মোদির জনপ্রিয়তা

    বাংলাদেশবাসী হিন্দুদের হয়ে এই কথাটাই তো চিঠির মাধ্যমে লিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠিয়েছে ওই ছাত্রী। তার বিশ্বাস, এ ক্ষেত্রে যদি কিছু করতে পারেন, তা পারবেন মোদিই। যেহেতু বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাই মোদি হয়তো কিছু করবেন না। তবে এটা ঠিক, তামাম বিশ্বে ক্রমেই বাড়ছে মোদির গ্রহণযোগ্যতা। ভরসা বাড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষেরও।

    এর প্রমাণ আগেও মিলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে বিশ্বের জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতাদের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন মোদি (PM Modi)। কিছুদিন আগেই তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা পেরিয়েছে ১০০ মিলিয়নের গন্ডি। এক্স হ্যান্ডেলে ফলোয়ারের নিরিখে তাঁর ধারে কাছে নেই বিশ্বের (Bangladesh Crisis) আর কোনও রাষ্ট্রনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Vinesh Phogat: স্বপ্নভঙ্গ বিনেশের! এক্স হ্যান্ডেলে সান্ত্বনা-পোস্ট মোদির, ফোন পিটি ঊষাকেও

    Vinesh Phogat: স্বপ্নভঙ্গ বিনেশের! এক্স হ্যান্ডেলে সান্ত্বনা-পোস্ট মোদির, ফোন পিটি ঊষাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সোনার পদকের লক্ষ্যে প্যারিস অলিম্পিক্সে নামার কথা ছিল বিনেশ ফোগাটের (Vinesh Phogat)। কিন্তু সব যেন এক লহমায় বদলে গেল। খেলা শুরুর আগেই বুধবার সকালে অলিম্পিক্সে কুস্তির ফাইনাল থেকে বাদ পড়ল বিনেশ ফোগাটের নাম। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে বিনেশের মনোবল বাড়িয়ে, তাঁর পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

    কী জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi) 

    বিনেশকে (Vinesh Phogat) সান্ত্বনা দিয়ে এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘তুমি তো বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসো। আমার বিশ্বাস তুমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে। আমরা তোমার পাশে আছি।’’একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিনেশ, তুমি চ্যাম্পিয়নের চ্যাম্পিয়ন! তুমি দেশের গর্ব এবং প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে অনুপ্রেরণা। আজকের ধাক্কাটা বেদনাদায়ক। আমি কী অনুভব করছি, তা যদি শব্দে বোঝাতে পারতাম..”

    উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ

    প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেই প্যারিস অলিম্বিক্সে (Paris Olympics) কুস্তির ফাইনাল খেলার কথা ছিল বিনেশের (Vinesh Phogat)। তার আগে বুধবার সকালে হঠাৎই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি ফাইনাল খেলতে পারবেন না। কারণ তাঁর ওজন নির্ধারিত সীমার থেকে ১০০ গ্রাম বেশি রয়েছে। আর বিনেশের নাম অলিম্পিক্স থেকে বাদ হওয়ার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ ভবন। বিরোধীরা অভিযোগ করেন, ফাইনালে পৌঁছেও বিনেশের এমন আচমকা বাদ যাওয়া সাধারণ ঘটনা হতে পারে না। এর নেপথ্যে নিশ্চই কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। এমনকি, তাতে ভারত সরকারেরও হাত থাকতে পারে। 

    আরও পড়ুন: মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি! ফাইনালে উঠেও ডিসকোয়ালিফায়েড বিনেশ ফোগট

    পিটি ঊষাকে ফোন মোদীর

    যদিও বিনেশের (Vinesh Phogat) নাম ফাইনাল থেকে বাদ পড়তেই ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার প্রেসিডেন্ট পিটি ঊষাকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঊষার কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানতে চান, ঠিক কী ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কী কী করতে পারে, সেটাও জানতে চান মোদি। প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেন, এই শাস্তির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানালে যদি ফোগাটের কোনও লাভ হয়, তা হলে সেটাও যেন করা হয়। জানা গিয়েছে, বিনেশকে ফাইনাল থেকে বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Reform: ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা সুফি ধর্মগুরুদের

    Waqf Reform: ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা সুফি ধর্মগুরুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংস্কার (Waqf Reform) নিয়ে কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৌলানা সাজিদ রশিদি। রশিদি যখন উস্কানি দিয়ে বাজার গরম করতে চাইছেন, তখন ওয়াকফ সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করল অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশিন কাউন্সিল। মঙ্গলবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর (Kiren Rijiju) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিস্তি।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Waqf Reform)

    এই ধর্মগুরুরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংশা করেন। স্বচ্ছতা আনার স্বার্থে ওয়াকফ সংশোধনীকে সমর্থনও জানান। এক্স হ্যান্ডেলে মন্ত্রী লেখেন, “ভারতজুড়ে বিভিন্ন দরগা থেকে সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় ও বিশিষ্ট সাজ্জাদানশিনদের নিয়ে গঠিত অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশিন কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিস্তি। তিনি আজমেড় দরগার বর্তমান আধ্যাত্মিক প্রধানের উত্তরসূরি এবং চেয়ারম্যান। মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    মোদির প্রশংসা

    রিজিজু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে সমগ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে, তার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তাঁরা। ২০৪৭ সালের মধ্যে যে ‘বিকশিত ভারত’-এর সঙ্কল্প নেওয়া হয়েছে, তার প্রতিও যে তাঁরা দায়বদ্ধ, তাও জানান সুফি ধর্মগুরুরা। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুন্নাওয়ালাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আনতে যে সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে, তাও স্বীকার করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘একমাত্র মোদি পারবেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে’’, দাবি বিজেপি সাংসদের

    সোমবারই মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, দরিদ্র ও সাধারণ মুসলমান মহিলারা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Reform) সংস্কারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা এও বলেছিলেন, মোদি সরকারের এই উদ্যোগে ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আসবে। তাতে আখেরে লাভ হবে মুসলমান সম্প্রদায়েরই। রিজিজু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই দরিদ্র মুসলমান ও গরিব মহিলারা ওয়াকফ সম্পত্তিত স্বচ্ছতা আনার দাবি জানাচ্ছিলেন। তাঁদের (Kiren Rijiju) বক্তব্য, মুসলমান সম্প্রদায়ের স্বার্থেই এটা করা প্রয়োজন (Waqf Reform)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Red Fort: নারী ক্ষমতায়নে জোর, ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় সম্মানিত হবেন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান

    Red Fort: নারী ক্ষমতায়নে জোর, ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় সম্মানিত হবেন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১৫ অগাস্ট ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা (Red Fort) থেকে নারী ক্ষমতায়নের বার্তা দিতে চলেছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রস্তুতি। জানা গিয়েছে, এবারে দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দিন মহিলা ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়ে গোটা দেশ থেকে ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে লালকেল্লায় সম্মানিত করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Women Sarpanches)   

    স্বাধীনতা দিবসের দিন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে ডাকার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হল, নারী ক্ষমতায়নে জোর। এটি আসলে সরকারের একটি দ্বিমুখী প্রচার উদ্যোগ যা পঞ্চায়েত স্তরে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে উৎসাহিত দেওয়ার উপর জোর দেয়। এ প্রসঙ্গে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, ”এর লক্ষ্য গ্রামীণ এলাকায় রাজনীতি ও প্রশাসনে নারীদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা।”     

    ইতিমধ্যেই ১৫০ জন পঞ্চায়েত প্রধানকে (Women Sarpanches) আমন্ত্রণ জানাতে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রের পঞ্চায়েত মন্ত্রক। মহিলা প্রতিনিধিদের স্বামীসহ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মহিলা প্রতিনিধিদের জন্য ১৪ অগাস্ট সকাল ১০টা থেকে দিল্লির ভীমরাও আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘পঞ্চায়েত রাজে নারী নেতৃত্ব’ শীর্ষক একটি জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করা হবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘শেষ মুহূর্তেও দেশ ছাড়তে চাননি মা’’, জানালেন হাসিনার ছেলে সাজিব 

    লালকেল্লায় দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলা প্রতিনিধিরা (Red Fort) 

    নারী ক্ষমতায়নের গুরুত্ব বুঝে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে মোদি সরকার। পুরুষদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে নারী শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একাধিক জাতীয় কর্মসূচির আয়োজনের পাশাপাশি আনা হয়েছে বহু সামাজিক প্রকল্প। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলাদের আধিপত্য বাড়িতে তুলতে আনা হয়েছে নয়া আইন। এমনকী, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচারের মুখ হিসেবে তুলে আনা হয়েছে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত একাধিক মহিলাকে। এবার সেই পথে হেঁটেই ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় (Red Fort) জায়গা পেতে চলেছেন দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলা প্রতিনিধিরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: চাপিয়ে দেওয়া নয়, ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের সম্মতিতে, জানালেন মোদি

    PM Modi: চাপিয়ে দেওয়া নয়, ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের সম্মতিতে, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেয়ে জনগণের সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পেঙ্গুইন এন্টারপ্রাইজের প্রকাশনায় ‘৩৭০: আনডুয়িং দ্য আনজাস্ট, এ নিউ ফিউচার ফর জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর’- বইটিতে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রকাশকরা জানিয়েছেন, বইটি এই মাসেই প্রকাশিত হতে চলেছে। 

    এই বইটির বিষয়বস্তু কী? (Article 370)  

    জানা গিয়েছে, বইটিতে বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে মোদি নিজের লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে প্রকাশকরা বলেছেন, ”ভারতের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ সাংবিধানিক কীর্তি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) কীভাবে আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন তার ভিতরের ইতিহাস বর্ণিত আছে এই বইতে।” অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদের খসড়া তৈরি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সব কিছুরই উল্লেখ আছে এই বইতে। 

    আরও পড়ুন: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    কাশ্মীরের ইতিহাস

    ১৯৪৭ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদের খসড়া তৈরি করেছিলেন শেখ আবদুল্লা। সেই সময় তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন মহারাজা হরি সিং এবং জওহরলাল নেহরু। তবে অস্থায়ী ভাবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে রাজি ছিলেন না আবদুল্লা। তিনি স্থায়ীভাবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। তবে তাতে রাজি ছিল না কেন্দ্র।  

    অগ্রিম প্রশংসা বিদেশমন্ত্রীর 

    বইটির জন্য অগ্রিম প্রশংসা করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিশিষ্ট বিবরণ যা জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার পটভূমিকে সঠিক ভাবে প্রকাশ করেছে। এই বইটির মাধ্যমে কীভাবে পূর্ববর্তী যুগের রাজনৈতিক গণনা এবং ব্যক্তিগত প্ররোচনাগুলি শেষ পর্যন্ত জাতীয় অনুভূতি দ্বারা প্রতিহত হয়েছিল তা প্রকাশিত হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই ‘লাভ জিহাদ’ রোধে কঠোর আইন আনার ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবার ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad) মামলায় আরও কড়া অসম সরকার। দোষীকে দেওয়া হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। নয়া আইন আনছে অসমের বিজেপি সরকার। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এদিন তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচনের সময় ‘লাভ জিহাদ’-এর কথা বলেছিলাম। শীঘ্রই সেই আইন আনা হচ্ছে, যাতে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় দোষীর।” একই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, অসমে ‘জমি জেহাদ’ রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। এবার থেকে রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনা বেচা আর সহজ হবে না।

    ঠিক কী জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা? (Himanta Biswa Sarma) 

    রবিবার গুয়াহাটিতে ছিল রাজ্য বিজেপির বৈঠক। সেখানেই নিজের বক্তৃতায় ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। লাভ জিহাদ ছাড়াও অসম সরকার আরও বেশ কিছু বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে বলেও এদিন জানান তিনি। এরমধ্যে অন্যতম হল হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সম্পত্তি বিক্রি। এবার থেকে রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনাবেচা করতে গেলে সরকারের কাছ থেকে আগে অনুমোদন নিতে হবে। 

    হিমন্ত বলেন, ”সরকার এই ধরনের লেনদেনে বাধা দিতে পারে না। তবে সরকার ঠিক করেছে এই ধরনের লেনদেনের আগে সরকারি অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে।” অর্থাৎ সরকার অনুমতি দিলে তবেই একজন হিন্দু তাঁর জমি একজন মুসলিমকে অথবা একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁর জমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও অসমের সরকারি চাকরি কারা পাবেন তা নিয়েও সরকার একটি নতুন নীতি (Assam law) প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে বলে জানান হিমন্ত।

    আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে সেবাভারতীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ চার্চের পুরোহিতরা 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা  

    এদিন এই বক্তৃতার মাঝেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অসমের মানুষ সুসংবাদ পাচ্ছে। কংগ্রেসের কাছে ছাড়াইদেও মৈদামকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু তারা তা করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ছাড়াইদেও মৈদাম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অসম নতুন ইতিহাস গড়তে সক্ষম হয়েছে।” এছাড়াও তিনি বলেন, ”বিজেপি রাজ্যের মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি সবসময় অসমের উন্নতির চিন্তা করেন। সামনেই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি আশা করি যে আমরা ৫টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪টিতে জিতব। গত ৩ বছর ধরে আমরা অসমের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৬ সালে অসমে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসবেই, কেউ এটা আটকাতে পারবে না।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indo US Space Mission: ফের মহাবিশ্বে ভারত! নাসার সঙ্গে মহাকাশে যাচ্ছেন উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্ল

    Indo US Space Mission: ফের মহাবিশ্বে ভারত! নাসার সঙ্গে মহাকাশে যাচ্ছেন উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্ল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহাবিশ্বে, মহাকাশে মহাকালো মাঝে” ফের পা পড়তে চলেছে কোনও ভারতীয় মহাকাশচারীর। আসন্ন ভারত-মার্কিন মহাকাশ অভিযানের (Indo US Space Mission) জন্য প্রধান মহাকাশ-চারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লকে ৷ শুক্রবার, ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা হিউম্যান স্পেস সেন্টার অক্সিওম ৪ মিশনের জন্য একটা মহাকাশ ফ্লাইট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ এই মিশনের জন্য ন্যাশানাল মিশন অ্যসাইমেন্ট বোর্ড শুভাংশু শুক্লকে (Subhanshu Shukla) দেশের প্রথম প্রধান মহাকাশ যাত্রী রূপে নির্বাচিত করেছে৷ ক্যাপ্টেন বালকৃষ্ণান নায়ারকে মিশনের ব্যাকআপ রূপে সুপারিশ করা হয়েছে৷

    বাহিনীতে যোগদান

    লখনউয়ের বাসিন্দা গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল। প্রায় ১৮ বছর আগে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indo US Space Mission)  যোগ দিয়েছিলেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লর দিদি জানিয়েছেন, কার্গিল যুদ্ধই ছিল তাঁর বাহিনীতে যোগদানের অনুপ্রেরণা। ১৯৯৯ সালে, কার্গিল যুদ্ধের সময় গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লর (Subhanshu Shukla) বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। কিন্ত, ভারতীয় সেনাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের বীরগাথা পড়তে পড়তেই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেবেন। শুভাংশুর কথায় তাঁর কর্মজীবন ছিল ‘রোলারকোস্টার রাইড’৷ দীর্ঘ কর্মজীবনে তাঁর সু-৩০ এমকেআই, মিগ-২১, মিগ-২৯, জাগুয়ার-সহ একাধিক যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা লাভের মধ্যে দিয়ে তিনি একজন ফাইটার কমব্যাট লিডার এবং টেস্ট পাইলট হয়ে উঠেছেন৷

    ইসরোর স্পেস ফ্লাইট চুক্তি

    ভারতের মহাকাশে (Indo US Space Mission) প্রথম মানুষ পাঠানোর অভিযান, গগনযান মিশন হবে ২০২৬ সালে। তিন দিন ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন তিন ভারতীয় নভোশ্চর। তারপর, তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে। ভারতীয় জলসীমায় এসে ল্যান্ড করবে তাদের মহাকাশযান। তার আগেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আসন্ন অক্সিওম-৪ (Axiom-4) অভিযানে যাচ্ছে নাসা এবং মার্কিন বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা অক্সিওম স্পেস (Axiom Space)। এই অভিযানে একজন ভারতীয় নভোশ্চরকে অংশ করার বিষয়ে অক্সিওম স্পেস এবং নাসার সঙ্গে, স্পেস ফ্লাইট চুক্তি করেছে ইসরো। সম্প্রতি সংসদে এই তথ্য জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এনার্জি তুলনাহীন, তাঁর কাছে অনেক শেখার আছে’’, মোদিতে মুগ্ধ কামাথ

    কবে থেকে প্রশিক্ষণ

    এই অভিযানের (Indo US Space Mission) জন্য অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেই গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্ল (Subhanshu Shukla) এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ারের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এই অভিযানে, তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নির্দিষ্ট কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিরুবন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে গগনযান মিশনের জন্য অন্য তিন মহাকাশ-চারীর সঙ্গে শুভাংশুর নামও ঘোষণা করেছিলেন৷

    ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে

    ১৯৮৪ সালের ৩ এপ্রিল, ‘সোভিয়েত ইন্টারকসমস’ প্রোগ্রামের অধীনে, সয়ুজ টি-১১ মহাকাশযানে (Indo US Space Mission) চড়ে মহাকাশে গিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন পাইলট, উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা। এখনও পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ভারতীয়, যিনি মহাকাশে পা রেখেছেন। আর তার ৪০ বছর পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে পা রাখতে চলেছেন শুভাংশু (Subhanshu Shukla)। শেষ মুহূর্তে কোনও কারণে গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্ল মহাকাশে যেতে না পারলে, গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ার যাবেন নাসার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এনার্জি তুলনাহীন, তাঁর কাছে অনেক শেখার আছে’’, মোদিতে মুগ্ধ কামাথ

    PM Modi: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এনার্জি তুলনাহীন, তাঁর কাছে অনেক শেখার আছে’’, মোদিতে মুগ্ধ কামাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ৭৩ বছর বয়সেও প্রধানমন্ত্রীর এনার্জি তুলনাহীন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন জিরোধার সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিখিল কামাথ (Nikhil Kamath)। সম্প্রতি, নিখিল কামাথের ইউটিউব চ্যানেল ‘পিপল বাই ডব্লিউটিএফ’-এ সম্প্রচারের জন্য রণবীরের কাপুরের একটি  সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কামাথ। এই কথোপকথনে রণবীর কাপুর ও নিখিল রাজনীতি নিয়েও আলোচনা করেছেন। সেখানেই দুজনের কথোপকথনে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর প্রাণশক্তির কথা। 

    নিখিল কামাথের চোখে প্রধানমন্ত্রী (Nikhil Kamath)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন এই প্রশ্নের উত্তরে নিখিল (Nikhil Kamath) জানান, একবার আমেরিকায় তাঁর সঙ্গে মোদির সাক্ষাত হয়েছিল। তিনি বলেন, “এক বছর আগে আমি তিন-চার জনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে ছিলাম। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচী ছিল। সকাল ৮টার দিকে তিনি একটি অধিবেশন করতেন। ১১টার দিকে একটুও ক্লান্ত না হয়েই বক্তৃতা দিতেন। তারপর তিনি ১ থেকে ২ টোয় ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসতেন, বিকেল ৪ টায় অন্য কিছু, ৭ টায় অন্য কিছু, এমনকি রাত ১১টা বেজে গেলেও ক্লান্ত হতেন না। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল যে আমি দুদিন পর যখন ক্লান্ত, অসুস্থ বোধ করছি, তিনি তখন যাচ্ছিলেন মিশরে আবার একই জিনিস করার জন্য।” জনপ্রিয় ইউটিউবার, সুপরিচিত উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারী নিখিল কামাথের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এই বয়সে দাঁড়িয়ে তাঁর এনার্জির ধারে কাছে যাওয়া যায় না। তাঁকে এত কাছ থেকে দেখতে পারা একটি সৌভাগ্যের বিষয়।

    আরও পড়ুন: ইতিহাসের সামনে লক্ষ্য, ভারতের প্রথম পুরুষ শাটলার হিসেবে অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে

    প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যবহারে মুগ্ধ রণবীর (PM Modi)

    নিখিল কামাথের (Nikhil Kamath) সঙ্গে সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন অভিনেতা রণবীর কাপুরও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কথা বলার দক্ষতা, তাঁর ব্যবহার, তাঁর আঙ্গিক, রণবীরকে আকর্ষণ করে। অভিনেতার কথায়, ৪ থেকে ৫ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি বৈঠকে দেখা হয়েছিল, যেখানে অভিনেতা এবং পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথার মধ্যে এমনই এক বিষয় রয়েছে যা সবার উপর ছাপ ফেলে। রণবীর সেই মিটিংয়ে মোদির প্রবেশের মুহূর্তটিরও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, সেই মুহূর্তের মধ্যে যে একটা চৌম্বকীয় আকর্ষণ ছিল। রণবীর আরও জানান মোদি মিটিংয়ে উপস্থিত সকলের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন। তিনি রণবীরের বাবার চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Jobs: মোদি জমানায় ইউপিএ-র তুলনায় অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে রেলে, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Railway Jobs: মোদি জমানায় ইউপিএ-র তুলনায় অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে রেলে, দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১০ বছরে মোদি সরকার ইউপিএ-র তুলনায় অনেক বেশি কর্মসংস্থান করেছে রেলে। সম্প্রতি সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) দাবি করেছেন, এনডিএ আমলে ইউপিএর তুলনায় ভারতীয় রেলে অনেক বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। সংসদে ভারতীয় রেলওয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৫.০২ লক্ষ কর্মসংস্থান  (Railway Jobs) করেছে।

    রেলমন্ত্রীর দাবি (Ashwini Vaishnaw) 

    এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব উল্লেখ করেছেন যে, ইউপিএ সরকার ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ৪.১১ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছিল, যা বর্তমান সরকারের চেয়ে ৯১ হাজার কম। চাকরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (Railway Jobs) অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে, আগস্ট ২০২২ থেকে অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত, ১.১ কোটিরও বেশি প্রার্থী আরআরবি (RRB) পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে রেলওয়ে দ্বারা ১,৩০,৫৮১ জন প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে রেলমন্ত্রী আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, এই প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অনুরূপ সমস্যার কোনও ঘটনা ঘটেনি, স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমেই নিয়োগ ঘটেছে। এছাড়াও এদিন তিনি উল্লেখ করেছেন যে, রেল দুর্ঘটনা ২০১৩-১৪ সালে ১১৮ থেকে ২০২৩-২৪ সালে ৪০-এ নেমে এসেছে। 
    এছাড়াও অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে, তিনি জানিয়েছেন, রেল মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ২০০৪-২০১৪ সাল পর্যন্ত ১,৭১১টি দুর্ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে, যার ফলে ৯০৪ জন মারা গেছে। কিন্তু অন্যদিকে এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে, ৬৭৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং ৭৪৮টি প্রাণহানি ঘটেছে। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬০ শতাংশ এবং প্রাণহানির সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমেছে।

    আরও পড়ুন: জঙ্গি অনুপ্রবেশের জের! বিএসএফের প্রধান এবং উপপ্রধানকে অপসারণ করল কেন্দ্র

    রেল নিরাপত্তায় শীর্ষ অগ্রাধিকার (Railway Jobs) 

    অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছেন যে মোদি সরকার আসার পরেই রেল মন্ত্রক রেল নিরাপত্তাকে শীর্ষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ২০২২-২৩ সালে ব্যয় করেছিল ৮৭,৭৩৬ কোটি টাকা এবং ২০২৪-২৫ সালে সেই টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০৮,৭৯৫ কোটিতে। এখনও পর্যন্ত ৯,৫৭২ টিরও বেশি কোচে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। শিশু সুরক্ষার ক্ষেত্রে মেল কোচে দুটি নিম্ন বার্থের সঙ্গে দুটি শিশুর বার্থ সংযুক্ত করা হয়েছে, যাতে যাত্রার সময় শিশু সহ মায়েদের ভ্রমণ সহজ হয়। এ বিষয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ইতিবাচকই ছিল। 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সে ফের পদক ভারতের, এবার শুটিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতলেন স্বপ্নিল

    Paris Olympics 2024: অলিম্পিক্সে ফের পদক ভারতের, এবার শুটিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতলেন স্বপ্নিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিসে (Paris Olympics 2024) ফের পদক জিতল ভারত। চলতি অলিম্পিক্স শুটিংয়ের হাত ধরে তৃতীয় পদক এল দেশে। স্বপ্ন দেখিয়ে ব্রোঞ্জ জিতলেন মহারাষ্ট্রের স্বপ্নিল কুসালে (Swapnil Kusale)। ফাইনালের শুরুতে খানিকটা পিছিয়ে যাওয়ায় অল্পের জন্য মাত্র ০.৪ পয়েন্টে রুপো হাতছাড়া হল তাঁর। শেষ দুই রাউন্ডে দুরন্ত কামব্যাক করেন ভারতীয় শুটার। একটা সময়ে সোনার পদক জয়ের লড়াইয়েও ছিলেন তিনি। স্বপ্নিলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    স্বপ্নিলের লড়াই (Swapnil Kusale)

    ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে বৃহস্পতিবার ব্রোঞ্জ জিতলেন স্বপ্নিল। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের স্নায়ু ধরে রেখে দেশকে পদক এনে দিলেন তিনি। মনু ভাকের, সরবজ্যোৎ সিংয়ের পর তৃতীয় পদক এল দেশে। ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে এই প্রথম অলিম্পিক্সে পদক (Paris Olympics 2024) জিতল ভারত। তবে এদিন শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি স্বপ্নিলের। প্রথমে ছিল ‘নিলিং’, অর্থাৎ হাঁটু মুড়ে বসে শুটিং। সেখানে প্রথম সিরি‌জে (পাঁচটি শট) ৫০.৮ স্কোর করেন তিনি। শুরুতেই নেমে যান সাতে। পরের সিরিজে স্কোর হয় আর একটু ভাল, ৫০.৯। তৃতীয় সিরিজে অনেকটা এগিয়ে ৫১.৬ স্কোর করেন।

    দুরন্ত কামব্যাক (Paris Olympics 2024)

    স্বপ্নিলকে (Swapnil Kusale) লড়াই করতে হয় শেষ পর্যন্ত। ‘প্রোন’, অর্থাৎ বুকে ভর দিয়ে শুটিংয়ের প্রতিটি সিরিজেই ভাল স্কোর করেন স্বপ্নিল। ৫২.৭, ৫২.২ এবং ৫১.৯ স্কোর করে চারে উঠে আসেন। এর পর ‘স্ট্যান্ডিং’, অর্থাৎ দাঁড়িয়ে শুটিং বিভাগের দু’টি সিরিজে ৫১.১ এবং ৫০.৪ স্কোর করেন। তখনই তিনি তিন নম্বরে উঠে এসে পদকের আশা দেখাতে শুরু করেন। এর পরে ছিল ‘এলিমিনেশন’ রাউন্ড। তিন নম্বর স্থান ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল স্বপ্নিলের কাছে। তিনি প্রথম শটে ১০.৪ মারার পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শটে ৯.৪ ও ৯.৯ স্কোর করেন। তবে চতুর্থ স্থানে যিনি ছিলেন, তাঁর সঙ্গে এতটাই পার্থক্য ছিল যে, স্বপ্নিল তৃতীয় স্থানে থেকে যান এবং ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করে ফেলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share