Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খুনের হুমকি-ফোন! চেন্নাইয়ে সতর্ক এনআইএ আধিকারিকরা

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খুনের হুমকি-ফোন! চেন্নাইয়ে সতর্ক এনআইএ আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির নর্থ ব্লকে বিস্ফোরণের হুমকির পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) মেরে ফেলার হুমকি ফোন পেল এনআইএ ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের (Chennai) পুরশৈবকমে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র কার্যালয়ে এই ফোন আসে ৷ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি এনআইএ-র কন্ট্রোল রুমে ফোন করে হিন্দি ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে খুন করার হুমকি দেয় ৷

    প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি ফোন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) মেরে ফেলার হুমকি শুনেই সতর্ক হয়ে যায় এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে চেন্নাই পুলিশে খবর দেয় ৷ যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেই নম্বরটিও পুলিশকে দেওয়া হয়েছে ৷ চেন্নাইয়ের সাইবার ক্রাইম পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে ৷ কোথা থেকে এই ফোন এসেছিল ? ফোন করতে কোন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে ? সাইবার ক্রাইম পুলিশ এই তথ্যগুলির সন্ধান করছে ৷ তবে মনে করা হচ্ছে বিষয়টি পুরোপুরি ভুয়ো। ভয় দেখানোর জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবুও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে চায় না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই সব দিক খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শ্বাসরোধ করেই খুন বাংলাদেশি সাংসদকে, টুকরো করে লোপাট করা হয় দেহাংশ!

    বোমা হামলার হুমকি

    এর আগে বধুবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দিল্লির নর্থ ব্লকে বোমা হুমকির মেল আসে ৷ সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কার্যালয় রয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, কুকুরের স্কোয়াড, বম্ব স্কোয়াড ৷ তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও কিছু পাওয়া যায়নি ৷ পরে এই মেলকে ভুয়ো মেল বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ দেশ এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এসময় এরকম অনেক হুমকি আসে।  এর আগে দিল্লির কিছু হাসপাতালে ও ৭০ এর বেশি দিল্লি ও নয়ডার স্কুলে বোমা হামলার হুমকি এসেছিল। কলকাতাতেও কিছুদিন আগে এরকম এক উড়ো মেলের খবর রটেছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    Lok Sabha Elections 2024: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক।” উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Lok Sabha Elections 2024)। এদিনের জনসভায় আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি বিরোধী জোটকে। বলেন, “তারা (ইন্ডি) যদি ছড়িয়ে পড়ে, তবে গোটা ভারতকে ধ্বংস করে দেবে। ক্যান্সারের চেয়েও তিনটি রোগ দেশের পক্ষে মারাত্মক। এই রোগগুলি হল, এই লোকগুলো দারুণভাবে সাম্প্রদায়িক, এরা ভীষণভাবে বর্ণবাদী, এরা ভয়ঙ্করভাবে পরিবারবাদী।”

    বন্ধ করে দেবে জনধন অ্যাকাউন্ট! (Lok Sabha Elections 2024)

    প্রসঙ্গত, অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচন হবে ২৫ মে, শনিবার। দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ৪৩০টি আসনে (Lok Sabha Elections 2024)। শ্রাবস্তীর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “শ্রাবস্তীর একটি সমৃদ্ধশালী এবং পৌরাণিক আখ্যান রয়েছে। সারা বিশ্বের পর্যটকরা এই জায়গা দর্শন করতে আসেন। তা সত্ত্বেও পূর্বতন সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস কখনও এখানকার উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়নি।” জনধন প্রকল্পে দেশে ৫০ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও দাবি প্রধানমন্ত্রীর। বলেন, “মোদি ৫০ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষকে খুলে দিয়েছে জনধন অ্যাকাউন্ট। তারা (বিরোধীরা) আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে। আপনার টাকা ছিনিয়ে নেবে।”

    আর পড়ুন: স্বাতীর পাশে নির্ভয়ার মা, আপকে নিশানা ‘নির্যাতিতা’ সাংসদের

    দুই ছেলের জুটি

    তিনি যে সামান্য একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “মোদি কোনও রাজ পরিবার থেকে আসেনি। আমি এই মায়েদের মতো এক গরিব মায়ের সন্তান। আমি কারও জন্য কিছু অর্জন করতে চাই না। তবে আমি দেশকে এমন শক্তিশালী করতে চাই যে বংশবাদী দলগুলি যেন আর দেশকে ধ্বংস করতে না পারে। এজন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাই।” কংগ্রেস-সমাজবাদী দলের জোটকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউপিতে ফের চালু হয়েছে দুই ছেলের (রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব) জুটি। একই পুরানো ফ্লপ ছবি, একই পুরানো চরিত্র, একই পুরানো সংলাপ। পুরো নির্বাচন শেষ হতে চলেছে, কিন্তু আপনি কী এই লোকদের কাছ থেকে একটিও নতুন কথা শুনেছেন (Lok Sabha Elections 2024)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ ‘ইন্ডি’ জোটকে একটা বড় থাপ্পড় মেরেছে কলকাতা হাইকোর্ট।” ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে বুধবার এক নির্বাচনী জনসভায় এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    মোদির নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “২০১০ সালের পর থেকে জারি হওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে আদালত। পশ্চিমবঙ্গের সরকার মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্কের জন্য যাচাই না করেই তাঁদের ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। এই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আজ আদালত থাপ্পড় মেরেছে।” কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডি জোটকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন (PM Modi), “এরাই বলে দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার মুসলমানদের। এরাই লাগাতার সরকারি জমি ওয়াকফ বোর্ডকে দিচ্ছে, পরিবর্তে ভোট চাইছে। এরা ধর্মের ভিত্তিতে সরকারি টেন্ডার দিতে চাইছে।”

    কী বললেন শাহ?

    কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুসলমানদের ওবিসি সংরক্ষণ দিতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি হাইকোর্টের রায় মানেন না। বাংলার মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন, এমন কোনও মুখ্যমন্ত্রী কি হতে পারেন, যিনি বলেন আদালতের নির্দেশ মানেন না? এতেই স্পষ্ট, বাংলায় গণতন্ত্র কী অবস্থায় রয়েছে!” এনিয়ে একটি ট্যুইটও করেন শাহ।

    আর পড়ুন: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    বিজেপি যে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চায় না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “হাইকোর্টের রায় যাতে কার্যকর হয়, তা আমরা সুনিশ্চিত করব। যাঁরা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির, তাঁরা যাতে নিজেদের অধিকার পান, তা আমরা নিশ্চিত করব। যাঁরা ওবিসি নন, তুষ্টিকরণের নীতি ও ভোটব্যাঙ্কের নীতির জন্য তাঁদের ওবিসির সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী নতুন করে তালিকা তৈরি করে বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • POJK: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    POJK: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর। পাক সেনার অত্যাচারে জেরবার এই এলাকার বাসিন্দারা চান মুক্তি। তবে স্বতন্ত্র কোনও দেশ কিংবা স্বায়ত্ত্ব শাসন তাঁরা চান না। তাঁরা চান এই অঞ্চলকে জুড়ে দেওয়া হোক ভারতের সঙ্গে। ভারতভুক্তিই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রধান দাবি। যে দাবিতে পাক অধিকৃত এই অঞ্চলে জ্বলছে অশান্তির আগুন। যে আগুন নেভানোর ছলে আন্দোলনকারীদের দমন করতে কোমর কষে নেমে পড়েছে পাক সেনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখ খুলে দিয়েছে মোদি সরকারের জমানায় জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নয়ন। ভারতের অংশে যেখানে বয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের জোয়ার, সেখানে পাক অধিকৃত অংশের সর্বাঙ্গে স্পষ্ট অনুন্নয়নের ছাপ।

    ভারতভুক্তির দাবি (POJK)

    প্রত্যাশিতভাবেই তাঁরা দাবি তুলেছেন আজাদির, আরও স্পষ্ট করে বললে ভারতভুক্তির। ২০১৯ সালের ১৪ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পর থেকে ভূস্বর্গে আক্ষরিক অর্থেই নেমে এসেছে কাঙ্খিত শান্তি। বুক ভরে তাজা শ্বাস নিচ্ছেন কাশ্মীরের মানুষ। এর ঠিক উল্টো ছবি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তাই ২০২৩ সাল থেকে ভারতভুক্তির দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন পকেটে। এহেন পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে বসে নেই পাক সেনা। আন্দোলনকারীদের ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা করতে মাঠে নেমে পড়েছে তারা। তাদের মারে জখম হয়েছেন গিলগিট-বাল্টিস্তানের পর্যটনমন্ত্রীও। তার পরেও ভারতভুক্তির দাবি থেকে একচুলও সরেননি এই এলাকার মানুষ। ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পাশাপাশি ‘পাকিস্তানি সেনা মুর্দাবাদ’ স্লোগানও দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলন দমন করতে গুলিও ছুড়েছে পাক সেনা। বেশ কয়েকজন জখম হওয়ার পাশাপাশি নিহত হয়েছেন জাকির হুসেন, গাজি আনওয়ার এবং আশিক মির।

    আর পড়ুন: নদিয়ায় হরিনাম বন্ধে ফতোয়া বাংলাদেশের! বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম সংকীর্তন

    ধ্বংস করছে পাকিস্তান

    সেই ১৯৯০ সাল থেকে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা মনে করেন তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক, পাকিস্তান তাঁদের শোষণ করছে। তাই জীবন বাজি রেখেই তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিনা-পাকিস্তানিদের শোষণ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে (POJK)। এর খেসারতও দিয়ে হয়েছে তাঁদের কাউকে কাউকে। নওয়াজ নাজি, বাবা জান, আবদুল হামিদ খান এবং আরও অনেককে জেলে পচিয়ে মারছে পাক সরকার। এঁদের দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তার পরেও পুরোপুরি নেভানো যায়নি স্থানীয়দের বুকে জমে থাকা ক্ষোভের আগুন। পাক রাজনীতির টালমাটাল দশা আর তার সঙ্গে দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হালের কারণেই তাঁরা আরও বেশি করে ঝুঁকছেন ভারতের দিকে। তাই জোরালো হচ্ছে ভারতভুক্তি দাবি।

    দখলদারির রাজত্ব

    ১৯৪৭ সালে রাজন্য-শাসিত রাজ্যগুলিকে হয় পাকিস্তান নয় ভারতের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়। তখন কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে জুড়ে দেন। এরই একটা অংশ আগেই দখল করে নিয়েছিল পাকিস্তান, উপজাতির ছদ্মবেশে। সেই অংশই পাক অধিকৃত কাশ্মীর।

    আরএসএসের ভূমিকা

    হরি সিং যখন ভারত না পাকিস্তান কোন দিকে যাবেন তা নিয়ে দোটানায়, তখনই আরএসএসের তৎকালীন সরসঙ্ঘচালক গুরুজি সাক্ষাৎ করেন কাশ্মীরের মহারাজের সঙ্গে। এর পরেই ভারতের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হরি সিং। সে খবর (POJK) পেয়েই কাশ্মীরে উড়ে যান ভিপি মেনন। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মহারাজা। এর ঠিক দু’মাসের মাথায়ই মঙ্গলা, আলিবেগ, মিরপুর, ভীমবের, দেবা এবং বাটালা অঞ্চল, রাজৌরি ও নৌসেরা, ঝাঁগার এবং কোটলির পুরো অঞ্চলটা দখল করে নেয় পাকিস্তান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ভারতের এই অংশগুলোও। গিলগিট-বাল্টিস্তানের রাশও হরি সিং ভারতের হাতে তুলে দেন। যদিও সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে তখনও ছিলেন গিলগিট স্কাউটরা। এঁদের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর ডব্লিউ ব্রাউন। তিনি মুসলমান কিছু অফিসার ও জম্মু-কাশ্মীরের সৈন্যদের নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করেন। এর পরেই তাঁরা পৌঁছে যান গিলগিটে, আশ্রয় নেন রাজ্যপাল ঘনসারা সিংয়ের বাসভবনে। পরে তাঁকে বাধ্য করেন সারেন্ডার করতে। সৈন্যদের মধ্যে যাঁরা শিখ এবং হিন্দু ছিলেন, তাঁদের হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রসংঘের নির্দেশে যুদ্ধ বিরতি হয় ১৯৪৮ সালে। ততক্ষণে গিলগিট-বাল্টিস্তানের রাশ জোর করে দখল করে নিয়েছে পাকিস্তান (POJK)।

    জনসংখ্যার বদল

    বস্তুত তার পর থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে দমন পীড়ন। পাক প্রশাসনের মূল লক্ষ্যই হল, এই অঞ্চলের জনসংখ্যা ধ্বংস করা, লুটে নেওয়া মাটির নীচে সঞ্চিত প্রাকৃতিক সম্পদ। এলাকার জনসংখ্যার হার বদল করতে পাঞ্জাব এবং নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স থেকে সুন্নি মুসলমানদের এনে এখানে বসতি স্থাপন করতে দেওয়া হয়। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের বাসিন্দারা কলোনি জীবন যাপন করেন। পণ্ডিতরা যাকে ‘বিশ্বের শেষ কলোনি’ আখ্যা দিয়েছেন। মিরপুর মুজফ্ফরাবাদ কিংবা গিলগিট-বাল্টিস্তানের লোকজনের প্রতিবাদের অধিকারেও লাগাম পরানো হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের মুখ বুঝে সহ্য করতে হয় অপহরণ, খুন-জখম-রাহাজানি। পাক সেনা জোর করে জমি দখল করে নিলেও টুঁ শব্দটি করার জো নেই এই এলাকার বাসিন্দাদের। পাক শাসকরা কৌশলে ধ্বংস করছে এই এলাকার ভাষা, লিপি, জঙ্গল, উৎসব। বাসিন্দাদের তাঁদের মূল থেকেও উপড়ে ফেলার নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে পাক সেনা। অথচ এই এলাকাটি যেন পাকিস্তানের সোনার ডিম দেওয়া সেই হাঁস। বিদেশ থেকে যাঁরা পাকিস্তানে বেড়াতে আসেন, তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশই আসেন গিলগিট-বাল্টিস্তানে। তাই রোজগার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি বিদেশি মুদ্রা। মিরপুর-মুজফফরাবাদ অঞ্চলে মাটির নীচে রয়েছে দামী ধাতু-পাথর। আর গিলগিট-বাল্টিস্তানের পেটে লুকানো রয়েছে ১ হাজার ৪৮০টি সোনার খনি। এসব থেকে রোজগার হলেও, এলাকায় উন্নয়ন থেকে যায় অধরা।

    অবহেলায় শারদা পীঠ

    প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৭ মাইল দূরে রয়েছে শারদা পীঠ। জ্ঞানের দেবী শারদার মন্দির রয়েছে এখানেই। সনাতনীদের কাছে এক সময় যে জায়গা ছিল তীর্থক্ষেত্র, যে মন্দিরে নিত্য বাজত ঘণ্টা, নৈসর্গিক পরিবেশে অবস্থিত মন্দিরের ধূপ-দীপের গন্ধে যেখানে তৈরি হত স্বর্গীয় পরিবেশ, সেখানে আজ শুধুই শ্মশানের স্তব্ধতা। দাঁড়িয়ে রয়েছে ভগ্নপ্রায় এক মন্দিরের কাঠামো। বিগ্রহ? কে জানে কোথায়!

    ভারত বরাবর দাবি করে আসছে অখণ্ড জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বহুবার বলেছেন এই অঞ্চলের দখল পেতে আমরা জীবন বলি দিতেও প্রস্তুত (POJK)।

    ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও আমাদের ভূস্বর্গ…পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাতাসে ভাসছে এমনই আর্তি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Prashant Kishor: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    Prashant Kishor: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসতে চলেছে, সে ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করেছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে (Prashant Kishor)।

    পেট্রোল-ডিজেল আসবে জিএসটির আওতায়! (Prashant Kishor)

    এবার তিনি জানালেন, এনডিএ ফের ক্ষমতায় এলে পেট্রোল-ডিজেল চলে আসতে পারে জিএসটির আওতায়। পরিকাঠামোগত এবং প্রশাসনিক নানা পরিবর্তনও হাতে পারে। পিকে বলেন, “মোদি ফের একবার প্রধানমন্ত্রী পদে বসলে ক্ষমতা ও সম্পদ আরও বেশি করে কেন্দ্রের অধীনস্থ থাকবে। রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করা হতে পারে।” ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এই ভোট কুশলী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ‘কাজ করেছিলেন’ তৃণমূলের হয়ে। পিকে বলেন, “বর্তমানে দেশের প্রতিটি রাজ্য তিনভাবে আয় করতে পারে। পেট্রোলিয়াম, আবগারি ও জমি।” তিনি বলেন, “আমি অবাক হব না যদি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মোদি সরকার পেট্রোলিয়ামকেও জিএসটির আওতায় নিয়ে আসে।” প্রসঙ্গত, পেট্রোল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার দাবি এই ইন্ডাস্ট্রির দীর্ঘ দিনের। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে এ ব্যাপারেই পদক্ষেপ করতে পারে মোদি সরকার।

    আর পড়ুন: ‘আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটে’র ‘হারানো সন্তান’রা পালন করেন হিন্দুধর্ম!

    কী বললেন পিকে?

    পিকে (Prashant Kishor) বলেন, “উনিশের নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল ৩০৩টি আসনে। এবারও তাদের আসন সংখ্যা থাকবে এর আশপাশেই। ৩০৩ ছাড়িয়েও যেতে পারে। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপিই যে ক্ষমতায় ফিরবে, সে কথা আমি বলে এসেছি। এখনও তাই বলছি।” ‘জন সুরাজ পার্টি’র সুপ্রিমো পিকে বলেন, “মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের কোনও ক্ষোভ রয়েছে, এমন কথা দেশের কোনও প্রান্তেই শুনিনি।” তিনি বলেন, “সাধারণভাবে সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে জনগণের প্রচণ্ড ক্ষোভ, হতাশা, অপূর্ণ আকাঙ্খার বহিঃপ্রকাশ না থাকলে ভোটের ফল শাসকের অনুকূলেই যায়।” সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিকে দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের এক নম্বর দল হয়ে উঠতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে বিজেপি পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে তাদের সংগঠন বাড়াতে যে কঠোর পরিশ্রম করেছে, তার ফলেই এমনটা হতে পারে বলেই দাবি পিকের (Prashant Kishor)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: প্রথম ৫ দফাতেই ৩১০ আসন পার বিজেপির, দাবি শাহের

    Amit Shah: প্রথম ৫ দফাতেই ৩১০ আসন পার বিজেপির, দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত পাঁচ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি আরও দু দফা। আর এরই মধ্যে নাকি বিজেপি ৩১০টি আসনে জিতে গিয়েছে। বাকি দু দফা শেষে  ৪০০ পার করবে মোদি (PM Modi) সরকার। মঙ্গলবার ওড়িশায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    অমিত শাহের দাবি (Amit Shah)

    এখনও পর্যন্ত পাঁচ দফায় ৪২৮টি লোকসভা আসনে ভোট হয়েছে দেশ জুড়ে। শাহ দাবি করলেন এর মধ্যেই নাকি বিজেপি একাই ৩১০টি আসনে জিতে গিয়েছে। 

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৪২৮টি আসনের মধ্যে থেকে ২৫০-র গণ্ডিও পার করতে পারেনি এনডিএ। তবে এবার ওড়িশা থেকে অমিত শাহ (Amit Shah) নিজে জানালেন ফের তৃতীয় বারের মত দেশে নিজের সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি সরকার। 

    আরও পড়ুন: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রাম লালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, দাবি শাহের 

    এবারের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে বিজেপির লক্ষ্য ৪০০-র বেশি আসনে জয়। অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, পুরো দেশ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, তৃতীয়বারের জন্য মোদিকে তারা প্রধানমন্ত্রী করবে ৷

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওড়িশায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে কটাক্ষ করে বলেন, তাঁর নীতি ও শাসনের কারণে রাজ্যটি ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। তিনি নবীনকে আক্রমণ করে আরও বলেন, ‘এই বছরটি নবীন পট্টনায়কের ক্ষমতা হারানোর বছর হতে চলেছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “নেহরু থেকে রাহুল…”, চম্পারণে ইতিহাস টেনে কংগ্রেসকে তুলোধনা মোদির

    PM Modi: “নেহরু থেকে রাহুল…”, চম্পারণে ইতিহাস টেনে কংগ্রেসকে তুলোধনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০ বছর দেশকে ধ্বংস করেছে কংগ্রেস। তিন-চারটে প্রজন্ম নষ্ট করেছে দেশের সবচেয়ে পুরনো এই রাজনৈতিক দল। সরাসরি অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিহারের পূর্ব চম্পারণের (East Champaran) দলীয় সভায় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের কোন এজেন্ডা নেই। শুধুমাত্র মোদিকে গালাগালি করা ছাড়া তাঁদের কোনও কাজ নেই।”এদিন রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নাম না করে বলেন তিনি বলেন, “কেউ চাইছে মোদির জন্য কবর খুঁড়বে। কেউ বলছে তারা মোদিকে কবর দিয়ে দেবে। কংগ্রেসের যুবরাজ চাইছেন মোদির চোখে জল দেখতে।” 

    স্বাধীনতা আন্দোলনে চম্পারণের ভূমিকা

    চম্পারণ থেকে সত্যাগ্রহ শুরু করেছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। নীল চাষের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাঁর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গান্ধী। স্বাধীনতা আন্দোলনের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা লগ্নে গান্ধীকে কীভাবে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিল কংগ্রেসের তৎকালীন নেতারা সেই কথা এদিন ফের মনে করালেন মোদি। এক্ষেত্রে নাম না নিলেও তাঁর নিশানায় ছিলেন জওহরলাল নেহরু। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় আসার প্রথম দিনেই বাপুর নীতি আদর্শকে পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছিল।”

    রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    নাম না করে রাহুলকে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, “যাঁরা রুপোর চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নিয়েছেন, তাঁরা জানে না কঠিন পরিশ্রম কী জিনিস। আমি শুনেছি কেউ বলছে, ৪ জুনের পর মোদি বেড রেস্টে চলে যাবে। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, ভারতের কোনও মানুষ যাতে অসুস্থ হয়ে বেড রেস্টে না যায়। ভারতের প্রত্যেক মানুষ যেন শক্তিতে পরিপূর্ণ থাকে। কিন্তু যারা জঙ্গল রাজ চালিয়েছে তাঁদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়। দেশ কারো ইচ্ছায় নির্ভর করে চলবে না। মোদি হয়তো ইন্ডি জোটের কয়েকজনের চোখের কাঁটা। কিন্তু মোদি এদেশের মানুষের হৃদয়ে আছে।”

    বিহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা কর্মসংস্থান

    প্রসঙ্গত বিহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা কর্মসংস্থান। শ্রমিক হিসেবে বিহারের একটা বড় অংশের মানুষ সারা ভারতবর্ষে এবং বিদেশে কাজ করেন। স্থানীয়ভাবে রোজগারের অভাব রয়েছে বিহারে। এর জন্য বিহারের কংগ্রেস এবং লালু জমানার জঙ্গলরাজকে দায়ী করলেন মোদি। প্রসঙ্গত ষষ্ঠ দফায় ২৫ মে ভোট রয়েছে দেশের নানান। প্রান্তে ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই ভোট চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ৪ জুন দেশে গণনা হবে।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে মুনাফা ছাড়াল ৩ লাখ কোটির ঘর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন বিহারে ইন্ডি জোটের সহযোগী আরজেডিকে নিশানা করেন মোদি (PM Modi) । তিনি বলেন, “পঞ্চম দফার নির্বাচন হয়েছে। ওরা হেরে গিয়েছে। যখন ইভিএম খুলবে তখন দুনিয়া দেখবে কীভাবে ওরা হেরেছে। ইন্ডি জোটের পাপের সঙ্গে দেশ আর এগোতে পারবে না। ৪ জুন আরজেডি কংগ্রেসের উপর প্রহার হবে। দেশের সনাতনকে গালি দেওয়া, তুষ্টিকরণ ও দুর্নীতি করা দলগুলি ভেসে যাবে।”

  • PM Modi: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রামলালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    PM Modi: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রামলালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে আবারও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আরজেডি সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার চম্পারনের এক প্রচার সভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। এদিন সেই সভা থেকেই রাহুল (Rahul Gandhi) ও লালুকে মটন পার্টি নিয়ে কটাক্ষ করলেন তিনি। প্রসঙ্গে উঠল সেই পুরনো লালু-রাহুলের মটন পার্টির ভাইরাল ভিডিও।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (PM Modi)

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের একে অপরের বাড়িতে খাবার খেতে যাওয়ার সময় আছে কিন্তু রাম লালাকে দর্শন করার মত সময় তাদের কাছে নেই।” উল্লেখ্য, যখন জানুয়ারি মাসে অযোধ্যায় রাম লালার মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় তখন সকলের মত রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও লালু প্রসাদ যাদবকেও আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সেই আমন্ত্রন উপেক্ষা করে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “রাম মন্দির বিজেপির রাজনৈতিক অনুষ্ঠান।” এবার সেই ঘটনাকে প্রসঙ্গে এনেই রাহুল-লালুকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী(PM Modi)।  

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই চালু হবে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোরুট! সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু অরেঞ্জ লাইনে

    অন্যদিকে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি ভাইরাল ভিডিওর প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যেখানে দুই নেতাকে একসাথে “চম্পারন মাটন” প্রস্তুত করতে দেখা গেছে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। 
    উল্লেখ্য, কদিন আগেই নবরাত্রির সময় তেজস্বী যাদবের মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছিল। সেই বিতর্কেই তেজস্বী সহ তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সকলকে খোঁচা মেরে মোদির (PM Modi) দাবি, কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারা দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। একইসঙ্গে দুই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলের নেতা লালু প্রসাদ ও রাহুল গান্ধীকে মোঘলদের মতো `বিধর্মী`দের সঙ্গেও তুলনা করেন মোদি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে মুনাফা ছাড়াল ৩ লাখ কোটির ঘর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: ব্যাঙ্কিং সেক্টরে মুনাফা ছাড়াল ৩ লাখ কোটির ঘর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম ভারতীয় ব্যাঙ্কিং সেক্টর নিট লাভ করল ৩ লাখ কোটি টাকারও বেশি। বৃদ্ধির হার ৩৯ শতাংশ। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই  পরেই পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি একে অভিহিত করলেন ‘উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়ানো’ বলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্যের এই উন্নতি আমাদের দেশের গরিব মানুষ, কৃষক এবং এমএসএমইদের ঋণ পাওয়া সহজলভ্য করতে সাহায্য করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আমরা যখন ক্ষমতায় আসি (২০১৪ সালে) তখন দেনায় ডুবে ছিল আমাদের ব্যাঙ্কগুলি। এনপিএস ছিল চড়া। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের ফোন ব্যাঙ্কিং নীতির জন্যই এসব হয়েছিল। সেই আমলে গরিবদের জন্য ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধই হয়ে গিয়েছিল।” ২০১৪ সালে বিজেপির নেতৃত্বে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে এনডিএ সরকার। তার পর থেকেই স্বাস্থ্য ফিরছে দেশের অর্থনীতির।

    মোদি জমানায় স্বাস্থ্য ফিরেছে দেশের অর্থনীতির

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকারের অর্থনৈতিক নানা নীতির কারণে হাল ফিরছে ব্যাঙ্কিং সেক্টরেরও। ২০১৪ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ১০ নম্বরে ছিল ভারতের নাম। গত দশ বছরে (মোদি জমানায়) ভারতের ঠাঁই হয়েছে পাঁচ নম্বরে। ব্রিটেনকে ছয়ে ঠেলে পাঁচ নম্বর জায়গাটি দখল করেছে ভারত। নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইওর দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যেই চার নম্বরে থাকা জাপানকে পাঁচ নম্বরে ঠেলে দিয়ে ভারত উঠে আসবে চার নম্বরে। সেক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান হবে আমেরিকা, চিন এবং জার্মানির পরেই।

    আর পড়ুন: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    ভারতের আর্থিক স্বাস্থ্য যে ফিরছে, তার প্রমাণ মিলেছে ২০২৪ অর্থবর্ষে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির সম্মিলিত লাভের পরিমাণ ৩.১ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি ব্যাঙ্কিং সেক্টরগুলি লাভ করেছে ১.০৪ লাখ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ৩৪ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির লাভের হার ৪২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে নিট মুনাফা ১.৭ লাখ। এই নিট লভ্যাংশ দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত দেয়। ব্যাঙ্কিং সেক্টরের এই লাভ ছাড়িয়ে গিয়েছে আইটি কোম্পানিগুলির মোট লভ্যাংশের পরিমাণকেও। ২০২৪ অর্থবর্ষে আই কোম্পানিগুলি মুনাফা অর্জন করেছে ১.১ লাখ কোটি টাকা (PM Modi)।

    আরও বড় কথা হল, পাবলিক ব্যাঙ্কগুলির নিট মুনাফা গত তিন বছরে বেড়েছে চারগুণেরও বেশি। তাদের ব্যালেন্সশিট থেকেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। তাদের রোজগার যে বাড়ছে, তাও জানা গিয়েছে ওই ব্যালেন্সশিট থেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

                

  • Attack On Ramakrishna Mission: “কাটারি, বন্দুক, রড নিয়ে ঢোকে ওরা”, বললেন রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক

    Attack On Ramakrishna Mission: “কাটারি, বন্দুক, রড নিয়ে ঢোকে ওরা”, বললেন রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে রাজ্য জুড়ে নিন্দা ঝড় উঠেছে। এই আবহের মধ্যে এবার রামকৃষ্ণ মিশনের (Attack On Ramkrishna Mission) জলপাইগুড়ি শাখার শালুগাড়ায় অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের ‘সেবক হাউস’-এ হামলার ঘটনায় তোলপাড় গোটা বাংলা।

    কাটারি, বন্দুক, রড নিয়ে দুষ্কৃতীরা মিশনে চড়াও হয় (Attack On Ramkrishna Mission)

    রামকৃষ্ণ মিশনের (Attack On Ramkrishna Mission) সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দ বলেন, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে রামকৃষ্ণ মিশনের ওই জমিটি। সেবক রোডের ধারে অবস্থিত ওই জমি মিশনকে দান করেছিলেন প্রয়াত সুনীল কুমার রায় নামে এক ব্যক্তি। নিয়ম মেনে সুনীল রায় ওই জমি দিয়েছিলেন মিশনকে। সেখান থেকে নানা পরিষেবা দেওয়ার কাজ হয় বর্তমানে। ত্রাণ সামগ্রীও দেওয়া হয়। সেই কেন্দ্রেই রাতের অন্ধকারে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত ১৮ মে রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ অন্তত ৩০-৩৫ জন লোক ঢোকেন মিশনের ওই ভবনে। অভিযোগ, তাঁদের হাতে ছিল কাটারি, বন্দুক, রড। হেলমেট পরেছিলেন তাঁরা, ফলে মুখ দেখা যায়নি কারও। বাংলাতেই কথা বলছিলেন। সেই সময় মিশনে দুজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তাঁদের হাত বেঁধে দেওয়া হয়, মোবাইল কেড়ে নিয়ে সিম বের করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর ওই কর্মীরা সোজা চলে যান দোতলায়। সেখানে ৫ জন কর্মী ছিলেন। তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। চিৎকার করতেই মারধরও করা হয় তাঁদের। এরপরই পাঁচজন কর্মী ও দুই নিরাপত্তারক্ষীকে ম্যাজিক গাড়িতে তুলে নিয়ে দুষ্কৃতীরা চলে যায় বলে অভিযোগ। ৫ জনকে এনজেপি-র কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়, বাকিদের অন্য জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মিশনের তরফে।

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, সপ্তাহভর বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    তালিবানি জমানা চলছে, সরব আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য

    মিশনের (Attack On Ramkrishna Mission) ওপর হামলা প্রসঙ্গে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভামঞ্চ থেকে তোপ দেগেছেন তৃণমূলকে নিশানা করে। এবার বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য দাবি করেন পুরো তালিবানি জমানা চলছে। তিনি লিখেছেন এটা তালিবানি জমানার থেকে কম কিছু নয়। সেই সঙ্গেই তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে দায়ের করা অভিযোগের কপি সংযুক্ত করেছেন।অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এটাই হয়তোবাংলায় সবথেকে নিকৃষ্টতম কাজ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘও ইসকনকে খোলা মঞ্চ থেকে হুমকি দেওয়ার পরে দুষ্কৃতীরা বন্দুক, ছুরি নিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে প্রবেশ করেছিল। তারা সাধুদের ওপর হামলা চালায়। সিসিটিভিভেঙে দিয়েছে। তারা বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছে,সাধুদের জোর করে আটকে রেখে রাস্তায় বের করে দেয়।

     

     

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এদিকে এবার প্রশ্ন উঠছে, কারা এই দুষ্কৃতী যারা রামকৃষ্ণ মিশনের ভেতর ঢুকে হামলা চালাতেও কুণ্ঠা বোধ করছে না। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতা গৌতম দেব জানিয়েছেন, এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। তবে, বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। তারাই এই জায়গাটিকে দখল করার চেষ্টা করছে। ভোট পর্বে এভাবে রামকৃষ্ণ মিশনের ওপর আঘাতকে কেন্দ্র করে শোরগোল তুঙ্গে। রামকৃষ্ণ মিশনের হাজার হাজার ভক্ত রয়েছেন। তাঁরা এটা কিছুতেই মানতে পারছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share