Tag: PM Modi

PM Modi

  • Pak Refugees in Delhi: ‘‘এখন থেকে আমরা ভারতীয়’’, নাগরিকত্ব পেয়ে মোদিকে ধন্যবাদ পাক শরণার্থীদের

    Pak Refugees in Delhi: ‘‘এখন থেকে আমরা ভারতীয়’’, নাগরিকত্ব পেয়ে মোদিকে ধন্যবাদ পাক শরণার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে ভারতীয় শরনার্থীদের (Pak Refugees in Delhi) আর পাকিস্তানি বলা যাবে না। অর্থাৎ পাকিস্তান থেকে আসা দিল্লিতে বসবাসকারী শরণার্থীরা এখন থেকে ভারতের নাগরিক। সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্বের শংসাপত্রের প্রথম সেট জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীরা বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের মাধ্যমে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ-র অধীনে নিয়মগুলি ঘোষণা করার পর দুই মাসের মধ্যে নাগরিকত্বের শংসাপত্রের এই প্রথম সেট জারি করেছে। 

    শরণার্থীদের বক্তব্য 

    এই প্রসঙ্গে শরণার্থীরা (Pak refugees in Delhi) বলেছেন, “আমরা ৫ অক্টোবর ২০১৩ সালে পাকিস্তান থেকে দিল্লিতে আসি। যখন সিএএ বিল পাস হয়েছিল তখন আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম। এরপরে আমরা নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে আমরা কিছু কাজও শুরু করতে পারি। আমরা একমাস আগে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলাম এবং আমরা তা ১৫ মে পেয়েছি। এখন আমাদের ভবিষ্যতও উজ্জ্বল হবে। তাই আমরা ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।” একই সঙ্গে আরও এক শরণার্থী বলেন, “আমরা যখন ১০ বছর আগে এখানে এসেছি, তখন আমাদের নাগরিকত্ব ছিল না। নাগরিকত্ব পেয়ে আমরা খুব খুশি। আগে আমাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতাম। কিন্তু এখন আমাদের শিশুরা সঠিক শিক্ষা পাবে এবং তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। এতদিন ধরে আমাদের পাকিস্তানি বলা হতো। এখন থেকে আমরা ভারতীয়।” 

    আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর ভাইরাল বক্তৃতার জবাব মোদির

    অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন 

    জানা গিয়েছে, সিনিয়র সুপারেনটেন্ডেন্টদের সভাপতিত্বে জেলা স্তরের কমিটিগুলি নথিগুলির সঠিক যাচাই করে আবেদনকারীদের নাগরিকত্বের (Pak refugees in Delhi) শংসাপত্রের প্রথম সেট জারি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, যাচাই এর পরে আবেদন গুলি ডিরেক্টরের নেতৃত্বে রাজ্য স্তরের ক্ষমতা প্রাপ্ত কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। এই আবেদনের প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণভাবে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘৪ জুনের পর ইন্ডি জোট ভেঙে যাবে খটাখট…’’, রাহুলের মন্তব্যের জবাব মোদির

    PM Modi: ‘‘৪ জুনের পর ইন্ডি জোট ভেঙে যাবে খটাখট…’’, রাহুলের মন্তব্যের জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তৃতার পাল্টা জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতাকে। 

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্য 

    গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি (Rahul Gandhi’s Viral Speech) করেছিলেন যে একবার তার দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে, দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করবে। এদিন রাজস্থানে তার নির্বাচনী সমাবেশের সময়, কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন যে তার দল ‘খটাখট’ দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের একজন মহিলার অ্যাকাউন্টে ১ লাখ টাকা স্থানান্তর করে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করবে।    

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পর এবার বিহারে সীতার মন্দির! নির্বাচনের মধ্যেই বড় ঘোষণা শাহের

    প্রধানমন্ত্রীর জবাব (PM Modi) 

    এবার রাহুল গান্ধীর সেই ভাইরাল বক্তৃতা (Rahul Gandhi’s Viral Speech) প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের (Congress) ‘শেহজাদারা’ উন্নয়নকে ‘গুলিডান্ডা খেলার’ মত মনে করেন। কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির দুই ‘শেহজাদা’ প্রাসাদে জন্মেছেন। তাই ওঁরা কঠিন কাজ করতে পারেন না। সেই কারণে উন্নয়ন ‘খটাখট’ হয় বলেই মনে করেন অখিলেশ যাদব, রাহুল গান্ধীরা। শুধু তাই নয়, যারা রুপোর চামচ নিয়ে জন্মেছে তারা দেশ চালাতে পারে না। রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদবরা মনে করেন, দেশের উন্নয়ন এমনি এমনি হয়ে যায়। দেশ থেকে তাঁরা ‘খটাখট’ গরীবিও মুছে ফেলবেন বলে মনে করেন।”

    তাই ওঁরা যেমনই মনে করুন না কেন, ৪ জুনের পর যারা বলেছে তারা দারিদ্র্য দূর করবে, উন্নয়ন নিয়ে আসবে, রায়বেরিলির মানুষও ওঁদের ‘খটাখট’ বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন বলে কাটক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, কেরলের ওয়েনাড়ের পাশাপাশি এবার উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি থেকেও মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। আর আগামী ৪ জুন রয়েছে এবছরের লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। এই প্রসঙ্গেই মোদি বলেন, ‘‘অমেঠি থেকে চলে গিয়েছেন। এবার রায় বরেলি থেকেও চলবে যাবেন। ৪ জুনের পর ইন্ডি জোট ভেঙে যাবে খটাখট খটাখট।’’
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ষষ্ঠ দফায় ফের প্রচারে আসছেন মোদি, কোথায় কবে সভা জেনে নিন…

    PM Modi: ষষ্ঠ দফায় ফের প্রচারে আসছেন মোদি, কোথায় কবে সভা জেনে নিন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে ভোট প্রচারে (Loksabha Election 2024) আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) । ষষ্ঠ দফার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে রবিবার এবং সোমবার মোট ছটি সভা করবেন তিনি। ষষ্ঠ দফায় যে কেন্দ্রগুলিতে ভোট রয়েছে তার কয়েকটিতে যাওয়ার কথা রয়েছে মোদির। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর ষষ্ঠ দফায় (6th Phase) প্রচারের জন্য রবিবার রাজ্যে দুটি সভা করবেন তিনি। প্রথম সভাটি রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের সমর্থনে। এরপর প্রধানমন্ত্রী যেতে পারেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের সমর্থনে জনসভায়।

    রবি ও সোমবার মিলিয়ে ৬টি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    সোমবার রাজ্যে চারটি সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রবিবার রাতে তিনি কলকাতায় থাকবেন বলে সূত্রের খবর। সোমবার প্রথম সভা হবে পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাতোর সমর্থনে। এরপর তমলুক এবং ঘাটাল কেন্দ্রের জন্য যৌথ একটি সভা করবেন মোদি। তমলুক আসনে প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ঘাটাল কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এই সভা শেষে ঝাড়গ্রামে তৃতীয় সভা হওয়ার কথা রয়েছে সেখানকার বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর সমর্থনে। চতুর্থ এবং শেষ সভাটি হওয়ার কথা রয়েছে মেদিনীপুরের বিজেপি (BJP) প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে।

    আরও পড়ুন: “দু’-তিন বছরের মধ্যেই দেশ নকশাল মুক্ত হবে”, বললেন শাহ

    যে ছটি সভা হবে প্রধানমন্ত্রীর সেই সব কেন্দ্রে ভোট রয়েছে ২৫ শে। ষষ্ঠ দফায় মোট আটটি কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তার মধ্যে রবিবার এবং সোমবার মিলিয়ে সাতটি কেন্দ্রকে ছুঁয়ে ফেলবেন নরেন্দ্র মোদি। বাকি থাকছে শুধুমাত্র কাঁথি কেন্দ্রটি। এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। পুনরায় এই দফায় মোদি রাজ্যে আসবেন কি না তা জানা যায়নি।

    সপ্তম দফাতেও রাজ্যে মোদি

    লোকসভা নির্বাচনে ৭ দফায় ভোট হবে। ১ জুন সপ্তম দফায় (7th Phase) নির্বাচন হবে। প্রচারের জন্য প্রতি দফায় রাজ্যে এসেছেন মোদি। একসঙ্গে চার থেকে পাঁচটি করে সভা করেছেন। শেষ দফাতেও প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে আসার কথা রয়েছে। তবে ষষ্ঠ দফা এখন বিজেপির পাখির চোখ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিকে ৩৫ আসনের টার্গেট দিয়েছে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এই টার্গেটের কাছাকাছি পৌঁছানোর বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Slovakia PM Fico: প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ‘‘কাপুরুষোচিত কাজ’’, প্রতিক্রিয়া মোদির

    Slovakia PM Fico: প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ‘‘কাপুরুষোচিত কাজ’’, প্রতিক্রিয়া মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনে দুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলিবিদ্ধ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো (Slovakia PM Fico)। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল প্রধানমন্ত্রী ফিকোর গুলিবিদ্ধ হওয়ার মুহূর্ত। জানা গিয়েছে তাঁর পেটে চারটি গুলি লেগেছে। এরমধ্যে একটি গুলি সরাসরি তাঁর পাকস্থলীতে লেগেছে। ঘটনার পরেই সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় সন্দেহভাজন এক আততায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।   

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Slovakia PM Fico)

    বুধবার স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিশ্লোভার ১০০ মাইল উত্তর-পূর্বে হ্যান্ডলোভা শহরে ‘হাউস অফ কালচার’ ভবনে দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ফিকোর। সেই মতোই জনসংযোগ সারছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁকে নিশানা করে গুলি চালায় এক হামলাকারী। ঘটনার পরেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁর। চিকিৎসকরা আশা করছেন কিছুদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে উদ্ধার মহাভারত ও মৌর্য যুগের অবশিষ্টাংশ

    ফিকোর আরোগ্য কামনায় মোদি 

    অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রবার্ট ফিকোর (Slovakia PM Fico) আরোগ্য কামনা করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) লেখেন, ‘‘স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর উপর যেভাবে হামলা হয়েছে তাতে আমি স্তম্ভিত। আমি এই কাপুরুষোচিত ও জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি প্রধানমন্ত্রী ফিকোর আরোগ্য কামনা করছি। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। স্লোভাকিয়ার মানুষদের প্রতি ভারতের সংহতি রয়েছে। আমরা ওঁদের পাশে রয়েছি।’’

    উল্লেখ্য, এই ঘটনার খবর পেয়েই মুলতুবি হয়ে যায় স্লোভাকিয়ার (Slovakia PM Fico) পার্লামেন্ট। আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য পার্লামেন্টের অধিবেশন বন্ধ থাকবে। তবে ঠিক কী কারণে গুলি চালানো হয়েছে, সেটার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে আপাতত স্লোভাকিয়া (Slovakia) সরকারি অফিসের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    Narendra Modi: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সমর্থনে এগিয়ে এলেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ওয়াকফ বোর্ডের (Uttarakhand Waqf Board) চেয়ারম্যান হাজি শাদাব শামস। তিনি বললেন, “ভারতে সংবিধান কিংবা মুসলমান কেউই বিপদে নেই। বিপদে রয়েছে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের রাজনৈতিক দোকান।

    প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান

    প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে তিনি আরও বলেন, “যখন পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ চলছে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো এমন শক্তিশালী নেতার প্রয়োজন রয়েছে। গোটা বিশ্বে নানান প্রান্তে যুদ্ধের মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। মোদির (Narendra Modi) মতো শক্তিশালী নেতার তৃতীয়বার অবশ্যই ভারতের মসনদে বসা উচিত। যদি এরকম না হয় তাহলে দেশের ক্ষতি হবে। প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গল কামনা করে তিনি হরিদ্বারের পিরান কলিয়ার এলাকায় সাবির সাহেবের মাজারে চাদর চড়ান।

    প্রধানমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরির চেষ্টা বিরোধীদের

    ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের (Uttarakhand Waqf Board) এহেন মন্তব্য রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)— সকলেই লোকসভা ভোট চলাকালীন (Loksabha Election 2024) বিজেপিকে মুসলিম বিরোধী বলে আক্রমণ করে চলেছেন। রাজ্যে ইমামদের সংগঠন তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের মন্তব্য খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সহ গোটা গেরুয়া শিবির দাবি করে এসেছে তাঁদের সরকারের প্রকল্প সকল মানুষের কথা ভেবে হয়। সেই কথাই এদিন বলেছেন ওয়াকফ বোর্ডের (Uttarakhand Waqf Board) চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হ্যাটট্রিক করা উচিত। কারণ ভারত তার নেতৃত্বে উন্নয়ন করছে, এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের লাভ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের প্রত্যেক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। যাদের মাথায় আগে ছাদ ছিল না তাঁরা আজ বাড়ি পেয়েছে। শৌচালয় পেয়েছে। দেশে শেষ প্রান্ত অবধি রাস্তা তৈরি হচ্ছে। দেশের প্রত্যেক কোণায় প্রগতি হচ্ছে।”

    কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বিপদে আছে

    সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে শাদাব শামস (Uttarakhand Waqf Board) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে না মুসলিম সমাজ বিপদে আছে, না দেশের সংবিধান। যদি বিপদে থাকে, তাহলে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বিপদে আছে। বিরোধী দলের নেতারা দেশের মুসলিমদের ভুল বুঝিয়ে নিজের রাজনৈতিক দোকান চালাচ্ছেন। তাঁরা আসলে মুসলমানদের ক্ষতি করছেন। তারা আমাদের শুধু ভোট ব্যাঙ্কের মত ব্যবহার করে। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটা মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরি করেছেন। মিথ্যে প্রচারের উপর নির্ভর করে। বাস্তবে প্রধানমন্ত্রী মুসলিমদের জন্য বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের লাভ দিয়েছেন। আগে কেন্দ্র থেকে সরকার যে টাকা পাঠাত তার বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৌঁছানোর আগেই উধাও হয়ে যেত। এখন সেই জিনিস বন্ধ হয়ে গেছে। আজ অবধি দেশের প্রান্তিক মানুষের জন্য যিনি সবচেয়ে বেশি ভেবেছেন তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 10 years of Modi: মোদি জমানায় দেশে বিপুল কর্মসংস্থান, সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    10 years of Modi: মোদি জমানায় দেশে বিপুল কর্মসংস্থান, সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্বতন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের চেয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার যে নানা দিক থেকে এগিয়ে, তা স্পষ্ট হয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্টে। এবার জানা গেল, কর্মসংস্থানেও আগের সরকারের চেয়ে কয়েক যোজন এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার (10 years of Modi)।

    কী বলছে ‘স্কচগ্রুপের রিপোর্ট?

    স্কচ (SKOCH) নামের এক সংস্থার করা রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের (নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের ১০ বছর (10 years of Modi)) মধ্যে কংর্মসংস্থান হয়েছে ৫১.৪ কোটি। এর মধ্যে ১৯.৭৯ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে গভর্নেন্স লেড ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে। বাকি ৩১.৬১ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে ক্রেডিট-লেড ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে। সোমবারই স্কচের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টটি। তাতেই উঠে এসেছে মোদি (10 years of Modi) জমানায় ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কথা।

    পার্সন-ইয়ার কী?

    একজন ব্যক্তি এক বছরে যত সময় ধরে কাজ করেন, তাকে যদি ঘণ্টায় প্রকাশ করা হয়, এই সময় পরিমাপের একক হল ওয়ান পার্সন-ইয়ার, অর্থাৎ এক ব্যক্তি-বর্ষ। স্কচ গ্রুপ তাদের সমীক্ষায় ২৬০ ব্যক্তি-দিবসকে এক ব্যক্তি-বর্ষ হিসেবে ধরেছে। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি এক বছরে ২৬০ দিন কাজ করলে, তা এক ব্যক্তি-বর্ষ হিসেবে গণ্য হবে। মোদি (10 years of Modi) জমানার দশ বছরে এমন ৫১.৪ কোটি পার্সন-ইয়ার তৈরি হয়েছে। রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে ৮০টি কেস স্টাডির ভিত্তিতে। এঁরা প্রত্যেকেই ঋণ গ্রহীতা। বিভিন্ন সময় ঋণ নিয়েছিলেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের খতিয়ান থেকেও উঠে এসেছে এই তথ্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০১৪-২৪ সালের মধ্যে মোট ৫১.৪ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ১৯.৭০ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে গভর্ন্যান্স-লেড ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে আর বাকি ৩১.৬১ কোটি কর্মসংস্থান হয়েছে ক্রেডিট-লেড ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে।” উল্লেখ্য যে, স্কচ গ্রুপ হল ভারতের থিঙ্কট্যাঙ্ক। ১৯৯৭ সাল থেকে এই সংস্থা আর্থ-সমাজিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করছে। দেশের উন্নতির ওপরও আলোকপাত করছে।

    আর পড়ুন: প্রবাসেও বিপন্ন ভারতীয়দের পাশে সরকার, আক্ষরিক অর্থেই সঙ্কটমোচক মোদি

    এই সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের (10 years of Modi) ১২টি প্রকল্পের ওপর স্টাডি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম’, ‘আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা’, ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা’ও। এখান থেকেই দেখা গিয়েছে গত ৯ বছরে ক্রেডিট গ্যাপ কমে হয়েছে ১২.১ শতাংশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ক্রেডিট গ্যাপ হ্রাস, মাল্টিমেন্সনাল পভার্টি হ্রাসের সঙ্গে ইতিবাচক সমন্বয় রয়েছে। রাষ্ট্রের নেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্টও (NDP) বৃদ্ধি পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Rescue Operations: প্রবাসেও বিপন্ন ভারতীয়দের পাশে সরকার, আক্ষরিক অর্থেই সঙ্কটমোচক মোদি

    India Rescue Operations: প্রবাসেও বিপন্ন ভারতীয়দের পাশে সরকার, আক্ষরিক অর্থেই সঙ্কটমোচক মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। নানা সময় তিনি জানিয়েছেন, দেশই তাঁর ঘরবাড়ি, দেশবাসীই তাঁর আত্মীয়-স্বজন। তাই কেবল স্বদেশের নাগরিকরা নন, কর্মসূত্রে বিদেশে থাকা প্রবাসী ভারতীয়রাও তাঁর ‘আত্মার আত্মীয়’। সেই কারণেই যখনই প্রবাসে বিপদে পড়েছেন কোনও ভারতীয়, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ত্রাতা মোদি (India Rescue Operations)

    কেবল ভারত (India Rescue Operations) কেন, প্রতিবেশী দেশের লোকজনও যখন বিভুঁইয়ে বিপদে পড়েছেন, তখনই সঙ্কটমোচনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মোদিকে। প্রত্যাশিতভাবই যুদ্ধদীর্ণ ইউক্রেন থেকে স্বদেশে ফিরে মোদির জয়গান গেয়েছেন পাকিস্তানের কোনও অখ্যাত অঞ্চলের পড়ুয়াও। হয়ত তাঁর পরিবারও দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের সময় কেবল ভারতীয় ছাত্রছাত্রীই নন, পড়শি কয়েকটি দেশের পড়ুয়াদেরও উদ্ধার করেছিল মোদি সরকার।

    অপারেশন ‘গঙ্গা’

    স্মৃতির সরণি বেয়ে ফেরা যাক বছর দুয়েক আগে। হঠাৎই যুদ্ধ বাঁধল রাশিয়া-ইউক্রেনের। বিপাকে পড়লেন (India Rescue Operations) ইউক্রেনে থাকা কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। প্রমাদ গুণলেন তাঁদের পরিবারের লোকজন। শরণাপন্ন হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। যদিও তার ঢের আগেই ইউক্রেনে থাকা বিপদে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের কীভাবে উদ্ধার করা যায়, তা ছকে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘গঙ্গা’। ইদানিং কালে এ পর্যন্ত ভারত সরকার যতগুলি উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে, তার মধ্যে সব চেয়ে বড় অপারেশান এটি। সেই সময়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেছিলেন, “আমাদের ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক ইউক্রেনে আটকে রয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি জনকে উদ্ধার করে দিল্লি কিংবা মুম্বইতে নিয়ে আসা হয়েছে। অনেককে সরানো হয়েছে ইউক্রেনের পশ্চিমের চারটি প্রতিবেশী দেশে।” সেই সময় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার এই সদস্য বলেছিলেন, “আমরা মনে করি যে আমাদের মানুষ যাঁরা ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন, তাঁদের কাছে পৌঁছানো আমাদের দায়িত্ব। আমাদের সমস্ত বন্ধুরা আমাদের লোকজনকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছে।”

    পড়শি দেশের বিপন্নদের পাশেও মোদি সরকার

    অপারেশন ‘গঙ্গা’য় কেবল ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দেরই উদ্ধার করা হয়নি, নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পড়শি দেশের বিপন্ন মানুষদেরও। এই যেমন আসমা শাফিকি। শত্রু দেশ পাকিস্তানের এই পড়ুয়াকেও উদ্ধার করেছে ভারত। ভারতকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের এই ছাত্রী। ভিডিও-বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা যখন সকলে আটকে পড়েছিলাম, সেই সময় আমাদের সাহায্যের জন্য আমি কিয়েভে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আশা করছি, ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে আমরা নিরাপদে দেশে ফিরতে পারব।”

    ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন নেপালি যুবক রোশন ঝা-ও। তিনিও আটকে পড়েছিলেন ইউক্রেনে। ভারতের এই অপারেশন ‘গঙ্গা’ই সে যাত্রায় বাঁচিয়েছিল বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি, নেপালি, বাংলাদেশি এবং তিউনিশিয়ার পড়ুয়াকে। যে কারণে মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের আকাশপথ বন্ধ থাকায় রোমানিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছিল ইউক্রেনে আটকে পড়া বিপন্নদের। অপারেশন ‘গঙ্গা’র আগে ২০১৪ সালের জুন মাসে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাকে আইএস-এর খপ্পর থেকে মোদি সরকার উদ্ধার করেছিল ৪৬ জন ভারতীয় নার্সকে।

    অপারেশন ‘মৈত্রী’

    তার পরের বছরই ভয়াল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছিল নেপাল (India Rescue Operations)। ২০১৫ সালের সেই বিপর্যয়ের পর সে দেশে আটকে পড়া ৪৩ হাজার জনেরও বেশি ভারতীয়কে উদ্ধার করেছিল ভারত সরকার। অপারেশনের নাম ছিল ‘মৈত্রী’। ওই বছরই হয়েছিল অপারেশন ‘রাহাত’। সেবার ৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ভারতীয় ও ৯৬০ জন বিদেশিকে ভারত সরকার উদ্ধার করেছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেন থেকে।

    অপারেশন ‘সঙ্কটমোচন’

    ২০১৬ সালে হয় অপারেশন ‘সঙ্কটমোচন’। এই অপারেশনে হিংসাদীর্ণ দক্ষিণ সুদান থেকে ৩০০ ভারতীয়কে উদ্ধার করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। কোভিড-পর্বে চালানো হয় অপারেশন ‘সমুদ্র সেতু’ এবং অপারেশন ‘বন্দে ভারত’। সেই সময় কেবল নৌবাহিনীই উদ্ধার করেছিল ৩ হাজার ৯৯২ জনকে। ২০২১ সালে হয় অপারেশন ‘দেবী শক্তি’। এই অপারেশনে উদ্ধার করা হয়েছিল ৫০০-রও বেশি ভারতীয় নাগরিককে। এই সময় আফগানিস্তান থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ১১০ জন আফগান শিখকে। ২০২২ সালে অপারেশন ‘গঙ্গা’র পরে ২০২৩ সালে মোদি সরকার হাতে নেয় অপারেশন ‘কাবেরি’। এই অপারেশনে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে ৩ হাজার ৯৬১ জন ভারতীয় ও ১৩৬ জন বিদেশিকে উদ্ধার করেছিল মোদি সরকার।

    অপারেশন ‘অজয়’

    ২০২৩ সালেই মোদি জমানায় হয়েছে আরও একটি অপারেশন। ২০২৩ সালের এই অপারেশনের নাম ছিল ‘অজয়’। ইসলামি জঙ্গি সংগঠন হামাস নৃশংসভাবে হত্যা করে ১২০০-রও বেশি ইজরায়েলি শিশু-নারী-পুরুষ এবং সৈন্যকে। এই সময় ইজরায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে ভারত সরকার চালায় অপারেশন ‘অজয়’। উদ্ধার করা হয় ১৩০০-রও বেশি ভারতীয়কে। এই অপারেশনেও মোদি সরকার উদ্ধার করেছিল বেশ কিছু বিদেশি নাগরিককে। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে মোদি সরকার। তার পর থেকেই দেশের পাশাপাশি প্রবাসে থাকা ভারতীয়দের কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। বিপন্ন ভারতীয়দের সম্ভাব্য সব রকমের সাহায্য দিচ্ছে, পাশে দাঁড়াচ্ছে।

    আর পড়ুন: আইএমএফ-এর কাছে ঋণ চায় পাকিস্তান, দুবাইয়ে বিপুল সম্পত্তি দেশের মন্ত্রী-আমলাদের

    ভারত ক্রমেই একটি বিশ্ব শক্তি হয়ে উঠছে। গত দশ বছরে মোদির আমলে হাল ফিরেছে দেশের অর্থনীতির। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় এক সময় যে দেশের জায়গা ছিল ১০ নম্বরে, সেই দেশই এখন ব্রিটেনকে সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে পাঁচে। অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যেই জাপানকে সরিয়ে ভারত জায়গা করে নেবে চার নম্বরে। এহেন উদীয়মান শক্তি ভারত তাঁর প্রতিটি নাগরিকের প্রতিই দায়বদ্ধ – সে তিনি স্বদেশেই থাকুন কিংবা বিদেশে (India Rescue Operations)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর হলফনামার তথ্য, কত সম্পত্তির মালিক নরেন্দ্র মোদি?

    PM Modi: প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর হলফনামার তথ্য, কত সম্পত্তির মালিক নরেন্দ্র মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বার বসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর আসনে। দুই বারের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নামে নেই গাড়ি-বাড়ি। হাতে নগদ টাকা মাত্র ৫২ হাজার ৯২০ টাকা। সব মিলিয়ে মোট সম্পত্তি মাত্র ৩ কোটির টাকার কাছাকাছি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সম্পত্তির হিসেব নিকেশ।

    প্রধানমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ

    হাতে নগদ টাকা – ৫২ হাজার ৯২০ টাকা।

    সঞ্চিত টাকার পরিমাণ

    ১. গুজরাতের গান্ধিনগরে স্টেট ব্যাঙ্কে – ৭৩ হাজার ৩০৪ টাকা।

    ২. উত্তরপ্রদেশের স্টেট ব্যাঙ্কের শিবাজী নগর শাখায় জমা রয়েছে মাত্র ৭ হাজার টাকা।

    ৩. স্টেট ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৩৮ টাকার।

    ৪. ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেটে রয়েছে ৯ লক্ষ ১২ হাজার ৩৯৮ টাকার।

    ৫. ৪টি সোনার আংটি রয়েছে। যার ওজন ৪৫ গ্রাম। আর্থিক মূল্য ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৫০ টাকা।

    মোট সম্পদ– ৩ কোটি ২ লক্ষ ৬ হাজার ৮৮৯ টাকা।

    স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ

    ১.প্রধানমন্ত্রীর নামে নেই কোনও জমি।

    ২. প্রধানমন্ত্রীর নামে নেই কোনও বাড়ি-গাড়ি।

    কোনও ঋণ নেই নরেন্দ্র মোদির নামে

    কোনও ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বা ব্যক্তির কাছে ঋণ বা বকেয়া নেই নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নামে । বর্তমানে আয়ের উৎস হিসেবে PMO থেকে পাওয়া বেতন উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। এবারও বারাণসী লোকসভা আসন থেকে তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোদি। ১৪ মে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন এনডিএ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। তার আগে কাল ভৈরব মন্দিরে প্রার্থনা এবং দশশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গার তীরে আরতি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর পরনে ছিলেন নীল জ্যাকেট ও সাদা কুর্তা-পায়জামা।

    আগে কত সম্পত্তি ছিল প্রধানমন্ত্রীর 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সম্পত্তি সংক্রান্ত হলফনামার খবর ছড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। নিন্দুকেরা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর এতদিনে যা সম্পত্তি হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি টাকা ইডি বা ইনকাম ট্যাক্সের হানায় বিভিন্ন রাজ্যের নেতাদের খাট কিংবা আলমারি থেকে বের হয়।

    আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগের পরামর্শ

    প্রসঙ্গত ২০০৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় মোদি সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৪৩ লক্ষ টাকা ছিল। ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই সংখ্যা হল এক কোটি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের হলফনামায়, মোদি মোট সম্পদের ছিল ১.৫ কোটি টাকার। ২০১৯ এর হলফনামায় বেড়ে হল ২.৫ কোটি টাকা। এবার মোট সম্পত্তির পরিমাণ হয়েছে ৩.২ কোটি টাকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মোদির প্রস্তাবক কারা ছিলেন, জানেন?

    PM Modi: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মোদির প্রস্তাবক কারা ছিলেন, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিজেপির প্রার্থী তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। প্রস্তাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ওবিসি সম্প্রদায়ের দু’জন, একজন দলিত এবং একজন ব্রাহ্মণ। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রস্তাবক হিসেবে কারা থাকবেন, তা ঠিক হয়েছিল ১৫ দিন আগেই। ৫০ জনের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় ওই চারজনকে।

    মোদির চার প্রস্তাবক (PM Modi)

    তবে সেটাও সহজে হয়নি। প্রথমে ৫০ জনের মধ্যে থেকে ১৮ জনকে বেছে নেন প্রধানমন্ত্রীর সেনাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশাল। সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয় চারজনকে। এঁরা হলেন গণেশ্বর শাস্ত্রী (ব্রাহ্মণ), বৈজনাথ প্যাটেল (জনসংঘের সময় থেকে দলের বিশ্বস্ত কর্মী) ও লালচাঁদ কুশওহা (দুজনেই ওবিসি সম্প্রদায়ের) এবং সঞ্জয় সোনকর (দলিত)। অযোধ্যার রাম মন্দিরে কোন শুভ মুহূর্তে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে, তা ঠিক করেছিলেন এই গণেশ্বরই।

    মোদির পুজো-প্রার্থনা

    জানা গিয়েছে, ১৮ জনের মধ্যে থেকে এই চারজনকে বেছে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। এদিন তিনি যখন মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান, এই চারজন ছাড়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব। মনোনয়নপত্র পেশের আগে প্রধানমন্ত্রী ঘুরে দেখেন দশাশ্বমেধ ঘাট। সেখানে মা গঙ্গার কাছে প্রার্থনা করেন তিনি। পরে দর্শন করে কালভৈবর মন্দিরও। সেখানে পুজোও দেন।

    দেশে চলছে অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন। ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে চতুর্থ দফার নির্বাচন। বাকি এখনও তিন দফার ভোট। বারাণসীতে নির্বাচন হবে ১ জুন, শেষ দফায়। এই বারাণসী কেন্দ্রেই আগের দু’বার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারও তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অজয় রাই।

    আরও পড়ুুন: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়ন উপলক্ষে সারা শহর জুড়ে ছিল সাজ সাজ রব। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মা গঙ্গা তাঁকে শহরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বারাণসীর বাসিন্দারা তাঁকে বানারসিয়া (বারাণসীর বাসিন্দা) বানিয়ে নিয়েছেন। এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে রোড-শো-ও করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: শ্রীনগরে পড়ল রেকর্ড ভোট, কী প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর?

    PM Modi: শ্রীনগরে পড়ল রেকর্ড ভোট, কী প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আঠাশ বছর পরে রেকর্ড ভোট পড়ল জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে। সোমবার তারই প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায় (PM Modi)। এর আগে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। তখনও ভূস্বর্গে ছিল ৩৭০ ধারা।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই ৩৭০ ধারা রদ করে মোদি সরকার। তার পর এই প্রথম বড় কোনও নির্বাচন হল সেখানে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৩৭০ ধারা রদের পর জনগণের আকাঙ্খা বেড়েছে। তাই দ্বিগুণ উৎসাহে ভোট দিয়েছেন উপত্যকার মানুষ।” ১৩ মে চতুর্থ দফায় নির্বাচন হয়েছে শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে। ভোট পড়েছে ৩৮ শতাংশ। যা উনিশের নির্বাচনের ভোটদানের হারের দ্বিগুণ।

    অপ্রীতিকর ঘটনা কোনও ঘটনা ঘটেনি

    সোমবার শ্রীনগরের ২ হাজার ১৩৫টি ভোটকেন্দ্রের কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জনগণ ভোট (PM Modi) দিয়েছেন উৎসবের মেজাজে। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় তিন দশকে সর্বোচ্চ ভোট পড়ল। কোনও নেতিবাচক ঘটনা ঘটেনি। প্রচারও হয়েছে স্বাভাবিক ছন্দেই। নির্বাচনের দিনও অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। জম্মু-কাশ্মীরের সার্বিক পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। তাই বেশি সংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছেন।

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বিশেষ করে শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের অভিনন্দন জানাতে চাই। আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন তাঁরা। ৩৭০ ধারা রদ উপত্যকার জনগণের আকাঙ্খা বাড়িয়ে দিয়েছে। পূর্ণ উদ্যমে ভোট দিয়েছেন তাঁরা। এটি জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ করে যুবদের একটি বড় প্রাপ্তি।”

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা পরাব”, ‘ইন্ডি’ নেতাদের জবাব মোদির

    শ্রীনগরে এবার লড়াই মূলত চতুর্মুখী। এই কেন্দ্রে লড়ছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির অগা রুহুল্লা, পিডিপির ওয়াহিদ পারা, জেকে আপনি পার্টির আশরাফ মির এবং ডিপিএপির অমিত ভাট। যদিও এই কেন্দ্রে এবার প্রার্থী রয়েছেন ২৪ জন। উনিশের সাধারণ নির্বাচনে শ্রীনগরে প্রার্থী ছিলেন ১২ জন। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা জম্মুর একটি বিশেষ বুথে গিয়ে প্রয়োগ করেছেন ভোটাধিকার। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পুরো ভোটগ্রহণ পর্বটিই লাইভ ওয়েব কাস্টিং করা হয়েছে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

LinkedIn
Share