Tag: Ration Scam

Ration Scam

  • Malda: “আমাদের দলেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে”, দুর্নীতি ইস্যুতে বেপরোয়া তৃণমূলের মন্ত্রী

    Malda: “আমাদের দলেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে”, দুর্নীতি ইস্যুতে বেপরোয়া তৃণমূলের মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন সমার্থক। তৃণমূল আছে, অথচ অন্তর্কলহ নেই, কাদা ছোড়াছুড়ি নেই, এটাও যেন আজ আর ভাবাই যায় না। এই তো কদিন আগের কথা। প্রত্যন্ত জেলা নয়, খাস কলকাতায় বসে দীর্ঘদিনের সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন তোপ দাগেন তৃণমূল বিধায়ক তথা তৃণমূলের ‘কালারফুল’ নেতা মদন মিত্র। হুমায়ুন কবীর তো উঠতে বসতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে যা নয় তাই বলেন। এবার সেই ভূমিকাতেই দেখা গেল তৃণমূলের এক মন্ত্রীকে। তিনি হলেন রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কয়েকদিন আগে মালদা (Malda) জেলার কালিয়াচকের আলিনগরে তৃণমূল এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। ১০০ দিনের কাজে টাকা না মেলাই ছিল মূল ইস্যু। সেখনে ভাষণ দিতে গিয়ে দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই খড়্গহস্ত হতে দেখা গেল তাঁকে।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Malda)

    যে ইস্যুতে তৃণমূলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রী জেলের ঘানি টানছেন, যে ইস্যুতে জনতার দরবারে তৃণমূলকে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে, সাবিনা ইয়াসমিন এদিন তাকেই হাতিয়ার করেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদেরকে বলব, আমাদের ভুল বুঝবেন না। আমরা যা করি আপনাদের জন্যই করি। এবার কেউ যদি কোনও দোষ করে থাকে, ভুলের ভাগীদার সে একা হবে। তার শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই। আমার বাড়িতে যদি কোনও কুলাঙ্গার ছেলে থাকে, পুলিশ যদি তাঁকে গ্রেফতার করে, তবে বাপ-মা কী করবে! শাসন করার পরও ছেলে শুধরচ্ছে না। ঠিক তেমনি আমাদের পার্টিতেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে পাপ করবে, প্রায়শ্চিত্তও তাকেই করতে হবে। কোনও ভুলের জন্য দল দায়ী নয়। দল কি কাউকে চুরি করার জন্য বলেছে? কেউ একজন দাঁড়িয়ে বলুন তো, কারও থেকে কখনও কোনও টাকা-পয়সা নিয়েছি আমি? হ্যাঁ কখনও চা খেয়েছি। টাকার বিনিময়ে কোনও কাজ আমি (Malda) আমার রাজনৈতিক জীবনে করিনি। দল কখনও টাকার বিনিময়ে কাজ করার কথা বলেনি। কেউ যদি টাকার বিনিময়ে কাজ করে, তবে সে দায়ী। আমি আপনাদের বলব, কোনও কাজের জন্য কাউকে টাকা দেবেন না। আমাদের সরকার মানুষের জন্য সব ধরনের সুবিধা করে দিয়েছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গেলেই সব কাজ হয়ে যায়।’

    জেলার রাজনীতিতে চাঞ্চল্য (Malda)

    মালদা জেলায় (Malda) তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কলহ নতুন কিছু নয়। এই নিয়ে জেলায় গন্ডগোল, ঝামেলা, খুনখারাবি লেগেই থাকে। এবার সেই বিতর্ককে আরও উস্কে দিলেন মন্ত্রী। ফলে ফের নতুন বিতর্ক শুরু হল। যদিও এই বিতর্কে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব আগের মতোই এখনও চুপই রয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: একই সেলে বালু-পার্থ! সুকান্ত বললেন, ‘‘এই জেল যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’’

    Ration Scam: একই সেলে বালু-পার্থ! সুকান্ত বললেন, ‘‘এই জেল যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পহেলা বাইশ নম্বর ওয়ার্ড যেন এমএলএ ব্লক হয়ে উঠেছে, অন্তত কারারক্ষীদের একাংশ এই সেলকে এমএলএ ব্লক নামেই ডাকছেন (Ration Scam)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা আগে থেকেই সেখানে ছিলেন এবার তাঁদের প্রতিবেশী হলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই ইডি হেফাজত থেকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। পহেলা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সেলে রয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের একই সেলে থাকা নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রীতিমতো জনপ্রিয় গানের প্যারোডিও শোনা গেল রাজ্য বিজেপির প্রধানের কণ্ঠে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    বালুরঘাটের সাংসদ এদিন বলেন, ‘‘চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড় ধরা। ধরা পড়ে গেছ, জেলযাত্রা হবে এটাই তো স্বাভাবিক। জ্যোতিপ্রিয় এবং পার্থ দুজনেই হাতে হাত রেখে গান করুন, এই জেল যদি না শেষ হয়…তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এবার থেকে হয়তো রাজ্য সরকারের ক্যাবিনেট মিটিং প্রেসিডেন্সি জেলে অথবা দিল্লির তিহাড়ে হবে।’’

    সারারাত ঘুমোননি বালু! দাবি কারারক্ষীদের একাংশের 

    সংশোধনাগার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Ration Scam) আসার পরেই অস্থির হয়ে পায়চারি শুরু করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা এরপর তাঁর চিকিৎসাও করেন। আদালতে নির্দেশ মতো তাঁকে খেতে হবে জেলের খাবার। অন্যান্য কয়েদিদের মতো জেলের দুটি কম্বলকে বালিশ করে রাতে শুয়ে পড়েন মন্ত্রী। জেলসূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সারারাত কার্যত তিনি জেগেই ছিলেন। অন্যদিকে ওই জেলে (Ration Scam) কর্তব্যরত কারারক্ষীদের একাংশ জানিয়েছেন, সোমবার সাত সকালেই নিজের সেল থেকে বেরিয়ে পড়েন বালু। মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কথাও বলেন তিনি। আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেলের কাছে গিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয়কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: খেতে হবে জেলের খাবার, শুতে হবে মেঝেতে! প্রেসিডেন্সি জেলে কেমন আছেন বালু?

    Ration Scam: খেতে হবে জেলের খাবার, শুতে হবে মেঝেতে! প্রেসিডেন্সি জেলে কেমন আছেন বালু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি হেফাজতে থাকাকালীন বাড়ির খাবারই খাচ্ছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী (Ration Scam) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে তাঁর জেল হেফাজত হওয়ার পরে এখন জেলের খাবারই খেতে হবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বেসরকারি হাসপাতালের চার্ট মেনে তাঁকে জেলের রান্না করা খাবার দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী। শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। মন্ত্রীর ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে, পাশাপাশি কিডনিরও অসুখ রয়েছে। সেই কারণে জেলের খাবারে আরও অসুস্থতা বাড়তে পারে বলে আদালতে জানিয়েছিলেন মন্ত্রীর আইনজীবী। এরপরে জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। সোমবার এই মর্মে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের কাছে বিশেষ রিপোর্ট জমা দেয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে জানানো হয় যে ডায়েট চার্ট মেনে যাবতীয় খাবার দেওয়ার (Ration Scam) পরিকাঠামো প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী মন্ত্রীকে খাবার দেওয়া যেতে পারে। এরপরেই তা অনুমোদন করে আদালত।

    জেলের ২২ নম্বর সেলে রয়েছেন মন্ত্রী

    মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের ২২ নম্বর সেলে। সূত্রের খবর, জেলের সেলে প্রথম রাতে মেঝেতে কম্বল পেতে শুয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ওই সেলেই রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সমস্ত অভিযুক্তরা। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজের সেলে একা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। টিভি, খাট এ সমস্ত কিছু পরিষেবা (Ration Scam) সেখানে নেই। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কারও সঙ্গে কথাও বলছেন না বলে জানা গিয়েছে। সকালে একবার তাঁকে সেলের বাইরে উঁকি দিতে দেখা যায়।

    ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়

    রবিবারই মন্ত্রীকে জেল হেফাজতে নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বর্তমান বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী থাকবেন জেল হেফাজতে। এর মাঝে জেলে গিয়েও তাঁকে জেরা করার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই গত ২৭ অক্টোবর রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার (Ration Scam) করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। পুজোর আগে গ্রেফতার হন বাকিবুর রহমান, তাঁর সূত্র ধরেই উঠে আসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম। জেলে গিয়েও তাঁকে ইডি জেরা করবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ঋণের টাকারও আয়কর দিতেন মন্ত্রী! বালুর অবান্তর দাবিতে বিভ্রান্ত ইডি

    Ration Scam: ঋণের টাকারও আয়কর দিতেন মন্ত্রী! বালুর অবান্তর দাবিতে বিভ্রান্ত ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই জেল হেফাজত হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Ration Scam)। রবিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডি। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে ৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর পরই হদিশ মেলে ‘শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্রেসিয়ার্স ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্ৰেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’ এই তিনটি সংস্থার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সংস্থাগুলিকে কাজে লাগানো হতো দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে। শুধু তাই নয়, জ্যোতিপ্রিয় বাকিবুরের কাছ থেকে ৯ কোটি টাকার ঋণ নেন। এই ঋণের টাকাও নাকি আয়কর দিতেন জ্যোতিপ্রিয়। বালুর এমন অযৌক্তিক দাবি ঘিরে বিভ্রান্ত ইডি কর্তারাও।

    কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হতো

    রবিবারই আদালতে পেশ করা আবেদনপত্রে ইডি উল্লেখ করেছে যে মন্ত্রীর নির্দেশেই স্ত্রী ও মেয়ে ওই সংস্থার (Ration Scam) ডিরেক্টর হন। এমনকী চেকবইতে সই করার পরে সেটা তাঁরা জ্যোতিপ্রিয়র হাতেই দিতেন। পরে জ্যোতিপ্রিয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টকে জানিয়ে দিতেন ওই টাকা সরানোর জন্য। এরপর বাকিবুরের সংস্থা থেকে পুরো টাকা অন্য সংস্থায় সরিয়ে দেওয়া হতো। এই টাকার অঙ্ক প্রায় ২০ কোটি বলে মনে করা হচ্ছে।

    ঋণের টাকার আয়কর!

    বাকিবুর রহমানের (Ration Scam) কাছ থেকে ৯ কোটি টাকা ঋণের আয়কর জমা দেওয়া নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। তদন্তকারী আধিকারিকরা এমনটাই জানিয়েছেন। ইডির দাবি, কোনও ব্যক্তির কাছে ঋণ নিলে তার আয়কর জমা দেওয়া যায় না এবং আয়কর বছরে কত টাকা তিনি আয় করেছেন তার ভিত্তিতেই হয়। এক্ষেত্রে এক অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘‘এটাকে অবান্তর বললেও ভুল হবে। লোন দুরকম হয়। একটা সিকিওরড লোন, একটা আনসিকিওরড লোন। সিকিওরড লোনের ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে কর ছাড় পাওয়া যায়। কিন্তু এটা কোনওভাবেই আয়ের অংশ নয়। তাই ঋণ কীভাবে আয়ের অংশ হতে পারে, সেটাই বোঝা যাচ্ছে। যেটা কিনা মন্ত্রী আয়কর রিটার্ন দিয়েছেন। ঋণের ওপর সুদের ওপর কর ছাড় থাকে। মন্ত্রীর ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, সেটা পৃথিবীর কোনও দেশে হয়না।’’ বাকিবুরের কাছে ঋণ নেওয়া নিয়ে মন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ছেড়ে দিন, গল্প ছেড়ে দিন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন আস্থাভাজনরা! তাই কি মৃত্যুভয় গ্রাস করছে জ্যোতিপ্রিয়কে?

    Ration Scam: পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন আস্থাভাজনরা! তাই কি মৃত্যুভয় গ্রাস করছে জ্যোতিপ্রিয়কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে একে নিভিছে দেউটি! দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন আস্থাভাজনরা। ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন রেশন কেলেঙ্কারিতে (Ration Scam) ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দিন কয়েক আগেও যে জ্যোতিপ্রিয়কে বলতে শোনা গিয়েছিল ১৩ তারিখে দেখা হবে, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার সেই তৃণমূল নেতাকেই দেখা গেল মৃত্যু ভয়ে সন্ত্রস্ত্র অবস্থায়।

    মৃত্যুভয়!

    রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় এদিন বলেন, “শরীর অত্যন্ত খারাপ, মৃত্যুশয্যায় প্রায়। লেফট সাইডটা প্রায় প্যারালিসিস হয়ে গিয়েছে।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, “আমি মরে যাব। অবস্থা খুব খারাপ।” তিনি যে শরীর খারাপের ‘দোহাই’ দিয়ে গ্রেফতারি এড়াতে চাইছেন, তা বলেছেন বিরোধীরা। কারণ, শুক্রবারও তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সতীর্থ বলেছিলেন, “আমার শরীরটা খুব খারাপ। আমার বাঁ হাত ও পা দুটিই প্রায় পক্ষাঘাতের মতো হয়ে গিয়েছে। আমি হাসাপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি। চিকিৎসা করিয়ে ফিরে আসব।”

    ঝুলি থেকে বের হতে পারে বিড়াল

    জ্যোতিপ্রিয় শরীর খারাপ বললেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা বলছেন না। গ্রেফতার (Ration Scam) হওয়ার পরে ইডি হেফাজতের কথা শুনে যেদিন এজলাসেই প্রথম অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মন্ত্রিমশাই, সেদিন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বেসরকারি এক হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, জ্যোতিপ্রিয় সুস্থই। তার পরেই তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি। কেন রাজ্যের মন্ত্রীকে গ্রাস করেছে মৃত্যুভয়? মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের একটা অংশের মতে, মন্ত্রীর একের পর এক আস্থাভাজন যেভাবে মুখ খুলতে শুরু করেছেন, তাতে ঝুলি থেকে বিড়াল বের হওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সত্য ফাঁস হয়ে গেলে সমূহ বিপদ।

    আরও পড়ুুন: ৪ দিনের জেল হেফাজত বালুর, মন্ত্রীর নির্দেশেই ৩ সংস্থার ডিরেক্টর হন স্ত্রী ও কন্যা, দাবি ইডির

    একের পর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি যাবতীয় কেলেঙ্কারির দায় চাপিয়ে যাচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়র ঘাড়ে। মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস সাফ জানান, যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রীর নির্দেশে। মন্ত্রীর পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা জানিয়েছেন, সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র লোকজন। চালকল মালিক বাকিবুর রহমানও জানিয়েছেন, যা হয়েছে, তা মন্ত্রীর নির্দেশেই। দিন গড়ানোর পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন দলীয় নেতৃত্বের একাংশও। প্রত্যাশিতভাবেই মন্ত্রীকে গ্রাস করেছে (Ration Scam) মৃত্যুভয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ration Scam: ৪ দিনের জেল হেফাজত বালুর, মন্ত্রীর নির্দেশেই ৩ সংস্থার ডিরেক্টর হন স্ত্রী ও কন্যা, দাবি ইডির

    Ration Scam: ৪ দিনের জেল হেফাজত বালুর, মন্ত্রীর নির্দেশেই ৩ সংস্থার ডিরেক্টর হন স্ত্রী ও কন্যা, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানো হল প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) গ্রেফতারের পরে ১৪ দিনই ইডি হেফাজতে ছিলেন বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। এদিন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদনও জানাননি তাঁর মক্কেলের। তবে মন্ত্রীর স্বাস্থ্যের যে অবনতি হয়েছে তা এদিন দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী। অন্যদিকে ইডির দাবি, জেরার মুখে জ্যোতিপ্রিয় স্বীকার করেছেন ৩ সংস্থার ডিরেক্টর পদে তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে তিনিই বসিয়েছিলেন।

    আদালতে কী বললেন ইডির আইনজীবী?

    প্রসঙ্গত, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের পর জ্যোতিপ্রিয়কে আগামী সোমবার আদালতের সামনে হাজির করানোর কথা ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তবে ঠিক তার একদিন আগে রবিবারই তাঁকে পেশ (Ration Scam) করা হয় আদালতে। এখানেই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির আইনজীবী জানান, জ্যোতিপ্রিয়র নির্দেশেই তাঁর স্ত্রী এবং কন্যাকে তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার কাছে একথা স্বীকারও করেছেন মন্ত্রী। অন্তত এমনটাই দাবি ইডির আইনজীবীর। এর পাশাপাশি ওই তিন সংস্থা যে জ্যোতিপ্রিয় নিজেই চালাতেন একথাও স্বীকার করেছেন মন্ত্রী। ইডির মতে, জ্যোতিপ্রিয়কে এখনও জেরা করা বাকি রয়েছে। কারণ বেশ কিছু বিষয় এখনও তদন্তে উঠে আসতে পারে বলে ধারনা কেন্দ্রীয় সংস্থার। তাই পরবর্তী জেরা তারা জেলে গিয়েই করতে চায়। এদিন ইডির আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘আমরা জানি কী করতে হবে। অভিযুক্ত রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী। তাই তদন্ত সংক্রান্ত কোনও তথ্য বাইরে এলে সমস্যা হবে। আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সে বিষয়ে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ (Ration Scam) করা প্রয়োজন।’’

    কী জানাল আদালত?

    আদালত এদিন জানিয়েছে, রবিবার বাড়ির দেওয়া খাবারই খেতে পারবেন মন্ত্রী। তবে বেসরকারি হাসপাতালের তরফে মন্ত্রীকে যে ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তা জেলে পাওয়া যাবে কিনা সে রিপোর্ট সোমবারই দেবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিন ইডি আধিকারিকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিড়বিড় করে মন্ত্রীকে (Ration Scam) বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি মরে যাব, অবস্থা খুব খারাপ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র শাশুড়ি ও শ্যালক ছিলেন শেল কোম্পানির ডিরেক্টর, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে

    Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র শাশুড়ি ও শ্যালক ছিলেন শেল কোম্পানির ডিরেক্টর, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে এতদিন পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে এবং স্ত্রীর নাম উঠে এসেছিল। এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। জানা গিয়েছে, তিনটি সন্দেহভাজন শেল কোম্পানির (Ration Scam) ডিরেক্টর হিসেবে জ্যোতিপ্রিয় কখনও নিজের শাশুড়ি, কখনও নিজের আপ্তসহায়কের ঘনিষ্ঠকে, আবার কখনও নিজের শ্যালককে দেখিয়েছিলেন। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ৯ জন এই তিন সন্দেহভাজন শেল কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। এখন এই ৯ জন ইডির আতস কাচের তলায়।

    শেল কোম্পানিগুলিতে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠদের ডিরেক্টর পদের সময়কাল 

    ইডির দাবি, ‘গ্রসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’ এর ডিরেক্টর ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র শাশুড়ি। ঘটনাক্রমে, তিনি বর্তমানে জীবিত নেই। প্রয়াত অঞ্জলি সেন ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই কোম্পানি ডিরেক্টর পদে ছিলেন। পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত-সহায়ক ঘনিষ্ঠ রণিত ‘গ্রসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্রসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’, এই তিনটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। ইডি সূত্রে যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই কোম্পানিগুলির ডিরেক্টর ছিলেন রণিত। অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শ্যালক অশোককুমার সেন ‘গ্রসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’ কোম্পানির (Ration Scam) ডিরেক্টর ছিলেন ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। অশোক সেন ‘হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেডে’র ডিরেক্টর ছিলেন ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত।

    আরও ৪ নতুন কোম্পানি ইডির র‌্যাডারে

    অন্যদিকে, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) তিনটি শেল কোম্পানি ছাড়াও গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে আরও চারটি নতুন কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলির ডিরেক্টর পদে নাম রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাস ও তার স্ত্রী সুকন্যা দাসের। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কালো টাকার সাদা করতেই এই সমস্ত কোম্পানিগুলোকে খোলা হয়েছিল। নতুন যে চারটি কোম্পানির হদিশ গোয়েন্দারা পেয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনটি কোম্পানির ঠিকানা কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে আর চতুর্থ কোম্পানির ঠিকানা হাওড়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সরকারি বস্তা কেটে আটা বের করে বাজারে বিক্রি! কালোবাজারি ধরলেন বিজেপি সাংসদ

    Nadia: সরকারি বস্তা কেটে আটা বের করে বাজারে বিক্রি! কালোবাজারি ধরলেন বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্যে একাধিক রেশন ডিলার, রাইস মিল মালিকের বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে। বহু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন ইডি হেফাজতে। এরইমধ্যেই নদিয়ার (Nadia) বীরনগরে এক ব্যক্তির বাড়ির কলাবাগানের ভেতর থেকে উদ্ধার শয়ে শয়ে রেশনের আটার বস্তা উদ্ধার হয়েছে। যাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে  নদিয়ার তাহেরপুর থানার বীরনগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরক ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) বীরনগরের প্রশান্ত পাল নামে এক ব্যক্তি এলাকারই বেশ কয়েকটি রেশন ডিলারের কাছে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতেন। আগে পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন। রেশন সামগ্রীর কালোবাজারি করে হঠাৎই ফুলে ফেঁপে ওঠে। শনিবার ওই ব্যক্তির বাড়ির কলাবাগানে প্যাকেটে সরকারি সিল মারা আটার বস্তা পাওয়া যায়। পাশাপাশি কয়েকশো খালি বস্তাও পাওয়া যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি সরকারি শিলমারা আটার বস্তা থেকে আটা বের করে লোকাল ব্র্যান্ডের স্টিকার মেরে তা খোলা বাজারে তা বিক্রি করত বলে অভিযোগ। আজ ওই ব্যক্তির কুকীর্তি সকলের নজরে পড়ে। এরপরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে যায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এরপর রেশন দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি সাংসদ। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এছাড়াও অভিযুক্ত প্রশান্ত পাল নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, রেশন দুর্নীতি কোন পর্যায়ে গিয়েছে এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তবে, প্রশান্তের মতো রাজ্য জুড়ে রেশন চুরির বড় চক্র রয়েছে। আমরা না আসলে পুলিশ এই বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দিত। আমরা এই চক্রের সঙ্গে যে বার যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আজব কাণ্ড! দুয়ারে রেশনে মিলছে টাকা! কীভাবে জানেন?

    Malda: আজব কাণ্ড! দুয়ারে রেশনে মিলছে টাকা! কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত রাইস মিমল মালিক, রেশন ডিলারের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। এসব ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, তখন দুয়ারে রেশনে আজব ছবি দেখা গেল মালদার (Malda) পাকুয়ায়। খাদ্য সামগ্রীর বদলে গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকা গুনে গুনে দিচ্ছেন খোদ ডিলার নিজেই। দুয়ারে রেশনের এমনই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় জেলার প্রশাসনিক মহলে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    গ্রাহকদের সুবিধার্ধে দুয়ারে রেশন চালু করেছে রাজ্য সরকার। এক বছর ধরে মালদাতেও (Malda) সে প্রকল্প চলছে। তবে পাকুয়ায় কামাতিপাড়ায় দুয়ারে রেশনের কোনও চিহ্ন নেই। নেই ফ্লেক্স, ফেস্টুন কিংবা খাদ্য সামগ্রী। রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় কর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের হাতে হাতে দিচ্ছেন নগদ টাকা। এমনই অভিযোগ গ্রাহকদের। তাঁদের দাবি, রেশনের খাদ্য সামগ্রী আটা,চালের মান খুবই নিম্নমানের। তাই, চাল, আটা খোলা বাজারে বিক্রি করতে দিতে হয়। তবে রেশন ডিলার নিজেই রেশন দোকানে বসে আটা, চালের মূল্য ধরে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেককে টোকেন দেওয়া রয়েছে। সেই টোকেন নিয়ে ডিলারের কাছে গেলেই মিলছে টাকা। গ্রাহকদের বক্তব্য, আসলে রেশনে যে সামগ্রী দেওয়া হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের। রেশন ডিলার নিজেই তা কিনে নিতে চান। তাই, নিজের সামগ্রী সেখানে বিক্রি করে মূল্য পেয়ে যায়। রেশনে গুণগত মান ভাল দিলে আর আমরা বিক্রি করব না। 

    কী বললেন রেশন ডিলার?

    রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় বলেন, নিয়ম মেনেই গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে রেশন কেনা কিংবা তাদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। প্রশাসনর পক্ষ থেকে তদন্ত করা হোক। 

    কী বললেন খাদ্য দফতরের আধিকারিক?                                     

    মালদার (Malda) পাকুয়ার কামাতিপাড়ায় ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান বামনগোলার ফুড ইন্সপেক্টর মহম্মদ আলমেবাশেরুল। রেশন ডিলারের দোকান এবং গোডাউনেও যান তিনি। তিনি বলেন, রেশনে খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  বলে জানিয়েছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                     

  • Ration Scam: ডিলাররা ফড়েদের কাছে রেশন-সামগ্রী বিক্রি করত, অভিযোগে তোলপাড় মেমারি

    Ration Scam: ডিলাররা ফড়েদের কাছে রেশন-সামগ্রী বিক্রি করত, অভিযোগে তোলপাড় মেমারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিলাররা ফড়েদের কাছেই রেশনের (Ration Scam) সামগ্রী বিক্রি করে। উপভোক্তাদের এই অভিযোগে তোলপাড় পূর্ব বর্ধমানের মেমারি। রেশন-দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অপর দিকে রেশনের চাল, আটা, গম বিক্রি করে কালো টাকায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির পাহাড় নির্মাণ করেছেন তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান। এখন জেলায় জেলায় রেশন দুর্নীতি মামলায় চলছে ধরপাকড় এবং তল্লাশি। রেশনের সামগ্রী ফড়েদের কাছে বিক্রি করেই করা হত রেশন-দুর্নীতি।

    কীভবে চলত বিক্রি (Ration Scam)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন (Ration Scam) ডিলাররা উপভোক্তাদের অনলাইনের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী না দিয়ে দিতেন টোকেন। এরপর উপভোক্তাদের প্রাপ্য সামগ্রী এক দল অসাধু ব্যবসায়ী বা ফড়েদের কাছে বিক্রি চলতো। এই বিষয়ে মেমারির বেনাপুর গ্রামের মানুষের অভিযোগ, এমন ভাবেই এই এলাকার ডিলার, রেশনের সামগ্রী বিক্রি করে দুর্নীতি করতেন। আর গতকাল মঙ্গলবার এই অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ালে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে পুলিশ।

    রেশন ডিলারের বক্তব্য

    স্থানীয় ডিলার রাজীব রায় বলেন, “ওই টোকেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কর্মীরা যুক্ত থাকতে পারেন। রেশন সামগ্রীর হিসাবেও গোলমাল হচ্ছে, খাদ্য দফতরকে জানাবো।” পরে অবশ্য রেশন দোকানের কর্মী বিপ্লব পাল বলেন, “টোকেন দেখেই আমরা রেশন সামগ্রী দিতাম। তবে কাকে কীভাবে টোকেন দেওয়া হয়েছে, তা আমি বলতে পারবো না।”

    পূর্ব বর্ধমানের জেলা খাদ্য নিয়ামক মিঠুন দাস বলেন, “অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে তদন্তকারী অফিসারদের পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি রসুলপুরের রেশন (Ration Scam)  ডিলারকে সোমবার সাসপেন্ড করা হয়েছে।”

    ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য

    পশ্চিমবঙ্গ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমানের সম্পাদক পরেশচন্দ্র হাজরা বলেন, “রেশন বণ্টনে (Ration Scam) টোকন দেওয়ার বিশেষ কোনও নিয়ম নেই। ইংরেজি বুঝতে না পারলে গ্রাহকের অনলাইন বিলের পিছনে প্রাপ্য সামগ্রী লিখে রাখতে হবে। এই বিষয়ে খাদ্য দফতর ব্যবস্থা যদি না নেয়, তাহলে ডিলার অ্যাসোসিয়েশন কোনও ব্যবস্থা নেবে না। ”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share