Tag: Ration Scam

Ration Scam

  • Ration Scam: রেশনকাণ্ডে চতুর্থ গ্রেফতার, ইডি-র জালে শঙ্কর-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ

    Ration Scam: রেশনকাণ্ডে চতুর্থ গ্রেফতার, ইডি-র জালে শঙ্কর-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় (Ration Scam) আরও একজনকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার সকালে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ‘ডাকু’ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করেছে ইডি (ED Arrests Businessman)। এই নিয়ে রেশনকাণ্ডে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়াল চার। এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে। তাঁর সূত্রে ধরে ধরা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুকে। এ বার শঙ্করের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে ধরল ইডি। 

    রাতভর জেরার পর গ্রেফতার

    মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ, সল্টলেকে বিশ্বজিতের প্রাসাদোপম বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। একইসঙ্গে মেট্রোপলিটন এলাকায় তাঁর আরও একটি ফ্ল্যাট, বাগুইআটির অফিস-সহ ৬টি জায়গায় চলে তল্লাশি। তবে তখন ব্যবসায়ী কলকাতার বাইরে ছিলেন। বিকেলে বিমানে কলকাতা পৌঁছলে তাঁকে বিমানবন্দরেই আটক করেন ইডির গোয়েন্দারা (Ration Scam)। নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তদন্তকারীদের দাবি, বিভ্রান্তিকর জবাব দিয়ে তদন্তকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করছিলেন বিশ্বজিৎ। এমনকী তথ্য গোপন করেন তিনি। এর পরই, তদন্তে অসহযোগিতা এবং বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকার জেরে এদিন সকালে গ্রেফতার (ED Arrests Businessman) করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। সেই সঙ্গে ধৃত ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ হাওয়ালা-সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার। 

    কীভাবে হত টাকা-পাচার?

    শঙ্করকে গ্রেফতারের পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, মধ‌্যপ্রাচ‌্য থেকে মূলত বাংলাদেশ হয়ে পাচার হওয়া সোনার বিস্কুট বা সোনার বাটের একটি বড় অংশ এসে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ও তার আশপাশের অঞ্চলে (Ration Scam)। ওই সোনা পাচারের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ ছিল শঙ্কর আঢ‌্যর হাতে। অভিযোগ, সোনা পাচারকারীদের মাধ‌্যমে শঙ্করই বনগাঁ থেকে ওই সোনা কখনও ট্রেন, আবার কখনও বা সড়কপথে পাচার করতেন কলকাতায়। সেই সোনা তাঁরই এক আত্মীয়ের লোকজন কলকাতায় বসে নিতেন।

    বিশ্বজিতের ভূমিকা ঠিক কী?

    গোয়েন্দা আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, শঙ্কর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিতের (ED Arrests Businessman) বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে, সোনার ব্যবসা রয়েছে, এছাড়াও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট সংস্থা রয়েছে। ইডির অভিযোগ, মোটা কমিশনের বিনিময়ে এই ব্যবসায়ী শংকর আঢ্যকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন। বিদেশি মুদ্রার সংস্থার মাধ্যমে শঙ্করের কালো টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তিনি। ভুয়ো আমদানি দেখিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। জানা গিয়েছে, আজই বিশ্বজিৎ দাসকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে পেশ করবে তারা (Ration Scam)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid in Kolkata: ফিরল বড়ঞার ছবি! ইডি আসতেই পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়লেন ব্যবসায়ী

    ED Raid in Kolkata: ফিরল বড়ঞার ছবি! ইডি আসতেই পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়লেন ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার মঙ্গলবার ফের একবার তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি (ED Raid in Kolkata)। সকালে সল্টলেক-সহ ছয় জায়গায় হানা দেয় ইডি। এদিনের তল্লাশিতে ফিরে এল বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ক্রিয়াকলাপের প্রতিচ্ছবি। গত বছরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হানা দেয়। সে সময়ই নিজের মোবাইল ফোনটি পুকুরে ফেলে দেন বিধায়ক। তা উদ্ধার করতে কালঘাম ছোটে তদন্তকারীদের। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা আসছেন এ খবর পেয়েই নিজের দু’টি মোবাইল পাশের বাড়ির ছাদে ছুড়ে দেন কৈখালির জনৈক ব্যবসায়ী। পরে পাশের বাড়ি থেকে সেই মোবাইল দু’টি উদ্ধার করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ ছিল কি ফোনে?

    কৈখালির ওই ব্যবসায়ী ফোন ছুড়ে ফেলে দেওয়াতে, তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, দু’টি ফোনে ‘আর্থিক দুর্নীতি’ সংক্রান্ত অনেক তথ্য লুকিয়ে থাকতে পারে। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। আপাতত ফোন দু’টি বাজেয়াপ্ত করে সেই ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাত সকালেই ফের সক্রিয় ইডি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তদন্তকারীরা পৌঁছে যান সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে। এছাড়াও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকেরা নিউ আলিপুর, পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি এলাকার আরও পাঁচটি জায়গায় হানা (ED Raid in Kolkata) দিয়েছেন জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

    এক বিশ্বজিৎ দাসকে খুঁজছে ইডি, কে তিনি?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে আইবি ব্লকে যেখানে হানা দেয় ইডি-র (ED Raid in Kolkata) দল, তা বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বিশ্বজিতের দুটো ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি-র দাবি, এই বিশ্বজিৎ রেশনকাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ। এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে রেশনকাণ্ডের মাধ্যমে টাকা নয়-ছয় হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid in Kolkata: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, শহরের ৬ জায়গায় একযোগে হানা

    ED Raid in Kolkata: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযান ইডির, শহরের ৬ জায়গায় একযোগে হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED Raid in Kolkata)। মঙ্গলবার সকালে শহরজুড়ে ‘অ্যাকশন’ ইডি-র। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে তল্লাশি-অভিযান। 

    সাত-সকালে দুয়ারে ইডি

    এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় সল্টলেক-সহ কলকাতার ছ’জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি (ED Raid)। একটি দল সল্টলেক আইবি ব্লকে পৌঁছেছে। নিউ আলিপুরের একটি বহুতলে পৌঁছে গিয়েছে তদন্তকারীদের একটি দল। বাগুইআটির একটি আবাসনেও চলছে ইডির হানা। এছাড়া— পার্ক স্ট্রিট-রাসেল স্ট্রিট, বন্দর এলাকা, বাগুইহাটি-কৈখালি এলাকার একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন ইডি গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। সূত্রের খবর, ৮ থেকে ১০টি টিম আজ তদন্তে বেরিয়েছে। এদিন ২টি মামলায় মূলত তল্লাশি চলছে। একটি রেশন দুর্নীতি, অপরটি স্টক এক্সচেঞ্জ সংক্রান্ত।

    এক বিশ্বজিৎ দাসকে খুঁজছে ইডি, কে তিনি?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে আইবি ব্লকে যেখানে হানা দেয় ইডি-র (ED Raid in Kolkata) দল, তা বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বিশ্বজিতের দুটো ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে।

    শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ!

    ইডি (ED Raid in Kolkata) সূত্রের খবর, শঙ্করকে গ্রেফতারের পর আদালতে ইডি জানিয়েছিল, ৯০টির বেশি ফরেক্স বা বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের সংস্থা রয়েছে শঙ্কর এবং তাঁর পরিবারের। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, রেশনকাণ্ডে যে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছিল, সেই টাকা কোথায় এবং কী ভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা জানতেই এই তল্লাশি অভিযান চলছে। ইডি-র আরও দাবি, এই বিশ্বজিৎ শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ। রেশনকাণ্ডের (Ration Scam) এই টাকা নয়ছয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিশ্বজিতের। সেই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতেই এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি ।

    এছাড়া, এদিন বাগুইআটির একটি অভিজাত আবাসনে হানা দেয় ইডি। আবাসনটি হানিস তসরিওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর। অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুরে ব্যবসায়ী সুনীল কায়ানের বাড়িতে তল্লাশি (ED Raid in Kolkata) চলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রেশনের চাল-ডাল বাজারে বিক্রি করছেন ডিস্ট্রিবিউটর, ইডি-র দ্বারস্থ গ্রাহকেরা

    Murshidabad: রেশনের চাল-ডাল বাজারে বিক্রি করছেন ডিস্ট্রিবিউটর, ইডি-র দ্বারস্থ গ্রাহকেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোলা বাজারে রেশনের চাল-ডাল বিক্রির অভিযোগ। এবার রেশন ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে ইডির কাছে অভিযোগ করে চিঠি করলেন বঞ্চিত গ্রাহকেরা। অবৈধ ভাবে ওই রেশনের ডিলার কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একই ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান, প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর শঙ্কর আঢ্য। উদ্ধার হয়েছে পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির হিসেব। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। এরপর থেকে উত্তর ২৪ পরগনা রাজনৈতিক ভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে। এবার এই রেশন দুর্নীতির কথা বলে সরব হয়েছে গ্রাহকেরেই।

    মূল অভিযোগ কী(Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলের সামশেরগঞ্জ এবং ফরাক্কা ব্লকের বেশ কিছু জায়গায় গ্রাহকেরা কলকাতার ইডির স্পেশাল ডিরেক্টরকে লিখিত ভাবে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন। তাঁরা জানান, সমাসেরগঞ্জের গোরুরহাটের সিতারা বেগম এমআর ডিসট্রিবিউটার। মূলত তাঁর কাজ দেখা শোনা করেন দুই ভাইপো ওয়াসিম হোসেন এবং হোসেন মহম্মদ কাইজার। তাঁদের কাছে মোট বরাদ্দ রেশনের ৫০ শতাংশ খাদ্যশস্য, চাল, গম এবং আটা, রঘুনাথগঞ্জের একটি চালকলে বিক্রির করে দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেক মাসে। কেন্দ্র সরকারের পাঠানো যে রেশন সাধারণ মানুষের প্রাপ্য সামগ্রী, সেই রেশন খোলা বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি অবৈধ কালো টাকা আয় করেছে ডিলার। ঘটনায় সরব এলাকাবাসী।

    মোট রেশন সামগ্রীর পরিমাণ

    স্থানীয় (Murshidabad) সূত্রে মোট রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার পরিমাণ জানা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ ফুড কর্পোরেশনের গোডাউন থেকে এমআর ডিস্ট্রিবিউটর প্রতি মাসে ৬০০টি লরিতে ৬০ হাজার কুইন্টাল খাদ্য সামগ্রী তুলে থাকে। প্রতি লরিতে ১০০ কুইন্টাল খাদ্য সামগ্রী থাকে। এর মধ্যে ২০০ লরি খাদ্য সামগ্রী চালকলে বিক্রি করে আয় করা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। রেশনের সঙ্গে প্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে-মিলের খাদ্যও খোলা বাজারে বিক্রি করার কাজ চলছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিরাট পরিমাণ বেআইনি এবং দুর্নীতির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলতেই এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন মামলায় পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Ration Scam: রেশন মামলায় পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় পুলিশের তদন্তের ওপরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বিচারপতি এদিন জানিয়েছেন, মামলায় এখনও যদি পুলিশি তদন্ত চলে তাহলে তা স্থগিত থাকবে এবং নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়াও চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে রেশন দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল (Ration Scam)। এদিনের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্ট ৫ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি এই মামলায় রাজ্যের কাছে কেস ডায়েরিও চেয়ে পাঠিয়েছে উচ্চ আদালত।

    ২০১৯ সালে বালিগঞ্জ থানায় প্রথম এফআইআর

    এদিন উচ্চ আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে যে ২০১৯ সালে বালিগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর-এর ভিত্তিতে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) মামলা শুরু হয়েছিল। তবে সেই মামলা যদি পুলিশ এখনও চালিয়ে নিয়ে যায়, তবে তা অবিলম্বে স্থগিত করতে হবে। প্রসঙ্গত রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ছয়টি মামলার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ। এবং এই মামলাগুলিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তদন্তে নেমে তারা জানতে পেরেছে, দুর্নীতি সংক্রান্ত ছ’টি এফআইআর রাজ্য পুলিশের কাছে দায়ের হলেও পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরা তো দূরের কথা, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি, বরং তদন্ত বন্ধ করেছে। তাই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ইডি আর্জি জানিয়েছিল রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলার তদন্ত রাজ্য পুলিশ করছে তা যেন সিবিআই এর হাতে অবিলম্বে তুলে দেওয়া হয়।

    গত ডিসেম্বরে জমা পড়ে প্রথম চার্জশিট

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসেই রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলার প্রথম চার্জশিট আদালতে জমা করে ইডি। ১২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট পেশ করা হয় আদালতে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমান ছাড়াও আরও দশটি কোম্পানির উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে, সেই সময় ইডি জানিয়েছিল এই দুর্নীতিতে আর্থিক অঙ্ক প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

    Ration Scam: রেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ইডি। রেশনের আটা বিলি ও চাল কেনা সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের দায়ের করা সব ক’টি মামলা এবার সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো হোক, চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। হাইকোর্টে ইডির আবেদন, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের দায়ের করা মামলাগুলির তদন্তভার তুলে দেওয়া হোক সিবিআই-এর হাতে।

    কেন এই আবেদন

    ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত ছ’টি এফআইআর রাজ্যের পুলিশের তদন্তাধীন থাকা সত্ত্বেও পুলিশ অপরাধীকে ধরা তো দূর তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি। উপরন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে রেখেছে। হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) ইডির অনুরোধ, রেশন সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলা রাজ্য পুলিশের তদন্তাধীন ছিল, তা যেন সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবারই হাইকোর্টে এই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ইডির অভিযোগ রেশন দুর্নীতির সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা মন্ত্রী জড়িত থাকার কারণে উপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে রেশন দুর্নীতির তদন্ত এগিয়েছে এক তরফা ভাবে। 

    আরও পড়ুন: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    বিস্মিত ইডি

    বাংলায় রেশন সংক্রান্ত (Ration Scam) আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তারা গ্রেফতার করেছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী তথা চাল-গমের মিলের মালিক বাকিবুর রহমান এবং বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকেও। রেশন কাণ্ডে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা সন্দেশখালির শাহজাহান শেখকেও খুঁজছে ইডি। রেশন সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের ছ’টি মামলার মধ্যে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল কলকাতায়। বাকি চারটি দায়ের হয় নদিয়া জেলায়। ইডি এই এফআইআরের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিল। শুক্রবার হাই কোর্টকে তারা জানিয়েছে, ‘‘মামলাগুলির কি অগ্রগতি হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডি়জিকে চিঠি দিয়েছিল তারা। একই সঙ্গে এই মামলায় যুক্ত থাকা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছিল ডিজিপিকে। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই জবাব আসেনি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ১০০০ কোটি টাকার বদল! রেশন দুর্নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ ইডি

    Ration Scam: ১০০০ কোটি টাকার বদল! রেশন দুর্নীতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Scam) রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইডি। এক দশকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এর মধ্যে জেল হেফাজতে থাকা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya mallick) ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা রয়েছে বলে ইডি সূত্রের দাবি। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যরও (Shankar Addhya) বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসা রয়েছে। 

    কত টাকার বিনিময়

    ইডির (ED) দাবি, গত এক দশকের মধ্যে (২০১২-২০২৩) শঙ্করের এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার ভারতীয় মুদ্রাকে বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, এই বিদেশি মুদ্রায় বদলের মাধ্যমেই দুর্নীতির টাকা সরানো হয়ে থাকতে পারে। ইডি সূত্রের দাবি, এই এক হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে শঙ্করের চারটি সংস্থার মাধ্যমে। তাছাড়া হিরামতি এক্সপোর্ট সংস্থার মাধ্যমে ১১৭ কোটি টাকা বিদেশি মুদ্রায় বদল করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের নামে আটটি এমন সংস্থা থাকলেও নামে-বেনামে প্রায় ৫০টির বেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা খুলে বিদেশে টাকা পাচার করেছিলেন শঙ্কর। তার মধ্যে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং হিসাবরক্ষকের নামেও সংস্থা রয়েছে। ইডির দাবি, শঙ্করই সংস্থাগুলি নিয়ন্ত্রণ করতেন।

    আরও পড়ুন: চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি! বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা

    কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ

    ইডির এক কর্তার কথায়, বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসা সম্পূর্ণ ভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন। রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Scam) ধৃত শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের মালিকানাধীন আটটি সংস্থা-সহ ১০০টিরও বেশি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার তথ্য এবং গত ১০ বছরের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানার জন্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে তদন্তে উঠে আসা সমস্ত নথি-সহ চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, দু’টি পন্থায় দুবাই ও অন্য স্থানে পাঠানো হয়েছে ওই টাকা। প্রথমত, নগদ টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে ভুয়ো সংস্থায় জমা করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রার সন্ধান! জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগ নেই দাবি রেশন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্করের  

    Ration Scam: প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রার সন্ধান! জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগ নেই দাবি রেশন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্করের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) দায়ে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বা তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে কোনও যোগ নেই বলে দাবি শঙ্কর আঢ্যের। কিন্তু তাঁর মেয়ের ফেসবুক পোস্ট বলছে অন্যকথা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট করেছিলেন শঙ্কর কন্যা ঋতুপর্ণা আঢ্য। জ্যোতিপ্রিয়কে ‘জ্যেঠু’ বলে ডাকেন শঙ্কর কন্যা। অথচ সোমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর স্পষ্ট জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে তাঁর যোগ অস্বীকার করেন।

    ইডি অফিসে শঙ্করের মেয়ে

    মঙ্গলবার সকালে ইডি দফতরে এলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর মেয়ে ঋতুপর্ণা আঢ্য। রেশন বন্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে শঙ্করকে। তার নামে একাধিক এফএফএমসি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে ইডি। এমনকী তার পরিবারের অন্যান্যদের নামেও এইসব কোম্পানির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই শঙ্কর আঢ্যর ভাইয়ের বউকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সূত্রের খবর এই বিষয়ে শঙ্কর আঢ্যর মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    শঙ্করের অফিস থেকে উদ্ধার বিদেশি মুদ্রা

    গতকাল সোমবার দিনভর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ইডির আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। বনগাঁর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এই শঙ্কর আঢ্যর চারটি সংস্থায় ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযান চালান। সেগুলি আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ইডি আধিকারিকরা দাবি করছেন, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি কম্পিউটারের হার্ডডিক্স, ল্যাপটপ, মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় (Ration Scam) ধৃত বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর অফিস থেকে প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করেছে ইডি। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা। ইডি সূ্ত্রে খবর, মধ্য কলকাতার মারকুইজ স্ট্রিটে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার একটি অফিস থেকে ওই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ওই অফিসে রাখা ছিল তা খতিয়ে দেখছে ইডি। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তে শহরের ছ’টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করে ইডি। এর মধ্যে ছিল শঙ্করের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অরবিন্দ সিংয়ের অফিস। এ ছাড়াও চৌরঙ্গি এলাকায় এবং মারকুইজ স্ট্রিটে শঙ্করের ফরেক্স সংস্থার অফিসে হানা দেয় ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতির দায়ে ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর পরিবারকে তলব ইডি-র 

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতির দায়ে ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর পরিবারকে তলব ইডি-র 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর পরিবারের সদস্যদের তলব করেছিল ইডি। শুক্রবার তাঁর মা, মেয়ে ও ভাইয়ের স্ত্রী ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন।  সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় এজেন্সির (Central Agency) অনুমান, সপরিবারে রেশন দুর্নীতিতে জড়িত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য (Shankar Adhya)। 

    কেন তলব ইডি-র

    শঙ্কর আঢ্য তাঁর মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ভাইয়ের নামে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা খুলেছিলেন , বলে দাবি ইডি-র। রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই ৯৫ বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার হদিশ মিলেছে। ৬টি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের নামে, বাকি সংস্থা ছিল ‘ভুয়ো নামে’, আদালতে জমা দেওয়া তালিকায় এই তথ্য জানিয়েছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে দাবি, যে সব মুদ্রা বিনিময় বা ফোরেক্স সংস্থার মাধ্যমে দুবাই ও বাংলাদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে, তার মধ্যে একাধিক সংস্থা রয়েছে শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, শঙ্কর আঢ্যর নিজের নামে যেমন রয়েছে এস আর আঢ্য ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেড, তেমনই তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যর নামে রয়েছে অর্পণ ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড।

    আরও পড়ুন: ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’, ইডি হানায় খোঁচা শুভেন্দুর, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’, কটাক্ষ দিলীপের

    কোন কোন সংস্থা পরিবারের নামে

    এদিন শঙ্কর আঢ্যকে মেডিক্যালের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বেরোনোর সময় শঙ্কর তাঁর পরিবারের সদস্যদের তলব প্রসঙ্গে বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে যাকে খুশি ডাকতেই পারে এজেন্সি।’ তদন্তকারীদের অনুমান, কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হবে, সেই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল শংকর আঢ্যর। যাতে পরিবারের সদস্যদেরও যুক্ত করেছিলেন তিনি। শঙ্কর আঢ্যর পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও এস আর আঢ্য ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেডের অংশীদার। শঙ্কর আঢ্যর ছেলে শুভ আঢ্য ও শ্যালক অমিত ঘোষের নামে রয়েছে শঙ্কর ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড। মেয়ে ঋতুপর্ণা আঢ্যর নামে রয়েছে অর্পণ ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড। ভাই মলয় আঢ্য ও মা শিবানী আঢ্যর নামে রয়েছে আঢ্য ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড। ইডি সূত্রে দাবি, এভাবেই নিজের মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ভাইয়ের নামে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা খুলে বিদেশে টাকা পাচারের কারবার ফেঁদে বসেছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সহ সভাপতি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    Ration Scam: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) সরাসরি যুক্ত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির দাবি, নিজেই কাটমানি নিতেন মন্ত্রী। বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এমনকী চালকল মালিকদের থেকে নিয়মিত ‘কাটমানি’ নিতেন তিনি। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা করে ‘কাটমানি নেওয়া হত’ বলে ইডির দাবি। 

    ধান কেনার চুক্তিপত্র

    ইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনমন্ত্রীর পদে আসার পরও সমানভাবেই দুর্নীতি (Ration Scam) চালিয়ে যেতেন। বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন তিনি। বন দফতরের তল্লাশি চালিয়ে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনার প্রায় ১০০টি চুক্তিপত্র মিলেছে, বলে দাবি ইডির। ধান কেনাবেচায় মন্ত্রী নিজেই কমিশন নিতেন। সমস্ত রাইস মিল মালিকদের এই কমিশন দিতে হত। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যেত কমিশন। আদালতের রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    নিয়মিত ‘কাটমানি’ সংগ্রহ

    খাদ্যমন্ত্রীর পদে বসে থেকে চালকল মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত ‘কাটমানি’ নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। রেশন বণ্টন (Ration Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই জানা গিয়েছিল এই খবর। আদালতের শুনানিতেও এই দাবিই বহাল রাখল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খাদ্যমন্ত্রী হিসাবে পদাধিকার বলে ওই দফতরেরই অধীনস্থ ‘পশ্চিমবঙ্গ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ সংস্থা’র চেয়ারম্যান ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। ওই সংস্থার মাধ্যমেই চলত কাটমানি দেওয়া-নেওয়া। কুইন্টাল পিছু খাদ্যশস্যে এই ‘কাটমানি’ জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর সঙ্গীরা নিয়মিত নগদে নিয়ে থাকতেন বলেও আদালতে দাবি করেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: সহায়ক মূল্যে চাষিদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে! চাঞ্চল্য

    মূল চাঁই বাকিবুর

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার বহু চাল এবং আটাকলে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) সিন্ডিকেট চলেছে বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তদন্তকারীরা তখনই দাবি করেছিলেন, এই সিন্ডিকেটের অন্যতম চাঁই ছিলেন ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। এ বার সেই সম্পর্কিত একাধিক তথ্য জমা করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০২১ সালের পয়লা ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর— এই ২২ মাসের সময়কালে বাকিবুরের ‘মেসার্স এনপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেড’ একাই তার ডিস্ট্রিবিউটর বা সরবরাহকারীদের কাছে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫০০ কুইন্টালেরও বেশি আটা (১,৪২,৫০০.৯৯৯৫ কুইন্টাল) কম সরবরাহ করেছে। যা মোট নির্ধারিত পরিমাণের ২৫.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ, যত আটা সরবরাহ করার কথা, তার চার ভাগের এক ভাগ আটা সরবরাহই করা হয়নি। অথচ, সেই বাবদ টাকা কিন্তু সরকার দিয়েছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে, বাকিবুর চাল এবং আটার দুর্নীতির মাধ্যমে নগদে ৯০০ কোটিরও বেশি অর্থ কামিয়েছেন। যে দুর্নীতিলব্ধ অর্থের একটি অংশ তিনি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন খাদ্য এবং সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share