Tag: Reserve Bank of India

Reserve Bank of India

  • 2000 Notes: ২ হাজার টাকার নোটের ৮৮ শতাংশই ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে, জানাল আরবিআই

    2000 Notes: ২ হাজার টাকার নোটের ৮৮ শতাংশই ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে বাজারে থাকা দু হাজার টাকার নোটের মোট ৮৮ শতাংশই তাদের কাছে ফিরে এসেছে। যার মূল্য ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৯ মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। এবং সেখানে বলা হয় যে বাজার থেকে ২,০০০ টাকার নোট (2000 Notes) তুলে নেওয়া হবে। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় চলতি বছরে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ২,০০০ টাকার (2000 Notes) নোটগুলি ব্যাঙ্কে এসে হয় বদল করে নিতে হবে অথবা অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে।

    নোট বদলের থেকে জমা করার প্রবণতা বেশি

    সবে অগাস্ট মাস শুরু হয়েছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এখনও পর্যন্ত দুই মাস বাকি রয়েছে নোট জমা বা বদলের জন্য।  অথচ তারই মধ্যে ৮৮ শতাংশ নোট ফিরে চলে এসেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাব বলছে, ১৯ মে পর্যন্ত বাজারে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকার মূল্যের ২,০০০ টাকার (2000 Notes) নোট চালু ছিল। যার মধ্যে তাদের কাছে ফিরে এসেছে  ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। ব্যাঙ্কে এসে নোট বদল করার চেয়েও জমা করার প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছে। ব্যাঙ্কে নোট জমা করার প্রবণতা বেশি হওয়ায় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন,‘‘এর ফলে ব্যাঙ্কের কাছে নগদের যে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল, তা অনেকটাই কাটবে এবং দেশের মানুষের নোট জমা করার প্রবণতার ফলে দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে বাড়তে থাকবে ডিপোজিট।’’

    ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও অবৈধ হবেনা ২,০০০ টাকার নোট (2000 Notes)

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসের ৮ তারিখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন যে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেও নোট জমা না পড়লে তা অবৈধ হয়ে যাবে না। ২,০০০ টাকার (2000 Notes) নোট বদল করা বা জমা করার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সে সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, ‘‘বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ শতাংশ টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।’’ অর্থাৎ কিনা নোট বদল করার থেকেও জমা করার প্রবণতা বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Repo Rate Unchanged: মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    Repo Rate Unchanged: মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণের চাপ থেকে মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে রেপো রেট (Repo Rate Unchanged) বাড়ানোর পথে হাঁটল না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আগের মতো রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশই থাকছে। এই নিয়ে টানা ৬ বার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। 

    কী বললেন শক্তিকান্ত দাস?

    গত ৬ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটির (এমপিসি) বৈঠক (RBI Monetary Policy)। এই দ্বিমাসিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রেপো রেট নিয়ে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে নজর ছিল সকলের। তিনদিনের বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেন, ‘‘এবারের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং কমিটি রেপো রেট (Repo Rate Unchanged) ৬.৫০ শতাংশে স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছয় সদস্যের মধ্যে পাঁচজন এর পক্ষে রায় দিয়েছেন।’’ একইভাবে, স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফেসিলিটি ও মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেসিলিটির হারও যথাক্রমে ৬.২৫ ও ৬.৭৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। 

    শীর্ষ ব্যাঙ্কের ঘোষণায় স্বস্তিতে মধ্যবিত্ত

    রেপো রেট (অর্থাৎ, যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে স্বল্প মেয়াদে ঋণ দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক) অপরিবর্তিত (Repo Rate Unchanged) থাকার ফলে, গৃহ ঋণ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ঋণ, গাড়ির ঋণ ও শিক্ষা ঋণে সুদের হার একই থাকবে। তা বাড়বে না। রেপো রেট বৃদ্ধি পেলে, মধ্যবিত্তদের সমস্যা বাড়ত। কারণ, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হারও বাড়িয়ে দিত। কিন্তু, রেপো রেট স্থির থাকায়, আশা করা যাচ্ছে যে, ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার বৃদ্ধি করবে না। 

    মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রচেষ্টা অব্যাহত

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, রেপো রেট স্থির (Repo Rate Unchanged) থাকলে, মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করা সহজ হবে। যে কারণে, গত ৬ বার রেপো রেট এক রাখার ফলে, দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতিতে আংশিক লাগাম পরানো গিয়েছে। শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে মিশ্র সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। মূদ্রাস্ফীতিও কিছুটা কমবে বলে মনে হচ্ছে (RBI Monetary Policy)। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’’ এরসঙ্গেই তাঁর দাবি, জিডিপি বৃদ্ধির সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা আগে ৬.৫ শতাংশ রাখা হলেও তা বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Reserve Bank of India: আর দিতে হবে না ‘পেনাল ইন্টারেস্ট’! ঋণগ্রহীতাদের সুরাহায় নানা নির্দেশ আরবিআইয়ের

    Reserve Bank of India: আর দিতে হবে না ‘পেনাল ইন্টারেস্ট’! ঋণগ্রহীতাদের সুরাহায় নানা নির্দেশ আরবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণের চুক্তি লঙ্ঘনের জেরে আর গ্রাহকদের থেকে পেনাল্টি ইন্টারেস্ট নিতে পারবে না ব্যাঙ্কগুলি। বদলে পেনাল্টি চার্জ নেওয়া যেতে পারে। এই মর্মে ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য একগুচ্ছ নির্দেশ জারি করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India)। শীর্ষ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী, যে কোনও গ্রাহক পরিবর্তনশীল সুদে ঋণ নিয়ে থাকলেও, তাঁকে সেই ধার স্থায়ী সুদের হারে শোধের সুযোগ দিতে হবে। সে জন্য কোনও চার্জ নেওয়া হলে, শুরুতেই তা জানাতে হবে স্পষ্ট। 

    নয়া নিয়মে কী কী

    এই নয়া নিয়মের ফলে ঋণের চুক্তি লঙ্ঘন বা কোনও একটি সুদ দিতে দেরি হলে ঋণগ্রহীতাদের মোটা অঙ্কের টাকা খসবে না। আরবিআই জানিয়েছে, এরপর থেকে ঋণের সুদের হারের ওপর বাড়তি কোনও সুদ চাপাতে পারবে না ব্যাঙ্কগুলি। এদিকে আরবিআই (Reserve Bank of India) আরও জানিয়েছ, এরপর থেকে ঋণের চুক্তি লঙ্ঘনের জেরে যে পেনাল্টি চার্জ ধার্য করা হবে, তা যেন যথাযথ হয়। এদিকে ঋণগ্রহীতাদের আগেভাগেই পেনাল্টি সম্পর্কে অবগত করার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরবিআই-এর তরফে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে। শুধু তা-ই নয়, আগামী দিনে ধার মঞ্জুর করার সময়ে সুদ বাড়লে, গ্রাহকের উপর কতটা চাপ পড়তে পারে (মাসিক কিস্তি এবং শোধের মেয়াদের সম্ভাব্য বৃদ্ধি সম্পর্কে) তা-ও গ্রাহককে পরিষ্কার জানাতে বলা হয়েছে। জরিমানা হিসাবে বাড়তি সুদ না নিয়ে থোক টাকা নেওয়ার বিষয়টি ১ জানুয়ারি থেকে চালু করতে হবে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। বাদবাকি নিয়ম কার্যকর করার ব্যবস্থা করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: মোদি-জিনপিং বৈঠকের আগে পূর্ব লাদাখে মেজর জেনারেল স্তরের আলোচনা শুরু

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-এর পর্যবেক্ষণ

    ব্যাঙ্কিং মহলের দাবি, পরিবর্তনশীল সুদ মানে ব্যাঙ্ক তার হার বাড়ালে ঋণগ্রহীতাকে বেশি গুনতে হবে। কমালে তাঁদের আর্থিক বোঝা কমবে। স্থির সুদে ঋণ নেওয়ার অর্থ, তা কোনও পরিস্থিতিতেই বদলাবে না। বাজারে সুদ বাড়লেও বইতে হবে না তার চাপ। চড়তে থাকা সুদের জমানায় যা গ্রাহকের পক্ষে কিছুটা নিশ্চিন্তির। বর্তমানে গৃহঋণ-সহ প্রায় সব ধারই দেওয়া হয় পরিবর্তনশীল সুদে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) বলেছে, ঋণ শোধ নিয়ে গ্রাহকদের অনেক অভিযোগ জমা পড়ছে। একেই সুদ বাড়ায় একাংশ বিপাকে পড়েছেন, তার উপর কিছু ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাড়তি টাকা আদায়ের জন্য তাদের কেউ কেউ গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনা না করেই বাড়িয়ে দিচ্ছে ঋণ শোধের মেয়াদ। অনেকে আবার ইএমআইয়ের অঙ্ক বাড়াচ্ছে, যা বহন করাই কঠিন হচ্ছে অনেকের পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে আরবিআই-এর নয়া নির্দেশ কিছুটা স্বস্তি দেবে গ্রাহকদের, অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rupee: বাড়ছে রুপির গুরুত্ব, ভারতে বিশেষ অ্যাকাউন্ট খুলেছে ২২টি দেশ!

    Rupee: বাড়ছে রুপির গুরুত্ব, ভারতে বিশেষ অ্যাকাউন্ট খুলেছে ২২টি দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই বিশ্ব বাজারে জনপ্রিয় হচ্ছে ভারতীয় মুদ্রা রুপি (Rupee)। তাই রুপির মাধ্যমে লেনদেনে আগ্রহী হচ্ছে বিভিন্ন দেশ। ইতিমধ্যেই ২২টি দেশ ভারতীয় ব্যাঙ্কে ভস্ত্র অ্যাকাউন্ট খুলেছে। রুপিতে যাতে ব্যবসা করা যায়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। ডলারের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে রুপির ওপর নির্ভরতা বাড়াতেই ওই ব্যাঙ্কগুলি এটা করেছে বলে শুক্রবার জানানো হল সংসদে। যেসব গ্রাহকের গ্লোবাল ব্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরাই ভস্ত্র অ্যাকাউন্ট খোলেন। এতে ডোমেস্টিক ব্যাঙ্কগুলিতে ইন্টার-ন্যাশনাল ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা মেলে।

    কোন দেশগুলি জানেন?

    এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিংহ লোকসভায় ওই ২২টি দেশের নামোল্লেখও করেন। এই দেশগুলি হল, জার্মানি, বেলারুশ, বটসোয়ানা, ফিজি, গুয়ানা, ইসরায়েল, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, মৌরিটিয়াস, নিউজিল্যান্ড, ওমান, রাশিয়া, সাইচেলস, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, কাজাখাস্তান এবং ব্রিটেন। মন্ত্রী জানান, ভারতের বাণিজ্য কমিউনিটি যার মধ্যে ক্ষুদ্র ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজও রয়েছে, তাদের ব্যবসা যাতে সহজতর হয়, সেই কারণেই এই মেকানিজম চালু করা হয়েছে।  

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাব

    গত বছর এই প্রস্তাব দেয় ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Rupee)। গ্লোবাল ট্রেড যাতে অনায়াস হয়, তাই রুপিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। রুপির প্রতি যাতে আগ্রহ বাড়ে, সেজন্য এই ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাদের তরফে। এতে রফতানিতে সুবিধা হবে। তার পরেই চালু হয় এই ব্যবস্থা। সেই মতো ঘোষণাও করা হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে। ২০২২ সালের ১১ জুলাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভারতীয় মুদ্রায় পেমেন্ট নিতে শুরু করে। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এক এক করে ২২টি দেশ এ দেশে ভস্ত্র অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলে। 

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি’ পদবি মামলায় পূর্ণেশ ও গুজরাট হাইকোর্টকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় আদতে উপকৃত হয়েছে ভারতই। কারণ লম্বা দৌড়ে রুপির আন্তর্জাতিকীকরণ হবে। প্রসঙ্গত, কোনও দেশের মুদ্রার আন্তর্জাতিকীকরণ তখনই হয়েছে বলা হবে, যখন বিশ্বজুড়ে ওই মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন হবে। দ্রুত উন্নতি হচ্ছে ভারতীয় (Rupee) অর্থনীতির। ইংল্যান্ডকে পেছনে ফেলে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। সেই কারণে ভারতকে সমীহ করে চলেছে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলিরও অনেকেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ইন্টার-ডিপার্টমেন্টাল গ্রুপ জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে যেভাবে রুপির কদর বাড়ছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মুদ্রার তকমা পাবে ভারতের রুপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • 2000 Bank Notes: ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারে কী প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে?

    2000 Bank Notes: ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারে কী প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইটে সেদেশের মুদ্রা, অর্থাৎ মার্কিন ডলার নিয়ে একটি পৃথক পেজ রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে সাতটি ভিন্ন মূল্যের নোট পাওয়া যায়, সর্বোচ্চ ১০০ ডলার। আরও বলা হয়েছে, ১০ হাজার মার্কিন ডলারের নোট বর্তমানে লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈধ থাকলেও, দীর্ঘদিন আগে তা ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও, বর্তমানে কেউ তা ব্যবহার করেন না।

    নোটবন্দির সঙ্গে তুলনা একেবারেই ভুল

    গত ১৯ মে, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) প্রত্যাহার করার ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জনসাধারণের উদ্দেশে জানিয়ে দেয়, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নিতে। যদিও, স্পষ্টভাবে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক এও জানিয়েছে, সময়সীমার পরেও বৈধ থাকবে ২০০০ টাকার নোট। অর্থাৎ, সেপ্টেম্বরের পরেও ২০০০ টাকার নোটে লেনদেন করা হলে, তা সমান প্রযোজ্য হবে। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ঘোষণার পর থেকেই অনেকে এই নির্দেশিকার সঙ্গে ২০১৮ সালের নোটবন্দির তুলনা টেনে আনছেন। যা, একেবারেই ভুল। কারণ, নোটবন্দির সময় পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার বৈধতাও প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু, ২০০০ টাকার ক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রকাশিত নির্দেশিকায় একাধিকবার উল্লেখ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এখনই ২০০০ টাকার নোটের বৈধতা খারিজ করা হচ্ছে না।

    তাহলে কেন এই ঘোষণা? এই নির্দেশিকার অর্থ কী?

    নির্দেশিকার অর্থ, জনমানসকে সচেতন করা বা অনুরোধ করা, যাতে তারা ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) দিয়ে লেনদেন করা থেকে বিরত থাকেন। একইসঙ্গে জনসাধারণকে পরামর্শ, তারা যেন ব্যাঙ্কে গিয়ে ২০০০ টাকার নোট জমা দিয়ে তার বদলে সম অর্থের অন্য মূল্যের নোট নিয়ে নেন। শীর্ষ ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, তারা ‘ক্লিন নোট পলিসি’ বা পরিষ্কার নোট নীতি অবলম্বন করেছেন। ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী, একটি নোটের পরিচ্ছন্নতার মেয়াদ চার থেকে পাঁচ বছর। ২০১৮-১৯ সালের পর থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যার অর্থ, বাজারে চালু নোটগুলো ৪-৫ বছরের পুরনো। অর্থাৎ, নোটগুলো তাদের কার্য মেয়াদের শেষ সীমায় উপস্থিত হয়েছে। সাধারণত ‘সয়েলড নোট’ বা অপরিষ্কার বা মলিন নোট হলে, তা আরবিআই ফেরত নিয়ে নেয়। বদলে একই মূল্যের নতুন নোট বাজারে ছেড়ে দেয়। তবে, এক্ষেত্রে তফাত একটাই। ২০০০ টাকা আরবিআইয়ের কাছে গেলে, তার বদলে নতুন ২০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে না। এটাই প্রত্যাহার। 

    ব্যাঙ্ক নোট ও মুদ্রাস্ফীতি

    ব্যাঙ্ক নোট (2000 Bank Notes) ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে একটা সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নগদ চালু হলে, তার জেরে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে। মুদ্রাস্ফীতির একটা বড় কারণ হল, বেশি পরিমাণে নগদ মজুত। একটা সময় ছিল, যখন ভারতে বিপুল জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছিল। একটা সময় ছিল, যখন ভারতে বেশি মূল্যের নোটের জালনোট ছড়িয়ে দিতে পাকিস্তানের অশুভ পরিকল্পনা সফল হয়েছিল। যার জেরে ভারতে হু-হু করে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। কারণ, নোট আসল না নকল — সাধারণ মানুষের পক্ষে পরখ বা যাচাই করার ক্ষমতা সীমিত। ফলত, আরবিআইয়ের হিসেবের বাইরে বাজারে প্রচুর নোট ছড়িয়ে গিয়েছিল। তাতে, সকলের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় টাকা বেশি চলে এসেছিল। এর ফলে, জনমানসে পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা অযাচিতভাবে বৃদ্ধি পায়। টাকার মূল্য হ্রাস পায়। ভেঙে পড়ে অর্থনীতি। বর্তমান সরকার শক্ত হাতে জালনোট সমস্যার মোকাবিলা করেছে ও করে চলেছে। শত্রুরা এখনও দেশে জালনোট ঢোকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, বর্তমান শাসক দলের কঠোর নীতি ও দিশার জেরে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না।

    মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময়ে-সময়ে ব্যাঙ্ক রেট বৃদ্ধির পথে হাঁটতে হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। এর ফলে, ব্যাঙ্ক-ঋণ আরও মহার্ঘ হয়ে পড়ে। কারণ, সুদ বেশি দিতে হয়। ফলত, মানুষের চাহিদা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও, এর আরেকটা ক্ষতির দিকও রয়েছে। সুদের হার বাড়লে, ক্ষতি হয় ব্যবসাতেও। আর ব্যবসা মন্দা গেলে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে অর্থনীতির ওপর। আর অর্থনীতির চাকা ধীর গতিতে গড়ালে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ধাক্কা খায়। এখন ব্যাঙ্ক রেটের হার বৃদ্ধি না করেও কি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সম্ভব। সেক্ষেত্রে, বাজার থেকে অতিরিক্ত নগদ প্রত্যাহার করলে তা আখেরে ফল দিতে পারে। তাঁদের মতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এই প্রয়াসের লক্ষ্যে হতে পারে।

  • 2000 Notes: কেন ২ হাজারের নোট তুলে নিচ্ছে আরবিআই? কীভাবে বদলাবেন আপনার নোটগুলি?

    2000 Notes: কেন ২ হাজারের নোট তুলে নিচ্ছে আরবিআই? কীভাবে বদলাবেন আপনার নোটগুলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার, বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গ্রাহকদের একটি সময়সীমার মধ্যে তাঁদের কাছে থাকা সকল ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করে ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার প্রায় ৬ বছর পর, এবার ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল।

    কেন এই সিদ্ধান্ত?

    এখন প্রশ্ন হল, কেন এই সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যবহার হ্রাস পাওয়াই হল প্রধান কারণ। আরবিআই জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে এই নোটের ব্যবহার ক্রমশ কমেছে। ২০১৮-১৯ সালেই ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আরও বলা হয়েছে, ৫০০, ২০০, ১০০ টাকার মতো অন্যান্য মূল্যের ভারতীয় নোটগুলি এখন উপযুক্ত পরিমাণে প্রচলিত রয়েছে। যা, সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তাই ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    নোটগুলির বৈধতা কি আর রইল না?

    আরবিআই (RBI Guidelines) জানিয়েছে, প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও, ২০০০ টাকার নোট এখনি অবৈধ হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ এখনও লেনদেনের জন্য ২০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, ৩০ সেপ্টেম্বর বা তার আগে এই নোটগুলি ব্যাঙ্কে জমা দিতে অথবা বদলে নিতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করছে আরবিআই। গ্রাহকদের অনুরোধ, এই সময়ের মধ্যে আপনার কাছে থাকা ২ হাজারের নোটগুলো ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দিয়ে দিন।

    আরও পড়ুন: বাতিল হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট, কবে থেকে জানেন?

    কীভাবে বদল করা যাবে ২০০০ টাকার নোট?

    আরবিআই জানিয়েছে, আপনার কাছে ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) থাকলে তা ব্যাঙ্কে গিয়ে আপনার নিজের অ্যাকাউন্টে জমা দিতে পারেন অথবা ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় গিয়ে ২০০০ টাকার নোটগুলি বদলে অন্যান্য ব্যাঙ্কনোট নিয়ে নিতে পারেন। এই প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৩ মে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ১৯টি আঞ্চলিক অফিসে এই নোট বদল করা যাবে। এছাড়া সমস্ত সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কেও ২ হাজার টাকার নোট বদল করা যাবে।  

    বদলের কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে কি?

    আরবিআই নির্দেশিকায় (RBI Guidelines) জানিয়েছে, জমা করার কেওয়াইসি শর্ত মেনে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যত খুশি মূল্যের ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) জমা (Account Deposit) করতে পারবেন। এছাড়া, ব্যাঙ্কে গিয়ে সরাসরি বদলও করতে পারবেন মানুষ। তবে দৈনিক সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা সরাসরি বদল (Note Exchange) করা যাবে। এক্ষেত্রে, আপনি ওই ব্যাঙ্কের গ্রাহক হোন, বা নাই হোন, এই ২০ হাজারের ঊর্ধ্বসীমা এক থাকবে। তবে, বদলের ক্ষেত্রে কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ আপনাকে আধার কার্ড সহ সংশ্লিষ্ট তথ্য জানাতে হবে ব্যাঙ্ককে। এর পাশাপাশি, বিজনেস করেসপন্ডেন্টদের মাধ্যমে জনপ্রতি প্রতিদিন ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট বদলানো যাবে। 

    নোট বদল করতে কোনও ফি লাগবে?

    আরবিআই নির্দেশিকায় জানিয়েছে, কাউকে কোনওপ্রকার ফি দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই করা যাবে এই নোট বদল। এছাড়া, পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের যাতে নোট বদলের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তাও নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raghuram Rajan: ভারতের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো হবে না, দৃঢ়বিশ্বাসী রঘুরাম রাজন

    Raghuram Rajan: ভারতের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো হবে না, দৃঢ়বিশ্বাসী রঘুরাম রাজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (Reserve Bank Of India) প্রাক্তন গভর্নর (Former Governor)। একাধিক বার তিনি মোদি সরকারের (Modi Government) বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তবে এবার তাঁর মুখেই প্রশংসা। প্রশংসা আরবিআইয়ের (RBI)। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের মতে, ভারতের পরিস্থিতি কখনও শ্রীলঙ্কা (Srilanka) বা পাকিস্তানের (Pakistan) মতো হবে না। তাঁর এই মন্তব্যের পর বিজেপি জানিয়েছে, দেশ যে সঠিক দিশায় এগোচ্ছে, একজন সমালোচকের মুখে এহেন মন্তব্যের পর তা স্পষ্ট। দেশের আর্থিক বুনিয়াদ যথেষ্ট মজবুত, দেশ দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি মুখপাত্র সৈয়দ জাফর ইসলাম।  রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan) শনিবার বলেছেন যে, ভারতে কখনও শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মত অবস্থা হবে না। তবে হঠাৎ তিনি এই কথা কেন বললেন? কোন যুক্তিতে তিনি এমন কথা বললেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আগামী মাসে ১৮ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক! দেখে নিন ছুটির তালিকা

    তিনি জানান, ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার  রয়েছে। তাই কখনোই শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হবে না ভারত। এছাড়ও তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমে জানান, “আমাদের পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় রয়েছে। সঞ্চয় বাড়াতে আরবিআই একটি ভাল কাজ করেছে। শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের মতো আমাদের আর্থিক সমস্যা নেই। আমাদের বিদেশি ঋণও কম।“ তিনি দাবি করেছেন যে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি (inflation) রয়েছে। তাই আরবিআই সুদের হার বাড়াচ্ছে, যা মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সাহায্য করবে। সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি হয় খাদ্য ও জ্বালানিতে। যেহেতু সারা বিশ্বে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে, ফলে ভারতেও মূল্যস্ফীতি কমবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি

    ২২ জুলাই আরবিআইয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, শেষ সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ প্রায় ৪৫ লক্ষ ২ হাজার ৬৫০ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণের পরিমাণও কমতে শুরু করেছে। রঘুরাম রাজনের মতে কম বৈদেশিক ঋণ ও বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত পরিমাণ ভারতীয় অর্থনীতিকে আরও ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাবে। শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের (Pakistan) মতো দেশগুলি খুব কম বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ও বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধির কারণেই আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। ফলে সেই জায়গা থেকে ভারতকে কখনও আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না। এছাড়াও তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা নীতিগত হার বৃদ্ধি মূল মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সাহায্য করবে।

     

  • Credit Card: তবে কি ক্রেডিট কার্ডের নয়া নিয়ম কার্যকর হবে অক্টোবর মাসে?

    Credit Card: তবে কি ক্রেডিট কার্ডের নয়া নিয়ম কার্যকর হবে অক্টোবর মাসে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) নিয়ে একাধিক নতুন নিয়মের ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India)। ১ জুলাই থেকেই ক্রেডিট কার্ডের এই পরিবর্তন আনার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে একাধিক নিয়ম বদলের জন্য সম্প্রতি আরও কিছু সময় দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় যে, ক্রেডিট কার্ডে পরিবর্তন আনার সময় ১ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ১ অক্টোবর করা হল।

    আরও পড়ুন: ব্যবহার করেন ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড! জানুন আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম

    তবে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন এসেছে জানেন কি?

    আরবিআই-এর  নতুন নিয়ম অনুসারে, আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার পর ৩০ দিনের মধ্যে সেটি অ্যাক্টিভেট না করেন, তবে ব্যাঙ্ক বা যেই সংস্থা থেকে কার্ডটি ইস্যু করা হয়েছে সেখান থেকে কার্ড ব্যবহারকারীর কাছে একটি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড চাওয়া হবে কার্ডটি অ্যাক্টিভ করার জন্য। সেইসময়ে যদি কার্ড ব্যবহারকারী কার্ডটি অ্যাক্টিভ করার অনুমতি না দেয়, তবে সাত দিনের মধ্যে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এতে কোনো সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না। আবার ক্রেডিট লিমিট বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও কার্ড ইস্যু করার ব্যাঙ্ক বা সংস্থাকে গ্রাহকের থেকে অনুমতি নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: এবার ক্রেডিট কার্ডও আসছে UPI পেমেন্টের আওতায়! কী বলছে RBI?

    এপ্রিল মাসেও ক্রেডিট-ডেভিট কার্ড নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। আর এই নিয়মগুলো সমস্ত ব্যাঙ্ক কে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। আরও জানানো হয়েছে যে ক্রেডিট কার্ডের বিলিং সাইকেল আগের মাসের ১০ তারিখ থেকে পরের মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত থাকবে। এছাড়াও ক্রেডিট কার্ডের বিলিং পেমেন্টের বিস্তারিত বিষয় গ্রাহকের মেলে পাঠাতে হবে এবং এতে দেরী করা চলবে না। ব্যাঙ্কগুলোকে এদিকেও নজর রাখতে হবে যে গ্রাহকদের বিল মেটানোর সময় যাতে দেওয়া হয়, কমপক্ষে গ্রাহকরা যেন হাতে ১৫ দিনের মত সময় পান। এছাড়াও গ্রাহকরা ঠিক সময়ে বিলিং-এর বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছে কিনা সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে আরবিআই-এর তরফ থেকে।

  • UPI Credit Card Link: এবার ক্রেডিট কার্ডও আসছে UPI পেমেন্টের আওতায়! কী বলছে RBI?

    UPI Credit Card Link: এবার ক্রেডিট কার্ডও আসছে UPI পেমেন্টের আওতায়! কী বলছে RBI?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রেপো রেট (Repo Rate) বাড়ানোর ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। একইসঙ্গে ‘রুপে’ ক্রেডিট কার্ড (Rupay Credit Card) নিয়েও বড়সড় ঘোষণা করলেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। 

     

    আরবিআই (RBI) গভর্নর এদিন বলেন, “দেশে এবার ধীরে ধীরে ক্রেডিট কার্ডকেও ইউপিআই (UPI পেমেন্টের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রথমে রুপে ক্রেডিট কার্ডকে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। পেমেন্ট ইনফ্রা ফান্ড স্কিমে পরিবর্তন আনা হবে। পরবর্তীকালে, সবকটি ক্রেডিট কার্ডকেই আনা হবে।”

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    বর্তমানে দেশে ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস (Unified Payments Interface) বা ইউপিআই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের প্রবণতা খুব বেড়েছে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে প্রায় ২৬ কোটি দেশবাসী ইউপিআই প্ল্যাটফর্ম  ব্যবহার করেন। এছাড়াও ৫ কোটি ব্যবসায়ীও বিভিন্ন ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলিতে রয়েছেন। চলতি বছরের মে মাসেই ইউপিআই-এর মাধ্যমে ১০.৪ লক্ষ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে। মোট ৫৯৪ কোটি বার লেনদেন হয়েছে। এদিন গভর্নর বলেন, “ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে, বিভিন্ন দেশ এই প্রক্রিয়াকে রপ্ত করতে চাইছে।”

    আরও পড়ুন: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস

    ইউপিআই পেমেন্ট (UPI Payment) প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে রুপে ক্রেডিট কার্ডকে লিঙ্ক (UPI-Rupay Credit Card Link) করা হলে, ইউপিআই-এর মাধ্যমে রুপে ক্রেডিট কার্ড থেকে পেমেন্ট করা যাবে। এতদিন পর্যন্ত ইউপিআই ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সেভিংস বা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করে লেনদেন করতেন। এবার ক্রেডিট কার্ড সংযুক্ত করার সুবিধাও পাবেন তাঁরা। শক্তিকান্ত দাস এবিষয়ে বলেন, “নতুন এই ব্যবস্থায় ইউপিআই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়বে।”           

    ইউপিআই প্ল্যাটফর্মে একই সঙ্গে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে সংযুক্ত করে টাকা লেনদেনের সুবিধা পেয়ে থাকেন ব্যবহারকারীরা। ব্যবসায়ীদেরও নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা দিয়ে থাকে এই প্ল্যাটফর্ম। তাই অল্প সময়েই দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইউপিআই প্ল্যাটফর্মগুলি (UPI Platform)। 

     

  • RBI on GDP: দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২ শতাংশ, আশা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    RBI on GDP: দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২ শতাংশ, আশা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার পৌঁছতে পারে ৭.২ শতাংশ পর্যন্ত। এই আশার আলো দেখিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাংকের (reserve bank of india) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)।

    সম্প্রতি হয়ে গেল তিনদিন ব্যাপী অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ কমিটির (monetary policy committee) বৈঠক। ওই বৈঠকেই একথা জানান শক্তিকান্ত। তিনি জানান, চলতি অর্থবর্ষে প্রতি ত্রৈমাসিকে প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে যথাক্রমে ১৬.২%, ৬.২%, ৪.১% এবং ৪.০%।

    তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine War) পরিস্থিতিতে তিনি এই বৃদ্ধির ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ৭.২ শতাংশ। যদিও তাঁর আগের পূর্বাভাস ছিল ৭.৮ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    চলতি বছর স্বাভাবিক বর্ষা হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শক্তিকান্ত বলেন, চলতি বছর স্বাভাবিক বর্ষা হবে ও অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি গড় মূল্য ১০৫ মার্কিন ডলার হবে ধরে নিলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতি গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৬.৭ শতাংশে।

    এক ভিডিও বার্তায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, মুদ্রাস্ফীতির জেরে দাম বাড়তে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বিদ্যুতের দাম, পশুখাদ্য এবং অপরিশোধিত তেলের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তার জেরে প্রতিদিনই আমাদের নয়া চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    প্রসঙ্গত, আরও একবার রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাড়ানো হয়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। রেপো রেট বাড়িয়ে ৪.৯০ শতাংশ করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রশ্ন হল, রেপো রেট বৃদ্ধির ফলে কী প্রভাব পড়বে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ওপর? শক্তিকান্ত জানান, এর জেরে দেশের জিডিপি বাড়তে পারে প্রায় ৭.২ শতাংশ। এর থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার। তা হল, রেপো রেট বাড়ালেও, দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে কোনও কাটছাঁট করছে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ যে জায়গায় ছিল, সেখানেই রইল।

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রেপো রেট বাড়লে আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ কমে। আর রেপো রেট কমলে হয় উল্টোটা। গতবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বৃদ্ধি করার পর দেশের আর্থিক বৃদ্ধি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশের একাধিক সংস্থা। যার জেরে জিডিপি বৃদ্ধিতে কাটছাঁট করা হয়েছিল। তবে রেপো রেট বাড়লে ব্যাঙ্কগুলো ঋণের ওপর সুদের হার বৃদ্ধি করে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির যা হাল, তাতে ঋণদানের ওপর নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারও।

     

LinkedIn
Share