Tag: Russia

Russia

  • Hardeep Singh Puri: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    Hardeep Singh Puri: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকদের জ্বালানি সরবরাহ করার একটি নৈতিক দায় রয়েছে ভারত সরকারের। তাই সরকার যেখান থেকে পারে জ্বালানি কিনবে। শুক্রবার এ কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri)। একই সঙ্গে তিনি জানান, রাশিয়া (Russia) থেকে তেল কিনতে নিষেধ করেনি কোনও দেশই।

    ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যুদ্ধ বাঁধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যে। এর পর গোটা বিশ্ব কার্যত ভাগ হয়ে যায় দু ভাগে। তামাম বিশ্বের একটি অংশ চলে যায় রাশিয়ার পক্ষে। অন্য অংশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কড়া সমালোচনা করতে থাকে। ঘটনার জেরে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে বিভিন্ন দেশকে বারণ করে আমেরিকা ও পশ্চিমের কয়েকটি দেশ। এহেন দ্বন্দ্বের মধ্যেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে থাকে মোদির (PM Modi) ভারত।

    জানা গিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছে ৫০ গুণ। ভারত আমদানির পরিমাণ বাড়ালে কী হবে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পরে মস্কো থেকে জ্বালানি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ। এদিন হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) বলেন, ভারত যে কোনও দেশ থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করবে। তিনি বলেন, আমাদের নীতি স্পষ্ট। জ্বালানির নিশ্চয়তা ও সাশ্রয়কে অগ্রাধিকার দিতে আমরা যেখানে থেকে কিনলে সুবিধা হবে, সেখান থেকেই কিনব। এই জাতীয় আলোচনা যেন সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত না করে। এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে ভারতকে কেউ নিষেধ করেনি।

    আরও পড়ুন : আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) বলেন, গত অর্থবর্ষে আমরা মাত্র ০.২ শতাংশ তেল আমদানি করেছি। তবে ২৪ ফেব্রুয়ারির (রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর দিন) পর রাশিয়া থেকে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। তিনি বলেন, আমেরিকা থেকে জ্বালানি আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। সম্প্রতি ওই দেশ থেকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের জ্বালানি কিনেছি। আরও তেল কেনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Russia: ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করতে চলেছেন পুতিন?

    Russia: ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করতে চলেছেন পুতিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) চার অঞ্চলকে দখল করতে চলেছে রাশিয়া (Russia)। মস্কোর (Moscow) দাবি, ইউক্রেনের ওই চার এলাকায় গণভোট করানো হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা রাশিয়ায় যাওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন। তাই ওই চার এলাকাকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে চলেছে রাশিয়া। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই চার এলাকাকে নিজেদের দেশের অন্তর্ভুক্ত করবে রাশিয়া। স্বাক্ষরিত হবে চুক্তি। রাশিয়া সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্রাসাদের গ্রেগরিয়ান হলে গ্রিনিচ মিন টাইম ১২টায় গানের অনুষ্ঠান হবে। ওই অনুষ্ঠানেই হবে ভূখণ্ড অন্তর্ভুক্তিকরণ।

    ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শুরু হয় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকেই ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি এলাকা দখল করে পুতিনের দেশ। এর মধ্যে ছিল লুগানস্ক, ডনেৎস্ক, খেরসন এবং জাপোরঝিয়াও। ওই চার অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করার পাশাপাশি পুতুল প্রশাসন বসায় রাশিয়া। সম্প্রতি করায় গণভোট। তার পরেই রাশিয়া ঘোষণা করে ইউক্রেনের ওই চার অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা। রাশিয়ার এই ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক মহলে। মস্কোর এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমের দেশগুলি। জি-৭-ও জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনের ওই চার অঞ্চলকে কখনওই রাশিয়ার অংশ বলে মেনে নেবে না তারা।

    আরও পড়ুন : ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তরফেও। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেন অ্যান্টনিও গুতেরেস রাশিয়ার এই পরিকল্পনাকে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, এটি শান্তির পরিপন্থী। তিনি বলেন, ইউক্রেনের লুগানস্ক, ডনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরঝিয়া অন্তর্ভুক্তিকরণের সিদ্ধান্তের আইনি কোনও মূল্য নেই। এজন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করাই যায়। তিনি বলেন, যুদ্ধের আবহে ইউক্রেনের দখলীকৃত যে চার অঞ্চলে গণভোটের কথা বলা হচ্ছে, তাকে মূল্য দিচ্ছি না। তিনি বলেন, এটা ওই চার এলাকার জনগণের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন নয়। প্রসঙ্গত, আট বছর আগে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকেও এভাবেই নিজেদের দেশের সঙ্গে যুক্ত করে নিয়েছিল রাশিয়া। তার জেরে এখনও দু দেশের মধ্যে অব্যাহত সংঘাত। এবার মস্কোর নজর ইউক্রেনের দিকে।

    এর শেষ কোথায়? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

     

  • PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেন মোদিই! রাষ্ট্রসংঘে কী বলল মেক্সিকো?

    PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেন মোদিই! রাষ্ট্রসংঘে কী বলল মেক্সিকো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine-Russia war) যুদ্ধ থামাতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে ভারত। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই (Modi) এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। অভিমত মেক্সিকোর (Mexico) বিদেশমন্ত্রী মার্সেলো লুইস এব্রান্ড ক্যাসাউবনের (Marcelo Luis Ebrard Casaubón)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্সেলো। তাঁর প্রস্তাব মতো এই কমিটির দায়িত্ব হবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে স্থায়ী শান্তিস্থাপন করা। কমিটিতে মোদি ছাড়া আরও দু’জনের নাম করেছেন মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রী। তাঁরা হলেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis) এবং রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরেস।

    আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে অক্টোবরে ব্রিটেন যাচ্ছেন মোদি?

    কয়েকদিন আগে, উজবেকিস্তানের সমরকন্দে (Samarkand) সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে বলেছিলেন,”এ যুগ যুদ্ধের নয়। এই সময়টা শান্তির। শান্তির পথে সবকিছুর সমাধান করতে হবে।” মোদির এই উক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিল আমেরিকা-ইউরোপ। পুতিনকে এরকম সরাসরি যুদ্ধের কথা বলতে পারেন একমাত্র মোদি। এমনই ধারণা মেক্সিকোর। 

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    গত সাত মাস ধরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেন প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। রাশিয়াও ক্ষতিগ্রস্ত। সবাই যুদ্ধের বিরোধিতা করে রাশিয়ার সমালোচনা করলেও কেউ শান্তিপূর্ণভাবে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেননি। যা করেছে ভারত। তাই পুতিনকে বোঝাতে পারেন একমাত্র মোদি, এমনটাই অনুমান মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘এ বার শান্তির লক্ষ্যে জোরদার পদক্ষেপ করা উচিত আন্তর্জাতিক সংগঠনের। সেই প্রসঙ্গেই মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ় ওবরাডরের হয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করছি। শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করতে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করুন গুতেরেস। এতে রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতিতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যাবে। আমাদের প্রস্তাব, এই কমিটিতে নরেন্দ্র মোদি ও পোপ ফ্রান্সিসও উপস্থিত থাকুন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার (Russia) ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে পুতিনকে চাপে ফেলেছিল আমেরিকা (USA)। এবার আমেরিকাকে পাল্টা চাপে ফেললেন পুতিন (Vladimir Putin)। প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা কন্ট্রাক্টর এডওয়ার্ড স্নোডেনকে (Edward Snowden) নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া। বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়াতেই আত্মগোপন করে ছিলেন স্নোডেন। এ বার পাকাপাকি ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব পেলেন তিনি। সোমবার স্নোডেনের নাগরিকত্ব মঞ্জুর করে একটি ডিক্রিতে সই করেছেন পুতিন।

    আরও পড়ুন: পুতিনের সামরিক ঘোষণার পরই রাশিয়া ছাড়ার ধুম, ‘ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট’ টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

    যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (NSA) চুক্তিভিত্তিক আধিকারিক ছিলেন স্নোডেন। ২০১৩ সালে এই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন তিনি৷ সেই নথিতে প্রকাশ্যে আসে যে শুধু বিদেশ নয়, খোদ মার্কিন নাগরিকদের উপরও নজরদারি চালাচ্ছিল আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। এই ঘটনায় সেই সময় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হয়। সংস্থাটিতে কর্মরত থাকাকালীনই এই তথ্য ফাঁস করেন তিনি। তাঁর ফাঁস করা তথ্যের কারণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে আমেরিকার ওই গোয়েন্দা বিভাগ। দেশজুড়ে নজরদারির বিরুদ্ধে ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার প্রতিবাদে আওয়াজ তোলেন মার্কিন নাগরিকদের একাংশ।      
     
    এনএসএ-র গোপন তথ্য ফাঁস করায় ২০১৩ থেকেই স্নোডেনকে খুঁজছে মার্কিন সরকার। তারপর থেকেই তিনি রাশিয়ায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। আমেরিকা একাধিক বার স্নোডেনকে ফেরানোর কথা বললেও এতদিন রাশিয়া কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অভিযোগ ওঠে, রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের হয়ে স্নোডেন কাজ করছেন। তাই তাঁকে রক্ষা করে যাচ্ছে রাশিয়া। মস্কোতেই এত বছর নির্বাসিত ছিলেন স্নোডেন। চাপের মুখে পালাতে বাধ্য হন তিনি। মার্কিন প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগে মামলা করেছে।  

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ৩০ লক্ষ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন রাশিয়ার, পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি পুতিনের      

    বিচারের জন্য স্নোডেনকে দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন সরকার। এবার রাশিয়া স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিয়ে আমেরিকার সব চেষ্টাকে মাটি করে দিল। স্নোডেন মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি যে আর আমেরিকার মাটিতে পা রাখবেন না তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

      

  • Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    Edward Snowden: আমেরিকাকে বিপদে ফেলে স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার (Russia) ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে পুতিনকে চাপে ফেলেছিল আমেরিকা (USA)। এবার আমেরিকাকে পাল্টা চাপে ফেললেন পুতিন (Vladimir Putin)। প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা কন্ট্রাক্টর এডওয়ার্ড স্নোডেনকে (Edward Snowden) নাগরিকত্ব দিল রাশিয়া। বিগত কয়েক বছর ধরে রাশিয়াতেই আত্মগোপন করে ছিলেন স্নোডেন। এ বার পাকাপাকি ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব পেলেন তিনি। সোমবার স্নোডেনের নাগরিকত্ব মঞ্জুর করে একটি ডিক্রিতে সই করেছেন পুতিন।

    আরও পড়ুন: পুতিনের সামরিক ঘোষণার পরই রাশিয়া ছাড়ার ধুম, ‘ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট’ টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

    যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (NSA) চুক্তিভিত্তিক আধিকারিক ছিলেন স্নোডেন। ২০১৩ সালে এই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন তিনি৷ সেই নথিতে প্রকাশ্যে আসে যে শুধু বিদেশ নয়, খোদ মার্কিন নাগরিকদের উপরও নজরদারি চালাচ্ছিল আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি। এই ঘটনায় সেই সময় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হয়। সংস্থাটিতে কর্মরত থাকাকালীনই এই তথ্য ফাঁস করেন তিনি। তাঁর ফাঁস করা তথ্যের কারণে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে আমেরিকার ওই গোয়েন্দা বিভাগ। দেশজুড়ে নজরদারির বিরুদ্ধে ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার প্রতিবাদে আওয়াজ তোলেন মার্কিন নাগরিকদের একাংশ।      
     
    এনএসএ-র গোপন তথ্য ফাঁস করায় ২০১৩ থেকেই স্নোডেনকে খুঁজছে মার্কিন সরকার। তারপর থেকেই তিনি রাশিয়ায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। আমেরিকা একাধিক বার স্নোডেনকে ফেরানোর কথা বললেও এতদিন রাশিয়া কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অভিযোগ ওঠে, রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের হয়ে স্নোডেন কাজ করছেন। তাই তাঁকে রক্ষা করে যাচ্ছে রাশিয়া। মস্কোতেই এত বছর নির্বাসিত ছিলেন স্নোডেন। চাপের মুখে পালাতে বাধ্য হন তিনি। মার্কিন প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগে মামলা করেছে।  

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ৩০ লক্ষ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন রাশিয়ার, পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি পুতিনের      

    বিচারের জন্য স্নোডেনকে দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন সরকার। এবার রাশিয়া স্নোডেনকে নাগরিকত্ব দিয়ে আমেরিকার সব চেষ্টাকে মাটি করে দিল। স্নোডেন মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি যে আর আমেরিকার মাটিতে পা রাখবেন না তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

      

  • S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে বলেছিলেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।এবার সেই একই পথ অনুসরণ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাসীর গায়ে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির ছ্যাঁকা, টান পড়েছে খাদ্যশস্যের ভাঁড়ারে। বাড়ন্ত সার এবং জ্বালানি।

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে জয়শঙ্কর বলেন, অভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বের অবসান এখন সময়ের দাবি। সমস্যার সমাধান হোক আলোচনার টেবিলে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, এই নিরাপত্তা পরিষদ কূটনীতির সব চেয়ে শক্তিশালী প্রতীক। এটি লক্ষ্য পূরণে সদা সচেষ্ট। এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা ১০। অস্থায়ী দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এদিনের বৈঠকে ভারতের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। জয়শঙ্কর বলেন, গোটা বিশ্বের পক্ষেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্বেগের। বিশেষত বিশ্বের দক্ষিণ অংশ তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করছে। এই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও। তিনি বলেন, সেই কারণেই ভারত যুদ্ধ বন্ধে জোর দিচ্ছে।এর পরেই মোদির প্রসঙ্গ টানেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। যুদ্ধ করে মানবাধিকার কিংবা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার কোনও যাথার্থ্যতা নেই বলেও সওয়াল করেন জয়শঙ্কর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Russia: রাশিয়ার স্কুলে ভয়াবহ ঘটনা! বন্দুকবাজের গুলিতে শিশু সহ মৃত ১৭, আহত কমপক্ষে ২৪

    Russia: রাশিয়ার স্কুলে ভয়াবহ ঘটনা! বন্দুকবাজের গুলিতে শিশু সহ মৃত ১৭, আহত কমপক্ষে ২৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে রাশিয়ার (Russia) একটি স্কুলে ভয়াবহ ভাবে গুলি চালানোর ঘটনা সামনে এল। রাশিয়ার ইজেভস্কে (Izhevsk) একটি স্কুলকে টার্গেট করে এলোপাথারি গুলি করতে থাকে বন্দুকবাজ। ওই ঘটনায় ১১ নাবালক পড়ুয়া-সহ মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত কমপক্ষে ২৪ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। মৃতদের মধ্যে দু’ জন স্কুলের নিরাপত্তরক্ষী। প্রাণ গিয়েছে স্কুলের ২ শিক্ষকের। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছলেও হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আত্মঘাতী হয় ওই দুষ্কৃতি।

    সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য রাশিয়ার ইজেভস্ক নামক শহরে। এই শহরটি মস্কো থেকে প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এই ঘটনার পর উদমুর্তিয়া অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার ব্রেচালভ একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন যে, এক অজ্ঞাত ব্যক্তি বন্দুক হাতে এই অঞ্চলের রাজধানী ইজেভস্কের একটি স্কুলে প্রবেশ করেছে,  ও সেখানে একজন নিরাপত্তারক্ষী এবং কিছু শিশুকে হত্যা করে। অনেকে আহতও হয়েছেন”। এই স্কুলে হামলা চালানোর পর প্রথমে তদন্তকারীদের থেকে জানা গিয়েছিল যে এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের, কিন্তু পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ তে পৌঁছায়।

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই স্কুলে হামলা করার সময় আততায়ী কালো পোশাক পরে এসেছিল ও টি -শার্টে নাৎসি চিহ্ন (Nazi symbol on tshirt) ছিল। তবে তার কাছ থেকে কোনও পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। গভর্নর ও স্থানীয় পুলিশ জানায়,  পুলিশ সেই স্থানে পৌঁছে গেলেও তাদের ধরা যায়নি। কারণ এই হামলাকারী নিজেকেই গুলি করে আত্মহত্যা করে। এই আততায়ী কে এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

    অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘটনাকে “অমানবিক সন্ত্রাসী হামলা” বলে নিন্দা করেছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন মানুষ, শিশুদের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলেছেন ও হামলাকারীকে ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর অন্তর্গত বলে উল্লেখ করেছেন।“ এছাড়াও বন্দুকবাজের পরনে নাৎসি চিহ্ন লাগানো পোশাক থাকায়, ঘটনার সঙ্গে নব-নাৎসিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে।

  • Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) তিনি শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (PM Modi) যে উপযুক্ত সময়ে ঠিক কথাটিই বলেছেন তা মেনে নিলেন ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। নিউ ইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭ তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন ফান্সের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই মোদি যে ঠিক কথাই বলেছেন, তা মনে করিয়ে দেন মাক্রঁ।

    ওই অধিবেশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেছিলেন এটা যুদ্ধের উপযুক্ত সময় নয়। এটা পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ কিংবা প্রতীচ্যের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিরোধিতাও নয়। এই সময়টা আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলা করার সময়।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে ছ মাসেরও বেশি সময়। এহেন যুদ্ধের আবহে সম্প্রতি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন মোদি ও মাক্রঁ। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখনই মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। এবং এটা আমি আপনাকে ফোনেও বলেছি। আজ আমরা মুখোমুখি আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে আমরা শান্তির পথে অগ্রসর হব, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত এবং রাশিয়া একজন আরেকজনের পাশে রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    মোদি পুতিনকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহ নানা বিষয়ে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছি। আমাদের খাদ্যসঙ্কট মোকাবিলার পথ খোঁজা উচিত। জ্বালানির নিরাপত্তা এবং সারের সমস্যা সমাধানের পথও খোঁজা উচিত। ইউক্রেনে পাঠরত পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে সাহায্য করায় আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই। মোদির এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুতিন জানান, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বে তিনি ভারতের অবস্থান জানেন। পুতিন বলেন, আমি আপনার অবস্থান জানি। উদ্বেগের কারণও জানি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসবে ইতি টানব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Russia Rupee Trade: ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যে লেনদেন হবে টাকায়! প্রক্রিয়া চালু শীঘ্রই

    India Russia Rupee Trade: ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যে লেনদেন হবে টাকায়! প্রক্রিয়া চালু শীঘ্রই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিটতে চলেছে দীর্ঘদিনের সমস্যা। শেষমেশ শুরু হতে চলেছে ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য (India Russia Trade)। বাণিজ্য হবে ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে (Rupee)। বুধবার এ খবর জানিয়েছে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট এ শক্তিভেল। তিনি জানান, এ ব্যাপারে রাজিও হয়েছে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI)।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। তার পরেই পশ্চিমের বহু দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়। এই দেশগুলির মধ্যে আমেরিকাও রয়েছে। ঘটনার জেরে রাশিয়ার ওপর অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমের দেশগুলি। তার জেরে সমস্যায় পড়ে পুতিনের দেশ। মার খায় বাণিজ্যও। এপ্রিল থেকে জুলাই এই চার মাসে রাশিয়া থেকে ভারতের রফতানি কমে যায় এক তৃতীয়াংশ। যদিও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে থাকে ভারত।

    এ শক্তিভেল বলেন, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া রাশিয়ার সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য করতে এগিয়ে এসেছে। দেশের আরও কয়েকটি ব্যাংকও এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। তিনি জানান, ভারতের তরফে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া যেমন এগিয়ে এসেছে, তেমনি রাশিয়ার কোন ব্যাংক এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে।

    আরও পড়ুন : পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত

    জুলাই মাসে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) একটি মেকানিজম চালু করে। রুপিতে যাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চালু রাখা যায় তাই এই ব্যবস্থা। এর মূল উদ্দেশ্য পশ্চিমের দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার জেরে রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেন যে বন্ধ হয়ে রয়েছে, তা ফের চালু করা। ইরানের সঙ্গেও ভারতের এরকম পেমেন্ট সিস্টেম চালু রয়েছে। এই ইরানের বিরুদ্ধেও অর্থনৈতিক সহ নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমের দেশগুলি। ভারতের একাধিক সংস্থা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সচল রাখতে ডলার এবং ইউরোর ব্যবহার কমাচ্ছে। এফআইইও প্রেসিডেন্ট বলেন, নয়া মেকানিজম ব্যবহার করে রাশিয়ায় রফতানি বাড়াতে চাইছে সরকার। বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ঘরোয়া মুদ্রাকেই ব্যবহার করতে চাইছে তারা। ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণও সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, রিজার্ভ ব্যাংকের এ হেন মেকানিজম চালুর পরে অনেক দেশই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সচল রাখতে এই পন্থা অবলম্বন করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Russia: পুতিনের সামরিক ঘোষণার পরই রাশিয়া ছাড়ার ধুম, ‘ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট’ টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

    Russia: পুতিনের সামরিক ঘোষণার পরই রাশিয়া ছাড়ার ধুম, ‘ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট’ টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুতিনের (Vladimir Putin) রাশিয়ার (Russia) সীমান্তে সেনা গতিবিধি বাড়ানোর পরেই রাশিয়া ছেড়ে পালানোর ধুম পড়ল। একদিনেই বিক্রি হয়ে গেল রাশিয়া থেকে বাইরে যাওয়ার সব ওয়ান ওয়ে টিকিট (One way flight ticket from Russia sold out)। আকাশ ছোঁয়া হল টিকিটের দামও। পুতিনের ঘোষণার পরেই ভয় জন্মেছে রাশিয়াবাসীর মনে। অনেকেই মনে করছেন রাশিয়ায় সামরিক শাসন কায়েম হতে পারে যেকোনও মুহূর্তে। যুদ্ধ করতে পারেন এমন নাগরিকদের দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। আর দেশ ছেড়ে পালানোর এই ঢল। 

    আরও পড়ুন: সীমান্তে ৩০ লক্ষ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন রাশিয়ার, পশ্চিমি দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    আন্তর্জাতিক উড়ান টিকিটিং সার্ভিস ফ্লাইটরাডার২৪- এর একটি ট্যুইটে দেখা গিয়েছে গুগল ট্রেন্ডসে দেখা যাচ্ছে মস্কো এবং সেন্ট পিটারবার্গ থেকে বহু ওয়ান ওয়ে টিকিট কাটা হয়েছে। গগনচুম্বী হয়েছে টিকিটের দাম। 

     

    একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে বুধবার অবধি বিদ্যুৎ বেগে বিক্রি হয়ে যায় সব টিকিট। রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় টিকিট বিক্রি। 

    আরও পড়ুন: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    গতকালই রাশিয়ার সীমান্তে সেনা গতিবিধি বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি পুতিন। অতিরিক্ত ৩ লক্ষ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (World War II) পর এই প্রথম সেনার গতিবিধি বাড়াল পুতিনের দেশ। আড়াই কোটি রিজার্ভড সেনা থেকে এই ৩ লক্ষ সেনা টানা হয়েছে। বুধবার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকায় সই করেছেন রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, “পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। দেশের সুরক্ষার স্বার্থেই সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share