Tag: Russia

Russia

  • Russia-Ukraine: রুশ বাহিনীর সঙ্গে জোর টক্কর ইউক্রেনের! খারকিভ থেকে সেনা প্রত্যাহার রাশিয়ার

    Russia-Ukraine: রুশ বাহিনীর সঙ্গে জোর টক্কর ইউক্রেনের! খারকিভ থেকে সেনা প্রত্যাহার রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia – Ukraine War) বড়সড় সাফল্য অর্জন করল ইউক্রেন। গতকাল, শনিবার, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, তারা ইউক্রেনের পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের দুটি এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। প্রায় সাত মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। রাশিয়া তাদের বিশাল সেনাবাহিনীর সাহায্যে ইউক্রেনের একের পর এক এলাকা দখল করলেও ইউক্রেন বাহিনীও তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল। ফলে ইউক্রেনের এই প্রচেষ্টাই যেন সফল হল।

    ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রযাত্রার মুখে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকা থেকে পিছু হটছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের বাহিনী খারকিভ অঞ্চলে রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে ও মাত্র তিন দিনের মধ্যে ইউক্রেনের সেনারা রুশ সেনাদের কাছ থেকে খারকিভ অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ পুনর্দখল করে নিয়েছে। দেশের রাজধানী কিয়েভ দখল করার রাশিয়ান প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে ইউক্রেন বাহিনী। শনিবার ইউক্রেনের সেনারা খারকিভের গুরুত্বপূর্ণ ইজিয়াম শহরও দখল করে নেয়৷ ইউক্রেনের বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হতে থাকায় যুদ্ধের অন্যতম একটি ফ্রন্ট লাইন হঠাৎ ভেঙে পড়ার জন্য রাশিয়া সেখান থেকে সরে গেছে। শনিবার খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ামের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে পরাজয় ছিল এটি।

    রুশ বাহিনী ইজিয়ামকে তাদের যুদ্ধের প্রধান লজিস্টিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। এখন থেকেই ইউক্রেনের বহু জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছিল। যদিও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ জানিয়েছেন, ইজিয়াম এলাকা থেকে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলে সেনাদের পুনর্গঠন করা হবে।

    আরও পড়ুন: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের বালাকলিয়া শহরের কাছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলছে। ওই শহরটি পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে কিয়েভ। আরও জানা গিয়েছে,  বালাকলিয়া এখন আর রুশ সেনার নিয়ন্ত্রণে নেই। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় তুমুল লড়াই চলছে। কিন্তু অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছেন, যে রাশিয়ানদের কাছে তাদের সৈন্যদের জন্য কোন খাদ্য বা জ্বালানী নেই কারণ কিয়েভ তাদের সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিয়েছে।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) শুক্রবার বলেছেন যে, সেনারা পাল্টা আক্রমণ শুরুর পর থেকে খারকিভ অঞ্চলে ৩০ টিরও বেশি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে।

    ফলে গত সাত মাস ধরে চলা রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম দিকে ইউক্রেন দুর্বল হয়ে পড়লেও ফের দখল করতে লড়াই শুরু করেছে জেলেনস্কি বাহিনী। কারণ যেখানে ৫৫ হাজার মানুষের শহর ইজিয়াম দখল করতে ছয় সপ্তাহ পরিশ্রম করেছিল রুশ সেনারা৷ সেখানে ইউক্রেনীয় সেনারা সপ্তাহখানেক অভিযান চালিয়েই শহরটি পুনর্দখল করেছে।

  • War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত যেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। ভারতকে নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি খেলা। পৃথিবীর সব শক্তিধর দেশই নিজের দলে রাখতে চাইছে ভারতকে। তাই রাশিয়ায় চিনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের ভারতের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। 

    বৃহস্পতিবার থেকে পূর্বাঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়ার (War Games) আয়োজন করেছে রাশিয়া (Russia)৷ চিন (China), ভারতসহ সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ অংশ নিচ্ছে এই সামরিক মহড়ায়৷ 

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    ভস্তক ২০২২ নামের এই সামরিক মহড়ায় ৫০ হাজারের বেশি সৈন্য অংশ নেবেন৷ ১৪০টি যুদ্ধ বিমান এবং ৬০ টি যুদ্ধ জাহাজ ব্যবহার করা হবে এই মহড়ায়৷ তবে ২০১৮  সালে শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মহড়া। প্রায় তিন লক্ষ সেনা অংশ নিয়েছিলেন৷ সেই সময় প্রায় ১ হাজার যুদ্ধ বিমান এবং ৩৬ হাজার ট্যাঙ্ক ছিল৷   

    ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। বার বার আলোচনায় বসেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এই অবস্থায় কী করে এই দুই দেশকে একসঙ্গে মহড়ায় রাজী করাল রাশিয়া, তা নিয়ে অবাক হয়েছেন অনেকেই। 

    আরও পড়ুন: চিনের অমানবিকতা! উইঘোর বাসিন্দাদের উপর নির্মম বেজিং, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে

    সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, কোণঠাসা অবস্থায় দুই পুরোনো বন্ধুকে পাশে পেতে চাইছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে অধিকাংশ দেশগুলি রাশিয়ার নিন্দা করলেও, প্রকাশ্যে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে চিন (China)। প্রবল চাপ সত্বেও রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। আর সে কারণেই ভারত এবং চিনের মধ্যে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে দিতে চাইছেন পুতিন, যেন প্রয়োজন পড়লে দুই দেশই রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে পারে। 

    অন্যদিকে ভারতকে নিজেদের প্রতিরক্ষা অংশীদার করতে চাইছে আমেরিকা। ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো যাতে খর্ব না হয় তার জন্যে দিল্লিকে অনুরোধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন-রাশিয়া অশান্তির মধ্যে ভারতীয়  সেনার এই রাশিয়া সফরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এই মহড়া আয়োজন। ভারত-চীনের অংশগ্রহণ এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টিকে বাইডেন প্রশাসন গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

    তবে মহড়ার জন্যে সেনার ছোট দল রাশিয়ায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সেনার তিন বিভাগেই মহড়া চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভারতের তরফ থেকে সামরিক বিমান বা যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হবে না। সেনার তিন বিভাগ থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে। স্থলসেনার তরফে গোর্খা রেজিমেন্টকে পাঠানো হচ্ছে সামরিক মহড়ায়। সবমিলিয়ে ভারতের তরফ থেকে ৭৫ জনের একটি দল রাশিয়ায় যাবে।  

    কূটনৈতিক দিক দিয়ে বরাবরই নিরপেক্ষ থেকেছে ভারত। কিছুদিন পরেই আরণাচলপ্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। চিনের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়েই হবে এই মহড়া।

    সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে বেশি দর ভারতের। সব দেশই চাইছে ভারতের বন্ধুত্বের হাত। শেষ হাসি কে হাসবে তা সময় বলবে। কিন্তু এই অবধি সব দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ভারত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India Votes against Russia: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    India Votes against Russia: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত (India)। এই মুহূর্তে চলছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। এহেন আবহে ভারতের এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    ২৪ অগাস্ট রাষ্টসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতেই রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের ওপর ভোটাভুটিতে এতদিন অংশ নেয়নি নয়াদিল্লি। এবার নিল। এবং ভোট দিল রাশিয়ার বিপক্ষেই। আমেরিকা সহ পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে পুতিনের দেশ।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা

    ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পশ্চিমি দেশগুলি। তবে নয়াদিল্লি এর থেকে ছিল যোজন দূরে। ভারত রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই ‘বন্ধুত্বে’র সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এতদিন। নয়াদিল্লি এও জানিয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধাবসানে যা করণীয়, তাই করবে সাউথব্লক। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা পাঁচ। এই পাঁচটি দেশ হল, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চিন এবং ফ্রান্স। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্য ১০। এই সদস্য দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এই মুহূর্তে ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শেষ হবে যার মেয়াদ।

    ইউক্রেনের ৩১তম স্বাধীনতার আবহে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ২৪ অগাস্ট বৈঠক বসে নিরাপত্তা পরিষদে। সেখানেই রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ান অ্যাম্বাসাডর ভ্যাসিলা এ নেবেনজিয়া (Vassily A. Nebenzia) ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভিডিও টেলিকনফারেন্সে এই বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি করতে অনুরোধ করেন। এই ভোটেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয় ভারত। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, ইউক্রেনের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৩টি। বিপক্ষে একটি। অর্থাৎ রাশিয়া ভোট দিয়েছে বিপক্ষে। ভোটদানে বিরত ছিল চিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ISIS Suicide Bomber: রাশিয়ায় গ্রেফতার হওয়া আইএস জঙ্গিকে হেফাজতে নিতে চায় ভারত

    ISIS Suicide Bomber: রাশিয়ায় গ্রেফতার হওয়া আইএস জঙ্গিকে হেফাজতে নিতে চায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় (Russia) গ্রেফতার হওয়া ইসলামিক স্টেট (আইসিস) জঙ্গিকে (ISIS Terrorist) নিজের হেফাজতে নিতে চায় ভারত। এর জন্যে রাশিয়ার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (FCS) কাছে আবেদনও জানাবে ভারতীয় এজেন্সি। এর আগে ঠিক ছিল ওই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাশিয়া যাবেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (IB)-এর আধিকারিকরা। কিন্তু এখন তাকে দেশে এনেই জেরা করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: পয়গম্বরকে অপমানের বদলা নিতে ভারতে হামলার ছক, রাশিয়ায় গ্রেফতার আইএস জঙ্গি

    উজবেকিস্তানের ওই জঙ্গিকে (Suicide Bomber) দেশে এনে জেরা করার জন্যে রাশিয়া, উজবেকিস্তান দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে ভারত। 

    রাশিয়ায় ধৃত ওই আইএস জঙ্গিকে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) হত্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের শীর্ষ সূত্রে এমনই খবর মিলেছে৷ আজামভ নামে ওই আইএস জঙ্গির জন্ম হয় ১৯৯২ সালে৷ তুরস্কে তাকে দলে নেয় আইএস৷ সেখানেই প্রশিক্ষণ চলে তার৷

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা

    নুপূর শর্মাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই রাশিয়ায় পৌঁছয় সে৷ লক্ষ্য ছিল রাশিয়া থেকে ভিসা নিয়ে দিল্লি পৌঁছনো৷ সূত্রের খবর, দিল্লিতে পৌঁছলে স্থানীয় ভাবে তাকে সহযোগিতা করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল৷ জেরায় আজামভ স্বীকার করেছে, অনলাইন প্রশিক্ষণেই তাকে চরমপন্থার প্রতি আকর্ষিত করা হয়েছিল৷ কোনও আইএস নেতার সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি তার৷ অপারেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ে রাশিয়ায় পৌঁছয় বলে দাবি করেছে আজামভ৷ 

    গত ২৭ জুলাই একটি বিদেশী সন্ত্রাস দমন এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়ায় একজন জঙ্গির গ্রেফতার হওয়ার খবর পায় ভারত৷ ওই এজেন্সি জানিয়েছিল, কিরঘিজস্তান এবং উজবেকিস্তানের দুই আত্মঘাতী জঙ্গি ভারতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ তাদের মধ্যে একজন তুরস্ক থেকে এসেছে৷

    ভারতের কাছে খবর ছিল, ওই দুই জঙ্গি রাশিয়ার মস্কো অথবা অন্য কোনও দূতাবাসের মাধ্যমে ভারতে আসার জন্য ভিসার আবেদন জানাবে৷ এই তথ্য হাতে পেয়েই রাশিয়াকে জানায় ভারত৷ সেই সূত্র ধরেই আজামভকে আটক করে সেদেশের ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস৷ 

    এর আগেই পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে হামলার ছক হতে পারে বলে ভারতকে সতর্ক করেছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সেইমতো ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কড়াকড়ি করেছে ভারত। তুর্কি, কাতার, কুয়েত, মধ্য এশিয়ার দেশগুলিকে ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া আঁটসাঁট করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই রাশিয়া  হয়ে ভারতে ঢোকার ছক কষেছিল ওই জঙ্গি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Russia Detains ISIS Terrorist: পয়গম্বরকে অপমানের বদলা নিতে ভারতে হামলার ছক, রাশিয়ায় গ্রেফতার আইএস জঙ্গি

    Russia Detains ISIS Terrorist: পয়গম্বরকে অপমানের বদলা নিতে ভারতে হামলার ছক, রাশিয়ায় গ্রেফতার আইএস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামিক স্টেটের এক আত্মঘাতী জঙ্গিকে আটক করল রাশিয়া (Russia arrests IS suicide bomber)৷ ভারতে বড় হামলা চালানোর ছক কষেছিল ওই জঙ্গি। ধৃত জঙ্গি জানিয়েছে, ভারতে এসে আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল সে ৷ রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের রাজনৈতিক দলের এক প্রতিনিধির উপর হামলা চালানোর ছক কষেছিল ওই আইএস জঙ্গি৷

    আরও পড়ুন: হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এফএসবি (FSB) ইসলামিক স্টেটের এক সদস্যকে শনাক্ত করে আটক করেছে (IS suicide bomber detained)৷ ধৃত জঙ্গি মধ্য এশিয়ার বাসিন্দা ৷ ভারতের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির উপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল তার ৷” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ওই আত্মঘাতী বিস্ফোরককে তুরস্কে নিয়োগ করেছিল জঙ্গি সংগঠন আইএস ৷ এফএসবির ভিডিও বার্তায় ওই জঙ্গিকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, পয়গম্বরকে (Prophet Controversy) অপমানের বদলা নিতে সে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল ৷ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “ওই জঙ্গিকে বলা হয়েছিল সে যাতে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করে রাশিয়া ছেড়ে ভারতে উড়ে যায় ৷ এবং ভারতে গিয়ে সে যাতে বড়সড় কোনও জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটায় ৷” 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ
     
    জানা গিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত তুরস্কেই ছিল ওই আইএস জঙ্গি ৷ তাকে আত্মঘাতী বিস্ফোরক হিসেবে নিয়োগ করেছিল ইসলামিক স্টেট ৷ ইস্তানবুলে একটি বৈঠকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওই জঙ্গিকে ৷

    কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতাকে টার্গেট করা হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন রুশ গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, গত এপ্রিল ও জুনের মধ্যে ভারতে আত্মঘাতী হামলার জন্য তাকে নিয়োগ করে আইএস শীর্ষ নেতৃত্ব। এর জন্য তাকে প্রয়োজনীয় নথি ও সামগ্রীও দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির শীর্ষ নেতাকে হত্যার জন্য ওই জঙ্গি শপথ নিয়েছিল বলেও দাবি করেছে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি। তবে কোন নেতাকে হত্যার ছক কষা হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। এই চক্রে আর কেউ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন রুশ গোয়েন্দারা। 
     

  • Ajit Doval: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    Ajit Doval: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (National Security Advisor) অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বর্তমানে রাশিয়ায় (Russia) আছেন। বুধবার তিনি রাশিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলাই পাত্রুশেভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    আরও পড়ুন: মিত্র দেশগুলিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত রাশিয়া, জানালেন পুতিন

    আলোচনায় কী উঠে আসবে রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) প্রসঙ্গ? দুই দেশের মধ্যে ভারতই কী হয়ে উঠবে শান্তির দূত? গোটা বিশ্বের এখন একটাই প্রশ্ন।    

    ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর ডোভাল এবং পাত্রুশেভের (Patrushev) মধ্যে এটাই প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠক। আফগানিস্তানসহ আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি আলোচনায় উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ডোভালের সফর বা বৈঠকের বিষয়ে ভারতীয় পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি রিডআউটে বলা হয়েছে যে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি পাত্রুশেভ এবং ডোভালের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়গুলির পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

     

    আরও পড়ুন: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

    রাশিয়ার তরফে বলা হয়, ‘উভয় পক্ষই নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। রাশিয়া এবং ভারত বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রগতিশীল উন্নয়নের উপরও জোর দিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, একই সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে বিশেষ ছাড়ে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। উজবেকিস্তানে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য দেশগুলোর নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দুই দিনের বৈঠকের একদিন আগে এই বৈঠক করলেন অজিত ডোভাল।

    এখন অবধি শুধু পাত্রুশেভের সঙ্গেই কথা হয়েছে ডোভালের। আগামীতে পুতিন বা অন্য কোনও নেতার সঙ্গে বৈঠকের কোনও সম্ভবনা রয়েছে কী না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। জার্মানি, ফ্রান্স, ইউরোপ, ইউএসের মতো দেশগুলি রাশিয়াকে যুদ্ধ বিরতির জন্যে রাজী করানোর বিষয়ে নয়া দিল্লির মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমি দেশগুলি ইউক্রেনকে যুদ্ধ বিরতির জন্যে চাপ দিচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন ডোভালের এই আকস্মিক সফর শান্তির বার্তা বয়ে আনবে। কিন্তু আদতে কী হবে তা সময়ই বলবে। 

    কিছুদিন আগেই জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কারও কিছু জেতার নেই। সবটাই হারাবে। একমাত্র উপায় শান্তি প্রতিষ্ঠা।” মোদির এই বক্তব্যের পরেই  ডোভালের এই সফরে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। 
     

  • Putin on India: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

    Putin on India: ভারত নিজের অধিকারেই বিশ্বে সম্মানিত, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) শুভেচ্ছা বার্তায় ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় নেতৃত্ব ও জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “অনুগ্রহ করে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন। কয়েক দশক ধরে ভারত অর্থনৈতিক, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সর্বজন স্বীকৃত সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্ব মঞ্চে নিজের অধিকারেই ভারত যথাযথভাবে মর্যাদা উপভোগ করে এবং বিশ্বের সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”  

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন?

    পুতিন লেখেন, “আমি নিশ্চিত যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করার স্বার্থে যৌথভাবে আমরা আমাদের জনগণের সুবিধার জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ককে আরও উন্নত করে তুলব।”  

    পুতিন বলেন, “রুশ-ভারত (Russia) সম্পর্ক আরও বিকশিত হচ্ছে। মস্কো এবং নয়াদিল্লি সফলভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথভাবে সহযোগিতা করছে।” একই সঙ্গে জাতিসংঘ, ব্রিকস, এসসিওসহ অন্যান্য বহুপাক্ষিক বৈঠকে দু দেশের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুতিন। দু দেশের জনগণের সম্পর্ক আরও মজবুত করার কথাও এদিন বলেন পুতিন। 

    আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা! শান্তি রক্ষায় এগিয়ে আসুক দুপক্ষ, আর্জি ভারতের

    পুতিন বলেছেন, “রাশিয়া এবং ভারতের একে অপরকে সহযোগীতায় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও অর্থনীতি, শান্তিপূর্ণ পরমাণু ও মহাকাশ অনুসন্ধান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি আত্মবিশ্বাসের সাথে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমাদের ভারতীয় বন্ধুদেরকে তাঁদের জাতীয় ছুটির দিনে অভিনন্দন জানাই। আমরা আপনাদের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নতুন সাফল্য কামনা করি!” রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্যও কামনা করেছেন রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।     

  • Wargames: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    Wargames: ভারত, চিন, রাশিয়া সামরিক মহড়া! কী ভাবছে আন্তর্জাতিক মহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন (China) সীমান্তে সংঘাত লেগেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে  চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে একসঙ্গে যৌথ মহড়ায় (Military Exercise) অংশ নিতে চলেছে ভারত (India) এবং চিনের সেনাবাহিনী। রাশিয়ার মাটিতে আরও তিনটি দেশের সঙ্গে এই মহড়া চালানো হবে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ায় এই সামরিক মহড়ার আয়োজনও আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব বাড়িয়েছে।

    চিনা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মহড়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করতেই এহেন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারত এবং চিন ছাড়াও রাশিয়া (Russia), বেলারুশ এবং তাজিকিস্তান এই মহড়ায় অংশ নেবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অংশগ্রহণকারী দেশগুলির সেনাবাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। কৌশলগত ক্ষেত্রেও অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে এই মহড়া। তাছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তাজনিত সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বাড়াবে এই মহড়া।” 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোড়

    রাশিয়ার তরফে জুলাই মাসে একটি বিবৃতিতে সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছিল। সেখানে ১৩টি দেশ অংশ নেবে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, পূর্ব রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলকে এই সামরিক মহড়ার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই অঞ্চলটি চিনের সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জানা গিয়েছে, এই ড্রিলে বায়ু সেনা, দূরপাল্লার সামরিক যুদ্ধ সামগ্রীর অনুশীলন হবে। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক পরুস্থিতির কোনও সম্পর্ক নেই।

    ভারত এই সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আগেও চিন ও ভারত নিজেদের দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একাধিক সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। ২০২০ সালের মে মাসে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। 

  • IAF’s Sukhoi: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    IAF’s Sukhoi: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান চায় বায়ুসেনা। পুরনো মিগ সিরিজের বিমানগুলিকে বসিয়ে দিয়ে আধুনিক ফাইটার জেট ব্যবহার করতে আগ্রহী ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি নতুন যুদ্ধবিমান কিনতে চায় বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষামন্ত্রক ও বায়ুসেনার সঙ্গে সুখোই-৩০ ও আরও আধুনিক এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন যুদ্ধবিমান নিয়ে কথা বলতে শীঘ্রই ভারতে আসছে রাশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিরক্ষা শিল্প নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া চুক্তির জন্যই দিল্লি আসার কথা ওই দলের।  

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, অতি দ্রুত ১১৪টি যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিমান নিয়ে চুক্তি করতে বোয়িং, লকহিড মার্টিনের মতো মার্কিন সংস্থা, রাশিয়ার ইউনাইটেড এয়ারক্র্যাফট এবং সাব-এর মতো সংস্থা আগ্রহী। এই সব সংস্থা এর আগেও মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের (এমএমআরসিএ) টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। একাধিক সংস্থা ইতিমধ্যেই নানা ‘অফার’ নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। রাশিয়া সরকারের সঙ্গেও কয়েক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে সব প্রস্তাব এবং পরিকল্পনাই খতিয়ে দেখছে সরকার।

    আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের ভারতে আসা বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। রাশিয়ার ইউনাইটেড এয়ারক্র্যাফটের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের কথায়, তাঁরা ভারতের সঙ্গে নয়া চুক্তি করতে আশাবাদী। তাঁরা Sukhoi-30 MKI ফ্লিটের আপগ্রেডেড রূপ নিয়ে কথা বলতে চায়। এই  প্রস্তাবিত আপগ্রেডেড রূপে আরও ভাল রাডার, শক্তিশালী অস্ত্র প্যাকেজ, একটি নতুন ককপিট সিস্টেম-সহ আরও অনেক কিছু রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, সুখোই গোত্রের সব যুদ্ধবিমানই রাশিয়ায় তৈরি। তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী শ্রেণিগুলির অন্যতম হল সুখোই-৩০। ভারতীয় বিমানবাহিনী এই সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানই ব্যবহার করে। এই ফাইটার জেটে রয়েছে ক্যানার্ড নামে অতিরিক্ত দুটি ডানা। এই ক্যানার্ড যুদ্ধবিমানের গতি ও ভারসাম্য দারুণভাবে চালকের নিয়ন্ত্রণে রাখে। থ্রাস্ট-ভেক্টর কন্ট্রোল নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে সুখোই-৩০ বিমানে। সেই ব্যবস্থা বিমানের অভিমুখ নিয়ন্ত্রণে খুব দক্ষ। থ্রাস্ট-ভেক্টরিং-এর সুবাদে কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এত দ্রুত এগিয়ে যায় সুখোই-৩০ যে তাকে তাড়া করা অপেক্ষাকৃত পুরনো দিনের যুদ্ধবিমানের পক্ষে খুব কঠিন।

  • Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (Crude Oil) আমদানি (Purchase) কমিয়ে দিয়েছে ভারত। পাঁচ মাসে এই প্রথম বার। রাশিয়া (Russia) থেকে আমদানি কমিয়ে তেল আমদানি বাড়ানো হয়েছে সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে। 

    চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রুশ জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে অনেকটাই কম দামে সৌদি আরব তেল রপ্তানি করছে। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। 

    ভারত জুলাই মাসে রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। জুন মাসের থেকে যা ৭.৩ শতাংশ কম। 

    আরও পড়ুন: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়া, ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে, মস্কোর কাছ থেকে পশ্চিমা দেশগুলি তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে রাশিয়া থেকে কম দামে প্রচুর তেল কেনা শুরু করে ভারত। 
     
    সামগ্রিকভাবে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ। কিন্তু জুন থেকে জুলাই মাসে ভারত জ্বালানি তেল আমদানি ৩.২ শতাংশ কমিয়েছে। কারণ দেশের কিছু জ্বালানি শোধনাগার অগাস্ট থেকে রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করছে। 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    এ দিকে সৌদি আরব থেকে ভারতের জ্বালানি তেল আমদানি জুলাই মাসে ২৫.৫ শতাংশ বেড়েছে। এখন ভারত প্রতিদিন সেই দেশ থেকে ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৭০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। ভারতের জ্বালানি সরবরাহকারীদের মধ্যে সৌদি আরবের অবস্থান এখন তৃতীয়। 

    উল্টোদিকে তেলের চাহিদা বাড়ায় ফের দাম বাড়িয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এতে তেলে রপ্তানি তলানিতে ঠেকেছে রাশিয়ার। দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেলেরও কম তেল বিক্রি হচ্ছে। তাই রাশিয়া এখন তেল রপ্তানির জন্যে নতুন বাজারের সন্ধান করছে। শ্রীলঙ্কা এবং মিশরেও যাচ্ছে রুশ ট্যাঙ্কার। 

    তবে এখন সৌদি আরবই একমাত্র কম টাকায় অপরিশোধিত তেল দিচ্ছে এমনটা নয়। কম দামে পাওয়া যাচ্ছে মার্কিন তেলও। মার্কিন তেলের কম দামেও আকৃষ্ট হয়েছে ভারত এবং কোরিয়া। ফলে বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা অব্যহত। 

     

LinkedIn
Share