Tag: Russia

Russia

  • Quad summit: চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    Quad summit: চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল চতুর্থ কোয়াড সম্মেলন (Quad Summit)। জাপানের রাজধানী টোকিওতে (Tokyo) এক মঞ্চে দেখা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi), জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden)।

    বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে প্রধান ছিল করোনা (Covid-19) সংক্রমণ প্রতিরোধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine war) এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (Indo-Pacific Ocean Region) চিনের মোকাবিলা। বৈঠকের শেষে চিনের (China) বিরুদ্ধে একজোট হলেও রাশিয়ার (Russia) ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত কোয়াড। পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও জাপান সরব হলেও, চুপ ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত (India)।

    বৈঠকের শুরুতেই বাইডেন জানান, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় যাতে বিভিন্ন দেশ অবাধে যাতায়াত করতে পারে, সেজন্য চেষ্টা করবে কোয়াড। তাঁর কথায়, “ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার হামলা দেখিয়ে দেয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা রক্ষা করা কত জরুরি।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ইউক্রেনের সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছেন। এমনটা নয় যে রাশিয়া, ইউক্রেনে শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলিতে আঘাত করছে! তারা (রাশিয়া) ইউক্রেনের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জাকে ধ্বংস করছে। বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী দেশকে এর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদার মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। তাঁর কথায়, “ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কখনও ইউক্রেনের মতো ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।”

    অন্যদিকে রাশিয়া প্রসঙ্গে চুপ থেকে কোয়াড বৈঠকে মোদি বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে কোয়াড। ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গঠনমূলক কর্মসূচি নিয়ে এগোতে চায় এই গোষ্ঠী এর ফলে সকলেই বুঝতে পারবে, কোয়াড (QUAD) মানুষের কল্যাণ চায়।” পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি কয়েকটি ক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করছে। তাদের মধ্যে আছে পরিবেশ দূষণ রোধ, বিপর্যয় মোকাবিলা, ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং অর্থনীতি। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করেছে কোয়াড।

    রাশিয়া নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলেননি অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। তিনি বলেন, “আগামী দিনে অস্ট্রেলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিকে আরও সাহায্য করবে। তার ফলে সমুদ্রপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।” 

    তবে, বৈঠকের শেষে রাশিয়া-প্রসঙ্গে চার দেশের তরফে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, সব দেশেরই উচিত আন্তর্জাতিক আইনগুলি মেনে চলা। কখনওই তা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। যাবতীয় বিভেদ মেটাতে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথই শ্রেয়, বলে মনে করে কোয়াড।

    রাশিয়া নিয়ে একমত হতে না পারলেও একজোট হয়ে চিনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি নেওয়ার কথা জানায় চার দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন যেভাবে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়। এই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত করার বা অবস্থান বদলের কোনওরকম চেষ্টা যদি চিন করে তাহলে তার কড়া জবাব দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় কোয়াড সম্মেলনে। করোনা মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রসঙ্গেও চিনের সমালোচনা করেন তিনি।

  • Olympic Games 2036: ২০৩৬ অলিম্পিক্সের বিডিং, আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল রাশিয়া

    Olympic Games 2036: ২০৩৬ অলিম্পিক্সের বিডিং, আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, জানাল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৩৬ সালের অলিম্পিক গেমস (2036 Olympic Games) যাতে ভারতে (India) আসে, তার চেষ্টা করছে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (Indian Olympic Association)। মূলত আমেদাবাদ (Ahmedabad) কেই বেছে নেওয়া হয়েছে ২০৩৬ অলিম্পিক গেমসের জন্য। ভারতের এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া। শুধুমাত্র সমর্থনই করেনি, অলিম্পিক ডিং ও গেমস আয়োজনে ভারতকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া (Russia)। তারা জানিয়েছে, যদি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (International Olympic Committee) ২০৩৬ অলিম্পিক্স ভারতকে দেয়, তাহলে তা আয়োজনে রাশিয়া বড় সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: রাশিয়ায় খুলবে ভারতীয় সুপারমার্কেট চেন! ইঙ্গিত পুতিনের

    উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) ফলে রাশিয়াকে বহু দেশ বয়কট করেছে। খেলার জগতেও রাশিয়াকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুরনো বন্ধু রাশিয়ার পাশে থেকেছে ভারত। ফলস্বরূপ,  রাশিয়া ভারতকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। বুধবার ভারত সফরে এসে রুশ ক্রীড়ামন্ত্রী ওলেগ মাতিস্তিন (Oleg Matytsin) বলেছেন, “ভারতকে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করতে সহায়তা করতে পারলে রুশ বিশেষজ্ঞরা খুব খুশি হবেন।“  তিনি ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) এর সঙ্গে একটি বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

    ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নারিন্দার বাত্রা ( Narinder Batra) ২০২১ সালের থেকেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। তিনিই প্রস্তাবে জানিয়েছেন, আমেদাবাদকে কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করার। গুজরাটের আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের স্বপ্ন দেখছে ভারত। এখনও পর্যন্ত কিছুই ঠিক না হলেও গুজরাটের অ্যাডভোকেট জেনারেল কামাল ত্রিবেদী (Kamal Trivedi) হাইকোর্টে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁরা এখন থেকেই ২০৩৬ অলিম্পিক্সের আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে এবং অলিম্পিক কমিটি ২০২৫ সালে সাইট পরিদর্শন করতে আসবে। 

    আরও পড়ুন:ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    ভারতে এসে নারিন্দার বাত্রার সঙ্গে দেখা করে ওলেগ বলেন, “যদি অলিম্পিক গেমস আয়োজনের স্বপ্ন সত্যি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়নে আরও একটি বড় দিক উঠে আসবে। আমরা অলিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য ও নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করার জন্য সব সময় প্রস্তুত, এবং আমরা অনেক বার এমনটা করেছি। ফলে যদি ভারতে অলিম্পিক্স হওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়, তাহলে রুশ বিশেষজ্ঞরা ভারতে অলিম্পিক গেমস আয়োজনে সাহায্য করতে পেরে খুব খুশি হবে।“

    [tw]


    [/tw]

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্যেই অলিম্পিক্স-সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ রয়েছে রাশিয়া। এমন সময়েই নিজেদের ক্রীড়াক্ষেত্রকে ঠিক রাখতেই ভারতকে খেলার জগতে সাহায্য করতে রাশিয়া আগ্রহী হয়েছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

  • Ukraine-Russia War: রুশ সেনাদের হাতে প্রায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন পরিবার-সহ জেলেনস্কি

    Ukraine-Russia War: রুশ সেনাদের হাতে প্রায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন পরিবার-সহ জেলেনস্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রুশ সেনারা প্রায় ধরেই ফেলেছিলেন, অল্পের জন্য বেঁচে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকের কথা স্মরণ করে ইয়ারমাক জানান, রুশ সেনারা প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি করার খুব কাছে চলে এসেছিলেন।  

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান ঘোষণার পরের দিন জেলেনস্কি আর তাঁর স্ত্রী  ওলেনা জেলেনস্কার ঘুম ভেঙে গেলে তাঁদের ১৭ বছর বয়সী মেয়ে ও ৯ বছর বয়সী ছেলে জানায় যে বোমাবর্ষণ শুরু হয়ে গেছে। সেদিন খুব জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল বলে সাক্ষাৎকারে দাবি করা হয়েছে। শীঘ্রই জেলেনস্কি বুঝতে পারেন যে তিনিই হামলার লক্ষ্য এবং প্রেসিডেন্টের অফিস আর  নিরাপদ নয়। জেলেনস্কি বলেন, তাঁকে জানানো হয়েছিল যে একটি রাশিয়ান দল তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হত্যা বা বন্দি করার জন্য কিয়েভে নামছে।

    কীভাবে প্রেসিডেন্টের গার্ড কম্পাউন্ডটি সুরক্ষিত করার চেষ্টা করেছিলেন তা জানিয়েছেন জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। তিনি বলেন, “সেই রাতের আগে, আমরা কেবল সিনেমাতেই এসব দেখেছি।” পিছনের প্রবেশদ্বারের একটি গেট পুলিশ ব্যারিকেড এবং প্লাইউড বোর্ডের স্তূপ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। রাশিয়ান আক্রমণের প্রথম রাতে, লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং কম্পাউন্ডের ভেতরের রক্ষীরা জেলেনস্কি এবং তাঁর সহযোগীদের জন্য বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে আসেন। ওই রাতে রাশিয়ান সেনারা দুইবার কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। সে সময়  জেলেনস্কি এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তান ভেতরেই ছিলেন বলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ জানিয়েছেন। 

    প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আক্রমণের মুখে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছেন জেলেনস্কি। রুশ আগ্রাসন শুরুর পর দেশ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। 

  • Vladimir Putin: পুতিনের  অবস্থা সঙ্কটজনক, কতদিন সময় তাঁর হাতে?

    Vladimir Putin: পুতিনের  অবস্থা সঙ্কটজনক, কতদিন সময় তাঁর হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে হালকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটা, কম্বলে, মোটা জ্যাকেটে নিজেকে মুড়ে রাখা, কখনও বা ঘনঘন কাশি, নানা ভিডিওয় এইসব চিত্র ধরা পড়ছিল। জল্পনাও চলছিল যে, পুতিন (Putin) কি গুরতর অসুস্থ? এবার এক বিদেশি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট (Russian President) ভ্লাদিমির পুতিনের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। প্রাক্তন ব্রিটিশ গুপ্তচর ক্রিস্টোফার স্টেলি (Christopher Steele) ওই সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুতিনের শরীর ভাল নেই। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

    এর আগেও পুতিনের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে ক্রেমলিন (Kremlin) এসব দাবির বিষয়ে কিছু জানায়নি। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Former US President Donald Trump) নিয়ে বই লিখেছিলেন স্টেলি। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এবার পুতিনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খবর প্রকাশ করে স্টেলি বলেন, “রাশিয়া ও অন্যান্য সূত্র থেকে যা জানতে পারছি, পুতিন ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই রোগ নিরাময়যোগ্য কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।” তবে ইউক্রেনে (Ukraine) সামরিক অভিযান পুতিনেরই মস্তিষ্ক -প্রসূত বলে জানান স্টেলি।

    [tw]


    [/tw]

    ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই পুতিনের ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা চলছে।  ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই মৃত্যু পথযাত্রী পুতিন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন সেই দেশেরই এক ধনকুবের। 

    এক রুশ ধনকুবেরের সঙ্গে কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করেছে একটি ব্রিটিশ ম্যাগাজিন। যেখানে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা এবং পুতিনের শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা নিয়ে মুখ খোলেন ওই ধনকুবের। তবে তাঁর কথা যে রেকর্ড করা হচ্ছে, সেটি সম্পর্কে তিনি জানতেন না। ১১ মিনিটের সেই কথোপকথনের রেকর্ডিং সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে ওই ধনকুবের জানান, “রাশিয়ার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন পুতিন। শুধু রাশিয়াই (Russia) নয়, ইউক্রেন-সহ আরও একাধিক দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। আসলে ওঁর মস্তিষ্কের বিকৃতিই গোটা পৃথিবী উল্টে দিতে পারে।” এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইছি, পুতিনের মৃত্যু হোক। ওঁর ক্যানসার ওঁকে খেয়ে নিক। নইলে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ওঁকে ক্ষমতা থেকে সরানো হোক।”

    আরও পড়ুন: ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পুতিন, জল্পনা বিভিন্ন মহলে

    তবে ওই ধনকুবের একা নন, এর আগে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান দাবি করেছেন, পুতিন ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁর দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, পুতিন যেখানেই যাচ্ছেন, তাঁর সঙ্গে তিনজন করে চিকিৎসক থাকছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন একজন ক্যানসার স্পেশালিস্টও। 

  • Quad Summit: শুভেচ্ছা-স্মারক হিসেবে রাষ্ট্রনেতাদের বিশেষ উপহার মোদির

    Quad Summit: শুভেচ্ছা-স্মারক হিসেবে রাষ্ট্রনেতাদের বিশেষ উপহার মোদির

    কোয়াড সম্মেলনের শেষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা,অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয়দের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা-স্মারক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গন্ড আর্ট পেইন্টিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে রোগান পেইন্টিং সহ এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে সাঁঝি আর্ট উপহার দিয়েছেন মোদি।

    অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে মোদির উপহার: গন্ড আর্ট পেন্টিংপ্রসিদ্ধ আদিবাসী শিল্পগুলির মধ্যে একটি হল গন্ড পেইন্টিং। ‘গন্ড’ শব্দটি এসেছে ‘কন্ড’ শব্দ থেকে যার অর্থ ‘সবুজ পাহাড়’। বিন্দু এবং রেখা দিয়ে তৈরি এই ছবিগুলি পাহাড়ের দেওয়ালে লাগানো থাকে। এই আদি চিত্রশিল্পে মাটি,গাছের রস,পাতা,গোবর,চুন পাথরের গুঁড়ো ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

    গন্ড শিল্পকে অস্ট্রেলিয়ার আদিম শিল্পের অনুরূপ বলে মনে করা হয়। গন্ডদের সৃষ্টি সম্পর্কে আদিবাসীদের নিজস্ব গল্প আছে। এই শিল্পের মাধ্যমে স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির দূরত্ব কমে। অস্ট্রেলিয়দের কাছে এর এক বিশেষ অনুভূতি আছে।

    মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার: সাঁঝি আর্ট- সাঁঝি,কাগজে হাতে কাটা নকশার শিল্প। উত্তর প্রদেশের মথুরায় এই বিশেষ শিল্পরীতি চোখে পড়ে। ভগবান কৃষ্ণের বাড়ির গায়ে এই শিল্পকর্ম দেখা যেত। এখন এর ঐতিহ্য ধরে রাখতে ভগবান কৃষ্ণের গল্পের মোটিফগুলি স্টেনসিলে তৈরি করা হয়। এই স্টেনসিলগুলি কাঁচি বা ব্লেড ব্যবহার করে কাটা হয়। সূক্ষ্ম সাঁঝি প্রায়ই কাগজের পাতলা শিট দ্বারা একসাথে রাখা হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে উপহার: রোগান পেইন্টিং-সহ কাঠের বাক্স- এই শিল্পটি দুটি ভিন্ন শিল্পের সংমিশ্রণ-রোগান পেইন্টিং এবং কাঠের কাজ। রোগান পেইন্টিং হল গুজরাটের কচ্ছ জেলার শিল্প। সাধারণত কাপড় মুদ্রণের ক্ষেত্রে এই শিল্প ব্যবহার করা হয়।  এক্ষেত্রে উদ্ভিজ তেল এবং উদ্ভিজ্জ রঞ্জকগুলি থেকে তৈরি রঙটি একটি ধাতব ব্লক (প্রিন্টিং) বা স্টাইলাস (পেইন্টিং) ব্যবহার করে ফ্যাব্রিকের উপর স্থাপন করা হয়। ২০ শতকের শেষের দিকে কারুশিল্পটি প্রায় শেষ হয়ে যায়।  শুধুমাত্র একটি পরিবারই এখনও রোগান চিত্রকর্মটি বজায় রেখেছে।

    ‘রোগান’ শব্দটি এসেছে ফার্সি থেকে, যার অর্থ বার্নিশ বা তেল। রোগান পেইন্টিং তৈরি করতে খুবই পরিশ্রম করতে হয়। দক্ষ শিল্পী ছাড়া এই কাজ সম্ভব নয়। কাঠের উপর হাত দিয়ে খোদাই করাও একটি জটিল শিল্প। এই কারুকার্যের বিষয়বস্তু ভারতের বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভগুলি থেকে নেওয়া হয়।

    উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ আগেও নজর কেড়েছে। এবারও তাঁর অভিনব উপহারে আপ্লুত রাষ্ট্রনেতারা।

  • Russia Stops Gas: পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া, “ব্ল্যাকমেল” বলে কটাক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের

    Russia Stops Gas: পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া, “ব্ল্যাকমেল” বলে কটাক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: হুঁশিয়ারি ছিলই। এবার সেই মতো দুই ন্যাটোভুক্ত দেশ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া। এর ফলে, বড় সমস্যায় এই ইউরোপের এই দুই দেশ।

    ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়াকে কার্যত একঘরে করে ফেলার চেষ্টা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার ওপর জারি হয় একাধিক নিষেধাজ্ঞা। সুইফ্ট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা থেকে সাসপেন্ড করা হয় রুশ ব্যাঙ্কগুলিকে। ফলে, আর্থিক লেনদেন জোর ধাক্কা খায় মস্কো। সেই সময় রাশিয়া জানিয়ে দেয়, তাদের থেকে পণ্য় কিনতে গেলে, অর্থ জোগাতে হবে রুবলে। 

    প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আয়ের অন্যতম মূল উৎস হল জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী দেশ হল রাশিয়া। ফি বছর ইউরোপ যত পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে, তাঁর সিংহভাগ আসে রাশিয়া থেকেই। বিভিন্ন পাইপলাইনের মাধ্য়মে সেই গ্যাস সরবরাহ করে থাকে মস্কো। বলা ভাল, ইউরোপের একাধিক দেশ মূলত রাশিয়ার যোগান দেওয়া গ্যাসের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। মোট ২৩টি ইউরোপীয় দেশে গ্যাস সরবরাহ করে থাকে রাশিয়া। 

    এবার, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধার ফলে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবস্থাগ্রহণ করে ইউরোপ তথা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি। কোনও কোনও দেশ তো ইউক্রেনকে অর্থ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অস্ত্র সররবাহ শুরু করে। রাশিয়া আগেই জানিয়ে রেখেছিল, ইউক্রেনের পাশে যারা দাঁড়াবে, তাদের মাশুল দিতে হবে। কিন্তু, তাতে কেউ কর্ণপাত না করায়, এবার পাল্টা ব্যবস্থা নেয় মস্কো। 

    গত মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, তাদের থেকে গ্যাস সহ যে কোনও পণ্য কিনতে গেলে এখন থেকে রুবলে পেমেন্ট করতে হবে। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া সেই শর্তে মানতে রাজি হয়নি। এরপরই, এই দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় মস্কো। এতে বিপাকে পড়েছে এই দুই পোল্য়ান্ড ও বুলগেরিয়া। 

    রাশিয়ার এই গ্যাস বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে “ব্ল্যাকমেল” বলে উল্লেখ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা জানিয়েছে, জ্বালানির বিষয়টি সামনে এনে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এই ঘোষণাকে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে কটাক্ষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঐকবদ্ধভাবে এর জবাব দেওয়া হবে। 

    কিন্তু, তাতে দমে না গিয়ে মস্কো আরও হুঁশিয়ারি দেয়, রুবলে দাম না মেটালে অন্য দেশের পরিণতিও হবে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ার মতো।  রাশিয়ার হুমকি, প্রয়োজনে গোটা ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি। জরুরি বৈঠকে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি। ইতিমধ্য়েই, ইউরোপের অপর ৪টি দেশ ইতিমধ্য়েই রুশ দাবি অনুযায়ী, রুবলে দাম মিটেয়েছে। রুবলে দাম মেটানোর জন্য গ্যাজপ্রমব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য হয়েছে ইউরোপের অন্তত ১০টি দেশ।

  • Rupee Ruble Mechanism: ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    Rupee Ruble Mechanism: ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে রাশিয়া (Russia)। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) উচিত শিক্ষা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকাও (USA)। রাশিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল মেসেজিং সিস্টেম, সংক্ষেপে “সুইফট” (SWIFT) থেকে। যার জেরে বিপাকে পড়েছে মস্কো (Moscow)।

    একশো দিনের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)। যুদ্ধের কারণ, ন্যাটোতে (NATO) যোগ দিতে চেয়েছিল ইউক্রেন। তার সেই ইচ্ছার কথা জানতে পেরেই ইউক্রেন আক্রমণ করেন পুতিন। রাশিয়ার এই আগ্রাসনের পরে পরেই কার্যত দু’ভাগ হয়ে যায় বিশ্ব। একদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা। অন্যদিকে রাশিয়ার বন্ধু দেশগুলি।

    আরও পড়ুন : মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই রাশিয়া থেকে তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। ভারতকেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে না বলেছিল জো বাইডেনের (Joe Biden) দেশ। বাইডেনের সেকথা কানে তোলেনি ভারত (India)। তার পরেও রাশিয়ার সঙ্গে অপরিশোধিত তেল সহ নানা বিষয়ে লেনদেন চালিয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লি।

    এদিকে সুইফট থেকে বেরিয়ে গেলে যেকোনও দেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেন করতে গিয়ে বিষম সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ তখন আর মার্কিন ডলারে লেনদেন করা যায় না। এই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে মস্কো। তবে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার পাশ থেকে সরে গেলেও, ভারত যায়নি। এখনও ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যিক লেনদেন চলছে। 

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    তবে কীভাবে পরিশোধ করা হবে মূল্য? দুই দেশই ঠিক করেছে “রুপি-রুবল”-এর (Rupee Ruble mechanism) মাধ্যমে চলবে লেনদেন। এটা করতে গেলে রুশ ব্যাংকগুলিকে ভারতীয় ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুপি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একইভাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলিও রাশিয়ার ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলবে। দুই দেশই অ্যাকাউন্টে একশো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রুপি এবং রুবল জমা রাখবে। এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলেই ডলার এড়িয়েই দিব্যি বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত।

  • Ukraine Russia War: “ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি হতে পারে”, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    Ukraine Russia War: “ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি হতে পারে”, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ (Ukraine Russia War) দু’মাস অতিক্রম করেছে। যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত তো নেই-ই বরং আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছ রাশিয়া (Russia)। এবার সরাসরি পশ্চিমকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (World war III) হুঁশিয়ারি দিল রাশিয়া। আর মস্কোর (Moscow) নিশানায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ও ন্যাটোভুক্ত (NATO allies) দেশগুলি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের (Ukraine) ছোড়া নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র (Neptune missile)  রাশিয়ার যুদ্ধ জাহাজের ওপর আছড়ে পড়ে। যুদ্ধজাহাজ মস্কভা (Moskva cruise ship) ধ্বংস হয়ে যাবার পরেই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছিল রাশিয়ার সরকারি টিভি চ্যানেল। এবার সেই হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ (Sergei Lavrov)। একটি রুশ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাভরভ বলেন, ‘‘রাশিয়াকে নিশানা করতেই ওই সমস্ত অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রাশিয়া পাল্টা সেখানে হামলা করার অধিকার রাখে।’’

    ন্যাটোর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে লাভরভ জানান, তারা সামরিক জোট রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটা প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ (proxy war) শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘‘মোদ্দা কথা, রাশিয়ার সঙ্গে ছায়াযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে ন্যাটোবাহিনী। আর যুদ্ধ মানে যুদ্ধই।’’ ওই সাক্ষাৎকারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন লাভরভ। তিনি বলেন, ‘‘এটাই বাস্তব। বিশ্ব এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দোড়গোড়ায়। পরিস্থিতি গুরুতর হচ্ছে। কেউই আর এই বাস্তবকে অস্বীকার করতে পারবে না।’’ পাশাপাশি একের পর এক শান্তি বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার দায় কিভের উপরেই চাপিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী।

    রাশিয়ার তরফ থেকে ভাবা হচ্ছে, ন্যাটোর পরিকাঠামোর বিরুদ্ধেই লড়ছে রাশিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের পেছনে নেটোর ভূমিকাই দেখছে রাশিয়া।  খুব স্বাভাবিক ভাবেই রাশিয়ার তরফ থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে চলছে এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা। 

    শুধু তাই নয়, কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাশিয়ার দাবি, যে কোনও মুহূর্তে হতে পারে নিউক্লিয়ার হামলা (Nuclear War)। লাভরভ বলেন, ‘‘যে কোনও মূল্যে পরমাণু যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার নীতিতে অটল রাশিয়া। এটিই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। কিন্তু বর্তমানে যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা বিবেচনাযোগ্য। আমরা এসব ঝুঁকি কৃত্রিমভাবে বাড়াতে চাই না।’’ বিদেশমন্ত্রীর এই বিস্ফোরক মন্তব্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। 

     

     

  • India Russia: পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ যোগান, ভারত থেকে পণ্য কিনতে চেয়ে আবেদন রাশিয়ার

    India Russia: পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ যোগান, ভারত থেকে পণ্য কিনতে চেয়ে আবেদন রাশিয়ার

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধের ফলে রাশিয়া (Russia) থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পাশ্চাত্য দেশগুলি। রাশিয়ার ওপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা (sanctions)। ইউরোপীয় (EU) ও মার্কিন (US) বহুজাতিক পণ্য সংস্থাগুলি রাশিয়ায় খাদ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। 

    ফলে, বড় সমস্যায় পড়েছে পুতিনের দেশ। রাশিয়ার ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও সুপারমার্কেটে থাকা পণ্যের স্টক প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। পশ্চিম থেকে আসছে না যোগান। তরতরিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। এই পরিস্থিতিতে বন্ধু ভারতের (India) মুখাপেক্ষি হয়েছে রাশিয়া। এদেশের বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে পণ্য-বাণিজ্য চুক্তি করতে চেয়ে নয়াদিল্লিকে (New delhi) অনুরোধ করেছে মস্কো (Moscow)।

    এই তালিকায় রয়েছে রাশিয়ার প্রথম সারির ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ওজোন (Ozon) এবং ইয়ান্ডেক্স (Yandex) মার্কেট । এছাড়া, রয়েছে ফুড সাপ্লিমেন্ট সংস্থা ফার্মাস্ট্যান্ডার্ড, ডেন্টাল প্রোডাক্টের বিক্রেতা সিমকোডেন্ট, রাশিয়ার সর্ববৃহৎ ফুড রিটেল চেন এক্স৫ রিটেল (X5 Retail) গ্রুপ এবং কনফেকশনারি সংস্থা ইউনিকন্ফ (UNICONF)। 

    যেমন ভারত থেকে জামাকাপড় থেকে শুরু করে বাচ্চাদের খেলনা, চাদর, লিনেন, ঘর সাজানোর সামগ্রী, টেক্সটাইল-ফ্যাব্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, রান্নার সামগ্রী, চা ও চামড়ার জিনিস পেতে আগ্রহী ইয়ান্ডেক্স। আবার, আরেক রিটেল সংস্থা এক্স৫ এদেশ থেকে ড্রিঙ্ক, সামুদ্রিক খাবার, চা, কফি, বাসমতি চাল, টিনজাত খাবার, রান্নার সামগ্রী, আঙুরের দাবি করেছে। এছাড়া, তালিকায় রয়েছে মারমালেড, জ্যাম, পাস্তা, ওট্স, প্যানকেক, স্প্যাগেটি, কর্নফ্লেক্স, কেচাপ।

    শুধু তাই নয়। ভারত থেকে মেডিক্যাল সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়ার অন্তত ৫টি সংস্থা। সেই তালিকায় রয়েছে গ্লাভ্স থেকে এমআরআই মেশিন। যদিও, পেমেন্ট ঘিরে দু’তরফেই রয়েছে একটি অস্বস্তি। বর্তমানে, সুইফ্ট পেমেন্ট সিস্টেম থেকে রুশ ব্যাঙ্কগুলিকে নিষিদ্ধ করেছে পাশ্চাত্য দেশগুলি। ফলে, এখন বাধ্য হয়ে রুবলে অর্থের আদান-প্রদান করছে রাশিয়া। 

     

  • Russian Oil Import: ভারতকে না কেনার হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে বেশি তেল কিনেছে আমেরিকা! 

    Russian Oil Import: ভারতকে না কেনার হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে বেশি তেল কিনেছে আমেরিকা! 

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia war) শুরু হওয়ার পর ভারত (India) সহ বিভিন্ন দেশকে মস্কো (Moscow) থেকে অশোধিত তেল (Crude Oil) কিনতে নিষেধ করছে যে আমেরিকা (USA), সেই তারাই এই একই সময়ে রাশিয়া থেকে ভারতের চেয়ে বেশি তেল কিনেছে। এমনই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। 

    রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে যখন আমেরিকা সহ গোটা ইউরোপের (EU) দেশগুলি রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, সেই মুহূর্তে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা নিয়ে প্রথম থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় আমেরিকাকে। 

    রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনা নিয়ে ভারতের সমালোচনা করতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। রাশিয়া থেকে তেল কিনলে তার ফল ভুগতে হবে বলেও ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এমনকি নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়েও এই কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

    যদিও, ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কাউকে তুষ্ট করতে বসে নেই, ভারত শুধু নিজের স্বার্থ দেখবে। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এদিন বলেন, “এবার থেকে আমরা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ দেখব। বিশ্বকে তুষ্ট করার কোনরকম চেষ্টা আমাদের দ্বারা হবে না।”

    আমেরিকার বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। তারপরই বিদেশমন্ত্রী জানান, “ভারত এক মাসে রাশিয়ার থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করে, ইউরোপের দেশগুলো একটা দুপুরে তার থেকেও বেশি পরিমাণ তেল কেনে তাদের থেকে। আর রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিসংখ্যান যদি দেখা যায়, তাহলে আমি আমেরিকাকে ইউরোপের দেশগুলোর দিকেই নজর দিতে বলব।”

    [tw]


    [/tw]

    জয়শঙ্করের বক্তব্য যে কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে হাতেনাতে। সম্প্রতি, সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (CREA) একটি পরিসংখ্যান পেশ করে। সেখানে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া থেকে কোন দেশ কত জ্বালানি আমদানি করেছে, তার একটা তালিকা দেওয়া হয়। 

    সেখানে দেখা যাচ্ছে, সকলের ওপরে রয়েছে জার্মানি। ভারতের অবস্থান তালিকার প্রায় শেষে। এমনকী, যে আমেরিকা ভারতকে এতদিন উপদেশ দিয়ে এসেছে রাশিয়া থেকে তেল না কেনার জন্য, তাদের অবস্থান ভারতের ওপরে। অর্থাৎ, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারতের তুলনায় রাশিয়া থেকে বেশি পরিমাণ তেল আমদানি করেছে বাইডেন প্রশাসন!

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক মোট ৬৩ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের খনিজ ও প্রাকৃতিক জ্বালানি রফতানি করেছে মস্কো। এর মধ্য়ে রয়েছে অশোধিত তেল, তেলজাত পণ্য, পাইপলাইন প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি। পরিসংখ্যান বলছে, ৭১ শতাংশ (প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ইউরো) কিনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলি। তার মধ্য়ে, সবেচেয়ে বেশি কিনেছে জার্মানি। এছাড়া বড় ক্রেতাদের মধ্য়ে রয়েছে ইতালি, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, ফ্রান্স। 

    এই পরিসংখ্য়ানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দ্বিচারিতা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গোটা বিশ্বকে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনতে নিষেধ করেও নিজেরা রুশ তেল কেনা এক দিনের জন্য বন্ধ তো করেইনি বরং সম্প্রতি তা লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে। 

     

LinkedIn
Share