Tag: Russia

Russia

  • S Jaishankar: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়,” ইউরোপকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়,” ইউরোপকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত সহযোগী খুঁজছে, পরামর্শদাতা নয়।” রবিবার ঠিক এই ভাষায় ইউরোপের (Europe) দেশগুলিকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার জেরে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। জয়শঙ্করের মতে, ইউরোপকে এখন বাস্তবে ফিরে আসতে হবে। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে তাদেরও কিছু সংবেদনশীলতা দেখানো প্রয়োজন। শুধুই পরামর্শ দিলে হবে না। আদর্শগত মতাপর্থক্য সরিয়ে পারস্পরিক সাহায্যের মাধ্যমেই আমেরিকার সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখা যাবে বলেও জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে বার্তা (S Jaishankar)

    সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, সংঘাত মেটাতে ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক পথে সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই জয়শঙ্করের এদিনের বক্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা কাউকে বলি না, এটা করো বা ওটা করো না। এটাই স্বাভাবিক সৌজন্য। কিন্তু আমাদের সঙ্গে এই ব্যবহার করা হয় না। তাই আমাদের কী করা উচিত, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “যখন আমরা বিশ্বের দিকে তাকাই, আমরা অংশীদার খুঁজি। আমরা পরামর্শদাতা খুঁজি না। বিশেষ করে সেই সব পরামর্শদাতা যারা নিজের দেশে আচরণ না করে বিদেশকে উপদেশ দেয়। আমার মনে হয়, ইউরোপের কিছু অংশ এখনও সেই সমস্যার সঙ্গে সংগ্রাম করছে। এর কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।” তিনি বলেন, “ইউরোপ বাস্তবতা যাচাইয়ের একটি পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এখন তারা এটির মুখোমুখি হতে পারবে কিনা, সেটা আমাদের দেখতে হবে।” জয়শঙ্কর বলেন, “কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, যদি আমরা একটি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাই, তাহলে অবশ্যই কিছু বোঝাপড়া থাকতে হবে, সংবেদনশীলতা থাকতে হবে, পারস্পরিক স্বার্থ থাকতে হবে এবং বিশ্ব কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে উপলব্ধি থাকতে হবে। আমার মনে হয়, ইউরোপের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে এই বিষয়গুলো বিভিন্ন মাত্রায় অগ্রগতি হচ্ছে। তাই কেউ কেউ বেশি এগিয়েছে, কেউ বা কিছুটা কম (Europe)।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ভারতের রাশিয়া বাস্তববাদের প্রতি ধারাবাহিক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে গভীর সামঞ্জস্য ও পরিপূরকতার দিকটি তুলে ধরেন, যেখানে একপক্ষ সম্পদের জোগানদার এবং অন্যপক্ষ ভোক্তা হিসেবে কাজ করছে। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব সমাধানে রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছাড়াই পশ্চিমি বিশ্বের পূর্ববর্তী প্রচেষ্টারও সমালোচনা করেন। যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “এ ধরনের পদ্ধতি বাস্তববাদের মৌলিক নীতিকেই চ্যালেঞ্জ করেছিল।” জয়শঙ্কর বলেন, “যেভাবে আমি রাশিয়ান বাস্তববাদের পক্ষে, সেভাবেই আমেরিকান বাস্তববাদেরও পক্ষপাতী। বর্তমান সময়ে আমেরিকার সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোত্তম উপায় হল মতাদর্শগত পার্থক্যকে প্রাধান্য না দিয়ে বরং সাধারণ স্বার্থের মিল খুঁজে বের করা, যা একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনাকে ম্লান হতে দেয় না।”

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “সম্পদ প্রদানকারী ও ভোক্তা হিসেবে দু’দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামঞ্জস্য ও পরিপূরকতা রয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেত্রে, আমরা সবসময়ই রাশিয়া বাস্তববাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি (Europe)। ২০২২-২০২৩ সালের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী ও পরিস্থিতি কল্পনা করা হয়েছিল, যা সময়ের পরীক্ষায় সঠিক বলে প্রমাণিত হয়নি।” এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত মেটাতে আলোচনার ওপরই জোর দিয়েছে রাশিয়া। পহেলগাঁওয়ে হামলার বিষয়ে গত শুক্রবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জয়শঙ্কর। তিনি লাভরভকে জানান, পহেলগাঁও হামলায় ষড়যন্ত্রকারী, সাহায্যকারী, সাহায্যকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতেই হবে। লাভরভ তাঁকে অনুরোধ করেন, যুদ্ধের বদলে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথেই ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে সংঘাত মিটিয়ে নিক। এই প্রসঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। মস্কোর সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক নিয়েও লাভরভ ও জয়শঙ্করের মধ্যে আলোচনা হয়।

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতি

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে (S Jaishankar), দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে রাশিয়া ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার (Europe) পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতির বিষয়ে দুজনে কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা অনুসরণ করে দুই দেশকে আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন লাভরভ (S Jaishankar)।

  • PM Modi: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের, ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন মোদি

    PM Modi: পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারতের, ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ মে নিজের রাশিয়ার সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত রাশিয়াতে ৯ মে বিজয় দিবস পালিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওই দিনেই নাৎসি জার্মানিকে পরাস্ত করে সোভিয়েত রাশিয়া। তারপর থেকেই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। চলতি বছরের তা ৮০তম বিজয় উৎসব। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নিজের রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন মোদির সফর বাতিলের কথা

    পহেলগাঁও-তে ২৭ জন হিন্দু নাগরিককে যেভাবে তাঁদের ধর্মীয় পরিচয় বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে, তাতে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে প্রত্যেকটি ভারতবাসীর মধ্যে। এই আবহে যুদ্ধ পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে। বৃহস্পতিবারই এই খবর সামনে এল যে ৯ মে রাশিয়া সফর বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন একথা। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া সফরে যোগ দিচ্ছেন না। তাঁর বদলে অন্য একজন কূটনৈতিক প্রতিনিধি এই বিজয় উৎসবে যোগদান করবেন।

    আগেই আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মোদি, তারই মধ্যে ঘটে পহেলগাঁও হামলা

    আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) রাশিয়া সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। একথা ঘোষণা করেছিলেন সে দেশের উপ-বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্দ্রে রুডেনেকো। তিনি সে সময় জানিয়েছিলেন যে, সারা মস্কো অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পরবর্তীকালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আমন্ত্রণের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ পেয়েছেন এবং উপযুক্ত সময়ই আমরা জানাব যে বিজয় উৎসবে অংশগ্রহণের কথা। কিন্তু এরপরেই পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। পরিস্থিতি বদলে যায়। প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ২২তম রাশিয়া-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সে সময় তিনি মস্কোতে (Russia) পা রেখেছিলেন।

  • India’s First Laser Weapon: এক লহমায় ধ্বংস এক ঝাঁক ড্রোন! পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দেশীয় লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

    India’s First Laser Weapon: এক লহমায় ধ্বংস এক ঝাঁক ড্রোন! পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দেশীয় লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের দুনিয়ায় পা রাখল ভারত। লেজার অস্ত্রের (India’s First Laser Weapon) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এর এই অস্ত্র মনে করাচ্ছে জর্জ লুকাসের তৈরি বিখ্যাত সিরিজ স্টার ওয়ারস-এর (Star Wars) যোদ্ধাদের। যেখানে যোদ্ধাদের অত্যাধুনিক তলোয়ার থেকে প্রতি নিয়ত বেরোচ্ছে আলোক রশ্মি। যা মাঝখান থেকে চিরে দিতে পারে একটা আস্ত বিমানকেও। এবার প্রায় একই রকম শক্তি নিজের হাতে তুলতে চলেছে ভারতীয় সেনা। শত্রু রাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান থেকে গুপ্তচর ড্রোন, যে কোনও কিছু নিমিষে ধ্বংস করে দিতে পারে ডিআরডিও-র তৈরি এই লেজার অস্ত্র।

    ৩০ কিলোওয়াট লেজার অস্ত্রের ট্রায়াল রান সফল

    ডিআরডিও সূত্রে খবর, রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে এক দল গবেষক এই সদ্য নির্মিত ৩০ কিলোওয়াটের লেজার অস্ত্রের ট্রায়াল রান করায়। যাতে সফল হয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এই অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির মাধ্যমেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে গেল ভারতের নাম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই নতুন মার্ক-২(এ)  ডিইডব্লু সিস্টেমটি দূর পর্যন্ত যে কোনও শত্রু ড্রোনের আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারে। সেই ড্রোন এক ঝটকায় উড়িয়েও দিতে পারে। তারা আরও জানিয়েছে, এই অস্ত্র থেকে নির্গত লেজার বা আলোকরশ্মি ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা যে কোনও ড্রোন বা হেলিকপ্টারকে আকাশপথেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। যা স্থল ও নৌসেনা উভয়েই নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করতে পারবেন।

    সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি লেজার অস্ত্র

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলের ন্যাশনাল ওপেন এয়ার রেঞ্জে লেজার (India’s First Laser Weapon) হাতিয়ারের পরীক্ষা করা হয়। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম’ বা ডিইডব্লিউ। বর্তমান বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে আছে এই হাতিয়ার। এটি তৈরির মূল কৃতিত্ব ডিআরডিওর ‘সেন্টার ফর হাই এনার্জি সিস্টেমস অ্যান্ড সায়েন্সেস’-এর (সিএইচইএসএস)। লেজার হাতিয়ারের গবেষণায় হারদরাবাদের একাধিক ল্যাবরেটরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য পেয়েছে ডিআরডিও। পরে নকশা অনুযায়ী অস্ত্রটিকে তৈরি করে একটি দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা। ট্রাক আকৃতির গাড়ির উপর ‘মার্ক-টু(এ) লেজার’কে বসানো হয়েছে। যুদ্ধের সময়ে একে একাধিক রণাঙ্গনে মোতায়েন করতে পারবে ফৌজ।

    ‘ড্রোন ঘাতক’ লেজার অস্ত্র

    প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা সূত্রে খবর, শত্রুর নজরদারি সেন্সর, অ্যান্টেনা বা রাডার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে পারবে ‘মার্ক-টু(এ)’। চোখের পলক ফেলার আগে নিখুঁত নিশানায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালাতে পারবে এই সমরাস্ত্র। লেজার হাতিয়ারটি ৩০ কিলোওয়াট শক্তি সম্পন্ন। তবে এর পাল্লার বিষয়টি গোপন রেখেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা। ডিআরডিওর তরফে অত্যাধুনিক অস্ত্রটিকে ‘ড্রোন ঘাতক’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির কর্তা-ব্যক্তিদের দাবি, ‘মার্ক-টু(এ)’র সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এর নামমাত্র খরচ। এক-দু’লিটার পেট্রলের দামে কয়েক সেকেন্ডের জন্য লেজার রশ্মি ছুড়তে পারবে এই হাতিয়ার।

    ৩০-কিলোওয়াট লেজার অস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

    ● এই লেজার অস্ত্র ড্রোন, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আকাশপথের হুমকি ৫ কিলোমিটার দূর থেকেই ধ্বংস করতে পারে।

    ● শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্যাটেলাইট সিগন্যাল জ্যাম করতে সক্ষম।

    ● স্থল ও সমুদ্র – দুই জায়গায়ই এটি ব্যবহারযোগ্য।

    ● ৩৬০ ডিগ্রি সেন্সর দ্বারা সজ্জিত, যা টার্গেটিং-এ নির্ভুলতা নিশ্চিত করে।

    ● সহজেই বিমান, রেল, সড়ক বা জলপথে মোতায়েন করা যায়।

    ● বিভিন্ন সামরিক প্রয়োজনে এর ডিজাইনকে মানিয়ে নেওয়া যায়।

    বদলে যাবে আকাশ প্রতিরক্ষার সংজ্ঞা

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’র (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) সংজ্ঞা বদলে দেবে ডিআরডিওর তৈরি অত্যাধুনিক এই অস্ত্র (India’s First Laser Weapon)। এর দু’রকম ব্যবহারের কথা বলেছেন সাবেক সেনাকর্তারা। দীর্ঘ দিন ধরেই ড্রোনের সাহায্যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে হাতিয়ার ও মাদক চোরাচালান চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। বাহিনীতে ‘মার্ক-টু(এ)’ চলে এলে সেই সূচক অনেকাংশেই নেমে আসবে, তা বলাই বাহুল্য। এ ছাড়া যুদ্ধ বা সীমান্ত সংঘর্ষের সময়ে শত্রুর ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা ড্রোনকে পুড়িয়ে শেষ করতে পারবে নতুন লেজার হাতিয়ার। তবে ভারতীয় সেনা কবে থেকে এটি ব্যবহার করবে, তা স্পষ্ট করেনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    ডিআরডিও-র পরের লক্ষ্য ‘সূর্য’

    ডিআরডিও-র পরের লক্ষ্য এরই আরও উন্নত সংস্করণ ‘সূর্য’, ৩০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। যার সীমা ২০ কিমি। এটি এখন গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে ‘সূর্য’কে সামনে আনার চেষ্টায় রয়েছে ডিআরডিও। নতুন লেজার (India’s First Laser Weapon) হাতিয়ারটির সঙ্গে ‘সূর্য’-র কোনও মিল রয়েছে কি না, সেটা জানা যায়নি। তবে ‘সূর্য’র মাধ্যমে লেজার, মাইক্রোওয়েভ বা পার্টিকল বিমের (কণা রশ্মি) মতো কেন্দ্রীভূত শক্তিকে শত্রুর উপর সরাসরি প্রয়োগ করা যাবে বলে জানা গিয়েছিল। ‘সূর্য’ নিয়ে গবেষণার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ডিআরডিওর লেজার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যে হাতিয়ারটির প্রোটোটাইপ তৈরি করার কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারবে তারা। তবে এর জন্য একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

  • Victory Day Celebrations: রাশিয়ার ভিকট্রি ডে-র প্যারেডে মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের, আর কে কে ডাক পাচ্ছেন?

    Victory Day Celebrations: রাশিয়ার ভিকট্রি ডে-র প্যারেডে মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের, আর কে কে ডাক পাচ্ছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাশিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী ৯ মে ভিকট্রি ডে পালন (Victory Day Celebrations) করবে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ওই দিন জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল রাশিয়া। আগামী ৯ মে সেই যুদ্ধ জয়ের ৮০ বছর পূর্তি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেঙ্কো জানান, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অবশ্য এখনও কিছু জানানো হয়নি। পুতিন সরকারের আশা, ৯ মে প্যারেডে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাশিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য (Victory Day Celebrations)

    রাশিয়ার সরকারি সংবাদ মাধ্যমে রুদেঙ্কোর বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “এই বছরের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।” চলতি বছরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারতে আসার কথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। তিনি কবে ভারতে আসবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তার মধ্যেই ফের আমন্ত্রণ জানানো হল প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। এ বছর ভিকট্রি ডে-র প্যারেডে একাধিক মিত্র দেশের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মস্কো। ১৯৪৫ সালের জানুয়ারি মাসে জার্মানির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ৯ মে দুই দেশের কামান্ডার ইন চিফ বিনা শর্তে জার্মান সেনার আত্মসমর্পপণ সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করেন। তার পরেই শেষ হয় যুদ্ধ। তার পর থেকে ৯ মে দিনটিকে ভিকট্রি ডে হিসেবে পালন করে আসছে রাশিয়া।

    মস্কোর আশা

    মস্কোর আশা, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন। কারণ এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাওয়াটা অত্যন্ত সম্মানজনক বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানদের কাছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর যাওয়া না- যাওয়ার বিষয়টি এখনও রয়েছে দু’দেশের বৈদেশিক আলোচনার স্তরে। গত জুলাইয়েই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানানো ছাড়াও বহু বিষয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছিল। পুতিন ভারতে আসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। তবে ঠিক কবে তিনি ভারত সফরে আসবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি।

    প্যারেডে ভারতীয় সেনাবাহিনীও!

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটও রেড স্কোয়ারের (মস্কোর) প্যারেডে অংশ নিতে পারে। তা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। রাশিয়ার ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকেও। যদি তা হয়, তাহলে ফের একবার মোদি-শি জিনপিং মুখোমুখি হবেন। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    মোদি-পুতিন সম্পর্ক

    মোদির সঙ্গে পুতিনের সুসম্পর্কের কথা জানে তামাম বিশ্ব (Victory Day Celebrations)। দুই দেশের এই সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে গিয়ে গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজান শহরে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে পুতিন জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই ভালো যে কে কী বলছেন, তা অনুধাবনের জন্য অনুবাদকের প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, “আমাদের (মোদি-পুতিন) মধ্যে সম্পর্ক এমন যে কোনও অনুবাদকের প্রয়োজন নেই। এ কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) হেসেও ফেলেছিলেন। কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, নরেন্দ্র মোদিই একমাত্র রাষ্ট্রনেতা, যাঁর সঙ্গে বিবদমান দুই রাষ্ট্র রাশিয়া ও ইউক্রেন – দুই দেশেরই সুসম্পর্ক রয়েছে।

    প্রথম বিদেশ সফরেই রাশিয়া

    তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েই প্রথম বিদেশ সফরে মোদি গিয়েছিলেন রাশিয়া। ৪ জুলাই মস্কো সফরে গিয়েছিলেন তিনি। গত পাঁচ বছরে ওটাই ছিল তাঁর প্রথম রাশিয়া সফর। ২০২৪ সালের আগে ২০১৯ সালে রাশিয়ার পূর্বে অবস্থিত ভ্লাদিভোস্তকে গিয়েছিলেন একটি সম্মেলনে অংশ নিতে। জুলাইয়ের সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি বন্ধু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। গত ২৭ মার্চ রাশিয়ার (Victory Day Celebrations) বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরফ জানান যে, প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারতে আসার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তিনি কবে নয়াদিল্লি আসবেন, তা এখনও জানা যায়নি।

    মোদির এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তিনি যে সময় রাশিয়ায় যাচ্ছেন, সেই সময় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সৌদি আরবে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেন রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। রাশিয়া সফরের সময় তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন (Victory Day Celebrations)। তিনি যে যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষেই, সেই অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

  • Vladimir Putin: ‘বন্ধু’ মোদির আমন্ত্রণে সাড়া! ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার ভারতে আসছেন পুতিন

    Vladimir Putin: ‘বন্ধু’ মোদির আমন্ত্রণে সাড়া! ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার ভারতে আসছেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিলের আলোচনাসভায় পুতিনের ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন লাভরভ। গত বছর মস্কো গিয়ে পুতিনকে দেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই ‘ডাকেই’ সাড়া দিয়ে দেশে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট (Russia)। ২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবার ভারতে আসছেন তিনি। তবে পুতিনের ভারত সফর প্রসঙ্গে এখনও দিনক্ষণের কথা জানায়নি সেদেশের বিদেশমন্ত্রক।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির ডাকে সাড়া

    গত অক্টোবরে ‘ব্রিকস’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। দু’জনের পার্শ্ববৈঠকও হয়েছিল সে সময়। তার আগে গত বছরেরই জুলাইয়ে রাশিয়া গিয়েছিলেন মোদি। সে সময়ই তিনি ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পুতিনকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে লাভারভ বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারত সরকারের প্রধানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তাঁর সফরের প্রস্তুতি চলছে।’’ রাশিয়ান আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিল আয়োজিত ‘রাশিয়া এবং ভারত: একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক অধ্যায়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় লাভারভ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন পর্বের সূচনা হবে পুতিনের সফরে (Putin Visit India)।

    যুদ্ধের আবহে পুতিনের ভারত সফর

    এখনও কাটেনি রাশিয়া-ইউক্রেন জট। আর এমন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেই ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধের আবহে প্রেসিডেন্টে ভারত সফর কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ। বরাবরই, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের মাঝে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে যখন একের পর এক দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছে, সেই আবহেও বিবাদ থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে ভারত। এই যুদ্ধের মাঝে একাধারে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আবার একই ভাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায় তাঁকে।

    পাশাপাশি ভারত-রাশিয়া

    নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিনের (Modi-Putin Meet) বন্ধুত্বের সম্পর্ক কারও অজানা নয়। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই আমেরিকা-সহ নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়াকে কূটনৈতিক দুনিয়ায় একঘরে করার চেষ্টা করেছে। মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে তাদের উপর একাধিক অর্থনৈতিক অবরোধও জারি করেছে আমেরিকা। যদিও আমেরিকার আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে নয়াদিল্লি। আমেরিকার সঙ্গে নিবিড় কৌশলগত সম্পর্ক রাখলেও পুরনো মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়, সরাসরি এমন কোনও সিদ্ধান্তে সায় দেয়নি ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতের আরও কাছে এসেছে রাশিয়া। রাষ্ট্রসংঘে মস্কো বিরোধী প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত। তবে যুদ্ধ থামাতে বার বার আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি।

    পুতিনের সফরের প্রস্তুতি শুরু

    যুদ্ধের আবহে মোদি দু’বার গিয়েছেন রাশিয়া সফরে। আর সে দিকে ইঙ্গিত করেই লাভারভ বলেছেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর রাশিয়ায় তাঁর প্রথম বিদেশ সফর করেছিলেন। এ বার তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার পালা আমাদের।’’ পুতিন যে এদেশে আসতে পারেন সেকথা শোনা গিয়েছিল নভেম্বরেই। রাশিয়ার প্রশাসনিক দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমাত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই ভারত সফরে যাবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর ভারত সফরের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। এবার রাশিয়া জানিয়ে দিল পুতিনের সফরের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

    নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন সূচনা

    ক্রেমলিনের তরফে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন পর্বের সূচনা হতে চলেছে পুতিনের ভারত সফরে (Putin Visit India)। যুদ্ধ আবহে হোক কিংবা নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হওয়ার পর, মোদি রাশিয়া সফর করেছেন। তাই এবার তাঁদের উচিত পাল্টা সৌজন্য দেখানো। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতেই ভারতে আসছেন পুতিন। পাশাপাশি, ইউক্রেনের সঙ্গে চলতে থাকা যুদ্ধ নিয়েও ভারতের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। পুতিন এবং মোদি নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখেন, প্রতি দুই মাসে একবার টেলিফোনে কথোপকথন করেন। দুই নেতা ব্যক্তিগতভাবেও বৈঠক করেন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে। ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই ভারতের সাথে রাশিয়ার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পুতিনের ভারত সফরের খবরে খুশির হাওয়া দু’দেশেই।

  • PM Modi: “ভারত শান্তি চাইলেও, পাকিস্তান চিরকাল ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    PM Modi: “ভারত শান্তি চাইলেও, পাকিস্তান চিরকাল ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে”, সাক্ষাৎকারে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত সব সময় শান্তি চেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান (Pakistan) তার বদলে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে।” এক মার্কিন পডকাস্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালানোর অভিযোগেও পাকিস্তানকে দুষেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিটি প্রচেষ্টা সম্মুখীন হয়েছে তার প্রতিবেশীর শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার। যার জন্য দেশটি পুরো বিশ্বের জন্য অশান্তির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার (PM Modi)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের সময়ই। সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন লেক্স ফ্রিডম্যান। ঘণ্টা তিনেকের ওই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় রবিবার। সেখানে তিনি জানান, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। ইসলামাবাদের সঙ্গে যাতে নতুনভাবে সম্পর্ক শুরু করা যায়, তাই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে মিলেছে বিরোধিতা ও বিশ্বাসঘাতকতা।

    শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতা

    লাহোর সফরের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁর প্রচেষ্টা কাঙ্ক্ষিত ফল দেয়নি। তিনি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিটি মহৎ প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে প্রতিহত হয়েছে।” ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ না বেছে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্তও করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশভাগ একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক পর্ব ছিল। তবে ভারত দেশভাগকে মেনে নিয়ে এগোতে শুরু করে।” কিন্তু পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ বেছে নেয়নি বলেও অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, তারা (পাকিস্তান) নিজেদের মতো করে থাকবে, আমাদেরও আমাদের মতো করে থাকতে দেবে। কিন্তু তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে এগোয়নি। বার বার তারা ভারতের বিরুদ্ধে গিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে (Pakistan)।”

    প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস

    প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে মোদির (PM Modi) এই মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে যখন কোয়েটা-পেশোয়ার ট্রেনে বালোচ বিদ্রোহীরা প্রাণঘাতী হামলা ও পণবন্দি প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে তাদের বক্তব্য আরও জোরদার করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ শান্তির পক্ষে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আশা করি তাদের (পাকিস্তানের) শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা শান্তির পথ বেছে নেবে। আমি বিশ্বাস করি, পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও শান্তি চান। কারণ তাঁরাও এই বিবাদ ও অস্থিরতার মধ্যে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা নিশ্চয়ই অবিরাম চলতে থাকা সন্ত্রাসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, যেখানে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, এমন কী নিরীহ শিশুরাও মারা যাচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মসৃণ করতে বার বার চেষ্টা করেছেন তিনি।

    প্রশ্ন যখন সন্ত্রাসবাদ

    সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নেও পাকিস্তানকে বেঁধেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, এর জন্য শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, “বিশ্বের যেখানেই জঙ্গি হামলা হোক না কেন, কোনও না কোনওভাবে তার যোগসূত্র মেলে পাকিস্তানে। ৯/১১ হামলার ঘটনাই দেখুন না, ওই হামলার মূলচক্রী ওসামা বিন লাদেন। তিনি কোথা থেকে এলেন? তিনি পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা পাকিস্তানের গভীরে গেঁথে রয়েছে এবং গোটা বিশ্ব আজ বুঝতে পারছে (Pakistan)।” ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে (PM Modi) ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের সামান্য যোগসূত্রটুকুও ছিঁড়ে যায়। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ হয় ওই মাসে। তার পরেই পাক সরকার ভারতের হাই কমিশনারকে পাকিস্তান থেকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। পাকিস্তানও তার নবনিযুক্ত হাই কমিশনারকে নয়াদিল্লিতে পাঠায়নি।

    ভারত-চিন সম্পর্ক

    পডকাস্টে, ভারত-চিন সম্পর্ক সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে চলা সীমান্ত বিরোধের কথা স্বীকার করে নেন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে সীমান্ত সংঘর্ষের ফলে দুই দেশের মধ্যে যথেষ্ট উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তবে, প্রেসিডেন্ট শি-জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার সাম্প্রতিক বৈঠকের পর সীমান্তে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে দেখা যাচ্ছে। আমরা এখন ২০২০ সালের আগের পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছি।” তাঁর বিশ্বাস, আস্থা গঠনের প্রচেষ্টা অবশ্যই ফলপ্রসূ হবে।

    প্রসঙ্গত, মোদির (PM Modi) এই সাক্ষাৎকার যখন সম্প্রচারিত হচ্ছে, তখন ভারতের বার্ষিক বহুপাক্ষিক সম্মেলন রাইসিনা ডায়লগে অংশ নিতে নয়াদিল্লিতে হাজির শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীও। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে শান্তি প্রচেষ্টার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আলোচনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং উভয় পক্ষ আলোচনার (Pakistan) টেবিলে এলে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে (PM Modi)।”

  • S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরনো উদারনৈতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার পর চরম চাপে পড়েছে।” কথাগুলি (Global Order) বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি মনে করেন, “এটি অনেক দিন ধরেই হয়ে আসছিল।” জয়শঙ্কর বিস্মিত যে তামাম বিশ্ব আশ্চর্য হচ্ছে এই ভেবে যে ট্রাম্প যা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা-ই করছেন। তিনি বলেন, “হয়তো আমি তাঁকে আরও সরলভাবে নিয়েছিলাম।”

    মাল্টি-পোলার বিশ্ব (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন, আমেরিকানরা এখন যে মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলছেন, তা একসময় ছিল নয়াদিল্লির আলোচনার বিষয়। জয়শঙ্করের ইঙ্গিত, তিনি পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার কিছুই মিস করবেন না। কারণ তিনি একজন বাস্তববাদী। তিনি যা আছে, তাই নিয়েই কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ বাস্তববাদী হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তাঁর মধ্যে বিশ্বাস, প্রত্যয় কিংবা অনুভূতি নেই।’’ বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই সমমনস্ক জাতীয়তাবাদী। ফলে বিরোধের অবকাশ নেই। গত ৫ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়বে না ভারত। তিনি বলেন, ‘‘ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’

    তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন

    জয়শঙ্কর বলেন, “তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন। অন্যথায় এটি খুবই অরাজক হয়ে উঠবে।” তিনি বলেন, “অসংযত প্রতিযোগিতা চাপ বাড়িয়ে তুলবে। ভারতের এমন একটি শৃঙ্খলার দরকার যা বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সেই শৃঙ্খলাকে নয়, যা পশ্চিমিদের পক্ষে ছিল।” তিনি বলেন, “পুরানো বিশ্বব্যবস্থার গুণাগুণ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে (S Jaishankar)।” তিনি জানান, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে এসেছে। ট্রাম্প ও মোদির নেতৃত্বে—যারা উভয়েই জাতীয়তাবাদী নেতা—এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্পর্কের এই উন্নতির মধ্যেও, ট্রাম্প বারবার ভারতকে শুল্ক অপব্যবহারকারী বলে আক্রমণ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে মোদির হোয়াইট হাউস সফরের সময়ও শানিয়েছিলেন এই আক্রমণ।

    শুল্ক ধাঁধার সমাধান

    নয়াদিল্লি কীভাবে ট্রাম্পের শুল্ক ধাঁধার সমাধান করবে? জয়শঙ্কর বলেন, “আমি মনে করি, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে কিছু ‘সমস্যা’ থাকলেও, শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে।” তিনি বলেন, “ট্রাম্প কঠোর জাতীয়তাবাদী। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিষয়ে বাস্তববাদীও।” ভারতের অবস্থান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে পশ্চিমিদের হতাশ করেছে। নয়াদিল্লি মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের নিন্দা করা থেকে বিরত রয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত সব সময় তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখে। তাই সে মস্কোর সঙ্গে তার পুরনো সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারে না।” তিনি বলেন, “মানুষ প্রায়ই নীতিগত বিষয়গুলিকে বড় করে তোলেন (S Jaishankar)।”

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি

    তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাশিয়া চিনের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এটি কি নয়াদিল্লির জন্য সমস্যা হতে পারে? এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছি, যা ইঙ্গিত দেয় যে চিন ও পশ্চিমিদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক পরিবর্তিত হলেও পুরানো অংশীদারদের সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।” জয়শঙ্কর স্বীকার করেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কারণ দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প চিনের সঙ্গে কোনও চুক্তি করেন, তাহলে সেই পরিস্থিতির জন্য ভারত তার নীতিগুলি প্রস্তুত রাখবে (Global Order)।”

    ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি নিয়ে ভারতের রফতানিকারক সংস্থাগুলি চিন্তায় পড়লেও এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সাউথ ব্লক অফিসিয়ালি কিছু বলেনি। চলতি সপ্তাহে আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্প সরকারের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটকিনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিরের ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। শুক্রবার গোয়েল জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ এর ‘বিকশিত ভারত’-এর পাশাপাশি সার্বিক রণকৌশলগত বোঝাপড়ার নীতি মেনে চলা হবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছেঁটেছে মোদি সরকার (Global Order)। জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরে অনেকে মনে করছেন, আগামী দিনে সেই তালিকা দীর্ঘতর হতে চলেছে (S Jaishankar)।

  • Syria Unrest: জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি, ভারতের সাহায্য চাইছেন নাগরিকরা

    Syria Unrest: জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি, ভারতের সাহায্য চাইছেন নাগরিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জটিল হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি (Syria Unrest)। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি গৃহযুদ্ধে দীর্ণ। সম্প্রতি সেই যুদ্ধ উঠেছে তুঙ্গে। হিংসার বলি হয়েছেন অন্তত এক হাজার মানুষ। লড়াই চলছে মূলত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগামীদের। ডিসেম্বরেই আসাদ সরকারকে উৎখাত করে রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল সাম ও তাদের সহযোগী জইশ আল-ইজ্জার যৌথবাহিনী।

    সংঘাতের শিকার আলাওয়াইটরা (Syria Unrest)

    সিরিয়ার এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের শিকার হচ্ছে আলাওয়াইট নামে একটি সংখ্যালঘু শ্রেণি। এঁরা মূলত বাস করেন সিরিয়ার উপকূলবর্তী এলাকা লাটাকিয়া এবং টারটসে। অভিযোগ, পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখে বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের মানুষকে। লাশের পাহাড় জমছে আলাওয়াইট অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। প্রশ্ন হল, কেন বেছে বেছে আলাওয়াইটদের ওপর হামলা চালাচ্ছে সরকারের সামরিক বাহিনী? এ দেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ এই সম্প্রদায়ের। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসাদ ছিলেন এই সম্প্রদায়ের। তাঁর আমলে প্রশাসন ও সামরিক বিভাগের উচ্চপদে ঠাঁই দেওয়া হয় আলাওয়াইটদের। এই পক্ষপাতিত্ব সহ্য হয়নি সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত সিরিয়ার। প্রায় পাঁচ দশক ধরে চলা পুঞ্জীভূত এই ক্ষোভের গনগনে আগুনেই এখন পুড়ছে সিরিয়া।

    কী বলছেন স্থানীয়রা

    সিরিয়ার লাটাকিয়ায় বাস করেন বছর ছত্রিশের আলি কোশমার। তিনি বলেন, “মধ্য রাতে বেশ কিছু সশস্ত্র ব্যক্তির চিৎকারে ঘুমে ভেঙে যায় আমার। আগন্তুকরা বলছে, ঘর থেকে বেরিয়ে এসো তোমরা আলাওয়াইট শূকর, নাসাইরি!” প্রসঙ্গত, এই নুসাইরি ইবন নুসাইরের অনুগামীদের বোঝায়। তিনি এই আলাওয়াইটদের একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি বলেন, “ওরা আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে ফেলল, অস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করল, এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল। ওরা আমার ভাইকে নিয়ে গেছে। আমাকেও ওরা তিন-তিনবার ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। কোনক্রমে হাসপাতালে গিয়ে প্রাণে বাঁচি (Syria Unrest)।” তিনি বলেন, “জানি না আমার পরিবার এবং আমি আর কতদিন বেঁচে থাকব। আমাদের নাম আমাদের সম্প্রদায়ের পরিচয় প্রকাশ করে। আমাদের উচ্চারণ আমাদের পরিচয় ফাঁস করে। আমাদের উৎপত্তিস্থলও আমাদের ঝুঁকিতে ফেলে।”

    ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রমণ

    মিশ্র ধর্মীয় পরিবারের সদস্য মিস্টার সালামাহ। তাঁর মা সুন্নি মুসলমান, বাবা আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের। তাঁদের অনেক আত্মীয় আবার খ্রিস্টান। তিনি বলেন, “আসাদের শাসনে আমরাও সব সিরিয়ানের মতোই ভুগেছি।” জানা গিয়েছে, অত্যাচারীরা কেবল আসাদ সমর্থক ও প্রাক্তন সামরিক কর্মীদেরই টার্গেট করছে না, তারা সাধারণ মানুষ, কৃষক এবং খ্রিস্টান ও শিয়া মুসলমান-সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রমণ করছে।

    সাম্প্রদায়িক নির্মূলকরণ অভিযান

    সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল গত ডিসেম্বরেও। মিস্টার সালামাহ নামে এক সিরিয়ান বলেন, “সেবার সশস্ত্র লোকজন হামলা চালিয়ে একটি মাজারের প্রহরীদের হত্যা করে। পরে মাজারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আলাওয়াইটরা প্রতিবাদ করলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। যার ফলে হোমসে একজন নিহত হন, জখমও হন বেশ কয়েকজন।” কোশমার বলেন, “যা ঘটছে, তা একটি চলমান সাম্প্রদায়িক নির্মূলকরণ অভিযান। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা। এরা যে কাউকে আলাওয়াইট হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের টার্গেট করছে। তা তাদের ধর্ম, ভাষা বা উৎপত্তি স্থানের ভিত্তিতেই হোক, কিংবা অন্য কোনও কারণে।” তিনি বলেন, “এই যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, তা কেবল আসাদ পরিবারের প্রতি প্রতিশোধ নেবার জন্য নয়। এর সঙ্গে আসাদ পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই (Syria Unrest)। সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ দেশটির সবচেয়ে দরিদ্র জনগণের অন্তর্ভুক্ত। তারা নিরীহ নাগরিক — টেকনোলজিস্ট, ডাক্তার এবং কৃষক। তবুও আসাদের অবশিষ্টদের খোঁজার অজুহাতে একটি পুরো সম্প্রদায়কে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে।”

    গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়া!

    এই গণহত্যার নেপথ্যে রাশিয়ার ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন মিস্টার খালাফ। তিনি বলেন, “ওরা (রাশিয়া) আসাদ শাসনের অবশিষ্টদের পাল্টা আক্রমণের জন্য উৎসাহিত করেছিল, উপকূল ও আলাওয়াইটদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু পরে তাদের ছেড়ে পালায়।”  তিনি বলেন, “এর ফলে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় আল-জুলানি। যদিও তখন রাশিয়া তাদের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার নামে অপরাধ তদন্ত করার দাবি করেছিল।” তিনি বলেন, “যাঁরা হিংসার শিকার হয়েছেন, আমি তাঁদের সাহায্য করতে একটি আর্থিক অনুদানের প্রচার চালাতে চাই। এজন্য আমি ভারত সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করছি (Syria Unrest)।”

    প্রসঙ্গত, সিরিয়া সরকারের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ৬ মার্চ, ২০২৫ সালে সংঘটিত ঘটনাবলীর বিষয়ে তদন্ত ও সত্য উদ্ঘাটনের জন্য একটি জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারক ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে (Syria Unrest)।

  • Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছিল। পথ খোলা ছিল দুটো – হয় পথ বদল, নয় পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত এই দুই বিকল্পের মধ্যে প্ল্যান এ-টাই বেছে নিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটেন থেকে রবিবার তিনি (Zelenskyy) জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি আছেন তিনি।

    বৈঠক করতেও আপত্তি নেই (Ukraine)

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, আমেরিকা যদি তাঁকে আবারও ডাকে, তাহলে ফের তিনি সেখানে যেতে প্রস্তুত। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করতেও আপত্তি নেই তাঁর। এই সব কিছুর পরেও অবশ্য ছোট্ট একটা শর্তও দিয়ে রেখেছেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কথাও শুনতে হবে। বিবেচনা করতে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থাও। আমেরিকার সঙ্গে খনিজসম্পদ সংক্রান্ত চুক্তিকে তিনি বর্ণনা করেছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম ধাপ হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমরা খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এবং এটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম পদক্ষেপ। তবে এটি যথেষ্ট নয়, আমাদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন।”

    ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক

    তিনি লিখেছেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা তিন বছর ধরে যুদ্ধ করছি, এবং ইউক্রেনের জনগণের জানা প্রয়োজন যে আমেরিকা আমাদের পাশে আছে।” সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। তাতে বলেছেন, “আমরা ইউরোপ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। একটি বিষয়ে সকলেই একমত, সকলেই শান্তি চায়। সেই কারণেই আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। এটাই ইউরোপের অবস্থান। অবশ্যই আমরা আমেরিকাকেও গুরুত্ব দিই। ওদের কাছ থেকে আমরা অনেক সাহায্য পেয়েছি। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ইউক্রেনের প্রতিরোধ পুরোটাই তার বন্ধু দেশগুলির সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। যে সাহায্য তারা করছে ইউক্রেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। আমরা শান্তি চাই। বিরামহীন যুদ্ধ চাই না। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এই শান্তির চাবিকাঠি।”

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    রবিবার লন্ডনে আয়োজিত ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও। সেখানে তিনি জানান, ওয়াশিংটনের বৈঠকে যা ঘটেছে, তা থেকে আমেরিকা কিংবা ইউক্রেনের কোনও লাভ হবে না। লাভ হবে রাশিয়ার। এর পরেই জেলেনস্কি বলেন, “আমাকে যদি ডাকা হয়, আমি আবার আমেরিকায় যাব। খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এখনও আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কথাও শুনতে হবে।” ইউক্রেনের জমির মালিকানা নিয়ে তিনি যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনও (Zelenskyy) সমঝোতার পথে হাঁটবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    হোয়াইট হাউসে বিতণ্ডা

    প্রসঙ্গত, খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যেই হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট। সেখানে ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠকে তিনজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। যার জেরে বাতিল হয়ে যায় চুক্তি। মিনিট চল্লিশের ওই বৈঠক শেষেই মধ্যাহ্নভোজ না করেই হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা থেকে জেলেনস্কি সোজা চলে যান ব্রিটেনে। সেখানে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে। পরে লন্ডনে একটি সম্মেলনেও যোগ দেন তিনি। তার পরেই জানান, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি এখনও প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেন, “আমি শুধু চাই, ইউক্রেনের অবস্থার কথাটাও শোনা হোক। বিবেচনা করা হোক। আমাদের বন্ধু দেশগুলি মনে রাখুক, এই যুদ্ধে মূল আগ্রাসী কারা, কারাই বা আগে যুদ্ধ শুরু করেছিল।”

    সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর

    আমেরিকা-ইউক্রেন (Ukraine) সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জেলেনস্কির আচরণকে ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, চার্চিল “একটি বিশেষ মুহূর্তের নেতা ছিলেন, কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডকে পরবর্তী পর্বে রূপান্তর করতে পারেননি। বিশেষ করে শুক্রবার যা দেখলাম, তার পরে এটা পরিষ্কার নয় যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনকে এই যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে নিয়ে যেতে এবং আলোচনা করে আপস করতে প্রস্তুত কিনা।” ওয়াল্টজ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য ইউক্রেন থেকে আঞ্চলিক ছাড়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে রাশিয়ার ছাড় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তবে মস্কোকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও বিস্তারিত তথ্য দেননি।”

    আমেরিকার হাউস স্পিকার মাইক জনসনও ওভাল অফিসের বিতর্কের পর জেলেনস্কি সম্পর্কে বলেন, “হয় তিনি যেন যুক্তিসঙ্গত হন এবং কৃতজ্ঞতা সহকারে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসেন, নতুবা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে এগিয়ে আসতে হবে (Zelenskyy)।”

    এর পরে আর কীই বা করতে পারতেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট!

  • Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! বিশ্ব রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে এমন ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। রুদ্ধদ্বার বৈঠক বেরিয়ে এল ঘরের বাইরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন (Trump-Zelenskyy Meet)। কিন্তু মাঝপথে রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ফলে দু’জনের মধ্যে পূর্ব ঘোষণা মতো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাতিল হয় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও। এই ঘটনার জন্য ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি পরস্পরকে দায়ী করেছেন।

    আপস করতে হবে ইউক্রেনকে

    ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করছিলেন। বরফ গলে ইউক্রেনের (Trump-Zelenskyy Meet) খনিজ সম্পদের উপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরে জেলেনস্কি রাজি হওয়ার পর। শুক্রবার দুই প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা হয়েছে, তেমনই ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, তিনি নিরপেক্ষ থেকে দুদেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চান। রাশিয়া বা ইউক্রেন কারও দিকেই তিনি ঝুঁকে নেই। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হলে খানিকটা আপস করতে হবে ইউক্রেনকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে ন্যাটোকেও। ক্রমে বাক্যালাপ গড়ায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে।

    উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

    ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন (Trump-Zelenskyy Meet) যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু জেনে যান এই যুদ্ধ আপনি হেরে গিয়েছেন। আপনার সৈন্য কমে গিয়েছে। অস্ত্র কমে গিয়েছে। আপনি কিছুতেই জিততে পারেন না। কারণ আমরা আপনার পাশে নেই। আপনার উচিত কৃতজ্ঞ থাকা। আমরা অনেক কিছুই দিয়েছি আপনাদের।’’ পাল্টা জবাব দেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার ভুল নীতির জন্য পুতিনের মতো খুনি মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। যেখানে তাঁদের দেশে মানুষ মারা যাচ্ছেন, আগুনে জ্বলছে শহরগুলি, সেখানে আপসের কথা আসছে কোথা থেকে।’’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিন্তু আপনাদের তো এই মুহূর্তে কিছুই করার নেই।’’ ইউক্রেনকে বাস্তববাদী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। শেষপর্যন্ত জেলেনস্কির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে থাকে ট্রাম্পের। বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার স্পষ্ট দাবি, জেলেনস্কির জায়গায় তিনি থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই দিতেন না। এহেন পরিস্থিতিতে হোয়ইট হাউজ থেকে বেরিয়ে আসেন জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন বলেও তোপ দাগেন ট্রাম্প। দেন একাই লড়ার হুঁশিয়ারি।

    কেন বাদানুবাদ

    ঠিক কী নিয়ে দু’জনের আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তা জানা যায়নি। কূটনৈতিক মহলের অনুমান, খনিজ চুক্তি নিয়ে শেষ মুহূর্তে ইউক্রেনের উপর কিছু শর্ত চাপাতে চান ট্রাম্প (Trump-Zelenskyy Meet)। তাতেই বেঁকে বসেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ড। অতীতে আমেরিকার জো বাইডেনের সরকার ইউক্রেনের পাশে ছিল। জেলেনস্কির দেশকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেই সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। ট্রাম্প এসেই সেই সব সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন। মার্কিন সহায়তা চালু রাখতেই ট্রাম্পের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ইউক্রেনের খনিজ পদার্থ নিয়ে চুক্তি করতে এবং হোয়াইট হাউস সফরে রাজি হন জেলেনস্কি।

    ক্ষমা চাইবেন না জেলেনস্কি

    হোয়াইট হাউস (White House Meeting) সূত্রে খবর, ট্রাম্প কোনও চুক্তির সম্ভাবনাকে এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তাঁর শর্ত হল ইউক্রেনকে গঠনমূলক কথাবার্তা চালাতে হবে। অন্যথায় খনিজ চুক্তি হওয়া সম্ভব নয়। বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে। ওভাল অফিসে (Oval Office) যা হয়েছে, তা যে দুই দেশের সম্পর্কের পক্ষে ভাল নয়, মেনে নিয়েছেন জেলেনস্কিও (Trump-Zelenskyy Meet)। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের বাদানুবাদ উভয় পক্ষের জন্যই খারাপ। ট্রাম্প যদি ইউক্রেনকে সাহায্য না-করেন, তবে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানো আমাদের পক্ষে মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তবে আমি নিশ্চিত, এই সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব। কারণ, এটা শুধু দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্পর্কের বিষয় নয়। এটা দুই দেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমি সবসময় আমাদের দেশের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না।’’

    জেলেনস্কির পাশে ইউরোপ

    এই বৈঠকের পর ইউরোপের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা মুখ খুলেছেন। তাঁরা জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের যে সমস্ত দেশের বন্ধুত্ব রয়েছে, মূলত তাঁরাই জেলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর থেকে এই মিত্র দেশগুলি আতঙ্কিত। তাদের ধারণা, জেলেনস্কিকে চাপে রেখে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই জয়ী ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। তাই একযোগে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতারা মুখ খুলেছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের মানুষ শান্তি চান।’’ ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ বলেন, ‘‘রাশিয়া আগ্রাসী, ইউক্রেনের মানুষ সেই আগ্রাসনের শিকার। আমরা ইউক্রেনের পাশে রয়েছি।’’ ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘‘ভেদাভেদ নয়, একজোট হতে হবে।’’

LinkedIn
Share