Tag: Russia

Russia

  • Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মিসাইলের পর এবার রাশিয়ায় ব্রিটিশের তৈরি ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করল ইউক্রেন (Ukraine Russia War)। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে রাশিয়ার গভীরে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে। ইউক্রেনের এহেন আঘাতের পরেই বিশ্বের আকাশে ঘন হয়েছে যুদ্ধের নিকষ কালো মেঘ।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)

    সম্প্রতি হাজার দিন পার করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়া মোতায়েন করেছে কোরিয়ান সৈন্য। ইউক্রেনের এই প্রতিক্রিয়াকে তারই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে পশ্চিমি বিশ্ব। ইউক্রেন এই প্রথম ব্রিটেনের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল দেশের সীমান্তের বাইরে। এর আগে ব্রিটেন এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ব্যবহার ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ অভিযানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে মস্কোর আনকনভেনশনাল অ্যালাইজ এবং ট্যাকটিসের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে।

    ‘স্টর্ম শ্যাডো’র হানা

    জানা গিয়েছে (Ukraine Russia War), ব্রিটেনে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আঘাত হানে রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে এবং কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর ইয়েস্কের ওপরে। এই দুটি বাদে অন্য স্টর্ম শ্যাডোগুলিকে আটকানো হয় বলে দাবি রাশিয়ার। প্রসঙ্গত, এই হামলার কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS) রুশ অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যবহারের অনুমোদন দেন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন এই অস্ত্রগুলো ব্রিয়ানস্কে রাশিয়ার একটি অস্ত্রাগারে আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে ঠাঁই একাধিক ভারতপন্থীর, কাঁপন ধরছে পাকিস্তানের বুকে!

    ওয়াশিংটন যদিও মস্কোর পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়ানোর সতর্কতাকে শুধুমাত্র কথার কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছে, তবু রাশিয়ার পারমাণবিক নীতি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে তামাম বিশ্বে। সংশোধিত এই নীতি অনুযায়ী, যে কোনও বৃহৎ এয়ার স্ট্রাইক বা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে এমন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমি সমর্থন সক্রিয়ভাবে চেয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সরবরাহ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Russia Relation: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন পুতিন

    India Russia Relation: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (India Russia Relation) যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। চলতি বছর প্রথমে জুলাই মাসে ও পরে অক্টোবরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার ভারত সফরে আসছেন পুতিন। তবে ঠিক কবে তিনি নয়াদিল্লি আসবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    কী বলছে ক্রেমলিন? (India Russia Relation)

    রাশিয়ার প্রশাসনিক সদর দফতর ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, পুতিন করে ভারত সফরে যাবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে তাঁর সফরসূচি।মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শীঘ্রই ভারত সফর করবেন। আমরা তারিখগুলি নিয়ে আলোচনা করছি।” যদি পুতিনের ভারত সফর নিশ্চিত হয়, তবে এটি হবে প্রায় তিন বছরের মধ্যে পুতিনের প্রথম ভারত সফর। তিনি সর্বশেষ ভারত সফরে এসেছিলেন ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর, নয়াদিল্লিতে ২১তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। তখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পুতিন।

    বৈঠকে বসবেন মোদি-পুতিন

    ভারতে এসে পুতিন বৈঠক করবেন ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। আগের দু’বারের মতো এবারও ইউক্রেন প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। চলতি বছরই দু’বার রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জুলাই মাসে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মস্কো গিয়েছিলেন মোদি। তিন মাস পরে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে ফের একবার রাশিয়ায় যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দু’বারই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় উঠে আসে ইউক্রেন প্রসঙ্গ। দুই ‘হুজুরের গপ্পে’ ফের একবার উঠতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ।

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণ জন্মভূমি মামলা, আদালত উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এল পাকিস্তান থেকে

    রাশিয়া-ইউক্রেন (India Russia Relation) যুদ্ধ শুরু হতেই মস্কোকে একঘরে করার চেষ্টা করে আমেরিকা-সহ নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা অর্থনৈতিক অবরোধ জারি করেছে আমেরিকা। তা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। অবশ্য এর পাশাপাশি যখনই মোদি-পুতিন মুখোমুখি হয়েছেন, তখনই অনিবার্যভাবে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। এবং যুদ্ধ বন্ধ করে দুই দেশকেই আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এহেন আবহে নয়াদিল্লি আসছেন পুতিন (Vladimir Putin)। হয়তো আবারও মোদি তাঁকে শোনাবেন শান্তির ললিত বাণী (India Russia Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • INS Tushil: রাশিয়ায় তৈরি প্রথম স্টেল্থ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ ডিসেম্বরেই আসছে ভারতের হাতে

    INS Tushil: রাশিয়ায় তৈরি প্রথম স্টেল্থ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ ডিসেম্বরেই আসছে ভারতের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষেই ভারত রাশিয়া থেকে প্রথম স্টেলথ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ গ্রহণ করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৯ ডিসেম্বর রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদের ইয়ন্তর শিপইয়ার্ড থেকে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবেন। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ২৫০ কোটি ডলার অস্ত্র-চুক্তির মধ্যে এটি হল অন্যতম। ২০২৩ সালেই এই যুদ্ধজাহাজ ভারতের হাতে আসার কথা ছিল। কিন্তু প্রথমে কোভিড অতিমারি ও পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য প্রায় এক বছর পর তুশিল হাতে পেতে চলেছে ভারত। 

    তুশিলের ক্ষমতা

    তুশিল একটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ রক্ষাকবচ। রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ডি বালা ভেঙ্কটেশ বর্মার উপস্থিতিতে এই চুক্তি হয়েছিল। ভারত মহাসাগরে প্রহরা দেবে ‘তুশিল’। স্টেলথ প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হয়েছে এই যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুতিতে। এয়ার ডিফেন্স থেকে শুরু করে অ্যান্টি-শিপ ও অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধে পারদর্শী এই অত্যাধুনিক ফ্রিগেট। এতে হেলিকপ্টারও অবতরণ করতে পারবে। বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজন অনুসারে এর দায়িত্বও বাড়ানো হবে।

    আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট

    নৌসেনার ক্ষমতা বাড়বে

    তুশিল ভারতীয় নৌসেনার হাতে এলে স্বাভাবিক ভাবেই ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতের দাপট বাড়বে। ফ্রিগেটটি ভারতের নৌবাহিনীর সামুদ্রিক অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার এবং গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে রাশিয়া এবং ভারত চারটি স্টেলথ ফ্রিগেট ক্রয়ের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় দুটি ফ্রিগেট সরাসরি আমদানি করা হবে, এবং বাকি দুটি গোয়া শিপইয়ার্ড লিমিটেড (জিএসএল)-এ স্থানীয়ভাবে নির্মাণ করা হবে। প্রথম দুটি ফ্রিগেটের সরাসরি ক্রয়ের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Google: ২-এর পরে ৩৬টি শূন্য! গুগলকে অবিশ্বাস্য জরিমানা রাশিয়ার আদালতের, কেন?

    Google: ২-এর পরে ৩৬টি শূন্য! গুগলকে অবিশ্বাস্য জরিমানা রাশিয়ার আদালতের, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় (Russia) একটি আদালত গুগলকে (Google) ২ আনডেসিলিয়ন রুবল জরিমানা ধার্য করেছে, যা কিনা ২-এর পরে ৩৬টি শূন্য সহ একটি অবিশ্বাস্য সংখ্যা। গুগল রাশিয়ার মিডিয়া আউটলেটগুলি নিষিদ্ধ করার ফলেই এই জরিমানা। পৃথিবীর সব টাকা একসঙ্গে করলেও এই পরিমাণ অর্থ হবে কিনা বলা দায়। রাশিয়ার আদালতের তরফে জানানো হয়, “গুগলকে প্রশাসনিক দায়িত্বের আওতায় এনে এই জরিমানা করা হয়েছে, এবং আদালত গুগলকে চ্যানেলগুলোর পুনরুদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছে।”

    কত অর্থ জরিমানা

    সোমবারের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রুশ (Russia) আদালত গুগলকে (Google) ২ আনডেসিলিয়ন রুবল বিশাল পরিমাণ অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে। সংখ্যার বিচারে, আনডেসিলিয়ন হল ১-এর পরে ৩৬টি শূন্য। জরিমানা করা হয়েছে ২ আনডেসিলিয়ন রুবল। মার্কিন ডলারের হিসেব অনুযায়ী, যা ২০ ডেসিলিয়ন দাঁড়ায়। এখান বলে দেওয়া দরকার, ডেসিলিয়ন হল ১-এর পর ৩৩টি শূন্য। অর্থাৎ, রুশ (Russia) আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, গুগলকে যে পরিমাণ জরিমানার অর্থ ধার্য করা হয়েছে, তা প্রায়  ২০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ মার্কিন ডলারের সমান।

    এই পরিমাণ অর্থ গুগলের (Google) প্যারেন্ট কোম্পানি আলফাবেটের বাজার মূল্যকেও শুধু ছাড়িয়ে যায় তা নয়। বরং এটি বিশ্বের মোট জিডিপির পরিমাণকেও অতিক্রম করে, যা প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও বলা হয়েছে, যদি গুগল এই জরিমানা নয় মাসের মধ্যে না দেয়, তবে প্রতিদিন এটি দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং এর কোনও সর্বোচ্চ সীমা নেই। এর মানে, প্রতিদিন এটি দ্বিগুণ হতে থাকবে। 

    আরও পড়ুন: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    কেন জরিমানা

    গুগলের (Google) মালিকানাধীন ইউটিউবে ১৭টি রাশিয়ান টেলিভিশন চ্যানেলের অ্যাকাউন্ট আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়ায় অস্বাভাবিক জরিমানার মুখে পড়েছে সংস্থাটি। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া ক্রেমলিনপন্থী চ্যানেলগুলোর মধ্যে রাশিয়া-ওয়ান এবং রাশিয়া টুডে উপস্থাপক ও পুতিনের মুখপাত্র মার্গারিটা সিমোনিয়ানের চ্যানেলও রয়েছে। চার বছর ধরে রাশিয়ার (Russia) আদালতে গুগলের বিপক্ষে মামলা চলছে। রাশিয়ায় চলমান মামলা নিয়ে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে গুগল বলেছিল—‘আমরা বিশ্বাস করি না, চলমান এই আইনি বিষয়গুলো কোনও বস্তুগত বিরূপ প্রভাব ফেলবে।’ গুগল সম্ভবত এই জরিমানাও পরিশোধ করবে না, কারণ তারা ২০২২ সালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণের পর তাদের রাশিয়ান কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার দিয়ে বসে রয়েছেন ৩৬ জন রাষ্ট্রনেতা। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তেমনি রয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। ব্রিকসের (BRICS Summit) এই হাটেই হাঁড়িটা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাম না করে নিশানা করলেন চিনকে। বললেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদিচ্ছা নির্ধারণের কোনও দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না। দ্বিচারিতা চলতে পারে না।”

    চিনকে খোঁচা! (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই বাক্যবাণের নিশানায় যে চিন-ই, তা জলের মতো স্পষ্ট। কারণ, গত গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বেশ কয়েকজন পাক জঙ্গির বিরুদ্ধে ভারত প্রস্তাব আনলেও, ভেটো প্রয়োগ করে স্থায়ী সদস্য চিন। তাই পাশ হয়নি সেই প্রস্তাব। সেই ‘শোধ’ তুলতেই প্রধানমন্ত্রী এদিন বেছে নিলেন ব্রিকসের সম্মেলন মঞ্চ। যে মঞ্চে হাজির চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও।

    প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা

    ব্রিকসের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে রাশিয়ার কাজানে। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই মঙ্গলবার রাশিয়ায় পা রেখেছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সোচ্চার হন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মোকাবিলায় আমাদের সংকল্প নিতে হবে। এক সঙ্গে ঐক্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এমন গুরুতর বিষয়ে দ্বিমুখী মানদণ্ডের কোনও জায়গা নেই।”

    আরও পড়ুন: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশের যুবসমাজের মধ্যে চরমপন্থা প্রতিরোধের জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন নিয়ে যে বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত, তা সমাধানের জন্য আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” তিনি বলেন (BRICS Summit), “ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আমাদের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।” মুদ্রাস্ফীতি রোধ এবং খাদ্য, শক্তি, জল এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়েও বিশ্বের সব দেশকে উদ্যোগী হতে হবে বলেও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কার সাধন প্রয়োজন বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি (BRICS Summit)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi-Putin Ties: বন্ধুত্বের উষ্ণতা, অনুবাদক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা বোঝেন পুতিন! 

    Modi-Putin Ties: বন্ধুত্বের উষ্ণতা, অনুবাদক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী মোদির কথা বোঝেন পুতিন! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি-পুতিন সম্পর্ক এতটাই গাঢ়, যে একে অন্যের ভাষা বুঝতে অনুবাদের দরকার হয় না। ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit 2024) যোগ দিয়ে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বন্ধু পুতিনের এই কথায় উষ্ণ হাসি ফিরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Modi-Putin Ties)। একই সঙ্গে ফের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর জন্য মোদি অনুরোধ করলেন পুতিনকে। বললেন, শান্তিপূর্ণ আলোচনাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ।  

    মোদি-পুতিন মত বিনিময়

    মঙ্গলবার কাজানে ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির (ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) ষোড়শ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেন মোদি। ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও (Modi-Putin Ties)। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাঝেই পুতিন মোদিকে বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম অনুবাদ ছাড়াই আপনি আমার কথা বুঝতে পারবেন! আমাদের বন্ধুত্ব এমনই।’’ বৈঠকে বেশ কয়েক বার মোদি তথা ভারতকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘‘আমার জুলাইয়ের বৈঠকের কথা মনে আছে, সেখানেও আমরা নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আমরা ফোনেও বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। কাজান সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।’’

    পুতিনকে পরামর্শ মোদির

    প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন পুতিন (Modi-Putin Ties)। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ভারত ফের একবার শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে জোর দিয়েছে। পুতিনের প্রশংসা করে মোদি বলেন, ‘‘আমার রাশিয়া সফরে আমাদের বন্ধুত্ব আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। জুলাই মাসে মস্কোতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনও আমাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে।’’ বন্ধু পুতিনকে ভারতে আসার জন্য ফের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু জরুরি কাজ থাকায় বিভিন্ন পার্শ্ববৈঠক এবং মূল সম্মেলনে যোগ দিয়ে বুধবারই প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসবেন দেশে। বৃহস্পতিবার শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন ব্রিকস ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হবে। ভারতের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত।” রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারই ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন মোদি-পুতিন।

    সমস্যা মেটাতে প্রস্তুত ভারত

    বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে ভারত যে দায়বদ্ধ, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের স্থায়ী উত্তর যে শান্তিপূর্ণ সমাধান, তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের বিষয়ে আমি নিরন্তর খোঁজখবর নিয়ে চলেছি। শান্তিপূর্ণ উপায়েই যে সমস্যার সমাধান করা উচিত, আমি তা আগেও বলেছি। আগে যে দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং স্থায়িত্ব ছিল, আমরা তাকে সমর্থন করি। আমরা মানবতাকে সব সময় প্রায়োরিটি দিই। সময় এলে সমস্যার সমাধানে ভারত সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “গত তিন মাসে আমি দু’বার রাশিয়া সফরে এলাম। এটা প্রমাণ করে আমাদের গভীর বন্ধুত্ব এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। জুলাই মাসে আমাদের যে অ্যানুয়াল সামিট হয়েছিল, তাতে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার বন্ধন নিবিড় হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ বছরের মধ্যে ব্রিকস একটা স্পেশাল আইডেনটিটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বিশ্বের অনেক দেশই এর সদস্য হতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    দু’দিনের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই রাশিয়ার ৯০০ কিলোমিটার দূরের শহর কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে আয়োজক দেশ এবার রাশিয়া। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরই ব্রিকসে যোগ (Putin) দিয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমির শাহি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BRICS Summit: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    BRICS Summit: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাড়ি পরে রয়েছেন রুশ মহিলারা। পুরুষদের পরনে ধুতি-পাঞ্জাবী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Pm Modi) দেখে তাঁরা সমবেত কণ্ঠে ধরলেন কৃষ্ণ ভজন। রাশিয়ার কাজানে এভাবেই স্বাগত জানানো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) যোগ দিতে মঙ্গলবার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তাঁকে স্বাগত জানানো হয় সম্পূর্ণ ভারতীয় কায়দায়।

    কাজানে পা রাখলেন মোদি (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে এমন আনুষ্ঠানিকতার গুরুত্ব স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও। এই দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে কাজানে পৌঁছলাম। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। উন্নত গ্রহের লক্ষ্যে এখানে আলোচনা হবে।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “রাশিয়ার হেরিটেজ শহর কাজানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।” এবার ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে সংঘাত ও পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এই সম্মলনের গুরুত্ব অপরিসীম বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    উষ্ণ অভ্যর্থনা

    হোটেলে পৌঁছানোর পর (BRICS Summit) প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। তাঁদের হাতে ছিল ত্রিবর্ণ রঞ্জিত ভারতীয় পতাকা। সংস্কৃতে একটি গানও গান তাঁরা। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক পরে রুশ শিল্পীদের একটি দল রাশিয়ান নৃত্য প্রদর্শন করেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৯০০ কিমি দূরে কাজান। এখানেই হচ্ছে ব্রিকস সম্মলেন। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই দু’দিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া যাওয়ার আগে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্রিকসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাকে ভারত অত্যন্ত মূল্য দেয়, যা বৈশ্বিক উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও আলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে (Pm Modi) আবির্ভূত হয়েছে। ব্রিকসের (BRICS Summit) মঞ্চে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গত বছর। এতে আদতে বিশ্বেরেই ভালো হবে।”

     

    আরও পড়ুন: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা (Canada)। বর্তমানে দেশটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় যা আরও বেড়েছে বলেও দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। দুষ্কৃতীদের এই স্বর্গরাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (Sikhs For Justice)। ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গি সংগঠনের চাঁই গুরুপন্ত সিং পান্নুন। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই পান্নুনের সংগঠনের ট্রুডোর অফিসের ওঠাবসা চলছে বছর তিনেক ধরে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা কবুলও করেছেন পান্নুন। ট্রুডো মন্ত্রিসভা সংখ্যালঘু। সেই সরকার টিকে আছে জোড়াতালি দিয়ে, শিখদের সমর্থন নিয়ে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুড়ঙ্গ দিয়েই ট্রুডোর অফিসের লোকজনের সঙ্গে দহরম মহরম করছেন শিখস ফর জাস্টিসের লোকজন।

    খুলল ট্রুডো সরকারের মুখোশ (Sikhs For Justice)

    এই সংগঠনেরই নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হয় গত জুনে, কানাডা-ভূমে। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো সরকার। প্রমাণ চায় ভারত। প্রমাণ দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। তবে ট্রুডো সরকারের এই দোষারোপের পর ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ‘বিকশিত ভারত’ পাশ থেকে সরে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে ট্রুডো সরকার। ভারত-কানাডার ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক মেরামত করতে উদ্যোগী হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো স্বয়ং। সম্প্রতি ট্রুডো প্রকাশ্যে কবুল করেন, নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষারোপ করার সময় তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না। তার পরেই খুলে যায় ট্রুডো সরকারের মুখোশ।

    খালিস্তান-প্রীতি

    ট্রুডো সরকারের খালিস্তান-প্রীতি (Sikhs For Justice) নিয়ে সরব হয়েছেন সে দেশের বিরোধীরাও। তাঁদের দাবি, খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জর খুনে অনাবশ্যক উত্তেজনা তৈরি করে ট্রুডো সরকার অন্যান্য বিষয়ে তাদের অকর্মণ্যতাকে আড়াল করতে চাইছে। কানাডার পিপলস পার্টির নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বলেন, “নিজ্জর একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। তার পরেও তাঁকে ২০০৭ সালে জোর করে কানাডার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, ট্রুডো সরকারের উচিত প্রশাসনিক ভ্রান্তি দূর করে মরণোত্তরভাবে নিজ্জরের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া। বার্নিয়ার বলেন, “কানাডা সরকারের উচিত একজন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে এত জটিলতা তৈরি না করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে মতভেদ মিটিয়ে ফেলা। কারণ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি কানাডার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।”

    নাৎসি-যোগ

    ২০১৮ সালে ট্রুডো সরকার চারজন রাশিয়ার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। রাশিয়া তৎকালীন কানাডিয়ান বিদেশমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাৎসি-যোগ প্রকাশ করার পরে আরও তিনজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ‘গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ ও অন্যান্য কানাডিয়ান মিডিয়ার দাবি, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড প্রায় দু’দশক ধরে জানতেন, তাঁর মামাবাড়ির দাদুর সঙ্গে নাৎসি যোগ ছিল। সেই সময় ফ্রিল্যান্ড রাশিয়াকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ও কানাডিয়ান গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন।ফ্রিল্যান্ডের অফিসের (Canada) দাবি ছিল, ফ্রিল্যান্ডের দাদুর সঙ্গে নাৎসিদের যোগ কোনওকালেই ছিল না। তবে লিবারেল পার্টি লিডারের দাদুর সঙ্গে যে নাৎসিদের সত্যিই যোগ রয়েছে, এটা রাশিয়া সরকারের মিথ্যে প্রচার নয়, তার স্বপক্ষে যথেষ্ঠ প্রমাণ ছিল। তার পরেও ফ্রিল্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়েছে ট্রুডো সরকার, শাস্তি দিয়েছে রাশিয়ান কূটনীতিকদের।

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু মাইখাইলো চমিয়াক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান মিলিটারি গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি প্রমিনেন্ট ইউক্রেনিয়ান পাবলিকেশনের এডিটর ছিলেন। এই পাবলিকেশন হিটলারকে নিয়ে হইচই করেছিল, প্রচার করেছিল তীব্র ইহুদি বিদ্বেষ। এই সংবাদপত্রের মাধ্যমেই নাৎসিদের প্রোপাগান্ডা চলত, ছড়ানো হত নাৎসিদের মতাদর্শ, হোয়াইটওয়াশ করা হত হলোকাস্টকে। যুদ্ধ শেষে চমিয়াক সপরিবারে ঢুকে পড়েন কানাডায়। সেই থেকে তাঁরা রয়েছেন ট্রুডোর দেশে, যোগাযোগও রয়েছে নাৎসিদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    নাৎসি-প্রীতি

    ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতিও প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় কানাডিয়ান হাউস অফ কমন্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রবীণ ইয়ারোস্লাভ হুঙ্কাকে সংবর্ধনা দেয় (Sikhs For Justice)। যদিও জানানো হয়নি হুঙ্কা নাৎসিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি এসএস ইউনিটের সদস্য ছিলেন ১৯৪৩ সালে। ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতির পর ইদানিং প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর শিখস ফর জাস্টিস-প্রেমের কথা। যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কানাডার অশান্তির সূত্রপাত। যা নিয়ে ভারত-কানাডার বন্ধুত্বের সম্পর্কে ইতি।

    কানাডায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত 

    পান্নুনের নেতৃত্বাধীন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs For Justice) ছাড়াও আরও অন্তত তিনটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন লালিত-পালিত হচ্ছে ট্রুডো সরকারের জল-হাওয়ায়। এদের মধ্যে রয়েছে বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল। খালিস্তান আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ এই সংগঠন একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। খালিস্তানপন্থীদের এই সংগঠনই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কনিষ্কয় বম্বিং করেছিল। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের।

    ১৯৮৪ সালে (Canada) ব্রিটেনে জন্ম হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের। এই সংগঠনেরও শাখা রয়েছে কানাডায়। কানাডার মাটিতে লালিত হয়েছে প্রয়াত নিজ্জরের সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্স। ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসমূলক কার্জকর্মে লিপ্ত তারাও। এদেরই প্রধান মুখ ছিল নিজ্জর। কখনও হিন্দু মন্দিরে (Sikhs For Justice) হামলা, কখনও ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়া, কখনও আবার হিন্দুদের কানাডা ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তুলেছে এই সংগঠন। তার পরেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন ট্রুডো। আসলে শিখ সমর্থন না থাকলে যে পড়ে যাবে (Canada) তাঁর সরকার!

    অতএব…।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নরেন্দ্র মোদির শান্তি-প্রস্তাবে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কোন রফাসূত্র?

    PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নরেন্দ্র মোদির শান্তি-প্রস্তাবে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কোন রফাসূত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)। এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাইছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি। মস্কোর সঙ্গে শান্তিচুক্তিও স্বাক্ষর করতে চাইছেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এজন্য ভারতের (PM Modi) ওপরই ভরসা করছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে একটি শান্তি-প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনকে।

    মোদির রফাসূত্র (PM Modi)

    সম্প্রতি তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন মোদি। রাশিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধে কীভাবে দাঁড়ি টানা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করতে গিয়ে ইউক্রেনকে যদি কিছু আপোস করতে হয়, তবে তার বিনিময়ে রাশিয়াকে কোনও ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দেওয়া হবে না। এর অর্থ হল, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করে নিয়েছে, তা ছেড়ে দিতে হবে। তবে ইউক্রেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তার ঝোঁকের ভারসাম্য বজায় রাখতে হতে পারে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নেওয়াও আপাতত স্থগিত রাখতে হবে।

    ভারত-চিনের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গও

    ওই আলোচনায় এসেছে ভারত-চিনের দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও। লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের (PM Modi) সংঘর্ষের প্রসঙ্গও উঠেছে। গত কয়েক দশক ধরে চিনা ফৌজের লাগাতার আক্রমণের জেরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভূখণ্ড হারিয়েছে ভারত। তার পরেও ভারত চিনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়নি। বরং আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছে। বড় কোনও আঞ্চলিক ছাড় দিতেও অস্বীকার করেছে ভারত। তাওয়াং এবং অরুণাচল প্রদেশের একটা অংশের ওপর বেজিং যে দাবি করেছিল, সেই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    পলিটিকোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিভের (ইউক্রেনের রাজধানী) চোখে মোদি অনেক কম সময়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ক্রমশ ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে আদর্শ মধ্যস্থতাকারীই হিসেবে দেখছে। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে ইউক্রেনের। বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ারও। পশ্চিমে ইউক্রেনের যেসব বন্ধু দেশ রয়েছে, তাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদির ভারতের। সেই কারণেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের (PM Modi) ওপর ক্রমেই নির্ভর করতে শুরু করেছে জেলেনস্কির দেশ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share