Tag: s jaishankar

s jaishankar

  • S Jaishankar: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    S Jaishankar: সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর, ৯ বছর পরে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরফ গলছে ভারত-পাক সম্পর্কের! ন’বছর আগে সে দেশে গিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর এবার যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবরে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন তিনি।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “১৫ ও ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এসসিও-র বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশমন্ত্রী।” ওই বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। যদিও তিনি যাচ্ছেন না, যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানে শুধু সম্মেলনেই যোগ দেবে প্রতিনিধি দল। প্রতিবেশী দেশের সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠকে বসার সম্ভাবনাই নেই ভারতের।

    সুষমার পরে এবার জয়শঙ্কর

    আফগানিস্তান নিয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সুষমা। তার পর ভারতের আর কোনও বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানমুখো হননি। কূটনীতিকদের মতে, এই সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় বার্তা দিল নয়াদিল্লি। এসসিও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতায় বড় ভূমিকা নেয়। সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রীকে পাঠিয়ে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিল, এই সম্মেলনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় ভারত।

    ভারত (S Jaishankar) ছাড়াও এসসিও-র সদস্য হল চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তান। সংগঠনের জন্ম ২০০১ সালে, সাংহাইতে এক সম্মেলনের মাধ্যমে। এই সম্মেলনে ভারত যোগ দেয়নি। ২০০৫ সালে প্রথমবার ভারত যোগ দেয় এসসিও সম্মেলনে। ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান একই সঙ্গে এই সংগঠনের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। ২০২৩ সালে সম্মেলনের আয়োজন করে ভারত। সেবার অবশ্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল বৈঠক।

    আরও পড়ুন: বড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর, ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইয়ে খতম ৩০ মাওবাদী

    ভারতের পর এবার সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। সেই সম্মেলনেই যোগ দিতে ইসলামাবাদ যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। সীমান্ত সন্ত্রাস ছড়ানোয় গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। ওই মঞ্চেই পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন ভারতের তরফে ফার্স্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। তিনি বলেছিলেন, “যে দেশ তার জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য, মাদকদ্রব্য পাচার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য বিখ্যাত, সেই দেশই পৃথিবীর সব চেয়ে বড় গণতন্ত্রকে আক্রমণের ঔদ্ধত্য দেখায়।” এহেন আবহেই পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, উদ্বিগ্ন ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ, উদ্বিগ্ন ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ক্রমেই ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। মঙ্গলবারই ইজরায়েলে (Israel Iran War) হামলা চালিয়েছে ইরান। পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইজরায়েলও। এহেন আবহে মধ্যপ্রাচ্যের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে ভারত যে যারপরনাই উদ্বিগ্ন, তা স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারত যে এই যুদ্ধে জড়াবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    তিনি বলেন, “ভারত আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে এই যুদ্ধে জড়াবে।” ইজরায়েলের দাবি, ইরান সব মিলিয়ে ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তার আগেই ইরান-ইজরায়েল সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “জটিল পরিস্থিতিতে কমিউনিকেশনের গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “যদি কিছু বলার ও আদান-প্রদান করার থাকে, তবে আমি মনে করি সেগুলোই আমাদের কনট্রিবিউশন হতে পারে এবং আমরা তা করি…।” জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আমরা সংঘাতের বিস্তারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কেবল লেবাননে যা ঘটেছে, তা নয়, বরং হুথিদের সঙ্গে রেড সি পর্যন্ত, এবং ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যা কিছু ঘটতে পারে, তা-ও।”

    অসামরিক জনগণের ক্ষতি নয়

    তিনি বলেন, “যে কোনও দেশের প্রতিক্রিয়া অবশ্যই হতে হবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অসামরিক জনগণের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “৭ অক্টোবরকে আমরা সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচনা করি। আমরা বুঝতে পারি যে ইজরায়েলকে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়েছিল। তবে আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে, যে কোনও দেশের প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের কথা বিবেচনা করতে হবে। অসামরিক জনগণের ক্ষতি বা তাদের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে।

    আরও পড়ুন: মমতা জমানায় নারী নির্যাতনের বধ্যভূমি বাংলা! ‘ব্ল্যাক পেপার’ বই প্রকাশ রাজ্য বিজেপির

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েলি সেনার দাবি, ইরান ইজরায়েলে অন্তত ১৮১টি মিসাইল ছুড়েছে। তার বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখমও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। এর পরেই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “বিরাট ভুল করে ফেলেছে (Israel Iran War) ইরান। যথা সময়ে ওরা এর জবাব পেয়ে যাবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে”, এবার পাকিস্তানকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা মৌলবাদ দিয়ে জিডিপি মাপে!” বিশ্বমঞ্চে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে (Pakistan) তোপ দাগলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৯তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেখানেই জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তান তার কর্মের জন্যই ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বিশ্বের তালিকায়।”

    পাকিস্তানকে নিশানা করেছিলেন ভাবিকাও (S Jaishankar)

    শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ভাবিকা মঙ্গলনন্দন নিশানা করেছিলেন পাকিস্তানকে। বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমরা এমন এক দেশকে নিয়ে কথা বলছি, যে দেশটা সেনা চালায়। সন্ত্রাসের জন্য দেশটা সারা বিশ্বে পরিচিত। এমন দেশ যেখানে ওসামা বিন লাদেন আশ্রয় নিয়েছিল। এমন এক দেশ যার আঙুলের ছাপ বিশ্বের সব জঙ্গি হামলায় রয়েছে।”

    জয়শঙ্করের তোপ 

    এর ঠিক পরের দিনই ফের পাকিস্তানকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর। বলেন, “দুঃখজনকভাবে ওদের খারাপ কাজের ফল অন্যদেরও প্রভাবিত করে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোকে। যখন রাজনীতি জনগণের মধ্যে ধর্মান্ধতা জাগিয়ে তোলে, তখন দেশের জিডিপি শুধুমাত্র মৌলবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ও সন্ত্রাসবাদের আকারে এর রফতানির ভিত্তিতেই পরিমাপ করা হয়।” তিনি বলেন, “বহু দেশ পিছিয়ে পড়ে এমন কিছু পরিস্থিতির জন্য, যা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিন্তু আবার নিজেদের ভেবেচিন্তে নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণেও পিছিয়ে পড়ে অনেক দেশ। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল পাকিস্তান।” জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অন্য কাউকে দোষ দেওয়া উচিত নয়। বরং এটা তার কর্মের ফল।” তিনি (S Jaishankar) বলেন, “যে দেশ অন্যের জমি দখল করার চেষ্টা করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া ও পাল্টা জবাব দেওয়া জরুরি।”

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, জিরিবামে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষে চলল গুলি, হতাহতের খবর নেই

    রাষ্ট্রসংঘের এই মঞ্চেই পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমি ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিতে চাই। পাকিস্তানের এই সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনের নীতি কখনওই সফল হবে না। ওরা এর দায়ও এড়াতে পারে না। কর্মের ফল ওদের (Pakistan) ভুগতেই হবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: মার্কিন মুলুকেই বৈঠকে জয়শঙ্কর-তৌহিদ, হাসিনাকে নিয়ে কী আলোচনা হল?

    S Jaishankar: মার্কিন মুলুকেই বৈঠকে জয়শঙ্কর-তৌহিদ, হাসিনাকে নিয়ে কী আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করতে চেয়েছিলেন ইউনূস। সেই বৈঠক হয়নি।

    বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক (S Jaishankar)

    তবে মোদি-ইউনূস বৈঠক না হলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বৈঠক হয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার নিউইয়র্কে ওই বৈঠক হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে জয়শঙ্কর ও তৌহিদ ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে একমত হন। প্রসঙ্গত, হাসিনা-উত্তর জমানায় এই প্রথম দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হল।

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    বৈঠক শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় করা এক পোস্টে জয়শঙ্কর বলেন, “আজ সন্ধেয় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক হল। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।” বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে বৈঠকের একটি ছবি। সেখানে লেখা হয়েছে, “রাষ্ট্রসংঘের ৭৯তম সাধারণ সভার পাশে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।” তবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কোনও কথা হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই।

    আরও পড়ুন: এশিয়ায় তৃতীয় শক্তিশালী দেশ ভারত, বলছে সমীক্ষা

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ভারতে চলে আসেন তিনি। বাংলাদেশের রশি যায় অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে, যার প্রধান মহম্মদ ইউনূস। ক্ষমতায় বসেই তিনি বুঝত পারেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা ছাড়া বাংলাদেশের কাছে আর কোনও পথ খোলা নেই। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত করতেই হবে। কারণ বাংলাদেশের চাহিদা ও ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ও আমাদের মধ্যে অনেক কিছু বিষয়ে মিল রয়েছে। আমাদের একটি পারস্পরিক ইতিহাস রয়েছে। তাই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া বাংলাদেশের (Bangladesh) আর কোনও উপায় নেই (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indo-Bangla Ties: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    Indo-Bangla Ties: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের অত্যন্ত সুসম্পর্ক (Indo-Bangla Ties) ছিল। তবে, সেই সম্পর্কে অনেকটাই তিক্ততা আসে গত অগাস্ট মাসে হাসিনার পদত্যাগের পরেই। জামাত-বিএনপির সাহায্যে গণভবন দখল করা হয়। ভারতে আশ্রয় নেন হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন ইউনূস। ঠিক এই আবহে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চাইছে, তা নিয়ে মন্তব্য করলেন এস জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী ভারত (Indo-Bangla Ties)। এর পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা তাদের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফায় মোদি সরকারের ১০০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। সেই উপলক্ষে, মঙ্গলবার জয়শঙ্কর (S Jaishankar) সাক্ষাৎকার দেন এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে। সেখানেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পরে, এই প্রথম সেই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিতভাবে মত জানান জয়শঙ্কর।

    স্থিতিশীল সম্পর্ককে (Indo-Bangla Ties) আগ্রহী ভারত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, তাঁরাও ভারতের সঙ্গে আগের মতোই ভালো সম্পর্ক (Indo-Bangla Ties) বজায় রাখতে চান। সেই সম্পর্কের শর্ত হিসেবে ইউনূস জানান, সম্পর্ক হতে হবে ‘স্বচ্ছতা এবং সমতার’ ভিত্তিতে। এই আবহে জয়শঙ্কর বাংলাদেশকে (Bangladesh) নিয়ে ভারতের অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিলেন। সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি সেই দেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’। তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সমীচীন নয়। কিন্তু প্রতিবেশী হিসেবে সেই দেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক জারি রাখতে ভারত আগ্রহী (Indo-Bangla Ties)। দুই দেশের সম্পর্ককে ভারত আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।’’

    ভারত সম্পর্ক রক্ষা করে চলে

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) আরও বলেন, ‘‘প্রতিবেশীরা একে অন্যের সঙ্গে জুড়ে থাকে বাংলাদেশের ঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক (Indo-Bangla Ties) রয়েছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই সম্পর্ক এবং যোগাযোগকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী।’’ তিনি বলেন, ‘‘সব সময় সবকিছু ঠিক থাকবে তা হয় না। সব সময় সবকিছু অনুকূলও থাকে না। বাংলাদেশে যা হয়েছে তা তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যাপার। এটা একান্তই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেটা নিয়ে মন্তব্য করা অনভিপ্রেত।’’ একইসঙ্গে, ভারত সব সময় বিদ্যমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা (Indo-Bangla Ties) করে চলে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    India China Relation: গালওয়ান-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরেছে লালফৌজ, জানাল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকা-সহ পূর্ব লাদাখের চার এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লালফৌজ। শুক্রবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফেই এ খবর (S Jaishankar) জানানো হয়েছে (India China Relation)। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিকর ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানান, রাশিয়ায় ভারত ও চিন কর্তৃপক্ষের বৈঠকে স্থির হয়েছে দুই দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে পদক্ষেপ করবে।

    কী বলছে চিন? (India China Relation)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দাবিকে মান্যতা দিয়েই পূর্ব লাদাখের চার এলাকা মুক্ত করে দিয়েছে চিন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “১২ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে আলোচনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই আলোচনায় দুই দেশই পারস্পরিক সমঝোতা বজায় রেখে চলার বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে। ন্যূনতম বোঝাপড়া কায়েম করার ব্যাপারেও একমত হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্ত ইস্যু নিয়েও কথা হয়েছে দুপক্ষে।”

    সেনা প্রত্যাহার

    তিনি (India China Relation) বলেন, “সাম্প্রতিক অতীতে চিন-ভারত সীমান্ত এলাকার চারটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়ে দুই দেশই বাস্তবিক পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে। সেই হিসেবে এখন চিন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি সুস্থিতিকর ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, দুদেশের মধ্যে থাকা সীমান্ত সমস্যার ৭৫ শতাংশ সমাধান হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উভয় পক্ষই বিশ্বাস করে চিন-ভারত সম্পর্কের স্থিতিশীলতা দুই দেশের জনগণের মৌলিক ও দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক। দুই দেশই রাজি রয়েছে, উভয় দেশের প্রধানদের মধ্যে অর্জিত ঐক্যমত বাস্তবায়ন করবে, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বিশ্বাস বাড়াবে, নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করবে। এর পরেই চিনা মুখপাত্র বলেন, “গালওয়ান-সহ চারটি এলাকা দখলমুক্ত করতে সম্মত হয়েছে চিন ও ভারতীয় সেনা। সেই মতো দখল করা চারটি এলাকা থেকেই সরে গিয়েছে (S Jaishankar) চিনা ফৌজ (India China Relation)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রত্যেক দেশবাসী’, সুইৎজারল্যান্ডে বললেন জয়শঙ্কর

    RG Kar: ‘আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রত্যেক দেশবাসী’, সুইৎজারল্যান্ডে বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদের আঁচ রাজ্য দেশ ছাড়িয়ে দেখা গিয়েছে বিদেশেও। শুক্রবারই সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভাতে প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে আরজি করে ইস্যুর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, এই ঘটনায় প্রত্যেক দেশবাসী ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি না যে দেশে এমন একজনও আছেন যিনি এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হননি।’’

    প্রসঙ্গত, ১২ এবং ১৩ সেপ্টেম্বর দুদিনের সুইৎজারল্যান্ড সফর ছিল বিদেশমন্ত্রীর। সেখানেই প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, ‘‘যে নৃশংস ঘটনা ওই তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটেছে, তা মনে করলে আমি আমার ক্ষোভ চেপে রাখতে পারছি না। আমি নিশ্চিত, আমার মতো সকলেই রাগের বহিঃপ্রকাশ (RG Kar) ঘটাচ্ছেন। মহিলাদের নিরাপত্তা অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’’

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কথা উল্লেখ (RG Kar)  

    প্রসঙ্গত আরজি করের ঘটনার আবহে চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মহিলাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরেন। জেনেভাতে সে কথা স্মরণ করান বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছিলেন, রাতে বাইরে বের হলে মেয়েদের (সতর্ক করে) নানা কথা বলা হয়। এই একই কথা কি আপনারা আপনাদের বাড়ির ছেলেদেরকেও বলেন?’’

    ‘‘আমি মনে করি না যে দেশে এমন একজনও আছেন যিনি এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হননি’’

    এদিন বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমি মনে করি না যে দেশে এমন একজনও আছেন যিনি এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হননি।’’ প্রসঙ্গত দেশ জুড়ে আরজি কর (RG Kar) ইস্যুতে যে আন্দোলনে ঢেউ দেখা গিয়েছে তাতে রাস্তায় নেমেছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। একথা উঠে আসে জয়শঙ্করের (S Jaishankar) ভাষণে এবং তিনি বলেন, ‘‘মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ রাস্তাতে দেখা গিয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, মহিলা নিরাপত্তা এবং নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমাদের দেশে গুরুতর সমস্যা এবং অন্যান্য দেশেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। প্রসঙ্গত, তিন দেশের সফরে সুইৎজারল্যান্ড ছাড়াও তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে জার্মানি এবং সৌদি আরবে। বৃহস্পতিবার জয়শঙ্কর বৈঠক করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাসের সঙ্গেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “চিন মৌলিক সমস্যা, কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন (China) হল মৌলিক সমস্যা। এ সমস্যা কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও।” কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তব্য রাখতে দিয়ে তিনি বলেন, “কয়েক দশক আগে সবাই সচেতনভাবে চিনা উৎপাদনের প্রকৃতিকে উপেক্ষা করেছিল। তারাই এখন অভিযোগ করছে।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)?

    এই অনুষ্ঠানেই জয়শঙ্কর বলেন, “চিন একটি মৌলিক সমস্যা। কারণ এর একটি অনন্য শাসন ব্যবস্থা ও অর্থনীতি রয়েছে। এটা কেবল ভারতের সমস্যা নয়। আজ মানুষ চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করছে। এর কারণ, কয়েক দশক আগে আমরা সকলেই সচেতনভাবে চিনা উৎপাদনের প্রকৃতি ও তারা যে সুবিধাগুলি ভোগ করত, সেগুলিকে উপেক্ষা করেছিলাম। তাদের সুবিধাগুলি বিবেচনা না করেই সমান প্রতিযোগিতার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল চিনকে।” বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “চিনের বিষয়ে একটা সাধারণ সমস্যা রয়েছে। আমরা বিশ্বের একমাত্র দেশ নই, যাদের চিনকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে।”

    প্রসঙ্গক্রমে এল ইউরোপ, আমেরিকা

    ইউরোপ আমেরিকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ইউরোপে যান। তাদের জিজ্ঞেস করুন। আজকের দিনে তাদের প্রধান অর্থনৈতিক বা জাতীয় নিরাপত্তা বিতর্কগুলোর মধ্যে কী রয়েছে? তা হল চিন। আমেরিকার দিকে তাকান। তারাও চিন নিয়েই মগ্ন এবং অনেক দিক থেকেই তা যথার্থ।” অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আপনার যখন একাধিক প্রতিবেশী থাকে, তখন কী হয়?” 

    আরও পড়ুন: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কগুলি সংজ্ঞা (প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক) অনুসারে খুব জটিল। তারা সবাই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রয়েছে। তাই সরকার পরিবর্তিত হবে এবং তাদের দেশে রাজনৈতিক বিতর্কও থাকবে। আমরা প্রায়ই সেই বিতর্কগুলির কেন্দ্রে থাকব। এটা স্বাভাবিক। কারণ আমরা একটি বড় দেশ। আমাদের প্রত্যাশা করা উচিত, পরিকল্পনা করা উচিত এবং আমাদের নীতির মধ্যে এই প্রত্যাশা তৈরি করা উচিত যে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কে কিছু পরিবর্তন আসবে। এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে স্বাভাবিকভাবে, আর কিছু হবে বাধ্যতামূলক।”

    জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে (China) পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তি খুঁজে বের করতে হবে ভারতকে। ভারত সেই দিনের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ”, সোজাসাপটা জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ”, সোজাসাপটা জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ।” পাকিস্তানের প্রতি ভারতের বর্তমান অবস্থান বোঝাতে গিয়ে এ কথাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “কর্মের ফল ভোগ করতে হবে।” পাকিস্তান স্পনসর্ড সন্ত্রাসবাদের প্রতি ইঙ্গিত করে নয়াদিল্লির অবস্থান ফের স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। বললেন, “সন্ত্রাস এবং আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ। কর্মের ফল আছে।” শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে পাকিস্তান সম্পর্কে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, “যেহেতু জম্মু-কাশ্মীর এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই বাতিল করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। তাই এখন ইস্যু হল, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কীরকম সম্পর্ক স্থাপন করব।” সন্ত্রাসবাদ এবং আলোচনা যে এক সঙ্গে চলতে পারে না, এবং ভারত যে এর সঙ্গে কোনও কম্প্রোমাইজ করবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। 

    সন্ত্রাসের সঙ্গে আপোস নয়

    একইভাবে, পাকিস্তানের সঙ্গে ডিল করার ক্ষেত্রে ভারত যে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকবে না, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আমি আপনাদের এটা বলতে চাই যে, আমরা নিষ্ক্রিয় নই। ইতিবাচক বা নেতিবাচক, ঘটনাপ্রবাহ যেদিকেই গড়াক না কেন, আমরা প্রতিক্রিয়া দেব।” এর আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেছিলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টায় কেন্দ্র সন্ত্রাসবাদকে উপেক্ষা করতে পারে না।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ শিল্পের পর্যায়ে চলে গিয়েছে।” ভারত আর এসব সহ্য করবে না বলেও জানান তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের কৌশল হল ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনতে গেলে হাতিয়ার করতে হবে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসকে। কিন্তু ভারত এই শর্তে রাজি নয়। ভারত ওই নীতিকে বর্তমানে বাতিল করে দিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    এই অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “বর্তমানে সে দেশে যে সরকার রয়েছে, আমরা তার সঙ্গেই ডিল করব।” দুই পড়শি দেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতার ওপরও জোর দেন তিনি। বলেন, “প্রতিবেশীরা সব সময়ই প্রহেলিকা। আমায় এমন একটা দেশের উদাহরণ আপনারা (Pakistan) দিতে পারেন, যেখানে দুই পড়শি দেশের মধ্যে চ্যালেঞ্জ নেই (S Jaishankar)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় গিয়ে ‘বন্ধু’ পুতিনকে আলিঙ্গন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এ ছবি মেনে নিতে পারেনি পশ্চিমি দুনিয়া। এবার ইউক্রেন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকেও আলিঙ্গন করলেন মোদি। তাঁর কাঁধে ‘ভরসার’ হাত রেখে ঘুরলেন কিয়েভের নানা প্রান্ত। যাঁরা মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে সরব ছিলেন, এখন তাঁরা চুপ। এই আবহেই বিশ্বকে কৌশলী বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। আলিঙ্গনকে ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ বলে ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী। ভারতের সংস্কৃতি শেখায় সকলকে ভালবেসে কাছে টেনে নেওয়ার মন্ত্র, অভিমত জয়শঙ্করের। 

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    রুশ সফরে পুতিনের সঙ্গে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) মনে করিয়ে দেন ভারতের সাংস্কৃতিক প্রথার কথা। এদিন বিবিসির এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমাদের এদিকে মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা হলে একে অপরকে আলিঙ্গন করা হয়। এটা আপনার সংস্কৃতির অংশ নাও হতে পারে, এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ।’’ উল্লেখ্য, গত মাসে ৮ থেকে ৯ জুলাই রাশিয়া গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে মোদি আলিঙ্গন করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি লেখেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতাকে এমন একটি দিনে মস্কোতে বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত অপরাধীকে আলিঙ্গন করতে দেখা, এটি একটি বিশাল হতাশা এবং শান্তি প্রচেষ্টার জন্য একটি বিধ্বংসী আঘাত।’

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ১৯৯২ সালের পর ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতেই সেদেশে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভারত সফরে আসবনে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ভারত সফর করতে পারলে তিনি আনন্দিত বোধ করবেন। ভারতের মত শক্তিশালী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারলে ইউক্রেন লাভবান হবে বলেও জানান জেলেনস্কি।

    আরও পড়ুন: জেলেনস্কির কাঁধে হাত রাখলেন, বুকে জড়িয়ে ধরলেন মোদি, দেখল গোটা বিশ্ব

    মোদি ম্যাজিকে মুগ্ধ ইউক্রেন

    মোদি (PM Modi) ম্যাজিকে মুগ্ধ ইউক্রেন। যেভাবে শান্তির বার্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার ইউক্রেন সফর করলেন তা দেখে কার্যত অবাক গোটা বিশ্ব। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান মোদি। যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ভারত সফর করতে পারলে তিনি আনন্দিত বোধ করবেন। ভারতের মত শক্তিশালী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারলে ইউক্রেন লাভবান হবে বলেও জানান জেলেনেস্কি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share