Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Amit Shah: “ভূপতিনগরের অভিযুক্তদের সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে”, হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    Amit Shah: “ভূপতিনগরের অভিযুক্তদের সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে”, হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগরে এনআইএ-র ওপর হামলা নিয়ে রাজ্য সফরে এসে মমতাকে কড়া আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণ ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন। বুধবার বালুরঘাটে বিজয় সংকল্প সভায় হাজির হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ বারের ভোটে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এই প্রথম বার বাংলায় সভা করতে এলেন শাহ। সভায় ভিড়ের প্রশংসা করেন তিনি। সুকান্তকে বলেছেন, “আপনার ভোটের ফল তো এখানেই হয়ে গেল!”

    ভূপতিনগর নিয়ে মমতাকে আক্রমণ শাহের

    এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “ভূপতিনগরে যারা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন, তাদের জেলের ভিতরে থাকা উচিত নয়। আদালতের নির্দেশ পেয়ে এনআইএ এই ঘটনার তদন্তভার পেয়েছে। আধিকারিকরা তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। মমতা দিদি এই হামলাকারীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ভূপতিনগরের দুষ্কৃতীদের আড়াল করছেন। লজ্জা হওয়া উচিত। ভূপতিনগরের ঘটনায় জড়িতদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। সবাইকে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করা হবে।” এরপর তিনি বলেন, “একসময় বাংলায় রবীন্দ্র সংগীত বাজত। মানুষ গান শুনতেন। এখন বোমার আওয়াজ শুনতে পান। বাংলায় কোনও কারখানা আসেনি। সবকিছুতেই কাটমানি। দেশের অন্য রাজ্য যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে।”

    আরও পড়ুন: “সিএএ নিয়ে মমতা ভুল বোঝাচ্ছে, আবেদন করলে নাম বাদ যাবে না”, আশ্বাস অমিত শাহ-র

    সন্দেশখালি ইস্যুতে মমতাকে তোপ শাহ-র

    সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে এক হাত নেন শাহ। সন্দেশখালির মতো লজ্জাজনক ঘটনা নিয়েও আপনি রাজনীতি করছেন! মমতাকে প্রশ্ন শাহের। এদিন ভূপতিনগরের পর সন্দেশখালি ইস্যুতে ফের মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “সন্দেশখালিতে তৃণমূলের গুন্ডারা মা, বোনেদের সঙ্গে কী আচরণ করেছে তা দেশের মানুষ দেখেছেন। মমতা দিদি তাদের বিরুদ্ধে কিছু করেনি। আদালতের নির্দেশে দুর্নীতির তদন্তে ইডি যখন গেল, তখন তাদের ওপর হামলা হল। পরে, অভিযুক্তরা পালিয়ে বেড়াল। মমতার সরকার তাদের বাঁচাল। আদালত হস্তক্ষেপ করার পর অভিযুক্তরা ধরা পড়ল।” এরপর তিনি বলেন, “কেন সন্দেশখালির দোষীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন মমতা দিদি? তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার অর্থ গুন্ডাদের সমর্থন করা। সন্দেশখালির মতো ঘটনা আবারও ঘটবে। আর বিজেপিকে সমর্থন করার অর্থ সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।” এরপর কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এত রাগে বোতাম টিপবেন বালুরঘাটে, যেন কলকাতায় মমতা দিদির গায়ে কারেন্ট লাগে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই, সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই, সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জনস্বার্থ ও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা, দুটো ক্ষেত্রেই সিবিআই-কে সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। আদালত জানিয়েছে, নতুন ইমেল আইডি চালু করে সন্দেশখালির ঘটনা সংক্রান্ত অভিযোগ জমা নিতে হবে সিবিআইকে। আজ, বুধবার থেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে।

    আদালতের নির্দেশ

    সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মোট পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একত্রে সেই মামলাগুলি শুনছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের তরফে জানানো হয়, ন্যায়বিচারের স্বার্থে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। তাই এই মামসার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তফসিলি জনজাতির জমি কেড়ে নেওয়া-সহ বিভিন্ন অভিযোগ বিবেচনা করে তাই আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিবিআই সন্দেশখালির মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে। জমি দখল, ধর্ষণ, চাষের জমিতে ভেড়িতে পরিবর্তন করা-সহ সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। 

    নতুন পোর্টাল তৈরি

    আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে,  সিবিআই-কে পোর্টাল তৈরি করতে হবে। সিবিআইয়ের চালু করা ইমেল আইডির মাধ্যমে মামলার সব পক্ষকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে সব অভিযোগ জমা দিতে হবে। অভিযোগকারীদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এই ব্যবস্থা। সন্দেশখালি এলাকায় ওই ইমেল আইডির প্রচার করতে হবে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে। বুধবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “সব কিছু দেখে আমাদের কোন সন্দেহ নেই যে এক্ষেত্রে স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য সব সহযোগিতা করবে তদন্তকারী সংস্থাকে।”

    আরও পড়ুন: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারাটির অপব্যবহার হচ্ছে, মত কর্নাটক হাইকোর্টের

    স্পর্শকাতর এলাকায় সিসিটিভি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) স্পর্শকাতর এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসাতে বলেছে আদালত। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় প্রশাসনকে একসঙ্গে মিলে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। রাস্তায় বসাতে হবে এলইডি আলো। সিসিটিভি এবং এলইডি আলোর খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং খরচ দিতে হবে। আগামী ২ মে হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি পুলিশ ক্যাম্পে হামলা, আক্রান্ত পুলিশ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি পুলিশ ক্যাম্পে হামলা, আক্রান্ত পুলিশ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে উঠে এল সন্দেশখালির নাম। এবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শীতুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পে। ক্যাম্পের ভিতরে থাকা কনস্টেবল সন্দীপ সাহার ওপরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তবে, কী কারণে এই হামলা তা পরিষ্কার নয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এনিয়ে ঝামলো হয়। এবার সেই তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১টা নাগাদ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন তৃণমূল দুষ্কৃতী। এরপর ক্যাম্পের ভিতরে থাকা কনস্টেবল সন্দীপ সাহার ওপরে হামলা চালায় তারা। লাঠি, রড দিয়ে ওই পুলিশকর্মীকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশ ক্যাম্প ছেড়ে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অন্য পুলিশকর্মীরা সন্দীপ সাহাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত পুলিশ কর্মীর অবস্থা গুরুতর। তিনি আইসিইউ-তে ভর্তি। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। যার ফলে অস্ত্রোপচার করা হবে। জানা গিয়েছে, ঘটনার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে। যদিও পরিবারের লোকজনের দাবি, হামলার ঘটনায় তারা কেউ জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    এমনিতেই সন্ধে নামতে জনবিরল হয়ে যায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শীতুলিয়ার মতো এলাকা। সোমবার রাতেও সেখানে জনমানুষ ছিল না। স্থানীয়রা বাসিন্দারা বলেন, গভীর রাতে পুলিশ ক্যাম্প থেকে চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুনতে পাই আমরা। কিন্তু, আমরা ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বের হইনি। সকালে পুলিশকর্মীর আহত হওয়ার ঘটনার বিষয়টি আমরা জানতে পারি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    Birbhum: সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন আরেকটা সন্দেশখালি (Sandeshkhali)! এবার বীরভূমে (Birbhum) বউ সুন্দরী না হলে রাজ্য সরকারের প্রকল্প (Govt Schemes) থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীরা। তাই নির্বাচনী প্রচারে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) শতাব্দী রায় (Satabdi Ray)। তিনবারের এই তৃণমূল সাংসদের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় জনতা। কোথাও পানীয় জল নেই, কোথাও রাস্তা খারাপ, আবার কোথাও তৃণমূল না করায় মেলেনি বাড়িও। ভোটের আগে ফের আরেকবার তোপের মুখে শতাব্দী।

    বীরভূমের কোথায় তোপের মুখে শতাব্দী (Birbhum)?

    কেন বিক্ষোভ করছেন? জিজ্ঞেস করায় গ্রামবাসীদের যা অভিযোগ, তা শুনলে যে কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্ত মাথায় উঠে যাবে। “বউ সুন্দরী হলে তবেই মিলবে সরকারি প্রকল্পের টাকা।” শতাব্দীকে সামনে পেয়ে এমনই অভিযোগ করলেন মোহাম্মদ বাজার (Birbhum) ব্লকের লাউজোড়া গ্রামের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, এদিন এই এলাকায় প্রচারে এসেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদকে হাতের নাগালে পেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে এলাকার এক মহিলা বলেন, “যাঁদের বউ দেখতে ভালো তাঁরা সরকারি টাকা পাচ্ছে। আর যাঁদের বউ দেখতে ভালো নয়, তাঁদের সরকারি টাকা দেওয়া হচ্ছে না।” গ্রামবাসীদের এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ শুনে শতাব্দী রায়ের মুখের চিত্রটা বদলে যায়। এমনকী স্থানীয় অপর আরেক মহিলা অভিযোগ করে বলেন, “সাংসদকে ভোটের পর আর দেখা যায় না। তাই আগে প্রকল্পের সুবিধা, তারপর ভোট।”

    কী বললেন শতাব্দী?

    বীরভূমে (Birbhum) নির্বাচনী প্রচারে বিক্ষোভের মুখে পড়ে শতাব্দী রায় বলেন, “যদি কেউ বলে ভোট দেব টাকা নেব, তাহলে এই মন্তব্যের আমি কী আর বলব? কয়েকজন গ্রামবাসী কোনও প্রকল্প পায়নি শুনেছি। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে সেগুলো যাতে তাঁরা পান তার ব্যবস্থা করব।” অভিযোগ আরও উঠেছে যারা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত তারাই টাকা পাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষ যারা কোনও দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় তারা সুবিধা পাচ্ছে না। অনেকে আবার তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরবাড়ি ও পায়নি বলে অভিযোগও উঠছে।

    আরও পড়ুনঃ ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ-র ওপর আক্রমণে গ্রেফতারি নেই, চাপে পড়েই কি পুলিশ অফিসার বদল?

     

    বিজেপি প্রতিক্রিয়া

    সম্প্রতি সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে সারা দেশে রাজনৈতিক ঝড় উঠেছিল। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ ছিল প্রচুর। এছাড়াও রাত্রিবেলা পিঠে বানানোর নামে মহিলাদের তুলে নিয়ে রাতভর চলত তৃণমূল পার্টি অফিসে যৌন নির্যাতন। শাহজাহানেরা চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়ি বানিয়ে করত জমি দখল। সেই পথেই কি তাহলে বীরভূম পা বাড়িয়েছে? শাসক দলের তৃণমূল নেতাদের আচরণ ঘিরে মানুষের যা অভিযোগ, তাতে এই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। তৃণমূল সন্দেশখালি ইস্যুতে আগে থেকেই কোণঠাসা। তবে নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দলের নেতার চোখে চোখ রেখে অভিযোগ তুলে ধরার ঘটনা খুবই বিরল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা এই মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “বাংলার প্রতিটি কোণে কোণে এরকম সন্দেশখালি তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে বীরভূম (Birbhum) জেলাও রয়েছে। মানুষের এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই এখন তাঁরা আর ভয় পাচ্ছেন না। নির্বাচনে তৃণমূলকে মানুষ বয়কট করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) ছিল বিজেপির কাছে এক বড় টার্নিং পয়েন্ট। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি চমকপ্রদ ফল করে। ১৮ আসনে জয়লাভ করে গেরুয়া শিবির। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির পক্ষে আরও ভালো রেজাল্ট হবে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন একদা তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। শুধু তাই নয়, প্রশান্ত কিশোরের অনুমান বাংলাতে এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি।

    সাক্ষাৎকারে যা বললেন প্রশান্ত কিশোর 

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর এবং সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি আগের থেকে অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে বাংলাতে (Lok Sabha Election 2024)। তিনি আরও জানিয়েছেন বাংলায় এক নম্বর দল হতে পারে বিজেপি। এর পাশাপাশি পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের চমকপ্রদ ফল হতে পারে বিজেপির। শুধুমাত্র আসন সংখ্যা নয়, বাংলাতে বিজেপির ভোট শতাংশও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পিকে। এর পাশাপাশি বিজেপির চমকপ্রদ ফল করবে কর্নাটক, তেলঙ্গনার মতো রাজ্যেও। তামিলনাড়ুতেও বিজেপির জন্য অসাধারণ ফলাফল অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন পিকে।

    ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখন খুব শক্তিশালী

    প্রসঙ্গত, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস (Lok Sabha Election 2024) এমনিতে কোণঠাসা। সাম্প্রতিক সন্দেশখালির মতো ঘটনাও ঘটেছে। যা বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে সন্দেশখালির মতো ঘটনা না ঘটলেও বাংলাতে বিজেপিকে রোখা মুশকিল। এর পাশাপাশি পিকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখন খুব শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যত আসনে জিতেছিল এবারে  তার থেকে আসন সংখ্যা তো কমবেই না, উপরন্তু বাড়বে।

    প্রশান্ত কিশোরের বিশ্লেষণ

    প্রশান্ত কিশোরের মতে, ‘‘৫৪৩- লোকসভা আসনের (Lok Sabha Election 2024) মধ্যে ২০৪টি আসন রয়েছে তেলঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, বিহার এবং কেরালা রাজ্যে। তবে ২০১৪ বা ২০১৯ সালে বিজেপি এই সব রাজ্যে সব মিলিয়ে ৫০টি আসনের গণ্ডিও পেরোতে পারেনি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যগুলি থেকে সর্বোমোট ২৯টি ও ২০১৯ সালে ৪৭টি আসন জিতেছিল বিজেপি।’’ তবে এবারের সেই ছবি বদলে যাবে বলে দাবি পিকের। গত দুই লোকসভা ভোটের তুলনায় এইসব রাজ্যগুলিতে বিজেপির ফল ভালো হবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন পিকে। অন্যদিকে, কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে কাঙ্খিত ফলাফল না করতে পারলে রাহুল গান্ধীর সরে দাঁড়ানো উচিত বলেও জানিয়েছেন পিকে।

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Narendra Modi: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    Narendra Modi: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের আইন এবং সংবিধানকে তছনছ করছে তৃণমূল।”রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে  বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে জনসভা ছিল। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একথা বলেন। একইসঙ্গে সন্দেশখালিকাণ্ড থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে এনআইএ-এর ওপর হামলর ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। কেন কেন বার বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর তৃণমূল এভাবে হামলা চালাচ্ছে তা তিনি ব্যাখ্যা দিলেন।

    তোলাবাজদের বাঁচাচ্ছে তৃণমূল (Narendra Modi)

    দলীয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এদিন বলেন, রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ চলছে। এই তোলাবাজদের বাঁচাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তৃণমূল চায় ওদের গুন্ডাদের সন্ত্রাস করার লাইসেন্স মিলুক। তদন্তকারীরা তদন্ত করতে গেলে ওদের ওপর হামলা করে। অন্যদের দিয়ে হামলা করায়। আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে আপনারা দেখেছেন, কী হয়েছে এখানে প্রত্যেক ঘটনায় আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সন্দেশখালিতে মা, বোনেদের সঙ্গে যা হয়েছে তা সকলেই জানেন। আপনারাই বলুন, সন্দেশখালির অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। ধৃতদের সারা জীবন জেলে কাটানো উচিত নয়?

    আরও পড়ুন: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ভূপতিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ভূপতিনগর বিস্ফোরণের মামলার তদন্তে শনিবার ওই এলাকায় যায় এনআইএ। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িতে তোলার পরেই এনআইএর গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। শনিবারই ভূপতিনগর থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। তবে সেই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এর আগে একইভাবে ইডি-র ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তিনজন আধিকারিক জখম হয়েছিলেন। ফলে, বার বার তৃণমূলের বাহিনীর হাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলা চালানোর ঘটনা প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) ভালোভাবে নেননি তা এদিন তাঁর বক্তব্যে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিন তাঁর বক্তব্যে বেশিরভাগ সময় তৃণমূলের দুর্নীতি, অপশাসনের বিষয়টি ফুটে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে গুন্ডামির”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে গুন্ডামির”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার ভূপতিনগর। ইডির পরে এবার এনআইএ। আবারও (CV Ananda Bose) তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত সরকারি সংস্থার আধিকারিকরা। ঘটনাচক্রে, দুটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তৃণমূল। সন্দেশখালিকাণ্ডে অবশ্য মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাকে ঝেড়ে ফেলতে বহিষ্কার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ভূপতিনগরে অবশ্য এখনও সেরকম কিছুই হয়নি। ভূপতিনগরের ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার তিনি বলেন, “এ ধরনের গুন্ডামি চলতে দেওয়া উচিত নয়…বিষয়টিকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে।”

    এনআইএর ওপর হামলা (CV Ananda Bose)

    ঘটনার সূত্রপাত এদিন কাকভোরে। ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্ত বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানা নামে দুই তৃণমূল নেতাকে আটক করতে গিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। অভিযোগ, সেই সময় গ্রামবাসীদের একাংশ এনআইএর আধিকারিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “এনআইএ অফিসারদের ওপর আক্রমণ একটি খুবই গুরুতর বিষয়। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা মোটেই কোনও কৃতিত্বের বিযয় নয়।” তিনি (CV Ananda Bose) বলেন, “বিষয়টিকে লোহার মতো শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি। সম্পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে এর মোকাবিলা করতে হবে।” রাজ্যপালের সাফ কথা, “এ ধরনের গুন্ডামি চলতে দেওয়া উচিত নয়। পেশি শক্তির আইনি ক্ষমতা প্রতিস্থাপন করা উচিত নয়।”

    এনআইএর দাবি

    প্রাথমিক তদন্তের পর এনআইএর দাবি, ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে এই দুই তৃণমূল নেতাই মূল চক্রী। এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোমা তৈরির ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলাই ও মনোব্রত। এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতেই ঘটানো হয়েছিল বিস্ফোরণ। সূত্রের খবর, এদিন এলাকার পাঁচটি জায়গায় হানা দিয়ে আটক করা হয় এই দুজনকে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে নাড়ুয়াবিল্লার বাসিন্দা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় তিনজনের। ৩ ডিসেম্বর এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। পরে এনআইএ তদন্তের দাবিতে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ৪ জুন তদন্তভার নেয় (CV Ananda Bose) এনআইএ।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু-বিরোধী প্রচার করছে মুসলমান বনে যাওয়া বামুনের ছেলে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    NIA: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ছায়া দেখা গেল এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে। ফের আক্রান্ত হল কেন্দ্রীয় সংস্থা(NIA)। তৃণমূল কর্মীকে আটক করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তথা এনআইএ-র অফিসারদের। ভূপতিনগরে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছিল, তার তদন্ত করতে গিয়েই এভাবে আধিকারিকদের হামলার শিকার হতে হল বলে অভিযোগ। ভোটের মুখে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (NIA)

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। মৃত্যুও হয়েছিল কয়েক জনের। সেই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে সেই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েই হামলার মুখে পড়ল এনআইএ (NIA)। জানা যাচ্ছে, ভূপতিনগর বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে নোটিস পাঠিয়েছিল এনআইএ। তাঁরা হাজিরা না দেওয়ায় আশপাশের গ্রামে তল্লাশিতে যান আধিকারিকরা। সেই তালিকাতেই ছিলেন তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতি। সূত্রের খবর, এনআইএ তলব করলেও তিনি নির্ধারিত দিনে হাজিরা দেননি। তৃণমূল কর্মী বলাই মাইতির বাড়িতে যাওয়ার পথেই এই হামলার ঘটনা বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, প্রায় ৩-৪ জন অফিসারের সঙ্গে ছিল ২০-২৫ জনের কেন্দ্রীয় বাহিনী। বলাইকে গাড়িতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলাইকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন বলে সূত্রের দাবি। এর পরেই এনআইএ-র গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও হয় ধস্তাধস্তি। রাতের অন্ধকারে ছোড়া হয় ইট, গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও ধস্তাধস্তির পরও বলাই মাইতিকে আটক করতে পেরেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হয়েছিল ইডি

    প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি কার্যত একইভাবে হামলার মুখে পড়েছিল ইডি। সে বার ইডি হানা দিয়েছিল সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের ডেরায়। সাতসকালে গিয়ে শাহজাহানের অনুগামীদের হামলার মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকেরা। একাধিক ইডি আধিকারিক আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। তার জের মিটে না মিটতেই ফের হামলার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: পার্থ, বালুর পর এবার শাহজাহান, শুনতে হল ‘চোর চোর’ স্লোগান

    Sheikh Shahjahan: পার্থ, বালুর পর এবার শাহজাহান, শুনতে হল ‘চোর চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পর এবার শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। শাহাজাহানকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিল রোগীর পরিজনেরা। সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহানকে যখন মেডিক্যাল চেক আপ করে বের করা হয় তখন সেখানে উপস্থিত রোগীর পরিজনেরা চোর স্লোগান তোলেন। শাহজাহানকে দেখে স্লোগানের সঙ্গে চলে লাগাতার বিক্ষোভ।

    ‘চোর চোর’ স্লোগান 

    উল্লেখ্য, শুক্রবার শাহাজাহানকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর জোকা ইএসআই হাসপাতাল (joka ESI Hospital) থেকে বার করার সময় ‘চোর চোর’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কয়েজন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, যারা ভোট লুঠ করে তাদের তিহাড়ে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। তাদের যারা নিরাপত্তা দিচ্ছে সেই বাহিনীকে সন্দেশখালির স্পর্শকাতর বুথে মোতায়েন করা হোক। ভিড়ের মাঝেই একজন তো চেঁচিয়ে বলে উঠলেন, “এদের গুলি করে মেরে ফেলা হোক। এনকাউন্টার করা হোক। এরা সন্দেশখালির (sandeshkhali) ত্রাস। অন্য এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘যারা মহিলাদের সম্মান নিয়ে খেলা করে, ভোটের সময় বুথ দখল করে তাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে কেন? এদের তিহাড়ে পাঠিয়ে সেই নিরাপত্তা বুথগুলিতে দেওয়া উচিত।’’

    ইডির নজরে ডায়েরি

    অন্যদিকে ইডির নজরে এসেছে সন্দেশখালির এই নেতার হিসাবের খাতা। ঠিক যেন সারদার লাল ডায়েরি কিংবা খাদ্য কেলেঙ্কারির মেরুন ডায়েরি সেই ধাঁচেই একটি সাদা রঙের খাতার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে খোদ শাহজাহান এবং তাঁর কর্মচারী, ঘনিষ্ঠদের জেরা করে। ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, ব্যাঙ্কের নথিতে (bank details) তার হিসাব নেই। তবে কি শাহজাহানের সেই সাদা খাতাতেই মিলবে কালো টাকার হিসাব? এই ডায়েরি (accounts copy) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শাহজাহানের লেনদেন সংক্রান্ত যে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি, ওই খাতার পাতা থেকে মিলতে পারে সব উত্তর,এমনটাই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।

    ইডি হেফাজতে শাহজাহান

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইডি (ED) হেফাজতে আছেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই শাহজাহানের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের জমি-ভেড়ি জবর দখলেরও অভিযোগ রয়েছে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। ইডির দাবি, চিংড়ি রফতানির নামে অন্তত ১৩৭ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে শেখ শাহজাহান। যদিও রেশন দুর্নীতি ও টাকা পাচারের অভিযোগে আগেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে শেখ শাহজাহান। তিনি দাবি করে, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: শাহজাহানের গোপন ডায়েরির খোঁজ পেল ইডি! জানেন কী রয়েছে তাতে?

    Sheikh Shahjahan: শাহজাহানের গোপন ডায়েরির খোঁজ পেল ইডি! জানেন কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ  বাদশা শাহজাহান শেখের (Sheikh Shahjahan) হিসেবের খাতার সন্ধান পেল ইডি। শাহজাহান, তাঁর কর্মচারী, ঘনিষ্ঠদের জেরা করেই এই ডায়েরির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ডায়েরি থেকে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে বলে মনে করছে ইডি। 

    কী রয়েছে শাহজাহানের ডায়েরিতে

    ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, ব্যাঙ্কের নথিতে তার হিসেব নেই। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের জমি দখল করে নিয়ে তা বিক্রি করে সেই টাকা চিংড়ির ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করতেন শাহজাহান। ফলে সরকারি ভাবে কোনও নথিতে ‘কালো’ টাকার হিসেব ছিল না। অথচ, শাহজাহানের মেয়ের সংস্থা সাবিনা এন্টারপ্রাইজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৩৭ কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। তা হলে সেই টাকার হিসেব কোথায় রাখতেন শাহজাহান? কাকে কত টাকা দিচ্ছেন, কার কাছ থেকে কত টাকা পাচ্ছেন, কত টাকা পাওয়া বাকি, কী করে হিসাব করতেন? জেরা করে তারই উত্তর পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: রেপো রেট নিয়ে বড় ঘোষণা! টানা সাতবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই

    একাধিক সাদা খাতার সন্ধান

    ইডি সূত্রের দাবি, এক নয়, একাধিক সাদা খাতায় এই বেআইনি কারবারের হিসেব লিখে রাখা হত। কখনও শাহজাহান নিজে কখনও বা তাঁর বিশ্বস্ত কর্মচারীরা ওই খাতার হিসেব রাখতেন। ইতিমধ্যে সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছেন তদন্তকারীরা। এছাড়াও আরও অন্তত ১৫ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপর নজর রাখছেব তদন্তকারীরা। ইডির দাবি, শাহজাহানের এই সাদা খাতায় অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। এই ডায়েরি থেকে শাহজাহানের বিপুল সম্পত্তির বিষয়ে একাধিক তথ্য মিলতে পারে বলে অনুমান। ইডি হেফাজত থেকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে যাওয়ার পথে শুক্রবার সকালেও শাহজাহান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  এদিন জোকার সামনে শাহজাহানকে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share