Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখন সিবিআই-এর হেফাজতে। মোটামুটি একটা লম্বা সময়ের জন্য হয়তো জেলে থাকতে হবে তাঁকে। কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যে আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবার । তিনিও সন্দেশখালিতে প্রচুর মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করেছেন। শুধু তাই নয়, এতটাই দৌরাত্ম্য যে খোদ স্কুলের জায়গা দখল করে নিজের ছেলের জন্য মোবাইলের দোকান করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অত্যন্ত রুষ্ট। তাঁর নাম হল সিদ্দিকি মোল্লা।

    সরকারি জায়গা দখল (Sandeshkhali)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিদ্দিকি মোল্লা হলেন শেখ শাহাজানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি বেড়মজুর ২ (Sandeshkhali) অঞ্চলের প্রধান। এলাকার রামপুর বাগদিপাড়া মোড় হল মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকার স্থানাীয় মানুষের অভিযোগ, “শেখ শাহজাহানের মতো তাঁর বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা চাই। এলাকার মানুষকে শেখ শাহজাহানের ভয় দেখিয়ে প্রচুর জমি দখল করেছেন সিদ্দিকি। সকল মানুষ তাঁকে এক বাক্যে ভয় পান। কিন্তু আজ যেহেতু শাহজাহান এলাকায় নেই, তাই অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।”

    এলাকায় ফের উত্তেজনা

    গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল বেলা থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায়। বেড়মজুর এলাকায় নতুন করে মানুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরুষ, মহিলা এবং চাষিরা। এলাকার এক মহিলা বলেন, “সরকারি জায়গাকে কীভাবে দখল করে সিদ্দিকি নিজের ছেলের জন্য মোবাইলের দোকান তৈরি করলেন? ফলে শেখ শাহজাহান এলাকায় না থাকলেও দুর্নীতি-জবর দখলের পরিসমাপ্তি ঘটেছে না। চ্যালারা এখনও এলাকায় অশান্তির পরিবেশ গড়ে রেখেছে। ফলে মানুষের জমি কীভাবে দখল হয়ে যায় ,এটাই একটা বড় প্রশ্ন। দখলকৃত জমি অবিলম্বে ফেরত চাই।” অপর দিকে এলাকায় অশান্তি ঠেকাতে বাগদিপাড়া মোড়ে প্রচুর পরিমাণে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    এই বিষয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা হাজি সিদ্দিকি বলেছেন, “এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন, এই জায়গাটা সরকারি খাস জায়গা। কারো কাছে কোনও কাগজপত্র নেই। সরকারি ভাবে স্কুলের অধিকার রয়েছে। যেহেতু পাট্টা নেই, তাই ওখানে মাছের ভেড়ি হয়নি। তাই এলাকার জমি শুকনো। যদি কেউ বৈধ কাগজপত্র দেখান, তাহলে আমি জমি ফিরিয়ে দেবো।” উল্লেখ্য শাহজাহান যখন পলাতক ছিল, সেই সময় এই সিদ্দিকি সংবাদ মাধ্যমকে বুক ফুলিয়ে বলেছিলেন, “এলাকাতেই শাহজাহান রয়েছে।” অবশ্য এই নিয়ে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক চাপানউতর তৈরি হয়েছিল।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: আন্দোলনকে প্রশমিত করতেই কি সন্দেশখালিতে পুলিশের স্বাস্থ্য শিবির?

    Sandeshkhali: আন্দোলনকে প্রশমিত করতেই কি সন্দেশখালিতে পুলিশের স্বাস্থ্য শিবির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জনসংযোগ করতে এলাকায় স্বাস্থ্য ও চোখ পরীক্ষা শিবিরের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকার খুলনা বাজার, শান্তির ঘেরি, পাত্র পাড়া এবং ন্যাজাট এলাকায় দুবেলা টহল দিতে শুরু করেছে। এলাকায় মানুষের অসুবিধার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একশো দিনের কাজের মজুরি দেওয়ার পাশাপাশি বিডিও সহ সরকারি আধিকারিকরা জানতে চাইছেন আর কী কী সমস্যা? কিন্তু এলাকার মানুষের প্রশ্ন, পুলিশের কেন এই জনসংযোগ? যে পুলিশ এলাকার মানুষের অভিযোগ দায়ের করেনি, এমনকী মিথ্যা কেস দিয়েছিল এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে, সেই পুলিশ এতো মানবিক কেন? এদিন বারাসতে মোদির সভায় নিপীড়িত মহিলাদের আমন্ত্রণ করলে তাঁদেরকেও তলব করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। ফলে এই শিবিরের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই তো? এলাকাবাসীর মনে উঠছে নানা প্রশ্ন।

    পুলিশের জন সংযোগ কেন (Sandeshkhali)?

    সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, সিরাজ, শিবু, উত্তম, আমির আলির মতো নেতাদের দৌরাত্ম্যে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের সাধারণ জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত ছিল। বাড়ির মহিলাদের রাতে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে শারীরিক নিগ্রহ করা হত। শুধু তাই নয়, মানুষের চাষের জমি, মাছের ক্ষেত, বোমা বন্দুকের ভয় দেখিয়ে জোর করে দখল করে নেয় তৃণমূলের গুন্ডারা। থানায় অভিযোগ করতে গেলে এলাকার মানুষকে তৃণমূল নেতা শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজদের অনুমতির নিদান দিত পুলিশ। সাধারণ মানুষের কোনও কথাই পুলিশ শুনতে চায়নি। গত ৫ই জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের উপর হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন তৃণমূলের শেখ শাহজাহান। ঘটনার ৫৬ দিন পর পুলিশ মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করে তাকে। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির মানুষ নানা সময়ে হাতে লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ মানুষের আইনী সহযোগিতা করেনি, বরং প্রতিবাদী মহিলাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছিল বলে এলাকার মহিলারা অভিযোগ করেন। ইতিমধ্যে লোকসভা ভোটের আগেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ শুরু করেছে। এই অবস্থায় পুলিশের লোক দেখানো স্বাস্থ্য শিবির কতটা কাজে লাগবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষ।

    পুলিশের বক্তব্য

    এই শিবিরে আজ উপস্থিত ছিলেন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ২-এর বিডিও অরুণকুমার সামন্ত এবং সন্দেশখালি থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাঁপুই। স্বাস্থ্য শিবিরে বিডিও গ্রাম বাসীদের বলেন, “ভয়-ভীতির পরিবেশ নেই এখন। আপনাদের যার যা অভিযোগ আছে, পুলিশের কাছে বা আমাকে জানাবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: নয়া ঠিকানা নিজাম প্যালেস! অবশেষে সিবিআই হেফাজতে শেখ শাহজাহান

    Sheikh Shahjahan: নয়া ঠিকানা নিজাম প্যালেস! অবশেষে সিবিআই হেফাজতে শেখ শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) সিবিআই-এর (CBI) হাতে তুলে দিতে বাধ্য হল সিআইডি (CID)। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য শেখ শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নগাদ সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হয় শাহজাহানকে। এরপর ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে মেডিকেলের জন্য। তারপর সেখান থেকে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace, Kolkata) নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। 

    শাহজাহানের স্বাস্থ্যপরীক্ষা

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়েছিলেন, আজ বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটের মধ্যে সিবিআই-এর হাতে শাহজাহানকে তুলে দিতে হবে সিআইডি-কে। কিন্তু সিবিআই যেতেই সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত শাহজাহান শেখকে (Sheikh Shahjahan) নিয়ে ভবানী ভবন থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে যান রাজ্যের গোয়েন্দারা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেখানে শাহজাহানের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। হস্তান্তর প্রক্রিয়ার আগে নিয়ম মেনে শাহজাহানের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর পর তাঁকে নিয়ে বেরিয়ে যায় সিআইডি। অন্য দিকে, সিবিআই ভবানী ভবনে অপেক্ষায় করতে থাকে শাহজাহনকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য।

    আরও পড়ুন: ১২.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! ইডির তালিকায় শাহজাহানের কোন কোন জমি?

    আদালত অবমাননার অভিযোগ

    আদালতের নির্দেশ মেনে সাড়ে ৩টে নাগাদই ভবানী ভবনে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু আদালতের দেওয়া সময় পার হয়ে গেলেও শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিয়ে ভবানী ভবন থেকে বেরোতে দেখা যায়নি সিবিআইকে। যার প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম। এই আবহে তাঁর এজলাসে থাকা শাহজাহান মামলার শুনানি হয় জাস্টিস হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। এই আবহে হরিশ ট্যান্ডন জানান, প্রধান বিচারপতির রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার কোনও কারণ নেই। যদিও রাজ্যের যুক্তি ছিল, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে তারা স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন, তাই আজকেই যেন শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া না হয়। তবে রাজ্যের সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: ‘সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে’, বারাসতে বললেন মোদি

    Narendra Modi: ‘সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে’, বারাসতে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা-বোনেদের সঙ্গে অত্যাচার করে তৃণমূল ঘোর পাপ করেছে। সন্দেশখালিতে যা যা হয়েছে, তাতে যে কারোর মাথা লজ্জায় ডুবে যাবে। সন্দেশখালির ঝড় সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে। বারাসতের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি বলেন, আপনাদের দুঃখে তৃণমূলের সরকারের কিছু যায় আসে না। বাংলার তৃণমূল সরকার দোষীদের বাঁচাতে পুরো শক্তি লাগিয়েছে। কিন্তু, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য।

    সারা বাংলায় আছড়ে পড়বে সন্দেশখালির ঝড় (Narendra Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরিব, দলিত আদিবাসী মহিলাদের তৃণমূলের নেতারা জায়গায় জায়গায় অত্যাচার করছে। কিন্ত, তৃণমূল সরকারের ভরসা রয়েছে অত্যাচারী নেতার ওপর, বাংলার মা-বোনেদের ওপর এই সরকারের কোনও ভরসা নেই। এই কারণেই বাংলার মেয়েরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। মহিলাদের সেই আক্রোশ শুধু সন্দেশখালি পর্যন্তই সীমিত নেই, সারা বাংলাতেই সন্দেশখালির ঝড় আছড়ে পড়বে। আমি দেখছি তৃণমূলের মাফিয়ারাজ ধ্বংস করতে বাংলার নারীশক্তি জেগে উঠবে। তুষ্টিকরণ আর তোলাবাজদের জন্য রয়েছে তৃণমূল সরকার। এই সরকার মা-বোনেদের রক্ষা করবে না। সন্দেশখালির মহিলারাই দেখিয়েছেন, তাঁদের আওয়াজ শুনবে কেবল বিজেপি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে সন্দেশখালির মানুষ বারাসতের সভায় এসেছিলেন। সন্দেশখালি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কড়া বক্তব্য শুনে তাঁরা খুশি। সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের হয়ে মোদি তৃণমূলকে আক্রমণ করায় বেজায় খুশি হয়েছেন নির্যাতিতারা।

    মহিলাদের জন্য হেল্পলাইন রাজ্যে চালু হতে দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, তোলাবাজদের হয়ে কাজ করা তৃণমূল সরকার মেয়েদের কথা শুনবে না। কেন্দ্রীয় সরকার ধর্ষণের মতো অভিযোগের জন্য ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করেছে। মহিলারা যাতে অভিযোগ জানাতে পারে, তাই মহিলা হেল্পলাইন বানিয়েছে। কিন্তু এখানে এই সুবিধা লাগু হতে দিচ্ছে না। তৃণমূল সরকার মহিলা বিরোধী। মহিলাদের ভালো করতে পারে না এই সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে বাধা! সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সমন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে বাধা! সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সমন, পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতের কাছারি ময়দানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাঁচ নির্যাতিতাকে সাক্ষাৎ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে বঙ্গ বিজেপির। সেই সভায় যাওয়া থেকে নির্যাতিতাদের আটকাতে আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছিল। এবার একই অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ, যাঁদের মোদির সভায় যাওয়ার কথা, বেছে বেছে সেই মহিলাদের সমন পাঠিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ (Sandeshkhali)

    তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন মহিলারা। তৃণমূল নেতাদের তাড়া করেছিলেন। বেছে বেছে আন্দোলনকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করলে মহিলারা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি দায়ের হওয়া একটি মামলায় বয়ান রেকর্ডের জন্যই এই সমন। এর জন্য ৬ মার্চ, বুধবার সকাল ১০টায় তাঁদের থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে। ঘটনাচক্রে ওইদিন ঠিক ওই সময়ই বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা। ফলে মোদির সভায় যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও নির্যাতিতারা জানিয়েছেন, যত বাধাই আসুক, প্রধানমন্ত্রীর সভায় তাঁরা যাবেনই। পাশাপাশি এই নোটিস জারি করার পরই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা।

    পুলিশের সমন নিয়ে কী বললেন নির্যাতিতা?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বারাসতের সভায় যাওয়ার কথা রয়েছে যাঁদের, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সন্দেশখালির এক মহিলার কাছে পুলিশ আসে। তাঁর বক্তব্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে আচমকাই হাজির হয় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার পুলিশ। আমাকে একটি কাগজ দিয়ে তাতে সই করে দিতে বলে পুলিশ। কাগজে কী লেখা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করি। কিন্তু, তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, কাগজে কী লেখা আছে, তা পড়ার সময়টুকুও দেওয়া হয়নি। একপ্রকার জোর করে কাগজে সই করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে, আইনজীবীকে বিষয়টি জানাই। তাঁর মাধ্যমে জানতে পারি, ১০ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা বয়ান রেকর্ডের জন্যই পুলিশের এই সমন। এসব বাধা তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রীর সভায় আমরা যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘কেউ বারণ করলেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব’, বললেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

    Sandeshkhali: ‘কেউ বারণ করলেও প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব’, বললেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বারাসতে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সভায় রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে মহিলারা অংশগ্রহণ করবেন। আর ভার্চুয়ালি দেশের কোটি কোটি মহিলাদের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। বারাসত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। প্রধানমন্ত্রীর সভায় নির্যাতিতারা যাবেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের কথা জানাবেন বলে ঠিক করেছেন।

    কী বললেন নির্যাতিতা? (Sandeshkhali)

    প্রায় দু’মাস ধরে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) উত্তপ্ত ছিল। জমি দখল, বাড়ি ভাঙচুর, মহিলাদের ধর্ষণ, শ্লীলতাহানিসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ঝাঁটা হাতে পথে নেমেছিলেন গ্রামের মেয়েরা। কখনও রাজ্যপালের কাছে, কখনও মহিলা কমিশন বা এসসি-এসটি কমিশনের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন তাঁরা। আগামী ৬ মার্চ বুধবার বারাসতে সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্দেশখালির পাঁচজন নির্যাতিতাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বারাসতের সভায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই পরিকল্পনা বানচাল করতে চাইছে তৃণমূল। যদিও সে কথা উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সন্দেশখালির এক নির্যাতিতা বলেন, “এতদিন মুখ বুঝে অত্যাচার সহ্য করেছি। থানায় গিয়েছি, আমাদের অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের জেলায় প্রধানমন্ত্রী আসছেন। সেই সুযোগ হাতছাড়া করব না।” আরও এক নির্যাতিতা জানালেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাব। কেউ বারণ করলেও যাব। এমনকী আমাদের কাছে চাপ এলেও যাব। এত বছর ধরে আমাদের মতো মহিলাদের সঙ্গে কী কী হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীকে বলব।”

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত ১১ কিমি রোড শো করবেন মোদি

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাওয়ার জন্য বিজেপি যদি চাপ দেয়, তাহলে তাঁরা যাবেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমরা কোনও ভয় দেখাইনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে বাধা দিচ্ছে পুলিশ, হাইকোর্টে অভিযোগ ইডির

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে বাধা দিচ্ছে পুলিশ, হাইকোর্টে অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি মামলার তদন্তে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বাধার অভিযোগ। এই মর্মে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল ইডি। চাওয়া হল সিবিআই। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়েছে।

    কী বললেন ইডির আইনজীবী?

    ইডির ওপর হামলার ৫৬ দিন পরে গ্রেফতার হন শেখ  শাহজাহান। তারপর থেকেই এই মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদীর বক্তব্য, ‘‘তদন্তের নামে বারবার ইডি অফিসারদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু অভিযুক্তকে আদতে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন।’’ গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী হিসেবে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টরকে সিআইডি তলব করে। সোমবারই ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু গতকাল ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর যাননি। এবার আদালতে গিয়েই পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করল ইডি।

    কী বললেন সিবিআই-এর আইনজীবী?

    প্রসঙ্গত, ইডির হামলার ঘটনায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশে বলা হয়, সিবিআই এবং রাজ্যের আধিকারিকরা যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত করবে। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ (Calcutta High Court) দিয়েছিল। আগামী ৬ মার্চ ওই মামলার ফের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী এসভি রাজু এদিন বলেন, ‘‘যদি তদন্ত সিআইডির হাতে থাকে তাহলে তা সাংঘাতিকভাবে ব্যাহত হবে। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। তাই অবিলম্বে এই মামলার তদন্ত হস্তান্তর করা উচিত সিবিআইয়ের হাতে।’’

    তদন্ত দিকভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা সিবিআইয়ের

    এসভি রাজু আরও (Calcutta High Court) বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ তদন্তকে বিভ্রান্ত করবে। অন্যদিকে ঘোরাতে চাইবে। যারা ইডি আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করেছিল তাদের কিছু হল না। উলটে ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে অনুমান করা যায় এই মামলা পুলিশ চাইবে অন্যদিকে ঘোরাতে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরা সন্দিহান। সেই জন্য সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হোক তদন্তের দায়িত্ব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের গড়ে শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ, কথা বললেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে

    Sandeshkhali: শাহজাহানের গড়ে শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ, কথা বললেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বেতাজ বাদশা শাহজাহান বাহিনীর দাপটে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বহু মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এমন অনেক অভিযোগ করেছেন সন্দেশখালিবাসী। শাহজাহান ও তাঁর টিমের বহু সদস্য এখন গারদে রয়েছেন। তবে, এখনও অনেকে এলাকায় বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে, এখনও আতঙ্ক কাটেনি সন্দেশখালিবাসীর। এরইমধ্যে এবার সন্দেশখালির মাটিতে এসে পৌঁচ্ছাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সন্দেশখালি জুড়ে তারা টহল দেবে বলে জানা গিয়েছে।

    শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে রামপুরের হাটখোলা, তারপর বিদ্যাধরীর ওপারে জেলিয়াখালিতে টহল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশন সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ২১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার কথা। এর মধ্যে বারাসত- বনগাঁয় তিন কোম্পানি করে, বারাকপুরে ছয় কোম্পানি, বসিরহাটে পাঁচ কোম্পানি, বিধাননগরে চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানানো হয়েছে। বনগাঁ থানার মণিগ্রাম, গাইঘাটা থানার জলেশ্বর, গোপালনগর থানার গোপালনগর বাজার এলাকা, বাগদা থানার বাজিতপুর, করঙ্গ, পেট্রাপোল থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিয়েছে। হাবড়ার পৃথিবা, আমডাঙা, দত্তপুকুর ও দেগঙ্গা থানা এলাকারও বেশ কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘুরেছে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কী বললেন সন্দেশখালিবাসী?

    রবিবার বসিরহাটের ভ্যাবলায় রুটমার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার থেকে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রুট মার্চ শুরু করল বাহিনী। টহল দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এ দিন গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামের পথে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে টহল দিতে দেখে ভরসা পাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, শাহজাহান বাহিনী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত। এখন সব উধাও। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট পর্যন্ত থাকলে আমরা ভোচ বাক্সে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারব। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় এলাকায় গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলছেন। সকলকে অভয় দিচ্ছেন। সন্দেশখালির মাটিতে এসব দেখে মনে অনেকটাই সাহস লাগছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লুট হয়েছে,” জানালো স্বেচ্ছাসেবী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম  

    Sandeshkhali: “সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লুট হয়েছে,” জানালো স্বেচ্ছাসেবী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যেতে ফের বাধা পুলিশের। বেশ কিছুক্ষুণ তর্কাতর্কির পর পুলিশের কাছে মুচলেখা দিয়ে সন্দেশখালিতে পৌঁছায় ৬ জনের প্রতিনিধি দল। উল্লেখ্য ইতি পূর্বে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যেতে ভোজেরহাটেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ এলাকায় ১৪৪ ধারার কথা বলে সেই দিন ঢুকতে দেয়নি। এরপর গতকাল রবিবার আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালিতে যায় এই টিম।

    কে কে রয়েছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে (Sandeshkhali)?

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং এই টিমে রয়েছেন বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ, এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়েক। এই টিমের পক্ষ থেকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মাঝের পাড়া, নতুন পাড়া, নস্করপাড়া, রাসমন্দিরের মতো জায়গাগুলিকে পরিদর্শন করেন প্রতিনিধিরা। তাঁরা স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এই থমথমে এলাকায় গুলিতে মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষিত নয় এবং মানুষের অধিকার লুট হয়েছে।”

    প্রতিনিধি দলের বক্তব্য

    সূত্রে জানা গিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যা ভাবনা বাজাজ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গে বলেন, “২৮ থেকে ৭০ বছরের মোট ২০ জন মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছি। একজন ৭০ বছের বৃদ্ধাকে ঘরের কোনে বসে নিজের মেয়ে এবং পুত্র বধূদের জন্য আতঙ্কে কান্না করতে দেখেছি। ক্যামেরার সামনে আসতে না চাওয়া এক মহিলার সঙ্গে হওয়া অত্যাচারের বিবরণ শুনেছি। তাঁর স্বামী এখন গ্রামছাড়া। নিজের চার বছরের মেয়েকে নিয়ে রাতে লুকিয়ে রেখে দিন কাটাতে হচ্ছে। এলাকায় বেশীর ভাগ মহিলা শিবু হাজরার বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি অভিযোগ করেছেন। এলাকার আরও এক মহিলা বলেন, তৃণমূলের নেতাদের বিনোদন জোগাতে রাতভর পার্টি অফিসে গিয়ে থাকতে হতো। তবে মুখে যৌন হেনস্থার কথা না বলতে পারলেও শরীরের অনেক স্থানে ক্ষতের চিহ্ন দেখিয়েছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে কোনও সহযোগিতা পায়নি তাঁরা। পুলিশ তাঁদের অভিযোগকে শুনতে চায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “তৃণমূলের অহংকার শেষ করবেন মুসলিম মা-বোনেরাই”, তোপ মোদির

    Narendra Modi: “তৃণমূলের অহংকার শেষ করবেন মুসলিম মা-বোনেরাই”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলের অহংকার শেষ করবেন মুসলিম মা-বোনেরাই।” কার্যত এই ভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই বক্তব্যে তৃণমূলের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের উপর আক্রমণ করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশের মানুষ। আজ হুগলির আরামবাগ থেকে তিনি রাজ্য জুড়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ক্রমবর্ধমান অত্যাচার, নির্যাতন এবং নিগ্রহের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করলেন। একই ভাবে শাসক দলের কাছে রাজ্যের নারী সুরক্ষার বিষয়ে মা মাটি সরকারের কাছে প্রশ্ন তুললেন তিনি। সেই সঙ্গে সন্দেশখালিতে মহিলাদের যৌনশোষণের বিরুদ্ধে আজ সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিলেন মোদি।

    কী বললেন মোদি (Narendra Modi)?

    আজ শুক্রবার হুগলির আরামবাগের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূলের একটাই অহংকার যে ওঁদের কাছে একটা বিশেষ ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। এবার এই অহংকারের পতন ঘটবে। মুসলিম মা-বোনেরা তৃণমূলকে উৎখাত করবে। আগামী লোকসভার ভোটেই বিদায়-ঘণ্টা বাজতে চলেছে।” রাজ্যে তৃণমূলের কাছে মুসলিম ভোট একটি চর্চার বিষয়। কিন্তু মমতার অপশাসনে এবার এই ভোট ব্যাঙ্কে ফাটল ধরবে।

    মুসলমান তোষণ করেন মমতা

    রাজ্যে ইমামভাতার মতো অতিরিক্ত সুবিধাগুলি তৃণমূল সরকার কেবল মাত্র মুসলমান ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই করছেন মমতা। এই অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরেই করে আসা হচ্ছে। মমতা নিজে ইফতার, ঈদ থেকে নামাজ পর্যন্ত একাধিক বিষয়ে মুসলমানদের অপেক্ষাকৃত বেশি প্রধান্য দিয়ে থাকেন। অপেক্ষাকৃত হিন্দু ধর্মীয় উৎসবে আক্রমণ হলে চুপ থাকেন তিনি। এই বিষয়ে শুভেন্দু বার বার মমতাকে ‘জালি হিন্দু’ বলেছেন। যদিও মমতা নিজে বিরোধীদের এই সব বিষয়ে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ। মুসলমান তোষণের অভিযোগের কথা বার বার হিন্দু সংগঠনগুলিও করে থাকে মমতার বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে লোকসভার পর ভোট পরবর্তী হিংসার বন্ধ না করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খাওয়া ভালো।” এদিন লোকসভার আগে ফের একবার মোদি (Narendra Modi) বললেন, “সংখ্যালঘু ভোট আর থাকবে না তৃণমূলের।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share