Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sheikh Shahjahan: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    Sheikh Shahjahan: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর হামলার ঘটনা আদালতে কার্যত স্বীকার করে নিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শাহজাহানের মতো এক তথাকথিত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আদালতে এক কথায় স্বীকার করে নিলেন নিজের অপরাধ! অবাক রাজনৈতিক মহল। শাহজাহানের স্বীকারোক্তিই তো পুলিশের কেস শক্ত করে দিল। সহজেই আরও জিজ্ঞাসাবাদের ‘অজুহাতে’ পুলিশের হেফাজতে চলে গেলেন শেখ শাহাজাহান। তিনি কি নিজেই চাইছেন পুলিশের কাছে থাকতে, বা বলা ভালো, রাজ্যে থাকতে?

    পুলিশের দাবি

    মিনাখাঁ থেকে শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবার সোজা তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালতে তাঁকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে পুলিশ। যদিও আদালত শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এ দিন পুলিশ আদালতে জমা দেওয়া নথিতে শাহজাহানকে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করেছে। উল্লেখ করা হয়েছে ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে। তাঁকে জামিন দিলে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এবং ন্যাজাট থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ।

    নথিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। যে সমস্ত সমাজবিরোধী গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির সামনে ইডি আধিকারিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটে যুক্ত ছিল, তাদের চিহ্নিত করতে শাহজাহানই পথ বলেও নথিতে দাবি করেছে পুলিশ। লুট হওয়া মালপত্রের কিছুই এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পরেই দাবি করা হয়েছে, শাহজাহান পুলিশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি লুটের মাল উদ্ধার করতে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। তাই পুলিশ হেফাজতেই থাক শহজাহান। 

    শাহজাহানের স্বীকারোক্তি

    এদিন আদালতে মাত্র ১০ মিনিট সওয়াল জবাব হয়। শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। তখনই শাহজাহান বলেন, ‘‘সাত সকালে কোনও নোটিশ ছাড়া ইডির আধিকারিকরা আমার বাড়তে এসেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমি গ্রেফতারির আশঙ্কা করে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই অনুগামীদের ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলা করার নির্দেশ দিই। তাদের জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিতে বলি।’’ এত সহজে দোষ স্বীকার করে নিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা! প্রশ্ন উঠছে ইডির হাত থেকে বাঁচতেই এই স্বীকারোক্তি নয় তো? রাজ্য পুলিশের হেফাজতে থাকলে অন্তত কিছুদিন ঠেকানো যাবে ইডিকে।

    আরও পড়ুুন: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    সেফ কাস্টোডিতে শাহজাহান!

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের মামলা আপাতত সিআইডির হাতে দেওয়া হয়েছে। তারাই এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করতে চলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শাহজাহানকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থেকে বৃহস্পতিবার নিয়ে যাওয়া হয় ভবানী ভবনে। আগামী ১০ দিন তিনি সেখানেই থাকবেন। আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের গোয়ান্দারা শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, বলে খবর। পুলিশের আনা অভিযোগ এক প্রকার মেনে নিয়েছেন সন্দেশখালির নেতা। পুলিশকে  সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সামনে লোকসভা নির্বাচন রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ইডি-র ওপর হামলার ঘটনাকে হাতিয়ার করেই শাহজাহানকে ইডি-র হাত থেকে বাঁচাতে চাইছে মমতার পুলিশ? ভোটের আগে ইডি ছুঁলে রক্ষে নেই তাই অন্তত কিছুদিন পুলিশের সেফ কাস্টোডিতে থাকাই ভাল! প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এই গ্রেফতারি সত্যিই ফেক, এই কাস্টোডি মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট। যেমনটা বলছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: এবার গ্রেফতার শাহজাহানের ডান হাত তৃণমূল নেতা আমির আলি গাজি

    Sandeshkhali: এবার গ্রেফতার শাহজাহানের ডান হাত তৃণমূল নেতা আমির আলি গাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গ্রেফতার শাহজাহানের ডান হাত আমির গাজি। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। আজ ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। তিনি শেখ শাহজাহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে পরিচিত। তাঁকে আজ ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট আদালত। সন্দেশখালির নিপীড়িত এক মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল বসিরহাট আদালতে। সেই গোপন জবানবন্দিতে স্পষ্ট ছিল আমির আলি গাজির নাম। 

    রাউরকেল্লা থেকে গ্রেফতার (Sandeshkhali)

    আমিরের বাড়ি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। ইতিমধ্যে এই কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া উত্তম সর্দার, শিব প্রসাদ হাজরার সঙ্গে খুব নিবিড় সম্পর্ক ছিল তাঁর। তাঁর বিরুদ্ধেও এলাকায় জমি দখল, চাষের জমি নষ্ট করা, মারধর করা, বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা, এমনকি খুনের হুমকি এবং ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ওড়িশার রাউরকেল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পেরেছে রাউরকেল্লায় রয়েছেন আমির, আর তারপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় আজ।

    ৫৫ দিন পর গ্রেফতার

    দক্ষিণবঙ্গের আধিকারিক পুলিশের এডিজি সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণের ৫৫ দিন পর পলাতক নেতা শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই গ্রেফেতারকে ‘মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট’ বলেছেন। বসিরহাট আদালতে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ভাবানী ভবনে তাঁকে রাখা হয়েছে। একই ভাবে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে। অপর দিকে তৃণমূলের তরফ থেকে গ্রেফতারের পর সাংবাদিক সম্মলেন করে বলা হয়েছে, শাহজাহানকে আগামী ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সন্দেশখালির ২৩টি জায়গায় জারি হল ১৪৪ ধারা

    Sandeshkhali: শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সন্দেশখালির ২৩টি জায়গায় জারি হল ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান প্রায় দুমাস ফেরার থাকার পর গ্রেফতার হলেন। আর দাপুটে তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতলেন সন্দেশখালিবাসী। মহিলাদের নাচতে দেখা যায়। সন্দেশখালি এলাকায় হয় মিষ্টি বিতরণ। আর শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ২৩টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

    কোথায় জারি করা হল ১৪৪ ধারা (Sandeshkhali)

    শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারির পর এই প্রথম সন্দেশখালি (Sandeshkhali)  ১ নম্বর ব্লকেও জারি করা হল ১৪৪ ধারা। তৃণমূল নেতার বাড়ি সংলগ্ন এলাকা-সহ ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬টি জায়গায় ৩ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩টি এলাকায় ৩ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এর মধ্যে কয়েকটি এলাকার ১৪৪ ধারার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সন্দেশখালির দুটি ব্লক মিলিয়ে ৪৯টি এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এগু্লি হল পঞ্চায়েতের ত্রিমণি বাজার, খুলনা ঘাট, ভোলাখালি ঘাট, সন্দেশখালি ঘাট ও পাত্রপাড়া, দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাববেড়িয়া বাজার, দাউদপুর ও ডুগডুগি বাজার, খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতুলিয়া বাজার, খুলনা বাজার ও হাটগাছা বাজার, বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামাখালি ঘাট, আতাপুর, পোলপাড়া ও রামপুর, জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের আজিজের ঘাট, পিঁপড়েখালি ঘাট ও হালদার পাড়া, বেড়মজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠপােল, বটতলা ও কাছারি ঘাট, মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালের ঘাট এবং কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুচনিখালি বাজার।

    এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) কী বললেন?

    এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার বলেন, ‘গত ৭-৮-৯ ফেব্রুয়ারি কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। এরপর ইডি-র উপর হামলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে। কয়েকটি ধারায় মামলাও শুরু হয়। তবে এই মামলাগুলি সব দু’বছরের পুরনো ঘটনা। দু’দিন বছর আগে যে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয় তাতে তদন্ত করতে, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে কিছু সময় লাগে। তবে যে মামলায় আমরা তদন্ত করতে পারতাম (ইডি-র উপর হামলা) সেই মামলায় আমাদের স্থগিতাদেশ ছিল। তাই জন্য গ্রেফতার করা যায়নি। এদিন নতুন করে বেশকিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    Sheikh Shahjahan: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার পর ফেরার ছিলেন সন্দেশখালির ডন শেখ শাহজাহান। প্রায় দুমাস ধরে চলেছে লুকোচুরি খেলা। ইডি-র ওপর হামলার পর তার গোটা প্রশাসনকে কার্যত ঘোল খাইয়েছেন শেখ শাহজাহান। দেড় মাস ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে ছিলেন তিনি। কিন্তু, সব ছবিই তাঁর পুরনো, কোনটা ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া, কিংবা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা তাঁর ভিডিয়ো ফুটেজ! কারণ, প্রত্যন্ত দ্বীপের দাপুটে এই তৃণমূল নেতার নাম আগে সেভাবে শোনেনি বাংলা। গ্রেফতারির পর শেখ শাহজাহান সংবাদমাধ্যমের ফেস টু ফেস সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান। পরনে ছিল ধবধবে সাদা পোশাক, পায়ে স্নিকার্স। গ্রেফতারির পরও স্বমেজাজেই রয়েছেন তিনি। তবে, এদিন আদালতে তোলার সময় কোনও কথা বললেননি তিনি।

    ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় মিনাখাঁ বামনপুকুর বাজার এলাকায় খ্রিস্টান পাড়া থেকে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। গ্রেফতারির পর তাঁকে সোজা আনা হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতের গারদে (কোর্ট লকআপ)। বৃহস্পতিবার সকালে বসিরহাট মহকুমা আদালতের কোর্ট লকআপ থেকে বার করে কিছু ক্ষণের জন্য শাহজাহানকে আনা হয় এজলাসে। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে শেখ শাহজাহান। তখনও তাঁর সেই মেজাজ। পুলিশি ঘেরাটোপ, আদালত চত্বরে জনভার ভিড়। পিছনে পুলিশ। সামনে রাজনৈতিক নেতার মতো হাঁটতে হাঁটতে এজলাসে ঢোকেন তিনি। তাঁকে দেখে পাশ দিয়ে ধেয়ে আসে একের পর এক প্রশ্নবাণ। শাহজাহান সাংবাদিক এবং উৎসুক জনতার দিকে তাকিয়ে স্রেফ আঙুল নাড়ালেন। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্ন উত্তর দিলেন না তিনি। শুনানি শেষে শাহজাহানকে নিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে যায় পুলিশ। বিশাল কনভয় কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। কারণ, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম থেকেই পুলিশ চূড়ান্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করছে। স্বভাবতই, তাঁকে কোথায় রাখা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতেই থাকছেন শেখ শাহজাহান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি জুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, মিষ্টি বিতরণ, উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি জুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, মিষ্টি বিতরণ, উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন প্রতীক্ষার অবসান। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অত্যাচারের মূলচক্রী দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান গ্রেফতার। এতদিন শুধুই চোখের জল দেখেছে সন্দেশখালি। এখন হাসছে সেখানকার মানুষজন। শাহজাহানের গ্রেফতারির খবর পেতেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। চলছে মিষ্টি বিতরণ। ফাটছে বাজি। উঠল জয় শ্রী রাম স্লোগান।

    বসিরহাট লকআপে শাহজাহান

    ইডি-র ওপর হামলার পর থেকে ফেরার ছিল শাহজাহান। তাঁর অন্যতম শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পরও মহিলারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরও পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতারে কোনও গা করেনি। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়়ে জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ফেরার থাকার দেড় মাস পর অবশেষে শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করল। বসিরহাট লকআপে শেখ শাহজাহানকে রাখা হয়। সেখানে মোতায়েন রয়েছেন প্রচুর পুলিশ আধিকারিক। রয়েছেন মহিলা পুলিশও। গার্ডরেল বসানো হয়েছে। একাধিক পুলিশ কর্তা বসিরহাট মহকুমা আদালতে আসতে শুরু করেছেন। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বসিরহাট। আর গ্রেফতার হওয়ার পরই এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। অনেক মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। বয়স্ক মহিলাদের রাস্তায় নাচ করতে দেখা যায়।

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন? (Sandeshkhali)

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুলিশ ইচ্ছাকৃত শাহজাহানকে ধরেনি। আমরা এতদিন ধরে চিৎকার করছি, তারপরও পুলিশের টনক নড়েনি। আদালত নির্দেশ দিল। এরপর তাঁকে না ধরলে ভাবমূর্তি খারাপ হবে বুঝতে পেরে পুলিশ গ্রেফতার করল। এলাকার মানুষ বার বার বলেছিলেন সন্দেশখালিতেই লুকিয়ে রয়েছেন শাহজাহান। তাতে কোনও লাভ হয়নি। তবে তৃণমূলের তরফে গ্রেফতারির সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরই রাতারাতি পুলিশের জালে উঠে এল শাহজাহান। কীভাবে সম্ভব হল এটা? আর শাহজাহান যে সন্দেশখালির বাইরে যাননি তাও গ্রেফতারির মধ্যে প্রকাশিত হল। ও যে অত্যাচার করেছে তার বিরুদ্ধে আমরা ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Forces West Bengal: রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, সন্দেশখালিতে কত জানেন?

    Central Forces West Bengal: রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, সন্দেশখালিতে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-বাজারে বিশেষ নজর দুই চব্বিশ পরগনা জেলায়। এই দুই জেলায় ঠিক কবে বিঘ্নহীন নির্বাচন হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না এলাকার প্রবীণরাও। লোকসভা নির্বাচন যাতে নির্বিঘ্নে করানো যায়, তাই এই দুই জেলায় বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন (Central Forces West Bengal) করা হচ্ছে বলে খবর। লোকসভা নির্বাচনে সব মিলিয়ে রাজ্যে আসছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই বাহিনীর কত, কোথায় মোতায়েন করা হবে, তা জানিয়ে দল নির্বাচন কমিশন।

    সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    জানা গিয়েছে, সব চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। সন্দেশখালি পড়ে এই জেলায়ই। মার্চের প্রথমেই রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকিটা আসবে পরে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় কলকাতায় আসছে সাত কোম্পানি বাহিনী। সন্দেশখালি যে পুলিশ জেলার মধ্যে পড়ে, সেই বসিরহাট পুলিশ জেলায় মোতায়েন করা হবে তিন কোম্পানি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে মোতায়েন করা হবে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী। ভোটারদের আস্থা বাড়াতে স্পর্শকাতর এলাকায় রুটমার্চ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    কত কোম্পানি চেয়েছে কমিশন?

    লোকসভা নির্বাচন (Central Forces West Bengal) কভার করতে বাংলার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। যা দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চেয়ে বেশি। প্রথম দফায় পৌঁছবে ১০০ কোম্পানি। মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই চলে আসবে আরও ৫০ কোম্পানিও।

    কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ২১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বারাসতে তিন, বনগাঁয় তিন, ব্যারাকপুরে ছয়, বসিরহাটে পাঁচ, বিধাননগরে চার কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুলিশ জেলায় তিন, ডায়মন্ড হারবারে তিন এবং বারুইপুরে তিন কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির ‘হাঙর’ তৃণমূলের শেখ শাহজাহান গ্রেফতার

    সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাঁর দুই শাগরেদও গ্রেফতার হয়েছেন। এর পরেই শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার নির্যাতিতারা। তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নানা অছিলায় জমি কেড়ে নেওয়া, সুন্দরী মহিলাদের পার্টি অফিস কিংবা বাগান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের জেরে এমনিতেই বিব্রত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তার ওপর কমিশন প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খুশি বিরোধীরা। তাঁদের আশা, এবার হয়তো ভয়মুক্ত পরিবেশে মতদান করতে পারবেন স্থানীয়রা (Central Forces West Bengal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে হল অভিযোগ দায়ের

    Sandeshkhali: শাহজাহান ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে হল অভিযোগ দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস ছিল না সন্দেশখালিবাসীর। কেউ সাহস করে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে ঘুরলেই এই কথা শোনা যায়। আর ইডি-র ওপর হামলার পর দেড় মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। এদিকে, তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল সন্দেশখালি। পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলাদের একাংশ। শুধু শাহজাহান নয়, এর পাশাপাশি তাঁর ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুরের মতো একাধিক অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার নতুন করে শেখ শাহজাহানের ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল।

    শাহজাহানের নামে আগেও অভিযোগ জমা করা হয়

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা হাতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর হামলা হয়। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তার আগে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার ওপর জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। তাদের দুজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, সন্দেশখালির মূল কাণ্ডারি শাহজাহানকে ধরার বিষয়ে পুলিশের কোনও হেলদোল নেই। এমনকী আদালত নির্দেশ দিলেও পুলিশ তাঁতে ধরার বিষয়ে গা করছে না। এমনই অভিযোগ সন্দেশখালিবাসীর। তবে, এখন সন্দেশখালির পরিস্থিতি আলাদা। উত্তাল সন্দেশখালিকে শান্ত করার জন্য জায়গায় জায়গায় ক্যাম্প বসিয়েছে পুলিশ। সেখানে গিয়ে অভিযোগ জমা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দুই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এবার ফের দাপুটে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে। এর আগে সিরাজউদ্দিনের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। এবার তাঁর নামে অভিযোগ জমা পড়ল। প্রতিদিন নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে নতুন করে কিছু এফআইআর হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: সিবিআই বা ইডি’ও গ্রেফতার করতে পারবে শাহজাহানকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Incident: সিবিআই বা ইডি’ও গ্রেফতার করতে পারবে শাহজাহানকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআই বা ইডি যে কেউ গ্রেফতার করতে পারে শেখ শাহাজাহানকে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন সন্দেশখালি নিয়ে একটি মামলার (Sandeshkhali Incident) শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, সিবিআই, ইডি এবং রাজ্য পুলিশ যে কেউ শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারে। সন্দেশখালি নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের নির্দেশের পরিবর্তন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। নির্দেশনামার ৮ নম্বর প্যারার পুনর্বিবেচনা চেয়েছিল রাজ্য। সেই মামলার শুনানিতেই বুধবার প্রধান বিচারপতি শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে এই মন্তব্য করেন।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, শাহজাহান গ্রেফতার করা যাবে না।’’ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা ওই দিন পুলিশকে তদন্ত করতে বারণ করেছিলাম। আমরা কোথাও বলিনি যে নতুন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা যাবে না। শুধু মাত্র তদন্তের ক্ষেত্রেই নির্দেশ দিয়েছিলাম। অনেকেই বলছেন হাইকোর্ট অভিযুক্তকে রক্ষা করছে। ৪২টা এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি, তার দায় পুলিশ ঝেড়ে ফেলতে পারে না।’’

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    সওয়াল-জবাব

    এদিন শুনানি চলাকালীন রাজ্যের এজি সওয়াল করেন, ‘‘আমরা যদি শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারি তাহলে আমাদের দেখাতে হবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হল।’’ এরপর রাজ্যেকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘তার মানে আপনারা জানেন যে তিনি কোথায় আছে।’’ এদিন ইডি জানায় যে রাজ্য পুলিশকে তদন্তভার দেওয়া হলে তথ্য প্রমাণ বিকৃত করা হবে। রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করলে তাকে লঘু ধারায় মামলা করা হবে এবং তার জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। সিবিআই গ্রেফতার করলে কোনও অসুবিধা নেই। এরপরই প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্য, সিবিআই বা ইডি যদি চায় তারাও শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। শুনানিতে ইডির তরফে সওয়াল করেন ধীরাজ ত্রিবেদী এব‌ং এসভি রাজু। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ৩ মার্চ দিল্লির তথ্যসন্ধানী দলকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: ৩ মার্চ দিল্লির তথ্যসন্ধানী দলকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির তথ্যসন্ধানী দল বা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই এই দলের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তাঁরা। গ্রেফতারও করা হয় তাঁদের। এর পরে জামিনে মুক্ত হয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দলের প্রতিনিধিরা। পরে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হন। বুধবারই সেই অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৩ মার্চ সন্দেশখালি যেতে পারবেন তাঁরা। উচ্চ আদালত জানিয়েছে, সন্দেশখালির সর্বত্র তাঁরা প্রবেশ করতে পারবেন না। যে সমস্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি, সেখানেই ঢুকতে পারবেন তাঁরা। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে যে সমস্ত জায়গায়, সেখানে তথ্যসন্ধানী দল যেতে পারবে না।

    তথ্যসন্ধানী দলকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে 

    গত শনিবার বিকেলে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসে ছয় সদস্যের ওই তথ্যসন্ধানী দল। রবিবারই সকালে তাঁরা সন্দেশখালির (Sandeshkhali) উদ্দেশে রওনা দেন। দলের নেতৃত্বে ছিলেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি। ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া, নস্করপাড়ায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ভোজেরহাটেই দলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। দলের সদস্যদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পুলিশের। এর পরেই তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে দলের সদস্যদের আটক, পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    রবিবারই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানায় তথ্যসন্ধানী দল

    রবিবার রাতেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের (Sandeshkhali) দাবি জানায় দলটি। দলের অন্যতম সদস্য ভাবনা বজাজ এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে জানান, তাঁরা রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেছেন। রাজ্যপাল যাতে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা ঘোষণা করেন, তার জন্য অনুরোধ করেছেন তাঁরা। সেই রাতেই রাজভবন সূত্রে জানা যায়, তথ্যসন্ধানী দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘হয় শাহজাহানকে ধরুন, নয়তো ৭২ ঘণ্টায় রিপোর্ট জমা দিন’’, রাজ্যকে ডেডলাইন বোসের

    Sandeshkhali: ‘‘হয় শাহজাহানকে ধরুন, নয়তো ৭২ ঘণ্টায় রিপোর্ট জমা দিন’’, রাজ্যকে ডেডলাইন বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানের গ্রেফতারি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে ফের কড়া বার্তা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শাহজাহান শেখের গ্রেফতারিতে কোনও বাধা নেই রাজ্য পুলিশের। ঠিক এই আবহে রাজ্যপাল বোসের কড়া বার্তা মমতা সরকারের উদ্দেশে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার (Sandeshkhali) করুক রাজ্য। আর যদি না পারে, তাহলে কেন গ্রেফতার করা গেল না সেই বিষয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারণ জানাতে হবে রাজ্যকে। সোমবার সন্ধ্যায় একেবারে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল।

    কালপ্রিটকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে….

    উল্লেখ্য, সোমবার প্রধান বিচারপতি শাহজাহানের গ্রেফতারি (Sandeshkhali) নিয়ে বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানকে এই মামলায় যুক্ত করা হোক। কিন্তু কীভাবে করা হবে? তিনি তো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ তো তাঁকে ধরতে পারছে না।’’ এর ঠিক পরেই সরব হতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‘কালপ্রিটকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে। গ্রেফতার না করার জন্য কোনও অজুহাত আর থাকতে পারে না। তিনি (শাহজাহান) গ্রেফতার হবেন, তাঁকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে।’’ এবার রাজভবন থেকে রাজ্যের উদ্দেশে কড়া বার্তা সামনে এল।

    খুনের মামলায় চার্জশিট থেকে নাম বাদ শাহজাহানের

    হাইকোর্টের নির্দেশের পরপরই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ভবিষ্যদ্বাণী করেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার হবেন শেখ শাহজাহান। এখানেই সন্দেহ দানা বাঁধছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি তৃণমূলই কোথাও লুকিয়ে রেখেছে শাহজাহানকে। শাহজাহান ইস্যুতে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় সন্দেশ প্রকাশ করতে আগেই দেখা গিয়েছে উচ্চ আদালতকে। এখন দেখার প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ শাহজাহানকে (Sandeshkhali) পুলিশ ধরতে পারে কিনা! অন্যদিকে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক পুরনো মামলাতে পুলিশ কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপির অভিযোগপত্রে নাম থাকা শেখ শাহজাহানের নাম নেই চার্জশিটে। এখানেই পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share