Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sandeshkhali: শাহজাহান বিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রামে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি

    Sandeshkhali: শাহজাহান বিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রামে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলন দমাতে সন্দেশখালিতে আরও সক্রিয় হল পুলিশ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আপাতত বেড়মজুর এলাকার কাঠপোলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তিনটি সিসি টিভি। আন্দোলনকারীদের ওপর নজরদারি করার জন্য করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। শনিবার সকাল থেকে থেকে কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন রয়েছে গ্রামে।

    দুয়ারে ক্যাম্প! (Sandeshkhali)

    শাহজাহান বাহিনী সন্দেশখালি জুড়ে তাণ্ডব করে বেড়াত। গ্রামবাসীরা সাহস করে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হত। অভিযোগ নেওয়া হত না। এমনই অভিযোগ করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এখন গ্রামে ক্যাম্প করে অভিযোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, আগে পুলিশ এই পদক্ষেপ নিল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই রুপ রাজ্যবাসীকে দেখতে হত না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হওয়ার কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। এখন ঠেলায় পড়ে পুলিশের টনক নড়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে থানার আইসি, এসডিপিও এবং বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সন্দেশখালিতে রয়েছেন। ডিআইজি বলেন, এদিন বেড়মজুর গ্রামে ক্যাম্প করা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি গ্রামগুলিতে  ক্যাম্প করে অভিযোগ জমা নেওয়া হবে। যে কোনও ধরনের অভিযোগ জানানো যাবে ক্যাম্পে। তার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি ক্যাম্পে একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। এছাড়াও থাকবেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।  দু-তিনজন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

     শাহজাহান অনুগামীদের ওপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে সন্দেশখালির কাছারি এলাকায় শাহজাহান শেখের এক ‘অনুগামী’র মাছের ভেড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বেড়মজুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও হাতে লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মহিলারা। দখল হয়ে যাওয়া জমিজমা ফেরতের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি,শাহজাহানকে গ্রেফতারেরও দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বেলার দিকে পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ একাধিক জনকে আটক করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভে মহিলারা

    Sandeshkhali: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে ফিরে যেতেই অ্যাকশন মুডে চলে যায় পুলিশ। শুরু হয় গ্রাম জুড়ে ধরপাকড়। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ চেষ্টা করলে মুহূর্তের মধ্যে ছবি বদলে যায়। আগুনে ঘি ঢালার মতো পুলিশের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়ে। পুলিশের গাড়ির সামনেই গাছের গুঁড়ি ফেলে মহিলারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হাতে গাছের ডাল নিয়ে পথে নামেন মহিলারা। পুলিশ ভ্যানে সামনেই রাস্তায় শুয়ে পড়েন এক বৃদ্ধ মহিলা। সব মিলিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    এতদিন শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। শুক্রবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দুজন তৃণমূল নেতার ওপর জনরোষ গিয়ে পড়ে। অজিত মাইতি নামে এক তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আর তৈয়ব মোল্লার ভেড়ির আলাঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) অশান্ত হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার আসেন। বিক্ষোভ দমাতে গ্রামবাসীদের আইন হাতে তুলে নিলে গ্রেফতারি করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সন্দেশখালি থেকে ডিজি ফিরে যাবার পরেই কার্যত অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। এলাকা জুড়ে একের পর এক ধর পাকড় শুরু হয়। বেড়মজুড় গ্রামের সাঁকোর এক প্রান্তে পুলিশ বাহিনী। অন্যপ্রান্তে গ্রামবাসীরা জড়ো হন। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। এক মহিলা বলেন, আমার ছেলে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। ভ্যান চালিয়ে খুব কষ্ট করে সে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে পুলিশ তাকে তুলে নিল। এটা পুলিশের কী আচরণ। এই পুলিশের গাড়ির সামনে মাটিতে শুয়ে এক গ্রামবাসী কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। চ্যাংদোলা করে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

    শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীকে না ধরে গ্রামবাসীদের ধরতে ব্যস্ত পুলিশ!

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দাদের বক্তব্য, ইডি-র ওপর হামলার পর থেকেই শাহজাহানের খোঁজ নেই। তাঁর অনুগামীরাও এলাকা ছাড়া। যারা এলাকায় এক সময় অত্যাচার করেছিল তাদের গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশের কোন হেলদোল নেই। অত্যাচারীদের জন্যই সন্দেশখালির আজ এই চেহারা নিয়েছে। শাহজাহানকে না ধরে এখন গ্রামবাসীদের ধরতে ব্যস্ত পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর, বিক্ষোভ দমাতে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি ডিজি-র

    Sandeshkhali: ফের শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর, বিক্ষোভ দমাতে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি ডিজি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসময় যারা গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল, সেই শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও জ্বলছে সন্দেশখালি। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকায় লাঠি, বাঁশ-হাতে রাস্তায় নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি, তোয়েব মোল্লাদের বিরুদ্ধে জনরোষ আছড়ে পড়ল।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর (Sandeshkhali)

    শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে অশান্ত হতে শুরু করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। গ্রামবাসীদের জমি দখল করে ভেড়়ি করা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তোয়েবের বিরুদ্ধে জনতারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভেড়ির আলাঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে, সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর। বেড়মজুর এলাকার মানুষের অভিযুক্তদেরও তালিকায় প্রথম নাম রয়েছে তাঁর। শুক্রবার সকালে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতেই হামলার অভিযোগ ওঠে। বেড়ার পাঁচিল ভেঙে ফেলা হয়।  বাড়ির ভিতর ঢুকেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, একুশের নির্বাচনের পর থেকে ওই তণমূল নেতার দলবল আমাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছে। বাড়িঘর দখল করেছে, জমি দখল করেছে, প্রতিবাদ করলেও মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে ব্যাপক মারধরও করা হয়েছে। এবার সেই ক্ষোভই আছড়ে পড়ল তৃণমূল নেতার পরিবারের ওপর। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূলনেতার স্ত্রীর বক্তব্য,  “আমার স্বামী কিচ্ছু করেনি। কোনও ভাঙচুর করেনি। সব ওরা গায়ের জোরে করছে। শাহজাহান শেখের সঙ্গে দল করে, এটাই ওদের রাগ।” আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “গ্রামবাসীদের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে আইনের শাসন মেনে নেব।

    সন্দেশখালিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি

    এদিকে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করল বসিরহাট জেলা পুলিশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। শুক্রবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি বলেন, আইন হাতে তুলে নেবেন না। যা অভিযোগ রয়েছে, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এদিন বেড়মজুরে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন। জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনে গ্রামবাসীদের কথা বলিয়ে দেন।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi In Bengal: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এক সপ্তাহে বাংলায় ৩টি জনসভা মোদির

    Modi In Bengal: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এক সপ্তাহে বাংলায় ৩টি জনসভা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল সারা রাজ্য। আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছেছে রাইসিনা হিলস থেকে বিজেপির জাতীয় সম্মেলনে। এই আবহে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। তাও আবার ১ সপ্তাহের মধ্যেই করবেন ৩টি জনসভা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই রাজ্যে ভোটের দামামা বাজাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে প্রচারে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন মোদি। ব্যতিক্রম যে পশ্চিমবঙ্গ নয় তা প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) জনসভার সূচিতেই পরিষ্কার।

    কোথায় কোথায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী?   

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের আগে আরামবাগেই তাঁর প্রথম সভা হতে চলেছে। আগামী ১ মার্চ রাজ্যে আসার কথা নরেন্দ্র মোদির (Modi In Bengal)। সেদিনই তিনি জনসভা করবেন আরামবাগে। এরপর ২ মার্চ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সভা করার কথা রয়েছে। তৃতীয় জনসভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে আগামী ৬ মার্চ বারাসতে। রাজনৈতি পর্যবেক্ষকদের মতে, কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে বিজেপির বরাবরই নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। এই আসন থেকেই পরপর দু বার জয়ী হয়েছিলেন সত্য়ব্রত মুখার্জি ওরফে জুলু বাবু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে খুব অল্প ব্য়বধানে কৃষ্ণনগর আসনে পরাস্ত হন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। এবার তাই কৃষ্ণনগর আসনটিতে বিশেষ নজর দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব (Modi In Bengal)। অন্যদিকে গত নির্বাচনে ১২০০ ভোটের ব্যবধানে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয় বিজেপির। সেটিও লক্ষ্য রেখেছে গেরুয়া শিবির। তাই এই হাইভোল্টেজ সভা।

    সন্দেশখালির নির্যাতিতারা মুখ ঢেকে হাজির থাকবেন বারাসাতের সভায়!

    আগেই জানা গিয়েছিল, ৬ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বারাসাত থেকে বসিরহাট কাছেই। সন্দেশখালির আবহে মোদির বারাসত সফরকে আলাদা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অত্যাচারিত মহিলাদের হাজির করানো হবে প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) সভায়। রাজ্য বিজেপির পরিকল্পনা, বারাসাতের সভায় সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’-দের  আলাদা মঞ্চ করে বসানো হবে। সেখানে মুখ ঢেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হবেন তাঁরা।

    কী বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এখনও অবধি যে সম্ভাবনা তাতে আগামী ১ মার্চ ও ২ মার্চ উনি আসতে পারেন। দু’টি জায়গায় সভা করতে পারেন তিনি। ৬ মার্চ বারাসতেও তিনি আসবেন। সন্দেশখালির মহিলাদেরও আমরা নিয়ে আসব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাব। প্রধানমন্ত্রীর সভাতে ওনারা থাকবেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ওনারা। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) সঙ্গে দেখা করতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা ওনাদের কথা পৌঁছে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান’, কংগ্রেসের অফিসে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টারে শোরগোল

    Sheikh Shahjahan: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান’, কংগ্রেসের অফিসে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টারে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান (Sheikh Shahjahan), তোমাকে জানাই স্যালুট, সুশীল নাগরিকবৃন্দ’। এমনই পোস্টার লক্ষ্য করা গেল কংগ্রেসের কার্যালয়ে। গত বুধবার পার্টি অফিসের সামনে পাঁচিলের লোহার গ্রিলে লাগানো এই পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার শহরের মধ্যেই। পোস্টারের এমন ব্যঙ্গাত্মক টিপ্পনী দেখে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, এই বিষয়ে দলের কোনও ভূমিকা নেই। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি দেড় মাস পরে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেও এখনও গ্রেফতার হননি শাহজাহান। উল্টে আরও নটি জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু দত্ত বলেন, “আমাদের জেলার দলীয় দফতরটি শহরের এমন একটি স্থানে যে সেখানে অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তবে এই পোস্টারের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আলিপুরদুয়ার শুধু নয়, গোটা বাংলার মানুষের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রবল অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় জেলার তৃণমূল নেতা মৃদুল গোস্বামী বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের সঙ্গে এই রাজ্যে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের পার্টি অফিসে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) এই ধরনের পোস্টার এবং ব্যানার অত্যন্ত অনভিপ্রেত। কংগ্রেস বিজেপির হয়ে কাজ করছে। শাসক দলকে বদনাম করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় আলিপুরদুয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, “রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের শাসনে রয়েছে। তৃণমূল চাইলে পুলিশকে দিয়ে সন্ধান করুক এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে। শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ঘিরে ব্যানার এবং পোস্টারে স্পষ্ট হয়েছে যে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের উপর ব্যাপক ভাবে ক্ষুব্ধ। আর তাই তৃণমূল ভয় পেয়ে সব কিছুর মধ্যে বিজেপির ভূত দেখছে। ওই দুষ্কৃতীর গ্রেফতার চাই।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বিজেপি-র মহিলা মোর্চাকে বাধা! শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দিল জনতা

    Sandeshkhali: বিজেপি-র মহিলা মোর্চাকে বাধা! শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দিল জনতা

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার বাধা দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। শুক্রবার সন্দেশখালি পথে রওনা দেন বিজেপি-র মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা। লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতৃত্ব সন্দেশখালির পথে এদিন রওনা দেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোজেরহাট এলাকায় দিয়ে তাঁদের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা। ভোজেরহাট এলাকায় পুলিশ তাঁদে বাধা দেয়। আর মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি যেতে পারেননি। বিজেপি-র প্রতিনিধিদের যখন ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তখন সন্দেশখালি জ্বলছে। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথাও বলেন।

    শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘরে আগুন (Sandeshkhali)

    বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিনের মাছের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার  কাছাড়ি এলাকায় শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত তৈয়েব খানের মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়ে খাক। স্থানীয়দের বক্তব্য, তৈয়েব এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি করেছিলেন। কাউকে কোনও টাকাপয়সা দেননি। চাইতে গেলে হুমকি দিতেন। ফলে, বহুদিন ধরেই শাহজাহানের এই অনুগামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা়ড়ছিল। শুক্রবার কার্যত বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, শাহজাহানের পাশাপাশি তাঁর অনুগামীরাও এলাকায় তাণ্ডব চালাত। ভয়ে আমরা কেউ কথা বলতে পারতাম না। নিজেদের স্বার্থের তারা জমি দখল করে রাখত। ইডি-র ওপর হামলার পর শাহজাহান ফেরার হয়ে যায়। তাঁর অনুগামীরাও সব বেপাত্তা হয়ে যান। এর আগে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন মহিলারা। শাহজাহানের ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এতদিন অসহায় গ্রামবাসীরা যে  অত্যাচার চালিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন এলাকাবাসী। আলঘর পুড়িয়ে দিয়ে শাহজাহান অনুগামীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। যদিও পরে, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ed Raid: শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ, সকাল থেকেই একাধিক জায়গায় ইডি’র তল্লাশি

    Ed Raid: শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ, সকাল থেকেই একাধিক জায়গায় ইডি’র তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জানুয়ারি থেকে লুকিয়ে রয়েছেন সন্দেশখালির তথাকথিত বাঘ। সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল হোতা শেখ শাহজাহান এখনও বেপাত্তা। ২৯ ফেব্রুয়ারি ইডি (Ed Raid) তাঁকে ফের তলব করেছে। এই আবহে এবার তাঁর বিরুদ্ধে নয়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডি ইসিআইআর দায়ের করেছে জমি দখল এবং পুরনো একটি খুনের মামলায়। শুক্রবার সকাল থেকেই শেখ শাহজাহানের খোঁজে তল্লাশিতে নামে ইডি। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলছে। হাওড়া থেকে কলকাতার বিজয়গড় সহ ৬টি স্থানে চলছে তল্লাশি। সকাল ৭টা থেকেই শুরু হয়েছে তল্লাশি। ইডি আধিকারিকদের (Ed Raid) সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও।

    হাওড়া ও বিজয়গড়ে দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি

    হাওড়ার হালদারপাড়ায় পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে পার্থপ্রতিম চিংড়ি মাছের ব্যবসাও করতেন। এর পাশাপাশি বিজয়গড়ে তল্লাশি চলছে আর এক ব্যবসায়ী অরূপ সোমের বাড়িতেও। ইডি (Ed Raid) সূত্রে জানা গিয়েছে, অরূপের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল শাহজাহানেরও।

    শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবি জোরালো হচ্ছে

    শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি ক্রমশই জোরাল হচ্ছে। তাঁর ভাইয়ের ভেড়ি গতকালই জনরোষের মুখে পড়েছিল। এদিন শেখ শাহজাহানের আগাম জামিন মামলার শুনানি রয়েছে (Ed Raid)। আবার শাহজাহানকে চতুর্থবারের জন্য তলবও করেছে ইডি। এর আগে তিনবার ইডি তাঁকে তলব করলেও, প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার বিজেপির মহিলা মোর্চার একটি প্রতিনিধি দলের যাওয়ার কথা রয়েছে সন্দেশখালিতে। বিজেপি সূত্রে খবর, ওই দলে থাকবেন অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। পুলিশি বাধার মুখে বিজেপি দল যে পড়তে পারে, তা মনে করছেন অনেকেই।

    আরও পড়ুন: রেশন-দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানকে ফের ইডির তলব, এই নিয়ে চতুর্থবার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রাতেই রাজভবনে সুকান্ত, পুলিশি নির্যাতন নিয়ে সরাসরি অভিযোগ রাজ্যপালকে

    Sandeshkhali: রাতেই রাজভবনে সুকান্ত, পুলিশি নির্যাতন নিয়ে সরাসরি অভিযোগ রাজ্যপালকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার বাইরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ধরনা, অবস্থান-বিক্ষোভ এই সমস্ত কিছুর পরেই গ্রেফতার হতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের পরে সোজা তিনি আসেন রাজভবনে। রাত সাড়ে নটা নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সমেত অন্যান্যরা। কী কথা হল রাজ্যপালের সঙ্গে? তা নিজেই জানালেন রাজভবন থেকে বের হয়ে। বালুরঘাটের সাংসদ বললেন, ‘‘আমাকে টেনে হিঁচড়ে (Sandeshkhali) পুলিশ আজ যা করল, সঙ্গে আমার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশ আজ যে ব্যবহার করেছে, পুরো বিষয়টি রাজ্যপালের সামনে তুলে ধরেছি।’’

    ভয়ঙ্কর সন্দেশখালি

    ভয়ঙ্কর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আপনি ভাবলে অবাক হয়ে যাবেন, আপনার নামে জমি, কিন্তু আপনার কোনও অধিকার নেই সেই জমির উপর। আমি নিজের চোখে দেখে এলাম। সেখানে অন্য একজন ভেড়ি বানিয়ে মাছ চাষ করে খাচ্ছে, এক পয়সাও পরিবর্তে দিচ্ছে না। কলকাতা থেকে যেতে দু’ঘণ্টাও সময় লাগে না। রাজ্যের রাজধানীর উপকণ্ঠে যদি এই অবস্থা হয়, কোন জায়গায় আমরা বাস করছি!’’

    শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ

    শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার বাইরে অবস্থানে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘণ্টা দেড়েকেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল সেখানে। এরপরই থানার ভিতর থেকে বিশাল পুলিশবাহিনীকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। টেনে হিঁচড়ে আটক করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এনিয়ে বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘তৃণমূলের কোনও নেতা পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করতে পারে না। যেভাবে আমাদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে আসা হল… এই পুলিশ এটাই পারে। শুধুমাত্র বিরোধীদের উপর, বিজেপির উপর এই ধরনের অত্যাচার করতে পারে। শেখ শাহজাহানকে ধরার সময় পুলিশের এই সক্রিয়তা দেখা যায় না।’’ 

    লঞ্চে করে সুকান্তকে নিয়ে চড়কিপাক খেতে থাকে পুলিশ

    গ্রেফতারির পরে সুকান্ত মজুমদারকে টোটোয় চাপিয়ে পুলিশ চলে আসে ধামাখালি ঘাটে। সেখানেই পুলিশের একটি লঞ্চে চাপানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এমভি বাগদাদ নামের ওই লঞ্চে সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের নিয়ে মাঝ নদীতে চড়কিপাক খেতে থাকে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের পর ভাই সিরাজ! তাঁর বিরুদ্ধেও জনরোষ, পথে মহিলারা

    Sandeshkhali: শাহজাহানের পর ভাই সিরাজ! তাঁর বিরুদ্ধেও জনরোষ, পথে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মতো এবার প্রতিবাদে বিস্ফোরক ঝুপখালির মহিলারাও। এলাকায় পুলিশি পাহারা এবং উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের উপেক্ষা করেই ফের জনরোষের চিত্র লক্ষ্য করা গেল বৃহস্পতিবার। জোর করে চাষের জমি, মাছচাষের ভেড়ি এবং ফসলের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ যেমন শাহজাহান-শিবু-উত্তমের বিরুদ্ধে উঠেছিল, ঠিক তেমনই জেলিয়াখালি, ঝুপখালির মানুষও অনেকদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন একই অভিযোগে। এবার অভিযোগ শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজ ডাক্তার ওরফে সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে। শাহজাহানের পর কাঠগড়ায় ভাই সিরাজ! ভাইও নাকি ছিল কীর্তিমান।

    শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধে জনরোষ (Sandeshkhali)

    আজ ফের একবার জনরোষের চিত্র ধরা পড়ল ঝুপখালিতে (Sandeshkhali)। এলাকার এক মহিলা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “শাহজাহানের ভাই সিরাজ ওরফে সিরাজউদ্দিন আমার দোকানের জায়গা দখল করে নিয়েছে। শুধু আমার জায়গা নয়, গোটা এলাকা দখল করে নিয়েছে। ১৫ থেকে ১৬ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে গায়ের জোরে। আমাদের জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করে নিয়েছে ওরা। শুধু তাই নয়, ভেড়িগুলিকে লোকের কাছে চড়া দামে বিক্রিও করে দিয়েছে। এলাকায় এই তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে নতুন করে আর যাতে ভেড়ি নির্মাণ না হয়, সেই দাবি জানাই।”

    আগুন সিরাজের আলাঘরে

    এই সব অভিযোগ তুলে আজ ময়দানে ফের নামেন এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষোভ আর প্রতিবাদ গিয়ে পড়ে সিরাজের উপর। তাঁর ভেড়ি এবং অফিস আলাঘর পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নেমেছে।

    পুলিশ এতদিন কোথায় ছিল?

    ঝুপখালির (Sandeshkhali) উত্তেজিত সাধারণ মহিলাদের সামাল দিতে গেলে পুলিশের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রামের আরও এক মহিলা বলেন, “সিরাজের ফাঁসি চাই। ওর হাতেপায়ে ধরে বলেছিলাম, আমার বাপের বাড়ির জমি নিও না। কিন্তু সব দখল করে নিয়েছে। ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে অত্যন্ত কষ্টে জীবন কাটাতে হচ্ছে। পুলিশ এতদিন কোথায় ছিল যখন আদিবাসীদের ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হত?”

    উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণের দেড় মাস পর রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি পরিদর্শনে গেলেও পালতক তৃণমূল নেতা শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কার্যত প্রশ্নের ভয়ে কি সাংবাদিক সম্মেলন না করে চলে এলেন? প্রশ্ন তুলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শাহজাহানের নাম, পুড়ে খাক ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর

    Sandeshkhali: চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শাহজাহানের নাম, পুড়ে খাক ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করা, মাছচাষের জলাশয় দখল করা এবং বাড়ির সুন্দরী বউ থাকলে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে রাতভর অত্যাচার, নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার তাঁদেরই অভিযোগ এবং আন্দোলনের চাপে শেখ শাহজাহানের নামে দখল করা খেলার মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্লাজ শুরু করল প্রশাসন। খেলার মাঠ দখল করার পর অনুগামীরা নাম রেখেছিল ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’। মাঠের দেওয়ালে লেখা শেখ শাহজাহানের নামের উপর চুনকাম করে দেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে এদিনই ফের আগুন জ্বলল সন্দেশখালিতে। শাহজাহানের ভাই সিরাজের ভেড়ির আলাঘরে আচমকাই কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। গ্রামবাসীদের সেই ক্ষোভের আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় আলাঘর। কারণ শাহজাহানের মতো তাঁর ভাই সিরাজুদ্দিনও নাকি অন্যের জমি জোর করে দখলে ছিল সিদ্ধহস্ত। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাসিন্দারা। যদিও কেউ কেউ বলছেন, আগুন লাগিয়েছে শাহজাহানেরই অনুগামীরা। 

    পুলিশের উপস্থিতিতে মাঠ ফেরানো হয় (Sandeshkhali)

    একটা সময় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সব থেকে বড় মাঠের নাম ছিল ঋষি অরবিন্দ মিশন ময়দান। এলাকার ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এই মাঠ ছিল প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু টুর্নামেন্টের নাম করে বিরাট মাঠকে দখল করে নেয় শেখ শাহজাহানের বাহিনী। এলাকার মানুষের আন্দোলনের চাপে অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার, পুলিশের উপস্থিতিতেই মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মাঠের দেওয়ালে লেখা শেখ শাহজাহানের নাম মুছে দেওয়া হয়। এলাকার মাঠ আবার ফিরে পাওয়ার আশায় অত্যন্ত খুশি এলাকাবাসী।

    এলাকার মানুষের দাবি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের দাবি, “শাহজাহান-উত্তম-শিবুরা এলাকায় সাম্রাজ্য বিস্তার করে রেখেছে। সরকারি জমি, খেলার মাঠ, বিঘার পর বিঘা চাষের জমি দখল করে মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়ার ভেড়ি নির্মাণ করেছে তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, তোলাবাজি এবং অত্যাচারের সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে তারা।” তবে আজ মাঠ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকার মানুষ একত্রিত হন। সেই সঙ্গে মাঠে লাগানো হয় চারাগাছ। গ্রামের মানুষ বলেন, “ছিল খেলার মাঠ, কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডারা দখল করে নেয়। মাঠে কেউ ঢুকতে পারত না, সব সময় তালা মারা থাকত।” এবার এই মাঠ দখলমুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু মূল অভিযুক্ত পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share