Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sandeshkhali: বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল, ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ শাহজাহানের অত্যাচারে!

    Sandeshkhali: বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল, ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ শাহজাহানের অত্যাচারে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজার, উত্তম সর্দার ও সিরাজের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে বিস্ফোরক হয়েছেন গ্রামবাসীরা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৬ বিঘা জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বোসের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার এক গ্রামবাসী। অপর দিকে জানা গেল, শাহজাহান-সিরাজের অত্যাচারে স্নাতক হয়ে উঠতে পারেননি বেড়মজুর এলাকার প্রতিবাদী মৌ কোয়েলি সর্দার।

    গত শুক্রবারের পর শনিবার ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। এরপর দুইজন গ্রামবাসীকে আটক করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে এডিজি সুপ্রতিম সরকার টহল দেন। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক স্পষ্ট করে জানান, “শাহজাহানের নামে নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযোগ নেই।” আর এই মন্তব্যে ব্যাপক চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।

    বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল!

    কর্ণখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দা হরেকৃষ্ণ দাস অভিযোগ তুলে বলেন, “শাহজাহান বাহিনী আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বন্দুকের সামনে বাবা একদম ভয় পাননি। প্রতিবাদ করেছিলেন। এরপর আমাকে মেরে পা ভেঙে দিয়েছিল। আমাদের পরিবার এই চাষের উপর নির্ভর করে চলে। সমস্ত জমি দখল করে জল ঢুকিয়ে দিয়েছিল ওরা। প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ৪ দিন জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৬ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছিল ওরা।” এদিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সন্দেশখালিতে গেলে এই ভাবেই এলাকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামের মানুষ। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীরা আরও বলেন, “মন্ত্রীরা নিয়ম করে আগে এসে নিপীড়িত মানুষের কথা শুনলে আজকের মতো পরিস্থিতি হত না।”

    সিরাজের অত্যাচারে বন্ধ হয়েছে পড়াশুনা

    ২০২১ সালের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে (Sandeshkhali) ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল সিরাজের বাহিনী। এই সময় কোয়েলির মোবাইল লুট করে নেয় দুষ্কৃতীরা। অপরদিকে সেই সময় করোনাকালে পড়াশুনার একমাত্র মাধ্যম ছিল এই মোবাইল এবং অনলাইন। মোবাইল না থাকায় আর পড়াশুনা করা হয়ে ওঠেনি তার পক্ষে। কোয়েলি জানিয়েছেন, “শেখ শাহজাহান এবং সিরাজ সেই সময় আমাদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করে। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলাম। তখন আমাদের অনলাইনে পড়াশুনা এবং পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপার ছিল। ফোনটা লুট করে নিয়েছিল তাই আর পরীক্ষা দিতে পারিনি। যারা পড়াশুনা করছিল তাদের সকলের নামে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছিল। এমনকি অধ্যাপকদেরও নামে কেস দেওয়া হয়েছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা, ধস্তাধস্তি, ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ

    Sandeshkhali: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকেও সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা, ধস্তাধস্তি, ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে এবার বাধাপ্রাপ্ত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। বাধা দিল পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ভোজেরহাটেই কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকে দিল পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেই যুক্তি দেখিয়ে বাধা দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। ডিসি সৈকত ঘোষ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের অনুরোধ করে জানান, এই মুহূর্তে সন্দেশখালির যা পরিস্থিতি তাতে সেখানে এখন যাওয়া সম্ভব নয়। আইন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। কিন্তু, টিমের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তাঁরা দু’জন যাবেন সেখানে। যদিও পরে পুলিশ কেন্দ্রীয় টিমের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় (Sandeshkhali)

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে আটকানোর জন্য রাজ্য পুলিশেরক পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ভোজেরহাটে ইস্ট ডিভিশনের ডিসি আরএস বিলাল ও ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় টিমে ৬ জন সদস্য রয়েছেন। টিমে রয়েছেন পাটনা হাইকোটের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি, রজপাল সিং, ওপপ্রকাশ ব্যাস, সঞ্জীব নায়ক, ভাবনা বাজাজ এবং চারু আলি খান্না। এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যের বেশ কয়েকজন আইনজীবী সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায় যাবেন বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। আইনজীবী তথা এনসিড্বলু-র  সদস্য চারু আলি খান্না জানান বলেন, “আমরা পুলিশকে বললাম দুজন যাব। বাংলার পুলিশ দুই মহিলাকে ভয় পাচ্ছে? কীসের ভয় পাচ্ছে ওরা? আমি কী করব ওইখানে গিয়ে। আমি তো ফিরব না। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় টিমের মহিলাদের আটক করার জন্য গাড়িতে তুলছিল পুলিশ। সেই সময় বাধা হয় সিআরপিএফ এর জওয়ানের সঙ্গে। তারা বাধা দেয়। চলে ধস্তাধস্তি।

    প্রতিনিধি দলকে গ্রেফতার

    ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বলেন,”স্যর আপনাদের আটক করব? আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আপনাদের অনুরোধ করছি ফিরে যাওয়ার জন্য।” পাল্টা প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, “ওইখানে ১৪৪ ধারা জারি। এখানে তো ১৪৪ ধারা নেই। যেতে দিচ্ছেন না। আমাদের বারণ আছে।”১৪৪ ধারার যুক্তি দিয়ে তথ্য অনুসন্ধানকারী দলকে আটকাল পুলিশ। পরে, পুলিশ কেন্দ্রীয় টিমের ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: দুই মন্ত্রীর কাছে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানালেন সন্দেশখালিবাসী

    Sandeshkhali: দুই মন্ত্রীর কাছে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানালেন সন্দেশখালিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। যত দিন যাচ্ছে শাহাজাহান বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন একের পর এক গ্রামবাসী। শক্ত জমি ক্রমশ আলগা হচ্ছে তৃণমূলের। এটা বুঝতে পেরেই বারবারই ছুটে আসছেন মন্ত্রীরা। দিনভর মাটি কামড়ে পড়ে থাকছেন সন্দেশখালিতে। গ্রামের মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছেন। শনিবারও রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। দিনভর এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলে ক্ষোভ কতটা রয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। এতকিছু কি করার পরও ছিঁড়ে কতটা ভিজল তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানালেন বাসিন্দারা (Sandeshkhali)

    ইডির ওপর হামলার পর থেকেই শাহজাহান বেপাত্তা। তাঁর অন্যতম সাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাতেও সন্দেশখালীবাসীর (Sandeshkhali) ক্ষোভের আগুনে জল ঢালতে পারেনি প্রশাসন। বরং যত দিন গিয়েছে ক্ষোভ তত বেড়েছে। দুদিন আগেই শাহজাহানের ভাইকে তাড়া করেছে এলাকার মানুষ। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তাঁর ওপর চড়াও হয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সন্দেশখালি অত্যাচারের নায়ক শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। দুই মন্ত্রীর কাছেও তাঁরা শাহজাহানের গ্রেফতারির জন্য দরবার করেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কতটা ক্ষোভ রয়েছে শাহজাহানের উপর সেটা টের পান রাজ্যের দুই মন্ত্রী।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, উত্তম ও শিবুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শাহজাহানের বিষয়টি ইডি। ইডি রাজ্য সরকারের অধীনে নয়। কেন্দ্রের অধীনে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইডি। এর আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার শাহজাহান গ্রেফতারি প্রসঙ্গে একই সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, মন্ত্রীদের এই ধরনের কথাতে সন্তুষ্ট নন সন্দেশখালিবাসী।

    বসিরহাটের পুলিশ সুপার কী বললেন?

    দুদিন আগেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি এসেছিলেন। আইন হাতে না তোলার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সন্দেশখালি থেকে তুই চলে যাবার পরই সক্রিয় হয়ে উঠেছিল পুলিশ। উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফলে পুলিশের বিরুদ্ধেও খুব উপড়ে দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। বিক্ষোভাতে ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে মজুর গ্রামে। একাধিক জায়গায় পুলিশ কাম করা হয়েছে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার হাসান মেহেদি রহমান বলেন, ক্যাম্পে ভালো সাড়া মিলছে। অনেকেই অভিযোগ জানাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের জমি ফেরানো ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি অভিযোগ খতিয়ে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে

    Sandeshkhali: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে। শুধু জোর করে দখল নয়, বর্গা রেকর্ড পর্যন্ত করেছে পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহানের ভাই সিরাজ। একের পর এক জমি দখল করে এলাকার জমির চরিত্রটাই বদল করে দিয়েছে এই নেতারা। সাধারণ মানুষের জমি কেড়ে ভেড়ির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তাঁরা। ঠিক এই ভাবেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে সরব হয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    জমিহারা মহিলার বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার কাছে জামিহারা বেড়মজুর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী হালদার বলেন, “সিরাজুদ্দিন এলাকায় (Sandeshkhali) সিরাজ ডাক্তার নামে পরিচিত। শেখ শাহজাহানের ভাই। এই বাহিনী আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক বিঘা কৃষিজমি দখল করে নিয়েছে। আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে, শ্বশুরকে ব্যাপক মারধর করেছে। সেই সঙ্গে আমার বাচ্চাদেরকে প্রাণনাশ করতে পারে, এই ভয়ে আমি কিছু বলতে পারিনি।”

    আর কী অভিযোগ?

    শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মৌসুমী হালদার আরও বলেন, “আড়াই লাখ টাকা দিয়ে আমার কেনা জমি ছিল। কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে, প্রাণের ভয়ে সিরাজের হাতে তুলে দিতে হয়েছিল জমি। রেজেস্ট্রি অফিসেই জোর করে আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সিরাজের কাছে যাওয়ার কথা বলে। থানার মধ্যেই সিরাজের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। এলাকায় বিজেপি সমর্থক সন্দেহে আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়। বাড়িতে এসে সিরাজের নির্দেশে অমিত হালদার, বিনয় সর্দার, পঙ্কজ গায়েন, লিয়াকতরা হামলা করে। জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। এমনকি লাথি মেরে ভাতের হাড়ি পর্যন্ত উলটে দেয়। সেই সঙ্গে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।”

    ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা গোপাল হালদার বলেন, “শাহজাহান-সিরাজকে গ্রেফতার না করলে এলাকায় শান্তি ফিরবে না।” আবার স্থানীয় প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “পুলিশ ক্যাম্প হওয়ায় মার খাওয়ার ভয় নেই। কিন্তু জমি ফেরত পাওয়া যাবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: আজ ফের সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Sandeshkhali: আজ ফের সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, কথা বলবেন গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে। গতকাল শুক্রবারের পর শনিবারেও সন্দেশখালিতে যাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সম্প্রতি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমেছেন। একাধিক বার অগ্নি সংযগের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। বিজেপি বার বার মানুষের মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছে।

    নিপীড়িতদের বক্তব্য শুনবে কমিশন (Sandeshkhali)

    গতকাল শুক্রবার মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গিয়েছিলেন। শুনেছেন নিপীড়িত মহিলাদের বক্তব্য। আজ শনিবার ফের একবার সকাল ১১ টায় একটি লঞ্চে চেপে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা। মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কমিশন যে উদ্বিগ্ন, তা স্পষ্ট। এর আগেও সেখানে গিয়েছিল জাতীয় তফশিলি কমিশনের প্রতিনিধি দল। যদিও তাঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলাদের অভিযোগের কথা শুনে গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা। এই অত্যাচার, নিপীড়ন, গণধর্ষণ ও সেই সঙ্গে প্রশাসনের আইনের শাসন না থাকায় জাতীয় তফশিলি কমিশন এবং জাতীয় মাহিলা কমিশন – উভয়পক্ষ রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে। একই ভাবে আবার রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশন এলাকা পরিদর্শনে যায়। এই দলে ছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস। পরামর্শদাতা ছিলেন সুদেষ্ণা রায় সহ মোট ছয়জনের প্রতিনিধি। তাঁরাও গ্রামে ঘুরে ঘুরে এলাকা পরিদর্শন করেন। ইতিমধ্যে আবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশনের যাওয়ার কথা জানা গিয়েছে।

    ৫ জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি

    তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের কারণে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। গত ৫ জানুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায়। এরপর এলাকার দুষ্কৃতীরা তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণ করে। আর এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক হন শেখ শাহজাহান। এরপর এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, বাড়ির বউদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে পথে নামেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান বিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রামে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি

    Sandeshkhali: শাহজাহান বিরোধী আন্দোলন দমাতে গ্রামে গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলন দমাতে সন্দেশখালিতে আরও সক্রিয় হল পুলিশ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আপাতত বেড়মজুর এলাকার কাঠপোলে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। বসানো হয়েছে তিনটি সিসি টিভি। আন্দোলনকারীদের ওপর নজরদারি করার জন্য করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। শনিবার সকাল থেকে থেকে কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন রয়েছে গ্রামে।

    দুয়ারে ক্যাম্প! (Sandeshkhali)

    শাহজাহান বাহিনী সন্দেশখালি জুড়ে তাণ্ডব করে বেড়াত। গ্রামবাসীরা সাহস করে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হত। অভিযোগ নেওয়া হত না। এমনই অভিযোগ করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। এখন গ্রামে ক্যাম্প করে অভিযোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, আগে পুলিশ এই পদক্ষেপ নিল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই রুপ রাজ্যবাসীকে দেখতে হত না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হওয়ার কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। এখন ঠেলায় পড়ে পুলিশের টনক নড়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে থানার আইসি, এসডিপিও এবং বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সন্দেশখালিতে রয়েছেন। ডিআইজি বলেন, এদিন বেড়মজুর গ্রামে ক্যাম্প করা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি গ্রামগুলিতে  ক্যাম্প করে অভিযোগ জমা নেওয়া হবে। যে কোনও ধরনের অভিযোগ জানানো যাবে ক্যাম্পে। তার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি ক্যাম্পে একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। এছাড়াও থাকবেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।  দু-তিনজন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।

     শাহজাহান অনুগামীদের ওপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে সন্দেশখালির কাছারি এলাকায় শাহজাহান শেখের এক ‘অনুগামী’র মাছের ভেড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বেড়মজুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও হাতে লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় মহিলারা। দখল হয়ে যাওয়া জমিজমা ফেরতের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি,শাহজাহানকে গ্রেফতারেরও দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতিতে ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বেলার দিকে পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সহ একাধিক জনকে আটক করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভে মহিলারা

    Sandeshkhali: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে ফিরে যেতেই অ্যাকশন মুডে চলে যায় পুলিশ। শুরু হয় গ্রাম জুড়ে ধরপাকড়। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ চেষ্টা করলে মুহূর্তের মধ্যে ছবি বদলে যায়। আগুনে ঘি ঢালার মতো পুলিশের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়ে। পুলিশের গাড়ির সামনেই গাছের গুঁড়ি ফেলে মহিলারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হাতে গাছের ডাল নিয়ে পথে নামেন মহিলারা। পুলিশ ভ্যানে সামনেই রাস্তায় শুয়ে পড়েন এক বৃদ্ধ মহিলা। সব মিলিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    এতদিন শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল। শুক্রবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দুজন তৃণমূল নেতার ওপর জনরোষ গিয়ে পড়ে। অজিত মাইতি নামে এক তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আর তৈয়ব মোল্লার ভেড়ির আলাঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) অশান্ত হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার আসেন। বিক্ষোভ দমাতে গ্রামবাসীদের আইন হাতে তুলে নিলে গ্রেফতারি করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সন্দেশখালি থেকে ডিজি ফিরে যাবার পরেই কার্যত অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। এলাকা জুড়ে একের পর এক ধর পাকড় শুরু হয়। বেড়মজুড় গ্রামের সাঁকোর এক প্রান্তে পুলিশ বাহিনী। অন্যপ্রান্তে গ্রামবাসীরা জড়ো হন। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। এক মহিলা বলেন, আমার ছেলে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। ভ্যান চালিয়ে খুব কষ্ট করে সে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে পুলিশ তাকে তুলে নিল। এটা পুলিশের কী আচরণ। এই পুলিশের গাড়ির সামনে মাটিতে শুয়ে এক গ্রামবাসী কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। চ্যাংদোলা করে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

    শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীকে না ধরে গ্রামবাসীদের ধরতে ব্যস্ত পুলিশ!

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দাদের বক্তব্য, ইডি-র ওপর হামলার পর থেকেই শাহজাহানের খোঁজ নেই। তাঁর অনুগামীরাও এলাকা ছাড়া। যারা এলাকায় এক সময় অত্যাচার করেছিল তাদের গ্রেফতার করার বিষয়ে পুলিশের কোন হেলদোল নেই। অত্যাচারীদের জন্যই সন্দেশখালির আজ এই চেহারা নিয়েছে। শাহজাহানকে না ধরে এখন গ্রামবাসীদের ধরতে ব্যস্ত পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর, বিক্ষোভ দমাতে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি ডিজি-র

    Sandeshkhali: ফের শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর, বিক্ষোভ দমাতে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি ডিজি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসময় যারা গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল, সেই শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও জ্বলছে সন্দেশখালি। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকায় লাঠি, বাঁশ-হাতে রাস্তায় নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি, তোয়েব মোল্লাদের বিরুদ্ধে জনরোষ আছড়ে পড়ল।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর (Sandeshkhali)

    শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে অশান্ত হতে শুরু করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। গ্রামবাসীদের জমি দখল করে ভেড়়ি করা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তোয়েবের বিরুদ্ধে জনতারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভেড়ির আলাঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে, সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর। বেড়মজুর এলাকার মানুষের অভিযুক্তদেরও তালিকায় প্রথম নাম রয়েছে তাঁর। শুক্রবার সকালে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতেই হামলার অভিযোগ ওঠে। বেড়ার পাঁচিল ভেঙে ফেলা হয়।  বাড়ির ভিতর ঢুকেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, একুশের নির্বাচনের পর থেকে ওই তণমূল নেতার দলবল আমাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালিয়েছে। বাড়িঘর দখল করেছে, জমি দখল করেছে, প্রতিবাদ করলেও মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে ব্যাপক মারধরও করা হয়েছে। এবার সেই ক্ষোভই আছড়ে পড়ল তৃণমূল নেতার পরিবারের ওপর। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূলনেতার স্ত্রীর বক্তব্য,  “আমার স্বামী কিচ্ছু করেনি। কোনও ভাঙচুর করেনি। সব ওরা গায়ের জোরে করছে। শাহজাহান শেখের সঙ্গে দল করে, এটাই ওদের রাগ।” আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “গ্রামবাসীদের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে আইনের শাসন মেনে নেব।

    সন্দেশখালিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি

    এদিকে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করল বসিরহাট জেলা পুলিশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। শুক্রবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি বলেন, আইন হাতে তুলে নেবেন না। যা অভিযোগ রয়েছে, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি এদিন বেড়মজুরে যান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন। জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনে গ্রামবাসীদের কথা বলিয়ে দেন।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi In Bengal: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এক সপ্তাহে বাংলায় ৩টি জনসভা মোদির

    Modi In Bengal: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এক সপ্তাহে বাংলায় ৩টি জনসভা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তাল সারা রাজ্য। আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছেছে রাইসিনা হিলস থেকে বিজেপির জাতীয় সম্মেলনে। এই আবহে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। তাও আবার ১ সপ্তাহের মধ্যেই করবেন ৩টি জনসভা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই রাজ্যে ভোটের দামামা বাজাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে প্রচারে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন মোদি। ব্যতিক্রম যে পশ্চিমবঙ্গ নয় তা প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) জনসভার সূচিতেই পরিষ্কার।

    কোথায় কোথায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী?   

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের আগে আরামবাগেই তাঁর প্রথম সভা হতে চলেছে। আগামী ১ মার্চ রাজ্যে আসার কথা নরেন্দ্র মোদির (Modi In Bengal)। সেদিনই তিনি জনসভা করবেন আরামবাগে। এরপর ২ মার্চ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সভা করার কথা রয়েছে। তৃতীয় জনসভার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে আগামী ৬ মার্চ বারাসতে। রাজনৈতি পর্যবেক্ষকদের মতে, কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে বিজেপির বরাবরই নিজস্ব ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। এই আসন থেকেই পরপর দু বার জয়ী হয়েছিলেন সত্য়ব্রত মুখার্জি ওরফে জুলু বাবু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে খুব অল্প ব্য়বধানে কৃষ্ণনগর আসনে পরাস্ত হন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। এবার তাই কৃষ্ণনগর আসনটিতে বিশেষ নজর দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব (Modi In Bengal)। অন্যদিকে গত নির্বাচনে ১২০০ ভোটের ব্যবধানে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয় বিজেপির। সেটিও লক্ষ্য রেখেছে গেরুয়া শিবির। তাই এই হাইভোল্টেজ সভা।

    সন্দেশখালির নির্যাতিতারা মুখ ঢেকে হাজির থাকবেন বারাসাতের সভায়!

    আগেই জানা গিয়েছিল, ৬ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বারাসাত থেকে বসিরহাট কাছেই। সন্দেশখালির আবহে মোদির বারাসত সফরকে আলাদা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, অত্যাচারিত মহিলাদের হাজির করানো হবে প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) সভায়। রাজ্য বিজেপির পরিকল্পনা, বারাসাতের সভায় সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’-দের  আলাদা মঞ্চ করে বসানো হবে। সেখানে মুখ ঢেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হবেন তাঁরা।

    কী বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এখনও অবধি যে সম্ভাবনা তাতে আগামী ১ মার্চ ও ২ মার্চ উনি আসতে পারেন। দু’টি জায়গায় সভা করতে পারেন তিনি। ৬ মার্চ বারাসতেও তিনি আসবেন। সন্দেশখালির মহিলাদেরও আমরা নিয়ে আসব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাব। প্রধানমন্ত্রীর সভাতে ওনারা থাকবেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ওনারা। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর (Modi In Bengal) সঙ্গে দেখা করতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা ওনাদের কথা পৌঁছে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান’, কংগ্রেসের অফিসে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টারে শোরগোল

    Sheikh Shahjahan: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান’, কংগ্রেসের অফিসে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টারে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী শাহজাহান (Sheikh Shahjahan), তোমাকে জানাই স্যালুট, সুশীল নাগরিকবৃন্দ’। এমনই পোস্টার লক্ষ্য করা গেল কংগ্রেসের কার্যালয়ে। গত বুধবার পার্টি অফিসের সামনে পাঁচিলের লোহার গ্রিলে লাগানো এই পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার শহরের মধ্যেই। পোস্টারের এমন ব্যঙ্গাত্মক টিপ্পনী দেখে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, এই বিষয়ে দলের কোনও ভূমিকা নেই। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি দেড় মাস পরে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করলেও এখনও গ্রেফতার হননি শাহজাহান। উল্টে আরও নটি জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু দত্ত বলেন, “আমাদের জেলার দলীয় দফতরটি শহরের এমন একটি স্থানে যে সেখানে অনেক মানুষ যাতায়াত করেন। তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তবে এই পোস্টারের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আলিপুরদুয়ার শুধু নয়, গোটা বাংলার মানুষের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রবল অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় জেলার তৃণমূল নেতা মৃদুল গোস্বামী বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের সঙ্গে এই রাজ্যে কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট করেছে। কিন্তু কংগ্রেসের পার্টি অফিসে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) এই ধরনের পোস্টার এবং ব্যানার অত্যন্ত অনভিপ্রেত। কংগ্রেস বিজেপির হয়ে কাজ করছে। শাসক দলকে বদনাম করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় আলিপুরদুয়ার বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, “রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের শাসনে রয়েছে। তৃণমূল চাইলে পুলিশকে দিয়ে সন্ধান করুক এই ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে। শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ঘিরে ব্যানার এবং পোস্টারে স্পষ্ট হয়েছে যে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের উপর ব্যাপক ভাবে ক্ষুব্ধ। আর তাই তৃণমূল ভয় পেয়ে সব কিছুর মধ্যে বিজেপির ভূত দেখছে। ওই দুষ্কৃতীর গ্রেফতার চাই।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share