Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sandeshkhali: দেড় মাস পর সন্দেশখালিতে রাজীব কুমার, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে নীরব

    Sandeshkhali: দেড় মাস পর সন্দেশখালিতে রাজীব কুমার, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে নীরব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ফিরে এলেন কলকাতায়। তাঁর দু’দিনের সন্দেশখালি সফর শেষ হল। কিন্তু যে প্রশ্নে গোটা রাজ্য উত্তাল, যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায়নি কলকাতা হাইকোর্টও, সেই শাহজাহান শেখ (Sandeshkhali) নিয়ে রা কাড়লেন না। আশ্বাসও দিতে পারলেন না যে, তাঁকে খুব শিগগির গ্রেফতার করা হবে। সাংবাদিকরা যতবারই জিজ্ঞাসা করেছেন, তাঁর উত্তর সেই একই, দোষীরা গ্রেফতার হবে। এদিন তিনি পিডব্লিউডি’র বাংলো থেকে লঞ্চ পেরিয়ে ধামাখালি জেটিঘাটে আসেন। সেখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি সেই একই কথা বলেন, “এলাকায় এলাকায় ঘুরলাম, অভিযোগ শুনলাম, যারা দোষী তারা সবাই গ্রেফতার হবে।”

    কী করলেন দু’দিন ধরে?

    সন্দেশখালিতে ইডি’র ওপর হামলা হয়েছিল প্রায় দেড় মাস আগে। তারপর সেখানে কত ঘটনাই না ঘটেছে। মহিলাদের বিক্ষোভ থেকে নেতাদের যাতায়াত, বিরোধীদের বাধাদান ইত্যাদি। কিন্তু রাজ্য পুলিশের মাথায় বসে থাকা এই কর্তার সেখানে যাওয়ার সময় হয়নি। অবশেষে গেলেন ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করার মতো কিছুই বলতে পারলেন না। সন্দেশখালিতে রাজীব কুমারের সঙ্গে ছিলেন এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সুপ্রতীম সরকার ও বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি থানায় বৈঠক বসেন ডিজি। সেখান থেকে তিনি কিছু এলাকা ঘুরেও দেখেন।

    বুধবার দুপুরে ধামাখালি থেকে লঞ্চে করে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পৌঁছন ডিজি-সহ পদস্থ পুলিশ কর্তারা। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলার প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতেও নাকি ডিজির এই সফর। গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। তবে বুধবার সকাল থেকে নতুন করে কোনও গোলমালের খবর ছিল না। সন্দেশখালির ফেরার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। তারপর থেকে সামনে এসেছে একের পর এক অভিযোগ। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন একাংশ গ্রামবাসী। সম্প্রতি অভিযোগের ভিত্তিতে শিবু এবং উত্তমের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগও আনে পুলিশ। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। তবে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও ফেরার। শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে ঘটনার পর থেকেই। কিন্তু ডিজি’র কাছে তার উত্তর মিলল না। 

    সাংবাদিক সম্মেলন করলেন না

    বুধবার রাত পর্যন্ত সন্দেশখালির আনাচে কানাচে টহল দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ফের সন্দেশখালি টহল দিতে দেখা যায় তাঁকে। এদিন সকালে পূর্ত দফতরের বাংলো থেকে বেরিয়ে ধামাখালি লঞ্চের দিকে যান তিনি। আবার ফিরে আসেন সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, মানুষ যেন প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেন, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন। যাঁরা আইন ভেঙেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে। এদিন তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু বোধহয় বিতর্কিত প্রশ্ন এড়াতে সে পথেও গেলেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে হাওড়া (Howrah) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার তিনি চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “পাঁচলায় জমি মাফিয়াদের রাজ চলছে। সেখানে জমি চুরি হচ্ছে, লুট চলছে। তার প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। সেই কারণে তাঁদের মারধর করা হয়, শ্লীলতাহানি করা হয়। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে যায় বিজেপি। মঙ্গলবার থানার সামনে বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি পুলিশের মনোভাব ও ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। এক পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলে মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আসলে সন্দেশখালি থেকে মানুষের চোখ ঘোরানো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর রিয়্যালিটি শো-এর শ্যুটিংয়ে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সুকান্তর কটাক্ষ ‘বিনাশ কালে বুদ্ধি নাশ’।”

    পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর (Howrah)

    এক আক্রান্ত মহিলার গোপন জবানবন্দির প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে নিয়ে আসার ব্যাপারে পুলিশের পেশাগত বিষয়কে কটাক্ষ করেন তিনি (Howrah)। এদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহান যতদিন না গ্রেফতার হবে, ততদিন চলবে আন্দোলন। ‘শেখ শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২৬ থেকে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় ধর্না চলবে বিজেপির।” এছাড়াও তিনি সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) প্রসঙ্গেও বলেন, “সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরকবাস।”

    মমতাকে আক্রমণ প্রিয়াঙ্কার (Howrah)

    বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, “সন্দেশখালিতে দিদির কেউ নেই। তাই তিনি সেখানে যাওয়ার সময় পাননি। তিনি হাওড়ার ডুমুরজলায় একটি রিয়্যালিটি শো-এ এসেছেন। যদি কালীঘাটে দিদির পরিবারের কারোর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তাহলে কি তিনি চুপ থাকতেন। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে রাতের বেলায় মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দিদির কেউ নয় ওরা। দিদির কালীঘাটে পরিবার আছে, অভিষেক আছে, অভিষেকের স্ত্রী আছে। তাদের সঙ্গে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তখন দিদি কি চুপ থাকতে পারতেন।” প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আরও বলেন, “গত বিধানসভা ভোটে সবাই বিজেপিকে চেয়েছিল। সবাই বলছে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। কিন্তু সরকার তৃণমূলের। কারণ বুথে বুথে দিদির গুন্ডাবাহিনী ছিল।” বুধবার হাওড়া হাসপাতালে হাওড়ার পাঁচলাকাণ্ডে (Howrah) আহত মানুষদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলি বলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ

    Siliguri: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ করা হল। বুধবার শিলিগুড়ির (Siliguri) ঝংকার মোড় এলাকার একটি মন্দিরে মা ভবানীর আরাধনায় এলাকার নারী-পুরুষকে নিয়ে এই যজ্ঞের উদ্যোক্তা বঙ্গীয় হিন্দু সমাজ। মন্দিরে দেবী মূর্তির সামনে দু’জন পুরোহিত এই হোম-যজ্ঞ করেন। তাতে অংশ নেন প্রায় ১০০ জন নারী ও পুরুষ।

    কেন এই যজ্ঞ? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বঙ্গীয় হিন্দু সমাজের সভাপতি বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের অসুর বাহিনী মহিলাদের সম্মান ভুলুন্ঠিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় নোয়াখালির পর সন্দেশখালির নাম উঠে এসেছে। এটা আমাদের সকলের লজ্জা। এই ঘটনায় সন্দেশখালি মহিলারা অবশেষে তৃণমূল নেতা শাহজাহান অসুর বধে ঝাড়ু-লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। সাহস নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে মুখ খুলেছেন। কিন্তু, যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ততদিন এ লড়াইয়ে জয় আসবে না। যখন কোনও কিছুতে ভরসা পাওয়া যায় না তখন আমরা ঈশ্বরের শরণাপন্ন হই। সেই জায়গা থেকে আমরা এদিন হোম-যজ্ঞ করলাম। যাতে সন্দেশখালির শাহজাহান অসুর বাহিনী বধে সেখানকার ‘ দুর্গা’দের অর্থাৎ নারীশক্তির শক্তিবৃদ্ধি হয়, তাঁরা ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে সন্দেশখালির মা-বোনেদের জয় হয়। শাহজাহান ‘অসুর’ বাহিনীর কঠোর শাস্তি হোক আমরা চাই।

    যজ্ঞের মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চাইছে বঙ্গীয় হিন্দু সমাজ?

    গোটা রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নয়। আদিবাসী সহ সাধারণ মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে তৃণমূলের রাজত্বে। একথা জানিয়ে বিক্রমাদিত্য মণ্ডল আরও বলেন, এই যজ্ঞের মধ্য দিয়ে আমরা এই বার্তা দিতে চাইছি, সন্দেশখালির মতো রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার নিরাপত্তার জন্য আমরা পাশে রয়েছি। সর্বত্র নির্যাতিতারা যেন সন্দেশখালির মা-বোনেদের মতো সাহস নিয়ে তৃণমূলের অসুরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তির জন্য আমরাও আন্দোলনে রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর চোখের মণিতে গুলি! অভিযুক্ত শাহজাহানের ফাঁসি চান স্ত্রী

    Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর চোখের মণিতে গুলি! অভিযুক্ত শাহজাহানের ফাঁসি চান স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali), ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। জমিজমা, বাড়ি-ঘর, চাষের জমি থেকে শুরু করে মাছের ভেড়ি লুট করে অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু-উত্তমরা। শুধু তাই নয়, নিজেদের শারীরিক চাহিদা মেটাতে বাড়ির সুন্দরী বউদের রাতবিরেতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন যৌননিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামের মহিলারা। ঠিক একই অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে দেয় ২০১৯ সালে এক বিজেপি কর্মীর নির্মম হত্যার ঘটনা। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হলেন এবার বিজেপির নির্যাতিত পরিবার। চোখের মণিকে লক্ষ্য করে পরপর ৮টি গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডলকে। এখন নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী কঠোর শাস্তি চান এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    জামাইষষ্ঠীর দিনেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড (Sandeshkhali)

    নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে স্বামীহারা পত্নী এদিন বলেন, “দিনটি ছিল ২০১৯ সালের জামাইষষ্ঠী। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৫৬ নম্বর বুথের হাটগাছি অঞ্চলের ঘটনা। শেখ শাহজাহান প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার লোক নিয়ে আক্রমণ করে আমাদের বাড়িতে। চারজন পুলিশ অন ডিউটি ছিল। আমার স্বামী প্রদীপকে লক্ষ্য করে চোখের মণিতে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। শরীরের সব জায়গায় অজস্র ভোজালির কোপ। আমার স্বামী এই ভয়ানক অত্যাচারের শিকার হন। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হলেন শেখ শাহজাহান, কাদের মোল্লা, আখের আলি গাইন, জিয়াউদ্দিন মোল্লা, আইফুল মোল্লা সহ আরও অনেকে।” কিন্তু পরে মামলার চার্জশিট হলে নিহত প্রদীপবাবুর স্ত্রী বলেন, “সিআইডি মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে, এফআইআর-এ এক নম্বরে নাম ছিল শাহজাহানের। কিন্তু এই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ষড়যন্ত্র করে। খুব নগণ্য দুই ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছে। আর তাই সিআইডি-কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    শাহজাহানের ফাঁসি চাই

    কিন্তু কেন স্বামীকে এইভাবে খুন হতে হল? প্রশ্ন প্রদীপের স্ত্রীর। প্রদীপ মণ্ডল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভায় হাটগাছি অঞ্চলে বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। এই নির্বাচনের ফলাফলের পরই শাহজাহান বাহিনী আক্রমণ করে। স্বামীর এই নৃশংস হত্যার পর নিহত প্রদীপের স্ত্রী আতঙ্কে ছিলেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন প্রদীপের স্ত্রী। সেখানে মাছের ভেড়িতে ফিশারি চালাতেন। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনের ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে তাঁদের ফিশারিতে ব্যাপক লুটপাট চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা। এরপর বাড়িছাড়া হন তাঁরা। দুই সন্তান নিয়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে আছেন তাঁরা। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চান নিহত বিজেপি কর্মী প্রদীপবাবুর পত্নী।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “পানীয় জলের টাকাও হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবু”, শাস্তির দাবি গ্রামবাসীদের

    Sandeshkhali: “পানীয় জলের টাকাও হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবু”, শাস্তির দাবি গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল দুষ্কৃতীরা পানীয় জলটুকুও দেয়নি বলে অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক হয়েছেন গ্রামের প্রতিবাদী মহিলারা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দাড়ির জঙ্গলের মানুষের পানীয় জল আনতে যেতে হয় প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে। বাড়ির কাছে কল বসলেও এক বছরের বেশি সময় ধরে জল আসছে না বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। ঘরে ঘরে জল পৌঁছানোর প্রকল্পের গোটা টাকাটাই হজম করে নিয়েছে তৃণমূলের পলাতক নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর অনুগামী শিবু-উত্তমরা।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ কী (Sandeshkhali)?

    এলাকার মানুষের অভিযোগ, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরকারি জলের প্রকল্পের গোটা টাকা হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবুরা। গ্রামবাসীরা হাতেনাতে প্রমাণ দিয়ে বলছেন, “এই যে কল আছে, পাইপ আছে কিন্তু নেই জল। সন্দেশখালির বিরাট এলাকা জুড়ে একই অবস্থা। এলাকার মানুষের পানীয় জলের সুবিধার কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন এবং তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। গ্রীষ্মের গরমে এই জলের সঙ্কটে হাহাকার ব্যাপক মাত্রা নেবে। কিন্তু প্রশাসনকে বলে কী লাভ? প্রশাসন চলে শাহজাহানের কথায়।”

    মুখ খুললেই রক্ষা নেই

    এলাকার (Sandeshkhali) বাসিন্দাদের বক্তব্য হল, “এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু জল নেই। আগেও পাইপ বসানো হয়েছিল কিন্তু জল নেই। মাত্র একটাই টিউবওয়েল। আর এলাকার ১০০টি পরিবার জল খায়। এলাকার নেতা হলেন শিবু-উত্তম। অভিযোগ, সমস্যার কথা বলে বলে লাভ নেই। রাত হলেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে ওরা। মুখ খুললেই রক্ষা নেই। আমরা নিরুপায়।”

    শিবু-উত্তমরাই মেরে খাচ্ছে টাকা

    আরও এক বাসিন্দা (Sandeshkhali) বলেন, “এলাকায় জলের ভীষণ সমস্যা। পানীয় জল নেই। অনেক দূর থেকে জল আনতে হয়। নির্বাচনের সময় নিজেদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য ভোট দিতে দেয় না এই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমাদের জন্য সরকারের বরাদ্দ টাকা শিবু-উত্তমরাই মেরে খাচ্ছে। পানীয় জলের টাকা, ঘরের টাকা সব কিছু লুট করেছে এই তৃণমূলের নেতারা। গ্রেফতার হয়েছে, এবার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই ওদের।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছালেন শুভেন্দু, ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে নেতাকে বরণ

    Suvendu Adhikari: অবশেষে সন্দেশখালি পৌঁছালেন শুভেন্দু, ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে নেতাকে বরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)  সন্দেশখালির পথে রওনা দেন। যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে পারেন বলে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন। তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি হল। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে শুভেন্দু অধিকারী কে আটকালো পুলিশ। সেখানেই দলের অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে যান বিরোধী দলনেতা। সন্দেশখালি যেতে বাধা নেই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দু ঢুকতে পারবেন সন্দেশখালি। শুভেন্দুর সঙ্গে কেবল যেতে পারবেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। আদালতের অনুমতি পেতেই শঙ্কর ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি যান। বিরোধী দলনেতা বললেন, “এটি সংবিধানের জয়।” আর শুভেন্দু সন্দেশখালির পথে যেতেই উচ্ছাসে ফেটে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা।

    শাঁখ বাজিয়ে শুভেন্দুকে বরণ সন্দেশখালিতে (Suvendu Adhikari)  

    সন্দেশখালি পৌঁছতেই ফুল ছড়িয়ে, শাঁখ বাজিয়ে বরণ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। মানুষের ভিড়ে কার্যত এগোতে পাচ্ছেন না তিনি। টোটোয় চড়ে গ্রামের মানুষের কাছে যান বিরোধী দলনেতা। শোনেন অভাব অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী গ্রামে প্রবেশ করতেই বেরিয়ে এলেন বাড়ির মহিলারা। নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানালেন বিরোধী দলনেতাকে। একই সঙ্গে বরণ করে নিলেন তাঁকে। কেউ কেউ আবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। শুভেন্দু তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা এখন কেমন আছেন? লড়াই চালানোর বার্তাও দিলেন বিরোধী দলনেতা। এরপর সন্দেশখালির মাটিতে বসে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, শাহজাহান সিপিএমের প্রোডাক্ট। এর আগে বৃন্দা কারাট শাহজাহানের সঙ্গে মিটিং করে গিয়েছেন। বামেদের নিচুতলার কর্মীরা বিজেপিকে সমর্থন করে। জানা গিয়েছে, আদালতের অনুমতি পেতেই বৃন্দা কারাট ও সিপিএম-এম মহিলা ব্রিগেডও সন্দেশখালিতে যায়।

    সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আসার আগে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্দেশখালিতে নতুন করে ১২টা জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে জানালেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার   মেহেদী হাসান রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সন্দেশখালি থানার পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯ টি পয়েন্টে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে চারটি জায়গা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। জানা গেছে , মঙ্গলবা আবার নতুন করে ১২টি জায়গায় ফের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে মোট ২৭ টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali:  ‘রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই’, সন্দেশখালি ঘুরে মত জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের

    Sandeshkhali: ‘রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই’, সন্দেশখালি ঘুরে মত জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) । রাস্তায় বেরিয়ে গর্জে উঠেছেন নির্যাতিতা মহিলারা। সোমবার অসহায় সেই নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা সহ তিনজনের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যান। নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়েছেন। আতঙ্কিত মহিলারা রেখা শর্মার কাছে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানিয়েছেন।

    নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বললেন রেখা শর্মা? (Sandeshkhali)

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সন্দেশখালির আগেই আটকে দেওয়া হয়। সুকান্তর ওপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর আগে তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেখানে সন্দেশখালির মানুষের সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে তিনি সওয়াল করেন। এমনকী সন্দেশখালি থেকে ফিরে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করা হয়। সোমবার দুপুরে  জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা সোজা সন্দেশখালি পৌঁচ্ছে যান। সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, দাসপাড়া, কান্ডার পাড়র মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। যারা দীর্ঘদিন অভিযোগ করছিলেন, সেখানে অত্যাচার হয়েছে তার রিপোর্ট নিয়ে সোজা সন্দেশখালি থানায় যান। এদিন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে সেই রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষেই সওয়াল করলেন এলাকার মহিলারা।

     জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন কী বললেন?

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, আমি নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভয়াবহ অবস্থা। দুটি ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। শ্লীলতাহানির অভিযোগও অনেকে করেছে। কিন্তু, তাঁরা যা বলেছেন তা ভাবা যায় না। দিনের পর দিন মহিলাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। ১৮টি অভিযোগ পেয়েছি। যার সাহস করে মুখ খুলেছেন তাদেরকেও পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে। এই ধরনের অভিযোগও আমার সামনে এসেছে। আমাকে ধরে মহিলারা কাঁদছেন। আস্থা নেই পুলিশে। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই।

    <

    p style=”text-align: justify;”> 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    Sandeshkhali: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডি আধিকারিকরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন। তারপর থেকে বিভিন্ন ঘটনায় গত দেড় মাস ধরে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। পরিস্থিতি সামাল দিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য রবিবার থেকে সন্দেশখালির বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকছে সেই ক্যাম্প। সরকারি আধিকারিকরা সেখানে থাকছেন। সংগ্রহ করা হচ্ছে অভিযোগ। সকাল সাধারণ মানুষের বক্তব্য সেই অভিযোগের খাতায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে।

    কী অভিযোগ জানালেন বাসিন্দারা? (Sandeshkhali)

    গত কয়েক দিনের গণআন্দোলনে গোটা দেশ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের দৌরাত্ম্যের কথা জেনে গিয়েছে। শাহজাহানের শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিষ্টি জলের পুকুরে তাঁরা নোনাজল ঢুকিয়ে দিয়েছেন, জমি কেড়ে নিয়েছেন, লিজের টাকা দেননি, ভেড়িতে কাজ করার টাকা দেননি। কেউ বলছেন, আমি ৪০ হাজার টাকা পাই, কেউ বলছেন ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা পাই। টাকার কথা বললে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। সরকারি অফিসাররাও এমন সব অভিযোগ শুনে চমকে যাচ্ছেন। বিনিময়ে চাকরির দুর্নীতি হয়েছে। দেশবাসী নিশ্চয়ই এগুলি ভুলে যাননি।’ অভিযোগ শুনে হতবাক হয়ে যান অফিসাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সন্দেশখালির এক বাসিন্দা এদিন ওই ক্যাম্পে হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছ থেকে উত্তম সর্দার ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। উত্তম বলেছিলেন, একমাস পরে আমাকে ফেরত দিয়ে দেবেন। তারপর আর আমি সেই টাকা পাইনি।’ ওই ব্যক্তির আরও অভিযোগ, জবকার্ডের জন্য তাঁর অ্যাকাউন্টে ২৪ হাজার টাকা ঢুকেছিল। তার মধ্যে ২২ হাজার টাকাই উত্তমকে দিয়ে দিতে হয়েছিল।

    সরকারি আধিকারিক কী বললেন?

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিডিও অফিসের এক আধিকারিক বলেন, ‘কলকাতা শহরের থেকে সামান্য দূরত্বে এই সন্দেশখালি। এলাকার মানুষের এত দুর্দশা! অথচ আমরা এতদিন তা জানতামই না। এবার সব বুঝতে পারছি। সকাল থেকে একের পর এক অভিযোগ এসেছে। ওই সব অভিযোগ শুনে আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি। সমস্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হবে।’

    মিষ্টি-মাংসের দোকানে বাকি শিবু-উত্তমের!

    শুধু তাই নয়, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকার বিভিন্ন পোশাকের দোকান, মিষ্টি দোকান, মাংসের দোকানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, সেসব দোকানে শিবু, উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার  টাকা বাকি রয়েছে। টাকা চাইলেই হুমকি শুনতে হত। ওই দোকানদাররা সেই খাতা নিয়ে ক্যাম্প অফিসে চলে আসছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘ক্যাম্প খোলা হয়েছে সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য। অভিযোগ জানাতে অনেকেই আসছেন। কেউ বলছেন টাকা পাননি, কেউ বলছেন, টাকা চাইলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কথা বলতে বলতে অনেকেই কেঁদে ফেলছেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পরপর দু’বার সংসদ রত্ন পুরস্কার পেলেন সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: পরপর দু’বার সংসদ রত্ন পুরস্কার পেলেন সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের পর ফের এই বছর। সংসদ রত্ন পুরস্কার পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংসদ রত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি সুকান্ত। রবিবার তাঁর বাড়ি এসে সেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদের হাতে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি ড: এপিজে আবদুল কালামের পরামর্শেই ‘সংসদ রত্ন’ সম্মান চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমান সময়ে কমিটির শীর্ষে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্যসভাপতি (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, ‘‘২০২৪-এর সংসদ রত্ন সম্মানে ভূষিত হয়ে আমি অভিভূত। দিল্লিতে ১৭ তারিখ আয়োজিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমি শারীরিক কারণে উপস্থিত না থাকতে পারায়, আজ আমার বাসভবনে প্রাইম পয়েন্ট ফাউন্ডেশন এই আয়োজন করেন। ওনাদের সকলকে আমার বিনীত ধন্যবাদ, আমাকে এই সম্মানে সম্মানিত করার জন্য।’’

    আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মেয়াদ বাড়ল নাড্ডার

    সাংসদদের পারফরম্যান্সের ওপরে ভিত্তি করে দেওয়া হয় এই পুরস্কার দেওয়া হয়

    প্রসঙ্গত, লোকসভায় সাংসদদের উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সের ওপরে ভিত্তি করে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সংসদের অধিবেশনে প্রাইম পয়েন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা এই পারফরম্যান্স বিচার করে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় যেতে চেয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। কিন্তু মাঝপথে তাঁর সঙ্গে পুলিশের বচসা বাঁধে, সেই বচসা খণ্ডযুদ্ধে পরিণত হয়। এরপর বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুকান্তকে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। এই সময়ের মধ্যেই সংসদ রত্ন পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান ছিল। তাই তিনি যেতে পারেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জের! পুলিশের পোশাক পরে মহিলার বাড়িতে হামলা

    Sandeshkhali: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জের! পুলিশের পোশাক পরে মহিলার বাড়িতে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পর উচ্ছ্বাসে মেতে ছিলেন সন্দেশখালিবাসী। আর শনিবার রাতেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এক নির্যাতিতার বাড়়িতে পুলিশ পোশাক পরে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতা মহিলার। ফলে, নতুন করে আতঙ্ক আবার দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, শিবু হাজরা লোক বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়ে আসার পর থেকে রেহাই নেই! শনিবার সন্দেশখালিতে ছিল উৎসবের মেজাজ। মানুষে মিষ্টি মুখ করেছেন। কিন্তু রাতেই জানান দিল সন্ত্রাস! বসিরহাট আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়া ওই মহিলার বাড়িতে পুলিশের পোশাকে ঢুকে হামলার অভিযোগ উঠল। শিবু হাজরার গ্রেফতারির রাতেই বাড়িতে চলল হামলা। বেড়ার ঘরের দেওয়াল ফুটো করে দেখা হল, ঘরের ভিতরে কোন মহিলা শুয়ে? কিন্তু পুলিশের পোশাকে কেন হামলা? পুলিশের বক্তব্য, পুলিশই এসেছিল, তবে মহিলার নিরাপত্তার জন্য। জানা গিয়েছে, রাতের ওই ঘটনার পর রবিবার ওই মহিলার বাড়িতে আন্দোলনকারীরা আসেন। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, এখনও আমরা নিরাপদ নই। পুলিশ কোথায়? এই বাড়ির গলি ঘুরতেই পুলিশ ক্যাম্প! আমাদের আতঙ্কের কোনও শেষ নেই। ভীষণভাবে আতঙ্কিত গ্রামের মহিলারা। মহিলারা এখন মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। আসলে এভাবে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে ওরা।

    নির্যাতিতা মহিলা কী বললেন?

    নির্যাতিতা মহিলার বক্তব্য, গোপন জবানবন্দি দেওয়া আমার অপরাধ। রাতেই পুলিশ পোশাক পরে বাড়িতে চড়াও হয়। দেওয়াল ফুটো করে দেওয়া হয়। ঘরের মধ্যে টর্চ মেরে আমি রয়েছি কি না দেখা হয়। এভাবে পুলিশ বাড়ির ভিতর ঢুকে তাণ্ডব করতে পারে। আসলে পুলিশের আড়ালে কারা ছিল তা তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ, আমাকে সামনে পেলেই হামলা হত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share