Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sandeshkhali: বিজেপি-র মহিলা মোর্চাকে বাধা! শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দিল জনতা

    Sandeshkhali: বিজেপি-র মহিলা মোর্চাকে বাধা! শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দিল জনতা

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার বাধা দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। শুক্রবার সন্দেশখালি পথে রওনা দেন বিজেপি-র মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা। লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতৃত্ব সন্দেশখালির পথে এদিন রওনা দেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভোজেরহাট এলাকায় দিয়ে তাঁদের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা। ভোজেরহাট এলাকায় পুলিশ তাঁদে বাধা দেয়। আর মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি যেতে পারেননি। বিজেপি-র প্রতিনিধিদের যখন ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তখন সন্দেশখালি জ্বলছে। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথাও বলেন।

    শাহজাহান অনুগামীর ভেড়ির আলাঘরে আগুন (Sandeshkhali)

    বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিনের মাছের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার  কাছাড়ি এলাকায় শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত তৈয়েব খানের মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়ে খাক। স্থানীয়দের বক্তব্য, তৈয়েব এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি করেছিলেন। কাউকে কোনও টাকাপয়সা দেননি। চাইতে গেলে হুমকি দিতেন। ফলে, বহুদিন ধরেই শাহজাহানের এই অনুগামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা়ড়ছিল। শুক্রবার কার্যত বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, শাহজাহানের পাশাপাশি তাঁর অনুগামীরাও এলাকায় তাণ্ডব চালাত। ভয়ে আমরা কেউ কথা বলতে পারতাম না। নিজেদের স্বার্থের তারা জমি দখল করে রাখত। ইডি-র ওপর হামলার পর শাহজাহান ফেরার হয়ে যায়। তাঁর অনুগামীরাও সব বেপাত্তা হয়ে যান। এর আগে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন মহিলারা। শাহজাহানের ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এতদিন অসহায় গ্রামবাসীরা যে  অত্যাচার চালিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন এলাকাবাসী। আলঘর পুড়িয়ে দিয়ে শাহজাহান অনুগামীকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। যদিও পরে, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ed Raid: শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ, সকাল থেকেই একাধিক জায়গায় ইডি’র তল্লাশি

    Ed Raid: শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ, সকাল থেকেই একাধিক জায়গায় ইডি’র তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জানুয়ারি থেকে লুকিয়ে রয়েছেন সন্দেশখালির তথাকথিত বাঘ। সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল হোতা শেখ শাহজাহান এখনও বেপাত্তা। ২৯ ফেব্রুয়ারি ইডি (Ed Raid) তাঁকে ফের তলব করেছে। এই আবহে এবার তাঁর বিরুদ্ধে নয়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডি ইসিআইআর দায়ের করেছে জমি দখল এবং পুরনো একটি খুনের মামলায়। শুক্রবার সকাল থেকেই শেখ শাহজাহানের খোঁজে তল্লাশিতে নামে ইডি। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান চলছে। হাওড়া থেকে কলকাতার বিজয়গড় সহ ৬টি স্থানে চলছে তল্লাশি। সকাল ৭টা থেকেই শুরু হয়েছে তল্লাশি। ইডি আধিকারিকদের (Ed Raid) সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও।

    হাওড়া ও বিজয়গড়ে দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি

    হাওড়ার হালদারপাড়ায় পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে পার্থপ্রতিম চিংড়ি মাছের ব্যবসাও করতেন। এর পাশাপাশি বিজয়গড়ে তল্লাশি চলছে আর এক ব্যবসায়ী অরূপ সোমের বাড়িতেও। ইডি (Ed Raid) সূত্রে জানা গিয়েছে, অরূপের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল শাহজাহানেরও।

    শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবি জোরালো হচ্ছে

    শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি ক্রমশই জোরাল হচ্ছে। তাঁর ভাইয়ের ভেড়ি গতকালই জনরোষের মুখে পড়েছিল। এদিন শেখ শাহজাহানের আগাম জামিন মামলার শুনানি রয়েছে (Ed Raid)। আবার শাহজাহানকে চতুর্থবারের জন্য তলবও করেছে ইডি। এর আগে তিনবার ইডি তাঁকে তলব করলেও, প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার বিজেপির মহিলা মোর্চার একটি প্রতিনিধি দলের যাওয়ার কথা রয়েছে সন্দেশখালিতে। বিজেপি সূত্রে খবর, ওই দলে থাকবেন অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। পুলিশি বাধার মুখে বিজেপি দল যে পড়তে পারে, তা মনে করছেন অনেকেই।

    আরও পড়ুন: রেশন-দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানকে ফের ইডির তলব, এই নিয়ে চতুর্থবার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রাতেই রাজভবনে সুকান্ত, পুলিশি নির্যাতন নিয়ে সরাসরি অভিযোগ রাজ্যপালকে

    Sandeshkhali: রাতেই রাজভবনে সুকান্ত, পুলিশি নির্যাতন নিয়ে সরাসরি অভিযোগ রাজ্যপালকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার বাইরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ধরনা, অবস্থান-বিক্ষোভ এই সমস্ত কিছুর পরেই গ্রেফতার হতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের পরে সোজা তিনি আসেন রাজভবনে। রাত সাড়ে নটা নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সমেত অন্যান্যরা। কী কথা হল রাজ্যপালের সঙ্গে? তা নিজেই জানালেন রাজভবন থেকে বের হয়ে। বালুরঘাটের সাংসদ বললেন, ‘‘আমাকে টেনে হিঁচড়ে (Sandeshkhali) পুলিশ আজ যা করল, সঙ্গে আমার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশ আজ যে ব্যবহার করেছে, পুরো বিষয়টি রাজ্যপালের সামনে তুলে ধরেছি।’’

    ভয়ঙ্কর সন্দেশখালি

    ভয়ঙ্কর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আপনি ভাবলে অবাক হয়ে যাবেন, আপনার নামে জমি, কিন্তু আপনার কোনও অধিকার নেই সেই জমির উপর। আমি নিজের চোখে দেখে এলাম। সেখানে অন্য একজন ভেড়ি বানিয়ে মাছ চাষ করে খাচ্ছে, এক পয়সাও পরিবর্তে দিচ্ছে না। কলকাতা থেকে যেতে দু’ঘণ্টাও সময় লাগে না। রাজ্যের রাজধানীর উপকণ্ঠে যদি এই অবস্থা হয়, কোন জায়গায় আমরা বাস করছি!’’

    শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ

    শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার বাইরে অবস্থানে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘণ্টা দেড়েকেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছিল সেখানে। এরপরই থানার ভিতর থেকে বিশাল পুলিশবাহিনীকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। টেনে হিঁচড়ে আটক করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এনিয়ে বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘তৃণমূলের কোনও নেতা পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করতে পারে না। যেভাবে আমাদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে আসা হল… এই পুলিশ এটাই পারে। শুধুমাত্র বিরোধীদের উপর, বিজেপির উপর এই ধরনের অত্যাচার করতে পারে। শেখ শাহজাহানকে ধরার সময় পুলিশের এই সক্রিয়তা দেখা যায় না।’’ 

    লঞ্চে করে সুকান্তকে নিয়ে চড়কিপাক খেতে থাকে পুলিশ

    গ্রেফতারির পরে সুকান্ত মজুমদারকে টোটোয় চাপিয়ে পুলিশ চলে আসে ধামাখালি ঘাটে। সেখানেই পুলিশের একটি লঞ্চে চাপানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এমভি বাগদাদ নামের ওই লঞ্চে সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের নিয়ে মাঝ নদীতে চড়কিপাক খেতে থাকে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের পর ভাই সিরাজ! তাঁর বিরুদ্ধেও জনরোষ, পথে মহিলারা

    Sandeshkhali: শাহজাহানের পর ভাই সিরাজ! তাঁর বিরুদ্ধেও জনরোষ, পথে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মতো এবার প্রতিবাদে বিস্ফোরক ঝুপখালির মহিলারাও। এলাকায় পুলিশি পাহারা এবং উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের উপেক্ষা করেই ফের জনরোষের চিত্র লক্ষ্য করা গেল বৃহস্পতিবার। জোর করে চাষের জমি, মাছচাষের ভেড়ি এবং ফসলের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ যেমন শাহজাহান-শিবু-উত্তমের বিরুদ্ধে উঠেছিল, ঠিক তেমনই জেলিয়াখালি, ঝুপখালির মানুষও অনেকদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন একই অভিযোগে। এবার অভিযোগ শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজ ডাক্তার ওরফে সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে। শাহজাহানের পর কাঠগড়ায় ভাই সিরাজ! ভাইও নাকি ছিল কীর্তিমান।

    শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধে জনরোষ (Sandeshkhali)

    আজ ফের একবার জনরোষের চিত্র ধরা পড়ল ঝুপখালিতে (Sandeshkhali)। এলাকার এক মহিলা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “শাহজাহানের ভাই সিরাজ ওরফে সিরাজউদ্দিন আমার দোকানের জায়গা দখল করে নিয়েছে। শুধু আমার জায়গা নয়, গোটা এলাকা দখল করে নিয়েছে। ১৫ থেকে ১৬ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে গায়ের জোরে। আমাদের জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করে নিয়েছে ওরা। শুধু তাই নয়, ভেড়িগুলিকে লোকের কাছে চড়া দামে বিক্রিও করে দিয়েছে। এলাকায় এই তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে নতুন করে আর যাতে ভেড়ি নির্মাণ না হয়, সেই দাবি জানাই।”

    আগুন সিরাজের আলাঘরে

    এই সব অভিযোগ তুলে আজ ময়দানে ফের নামেন এলাকার বাসিন্দারা। ক্ষোভ আর প্রতিবাদ গিয়ে পড়ে সিরাজের উপর। তাঁর ভেড়ি এবং অফিস আলাঘর পুড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নেমেছে।

    পুলিশ এতদিন কোথায় ছিল?

    ঝুপখালির (Sandeshkhali) উত্তেজিত সাধারণ মহিলাদের সামাল দিতে গেলে পুলিশের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রামের আরও এক মহিলা বলেন, “সিরাজের ফাঁসি চাই। ওর হাতেপায়ে ধরে বলেছিলাম, আমার বাপের বাড়ির জমি নিও না। কিন্তু সব দখল করে নিয়েছে। ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে অত্যন্ত কষ্টে জীবন কাটাতে হচ্ছে। পুলিশ এতদিন কোথায় ছিল যখন আদিবাসীদের ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর করা হত?”

    উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণের দেড় মাস পর রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি পরিদর্শনে গেলেও পালতক তৃণমূল নেতা শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কার্যত প্রশ্নের ভয়ে কি সাংবাদিক সম্মেলন না করে চলে এলেন? প্রশ্ন তুলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শাহজাহানের নাম, পুড়ে খাক ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর

    Sandeshkhali: চুনকাম করে মুছে দেওয়া হল শাহজাহানের নাম, পুড়ে খাক ভাইয়ের ভেড়ির আলাঘর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করা, মাছচাষের জলাশয় দখল করা এবং বাড়ির সুন্দরী বউ থাকলে তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে রাতভর অত্যাচার, নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার তাঁদেরই অভিযোগ এবং আন্দোলনের চাপে শেখ শাহজাহানের নামে দখল করা খেলার মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্লাজ শুরু করল প্রশাসন। খেলার মাঠ দখল করার পর অনুগামীরা নাম রেখেছিল ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’। মাঠের দেওয়ালে লেখা শেখ শাহজাহানের নামের উপর চুনকাম করে দেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে এদিনই ফের আগুন জ্বলল সন্দেশখালিতে। শাহজাহানের ভাই সিরাজের ভেড়ির আলাঘরে আচমকাই কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। গ্রামবাসীদের সেই ক্ষোভের আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় আলাঘর। কারণ শাহজাহানের মতো তাঁর ভাই সিরাজুদ্দিনও নাকি অন্যের জমি জোর করে দখলে ছিল সিদ্ধহস্ত। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাসিন্দারা। যদিও কেউ কেউ বলছেন, আগুন লাগিয়েছে শাহজাহানেরই অনুগামীরা। 

    পুলিশের উপস্থিতিতে মাঠ ফেরানো হয় (Sandeshkhali)

    একটা সময় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সব থেকে বড় মাঠের নাম ছিল ঋষি অরবিন্দ মিশন ময়দান। এলাকার ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এই মাঠ ছিল প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু টুর্নামেন্টের নাম করে বিরাট মাঠকে দখল করে নেয় শেখ শাহজাহানের বাহিনী। এলাকার মানুষের আন্দোলনের চাপে অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার, পুলিশের উপস্থিতিতেই মাঠ ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মাঠের দেওয়ালে লেখা শেখ শাহজাহানের নাম মুছে দেওয়া হয়। এলাকার মাঠ আবার ফিরে পাওয়ার আশায় অত্যন্ত খুশি এলাকাবাসী।

    এলাকার মানুষের দাবি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের দাবি, “শাহজাহান-উত্তম-শিবুরা এলাকায় সাম্রাজ্য বিস্তার করে রেখেছে। সরকারি জমি, খেলার মাঠ, বিঘার পর বিঘা চাষের জমি দখল করে মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়ার ভেড়ি নির্মাণ করেছে তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, তোলাবাজি এবং অত্যাচারের সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে তারা।” তবে আজ মাঠ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকার মানুষ একত্রিত হন। সেই সঙ্গে মাঠে লাগানো হয় চারাগাছ। গ্রামের মানুষ বলেন, “ছিল খেলার মাঠ, কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডারা দখল করে নেয়। মাঠে কেউ ঢুকতে পারত না, সব সময় তালা মারা থাকত।” এবার এই মাঠ দখলমুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু মূল অভিযুক্ত পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: দেড় মাস পর সন্দেশখালিতে রাজীব কুমার, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে নীরব

    Sandeshkhali: দেড় মাস পর সন্দেশখালিতে রাজীব কুমার, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে নীরব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ফিরে এলেন কলকাতায়। তাঁর দু’দিনের সন্দেশখালি সফর শেষ হল। কিন্তু যে প্রশ্নে গোটা রাজ্য উত্তাল, যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায়নি কলকাতা হাইকোর্টও, সেই শাহজাহান শেখ (Sandeshkhali) নিয়ে রা কাড়লেন না। আশ্বাসও দিতে পারলেন না যে, তাঁকে খুব শিগগির গ্রেফতার করা হবে। সাংবাদিকরা যতবারই জিজ্ঞাসা করেছেন, তাঁর উত্তর সেই একই, দোষীরা গ্রেফতার হবে। এদিন তিনি পিডব্লিউডি’র বাংলো থেকে লঞ্চ পেরিয়ে ধামাখালি জেটিঘাটে আসেন। সেখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি সেই একই কথা বলেন, “এলাকায় এলাকায় ঘুরলাম, অভিযোগ শুনলাম, যারা দোষী তারা সবাই গ্রেফতার হবে।”

    কী করলেন দু’দিন ধরে?

    সন্দেশখালিতে ইডি’র ওপর হামলা হয়েছিল প্রায় দেড় মাস আগে। তারপর সেখানে কত ঘটনাই না ঘটেছে। মহিলাদের বিক্ষোভ থেকে নেতাদের যাতায়াত, বিরোধীদের বাধাদান ইত্যাদি। কিন্তু রাজ্য পুলিশের মাথায় বসে থাকা এই কর্তার সেখানে যাওয়ার সময় হয়নি। অবশেষে গেলেন ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করার মতো কিছুই বলতে পারলেন না। সন্দেশখালিতে রাজীব কুমারের সঙ্গে ছিলেন এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সুপ্রতীম সরকার ও বসিরহাট পুলিশ জেলার এসপি। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালি থানায় বৈঠক বসেন ডিজি। সেখান থেকে তিনি কিছু এলাকা ঘুরেও দেখেন।

    বুধবার দুপুরে ধামাখালি থেকে লঞ্চে করে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পৌঁছন ডিজি-সহ পদস্থ পুলিশ কর্তারা। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলার প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতেও নাকি ডিজির এই সফর। গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। তবে বুধবার সকাল থেকে নতুন করে কোনও গোলমালের খবর ছিল না। সন্দেশখালির ফেরার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। তারপর থেকে সামনে এসেছে একের পর এক অভিযোগ। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন একাংশ গ্রামবাসী। সম্প্রতি অভিযোগের ভিত্তিতে শিবু এবং উত্তমের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগও আনে পুলিশ। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। তবে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও ফেরার। শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে ঘটনার পর থেকেই। কিন্তু ডিজি’র কাছে তার উত্তর মিলল না। 

    সাংবাদিক সম্মেলন করলেন না

    বুধবার রাত পর্যন্ত সন্দেশখালির আনাচে কানাচে টহল দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ফের সন্দেশখালি টহল দিতে দেখা যায় তাঁকে। এদিন সকালে পূর্ত দফতরের বাংলো থেকে বেরিয়ে ধামাখালি লঞ্চের দিকে যান তিনি। আবার ফিরে আসেন সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, মানুষ যেন প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেন, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন। যাঁরা আইন ভেঙেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে। এদিন তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু বোধহয় বিতর্কিত প্রশ্ন এড়াতে সে পথেও গেলেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    Howrah: ‘শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’, স্লোগান সামনে রেখে কলকাতায় ধর্নায় বসবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে হাওড়া (Howrah) হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার তিনি চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “পাঁচলায় জমি মাফিয়াদের রাজ চলছে। সেখানে জমি চুরি হচ্ছে, লুট চলছে। তার প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। সেই কারণে তাঁদের মারধর করা হয়, শ্লীলতাহানি করা হয়। তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে যায় বিজেপি। মঙ্গলবার থানার সামনে বিজেপি কার্যকর্তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।” এ প্রসঙ্গে তিনি পুলিশের মনোভাব ও ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। এক পুলিশ অফিসারকে খালিস্তানি বলে মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আসলে সন্দেশখালি থেকে মানুষের চোখ ঘোরানো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর রিয়্যালিটি শো-এর শ্যুটিংয়ে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সুকান্তর কটাক্ষ ‘বিনাশ কালে বুদ্ধি নাশ’।”

    পুলিশকে কটাক্ষ সুকান্তর (Howrah)

    এক আক্রান্ত মহিলার গোপন জবানবন্দির প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে নিয়ে আসার ব্যাপারে পুলিশের পেশাগত বিষয়কে কটাক্ষ করেন তিনি (Howrah)। এদিকে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহান যতদিন না গ্রেফতার হবে, ততদিন চলবে আন্দোলন। ‘শেখ শাহজাহান দোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কোলে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২৬ থেকে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতায় ধর্না চলবে বিজেপির।” এছাড়াও তিনি সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) প্রসঙ্গেও বলেন, “সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরকবাস।”

    মমতাকে আক্রমণ প্রিয়াঙ্কার (Howrah)

    বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, “সন্দেশখালিতে দিদির কেউ নেই। তাই তিনি সেখানে যাওয়ার সময় পাননি। তিনি হাওড়ার ডুমুরজলায় একটি রিয়্যালিটি শো-এ এসেছেন। যদি কালীঘাটে দিদির পরিবারের কারোর সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তাহলে কি তিনি চুপ থাকতেন। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে রাতের বেলায় মহিলাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দিদির কেউ নয় ওরা। দিদির কালীঘাটে পরিবার আছে, অভিষেক আছে, অভিষেকের স্ত্রী আছে। তাদের সঙ্গে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটত, তখন দিদি কি চুপ থাকতে পারতেন।” প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আরও বলেন, “গত বিধানসভা ভোটে সবাই বিজেপিকে চেয়েছিল। সবাই বলছে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। কিন্তু সরকার তৃণমূলের। কারণ বুথে বুথে দিদির গুন্ডাবাহিনী ছিল।” বুধবার হাওড়া হাসপাতালে হাওড়ার পাঁচলাকাণ্ডে (Howrah) আহত মানুষদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলি বলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ

    Siliguri: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘দুর্গা’দের শক্তিবৃদ্ধি কামনায় শিলিগুড়িতে হোম-যজ্ঞ করা হল। বুধবার শিলিগুড়ির (Siliguri) ঝংকার মোড় এলাকার একটি মন্দিরে মা ভবানীর আরাধনায় এলাকার নারী-পুরুষকে নিয়ে এই যজ্ঞের উদ্যোক্তা বঙ্গীয় হিন্দু সমাজ। মন্দিরে দেবী মূর্তির সামনে দু’জন পুরোহিত এই হোম-যজ্ঞ করেন। তাতে অংশ নেন প্রায় ১০০ জন নারী ও পুরুষ।

    কেন এই যজ্ঞ? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বঙ্গীয় হিন্দু সমাজের সভাপতি বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের অসুর বাহিনী মহিলাদের সম্মান ভুলুন্ঠিত করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় নোয়াখালির পর সন্দেশখালির নাম উঠে এসেছে। এটা আমাদের সকলের লজ্জা। এই ঘটনায় সন্দেশখালি মহিলারা অবশেষে তৃণমূল নেতা শাহজাহান অসুর বধে ঝাড়ু-লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। সাহস নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে মুখ খুলেছেন। কিন্তু, যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ততদিন এ লড়াইয়ে জয় আসবে না। যখন কোনও কিছুতে ভরসা পাওয়া যায় না তখন আমরা ঈশ্বরের শরণাপন্ন হই। সেই জায়গা থেকে আমরা এদিন হোম-যজ্ঞ করলাম। যাতে সন্দেশখালির শাহজাহান অসুর বাহিনী বধে সেখানকার ‘ দুর্গা’দের অর্থাৎ নারীশক্তির শক্তিবৃদ্ধি হয়, তাঁরা ন্যায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে সন্দেশখালির মা-বোনেদের জয় হয়। শাহজাহান ‘অসুর’ বাহিনীর কঠোর শাস্তি হোক আমরা চাই।

    যজ্ঞের মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চাইছে বঙ্গীয় হিন্দু সমাজ?

    গোটা রাজ্যে মহিলারা নিরাপদ নয়। আদিবাসী সহ সাধারণ মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে তৃণমূলের রাজত্বে। একথা জানিয়ে বিক্রমাদিত্য মণ্ডল আরও বলেন, এই যজ্ঞের মধ্য দিয়ে আমরা এই বার্তা দিতে চাইছি, সন্দেশখালির মতো রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার নিরাপত্তার জন্য আমরা পাশে রয়েছি। সর্বত্র নির্যাতিতারা যেন সন্দেশখালির মা-বোনেদের মতো সাহস নিয়ে তৃণমূলের অসুরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তির জন্য আমরাও আন্দোলনে রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর চোখের মণিতে গুলি! অভিযুক্ত শাহজাহানের ফাঁসি চান স্ত্রী

    Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর চোখের মণিতে গুলি! অভিযুক্ত শাহজাহানের ফাঁসি চান স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali), ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। জমিজমা, বাড়ি-ঘর, চাষের জমি থেকে শুরু করে মাছের ভেড়ি লুট করে অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু-উত্তমরা। শুধু তাই নয়, নিজেদের শারীরিক চাহিদা মেটাতে বাড়ির সুন্দরী বউদের রাতবিরেতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন যৌননিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামের মহিলারা। ঠিক একই অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে দেয় ২০১৯ সালে এক বিজেপি কর্মীর নির্মম হত্যার ঘটনা। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব হলেন এবার বিজেপির নির্যাতিত পরিবার। চোখের মণিকে লক্ষ্য করে পরপর ৮টি গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডলকে। এখন নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী কঠোর শাস্তি চান এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    জামাইষষ্ঠীর দিনেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড (Sandeshkhali)

    নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে স্বামীহারা পত্নী এদিন বলেন, “দিনটি ছিল ২০১৯ সালের জামাইষষ্ঠী। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৫৬ নম্বর বুথের হাটগাছি অঞ্চলের ঘটনা। শেখ শাহজাহান প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার লোক নিয়ে আক্রমণ করে আমাদের বাড়িতে। চারজন পুলিশ অন ডিউটি ছিল। আমার স্বামী প্রদীপকে লক্ষ্য করে চোখের মণিতে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। শরীরের সব জায়গায় অজস্র ভোজালির কোপ। আমার স্বামী এই ভয়ানক অত্যাচারের শিকার হন। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হলেন শেখ শাহজাহান, কাদের মোল্লা, আখের আলি গাইন, জিয়াউদ্দিন মোল্লা, আইফুল মোল্লা সহ আরও অনেকে।” কিন্তু পরে মামলার চার্জশিট হলে নিহত প্রদীপবাবুর স্ত্রী বলেন, “সিআইডি মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে, এফআইআর-এ এক নম্বরে নাম ছিল শাহজাহানের। কিন্তু এই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ষড়যন্ত্র করে। খুব নগণ্য দুই ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছে। আর তাই সিআইডি-কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    শাহজাহানের ফাঁসি চাই

    কিন্তু কেন স্বামীকে এইভাবে খুন হতে হল? প্রশ্ন প্রদীপের স্ত্রীর। প্রদীপ মণ্ডল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভায় হাটগাছি অঞ্চলে বুথে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। এই নির্বাচনের ফলাফলের পরই শাহজাহান বাহিনী আক্রমণ করে। স্বামীর এই নৃশংস হত্যার পর নিহত প্রদীপের স্ত্রী আতঙ্কে ছিলেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন প্রদীপের স্ত্রী। সেখানে মাছের ভেড়িতে ফিশারি চালাতেন। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনের ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে তাঁদের ফিশারিতে ব্যাপক লুটপাট চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা। এরপর বাড়িছাড়া হন তাঁরা। দুই সন্তান নিয়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে আছেন তাঁরা। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চান নিহত বিজেপি কর্মী প্রদীপবাবুর পত্নী।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “পানীয় জলের টাকাও হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবু”, শাস্তির দাবি গ্রামবাসীদের

    Sandeshkhali: “পানীয় জলের টাকাও হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবু”, শাস্তির দাবি গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল দুষ্কৃতীরা পানীয় জলটুকুও দেয়নি বলে অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক হয়েছেন গ্রামের প্রতিবাদী মহিলারা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দাড়ির জঙ্গলের মানুষের পানীয় জল আনতে যেতে হয় প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে। বাড়ির কাছে কল বসলেও এক বছরের বেশি সময় ধরে জল আসছে না বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। ঘরে ঘরে জল পৌঁছানোর প্রকল্পের গোটা টাকাটাই হজম করে নিয়েছে তৃণমূলের পলাতক নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর অনুগামী শিবু-উত্তমরা।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ কী (Sandeshkhali)?

    এলাকার মানুষের অভিযোগ, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরকারি জলের প্রকল্পের গোটা টাকা হজম করেছে শাহজাহান-উত্তম-শিবুরা। গ্রামবাসীরা হাতেনাতে প্রমাণ দিয়ে বলছেন, “এই যে কল আছে, পাইপ আছে কিন্তু নেই জল। সন্দেশখালির বিরাট এলাকা জুড়ে একই অবস্থা। এলাকার মানুষের পানীয় জলের সুবিধার কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন এবং তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। গ্রীষ্মের গরমে এই জলের সঙ্কটে হাহাকার ব্যাপক মাত্রা নেবে। কিন্তু প্রশাসনকে বলে কী লাভ? প্রশাসন চলে শাহজাহানের কথায়।”

    মুখ খুললেই রক্ষা নেই

    এলাকার (Sandeshkhali) বাসিন্দাদের বক্তব্য হল, “এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু জল নেই। আগেও পাইপ বসানো হয়েছিল কিন্তু জল নেই। মাত্র একটাই টিউবওয়েল। আর এলাকার ১০০টি পরিবার জল খায়। এলাকার নেতা হলেন শিবু-উত্তম। অভিযোগ, সমস্যার কথা বলে বলে লাভ নেই। রাত হলেই বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে ওরা। মুখ খুললেই রক্ষা নেই। আমরা নিরুপায়।”

    শিবু-উত্তমরাই মেরে খাচ্ছে টাকা

    আরও এক বাসিন্দা (Sandeshkhali) বলেন, “এলাকায় জলের ভীষণ সমস্যা। পানীয় জল নেই। অনেক দূর থেকে জল আনতে হয়। নির্বাচনের সময় নিজেদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য ভোট দিতে দেয় না এই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আমাদের জন্য সরকারের বরাদ্দ টাকা শিবু-উত্তমরাই মেরে খাচ্ছে। পানীয় জলের টাকা, ঘরের টাকা সব কিছু লুট করেছে এই তৃণমূলের নেতারা। গ্রেফতার হয়েছে, এবার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই ওদের।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share