Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sandeshkhali: শিবু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা পাড়া ঘুরে ঘুরে তালিকা তৈরি করছেন, ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালিবাসী

    Sandeshkhali: শিবু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা পাড়া ঘুরে ঘুরে তালিকা তৈরি করছেন, ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালিবাসী। মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। আর সেটা দলীয় নেতারা বুঝতে পেরে ক্ষতে প্রলেপ দিতে উদ্যোগী হয়েছে শাসক দল। জমি নেওয়ার পর গ্রামবাসীদের লিজের টাকা দিতেন না শাহজাহান বাহিনীর উত্তম সর্দার- শিবু হাজরারা। এবার সেই লিজের টাকা না পাওয়া বাসিন্দাদের তালিকা তৈরি করছে পঞ্চায়েত। তালিকা তৈরি করছেন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পঞ্চায়েতের উপ প্রধান গণেশ হালদার। আর সেই তালিকা নিয়ে চর্চা চলছে সন্দেশখালিজুড়ে। কারণ, এই গণেশই শিবু হাজরার অনুগামী। তাঁর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। তাঁকে আবার তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    তালিকা তৈরি নিয়ে মুখ খুললেন বাসিন্দারা (Sandeshkhali)

    তৃণমূল নেতা গণেশ এই এলাকায় তিন বারের পঞ্চায়েত সদস্য। গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকার গরিব মানুষের থেকে গণেশ যা টাকা তুলতেন, তার ভাগ যেত শিবপ্রসাদ, শেখ শাহজাহানের কাছেও। এই এলাকায় গণেশ খাস জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের। গণেশের নিজের বুথ এলাকা ৫ ঘটি পাড়ার বাসিন্দাদের অনেকের বক্তব্য, যাঁর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ, তিনিই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে এলাকার মানুষের কাছ থেকে জমি লিজ় সংক্রান্ত অভিযোগ শুনছেন। রুমা মণ্ডল নামে এই এলাকার এক বাসিন্দার অভিযোগ, গণেশ আমাদের পাট্টা করিয়ে দেবে বলে ৭০০ টাকা নিয়েছিলেন দু’বছর আগে। কিন্তু, টাকা ফেরত দেননি, কাজও হয়নি। উনিই আবার জমির সমস্যা সমাধানে বেরিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে কী হবে। রুমার মতো অনেকের অভিযোগ, চারশো, পাঁচশো করে যখন যেমন খুশি টাকা নিয়েছেন গণেশ। গণেশের বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর আরও বড় বলে জানিয়েছেন নমিতা মণ্ডল-সহ বেশ কয়েক জন। নমিতার দাবি, গণেশ তাঁর দলবল নিয়ে চড়াও হয়ে এই গ্রামের বহু লোকের একশো দিনের কাজের টাকা তুলে নেন। আমার পরিবারেই ছ’জন একশো দিনের কাজ করেছিলেন। তিন জনের ব্যাঙ্ক একাউন্টে তিন হাজার টাকা করে ঢুকেছিল প্রায় দু’বছর আগে। গণেশের লোক এসে বলে যায়, নয় হাজারের মধ্যে দেড় হাজার রেখে সাড়ে আট হাজার টাকা দিয়ে দিতে হবে। তাই করতে হয়। কাটমানি নেওয়া নেতা টাকা ফেরানোর আশ্বাস দেন কী করে! শিবপদ কাণ্ডার নাম এক বাসিন্দা বলেন, “একশো দিনের কাজ করেছিলেন প্রায় ৩৭ দিন। দু’বছর আগে একবার ৫,৭০০ টাকা ঢুকেছিল। গণেশ চাপ দিয়ে সব টাকা তুলে নেন। ওদের কথা না শুনলে, মিটিং-মিছিলে না গেলে কোদালের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হত। ভয়ে ওদের কথা শুনতে হত।”

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গণেশ অবশ্য অভিযোগের কথা মানতেই চাননি। তিনি বলেন, “সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার সামনে এমন অভিযোগ কেউ করতে পারবে না। আসলে এসব নিয়ে অনেকে রাজনীতি করছেন।” সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিধায়ক তৃণমূলের সুকুমার মাহাতো বলেন, “যার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ, সব শোনার জন্য নেতারা যাচ্ছেন। এত দিন কেউ তো কিছু বলেনি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শিবু গ্রেফতারে খুশির হাওয়া সন্দেশখালিতে, ফ্রিতে মিষ্টি-চা বিতরণ

    Sandeshkhali: শিবু গ্রেফতারে খুশির হাওয়া সন্দেশখালিতে, ফ্রিতে মিষ্টি-চা বিতরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির ওপর হামলার পর থেকে শেখ শাহজাহান ফেরার। এখনো পুলিশ তাঁর কোঁজ পায়নি। তবে, তাঁর অন্যতম দুই সাগরেদ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর তারপরই উল্লাসে মেতে উঠলেন সন্দেশখালির মহিলারা। তাই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) কোথাও চলছে বিনামূল্যে চা খাওয়ানোর পর্ব তো কোথাও মিষ্টি মুখের পালা।

    বিনামূল্যে চা-মিষ্টি বিতরণ! (Sandeshkhali)

    শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ায় এবার আতঙ্ক কাটল, নতুন করে স্বাধীনতা ফিরে পেলেন বলে জানাচ্ছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। কেউ বলছেন, “অনেকটা সাহস পেলাম। এবার নতুন করে জীবন ফিরে পাব। নতুন করে স্বাধীনতা পাব আশা করছি।” এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিবু হাজরার লোকজন গ্রামের মহিলাদের বিকালের পর পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যেতেন এবং তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন চলত। শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পর এবার তাঁর কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। যার প্রেক্ষিতে শনিবারই শিবু হাজরার বিরুদ্ধে জমি দখল, মানুষের উপর অত্যাচার-সহ অন্যান্য ধারার পাশাপাশি গণধর্ষণের মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপর সন্ধ্যাতেই পুলিশের জালে পাকড়াও হয় শিবু হাজরা। শিবু হাজরার গ্রেফতারির খবর শুনেই সন্দেশখালির শ্রীমনি বাজারে চায়ের দোকানিরা এদিন সন্ধ্যায় সকলকে বিনামূল্য চা খাওয়াচ্ছেন। রবিবার সকালে সকলকে মিষ্টি খাওয়ান শ্রীমনি বাজারের দোকানিরা। আবার এলাকার মহিলারা বলছেন, “আমরা ঘরেই মিষ্টি খাব।”

    আন্দোলনকারী মহিলাদের কী বক্তব্য?

    শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ায় কেবল মহিলা নয়, স্থানীয় বাসিন্দা সকলের মধ্যেই খুশির বাঁধ ভেঙে পড়েছে। তবে, শিবু হাজরা গ্রেফতার হলেও এখনই আন্দোলন থামছে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। তাঁদের কথায়, “শিবু হাজরার মাথায় রয়েছে শেখ শাহজাহান। শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেই আন্দোলন থামবে।” শাহজাহান গ্রেফতার হলেই আতঙ্কের পরিবেশ কাটবে এবং এলাকাবাসী নির্ভয়ে বাঁচতে পারবে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে”, হুমকি দিয়েছিলেন উত্তম সর্দার

    Sandeshkhali: “তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে”, হুমকি দিয়েছিলেন উত্তম সর্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার পরই ফেরার শেখ শাহজাহান। এখনও খোঁজ নেই শাহজাহানের। তবে, শাহজাহানের অন্যতম অনুগামী শিবু হাজরা-উত্তম সর্দারের অত্যাচারের কাহিনি সামনে আসতে শুরু করেছে। পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে সুন্দরী মহিলাদের কীভাবে যৌন নির্যাতন চালানো হত, তা নিয়ে এর আগে মহিলারা গর্জে উঠেছেন। যদিও উত্তম এখন জেলে রয়েছেন। আর শিবু ফেরার। এবার উত্তমের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    বিজেপি সদস্যের স্ত্রীকে হুমকি! (Sandeshkhali)  

    বিরোধী রাজনীতি করলে উত্তম যে তার কী হাল করতেন, তা নিয়ে মুখ খুললেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। শোনালেন জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। কীভাবে একপ্রকার জোর করেই তাঁদের তৃণমূল করতে বাধ্য করা হয়, সেকথা বললেন মহিলারা। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তাঁর এলাকায় বিজেপির দিকে পাল্লা ভারী ছিল। জিতেও গিয়েছিল বিজেপি ওই এলাকায়। এরপরই ওই বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রীকে উত্তম সর্দার হুমকি দিয়েছিলেন। এক মহিলা বলেন, “বিরোধী পার্টি করার সাহস ছিল না কারও। বিজেপি প্রার্থী ভোটে জয়ী হওয়ায় উত্তমের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে। যিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে উত্তম বললেন, তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে। আমি উত্তম সর্দার।” এমন নয় যে আড়ালে-আবডালে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সবার সামনেই বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি সন্দেশখালির ওই মহিলার। তিনি বললেন, ‘লোকজনের সামনে বন্দুক দেখিয়ে উত্তম বলে গেল, আমি কিন্তু ওকে মার্ডার করে দেব। ২৭টা করেছি, ওকে নিয়ে ২৮টা হবে। তুই সাবধান হয়ে যা।’ এ তো গেল হুমকির কথা। এছাড়া ভোটের সময় দেদার ছাপ্পা চলত বলেও অভিযোগ ওই মহিলার। উত্তম-শিবু মতো শাহজাহান বাহিনী সন্দেশখালি জুড়ে তাণ্ডব চালাত। জোর করেই তৃণমূলের পক্ষে ভোট করাত। সন্দেশখালি জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল ওরা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির পথে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় টিমকে বাধা পুলিশের, বচসা-ধস্তাধস্তি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির পথে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় টিমকে বাধা পুলিশের, বচসা-ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পথে কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। নিরাপত্তার স্বার্থে নস্কর পাড়াতেই আটকে দেওয়া হয় তাদের। তারই প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে ছয় সদস্যের বিশেষ এই টিম। এই টিমের এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছে পরিস্থিতি অনুসন্ধান করার কথা ছিল। কিন্তু রামপুরের কাছেই নস্কর পাড়ায় আটকে দেওয়া হয় তাদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    গত সপ্তাহে দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। সেসময় স্থানীয় মহিলাদের একাংশ দাবি করেছিলেন, দিনের পর দিন তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন হয়েছে।  মহিলাদের ওপর সেই নির্যাতনের অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে দফায় দফায় উঠে এসেছে। সেখানে সংসদীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গড়ে দেওয়া ওই উচ্চপর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি শুক্রবার সন্দেশখালি রওনা দেয়। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী ও প্রতিমা ভৌমিক, তিন সাংসদ সুনীতা দুগ্গল, কবিতা পাতিদার, সংগীতা যাদব ও রাজ্যসভা সাংসদ ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজলাল। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। ঠিক ছিল,এই প্রতিনিধিদল সন্দেশখালির মহিলা ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের অভিযোগের কথা শুনবেন। এরপর জেপি নাড্ডার হাতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাঁদের রিপোর্ট তুলে দেবেন। কিন্তু, শুক্রবার ওই কেন্দ্রীয় টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রামপুর নস্করপাড়ায় আটকে দেওয়া হয়। চারজনের প্রতিনিধিকে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এরপরই পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যদের প্রথম বচসা হয়। পরে, ধস্তাধস্তি হয়। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন সেন্ট্রাল টিমের সদস্যরা।

    পুলিশি বাধা নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় টিমের সদস্য?

    কেন্দ্রীয় টিমের সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী বলেন, পুলিশের যে ভূমিকা আমরা এখানে এসে দেখছি, সেই সক্রিয়তা শাহজাহানকে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে পুলিশ দেখাত, তাহলে এই সময় আর আসত না। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে এসেছেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, গায়ের জোরে আটকানো হচ্ছে। তৃণমূলের মন্ত্রীরা যেতে পারবেন। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা যেতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বাংলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: সেচমন্ত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের, পার্থকে দেখে উঠল চোর চোর স্লোগান

    Kalyani: সেচমন্ত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের, পার্থকে দেখে উঠল চোর চোর স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের একাধিক তৃণমূল নেতা জেলে রয়েছে। এরইমধ্যে সন্দেশখালি কাণ্ডে মুখ পুড়েছে পুলিশের। এবার বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিলেন বিজেপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণীতে (Kalyani)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalyani)

    সন্দেশখালি কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। জেলায় জেলায় বিজেপির বিক্ষোভে পুলিশি বাধা দেওয়ার অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ রয়েছে। এই আবহের মধ্যে বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে (Kalyani) বিজেপি-র কর্মসূচি ছিল। এদিন হুগলির উদ্দেশে যাওয়ার সময় বিজেপি কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁকে লক্ষ্য করে উঠল চোর চোর স্লোগান। বিক্ষোভের জেরে মন্ত্রীর গাড়ি বেশ কিছুক্ষণ আটকে যায়। যদিও পুলিশের তৎপরতায় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই কোনওরকমে মন্ত্রীর গাড়ির চালক গতি বাড়িয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এরপরই পুলিশের সামনেই বিজেপি কর্মীরা মন্ত্রীর গা়ড়ির পিছনে ফের চোর চোর স্লোগান দিতে থাকেন। মন্ত্রী প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন সেচমন্ত্রী?

    বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁকে বিজেপি কর্মীরা চোর বলেননি তা তিনি স্পষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, ওরা আমাকে চোর চোর বলেনি। ওরা তৃণমূলকে চোর চোর বলেছে। আর সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি চক্রান্ত করে লোক ভাড়া করে এই নোংরামো করছে। সন্দেশখালির ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আরও তদন্ত চলছে। এখন শান্ত রয়েছে সন্দেশখালি। আর যারা টিভির সামনে বক্তব্য রাখছে তারা সন্দেশখালির বাসিন্দা নয়। এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। আসলে উস্কানি দিয়ে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা সেখানে মিটিং করব। ৫০ হাজার কর্মীর সেখানে জমায়েত হবে। সন্দেশখালির মানুষ যে আমাদের সঙ্গে রয়েছে ফের তা প্রমাণিত হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: পাট্টার ‘রেকর্ডের’ লোভ দেখিয়ে সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা তৃণমূলের

    Sandeshkhali: পাট্টার ‘রেকর্ডের’ লোভ দেখিয়ে সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। যতদিন যাচ্ছে শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়়ছে গ্রামবাসীদের। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। পাট্টার রেকর্ড করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আগুনে জল ঢালার চেষ্টা করছে তৃণমূল। যা নিয়ে সন্দেশখালি জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল? (Sandeshkhali)

    জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনে জেলা সভাধিপতির ঘরে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এমন গ্রামবাসীদের আসতে বলা হয়েছে, যাঁরা পাট্টা পাওয়া সত্তেও জমির ‘রেকর্ড’ করাতে পারেননি। তাঁদের যাতায়াত ও খাওয়া খরচ জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী নিজেই বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। সন্দেশখালি-কাণ্ডের তদন্তে তৃণমূল নেতৃত্ব স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ে দু’টি কমিটি গড়েছে। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে আছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী।আর স্থানীয় কমিটিতে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার এবং তৃণমূলের এসসি- এসটি-ওবিসি সেলের নেতা মহেশ্বর সর্দার রয়েছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, উত্তম পাট্টার জমি ইজারা নিয়ে মেছোভেড়ি করে মাছ চাষ করতেন। অনেকেরই সেই জমি ‘রেকর্ড’ হয়নি। অভিযোগ, উত্তম ভূমি দফতরে প্রভাব খাটিয়ে সেই সব জমির ‘রেকর্ড’ করাতে দেননি। ইজারার টাকাও দেননি। নারায়ণের কথায়, “রেকর্ড করাতে গিয়ে পাট্টাপ্রাপকদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বহু ক্ষেত্রে।” তিনি আরও বলেন, “জেলা ভূমি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ওঁদের জমির রেকর্ড করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। জেলাশাসককে নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির দু’টি ব্লকেই যাব।” সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। আমরা বলেছি, ইজারার টাকা ফেরত না পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব দলের।”

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শাহজাহান বাহিনীর তাণ্ডবের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা বার বার সোচ্চার হয়েও কোনও লাভ হয়নি। শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দাররা ওই সব জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। ফলে, পাট্টা পেয়ে জমি দখলে রাখতে পারেননি গ্রামবাসীরা। আর রেকর্ড করার উদ্যোগ নেয়নি সরকার। ফলে, শাহজাহান বাহিনীর লোকজন জমি ভোগ করে আসছিল। এতদিন পর হুঁশ ফিরল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, পাট্টা রেকর্ড করার কথা বলে এলাকাবাসীকে লোভ দেখাচ্ছে। তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: পুলিশ নাকি খুঁজে পাচ্ছে না! শাহজাহানের মতো অন্তরালে থেকেই ‘বাণী’ দিলেন শিবু হাজরাও

    Sandeshkhali: পুলিশ নাকি খুঁজে পাচ্ছে না! শাহজাহানের মতো অন্তরালে থেকেই ‘বাণী’ দিলেন শিবু হাজরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি ওপর হামলার পর থেকে ফেরার শেখ শাহজাহান ফেরার। এখনও পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। তবে, তিনি অন্তরালে থেকে কখনও কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কখনও স্পিডবোটে করে এলাকায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। এবার তাঁর সাগরেদ শিবু হাজরাকে গ্রেফতারের দাবিতে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি। তারপরও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। শাহজাহানের মতো তিনি অন্তরালে রয়েছেন। সেখান থেকে বাণী দিলেন। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    মহিলাদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন! সাফাই শিবুর (Sandeshkhali)

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এলাকায় মহিলাদের অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। তাঁকে গ্রেফতার করার দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছে। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন শিবু। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সবই ভিত্তিহীন অভিযোগ। এর নেপথ্যে রয়েছেন সিপিএমের নিরাপদ সর্দার এবং বিজেপির বিকাশ সিংহ। ওঁরা মানুষকে উত্ত্যক্ত করছেন। আমাদের বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছেন। মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।” মহিলাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন প্রসঙ্গে শিবু বলেছেন, “আমি কখনওই কাউকে রাতে ডাকিনি। কেন ডাকতে যাব? দলের মিটিং থাকলে খবর দেওয়া হত। সেখানে থাকার জন্য কাউকে জোর করা হয়নি কখনও।” সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের প্রশ্ন, পুলিশ শিবুকে খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ ও বহাল তবিয়তে রয়েছে। নিজের মতো করে বক্তব্য রাখছেন। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ শিবুকে গ্রেফতার করার সাহস দেখাচ্ছে না।

    গ্রেফতারির দাবি উঠলেও অধরা শিবু

    শিবুর পোলট্রি ফার্মে গত বৃহস্পতিবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে তাঁর বাড়ি, বাগানবাড়ি। অভিযোগ, এলাকায় জমি জবরদখল করে শিবু, শাহজাহান, উত্তমরা মাছের ভেড়ি তৈরি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন মূলত মহিলারা। বঁটি, কাটারি, বাঁশ, লাঠি হাতে তাঁরা সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার সামনে বসে পড়েছিলেন। শিবুর গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। তারপরও শিবুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। গোপন ডেরায় দিব্যি আছেন শিবু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা, অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধা, অসুস্থ সুকান্ত, ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে টাকিতে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা হয়। পরে, তিনি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অচৈতন্য হয়ে মাটিতে পড়়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তিনি মাটিতে পড়ে থাকেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাঁকে কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, পালস রেট কমছে। অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে যোগ দিতে সড়কপথের পরিবর্তে লোকাল ট্রেনে যান সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সন্দেশখালিকাণ্ডে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানে নেতৃত্ব দেন তিনি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিজেপির সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে রাতভর ধর্না দেন সুকান্ত। গভীর রাতে তাঁকে আটক করার কিছুক্ষণ পর ছেড়েও দেয় পুলিশ। বুধবার সকাল হতেই আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বুধবার সকালে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সুকান্ত সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন। পুলিশ মাঝপথে তাঁদের আটকে দিলে, যেখানে আটকানো হবে, সেখানেই সরস্বতী পুজো শুরু করবেন তাঁরা। এমনই বলেছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, ঘটনাচক্রে দেখা গেল, সেই পরিকল্পনাও বদলে ফেললেন সুকান্ত।

    টাকিতে পুলিশি বাধা, অচৈতন্য হয়ে পড়েন সুকান্ত

    বুধবার দুপুরে টাকির হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে একটি সরস্বতী প্রতিমা কোলে নিয়ে বেরিয়ে আসেন সুকান্ত। ইছামতীর ঘাটে প্রতিমা বসিয়ে পুজো শুরু হয়। পরে সন্দেশখালি যাওয়ার উদ্যোগ নিতে টাকিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্তের (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, তিনি সন্দেশখালি যাবেনই। অন্য দিকে, পুলিশ জানায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই অনুমতি মিলবে না। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্ত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পড়ে যান। দেখা যায়, মুখ ঢাকা এক মহিলা হাত ধরে গাড়ির বনেট থেকে সুকান্তকে নামানোর চেষ্টা করেন। তার মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের দাবি। খানিকক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অসুস্থ সুকান্তকে তড়িঘড়ি গাড়িতে তোলা হয়। তাঁকে বসিরহাটের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

    Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লাগামছাড়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সন্দেশখালি। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের কথা শুনলে হাড়হিম হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে সেখানকারই সাংসদ, একজন মহিলা, তিনি কোথায়? কোথায় বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান? সেখানকার মানুষরা এবার সাংসদের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছেন। অভিযোগ করছেন, এত সবের পরও নুসরত জাহানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর ফোন সুইচ অফ।

    সাংসদের মোবাইল সুইচড অফ, সরব মহিলারা (Sandeshkhali)

    সাংসদকে নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা বিস্ফোরক সব অভিযোগ করছেন। রাতবিরেতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহেরও অভিযোগ উঠছে। গ্রামের এক মহিলা বলেন, “নুসরত জাহানকে তো ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা তো অন্য পার্টি করি না। আমরা টিএমসি পার্টিই করি। ভোট দিই টিএমসি- কে। না দিলে তো হবে না। আমরা না দিলেও ভোট পড়ে যায়।” সাংসদ গ্রামে শেষ কবে এসেছেন, স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারছেন না গ্রামের মহিলারা। গ্রামের আরেক মহিলা বলেন, “সাংসদকে আমাদের সমস্যার কথা বলতে গেলে শোনেন না তো! অনেক দিন আগে এসেছেন। দু-তিন বছরেরও বেশি আগে এসেছিলেন। একেবারে বাড়ির মেয়ের মতো আমাদের কাছে এসে কথা বলেন। কাউকে মা সম্বোধন করেছিলেন। সব সময় পাশে থাকার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, সমস্যায় পড়লে জানানোর কথা বলেছিলেন। এখন নিজেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর এক মহিলা বলেন, নিজের জন্য তিনি সাংসদ হয়েছেন। আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সাংসদ হয়নি।

    সাংসদ অডিওবার্তায় কী বলেছিলেন?

    সন্দেশখালিজুড়ে (Sandeshkhali) তোলপাড় চলছে। একবারের জন্য এই মাটিতে পা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেননি সাংসদ নুসরত জাহান। কেবল অডিও বার্তায় নুসরত বলেছেন, “আমি আগুনে ঘি ঢালব না। আমি সংসদের কাজে দিল্লিতে ছিলাম। কিছুদিন আগে ফিরেছি। দিল্লি থেকে ফিরে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে, প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। প্রশাসনকে সবরকমভাবে সাহায্য করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “কোলের একরত্তিদেরও মারধর করা হয়েছে”, চোয়ালে রক্তের দাগ নিয়ে বিস্ফোরক মহিলা

    Sandeshkhali: “কোলের একরত্তিদেরও মারধর করা হয়েছে”, চোয়ালে রক্তের দাগ নিয়ে বিস্ফোরক মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) প্রতিবাদী মহিলারা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের নির্মম অত্যাচার এবং শোষণের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। মহিলাদের অভিযোগ, “লুট করেছে, শোষণ চালিয়েছে, রাতবিরাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহ করেছে। তারা সন্দেশখালির বাইরের লোক।”

    অপরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিরোধীরা সন্দেশখালি নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে পুলিশের সঙ্গে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এলাকায়। অবশেষে মামলায় হাইকোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    অত্যাচারিত মহিলার বক্তব্য (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এক মহিলা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বলেন, “গ্রামের বাঁধ নির্মাণের জন্য আমাদের কাছে থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। এই টাকা আমাদের দেওয়ার কথা নয়। আমাদের জীবন জীবিকা রয়েছে। আমরা মার খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছি। আর টাকা না দিলে রাতবিরেতে লোক ঘরে এসে ঢুকে যাবে। তুলে নিয়ে যাবে আমাদের। আমাদের বাড়ির পুরুষ মানুষদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।”

    আর কী অভিযোগ?

    গ্রামের (Sandeshkhali) এক বয়স্ক মহিলা বলেন, “আমরা ১০০০ টাকার কাজ করলে ৫০০ করে টাকা দিত। না দিলে রাতে এসে তুলে নিয়ে যেত। বাড়ির সামনে কোদালের বাঁট মেরে দিয়ে যাচ্ছে। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার আমাদের এলাকার লোক নয়। আমাদের টাকা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। আবার ক্যামেরার সামনে মুখ খুললে আমাদের অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে। বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। আমার চোয়ালে এখনও রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। কোলের একরত্তি বাচ্চাদের পর্যন্ত মারধর করা হয়।” এই প্রসঙ্গে আরও এক মহিলা বলেছেন, “শেখ শাহজাহান কোনও মুসলমান মহিলাদের তুলে নিয়ে যায় না, বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদের তুলে নিয়ে যায়।” এদিকে শিবু হাজরা এখনও নিখোঁজ। অপর দিকে উত্তম সর্দার সোমবার জামিন পেলেও রাতে আবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আবার তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের অবশ্য দাবি, “আমার কাজ আগুনে ঘি ঢালা নয়। আমি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসনকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share