Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের অত্যাচার যেন নান্টু প্রধানের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে

    Sandeshkhali: শাহজাহানের অত্যাচার যেন নান্টু প্রধানের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সাধারণ মানুষ, শাসকদলের নেতা শেখ শাহজাহান-শিবু হাজরার মতো রাজনৈতিক নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিশেষ করে পথে নেমেছেন স্থানীয় মহিলারা। রাত হলেই বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন চালাত তৃণমূল নেতারা। সাধারণ মানুষের চাষের জমি, মাছ চাষের ভেড়ি দখল করে নিয়েছে এই তৃণমূল নেতারা। প্রতিবাদে সাধারণ মহিলারা রাস্তায় নেমে সোচ্চার হয়েছেন।

    এই উত্তাপের মধ্যে তৃণমূলের বর্বরতা এবং অত্যাচারের চিত্রকে মনে করাল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধানের কথা। এলাকায় দুস্কৃতী বাহিনীর তাণ্ডবে মানুষের জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছিল। চাষের জমি থেকে শুরু করে মাছ চাষের জমি, গ্রামের মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক শোষণের একাধিপত্য বিস্তার করেছিলেন এই তৃণমূল নেতা। কালের প্রবাহে জনরোষে নিহত হতে হয়েছিল তাঁকে।

    কে ছিলেন নান্টু (Sandeshkhali)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে তৃণমূলের শাসনের সময়ে এলাকায় একাধিপত্য বিস্তার করেছিলেন নান্টু প্রধান। পূর্ব মেদিনীপুর এলাকার মহম্মদপুর ২ গ্রামের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে ছিল গোটা ভগবানপুর এলাকা। এলাকায় নোনা জলে যে সোনা ফলে, সেটা খুব ভালো করে বুঝেছিলেন। নোনা জল জোর করে ঢুকিয়ে দিয়ে অনিচ্ছাকৃত মানুষের চাষের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শাহজাহানের মতো তিনিও এলাকায় দখলদারির রাজনীতি করতেন। একই ভাবে রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতাবলে বিরোধীদের তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর এবং বাড়ির মহিলাদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করতেন। জনাদাঁড়ি এবং মহম্মদপুরে দেড়শো বিঘা জমিতে ভেড়ি ছিল তাঁর।

    বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে যেতেন

    নান্টুর বাহিনীর দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে বাড়ির দরজা ভেঙে মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মতো এলাকার পুলিশ-প্রশাসন কোনও অভিযোগ নিতে রাজি হত না। পুলিশের কাছে কেউ সাক্ষী দিতে আতঙ্কিত হত। একই রকমের একটি মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরবেড়িয়া। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে এলাকার জালামাঠে খুন হন তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। এরপর তাঁর দখল করা জমিকে কৃষকেরা ফিরিয়ে নেন।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    ভগবানপুরের স্থানীয় মানুষ সনাতন, কানু প্রমুখ বলেন, “আমাদের এলাকার অন্ধকার যুগের ছবিই যেন সন্দেশখালিতে দেখতে পাচ্ছি। সংবাদ মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এবং মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা আবার আমাদের উপর হওয়া অত্যচারের কথাকেই মনে করিয়ে দিল।” অপর দিকে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি স্বপন রায় বলেন, “ভগবানপুরের তৃণমূলের মাফিয়ারাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই এলাকার মতো সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ রুখে দাঁড়াবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: “রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও মহিলাদের সম্মানই ভূলুণ্ঠিত”, সরব নিশীথ প্রামাণিক

    Nisith Pramanik: “রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও মহিলাদের সম্মানই ভূলুণ্ঠিত”, সরব নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজগার মেলার মাধ্যমে প্রায় এক লক্ষ ছেলেমেয়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল সোমবার। কেন্দ্রীয় সরকারের রোজগার মেলা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ১০ লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি নিয়োগ করার যে ঘোষণা দেশের প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন, তা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে রোজগার মেলা কর্মসূচির মাধ্যমে। তারই অঙ্গ হিসেবে সোমবার রাজগঞ্জের রাধাবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ১৪৭ জন যুবক-যুবতীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের জন্য নিয়োগপত্র তুলে দেন দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)।

    রোজগার মেলা নিয়ে কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)

    এই বিষয়ে নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী ১০ লক্ষ যুবক-যুবতীকে রোজগার মেলার মাধ্যমে কর্মসংস্থান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। সোমবার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় এক লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের জন্য নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কথা দিলে কথা রাখেন। তারই অঙ্গ হিসেবে বেকার যুবক-যুবতীদের হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল।

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব

    এদিন এই অনুষ্ঠানে এসে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে।তৃণমূল কংগ্রেসের পলাতক নেতা শেখ শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়ার পিছনে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন তিনি। এদিনই সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার শিলিগুড়ি সংলগ্ন রাধাবাড়ি এলাকায় বিএসএফ হেডকোয়ার্টারে রোজগার মেলায় যোগ দেন নিশীথ প্রামাণিক। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,”সন্দেশখালিতে যা হচ্ছে তা দু:খজনক ঘটনা। রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকতেও মহিলাদের সম্মান ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, অশালীন আচরণ করা হচ্ছে, যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের পর শিবুর কীর্তি নিয়ে চর্চা

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের পর শিবুর কীর্তি নিয়ে চর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান ‘বেপাত্তা’ হওয়ার পরে হাজারো ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে গিয়েছে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ওপরে অত্যাচার সামনে আসছে বিভিন্ন অভিযোগ। অভিযোগ, গত সাত-আট বছরে এ ভাবেই সন্দেশখালি গ্রামে একরের পর এক জমি হাতিয়ে নিয়েছিলেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা এবং তাঁর বাহিনী। ইদানীং এ সবের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন গ্রামের মানুষ।

    জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে মাছ চাষ! (Sandeshkhali)

    ইডি হানা দেওয়ার পর থেকে ফেরার সন্দেশখালির (Sandeshkhali)  ডন শাহজাহান। তাঁর বাহিনী এসে এলাকা দখলের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, লাভ কিছু হয়নি। এলাকার মানুষের প্রতিরোধে শাহজাহান বাহিনী পিছু হটেছে। এলাকার অত্যাচারিত মানুষ একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, জেলিয়াখালি ৬ নম্বর স্লস গেট চত্বরে বছর পাঁচেক আগে ৭-৮টি পরিবারের কাছ থেকে খুব অল্প দামে প্রায় ৮ একর জমি কেনেন শিবপ্রসাদ। সে সময়ে তিন লক্ষ টাকা বিঘা সেই জমির দাম শিবপ্রসাদ দিয়েছিলেন মাত্র এক লক্ষ টাকা করে। এই এলাকারই ৬ নম্বর পাড়ায়, যেখানে শিবপ্রসাদের পোলট্রি, সেই জমির পরিমাণও নয় নয় করে আট একর। এখানে কিছু পরিবারের বাস ছিল। তাঁরা জমি ছাড়তে চাননি। অভিযোগ, জোর করে জায়গা-জমি লিখিয়ে নিয়ে, মারধর করে তাঁদের গ্রামছাড়া করা হয় বলে অভিযোগ। জেলিয়াখালি পঞ্চায়েতের ভাঙা তুষখালি মৌজায় প্রায় ৭০০ বিঘা জমি লিজ়ে নিয়ে শিবপ্রসাদ মাছের চাষ করেন। বছর তিনেক ধরে চলছে সেই কারবার। বহু মানুষকে লিজ়ের টাকা দেননি, টাকা চাইলে উল্টে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শিবুর বাহিনীর বিরুদ্ধে। বহু জমি এভাবে দখলে রেখেছে।

    জলাভূমি ভরাট

    সন্দেশখালি-২ ব্লক অফিস ও থানার সামনে একটি জলাভূমি ভরাট করার অভিযোগ আছে শিবুর বিরুদ্ধে। মালিককে সামান্য কয়েক হাজার টাকা হাতে ধরিয়েছিলেন। শিবুর দাপটে কেউ মুখ খোলেননি সেই সময়ে। ওই জমি ভরাট করে দরমার বেড়া দিয়ে স্কুল তৈরি হচ্ছে। গ্রামের এক মহিলার কথায়, “স্কুল তৈরি তো বাহানা। আসলে জায়গাটা নজরে পড়েছে শিবুর, তাই যে ভাবে হোক দখলে রাখতেই এমন কাজ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দুদের বাস বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে আটকাল পুলিশ

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির পথে শুভেন্দুদের বাস বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে আটকাল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পদে পদে তৃণমূলীদের বাধা পেয়ে সন্দেশখালি পৌঁচ্ছাতে হয়। সেখানে গিয়ে তিনি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দলের সন্দেশখালি যাওয়ার কথা ছিল। বসে করেই তাঁরা রওনা দেন। সায়েন্স সিটির কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে তাঁদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    পুলিশি বাধা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়করা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন তিনটি বাসে করে বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়করা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে সন্দেশখালির পথে রওনা দেন। কিন্তু, পুলিশ সায়েন্স সিটির কাছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের মুখে ব্যারিকেড করে বিজেপি বিধায়কদের বাধা দেয়। সেখানে বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি, অগ্নিমিত্রা পল বলেন, সন্দেশখালিতে ৬০ কিলোমিটার দূরে আমাদের আটকে দেওয়া হল। এখানে ১৪৪ ধারা নেই। তারপরও তৃণমূলের দলদাস পুলিশ এটা করল। আমাদের কেন ভয় পাচ্ছে তৃণমূল? মহিলা বিধায়কদের তো যেতে দিতে পারে, সেটাও তারা দিচ্ছে না। আসলে শাহজাহানদের এই সরকার মদত দিচ্ছে। মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার হত তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেখানকার মানুষদের কথা শুনতেই আমরা সন্দেশখালি যেতাম। সেটাও পুলিশ করতে দিল না। শাহজাহানকে ধরতে পারছে না পুলিশ। আর আমাদের আটকানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

    শাহজাহান নিয়ে কী বললেন অগ্নিমিত্রা?

    ইডি ওপর হামলার পর থেকে শাহজাহান ফেরার। এখনও পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। তবে, তাঁর এক শাগদের উত্তম সর্দারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এরই মধ্যে শাহজাহানের হদিশ দিলেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, রবিবার হেমনগর এলাকায় শাহজাহানকে দেখা গিয়েছে। ৬জন সঙ্গে নিয়ে স্পিড বোটে তাঁদের দেখা গিয়েছিল। তাঁরা জঙ্গলের দিকে তিনি চলে যান। আমরা সব জানতে পারছি, অথচ মমতার পুলিশ কিছুই জানতে পারছে না। আসলে শাহজাহানকে পুলিশ বাঁচাতে চাইছে। আর এসবই হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    Sandeshkhali: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে এসে পার্টি ছেলেরা দেখে যেত, কার বাড়িতে সুন্দরী বউ রয়েছে। রাতে তাঁকে পার্টি অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হত। স্বামীই তাঁর সুন্দরী স্ত্রীকে পার্টি অফিসে পৌঁছে দিতেন। রাতভর নির্যাতন চালানোর পর ভোররাতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হত। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের বাহিনী দিনের পর দিন এই কর্মকাণ্ড করত বলে অভিযোগ। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন মহিলারা। এবার তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    শাহজাহান-বাহিনী নিয়ে সরব বাসিন্দারা (Sandeshkhali)

    ইডির ওপর হামলার পর থেকে ফেরার শাহজাহান। তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দারকে তৃণমূল সাসপেন্ড করার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। শিবু হাজরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, শেখ শাহাজাহান একা নয়, গ্রামে এরকম আরও অনেক গুন্ডা রয়েছে, যাদের অত্যাচারে এতদিনে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে গ্রামের মেয়েদের। এক মহিলা অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, “বাড়ির মেয়েদের কোনও সম্মান দেয়নি। মেয়েদের শেষ করে ফেলেছে। রাত সাড়ে দশটার সময়েও মেয়েদেরকে উঠিয়ে আনত পার্টি অফিসে। বিষয়টি সামনে আসতেই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। জানা গিয়েছে, রাজ্যেও আসতে পারে তদন্তকারী দল। গোটা ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তারা।

    রাজ্যজুড়ে মহিলাদের নির্যাতনের ভিডিও দেখাবে বিজেপি

    এই আবহের মধ্যেই সোমবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সন্দেশখালির (Sandeshkhali) উদ্দেশে রওনা দেন। বিজেপি-র প্রতিনিধি দলও সেখানে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এদিন দিনভর সন্দেশখালিতে উত্তেজনা রয়েছে। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতনে ভিডিও বিজেপি-র পক্ষ থেকে রাজ্য জুড়ে দেখানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিজেপির সব কর্মসূচির আগে-পরে এই ভিডিয়ো ব্যবহার করা হবে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, বাধা পেলে পথেই অবস্থান-বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, বাধা পেলে পথেই অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গত শনিবারই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শান্তি ফেরাতে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। অন্যথায় সোমবার তিনি বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হবেন বলেও জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, আজ সোমবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। পথে পুলিশ যেখানেই বাধা দেবে সেখানেই তিনি অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়বেন বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের মদতেই বাংলার মহিলাদের উপর এই ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সন্দেশখালির দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

    সন্দেশখালির উদ্দেশে রাজ্যপাল

    অন্যদিকে, সোমবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিপিএম ১২ ঘণ্টা বন‍্ধের ডাক দিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই থমথমে পরিবেশ গোটা সন্দেশখালিজুড়ে। সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। রওনা হওয়ার আগে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে তিনি বাইরে থাকার জন্য যেতে পারেননি সেখানে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ-এই খবর পেয়ে তিনি রাজ্যে ফিরেছেন।

    অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতাদের একাধিক দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সন্দেশখালিবাসীর। সেখানকার শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন মহিলারা। সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বিধানসভা থেকে রাজভবন অভিযান করে বিজেপির বিধায়ক দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবারে রাজ্যের সমস্ত থানায় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। যুব মোর্চার তরফ থেকেও আন্দোলনে নামা হয়।

    আরও পড়ুন: হলদোয়ানির হিংসায় ধৃত ৩০, “দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না”, বললেন ধামি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘গুন্ডারাজ চলছে’, কড়া বার্তা রাজ্যপালের, রিপোর্ট তলব তফসিলি কমিশনের

    Sandeshkhali: ‘গুন্ডারাজ চলছে’, কড়া বার্তা রাজ্যপালের, রিপোর্ট তলব তফসিলি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। শনিবারই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল করে রাজভবনে গিয়েছিল বিজেপি। সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি। এর পরই রাজ্যের থেকে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরইমধ্যে আবার শাহজাহান-উত্তম-শিবুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় তফসিলি কমিশন। সবমিলিয়ে সন্দেশখালি এখন রাজ্য রাজনীতিতে হটকেক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    গুন্ডাগিরি বন্ধ করতে হবে (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিওবার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “সভ্য সমাজে কতটা কুৎসিত ঘটনা ঘটতে পারে তা সন্দেশখালিতে দেখা যাচ্ছে। মহিলাদের হেনস্থা এবং নিগ্রহ করা হচ্ছে। গুন্ডারাজ চলছে সেখানে। নির্বাচিত সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে। কেউ আইনকে নিজের হাতে নিতে পারে না। গুন্ডাগিরি সেখানে বন্ধ করতে হবে। তা বন্ধ করতে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাকে সরকারের থেকে রিপোর্ট পেতে দিন। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এ বিষয়ে রিপোর্টের পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও রাজ্য সরকারকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

    রিপোর্ট তলব জাতীয় তফসিলি কমিশনর চেয়ারম্যান

    এরইমধ্যে এবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কেসে নড়েচড়ে বসল ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউলড কাস্ট কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে খবর। তিনদিনের মধ্যে তার জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে কমিশনের ফুল বেঞ্চ সন্দেশখালি যাবে বলে জানান জাতীয় তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। প্রসঙ্গত, এখনও খোঁজ মেলেনি শেখ শাহজাহানের। এদিকে তাঁর দুই শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা সন্দেশখালি। তৃণমূল মাথা থেকে হাত তুলতেই চাপে পড়ে অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করেছে উত্তমকে। শাসক নেতাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সন্দেশখালির মহিলারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান এখনও অধরা! তৃণমূল মুখ ফেরাতেই গ্রেফতার সাগরেদ উত্তম সর্দার

    Sandeshkhali: শাহজাহান এখনও অধরা! তৃণমূল মুখ ফেরাতেই গ্রেফতার সাগরেদ উত্তম সর্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান ফেরার। তাঁর অন্যতম দুই সাগরেদ শিবু হাজরা আর উত্তম সর্দারের নেতৃত্বে চলত তাণ্ডব। আর তার জেরেই গত তিনদিন ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আর এই সব ঘটনার জন্য আদতেই মুখ পুড়ছিল তৃণমূলের। তাই, তড়িঘড়ি শনিবার সকালে সাসপেন্ড করা হল উত্তমকে। দল মাথা থেকে হাত তুলে নিতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠল পুলিশ। গত তিনদিন ধরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তৃণমূল নেতা উত্তমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিকাশ সিংহ নামের এক বিজেপি নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার অন্যতম পর্যবেক্ষক পদে ছিলেন।

    সাসপেন্ডের পরই গ্রেফতার উত্তম (Sandeshkhali)

    শনিবার দুপুরে রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে পার্থ ভৌমিক ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ছ’বছরের জন্য তৃণমূল থেকে উত্তমকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরই এবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। আর দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হন উত্তম। তবে, সবটাই লোক দেখানো বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ৭ জানুয়ারি জনরোষ আছড়ে পড়েছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। উত্তমকে ধরে ফেলেছিলেন উত্তেজিত জনতা। পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে, ছেড়ে দেয়। তারপর থেকে রহস্যজনকভাবে তিনি ফেরার ছিলেন। কেউ তাঁর আর হদিশ পাচ্ছিলেন না। অনেকের মতে, পুলিশের নিরাপত্তায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন উত্তম। দল মাথা থেকে হাত তুলে নিতেই উত্তম গ্রেফতার হয়ে যায়।

    গ্রামবাসীদের জমি দখল করে উত্তমের ভেড়ি!

    শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ নেতা শিবু হাজরা আর উত্তমের বিরুদ্ধেও এলাকায় ‘অত্যাচার’-এর অভিযোগ রয়েছে। পার্টি অফিসে সুন্দরী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতন চালানো হত। প্রকাশ্যেই তৃণমূল নেতাদের এই অত্যাচারের বিষয়ে মহিলারা গর্জে ওঠেন। উত্তম-শিবুর গ্রেফতারের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামেন তাঁরা, ঘেরাও করা হয় থানা। বিক্ষোভে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মহিলারা। বাঁশ, কাটারি, দা, হাতা, খুন্তি, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অলিগলিতে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পোলট্রি ফার্ম, বাগানবাড়িতে। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের জমি জোর করে দখল করে ওই ফার্ম তৈরি করেছিলেন উত্তমেরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ৯০ শতাংশ ভেড়ি গ্রামবাসীদের জমি দখল করে তৈরি করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ছিল না মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার! বাড়ির কম বয়সী বউদের তুলে নিয়ে যেত তৃণমূলের নেতারা। এরপর পার্টি অফিসে রাতভর চলত বাড়ির মাহিলাদের উপর অমানবিক পৈশাচিক অত্যাচার। যৌনশোষণ করে তৃণমূল নেতাদের মন ভরলে তবেই ছাড় মিলত।” এই ভাবেই অভিযোগ করেন জেলিয়াখালির গ্রামবাসীরা। রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পলাতক নেতা শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ অনুগামি উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে গ্রামের মহিলারা ব্যাপকভাবে সরব হওয়ায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যজুড়ে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রথমে লাঠি, ঝাটা নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে এবং শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, গতকাল রাতভর প্রতিবাদী মহিলাদের টার্গেট করে ব্যাপক মারধর করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েকজন মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হত!

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের বক্তব্য বলেন, “তৃণমূল পার্টির লোকেরা আগে এসে দেখে যাবে কোন বাড়ির বউ বেশি সুন্দরী। এরপর তাঁদের মধ্যে যে কম বয়সী তাঁর বাড়িতে হুমকি চলে আসত। বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হতো তাঁদের হাতে। তুমি স্বামী হতে পারো, কিন্তু তোমার কোনও অধিকার ছিল না। তুলে নিয়ে চলে যেত তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এক দিনের জন্য নয়, রাতের পর রাত ভোগ করত নেতারা। ততক্ষণ পর্যন্ত রেহাই নেই ঠিক যতক্ষণ পর্যন্ত নেতাদের মন না ভরত। সারারাত পার্টি অফিসে রেখে, ভোর বেলায় ছেড়ে দেওয়া হতো বউদের। ঠিক এই ভাবে দিনের পর দিন আমাদের গ্রামবাসীর উপর অত্যাচার এবং যৌন নির্যাতন চালাতো সন্দেশখালির কুখ্যাত নেতা শাহজাহান বাহিনী।”

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু

    শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় (Sandeshkhali) এফআইআর করা হয়েছে। প্রধান অভিযোগ হল, শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিনও আগের মতোই লাঠি, বাঁশ, দা এবং কাটারি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। মানুষের সম্পত্তি জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে প্রাণের ভয় দেখানো হত। আর তাই জেলিয়াখালিতে মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে শুক্রবার উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “চোর মমতার বিরুদ্ধে বাংলায় হিন্দু সমাজের জনজাগরণ ঘটেছে। বাংলার মায়েরাই সেই রাস্তা দেখিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: জনরোষে জ্বলছে সন্দেশখালি, শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ফের লাঠি, দা হাতে পথে মহিলারা

    Sandeshkhali: জনরোষে জ্বলছে সন্দেশখালি, শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ফের লাঠি, দা হাতে পথে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনরোষ কী জিনিস, তা বৃহস্পতিবারই দেখিয়ে দিয়েছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে এলাকা থমথমেই ছিল। পুলিশি ধড়পাকড় বা অন্যান্য কারণে বাসিন্দাদের কিছুটা ভীত এবং সন্ত্রস্ত মনে হয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই দেখা গেল অন্য চিত্র। সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে শাহজাহান বাহিনীর মাতব্বর এবং মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে এদিন উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। হামলা চালানো হয় শিবু হাজরার পৈতৃক বাড়িতেও। সব মিলিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।

    উল্লেখ্য, এই শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় (Sandeshkhali) এফআইআরও করেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি হল, শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিনও আগের মতোই লাঠি, বাঁশ, দা এবং কাটারি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। তাঁদের একটাই বক্তব্য, শাহজাহানের দলবল একালায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে। রাতে মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পার্টি অফিসে। শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। বোঝাই যায়, অত্যাচারের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তাঁদের দেওয়ালে পিঠ থেকেছে। এবার এলাকার ‘বাঘে’দের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠেছেন অত্যাচারিতরা।

    আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যম (Sandeshkhali)

    এদিকে ওই খবর সংগ্রহে গেলে শিবু হাজরার দলের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। পোল্ট্রি ফার্মের আগুনের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাইকে চেপে এসে তারা নাকি মারমুখী হয়ে ওঠে। 

    কেন ফের পথে নেমেছিলেন মহিলারা? (Sandeshkhali) 

    শাহজাহান (Sandeshkhali) বিরোধী ক্ষোভ দানা বাঁধছিল অনেক আগে থেকেই। সেটা টের পেয়ে বুধবার শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী এলাকায় মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। আর সেটাই বুমেরাং হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে শাহজাহান বাহিনীকে ভাগানোর পর বৃহস্পতিবার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামেন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা। বুধবার রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়, এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share