Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, বাধা পেলে পথেই অবস্থান-বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি যাচ্ছেন শুভেন্দু, বাধা পেলে পথেই অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গত শনিবারই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শান্তি ফেরাতে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। অন্যথায় সোমবার তিনি বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হবেন বলেও জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, আজ সোমবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। পথে পুলিশ যেখানেই বাধা দেবে সেখানেই তিনি অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়বেন বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের মদতেই বাংলার মহিলাদের উপর এই ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সন্দেশখালির দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

    সন্দেশখালির উদ্দেশে রাজ্যপাল

    অন্যদিকে, সোমবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিপিএম ১২ ঘণ্টা বন‍্ধের ডাক দিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই থমথমে পরিবেশ গোটা সন্দেশখালিজুড়ে। সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। রওনা হওয়ার আগে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে তিনি বাইরে থাকার জন্য যেতে পারেননি সেখানে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ-এই খবর পেয়ে তিনি রাজ্যে ফিরেছেন।

    অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতাদের একাধিক দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সন্দেশখালিবাসীর। সেখানকার শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন মহিলারা। সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বিধানসভা থেকে রাজভবন অভিযান করে বিজেপির বিধায়ক দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবারে রাজ্যের সমস্ত থানায় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। যুব মোর্চার তরফ থেকেও আন্দোলনে নামা হয়।

    আরও পড়ুন: হলদোয়ানির হিংসায় ধৃত ৩০, “দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না”, বললেন ধামি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘গুন্ডারাজ চলছে’, কড়া বার্তা রাজ্যপালের, রিপোর্ট তলব তফসিলি কমিশনের

    Sandeshkhali: ‘গুন্ডারাজ চলছে’, কড়া বার্তা রাজ্যপালের, রিপোর্ট তলব তফসিলি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। ঘটনার প্রতিবাদে সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। শনিবারই শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল করে রাজভবনে গিয়েছিল বিজেপি। সন্দেশখালি ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি। এর পরই রাজ্যের থেকে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরইমধ্যে আবার শাহজাহান-উত্তম-শিবুদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় তফসিলি কমিশন। সবমিলিয়ে সন্দেশখালি এখন রাজ্য রাজনীতিতে হটকেক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    গুন্ডাগিরি বন্ধ করতে হবে (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিওবার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “সভ্য সমাজে কতটা কুৎসিত ঘটনা ঘটতে পারে তা সন্দেশখালিতে দেখা যাচ্ছে। মহিলাদের হেনস্থা এবং নিগ্রহ করা হচ্ছে। গুন্ডারাজ চলছে সেখানে। নির্বাচিত সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে। কেউ আইনকে নিজের হাতে নিতে পারে না। গুন্ডাগিরি সেখানে বন্ধ করতে হবে। তা বন্ধ করতে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাকে সরকারের থেকে রিপোর্ট পেতে দিন। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”এ বিষয়ে রিপোর্টের পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও রাজ্য সরকারকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

    রিপোর্ট তলব জাতীয় তফসিলি কমিশনর চেয়ারম্যান

    এরইমধ্যে এবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কেসে নড়েচড়ে বসল ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউলড কাস্ট কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলে খবর। তিনদিনের মধ্যে তার জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে কমিশনের ফুল বেঞ্চ সন্দেশখালি যাবে বলে জানান জাতীয় তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। প্রসঙ্গত, এখনও খোঁজ মেলেনি শেখ শাহজাহানের। এদিকে তাঁর দুই শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা সন্দেশখালি। তৃণমূল মাথা থেকে হাত তুলতেই চাপে পড়ে অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করেছে উত্তমকে। শাসক নেতাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সন্দেশখালির মহিলারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান এখনও অধরা! তৃণমূল মুখ ফেরাতেই গ্রেফতার সাগরেদ উত্তম সর্দার

    Sandeshkhali: শাহজাহান এখনও অধরা! তৃণমূল মুখ ফেরাতেই গ্রেফতার সাগরেদ উত্তম সর্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান ফেরার। তাঁর অন্যতম দুই সাগরেদ শিবু হাজরা আর উত্তম সর্দারের নেতৃত্বে চলত তাণ্ডব। আর তার জেরেই গত তিনদিন ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আর এই সব ঘটনার জন্য আদতেই মুখ পুড়ছিল তৃণমূলের। তাই, তড়িঘড়ি শনিবার সকালে সাসপেন্ড করা হল উত্তমকে। দল মাথা থেকে হাত তুলে নিতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠল পুলিশ। গত তিনদিন ধরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তৃণমূল নেতা উত্তমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিকাশ সিংহ নামের এক বিজেপি নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার অন্যতম পর্যবেক্ষক পদে ছিলেন।

    সাসপেন্ডের পরই গ্রেফতার উত্তম (Sandeshkhali)

    শনিবার দুপুরে রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে পার্থ ভৌমিক ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ছ’বছরের জন্য তৃণমূল থেকে উত্তমকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরই এবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। আর দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হন উত্তম। তবে, সবটাই লোক দেখানো বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ৭ জানুয়ারি জনরোষ আছড়ে পড়েছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। উত্তমকে ধরে ফেলেছিলেন উত্তেজিত জনতা। পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে, ছেড়ে দেয়। তারপর থেকে রহস্যজনকভাবে তিনি ফেরার ছিলেন। কেউ তাঁর আর হদিশ পাচ্ছিলেন না। অনেকের মতে, পুলিশের নিরাপত্তায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন উত্তম। দল মাথা থেকে হাত তুলে নিতেই উত্তম গ্রেফতার হয়ে যায়।

    গ্রামবাসীদের জমি দখল করে উত্তমের ভেড়ি!

    শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ নেতা শিবু হাজরা আর উত্তমের বিরুদ্ধেও এলাকায় ‘অত্যাচার’-এর অভিযোগ রয়েছে। পার্টি অফিসে সুন্দরী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতন চালানো হত। প্রকাশ্যেই তৃণমূল নেতাদের এই অত্যাচারের বিষয়ে মহিলারা গর্জে ওঠেন। উত্তম-শিবুর গ্রেফতারের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামেন তাঁরা, ঘেরাও করা হয় থানা। বিক্ষোভে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মহিলারা। বাঁশ, কাটারি, দা, হাতা, খুন্তি, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অলিগলিতে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পোলট্রি ফার্ম, বাগানবাড়িতে। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের জমি জোর করে দখল করে ওই ফার্ম তৈরি করেছিলেন উত্তমেরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ৯০ শতাংশ ভেড়ি গ্রামবাসীদের জমি দখল করে তৈরি করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ছিল না মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার! বাড়ির কম বয়সী বউদের তুলে নিয়ে যেত তৃণমূলের নেতারা। এরপর পার্টি অফিসে রাতভর চলত বাড়ির মাহিলাদের উপর অমানবিক পৈশাচিক অত্যাচার। যৌনশোষণ করে তৃণমূল নেতাদের মন ভরলে তবেই ছাড় মিলত।” এই ভাবেই অভিযোগ করেন জেলিয়াখালির গ্রামবাসীরা। রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পলাতক নেতা শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ অনুগামি উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে গ্রামের মহিলারা ব্যাপকভাবে সরব হওয়ায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যজুড়ে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রথমে লাঠি, ঝাটা নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে এবং শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, গতকাল রাতভর প্রতিবাদী মহিলাদের টার্গেট করে ব্যাপক মারধর করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েকজন মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হত!

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের বক্তব্য বলেন, “তৃণমূল পার্টির লোকেরা আগে এসে দেখে যাবে কোন বাড়ির বউ বেশি সুন্দরী। এরপর তাঁদের মধ্যে যে কম বয়সী তাঁর বাড়িতে হুমকি চলে আসত। বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হতো তাঁদের হাতে। তুমি স্বামী হতে পারো, কিন্তু তোমার কোনও অধিকার ছিল না। তুলে নিয়ে চলে যেত তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এক দিনের জন্য নয়, রাতের পর রাত ভোগ করত নেতারা। ততক্ষণ পর্যন্ত রেহাই নেই ঠিক যতক্ষণ পর্যন্ত নেতাদের মন না ভরত। সারারাত পার্টি অফিসে রেখে, ভোর বেলায় ছেড়ে দেওয়া হতো বউদের। ঠিক এই ভাবে দিনের পর দিন আমাদের গ্রামবাসীর উপর অত্যাচার এবং যৌন নির্যাতন চালাতো সন্দেশখালির কুখ্যাত নেতা শাহজাহান বাহিনী।”

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু

    শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় (Sandeshkhali) এফআইআর করা হয়েছে। প্রধান অভিযোগ হল, শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিনও আগের মতোই লাঠি, বাঁশ, দা এবং কাটারি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। মানুষের সম্পত্তি জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে প্রাণের ভয় দেখানো হত। আর তাই জেলিয়াখালিতে মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে শুক্রবার উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “চোর মমতার বিরুদ্ধে বাংলায় হিন্দু সমাজের জনজাগরণ ঘটেছে। বাংলার মায়েরাই সেই রাস্তা দেখিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: জনরোষে জ্বলছে সন্দেশখালি, শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ফের লাঠি, দা হাতে পথে মহিলারা

    Sandeshkhali: জনরোষে জ্বলছে সন্দেশখালি, শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ফের লাঠি, দা হাতে পথে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনরোষ কী জিনিস, তা বৃহস্পতিবারই দেখিয়ে দিয়েছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে এলাকা থমথমেই ছিল। পুলিশি ধড়পাকড় বা অন্যান্য কারণে বাসিন্দাদের কিছুটা ভীত এবং সন্ত্রস্ত মনে হয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই দেখা গেল অন্য চিত্র। সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে শাহজাহান বাহিনীর মাতব্বর এবং মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে এদিন উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। হামলা চালানো হয় শিবু হাজরার পৈতৃক বাড়িতেও। সব মিলিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।

    উল্লেখ্য, এই শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় (Sandeshkhali) এফআইআরও করেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি হল, শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিনও আগের মতোই লাঠি, বাঁশ, দা এবং কাটারি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। তাঁদের একটাই বক্তব্য, শাহজাহানের দলবল একালায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে। রাতে মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পার্টি অফিসে। শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। বোঝাই যায়, অত্যাচারের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তাঁদের দেওয়ালে পিঠ থেকেছে। এবার এলাকার ‘বাঘে’দের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠেছেন অত্যাচারিতরা।

    আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যম (Sandeshkhali)

    এদিকে ওই খবর সংগ্রহে গেলে শিবু হাজরার দলের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। পোল্ট্রি ফার্মের আগুনের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাইকে চেপে এসে তারা নাকি মারমুখী হয়ে ওঠে। 

    কেন ফের পথে নেমেছিলেন মহিলারা? (Sandeshkhali) 

    শাহজাহান (Sandeshkhali) বিরোধী ক্ষোভ দানা বাঁধছিল অনেক আগে থেকেই। সেটা টের পেয়ে বুধবার শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী এলাকায় মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। আর সেটাই বুমেরাং হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে শাহজাহান বাহিনীকে ভাগানোর পর বৃহস্পতিবার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামেন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা। বুধবার রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়, এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: থমথমে সন্দেশখালিতে বন্ধ দোকানপাট, এফআইআর-পাল্টা এফআইআরে চাপা উত্তেজনা

    Sandeshkhali: থমথমে সন্দেশখালিতে বন্ধ দোকানপাট, এফআইআর-পাল্টা এফআইআরে চাপা উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। মহিলারা যেভাবে ঝাঁটা এবং লাঠি হাতে পথে নেমে  বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাতে এরকম ঘটনা আগে কোথাও ঘটেছে বলে অনেকেই মনে করতে পারছেন না। শুধু বিক্ষোভ দেখানোই নয়, মহিলারা প্রকাশ্যে শাহজাহান এবং তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তোলেন। সব মিলিয়ে দিনভর উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটেছে সন্দেশখালি। তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলারা যেভাবে সরব হয়েছেন, তাতে অনেকেই অবাক।

    থমথমে এলাকা, দোকান বন্ধ (Sandeshkhali)

    সেই সন্দেশখালি শুক্রবার ছিল থমথমে। বৃহস্পতিবারের সেই বিক্ষোভ, উত্তেজনা কিছুই ছিল না। কিছু দোকান খোলা থাকলেও অধিকাংশই বন্ধ। রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যাও বেশ কম। বোঝা গেল অশান্তি বা নতুন করে হাঙ্গামার ভয়ে অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হতে চাইছেন না। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। একটি করেছেন অভিযুক্ত শিবু হাজরা। তিনি শতাধিক মহিলার নামে ভাঙচুর এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা  এফআইআর করেছেন তার বিরুদ্ধে। সেখানে শিবু হাজরার সঙ্গে তৃণমূলের কয়েকজন মাতব্বরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ (Sandeshkhali) জানিয়েছে, গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছে মোট পাঁচজনকে। একই দিনে তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

    কেন ফের পথে নেমেছিলেন মহিলারা? (Sandeshkhali) 

    ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। শাহজাহান (Sandeshkhali) বিরোধী ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। সেটা টের পেয়ে বুধবার শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী এলাকায় মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। আর সেটাই বুমেরাং হয়।  স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে শাহজাহান বাহিনীকে ভাগানোর পর বৃহস্পতিবার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামেন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা। বুধবার রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়, এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালিতেই শাহজাহানকে গ্রেফতারের উঠল দাবি, লাঠি হাতে মহিলাদের বিক্ষোভ

    Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালিতেই শাহজাহানকে গ্রেফতারের উঠল দাবি, লাঠি হাতে মহিলাদের বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বা কোনও বিরোধীরা নয়, সন্দেশখালির মানুষ এবার তৃণমূলের ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নামলেন। রীতিমতো লাঠি, বাঁশ হাতে বৃহস্পতিবার  পথে নামলেন সন্দেশখালির মহিলারা। এ বার তাঁদের সরাসরি দাবি, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শেখ শাহজাহান, ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা এবং আরও এক তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে।

    কেন ফের পথে নামলেন মহিলারা? (Sheikh Shahjahan)

    ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালিতে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) বিরোধী ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। সেটা টের পেয়ে বুধবার শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী এলাকায় মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। আর সেটাই বুমেরাং হয়।  স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে শাহজাহান বাহিনীকে ভাগানোর পর বৃহস্পতিবার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামলেন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা। বুধবার রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

    বিক্ষোভকারী মহিলাদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভরত মহিলাদের বক্তব্য, “শাহজাহানেরা (Sheikh Shahjahan)  দিনের পর দিন ধরে জমি দখল করেছেন। মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন। তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমরা যাব না। এতদিন শিবপ্রসাদ, শাহজাহানদের ভয়ে মুখ বুজে সমস্ত অত্যাচার সয়েছি। বাইরে থেকে গুন্ডা এনে আমাদের উপর অত্যাচার করত। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে, তাই রাস্তায় নেমেছি। কারণ,  পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে বলে শাহজাহানের কাছে যাও। শাহজাহান বলে শিবু হাজরার কাছে যাও। আমরা কোথায় যাব? এটা চলতে পারে না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ তৃণমূল কর্মীর, চলল গুলি, পোলট্রি ফার্মে আগুন

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ তৃণমূল কর্মীর, চলল গুলি, পোলট্রি ফার্মে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় দাদাগিরি দেখাতে গিয়েছিল ফেরার “বেতাজ বাদশা” শেখ শাহজাহানের বাহিনী। তারপরই এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচলেন তৃণমূল কর্মীরা। এমনকী দুই তৃণমূল কর্মী তো নদীতে লাফ মেরে লঞ্চে উঠে প্রাণে বাঁচেন। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল মাটি হারাচ্ছে। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    গত কয়েক দিন ধরে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দুই তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য শিবুপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁরা শেখ শাহজাহানের অনুগামী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই দুই তৃণমূল নেতা জোর করে এলাকার মানুষদের সম্পত্তি দখল করে মাছ চাষ করছেন। মাছের ভেড়ির লিজের টাকা পর্যন্ত দিচ্ছেন না। ফলে লিজের টাকা দেওয়া ও জমি ফেরতের দাবি  তুলে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে বুধবার দুপুরে সন্দেশখালির ত্রিমোহিনীতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এই বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হওয়ার পরেই তৃণমূলের বাইক বাহিনী সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের নানা রকম হুমকি দিতে শুরু করে। তারপরেই এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে তৃণমূলের বাইক বাহিনীকে লাঠি নিয়ে তাড়া করে এলাকাছাড়া করেন। দুজন তৃণমূল কর্মী তো নদীতে ঝাঁপ দেন।

    তৃণমূল নেতার পোলট্রি ফার্মে আগুন, চলল গুলিও

    এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর জন্য শূন্যে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে কয়েক হাজার এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, তৃণমূল বহিরাগত দুষ্কৃতী এনে এলাকায় অত্যাচার শুরু করেছে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শান্তি ফেরানোর জন্য অবিলম্বে ওই দুই তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। বুধবার রাতে শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নামানো হয়েছে র‍্যাফও।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময় সিপিএম ও বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। ১৫ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন।” বসিরহাট বিজেপি সাংগঠনিক জেলার অবজারভার বিকাশ সিংহ বলেন, ‘এলাকার মানুষ বেশ কিছু দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তৃণমূল পরিকল্পনা করে সেই বিক্ষোভকারীদের ওপর অত্যাচার চালানোর চেষ্টা করে। এলাকার ভিতরে ঢুকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী শূন্যে গুলি চালিয়েছে। পুলিশ তৃণমূল কর্মীদের হামলা চালাতে সাহায্য করেছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘নিখোঁজ’, ‘বেপাত্তা’ শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন এবার বারাসত আদালতে!

    Sandeshkhali: ‘নিখোঁজ’, ‘বেপাত্তা’ শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন এবার বারাসত আদালতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নাকি নিখোঁজ। তিনি নাকি বেপাত্তা। ঘটনার পর প্রায় ২৬ দিন অতিক্রান্ত। তবুও পুলিশ নাকি তাঁর হদিশ পায়নি। হাইকোর্ট থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, তাঁর এই অন্তরালে থাকা নিয়ে বারবার নানা মন্তব্য শোনা গিয়েছে। এমনকী ক’দিন আগে আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে তিনি যখন ইডি’র দ্বারস্থ হন, তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, আবেদনপত্রে তিনি সই করলেন কীভাবে। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এই তৃণমূল নেতা শাহজাহানের অন্তর্ধান-রহস্য যখন ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে, তখন আরও একবার তাঁর নাম ভেসে উঠল। এবার তাঁর জন্য আগাম জামিনের আর্জি জমা পড়ল বারাসত আদালতে।

    কী জানালেন সরকারি আইনজীবী?

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু জানান, গতকাল শাহজাহান তাঁর আইনজীবী মারফত আগাম জামিনের একটি আবেদন করেন। সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জামিনের মামলার শুনানি। তিনি আরও জানান, ন্যাজাট পিএস কেস নাম্বার ৯/২৪ মামলার ভিত্তিতে এই আবেদন করা হয়েছে। জামিনের আবেদনে শাহজাহান সেখানে উপস্থিত ছিল না, এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে থানার কাছে মামলা (Sandeshkhali) সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে সরকারি আইনজীবীর পক্ষে।

    বাড়িতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি (Sandeshkhali) 

    উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন ইডি’র আধিকারিকরা। তাঁকে সেদিন বাড়িতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওই দিনই শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। ইডি’র অফিসার এবং নিরাপত্তা আধিকারিকরা আক্রান্ত হন, আহত হন। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানোর পর বিষয়টি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। ইডি’র পক্ষ থেকে গত ২৪ শে জানুয়ারি ফের ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে (Sandeshkhali) অভিযান চালানো হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বেশ কিছু জিনিস। ইডির পক্ষ থেকে তাঁর বাড়িতে নোটিশ লাগিয়ে ২৯ শে জানুয়ারি তাঁকে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেদিনও তিনি হাজির হননি। অথচ আগাম জামিনের জন্য একের পর এক আবেদন জানিয়ে চলেছেন। প্রশ্ন উঠছে, আইনজীবীর সঙ্গে তাঁর যেখানে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে, সেখানে পুলিশ তাঁকে কেন খুঁজে পাচ্ছে না! যদিও এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

    হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে পুলিশ (Sandeshkhali) 

    উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে সেদিন হামলাকারীর সংখ্যা ছিল হাজার তিনেক। কিন্তু পুলিশ কেন মাত্র চারজনকে গ্রেফতার করেছে, সেই প্রশ্ন তুলে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। বিচারপতি বলেছিলেন, পুলিশ এতদিন ধরে কী করছে, সেটা কেস ডায়েরি দেখেই বোঝা সম্ভব। পুলিশকে তাই কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। প্রশ্ন উঠেছে, দলীয় নেতৃত্বেই কি তাঁকে আগলে রেখেছেন?

    লুক আউট নোটিশ জারি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূলের ডন (Sandeshkhali) শাহজাহানের বিরুদ্ধে ঘটনার পরই লুক আউট নোটিশ জারি করে ইডি। শুধুমাত্র সন্দেশখালির এই ডন নেতাই নয়, তাঁর পরিবারের অন্যান্য় সদস্যদের নামেও এই লুক আউট নোটিশ জারি করে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। লুক আউট নোটিশ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। নোটিশ যায় সীমান্তরক্ষীবাহিনীর হাতেও। যাতে শাহাজাহান দেশ ছাড়তে না পারে। কিন্তু কোথায় কী! তাঁর টিকিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • CV Ananda Bose: বাংলার শত্রু ‘হিংসা আর দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: বাংলার শত্রু ‘হিংসা আর দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান এখনও বেপাত্তা। ২৪ দিন হতে চলল পুলিশ তাঁর টিকি পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি। অথচ তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয়।২৬ জানুয়ারি কর্মীদের তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। তারপরও পাঁচদিন হতে চলল শাহজাহানের কোনও হদিশ নেই পুলিশের কাছে। আর সেই শাহজাহান নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

    শাহজাহান নিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    মহাত্মা গান্ধীর মহাপ্ৰয়াণ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বারাকপুর গান্ধীঘাটে এসে শেখ শাহজাহান ইস্যুতে ফের মুখ খুললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। গান্ধীঘাটে প্রার্থনা সভায় অংশ নেবার পর এদিন রাজ্যপাল গান্ধীজীর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,  “আইন আইনের পথে চলছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে। নিয়ম মেনেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শীঘ্রই ধরা হবে। আপনারা ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করুন।” একইসঙ্গে তিনি বার্তা দেন, বাংলার দুটি শত্রু রয়েছে-“হিংসা আর দুর্নীতি।” আর এর বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। নাম না করলেও রাজ্যপাল এই দুটি শত্রুর জন্য বাংলার তৃণমূল সরকারই দায়ী তা স্পষ্ট করে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    নরেন্দ্রপুর স্কুলে তাণ্ডব নিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল?

    শনিবার নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকার ওপর চড়াও এবং ভাঙচুরের ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে। সেই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের বেশিরভাগই এখনও গ্রেফতার করতে হয়নি। এপ্রসঙ্গে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “আমরা বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখব। তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন, একটু সময় দিতে হবে, নিশ্চয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু, পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে যথাযথ নিয়ম মেনেই বিষয়টিতে আমি হস্তক্ষেপ করবেন।” রাজ্যপাল ছাড়াও এদিন গান্ধীঘাটে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বারাকপুর কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিং, জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share