Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • ED: ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত ইডি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকল তালা ভেঙে, উধাও ‘তৃণমূলের বীরপুঙ্গবরা’

    ED: ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত ইডি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকল তালা ভেঙে, উধাও ‘তৃণমূলের বীরপুঙ্গবরা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ দিন পর বুধবার ফের সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার ডেরায় হানা দিল ইডি (ED)। তাঁর বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে কী উদ্ধার হয় তা নিয়ে রাজ্যবাসীর নজর ছিল। এদিন শাহজাহানের বাড়িতে হানার সময় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশ রাজ্য পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত র‍্যাফকে দেখা গিয়েছে। তাঁরা হেলমেট পরিহিত। হাতে লাঠি বা আধুনিক অস্ত্র। শাহজাহানের বাড়ির ফটকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের জওয়ানরা। সঙ্গে রয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরাও। এবার ‘রণসজ্জায়’ সজ্জিত হয়ে তৃণমূল নেতার ঘরের তালা ভেঙে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর একের পর এক ঘরে ঢুকে চলে তল্লাশি। নামিয়ে আনা হয় সুটকেস। ভাঙা হয়েছে আলমারির তালা।

    তল্লাশি চালিয়ে কী মিলল? (ED)

    বুধবার সাতসকালে শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডির (ED) ছয় আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া এক জন আছেন শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য। তাঁরা একের পর এক ঘরে যান। সমস্ত ঘরে তল্লাশি চালান। আসবাবপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে পৌঁছে যান রান্নাঘরেও। ঘরের ভিতরে থাকা আলমারির তালা ভাঙা হয়েছে। সুটকেস নামিয়ে খোলা হয়েছে। কিন্তু, রান্নাঘরের সিঙ্ক থেকে বাসনকোসন আর আলমারি এবং সুটকেস থেকে জামাকাপড় ছাড়া কিচ্ছু মেলেনি।

    নিরাপত্তায় মোড়া গোটা এলাকা, বন্ধ শাহজাহান মার্কেট

    ১৯ দিন আগে ইডি (ED) হানার সময় সন্দেশখালির শাহজাহানের বাড়ির সঙ্গে বুধবারের তাঁর বাড়ি ও আশপাশের পরিবেশের চেহারা একেবারেই আলাদা। এদিন সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযান চালানোর সময় বাড়ির সামনে নেই কোনও জনতার ভিড়়। তৃণমূল নেতার নামাঙ্কিত শাহজাহান মার্কেটের একটি দোকানও খোলেনি। বাজারে দেখা গেল সুনসান ছবি। আদালতের নির্দেশে তৃণমূল নেতার বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে সন্দেশখালির বাজারেও সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিল পুলিশ। সাধারণ মানুষের আনাগোনাও একেবারেই হাতেগোনা। সমস্ত এলাকা দখল নিয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং সিআরপিএফ। শাহজাহানের বাড়ি থেকে বড় রাস্তায় যাওয়ার জন্য রয়েছে এক চিলতে রাস্তা। সেই ১০০ মিটার রাস্তাও পুরোপুরি মোড়া খাকি, জলপাই পোশাক পরিহিত দীর্ঘদেহীদের দিয়ে। বড় রাস্তার দখলও পুরোপুরি নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে। জায়গায় জায়গায় তাঁরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সকাল থেকে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাননি ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাকভোরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা ইডির। বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর শতাধিক জওয়ানকে নিয়ে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানকার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির তালা ভেঙে ঢুকে পড়েন তদন্তকারীরা। এর আগের দিন ইডির তদন্তে বাধা দিয়েছিল যারা, তৃণমূলের সেই বীরপুঙ্গবরা এদিন যেন উধাও হয়ে গিয়েছে কর্পূরের মতো। ইডি কর্তারা নির্বিঘ্নেই তল্লাশি চালাচ্ছেন শাহজাহানের বাড়িতে। সন্দেশখালিকাণ্ডের পর থেকে অবশ্য গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূলের এই নেতা। দলীয় নেতৃত্বই তাঁকে পালক চাপা দিয়ে রেখেছেন, নাকি পগার পেরিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে জনতার ভিড়ে মিশে গিয়েছেন, তা জানা যায়নি।

    ইডির ওপর হামলা

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডের তদন্তে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডির তদন্তকারীরা। শাহজাহানের মোবাইলের টাওয়ার জানান দিচ্ছিল তৃণমূলের এই নেতা ছিলেন বাড়িতেই। যদিও দরজার তালা না খোলায় ঘরে ঢুকতে পারেননি ইডির আধিকারিকরা। এই সময় তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী (এরা শাহজাহানের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত) হামলা চালায় ইডির ওপর। দুষ্কৃতীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে ইডির দুই কর্তার পাশাপাশি জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। আধিকারিকদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় ল্যাপটপ, মোবাইল, নগদ টাকা।

    আটঘাট বেঁধে তদন্তে ইডি

    সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন ২৫টি গাড়িতে করে ১২৫ জনেরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিয়ে ইডির আধিকারিকরা পৌঁছান শাহজাহানের বাড়িতে। হেলমেট, হাতে গার্ড নিয়ে পজিশন নিয়ে নেন জওয়ানরা। এদিনও যথারীতি শাহজাহানের বাড়ির তালা খুলতে অস্বীকার করেন বাড়িতে থাকা একজন। পরে তালা ভেঙেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: “নেতাজির চিন্তার সঙ্গে আমাদের ভাবনার কোনও পার্থক্য নেই”, সাফ জানালেন ভাগবত

    এবার আটঘাট বেঁধেই শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। ইডির তরফে নিয়ে আসা হয়েছে তিনজন সাক্ষী। সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে স্থানীয় দুজনকেও। এই পাঁচ সাক্ষীর উপস্থিতিতেই চলছে তল্লাশি। তল্লাশির পুরো পর্বটি ভিডিওগ্রাফি করে (Sandeshkhali) রাখছেন ইডির নিয়ে আসা ভিডিওগ্রাফাররা।  

    প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতার করা হয়েছে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকেও। তৃণমূল নেতা শাহজাহান এই দুজনেরই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় ইডি। তখনই হামলা হয় ইডির ওপর। ইডি পিছু হঠলে, প্রায় বুদবুদের মতো মিলিয়ে যান তৃণমূলের শাহজাহান। এখনও পর্যন্ত টিকি পর্যন্ত দেখা যায়নি তাঁর।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো,’ তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো,’ তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়নগরের সভার পাল্টা সভা জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতের রেল মাঠে করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এই পাল্টা সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন তিনি। মূলত বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এই সভার আয়োজন করা হয়।

    মমতাকে তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোডিয়াম-পটাশিয়ামের গন্ডগোল পুনরায় হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কপিল মুনির আশ্রম তিনি বানিয়েছেন, এমনকী কালিঘাট-তারাপীঠও তিনি বানিয়েছেন। কি আর করা যাবে? কথাবার্তার কোনও ব্যালান্স নেই। এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ৪৭ সালে বেলেঘাটায় এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান্ধীজিকে ফলের জুস খাইয়েছেন। রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন বলে তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন। দেশে আমরা আছি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাথার ঠিক নেই।

    ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো

    সন্দেশখালি তৃণমূল নেতা শাহজাহানের প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, শাহজাহান ফেরার নয়, তাঁকে পুলিশ নিয়ে নিয়েছে। তাই, শাহজাহানকে কোনওদিন ধরতে পারবে না। এছাড়াও তিনি চাঞ্চল্যকর দাবি করেন শাজাহান কোথায় রয়েছে সেই খবর আমরা জানি, সরবেরিয়া থেকে ধামাখালির মধ্যে আত্মগোপন করে রয়েছে শাহজাহান। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিষ্ণুপুরের বিজেপি নেতা অগ্নিশ্বর নস্করকে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। অথচ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছেন। আর পুলিশ ধরতে গেলে কিছু পুলিশ রয়েছে তারাই শাহজাহানকে জানিয়ে দিচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই চোর মমতাকে আপনারা পাল্টাবেন, ততক্ষণ আপনাদের এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। যেদিন মমতা প্রাক্তন হবেন, আর চোর ভাইপো জেলে যাবেন, সেদিন মানুষ শান্তি পাবেন। তার আগে কোনও শান্তি পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমাদের লড়াই চলছে। তিনি আরও বলেন, সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা চোর নর্দমার কিট (কুণাল ঘোষ) সে তো বলে পিসি হল রামকৃষ্ণ দেব আর কয়লা ভাইপো হল স্বামী বিবেকানন্দ। আমার মনে হয়, ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি হলেন পিসি আর ভাইপো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের জমিতেও থাবা শাহজাহানের!

    Sheikh Shahjahan: তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের জমিতেও থাবা শাহজাহানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) । পুলিশের খাতায় তিনি এখনও ফেরার। তবে, যতদিন যাচ্ছে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। এরইমধ্যে সামনে এসেছে তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থানেও জমি কেলেঙ্কারি! আর পিছনেও রয়েছে শাহজাহান। এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস ছিল না। প্রায় দুসপ্তাহের কাছাকাছি তিনি এলাকা ছাড়া থাকায় এলাকার মানুষ এবার ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

    শহিদ পরিবারের জমিও রেকর্ড করে নিয়েছে শাহজাহানের পরিবার! (Sheikh Shahjahan)

    তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থানেই জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির বেড়মজুর পঞ্চায়েত এলাকায় তেভাগা আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। জমি আন্দোলনে যুক্ত থেকে প্রাণ হারানো কৃষকদের জন্য রয়েছে শহিদ বেদীও। অভিযোগ, সেই বেদী সংলগ্ন গরিব চাষিদের জমি শাহজাহানের প্রত্যক্ষ মদতে তাঁর ভাই বেড়মজুরের অঞ্চল সভাপতি সিরাজউদ্দিন শেখ দখল করে নিয়েছেন। শহিদ বেদীর অবস্থা তথৈবচ। ভেঙে পড়ছে চাঙর। শহিদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, বেদীর দু’পাশে জমি ৯১১ নম্বর খতিয়ান, আরেকপাশে ২২২৩ ও ২২২৪ নম্বর খতিয়ানের জমি এখন সিরাজউদ্দিনের দখলে রয়েছে। অথচ এই জমি আমাদের বাবাদের নামে। আমরা এখানে চাষবাস করে খাই। হঠাৎ করে দেখি এই জমি ওঁদের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। আমাদের জমি দখল হয়ে যায়। আর দাদার দাপটে এলাকায় কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। কারণ, কেউ জমি দখলের বিষয়ে মুখ খুললে বিপদ। বাড়িতে এসে ভাঙচুর করবে, মারধর করবে। পাশেই দাঁড়িয়ে গ্রামেরই আরেক বৃদ্ধা বললেন,ধমক-চমক দেখায়। অন্য জমি থাকলেও, তা ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাবে। কোনও দিনই বিচার পাইনি, পাব বলে আশাই করি না। ইডি-র হামলার পর থেকে যদিও গ্রামে এখন আপাতত শেখ শাহজাহান কিংবা শেখ সিরাজউদ্দিন কারোরই টিকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বুকে বল নিয়ে সাহস করে এসব কথা বলে শাহজাহানের জমানায় অত্যাচারিত হওয়া পরিবারের লোকজন সুবিচার চাইছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হল শাহজাহানকে

    Sheikh Shahjahan: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হল শাহজাহানকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তাঁর বাহিনী ইডি আধিকারিকের ওপর হামলা করে নিজের দাপট দেখিয়েছেন। আগে অপকর্ম করেই কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে ফের স্বমহিমায় দলে ক্ষমতা দেখাতেন। সেই পুরানো ছকে ঘটনার পর থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু, তাঁর এই কুকর্মের জন্য শাসক দল চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে। তাই, এবার আর পিঠ চাপড়ে বাহবা না দিয়ে দল তাঁকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। তারই প্রতিফলন হল, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষর পদ থেকে শাহজাহানকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। সূত্রের খবর, শাহজাহানের পরিবর্তে এখন থেকে ওই পদ সামলাবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। তবে, কি শাহজাহানের ডানা ছাঁটা শুরু করল দল? এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।

    জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হল শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)

    ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি থেকে তৃণমূলকে বিপুল ভোটে লিড দিয়েছিল শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) বাহিনী। ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর পরই তিনজন বিজেপি কর্মীকে গুলি করে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছিলেন কিছুদিনের জন্য। পরে, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে একই মঞ্চে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। মাথায় মন্ত্রীর হাত থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি। তিনি শুধু আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীদের খুন করার পুরস্কার হিসেবে পঞ্চায়েত সদস্য থেকে জেলা পরিষদের টিকিট পান। আর বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এবার ইডি কাণ্ডে দলের মুখ পুড়িয়েছেন শাহজাহান। তাই দলও তাঁর পাশ থেকে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল।

    পরিবারের লোকজনকে জেরা করা হতে পারে!

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ছবি দিয়ে ইতিমধ্যে বিএসএফকে সতর্ক করেছে ইডি। শাহজাহান পালিয়ে গেলেও তাঁর বাড়িতে ফের তল্লাশি অভিযান চালানোরও প্রস্তুতি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শাহজাহানের খোঁজ পেতে তাঁর পরিবারের লোকজনকেও জেরা করা হতে পারে। তবে তার আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আধা সামরিক বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন ইডি কর্তারা। হতে পারে এরপর থেকে আরও বড় বাহিনী নিয়ে তল্লাশি চালানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকেই ধরতে পারল না পুলিশ, ডিজি নাকি কড়া ব্যবস্থা নেবেন!

    Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকেই ধরতে পারল না পুলিশ, ডিজি নাকি কড়া ব্যবস্থা নেবেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ডেরায় রেশন দুর্নীতি তদন্তে হানা দিয়েছিল ইডি। শাহজাহানের বাহিনীর হাতে ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হন। রাজ্যে প্রথম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে এভাবে বাধার মুখে পড়তে হয়। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। শাহজাহান সুন্দরবন এলাকাতেই ঘাপটি মেরে রয়েছেন। ঘটনার পর প্রায় চারদিন হতে চলল পুলিশ তাঁর টিকি ছুঁতে পারেননি। এতদিন পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। ঘটনার চারদিন পর ডিজি রাজীব কুমার যা বললেন তা শাহজাহান কবে গ্রেফতার হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন ডিজি?

    সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে যান ডিজি রাজীব কুমার। সন্দেশখালিতে ইডি-র হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে বা যাঁরা আইনভঙ্গ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এমনিতেই শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে ইডি। বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতেই এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন তিনি। তারপরও গত চারদিন হতে চলল তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি পুলিশ। এতদিন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে মনে হয় না। তবে, চারদিন পর অভিযুক্ত শাহজাহানকে গ্রেফতার করে এভাবে প্রকাশ্যে ডিজি মুখ খুললে ভালো হত, এমনই মনে করছে বিরোধীরা।

    ঠিক কী হয়েছিল সন্দেশখালিতে? (Sheikh Shahjahan)

    ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে রেশন দুর্নীতি মামলার সূত্রে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বেনজির হামলার শিকার হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন ইডি আধিকারিক। তারপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই শেখ শাহজাহানের একটি অডিও টেপ সামনে আসে। সেখানে সিবিআই বা ইডিকে যাতে সন্দেশখালি তথা তাঁর অনুগামীরা ভয় না পান, সেই হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শেখ শাহজাহান সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু। ঘটনা হল, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিমানবন্দরকে এ-ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনওমতেই যাতে তৃণমূল নেতা পালাতে না পারেন। রবিবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ইডি-র হামলার নিন্দা করেছেন। শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা পুলিশ প্রশাসনের কাছে জবাব তলব করেছেন। এরপরই ডিজিপি মুখ খুললেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সুন্দরবনে ঘন ঘন বদলাচ্ছে শাহজাহানের লোকেশন, বাংলাদেশ পালানোর ছক?

    Sheikh Shahjahan: সুন্দরবনে ঘন ঘন বদলাচ্ছে শাহজাহানের লোকেশন, বাংলাদেশ পালানোর ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ঠিক কোথায় রয়েছেন? বিগত কয়েকদিন ধরে এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যবাসীর মনে। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্য পুলিশকে তাঁর প্রশ্ন, কেন এখনও শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হল না? অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলেছেন যে, তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতেই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন শাহজাহান। তবে তাঁর খোঁজে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে গোয়েন্দাদের হাতে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ অথবা মায়ানমারে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছেন সন্দেশখালির এই নেতা।

    নজরদারি রাখছে বাংলাদেশের প্রশাসনও

    ইতিমধ্যে আগেই তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, ওই লুক আউট সার্কুলার জারি হওয়ার পরেই শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) পক্ষে সীমান্ত পার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, শাহজাহানের উপরে নজরদারি রাখছে বাংলাদেশের প্রশাসনও, কারণ সন্দেশখালির এই তৃণমূল নেতা আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে বলেই জানা গিয়েছে। সন্দেশখালিতে কান পাতলে এখনও শোনা যায় যে শেখ শাহজাহান বাংলাদেশ থেকে উঠে এসেছেন।

    সুন্দরবনেই ঘুরপাক খাচ্ছেন শাহজাহান

    তবে গোয়েন্দাদের হাতে যে নতুন তথ্য এসেছে তাতে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, সুন্দরবনেই ঘুরপাক খাচ্ছেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এবং একের পর এক তাঁর অবস্থান বদল করছেন। অন্তত মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এখন নাকি একটি মাত্র মোবাইল ব্যবহার করছেন শাহজাহান। সেই সিমের লোকেশন অনুযায়ী তদন্তকারীদের কাছে এই তথ্য মিলছে। তবে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে শাহজাহানের ফোন অন্য জনের কাছে রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশ পালানোটা কঠিন হলেও অন্ততপক্ষে গোপনে নদী পেরিয়ে সেখানে যাওয়ারই পরিকল্পনা করছেন শাহজাহান।

    শাহজাহানের লোকেশন

    ইডি সূত্রে খবর মিলেছে, শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) প্রথম লোকেশন সরবেড়িয়া গ্রামে পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন বলেই অনুমান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। দ্বিতীয় লোকেশন পাওয়া যায় সন্দেশখালিতে। এরপরে হিঙ্গলগঞ্জে কয়েক ঘণ্টা ছিলেন শাহজাহান। তারপরে আবার বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। রবিবার তাঁর লোকেশন পাওয়া যায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তীর কুমড়োখালি এলাকায়। ইতিমধ্যে ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে বাংলাদেশের। সে দেশে আবার তৈরি হচ্ছে আওয়ামী লিগের সরকার। গোয়েন্দাদের অনুমান, এবার জলপথে বাংলাদেশ পালিয়ে যেতে চান শাহজাহান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যেই তৃণমূলের দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি! (Sheikh Shahjahan) 

    বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বাংলা সংবাদ মাধ্যমের একটি বিতর্কসভায় যোগ দিয়ে বলেন, আমি বসিরহাটের বিজেপির দায়িত্বে আছি। সন্দেশখালিতে কাজ করি। আমি যেটা দেখেছি, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ২০২১ সালের পরে অবিচারে হিন্দুদের সম্পত্তি ১ টাকা দরে জোর করে গান পয়েন্টে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে নিয়েছেন। তিনটি ট্রাস্ট-সুমাইয়া আবেদা ট্রাস্ট, হাবু আবু সিদ্দিকি ট্রাস্ট এবং বাসন্তী এডুকেশন্যাল ট্রাস্ট তৈরি করে রোহিঙ্গা কলোনি গড়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের কাছ থেকে প্রায় ১৩৯ একর জমি কেড়ে নিয়ে রোহিঙ্গা কলোনি ও তিনটি ট্রাস্ট গড়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার উপরে। তিনি আরও বলেন, ওই জমিগুলি কোনও মুল্য না দিয়েই গায়ের জোরে তিনি দখল করেছেন।

    বাম আমল থেকে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট (Sheikh Shahjahan)  

    বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের (Sheikh Shahjahan)। তৃণমূলে আসার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হতেই তাঁর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। মেছোভেড়ি থেকে ইটভাটা, এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত এই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তাঁরই তত্ত্বাবধানে। সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে শাহজাহান! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে শাহজাহান! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান কোথায় আত্মগোপন করে রয়েছেন, তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলে যে-কথা শোনা যাচ্ছিল ইডির একটি সূত্রে, রবিবার তা উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দুর দাবি, মোটেও বাংলাদেশে পালিয়ে যাননি শাহজাহান। তিনি সন্দেশখালিতেই আস্তানা গেড়েছেন।

    শেখ শাহজাহান নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রবিবার নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ দিবস কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর শাহজাহান প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘সন্দেশখালিতেই রয়েছেন শাহজাহান। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক জাহান মোল্লার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন। লুকআউট নোটিশ জারি থাকায় ঢুকতে পারেননি বাংলাদেশে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করেছে। একইসঙ্গে রাজ্যে সন্দেশখালির ঘটনার সূত্রে ৩৫৫ ধারা জারি করার আওয়াজও তুললেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘৩৫৫ ধারা জারি হলেই সব টাইট হয়ে যাবে।’

    ঠিক কী হয়েছিল সন্দেশখালিতে?

    ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে রেশন-দুর্নীতি মামলার সূত্রে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বেনজির হামলার শিকার হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন ইডি আধিকারিক। তারপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই শেখ শাহজাহানের একটি অডিও টেপ সামনে আসে। সেখানে সিবিআই বা ইডিকে যাতে সন্দেশখালি তথা তাঁর অনুগামীরা ভয় না পান, সেই হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শেখ শাহজাহান সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু। ঘটনা হল, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিমানবন্দরকে এ-ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনওমতেই যাতে তৃণমূল নেতা পালাতে না পারেন।

    ৩৫৫ ধারার দাবি তুললেন শুভেন্দু

    এদিকে রবিবার নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। সন্দেশখালির বেনজির ঘটনার কথা তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি রাজ্যপালকে বলব, রাজ্যের ৩০ থেকে ৪০টি থানাকে চিহ্নিত করে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করুন। তাহলেই সব টাইট হয়ে যাবে।’ সন্দেশখালিতে ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে তারা সদা তৎপর।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: ‘পুলিশকে কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে’, শাহজাহান ইস্যুতে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    CV Anand Bose: ‘পুলিশকে কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে’, শাহজাহান ইস্যুতে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ফের একবার ক্ষোভপ্রকাশ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। শুক্রবার তিনি সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। রবিবার সিআরপিএফের আইজির সঙ্গে তাঁর বৈঠক সম্পন্ন হয় রাজভবনে। প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহানের ঘটনা নিয়ে ইডি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সেই বৈঠকের পরই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। রাজ্য পুলিশের প্রতি রাজ্যপালের হুঁশিয়ারি, “চোর-পুলিশ খেলা বন্ধ করুন। পুলিশকে কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে।”

    কেন গ্রেফতার হল না শেখ শাহজাহান

    এখানে সরকারের উদ্দেশে রাজভবন জানতে চায় যে কেন এখনও শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়নি? তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীনেতা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন, নাকি অন্য কোনও দেশে চলে গিয়েছেন—সেই বিষয়েও সরকারের অবস্থানকে স্পষ্ট করতে বলেছেন তিনি। রবিবার আরও একবার রাজ্য-প্রশাসনকে রাজভবন মনে করিয়ে দিয়েছে যে, তারা আইন-শৃঙ্খলাজনিত ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। রাজ্যপাল বোসের (CV Anand Bose) কড়া বার্তা, “শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে না পারার ব্যর্থতা কোন পুলিশ অফিসারদের? তাঁদের শাস্তি দিন।”

    লুকিয়ে থেকে হুমকিবার্তা শাহজাহানের

    এদিকে, অজ্ঞাত ডেরা থেকে লুকিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছেন শেখ শাহজাহান। শনিবার রাতেই এই হুমকি প্রকাশ্যে আসে। অডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘‘ইডি-সিবিআইকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ বুঝতে পারছে পুরোটাই চক্রান্ত। আমি শেখ শাহজাহান বলছি। দোষ করলে মাথা কেটে ফেলুন।’’ এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল নেতা যদি সত্যিই নিরপরাধ হন, তবে ইডির তদন্ত মোকাবিলা করতে তাঁর এত ভয় কিসের? কেনই বা বাড়িতে তল্লাশি করতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে?

    সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন করেছিলেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে তাঁকে করা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। বর্তমানেও ওই পদে রয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share