Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকেই ধরতে পারল না পুলিশ, ডিজি নাকি কড়া ব্যবস্থা নেবেন!

    Sheikh Shahjahan: শাহজাহানকেই ধরতে পারল না পুলিশ, ডিজি নাকি কড়া ব্যবস্থা নেবেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ডেরায় রেশন দুর্নীতি তদন্তে হানা দিয়েছিল ইডি। শাহজাহানের বাহিনীর হাতে ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হন। রাজ্যে প্রথম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে এভাবে বাধার মুখে পড়তে হয়। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। শাহজাহান সুন্দরবন এলাকাতেই ঘাপটি মেরে রয়েছেন। ঘটনার পর প্রায় চারদিন হতে চলল পুলিশ তাঁর টিকি ছুঁতে পারেননি। এতদিন পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। ঘটনার চারদিন পর ডিজি রাজীব কুমার যা বললেন তা শাহজাহান কবে গ্রেফতার হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন ডিজি?

    সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে যান ডিজি রাজীব কুমার। সন্দেশখালিতে ইডি-র হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে বা যাঁরা আইনভঙ্গ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এমনিতেই শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে ইডি। বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতেই এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন তিনি। তারপরও গত চারদিন হতে চলল তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি পুলিশ। এতদিন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে মনে হয় না। তবে, চারদিন পর অভিযুক্ত শাহজাহানকে গ্রেফতার করে এভাবে প্রকাশ্যে ডিজি মুখ খুললে ভালো হত, এমনই মনে করছে বিরোধীরা।

    ঠিক কী হয়েছিল সন্দেশখালিতে? (Sheikh Shahjahan)

    ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে রেশন দুর্নীতি মামলার সূত্রে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বেনজির হামলার শিকার হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন ইডি আধিকারিক। তারপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই শেখ শাহজাহানের একটি অডিও টেপ সামনে আসে। সেখানে সিবিআই বা ইডিকে যাতে সন্দেশখালি তথা তাঁর অনুগামীরা ভয় না পান, সেই হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শেখ শাহজাহান সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু। ঘটনা হল, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিমানবন্দরকে এ-ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনওমতেই যাতে তৃণমূল নেতা পালাতে না পারেন। রবিবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ইডি-র হামলার নিন্দা করেছেন। শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা পুলিশ প্রশাসনের কাছে জবাব তলব করেছেন। এরপরই ডিজিপি মুখ খুললেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সুন্দরবনে ঘন ঘন বদলাচ্ছে শাহজাহানের লোকেশন, বাংলাদেশ পালানোর ছক?

    Sheikh Shahjahan: সুন্দরবনে ঘন ঘন বদলাচ্ছে শাহজাহানের লোকেশন, বাংলাদেশ পালানোর ছক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ঠিক কোথায় রয়েছেন? বিগত কয়েকদিন ধরে এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যবাসীর মনে। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্য পুলিশকে তাঁর প্রশ্ন, কেন এখনও শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হল না? অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলেছেন যে, তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতেই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন শাহজাহান। তবে তাঁর খোঁজে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে গোয়েন্দাদের হাতে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ অথবা মায়ানমারে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছেন সন্দেশখালির এই নেতা।

    নজরদারি রাখছে বাংলাদেশের প্রশাসনও

    ইতিমধ্যে আগেই তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, ওই লুক আউট সার্কুলার জারি হওয়ার পরেই শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) পক্ষে সীমান্ত পার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, শাহজাহানের উপরে নজরদারি রাখছে বাংলাদেশের প্রশাসনও, কারণ সন্দেশখালির এই তৃণমূল নেতা আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে বলেই জানা গিয়েছে। সন্দেশখালিতে কান পাতলে এখনও শোনা যায় যে শেখ শাহজাহান বাংলাদেশ থেকে উঠে এসেছেন।

    সুন্দরবনেই ঘুরপাক খাচ্ছেন শাহজাহান

    তবে গোয়েন্দাদের হাতে যে নতুন তথ্য এসেছে তাতে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, সুন্দরবনেই ঘুরপাক খাচ্ছেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এবং একের পর এক তাঁর অবস্থান বদল করছেন। অন্তত মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এখন নাকি একটি মাত্র মোবাইল ব্যবহার করছেন শাহজাহান। সেই সিমের লোকেশন অনুযায়ী তদন্তকারীদের কাছে এই তথ্য মিলছে। তবে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে শাহজাহানের ফোন অন্য জনের কাছে রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশ পালানোটা কঠিন হলেও অন্ততপক্ষে গোপনে নদী পেরিয়ে সেখানে যাওয়ারই পরিকল্পনা করছেন শাহজাহান।

    শাহজাহানের লোকেশন

    ইডি সূত্রে খবর মিলেছে, শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) প্রথম লোকেশন সরবেড়িয়া গ্রামে পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন বলেই অনুমান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। দ্বিতীয় লোকেশন পাওয়া যায় সন্দেশখালিতে। এরপরে হিঙ্গলগঞ্জে কয়েক ঘণ্টা ছিলেন শাহজাহান। তারপরে আবার বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। রবিবার তাঁর লোকেশন পাওয়া যায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তীর কুমড়োখালি এলাকায়। ইতিমধ্যে ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে বাংলাদেশের। সে দেশে আবার তৈরি হচ্ছে আওয়ামী লিগের সরকার। গোয়েন্দাদের অনুমান, এবার জলপথে বাংলাদেশ পালিয়ে যেতে চান শাহজাহান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যেই তৃণমূলের দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি! (Sheikh Shahjahan) 

    বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বাংলা সংবাদ মাধ্যমের একটি বিতর্কসভায় যোগ দিয়ে বলেন, আমি বসিরহাটের বিজেপির দায়িত্বে আছি। সন্দেশখালিতে কাজ করি। আমি যেটা দেখেছি, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ২০২১ সালের পরে অবিচারে হিন্দুদের সম্পত্তি ১ টাকা দরে জোর করে গান পয়েন্টে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে নিয়েছেন। তিনটি ট্রাস্ট-সুমাইয়া আবেদা ট্রাস্ট, হাবু আবু সিদ্দিকি ট্রাস্ট এবং বাসন্তী এডুকেশন্যাল ট্রাস্ট তৈরি করে রোহিঙ্গা কলোনি গড়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের কাছ থেকে প্রায় ১৩৯ একর জমি কেড়ে নিয়ে রোহিঙ্গা কলোনি ও তিনটি ট্রাস্ট গড়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার উপরে। তিনি আরও বলেন, ওই জমিগুলি কোনও মুল্য না দিয়েই গায়ের জোরে তিনি দখল করেছেন।

    বাম আমল থেকে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট (Sheikh Shahjahan)  

    বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের (Sheikh Shahjahan)। তৃণমূলে আসার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হতেই তাঁর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। মেছোভেড়ি থেকে ইটভাটা, এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত এই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তাঁরই তত্ত্বাবধানে। সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে শাহজাহান! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার বাড়িতে লুকিয়ে শাহজাহান! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান কোথায় আত্মগোপন করে রয়েছেন, তা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলে যে-কথা শোনা যাচ্ছিল ইডির একটি সূত্রে, রবিবার তা উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দুর দাবি, মোটেও বাংলাদেশে পালিয়ে যাননি শাহজাহান। তিনি সন্দেশখালিতেই আস্তানা গেড়েছেন।

    শেখ শাহজাহান নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রবিবার নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ দিবস কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পর শাহজাহান প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘সন্দেশখালিতেই রয়েছেন শাহজাহান। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক জাহান মোল্লার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন। লুকআউট নোটিশ জারি থাকায় ঢুকতে পারেননি বাংলাদেশে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করেছে। একইসঙ্গে রাজ্যে সন্দেশখালির ঘটনার সূত্রে ৩৫৫ ধারা জারি করার আওয়াজও তুললেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘৩৫৫ ধারা জারি হলেই সব টাইট হয়ে যাবে।’

    ঠিক কী হয়েছিল সন্দেশখালিতে?

    ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতে রেশন-দুর্নীতি মামলার সূত্রে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বেনজির হামলার শিকার হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিন ইডি আধিকারিক। তারপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই শেখ শাহজাহানের একটি অডিও টেপ সামনে আসে। সেখানে সিবিআই বা ইডিকে যাতে সন্দেশখালি তথা তাঁর অনুগামীরা ভয় না পান, সেই হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শেখ শাহজাহান সন্দেশখালির এক তৃণমূল নেতার বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছেন বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু। ঘটনা হল, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিমানবন্দরকে এ-ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনওমতেই যাতে তৃণমূল নেতা পালাতে না পারেন।

    ৩৫৫ ধারার দাবি তুললেন শুভেন্দু

    এদিকে রবিবার নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। সন্দেশখালির বেনজির ঘটনার কথা তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি রাজ্যপালকে বলব, রাজ্যের ৩০ থেকে ৪০টি থানাকে চিহ্নিত করে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করুন। তাহলেই সব টাইট হয়ে যাবে।’ সন্দেশখালিতে ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে তারা সদা তৎপর।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: ‘পুলিশকে কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে’, শাহজাহান ইস্যুতে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    CV Anand Bose: ‘পুলিশকে কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে’, শাহজাহান ইস্যুতে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ফের একবার ক্ষোভপ্রকাশ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। শুক্রবার তিনি সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। রবিবার সিআরপিএফের আইজির সঙ্গে তাঁর বৈঠক সম্পন্ন হয় রাজভবনে। প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহানের ঘটনা নিয়ে ইডি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সেই বৈঠকের পরই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। রাজ্য পুলিশের প্রতি রাজ্যপালের হুঁশিয়ারি, “চোর-পুলিশ খেলা বন্ধ করুন। পুলিশকে কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে।”

    কেন গ্রেফতার হল না শেখ শাহজাহান

    এখানে সরকারের উদ্দেশে রাজভবন জানতে চায় যে কেন এখনও শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়নি? তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীনেতা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন, নাকি অন্য কোনও দেশে চলে গিয়েছেন—সেই বিষয়েও সরকারের অবস্থানকে স্পষ্ট করতে বলেছেন তিনি। রবিবার আরও একবার রাজ্য-প্রশাসনকে রাজভবন মনে করিয়ে দিয়েছে যে, তারা আইন-শৃঙ্খলাজনিত ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। রাজ্যপাল বোসের (CV Anand Bose) কড়া বার্তা, “শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে না পারার ব্যর্থতা কোন পুলিশ অফিসারদের? তাঁদের শাস্তি দিন।”

    লুকিয়ে থেকে হুমকিবার্তা শাহজাহানের

    এদিকে, অজ্ঞাত ডেরা থেকে লুকিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছেন শেখ শাহজাহান। শনিবার রাতেই এই হুমকি প্রকাশ্যে আসে। অডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘‘ইডি-সিবিআইকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ বুঝতে পারছে পুরোটাই চক্রান্ত। আমি শেখ শাহজাহান বলছি। দোষ করলে মাথা কেটে ফেলুন।’’ এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল নেতা যদি সত্যিই নিরপরাধ হন, তবে ইডির তদন্ত মোকাবিলা করতে তাঁর এত ভয় কিসের? কেনই বা বাড়িতে তল্লাশি করতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে?

    সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন করেছিলেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে তাঁকে করা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। বর্তমানেও ওই পদে রয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Sandeshkhali: গরিবের ত্রিপলও লুট করেছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! প্রমাণ মিলল গ্যারাজে

    Sandeshkhali: গরিবের ত্রিপলও লুট করেছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! প্রমাণ মিলল গ্যারাজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে তোলাবাজি, দখলদারি, বিজেপি কর্মীদের খুনের অভিযোগ ছিল। রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় বালু ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতার। সেই দুর্নীতির তদন্তে ইডি তাঁর ডেরায় হানা দিতেই হামলার মুখে পড়ে। শাহজাহানের বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। ঘটনার পর থেকে উধাও শাহজাহান। গরিবের জন্য বরাদ্দ ত্রিপল লুট করার অভিযোগ সামনে এসেছে তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়ি। সবমিলিয়ে তাঁর পাঁচটি বাড়়ি। একটি বাড়িতে মা থাকেন। বাকি চারটি বাড়িতে শাহজাহান ও তাঁর তিন ভাই থাকেন। শাহজাহানের দুধ সাদা রংয়ের দোতলা বাড়ি। অট্টালিকা বললেই ভাল। গ্রামের মধ্যে এরকম বাড়ি আর দুটি নেই। এই বাড়িতে যাওয়ার রাস্তার ডানদিকে একটি গ্যারাজ রয়েছে। সেই গ্যারাজের চারিদিক ইটের দেওয়াল। উপরে অ্যাসবেসটার্সের ছাউনি রয়েছে। তার ঠিক নীচেই রয়েছে রাজ্য সরকারের দেওয়া ত্রিপল। বন্যার সময় গরিব মানুষদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রিপল দেওয়া হয়, সেই ত্রিপল দিয়ে তৃণমূলের এই নেতা নিজের গ্যারাজের ছাউনি করেছেন। এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আমফানের সময় সরকারের বিলি করা ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠেছিল। বিরোধীরা বার বার সরব হয়েছিল সেই বিষয়ে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও আমফানের সময় ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠে এসেছিল।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?

    শাহজাহানের প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে, সেখানে গরিব, দুর্গত মানুষদের সাহায্যের জন্য বিলি করার ত্রিপল কী করছে? বিপর্যয়ে দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ ত্রিপল দিয়ে নির্মীয়মান গ্যারেজের ছাউনি গড়তে হল? স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, তৃণমূলের শেষ কথা। সরকারি ত্রিপল নিয়ে ঘরে মজুত করে রাখলেও কারও তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই। পুলিশ প্রশাসন জেনেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siddiqullah Chowdhury: শাহজাহান দলের ক্যান্সার-জন্ডিস, শাস্তি হওয়া দরকার, তোপ সিদ্দিকুল্লার

    Siddiqullah Chowdhury: শাহজাহান দলের ক্যান্সার-জন্ডিস, শাস্তি হওয়া দরকার, তোপ সিদ্দিকুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ফের রাতারাতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি বেপাত্তা। তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    শাহজাহানের মতো অপরাধীর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন (Siddiqullah Chowdhury)

    শনিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়া গ্রন্থমেলায় যোগ দিতে এসে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘ শেখ শাহজাহান দলের জন্ডিস- ক্যান্সার। তবে, ক্যান্সার(Siddiqullah Chowdhury)তো দুরারোগ্য, মরে যাবে, আর জন্ডিস সারবে না, জন্ডিস না সারলে সে মরবে আর দশজন মরবে, ওরা দলের জন্ডিস। পাশাপাশি মন্ত্রী বলেন, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রায় লক্ষাধিক টাকার ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলাম, সেই সময় এই শাহজাহান আমাকে পুলিশের সামনে হেনস্থা করেছিলেন। শাহজাহান সিপিএম-এর জমানায় হার্মাদ বাহিনী থেকে এই দলে এসেছে। সেই বদ রক্তের কারণে ক্ষতিটা আরও বেশি হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি চাই এরকম অপরাধীদের শাস্তি হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে ভালো মানুষেরা দল করতে পারেন।’

    ইডি-র আধিকারিকদের ওপর হামলা করা ঠিক হয়নি

    ইডি-র হামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) বলেন, আমি বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি, এই হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল না। শাহজাহান নিজের শক্তির বড়াই দেখাতে গিয়ে ফেঁসেছে। দল দলের জায়গায় কাজ করুক, দল তাঁর সঙ্গে নেই। কেউ যদি মনে করে আমি আইনের ঊর্ধ্বে, তবে তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে। মারধর করে অন্যায় করেছে। আর এসবের জন্য তৃণমূল দল দায়ী নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক দায়ী নন, যে করেছেন তিনি দায়ী। ইডি আধিকারিকদের ঘেরাও পর্যন্ত চলতে পারতো। অফিসারদের এইভাবে মারধর করা বৈধ কাজ নয়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বেপাত্তা শাহজাহান, লুক আউট নোটিশ জারি ইডির

    Sandeshkhali: বেপাত্তা শাহজাহান, লুক আউট নোটিশ জারি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূলের ডন সেখ শাহজাহান বিরুদ্ধে এবার লুক আউট নোটিশ যারি করল ইডি। শনিবারই ইডির তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র সন্দেশখালির এই ডন নেতাই নয় তার পরিবারের অন্যান্য় সদস্যদের নামেও এই লুক আউট নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। লুক আউট নোটিশ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। নোটিশ গিয়েছে সীমান্তরক্ষীবাহিনীর হাতেও। যাতে সেখ শাহাজাহান দেশ ছাড়তে না পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যে বিপুল সাম্রাজ্যের হদিস মিলেছে শাহজাহান , তা থেকেই ষ্পস্ট যে দুর্নীতি হয়েছে। তাই সন্দেশখালির এই দুষ্কৃতী তথা তৃণমূল নেতার গ্রেফতার হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ঠিক এই কারণেই দেশ ছাড়তে পারেন সেখ শাহজাহান।

    সন্দেশখালির ঘটনা

    তল্লাশি অভিযানে গেলে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শুক্রবারই মারধর করা হয় ইডি অফিসারদের। এ নিয়ে শুক্রবার রাতেই আসে ইডির বিবৃতি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৮০০ থেকে ১০০০ জনের দল ইডির তদন্তকারী অফিসারদের ঘিরে ধরে। ইডির আরও দাবি, অফিসারদের খুনের (Sandeshkhali) উদ্দেশেই সেখানে উপস্থিত হয় এই বিরাট সংখ্যার দল। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটে।

    মাথা ফাটে ইডি আধিকারিকদের

    ইডির বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘সশস্ত্র দলটি, লাঠি, ইট, পাথর নিয়ে হাজির হয়। সেখানে তারা ইডি অফিসারদের তাড়া করে পরে ইডি তাঁদের মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তিনজন ইডি অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ এর পাশাপাশি ইডির আরও অভিযোগ, অফিসারদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ, মোবাইল। এমনকি ওয়েলেট টাকাকড়িও ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। এখানেই শেষ নয়। ইডি অফিসারদের (Sandeshkhali) গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে শুক্রবার।

    কে শাহজাহান?

    তৃণমূলের প্রধান দুষ্কৃতী হল শাহজাহান। সন্দেশখালির শাহজাহানকে নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবারই বলেন, “২০১৯ সালে বিজেপির কর্মী তপন মণ্ডল সহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। খুন করে সেই সময় বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জমিকে জোর করে দখল করে নিয়েছেন। তাঁর দখল করা জমির পরিমাণ ১৩৯.১৭ বিঘা। এছাড়া তিনটে ট্রাস্টে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ডক্টর স্বপ্নকুমার রায়চৌধুরির জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। আগে সিপিএম করতেন, তাঁর গুরু ছিলেন হার্মাদদের নেতা মুসলেম। এরপর তৃণমূলে যোগদান করে মাফিয়া হয়েছেন। এলাকার আম্ফানের ত্রাণ, আবাস যোজনার ঘর, শৌচালয়, একশো দিনের টাকা, মাছের চাষের ভেড়ি সব কিছু খেয়ছেন তিনি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • ED: বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! কী পদক্ষেপ নিল ইডি?

    ED: বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! কী পদক্ষেপ নিল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির অঘোষিত ‘নবাব’ শেখ শাহজাহান নিজেই অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশে তাঁর স্থায়ী আস্তানা রয়েছে। এমনই গুঞ্জন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এলাকায়। তাই, সন্দেশখালিতে বড় কোনও অপরাধ করলেই সীমান্তে পেরিয়ে তাঁর গোপন ডেরায় আত্মগোপন করে থাকেন তিনি। ইডি-র (ED) উপর হামলার ঘটনার পর সেই চেনা ছকেই তিনি এলাকা ছাড়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশ পালিয়ে গিয়েছেন। তবে, বাম জমানা থেকে উঠে আসা তোলাবাজ এই তৃণমূল নেতার বাংলাদেশে গিয়ে আত্মগোপন করার নাটক নতুন নয়। এমনই বক্তব্য বিরোধীদের।

    বিজেপি-র তিন কর্মীকে খুন করে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছিলেন

    ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি লোকসভা ভোটের পর পরই তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তার নেপথ্যের নায়ক ছিলেন তৃণমূলের এই ‘বেতাজ বাদশা’। পুলিশের একটা অংশের সঙ্গে যোগাযোগ আর মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মাথায় হাত থাকায় কেউ তাঁকে ‘টাচ’ সাহস দেখাত না। স্বাভাবিকভাবে তিন-তিনটে খুন করে এলাকায় বুক ফুলিয়ে শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চাপে পুলিশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে বাধ্য হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শাহজাহান সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। পরে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জামিন নিয়ে নেন।

    মুকুল রায়ও এর আগে শাহজাহান নিয়ে মুখ খুলেছিলেন

    তৃণমূলের এক সময়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায় দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতের তালুর মতো চিনতেন। শাহজাহানের গতিবিধির সম্পর্কে তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য ছিল। এখন তৃণমূলে নাম লেখালেও গত লোকসভা ভোটের সময় তিনি বিজেপিতে ছিলেন। সেই সময় সন্দেশখালিতে বিজেপির তিন কর্মী খুন হন। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেছিলেন, শাহজাহান সম্ভবত বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে, মুকুল রায়ের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ তথ্য না জেনে এই ধরনের মন্তব্য করবেন না তা বলাবাহুল্য। ইডি কাণ্ডের পর ফের সেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যোগ সামনে এল।

     বাংলাদেশে ফের আশ্রয় নিয়েছে শাহজাহান, দাবি ইডি-র (ED)

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ হয়তো বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতার খোঁজ করতে গিয়ে এমনটাই মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের খোঁজ করতে আইবি এবং বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও ইডির একটি সূত্রে খবর। এ-ও জানা যাচ্ছে যে, তৃণমূল নেতাকে ধরতে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকাগুলিতে বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Enforcement Directorate: তোলাবাজি থেকে মানব পাচার! কে এই সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহান?

    Enforcement Directorate: তোলাবাজি থেকে মানব পাচার! কে এই সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি (Enforcement Directorate) হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

    কে এই শেখ শাহজাহান? (Sandeshkhali)

    বামফ্রন্ট জমানার শেষের দিকে দাপুটে দুই নেতা মজিদ মাস্টার ও বাবু মাস্টারের হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে নামে শেখ শাহজাহান। তবে, কোনও পদে ছিল বলে জানা যায়নি। অনুপ্রবেশকারী হিসেবে এলাকায় তাঁর নামে গুঞ্জন ছিল। সেই অনুপ্রবেশকারী বামফ্রন্ট জমানার শেষ দিকে অত্যন্ত আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের। বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের। মেছোভেরি থেকে ইটভাটা এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত ওই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তারই তত্ত্বাবধানে।

    তৃণমূলের জমানায় এলাকার বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠে

    ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হল। বাংলার মসনদে বসল নতুন শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। বাম জমানার ভিত নড়বড়ে হতেই তৃণমূলে যোগদান শেখ শাহজাহানের। বসিরহাটের তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ হাজী নুরুলের সঙ্গে বাড়ে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠতা। সূত্রের খবর, হাজী নুরুলের হাত ধরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে পৌঁছে যান শাহজাহান। মন্ত্রীর আস্থাভাজন হতেই মেলে দলের সাংগঠনিক পদ। তৈরি করেন নিজস্ব বাহিনী। আগে জমির প্রতি বিঘায় তোলা আদায় করত শাহজাহান। তৃণমূলের পদ পেতেই- শুরু হল শাহজাহান বাহিনীর কাঠা প্রতি তোলা আদায়ের কারবার। নিজের বাহিনী তৈরি করে সরবেরিয়ায় তোলাবাজির বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন শাহজাহান। আর বালুর ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়করা ও তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পেতেন না। মাছের ভেড়ি থেকে শুরু করে ইট ভাটা, এমনকী বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এদেশে আসা জামাকাপড়ের কারবারও, এলাকায় সবই চলতে শুরু করল শাহজাহান শেখের নির্দেশে। এমনকী মানব পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গাদের সীমান্তে আশ্রয় দেওয়ার পিছনে তাঁর হাত রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share