Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Enforcement Directorate: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনে অভিযুক্ত ছিল এই শাহজাহান

    Enforcement Directorate: সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুনে অভিযুক্ত ছিল এই শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাটের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। তাঁর ডেরায় ইডি (Enforcement Directorate) হানা দিতেই আক্রান্ত হন আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা হতেই রাজ্য জুড়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসে এই তৃণমূল নেতা। এর আগেও নিজের দাপট দেখিয়েছে গুণধর এই তৃণমূল নেতা। পাঁচ বছর আগে তিন বিজেপি নেতা খুন হন সন্দেশখালির ন্যাজাটে। এই খুনের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন এই শাহজাহান।

    রোহিঙ্গাদের দিয়ে বিজেপি নেতাদের নৃশংশভাবে খুন করা হয়েছিল! (Sandeshkhali)

    ২০১৯ সালে রাজ্যে ১৮টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। সেই সময় রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বহু এলাকার পাশাপাশি ন্যাজাটেও বিজেপি কর্মীরা প্রচুর দলীয় পতাকা লাগিয়ে রেখেছিলেন। ২০১৯ সালে ৮ জুন বিকেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শাহজানের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। বৈঠকের পরই তৃণমূল ন্যাজাট এলাকায় মিছিল বের করে। তারপরই বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালানো হয়। দলীয় পতাকা খুলে ফেলা হয়। লোকসভা ভোটে এলাকায় সক্রিয়ভাবে যাঁরা বিজেপি-র হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে গুলি করে খুন করা হয়। মৃতদের নাম সুকান্ত মণ্ডল, তপন মণ্ডল এবং প্রদীপ মণ্ডল। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন বিজেপি স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি এবং অন্য দুজন ‘শক্তি প্রমুখ’। রোহিঙ্গাদের এই দেশে আশ্রয় দেওয়ার মূল কারিগর এই শাহজাহান। চোখ উপড়ে যে কায়দায় নৃশংসভাবে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হয়েছিল, তার পিছনে রোহিঙ্গারা রয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছিলেন।

    পুলিশ অভিযোগ নিতে টালবাহানা করেছিল!

    তিন বিজেপি কর্মী খুন হওয়ার পর পরিবারের লোকজন শাহজাহানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। এমনিতেই সেই সময় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান ছিলেন শাহজাহান। ফলে, পুলিশও তাঁকে ঘাঁটাতে সাহস পায়নি।  পরে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। বিজেপি প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এই বিষয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। অনেক টালবাহানার পর শাহজাহানের নামে থানায় এফআইআর হয়েছিল। এহেন পরিস্থিতিতে বেশ কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। কিছুদিন পরই তাঁকে ফের রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা যায়। এর পরই আদালত জামিন নেন শাহজাহান। তৃণমূলের মন্ত্রী ও পুলিশের একাংশের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা থাকায় বিজেপি কর্মীদের খুন করার পর এলাকায় দাপটের সঙ্গে তিনি ঘুরে বেড়াতেন। এবারও ইডি-র উপর তাঁর বাহিনী হামলা চালিয়ে নিজের দাপট যে একটুও হারিয়ে যায়নি তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের এই কুখ্যাত নেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই-এর তলব, নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ভাই সহ ৬

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই-এর তলব, নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ভাই সহ ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন শাহজাহান শেখের  (Sheikh Shajahan) ভাই আলমগির শেখ। এই ঘটনায় শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ প্রায় ১৫ জনকে তলব করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহান সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। একই সঙ্গে শনিবার পৃথক মামলায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) কয়েক জনকে তলব করেছে ইডিও। তাঁদের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। শাহজাহানের দুই ভাই আলমগির এবং সিরাজ শেখকে আগামী সপ্তাহে তলব করেছে ইডি।

    নিজাম প্যালেসে আলমগির

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই শাহজাহানের ভাই আসমগির-সহ আরও কয়েকজনকে ডেকে পাঠায়। তদন্তভার হাতে নিয়েই, দফায় দফায় সন্দেশখালিতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায়,একের পর এক অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় শেখ শাহজাহানের একাধিক ঘনিষ্ঠকে। বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছিল শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখকে। কিন্তু সিবিআই তলবে গরহাজির ছিলেন আলমগির শেখ। তবে এদিন নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন তিনি। নিজাম প্যালেসে আসেন বনগাঁ থানার তদন্তকারী আধিকারিক। তাঁর বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই (CBI)। বেলা ১২ টা থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “হিন্দু বা মুসলিম পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়” বললেন অমিত শাহ

    তদন্তে ইডি

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তারাও কিছু দিন আগে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়েছিল এবং কয়েক জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। তার ভিত্তিতে শনিবার সিজিওতে ডাকা হয়েছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দু’জনকে। শুক্রবারও তারা সংশ্লিষ্ট দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি শেখ শাহজাহান বাহিনীর মোট তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোসলেম শেখের সরবেড়িয়া নতুন বাজারের গোডাউন থেকে গাড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনটি গাড়ির মধ্য়ে একটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন শেখ শাহজাহানের নামে। আরেকটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরের নামে। তৃতীয় গাড়ির মালিকানা পাঞ্জাবের একটি সংস্থার নামে। শেখ শাহাজাহানের মালিকানাধীন গাড়িটি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি কেনা হয়। দাম ১৩ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি, সকাল থেকেই সন্দেশখালির নানা প্রান্তে চলছে তল্লাশি

    ED Raid: শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি, সকাল থেকেই সন্দেশখালির নানা প্রান্তে চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) ডেরায় চলছে ইডির তল্লাশি (ED Raid)। বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন ইডি অফিসাররা। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্তের জন্যই নাকি এই তল্লাশি অভিযান বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে সন্দেশখালির ধামাখালিতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা (Enforcement Directorate)। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনজনের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। প্রথমজন রিন্টু মোল্লা, দ্বিতীয় জন হলেন আইনুর মোল্লা ও তৃতীয় জন জামালউদ্দিন মোল্লা। জানা গিয়েছে, আইনুর ও জামালউদ্দিন মোল্লা সম্পর্কে দু’জন ভাই। অপরদিকে, রিন্টু হলেন শেখ শাহজাহানের মাছের ব্যবসার ম্যানেজারের শ্যালক।  শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী নজরুল মোল্লার বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। 

    কোথায় কোথায় তল্লাশি

    বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) একাধিক জায়গায় পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সন্দেশখালির রাস্তাঘাট, দোকান বাজার ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, তিনটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। ‘শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ’ বেশ কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছেন ইডি অফিসাররা (ED Raid)। শাহজাহান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। মাছের ভেড়ির ব্যবসাও ছিল তাঁর। ধামাখালির কাছে একটি মাছের পাইকারি বাজার ঘিরে রেখে এদিন তল্লাশি চলছে। এই বাজারের অন্যতম অংশীদার নজরুল মোল্লার বাড়িও পৌঁছে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। এদিন, প্রথম থেকেই সতর্ক ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডি-র তল্লাশি অভিযান শুরুর আগে থেকেই সন্দেশখালির মূল রাস্তা ঘিরে ফেলে বাহিনী। নদীর পাড়ও ঘিরে ফেলেন বিএসএফ জওয়ানেরা। 

    আরও পড়ুন: সিএএ-র প্রভাব পড়বে ৮ আসনে! রাজ্যের উদ্বাস্তু ভোট যাবে বিজেপির ঝুলিতে, দাবি রিপোর্টে

    কেন ইডির তল্লাশি

    ইডি (ED Raid) সূত্রে জানা যাচ্ছে, শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত একটি মামলায় তদন্তের জন্যই নাকি সেখানে হানা দিয়েছেন গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন মামলাতেও শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, এই ব্যবসায়ীদের কয়েক জন শাহজাহানের সঙ্গে চিংড়ি মাছের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ, মাছের ব্যবসায় দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা মিলিয়ে মোট ছ’টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। শাহজাহানের সূত্র ধরেই এই জায়গার সন্ধান মিলেছে বলে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে সন্দেশালিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মঙ্গলবার তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। কিন্তু এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ইডির হেফাজতে অন্য এক অভিযুক্তের মারফত শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। বর্তমানে সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। এই প্রেক্ষিতে আগাম জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে সন্দেশখালিতে হামলার দিনের ঘটনার বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মাঝে ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা। উল্লেখ্য, এর আগে বসিরহাটের পিএমএলএ কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া ওই নেতা। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিন শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী ব্যানার্জী বলেন, “শাজাহানের বিরুদ্ধ সরাসরি কোনো অভিযোগ নেই । তাঁকে ইডি অফিসারদের হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই ইডি কিসের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেবে? এই বক্তব্যকে খারিজ করে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে শাহজাহানের নাম উঠে আসে। ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর মামলায় তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি ইডি। 

    আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ইডি জানায়, শাহজাহান প্রবল প্রভাবশালী। তাকে রক্ষা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল রাজ্য সরকার। এমনকী আদালতের নির্দেশের পরেও তাকে গ্রেফতার করেনি রাজ্য পুলিশ। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যার জাল বাংলাদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। তাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে শেখ শাহজাহান। বৃহস্পতিবার ফের তাকে আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ ফুরোলেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। এবার ফের রাস্তায় নেমে গ্রামের মহিলারা ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন। এলাকার মানুষের বক্তব্য, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার যেমন করা হয়েছে, একই ভাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সিরাজউদ্দিনকেও গ্রেফতার করতে হবে। সিরাজ এবং তাঁর অনুগামীরা এলাকায় মানুষের চাষের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও নানা অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। গতকাল এলাকার বেড়মজুরের ঝুপখালিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারা।

    তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর উত্তপ্ত (Sandeshkhali)

    ১০ মার্চ ব্রিগেডে মমতার জনগর্জন সভা থেকে তৃণমূলের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন হাজি নুরুল ইসলাম। ঠিক পরের দিন সোমবার থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শুরু হয়েছে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। বেড়মজুর এলাকার ঝুপখালিতে নিপীড়িত মহিলারা রাস্তায় নেমে টায়ার, গাছের ডালপালা পুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এলাকার মানুষের দাবি, “শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিন এবং আলমগিরকে গ্রেফতার করতে হবে। সিরাজ এবং আলমগির উভয়েই এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করেছে। বাড়ির মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেছে। তাই তাঁদের শাস্তি চাই আমরা।”

    দুই মাস ধরে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)

    শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের পর এলাকার মানুষ তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতার করার জন্য ফের একবার বিক্ষোভের পথে। অপর দিকে গতকাল এই তৃণমূল নেতার ডান হাত জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে সিবিআই নিজেম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে। গত দুই মাস ধরে কার্যত ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা সন্দেশখালি। এলাকার মহিলাদের অভিযোগ ছিল বেছে বেছে হিন্দু ঘরের মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে রাতভর গণধর্ষণ করত এই শাহজাহানেরা। ইতিমধ্যে এই তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাজ্য তথা সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় দেখা গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গেলে বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়। ইতিমধ্যে বারাসতে মোদির সভায় নির্যাতিতা মহিলাদের একটা অংশের মানুষ নিজেদের উপর ঘটা অত্যাচারের কথা বলেন। মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের সঙ্গে এখন তার অনুগামীদের গ্রেফতারের দাবিতে ফের একবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি মামলায় (Sandeshkhali Case) সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করল না দেশের শীর্ষ আদালত। সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল হোতা শেখ শাহজাহানকে পুলিশি হেফাজত থেকে সিবিআই হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

    এক্সপাঞ্জ করার নির্দেশ (Sandeshkhali Case)

    শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন ইডির দুই আধিকারিক। এই ঘটনায়ও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের দেওয়া এই দুই নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, তা এক্সপাঞ্জ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ।

    সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেই তৃণমূলের ওই নেতাকে সাসপেন্ড করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেখানেই আরও একবার মুখ পুড়েছে রাজ্যের। রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেই মতোই তদন্ত চালিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই তৃণমূলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সায়ন্তিকা

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূলের (সাসপেন্ডেড)সন্দেশখালির নেতা শেখ শাহজাহানেরও। তাঁর বাড়িতে তদন্তে যান ইডির কয়েকজন কর্তা। অভিযোগ, ইডি কর্তাদের লক্ষ্য করে শাহজাহানের দলবল ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। জখম হন ইডির দুই কর্তা। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এর পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান। ৫৫ দিন পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    এর পরেই শাহজাহানকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার তদন্ত সিবিআই করবে বলে ৫ মার্চ নির্দেশ দেয় সিবিআই। ওই দিন বিকেলের মধ্যেই শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। মুখ পোড়ে সেখানেই (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেছে রাজ্য পুলিশ, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেছে রাজ্য পুলিশ, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হদিশ মিলছে না শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুটি মোবাইল ফোনের। সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই তাঁর মোবাইলের খোঁজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গোয়েন্দা কর্তারা মনে করছেন এই দুটি ফোন মিললেই শাহজাহানের অজ্ঞাতবাস সম্পর্কিত একাধিক প্রশ্নের জবাব মিলবে। এরই মধ্যে বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করলেন, শাহজাহানের ফোনের তথ্য নষ্ট করেনি তো রাজ্য পুলিশ।

    শুভেন্দুর দাবি

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে বলেছেন, শেখ শাহজাহান যখন মমতার পুলিশের শেল্টারে ছিলেন, তার কথাকথিত গ্রেফতার হওয়ার আগে আমিনুল নামে একজন অফিসার তার আইফোন থ্রি অনুষ্ঠানিকভাবে বাজেয়াপ্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর নির্ভরযোগ্য সূত্র ফোনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত নয় কেউ। সেটি কি পুলিশের হেফাজতে আছে, নাকি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে সিবিআইকে ট্যাগ করে বলেছেন, এই বিষয়টি যেন খতিয়ে দেখা হয়। ওই ফোনে যে নম্বরটি ব্যবহারকরা হত তাও তিনি উল্লেখ করেছেন। শুভেন্দুর দাবি, শেখ শাহজাহান এই ফোনটি ব্যবহার করত তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য।

    ফোনের খোঁজ নেই

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় ইডি। সেখানেই শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) লোকজন ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ফোনে উস্কানি দিয়েই যে সেদিন শাহজাহান আক্রমণ সংগঠিত করেছিল তা গোয়েন্দাদের কাছে স্পষ্ট। এমনকি ফোনের টাওয়ার দেখেই ইডি আধিকারিকরা নিশ্চিত হন যে সেই সময় বাড়িতেই ছিল শাহজাহান।

    আরও পড়ুন: হাতির পিঠে জঙ্গল পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী, কাজিরাঙায় জিপ সাফারিও করলেন মোদি

    তারপরেই বেপাত্তা হয়ে যায় সে। ৫৬ দিন পর তাকে ধরা গেলেও দুটি মোবাইল ফোনের কোনও হদিশ মেলেনি। ফোন মিললেই সন্দেশখালির কোন কোন নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে সিবিআই। তাই এই দুটি ফোনের খোঁজ পেতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’কে ‘চোরেদের বিসর্জন’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’কে ‘চোরেদের বিসর্জন’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকালই ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এ নিয়েই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি শাসকদলের জনগর্জন সভাকে, চোরেদের বিসর্জন সভা বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় যোগ দিতে শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে এমন মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।

    ব্রিগেডে তৈরি হচ্ছে র‌্যাম্প, কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    ব্রিগেডে প্রথম কোনও রাজনৈতিক দলের জনসভায় র‌্যাম্প তৈরি হয়েছে। সাধারণত যা ফ্যাশন শো’ গুলিতে দেখা যায়। ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩০০ ফুট প্রস্থের, যোগ চিহ্ন আকৃতির র‌্যাম্পে হাঁটতে দেখা যাবে তৃণমূল নেতাদের। এ নিয়ে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘ওখানে ফ্যাশন শো হবে।’’ প্রসঙ্গত হাইকোর্টের নির্দেশে রবিবারই সন্দেশখালিতে জনসভা করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে নন্দীগ্রামে বিধায়কের দাবি, ‘‘সভাতে ১৫ থেকে ২০ হাজার লোক হবে এবং তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় বাসিন্দা।’’ প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার ডাক আগেই দিয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এর পরেই সন্দেশখালিতে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলারই শুনানি ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ অর্থাৎ রবিবার সন্দেশখালি গিয়ে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আদালত জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ন্যাজাটের দক্ষিণ আক্রাতলায় সভা করতে পারবেন শুভেন্দু।

    আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গে কোনও চুরি হবে না!

    তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রবিবার সন্দেশখালিতে কর্মী – সমর্থকদের আনার জন্য আমরা বাস পাবো না। কারণ ওই দিন ব্রিগেডে একটা জলসা আছে। ফ্যাশন প্যারেড হবে, ব়্যাম্প তৈরি হয়েছে। ওটা শোক সভা। ওদের শেষ শোকসভা হচ্ছে। এটা জনগর্জন সভা না। এটা চোরেদের বিসর্জন সভা। কালকে সবাই জামা কাপড় বাইরে শুকাতে দিতে পারেন। গরু ছেড়ে রাখতে পারেন। কাল কোনও চোর বাড়িতে থাকবে না। কালকে পশ্চিমবঙ্গে কোনও চুরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’! ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢাললেন সৌগত

    Sandeshkhali: ‘‘সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’! ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢাললেন সৌগত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির সুন্দরি বউদের তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে নির্যাতন চালাতেন শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর লোকজন। সংবাদ মাধ্যমের সামনে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতিতারা। পুলিশও এই সব ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে। এত কাণ্ড হয়ে যাওয়ার পর তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় ফের মুখ খুললেন। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মহিলাদের নিয়ে তিনি যা বললেন তাতে শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর ক্ষোভের যে আগুন ধিক ধিক করে জ্বলছিল, সেই আগুনে ফের ঘি ঢাললেন তৃণমূল সাংসদ। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ? (Sandeshkhali)

    ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সৌগত রায়কে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নারী নির্যাতন প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। দমদমের সাংসদ বলেন, “সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঘটলে প্রমাণ থাকত। যদি কিছু ঘটেও থাকে, সেক্ষেত্রে মমতার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শাহজাহান, শিবু, উত্তমদের রাজ্য পুলিশই গ্রেফতার করেছে। সিবিআই বা ইডি নয়।” এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন সাংসদ। সেই সময় তিনি গোটা ঘটনাই সংবাদমাধ্যমের তৈরি বলে দাবি করেছিলেন। এবার আরও একধাপ এগিয়ে নারী নির্যাতনের অভিযোগই সারবত্তাহীন বলে দাবি করে বসেছেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের ভেতরেই অনেকে চাইছেন না সৌগতবাবু ফের সাংসদ হন। টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয়ের পাশাপাশি তিনি জয়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু, প্রার্থী পদটা ওঁর জরুরি, তাই আবার তোষামোদ শুরু করেছেন। এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই হানা, ভাঙা হল ঘরের তালা

    সাংসদের বক্তব্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে মহিলাদের নির্যাতন, জমি দখল, খেলার মাঠ দখল নিয়ে এলাকাবাসী সরব হয়েছেন। চাপে পড়়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসে। মিনাখাঁ থেকে শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সঙ্গে সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে শাহজাহানকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করে। পরে, আদালতের নির্দেশে শাহজাহান মামলা সিবিআইয়ের হাতে যায়। শাহজাহানের শাগরেদদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেও মামলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে এই দাবি করলেন সৌগত, উঠছে প্রশ্ন। সাংসদের এই বিতর্কিত বক্তব্যের পর নতুন করে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। সন্দেশখালির বুকে তৃণমূলের ভাবমূর্তি আরও খারাপ হল বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই সন্দেশখালিতে সভা শুভেন্দুর, অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই সন্দেশখালিতে সভা শুভেন্দুর, অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনেই অর্থাৎ, ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেশখালির পাশে ন্যাজাটের আক্রাতলায় শর্ত সাপেক্ষে ওই সভার আয়োজন করতে হবে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) অনুমতি আদালতের

    আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু । কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এর পরেই সন্দেশখালিতে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে সেই মামলারই শুনানি ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ অর্থাৎ রবিবার সন্দেশখালি গিয়ে সভা করতে পারবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তবে কোনও ভাবেই উস্কানিমূলক কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। আদালত জানিয়েছে, আগামী ১০ মার্চ ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ন্যাজাটের দক্ষিণ আক্রাতলায় সভা করতে পারবেন শুভেন্দু। সন্দেশখালি অশান্ত হয়ে ওঠার পর দু’বার সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। বারবারই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালি যান তিনি।

    আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাটে বিজেপির প্রার্থী মহম্মদ শামি? রাজ্য রাজনীতিতে নয়া জল্পনা

    রাজ্যকে ধমক হাইকোর্টের

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভায় বাধা দিতে গিয়ে ফের একবার আদালতে ভর্ৎসনার শিকার হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে পুলিশ – প্রশাসনকে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন,‘‘এই মিটিং করতে না দিয়ে আপনারা কাকে রক্ষা করতে চাইছেন? সুন্দরখালিতে কোনও গোলমাল না থাকায় সেখানে কোনও ১৪৪ ধারা ছিল না। কিন্তু মামলা করার আগেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।’’ সভা আটকাতেই এই ১৪৪ ধারা জারি কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।  বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, নথি দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি সভার জন্য আবেদন করার কিছুক্ষণ আগে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সন্দেশখালিতে গত কয়েক সপ্তাহে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তাহলে এমন কী কারণ রয়েছে যে বিজেপির নির্দিষ্ট করা সভাস্থলে সাত তাড়াতাড়ি ১৪৪ ধারা জারি করে দিতে হল? রাজ্যের তরফে উপযুক্ত জবাব না পেয়ে এরপরই বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালিতে সভা করার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share