Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Suvendu Adhikari: হাওড়ায় পরপর ৫টি মন্দিরে ভাঙচুর, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হাওড়ায় পরপর ৫টি মন্দিরে ভাঙচুর, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ায় পরপর ৫টি মন্দির ভাঙচুরের দাবি করে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ঘটনায় বিজেপি নেতা শুভেন্দুর অভিযোগ, হিন্দু সনাতনী মন্দিরে ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ গা ছাড়া ভাবের জন্যই সনাতনীদের উপর বারবার আক্রমণ করার সাহস দেখাচ্ছে দুস্কৃতীরা। খবর জানাজানি হতেই প্রতিবাদে এলাকার মানুষ তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

    উল্লেখ্য হাওড়া শহর অঞ্চলে গত বছর রামনবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবং আইনের শাসন নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছিল বিজেপি। এই মামলা পরবর্তীকালে হাইকোর্টে গড়ায় এবং তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। একবার ফের হাওড়ায় হিন্দু সমাজ আক্রান্ত হল বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

    সোমবার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ায় মোট ৫টি মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে সকাল থেকে হাওড়ায় রেল অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে ঘটনার ছবি এবং সিসিটিবি ফুটেজ প্রকাশ করে এই ঘটনার সত্যতার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের শীর্ষ আধিকারিককের কাছে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তিনি।

    সামজিক মধ্যমে কী বললেন শুভেন্দু?

    হাওড়ায় হিন্দু মন্দিরের ভাঙচুরের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন শুভেন্দু। ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি মন্দির পুরোপুরি লন্ডভণ্ড হয়ে আছে। অপর দিকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে কম বয়সী কিশোর ও যুবক মাথায় সাদা টুপি পড়ে মন্দিরে ভাঙচুর চালাচ্ছে। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় প্রচুর পুলিশ এসে পৌঁছায়। ঘটনার কথা জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “গতকাল রাতে হাওড়ার বাঁকড়ায় ৫টি মন্দিরে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। প্রতিবাদে স্থানীয়রা রাস্তায় নামেন। হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে অনুরোধ করেছি। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় মানুষ। প্রতিদিন সেখানে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মহিলারা। আজ তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছেন। পাশে পেয়েছেন বিরোধী দল বিজেপিকে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের প্রতিবাদ রুখতে চাইছে রাজ্য সরকার। সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিজেপির তিন দিনের ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এবার ধর্নায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    আদালতের দ্বারস্থ

    সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। অনুমতি মেলেনি। এরপরই হাইকোর্টে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। গত শুক্রবার বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব স্থির করেন, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে খাস কলকাতায় টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করবে দল। ধর্না কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সেই ধর্না চলবে। পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে তা দেওয়া হয়নি। অবশ্য সেনার তরফে ধর্নার অনুমতি পেয়েছিল বলে দাবি বিজেপির। 

    আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ময়দান এলাকা সেনার অধীন

    উল্লেখ্য, ময়দান এলাকার মালিক সেনা। তাই সেখানে ধর্না করতে গেলে সেনার অনুমতি প্রয়োজন পড়ে। তবে বিজেপির দাবি, সেনার অনুমতি থাকলেও পুলিশি ছাড়পত্র মেলেনি। পুলিশ নাকি বিজেপিকে বলেছে, সেই এলাকায় লাউডস্পিকার বাজানো মানা। তাই ধর্নার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে বিজেপির পালটা যুক্তি, কয়েকদিন আগেই সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না করেন। এই আবহে ধর্নার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির 

    PM Modi: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক নারী দিবসেই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।  রবিবার রাজ্য বিজেপি নেতত্বের তরফে জানানো হয় ৬ মার্চ নয়, আগামী ৮ মার্চ বারাসতে সভা করবেন মোদি। ৮ মার্চ নারী দিবস। বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির বিশেষ নাম রাখা হয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দনা’।  সূত্রের খবর, ওইদিন সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলবেন মোদি। 

    নারী শক্তি বন্দনা

    আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা মহিলাদের জুড়তে চান প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। বিজেপি সূত্রে খবর, ১ মার্চ আরামবাগ, ২ মার্চ কৃষ্ণনগর এবং ৮ মার্চ বারাসতে সভা করবেন মোদি। প্রথমে বারাসতের সভা করার দিন ৬ মার্চ ঠিক হলেও সন্দেশখালির পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর সভা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। সন্দেশখালিতে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেখানকার মহিলাদের রাতের অন্ধকারে পার্টি অফিসে ডেকে তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানো হতো। এমন ঘটনা চলেছে বছরের পর বছর।  বিজেপি নেতৃত্ব এই সভার নাম দিয়েছে ‘নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচি’। সন্দেশখালি সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মহিলারা প্রধানমন্ত্রীর ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন। মহিলাদের জন্য মোদি সরকার কী কী করেছে, সেই বার্তাও তুলে ধরা হবে। 

    আরও পড়ুন: আগামী বছর মাধ্যমিক শুরু হবে ১২ ফেব্রুয়ারি, এগিয়ে এল পরীক্ষার দিন, জানাল পর্ষদ

    প্রধানমন্ত্রীর সভার উদ্দেশ্য

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। এই আবহে উত্তর ২৪ পরগনা জেলারই বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সভা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বাংলায় তিনটি কর্মসূচি নিয়েছেন। ১ মার্চ আরামবাগে সভা করবেন তিনি। ২ তারিখে সভা হবে কৃষ্ণনগরে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ওই দিনই মহাশিবরাত্রি। তাই সে দিন প্রধানমন্ত্রী বারাসতে ‘নারী শক্তি বন্দনা কর্মসূচি’ পালন করবেন। সে দিন এক লক্ষ মহিলার উপস্থিতিতে সভা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বিধানসভা এবং লোকসভায় মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ করেছেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর নারী শক্তিকে সম্মান জানিয়েছেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের উদ্দেশে নিজের কথা বলবেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vanathi Srinivasan: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    Vanathi Srinivasan: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাথরাস, উন্নাওয়ের কথা বলা হলেও, সেখানে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, কিন্তু এখানে সেটা হয় না।” শনিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির জাতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বানথী শ্রীনিবাসন (Vanathi Srinivasan)। সন্দেশখালিতে গুচ্ছ অভিযোগ ওঠার পরেও শনিবার সন্ধে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের শেখ শাহজাহানকে। সেই কারণেই এদিন কলকাতায় তিনি নিশানা করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। বানথী শ্রীনিবাসন জানান, দিনের পর দিন ওই এলাকায় মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার অপরাধীদের একাংশকে সেফ গার্ড দিচ্ছে।

    কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা 

    সন্দেশখালিতে নিত্য নির্যাতন করা হত স্থানীয় মহিলাদের। এজন্য তাঁরা কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের শাগরেদদের। এনিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির আন্দোলনে জল ঢালতে মণিপুর খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির এই নেত্রী (Vanathi Srinivasan) বলেন, “মণিপুরের ঘটনার পরেই বিবৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। সে রাজ্যের অপরাধীদের গ্রেফতার করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর এখানকার পুলিশ মহিলাদের ন্যূনতম সুরক্ষাটুকু দিতে পারছে না। যাতে নির্যাতিতা মহিলারা এগিয়ে এসে অভিযোগ জানাতে না পারেন।”

    কী বললেন বিজেপি নেত্রী?

    বিজেপির জাতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কিছু একটা হলেই সব সময় অন্য রাজ্যের উদাহরণ টেনে আনা হয়। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ কি আলাদা?” তাঁর প্রশ্ন, “দেশের অন্য প্রান্তে কোনও ঘটনা ঘটলেই তাঁরা এটা বলতে পারে না যে এখানে কোনও অপরাধ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ তো দেশের বাইরে নয়!” তিনি বলেন, “অন্যান্য রাজ্যে অপরাধ হলে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি যেতেই পারেন। কিন্তু এখানে বিরোধী দলকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ১ জুলাই চালু হচ্ছে দণ্ডসংহিতা সংক্রান্ত তিন নয়া আইন

    ৬ মার্চ বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সভা করবেন বারাসতে। প্রধানমন্ত্রীর এই সভায় মুখ ঢেকে নিয়ে আসা হবে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলবেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর এই সভার নাম দেওয়া হয়েছে মহিলা ন্যায় সমাবেশ। এই সমাবেশের প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখেন। বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন। এই সমাবেশ নিয়ে বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে কথাও বলবেন তিনি (Vanathi Srinivasan)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ড্যামেজ রিপেয়ারিংয়ে গিয়েছিলেন’’, সন্দেশখালি নিয়ে ডিজিপিকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ড্যামেজ রিপেয়ারিংয়ে গিয়েছিলেন’’, সন্দেশখালি নিয়ে ডিজিপিকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষকে ভরসা দিতে বা শেখ শাহজাহানের খোঁজে নয়, ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়েছিলেন ভোটের আগে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে। ওখানে এতদিন গণতন্ত্রের হত্যা করা হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে প্রতিদিন নিগ্রহের শিকার হয়েছে মেয়েরা। এখন প্রতিবাদ জানাতে তাঁরা নিজেরাই পথে নেমেছেন। সামনেই নির্বাচন তাই সেই ক্ষত মেরামত করতে সন্দেশখালি গিয়েছেন ডিজি। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    ড্যামেজ রিপেয়ারিংয়ে রাজীব!

    শনিবার সকালে দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, ‘ধরবে না, ও ভোট করে আর কালীঘাটের টাকা সাপ্লাই করে। ডিজির সেদিন রাতের লঞ্চ সফর করে শাহজাহানকে ধরতে যায়নি। ড্যামেজ রিপিয়ারিং করতে গিয়েছিল। তার আগে আমি গিয়ে জমি ফেরত করিয়ে দিয়ে এসেছি। যার যা রেকর্ডে আছে তারা পজিশন নিতে শুরু করেছে। তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ডিজিকে লাগবে না।’ শুভেন্দুর কথায়, ‘আমার জমি আমি নেব, তার জন্য পুলিশের কী আছে? জেলিয়াখালি বলে যে জায়গাটা আছে, সেখানে গিয়েছিলেন শিবু হারজার ম্যানেজার ভানু মণ্ডলকে খুঁজতে। তিনি বলে এসছেন শাহজাহানের বিষয়টি ইডি-সিবিআই-এর মামলা, সেটা আমাদের মাথা ব্যথা নয়। তিনি ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়েছেন, কারণ তিনি এখন দলেরও সভাপতি। সুব্রত বক্তিকে কোথাও দেখা যায় না, ওই কাজটা রাজীব কুমারকে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

    আরও পড়ুন: শিশুর জন্যও আধার পরিচিতি! জানুন কীভাবে তৈরি করবেন ‘বাল আধার’?

    সন্দেশখালি-নন্দীগ্রাম

    সন্দেশখালি কি দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে?  শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘বশ্যতা বিরোধী সংগ্রাম। নন্দীগ্রামে যেগুলো ছিল এখানে সবগুলোই আছে। ওখানে ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন দিয়ে শুরু হয়েছিল। এখানে নারীদের ওপর মায়েদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ প্রথম সংগ্রাম করেছে। ভোট লুঠ গণতন্ত্র হত্যা, নারী নির্যাতন, জমি দখল, ৩টি বড় ইস্যুর ওপরে বশ্যতা বিরোধী সংগ্রাম হচ্ছে এবং মানুষ বিজেপিকে ভরসা করেছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালিতে কী অভিযোগ ছিল? খুঁজে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালিতে কী অভিযোগ ছিল? খুঁজে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের সময় কেমন ছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)? তখন সেখানে কী কী অভিযোগ ছিল? এবার সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল-সহ সেই মামলার আইনজীবীদের পঞ্চায়েতে সন্দেশখালি নিয়ে কী অভিযোগ ছিল, তা খুঁজে বার করতে বলেন প্রধান বিচারপতি।

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ

    শুক্রবার কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি)-সহ পঞ্চায়েতে আদালত (Calcutta High Court) অবমাননার মামলার আইনজীবীদের পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিয়ে অভিযোগ খুঁজে বার করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘আমার যত দূর মনে পড়ছে, সন্দেশখালি নির্বাচন নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেখানে কী অভিযোগ ছিল দেখতে চাই। ওই মামলাটি কে করেছিলেন তা-ও খুঁজে বার করা হোক।’’ আগামী সোমবার সন্দেশখালি মামলার শুনানির সময় সেই বিষয়টিও আদালত নজরে আনতে চায় বলে জানান প্রধান বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, এক সপ্তাহে বাংলায় ৩টি জনসভা মোদির

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মন্তব্য

    ২০ তারিখও সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলার শুনানিতে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি। তিনি নাম না করে শাহজাহান প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় ওঁকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিতে পারি।’ পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির আরও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য ছিল, ‘জানি না তাঁকে কেউ নিরাপত্তা দিচ্ছেন কিনা।’এবার কলকাতা হাইকোর্টের নজরে সন্দেশখালিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনা। গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল সন্দেশখালিতে। তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে পলাতক শাহজাহান। তারপর থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালি। এবার, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও সন্দেশখালি নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠেছিল কি না,তা খতিয়ে দেখতে চাইছে হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটের আগে সন্দেশখালিকে (Sandeshkhali) এবার রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় তুলে আনা হবে। তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে বিশেষ রণকৌশল বিজেপির। রাজ্যে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে, সন্দেশখালির নিপীড়িত মহিলাদের নিয়ে ধর্নায় বসবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিপীড়িত মানুষের অধিকার নিয়ে টানা তিন দিন ধর্না করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন, এবং জোর করে জমি দখলের প্রতিবাদে জনরোষ উত্তাল হয়ে উঠেছে। কিন্তু শেখ শাহজাহান এখনও পলাতক। পুলিশের কাছে খোঁজ নেই।

    ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি হবে ধর্না (Sandeshkhali)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্নায় বসা হবে। ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলবে এই ধর্না। এই ধর্নামঞ্চে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নিপীড়িত মানুষদের নিয়ে আসা হবে। অত্যাচারের নির্মম কথা তাঁদের মুখে উপস্থাপন করে রাজ্যের শাসক দলের উপর আরও চাপ বৃদ্ধি করা হবে। শাসক দলকে লাগাতার চাপে রাখতে বিজেপির এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে আসার কথা ছিল, কিন্তু আপাতত ফোকাস সন্দেশখালি এবং আগামী লোকসভার দিকেই থাকুক, সেই কথা ভেবেই তাঁর সফর বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে।

    আন্দোলনের রেশ ধরে রাখতে লাগাতার কর্মসূচি

    ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের অতাচারের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনজাগরণ ঘটেছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে দিল্লি সদর দফতর থেকে লাগাতার সাংবাদিক সম্মলেন করে আক্রমণ করা হচ্ছে তৃণমূলকে। ইতিমধ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় কমিশন, এসসি, আদিবাসী, মহিলা, মানবাধিকারের মতো সংস্থাগুলি পরিদর্শনে এসেছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন করেছে এই কমিশনগুলি। সেই সঙ্গে বার বার চিঠি দিয়ে সন্দেশখালি সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। ফলে তৃণমূল যে সন্দেশখালিকাণ্ডে বেকফুটে, সেকথা অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। অপর দিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চান, এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে রাজ্যের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, রেশন বণ্টনে দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল এবং ক্যাগ রিপোর্ট সহ একাধিক বিষয়ে ব্যাপক ভাবে আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করতে হবে। এই রাজ্যের লোকসভার আসন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই আন্দোলন ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই সন্দেশখালির বিষয়কে কলকাতার রাজপথে এনে আন্দোলন করা প্রয়োজন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: খেলার মাঠের পর এবার তিনশো বিঘার জমি ফেরানোর কাজ শুরু হল

    Sandeshkhali: খেলার মাঠের পর এবার তিনশো বিঘার জমি ফেরানোর কাজ শুরু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহানের দখল করা খেলার মাঠের পর এবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তিনশো বিঘার জমি ফরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল প্রশাসন। ভূমি এবং ভূমি সংস্কারের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দখলকৃত জমির প্রকৃত মালিকদের চিহ্নিত করে গতকাল বৃহস্পতিবার মোট ৯ জনকে জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘমেয়াদী বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত দেড় মাস ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তদন্তকারী অফিসারদের মাথা ফাটানো হয়। একই ভাবে সেনা জওয়ানদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে শেখ শাহজাহান এবং অনুগামীদের বিরুদ্ধে এলাকায় জমি দখল, বাড়ির বউদের তুলে নিয়ে পার্টি অফিসে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকাবাসীরা ব্যাপক ভাবে সরব হয়ে ওঠেন। পুলিশ গ্রেফতার না করায় শাহজাহান-শিবু-উত্তমের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণ লক্ষ্য করা যায়। শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে ঝুপখালিতে শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধেও গতকাল প্রতিবাদী হন মহিলারা। তাঁর আলাঘরেও দেওয়া হয় আগুন। যদিও শিবু-উত্তমকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও শাহজাহান এখনও পালাতক। রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি পরিদর্শন করলেও এখনও ধরা পড়েনি এই তৃণমূল নেতা।

    জমির জরিপের পর শুরু কাজ (Sandeshkhali)

    গতকাল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের দখল করা ফুটবল খেলার মাঠ প্রশাসন এলাকার মানুষের কাছে হস্তান্তর করেছে। মাঠের দেওয়ালে লেখা ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’-এর উপর চুনকাম করে মুছে দেওয়া হয়েছে। মাঠের তালা খুলে দেওয়া হয় সকলের জন্য। ইতিমধ্যেই গত বুধবার রাত থেকেই পুলিশ টহল চালিয়েছে এলাকায়। একইভাবে মাঠের জমির জরিপের কাজ শুরু করা হয়েছে। এরপর আগের অবস্থায় জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। এই ভাবেই অশান্ত সন্দেশখালির পরিস্থিতিকে শান্ত করার প্রক্রিয়া করা হবে বলে আরও মনে করা হচ্ছে প্রশাসন।

    আন্দোলনকে দমন করতে তড়িঘড়ি জমি ফেরত?

    গতকাল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তিনশো বিঘার জমির প্রকৃত মালিকের জমিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও এই জমি ফেরানোর কাজটি অত্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। তবে এলাকার মানুষের দাবি “আন্দোলনকে দমন করতে তড়িঘড়ি করে এই জমি ফেরানোর কাজ করছে প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসন, তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে এখন সক্রিয় হয়েছে।” সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত মোট নয়জনের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার থানার এসপি জানিয়েছেন, যাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের জমিই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি থানার সামনে ধুন্ধুমার, টেনে-হিঁচড়ে অবস্থান থেকে সরানো হল সুকান্তকে

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি থানার সামনে ধুন্ধুমার, টেনে-হিঁচড়ে অবস্থান থেকে সরানো হল সুকান্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি থানার সামনে টানা দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) আটক করে টোটোয় চাপিয়ে পুলিশ তাদের নৌকায় তুলল। পুলিশের অভিযোগ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার আগে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। সুকান্তকে নিয়ে নৌকা অনেকক্ষণ মাঝ নদীতে দাঁড়িয়ে ছিল। তাতে আলোও জ্বালানো ছিল না। ফলে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

    উল্লেখ্য, আজ সন্দেশখালিতে পৌঁছান সুকান্ত। বিজেপি কর্মী বিকাশ সিং-এর বাড়িতে দেখা করে সন্দেশখালি থানায় যান তিনি। কিন্তু ঢুকতে বাধা দিলে থানার সামনে অবস্থান করেন। এরপর তিনি বলেন, “শাহজাহান শেখ গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে রাতভর চলবে বিক্ষোভ।” সরস্বতী পুজোর দিন যাত্রা শুরু করলেও পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। পথেই নিগ্রহের শিকার হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর কলকাতায় চিকিৎসা করানোর জন্য তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। 

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এলাকার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে থানার সামনে অবস্থান করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “সংবাদ মাধ্যমে শেখ শাহজাহান-উত্তম-শিবুর নাম জেনে গিয়েছেন সকলে। ওঁরা মাথা। কিন্তু ওঁদের নিচে একটা পরিকল্পিত টিম রয়েছে। পুরো কাজ করা হয়েছে এখানে পরিকল্পিত ভাবে। এলাকার আদিবাসীদের বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে। জমির মালিকদের জমির উপর কোনও অধিকার নেই। নিচুতলার জিয়াউদ্দিন, সিরাজ, আল্মগীর এঁরাই হলেন আসল লোক। সকল দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। ভেড়ির লিজের টাকা কোথায় যাচ্ছে, কারা আদায় করছে জানতে হবে। সাংবাদিকদের ক্যামেরা সরে গেলেই আবার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।”

    উলুধ্বনিতে স্বাগত সুকান্তকে (Sukanta Majumdar)

    বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে যাত্রা শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, তাঁকে একাই যেতে হবে। নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। অবশ্য এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অবশ্য দলের একজনকে নিয়ে যেতে পারবেন বলে অনুমতি চাইলে পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। এরপর একাই লঞ্চে ওঠেন। তারপরে সন্দেশখালিতে পৌঁছানোর পর তাঁকে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি এবং পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে স্বাগত জানায় এলাকার মানুষ। এরপর এলাকার নিপীড়িত মহিলাদের বক্তব্য শোনেন।

    উপসংশোধনাগারে বিজপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালি যাওয়ার আগে বসিরহাট উপসংশোধনাগারে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে দেখা করতে না দিলে পরে কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর সংশোধনাগারে প্রবেশ করেন এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কথা বলবেন সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে, উদ্যোগ বিজেপির

    PM Modi: রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কথা বলবেন সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে, উদ্যোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৬ মার্চ বারাসতের কাছারি ময়দানে সভা করবেন তিনি। সেই সভায় হাজির করানো হবে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের। মুখ ঢেকে আলাদা মঞ্চে বসবেন তাঁরা। বিজেপির এই পরিকল্পনা থেকেই স্পষ্ট, সন্দেশখালির হাতে গরম ইস্যু হাতছাড়া করতে রাজি নয় পদ্ম শিবির। ৬ মার্চ বারাসতে মহিলা সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, মূল মঞ্চের পাশে আলাদা একটি মঞ্চ গড়া হবে। সেখানেই মুখ ঢেকে বসবেন নির্যাতিতারা। জানাবেন তাঁদের নির্যাতনের কথা। দর্শকাসনেও থাকবে মহিলাদের আধিক্য।

    সন্দেশখালিকাণ্ডের আঁচ

    ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সন্দেশখালিকাণ্ডের আঁচ (PM Modi) যাতে থিতু হয়ে না যায়, তাই সফর বাতিল করেছেন শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে সন্দেশখালির আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। তাই এই সময় শাহ বঙ্গ সফরে এলে, তাঁকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন রাজ্য নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে সন্দেশখালি নয়, রাজ্যবাসীর ফোকাসে চলে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই আপাতত বাতিল করা হয়েছে শাহি সফর।

    মমতা সরকারের কড়া সমালোচনা

    ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে হয় বিজেপির জাতীয় সম্মেলন। সেদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়ও শোনা গিয়েছে সন্দেশখালির কথা। মমতা সরকারের কড়া সমালোচনাও করেন তিনি। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে বিবৃতি দেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। মঙ্গলবার সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আসানসোলের বিধায়ক বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালেরা। এহেন আবহে প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিই হোক পাখির চোখ, তাই কি বাতিল শাহি সফর?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সন্দেশখালিতে সভা করতে। এতে অনেক সমস্যা হতে পারে ভেবে জায়গা বদল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন বারাসতেই। সেখানে সন্দেশখালির মহিলাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব আমরাই।” তিনি বলেন, “সন্দেশখালির মা-বোনেদের সম্মান রক্ষা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share