Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির আধিকারিকরা। ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দেন তৃণমূল নেতা।

    আদালতে শুভেন্দু 

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও রয়েছে। এই ঘটনায় এবার সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, “ওরা চাপে আছে। ওরা আদালতে শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করাতে চায়। বরিশালের সঙ্গে যোগ আছে। বাংলাদেশে পাচারে যুক্ত শাহজাহান।” বাংলাদেশের বন্ধু সরকার শাহজাহানকে ধরতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    এনআইএ দাবি

    তিন বিজেপি কর্মী খুনে শাহজাহান যে জড়িত, তা আগেই জানিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সোমবার শুভেন্দুও বলেন, “কেবল রেশন কেলেঙ্কারি নয়, তিনজনের দেহ লোপাটেও অভিযুক্ত শাহজাহান। তিনটি পরিবার বিচার পায়নি, পুলিশ মামলা থেকে শাহজাহানকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। সন্দেশখালির দুই মহিলা আমার কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই দুই পরিবারের ন’জনকে আমি নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি।” বিজেপি কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত শাহজাহান। তার পরেও পুলিশ তাঁর টিকি না ছোঁওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই বা এনআইএ তদন্ত দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থের! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালিতেই খুন হন বিজেপির তিন কর্মী। তাঁদের প্রত্যেকের দেহ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নিরাপত্তা নেই। তাই বাংলায় নির্বাচনকে ঘিরে এত হিংসা।” তিনি বলেন, “সিপিএম শুরু করেছিল। বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছে তৃণমূল। গতকাল (রবিবার) ব্রিগেডে শাহজাহান শেখকে নিয়ে একটাও কথা নেই কেন?” জায়ান্ট কিলার (গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর পর রাজনৈতিক মহলে এই নামেই পরিচিত শুভেন্দু) (Suvendu Adhikari) বলেন, “তিনজনের দেহ লোপাট করেও স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় রেহাই পেয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান। ওই মামলা রি-ওপেন করে সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্ট আর্জি জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED in Sandeshkhali: সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের বিজেপির, শুনানি বৃহস্পতিবার

    ED in Sandeshkhali: সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের বিজেপির, শুনানি বৃহস্পতিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি এবং বনগাঁয় ইডি (ED attacked in Sandeshkhali) আধিকারিকদের উপর আক্রমণের ঘটনায় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বিজেপি। সোমবার এই বিষয়ে বিজেপির তরফে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এনআইএ তদন্ত ও তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতার চেয়ে আবেদন করা হয় জনস্বার্থ মামলায়। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি। 

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে তদন্তের কাজে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। এখনও খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের। অন্যদিকে বনগাঁতে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। এবার সেই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার করার অনুমতি চায় বিজেপি। আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত দ্রুত শুনানি চেয়ে আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির অপমানে ক্ষুব্ধ অক্ষয়-সলমনরা, দেশের দ্বীপগুলিতে যাওয়ার আর্জি সচিনের

    দ্রুত শুনানির আর্জি

    বিজেপি শুক্রবারই এই ঘটনার সমালোচনা করেছিল। রবিবার দুপুরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দলের তরফে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তুলে দেন রাজ্যপালের হাতে। চিঠির বিষয়বস্তু হিসাবে বিজেপি লেখে, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ।” ভিতরে সে দিনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে বিজেপি লেখে, ‘‘রাজ্যপালের কাছে অনুরোধ, তিনি যেন পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেন এবং এমন ব্যবস্থা নেন, যাতে তা বাস্তবে কাজে লাগে।’’ এদিকে ঘটনার পর থেকে ৩ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহানের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। উল্টে ঘটনায় ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: খুনের উদ্দেশ্যে সন্দেশখালিতে জড়ো হয়েছিল সশস্ত্র দল, বিবৃতিতে জানাল ইডি

    Sandeshkhali: খুনের উদ্দেশ্যে সন্দেশখালিতে জড়ো হয়েছিল সশস্ত্র দল, বিবৃতিতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শুক্রবারই মারধর করা হয় ইডি অফিসারদের। এ নিয়ে গতকাল রাতেই আসে ইডির বিবৃতি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৮০০ থেকে ১০০০ জনের দল ইডির তদন্তকারী অফিসারদের ঘিরে ধরে। ইডির আরও দাবি, অফিসারদের খুনের (Sandeshkhali) উদ্দেশেই সেখানে উপস্থিত হয় এই বিরাট সংখ্যার দল। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটে। 

    মাথা ফাটে ইডি আধিকারিকদের

    ইডির বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘সশস্ত্র দলটি, লাঠি, ইট, পাথর নিয়ে হাজির হয়। সেখানে তারা ইডি অফিসারদের তাড়া করে পরে ইডি তাঁদের মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তিনজন ইডি অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ এর পাশাপাশি ইডির আরও অভিযোগ, অফিসারদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ, মোবাইল। এমনকি ওয়েলেট টাকাকড়িও ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। এখানেই শেষ নয়। ইডি অফিসারদের (Sandeshkhali) গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে শুক্রবার।

    আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার দাবি সুকান্তর

    অন্যদিকে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনার পর সেখানে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সন্দেশখালিতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন জানিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লেখেন। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নাম উল্লেখ করে তাঁর চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তদন্ত চালাতে যাতে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের কোনও রকম অসুবিধা বা বাধার মুখে পড়তে না হয়, তাই এমন আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি প্রধান।

    কে শাহজাহান?

    তৃণমূলের প্রধান দুষ্কৃতী হল শাহজাহান। সন্দেশখালির শাহজাহানকে নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবারই বলেন, “২০১৯ সালে বিজেপির কর্মী তপন মণ্ডল সহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। খুন করে সেই সময় বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জমিকে জোর করে দখল করে নিয়েছেন। তাঁর দখল করা জমির পরিমাণ ১৩৯.১৭ বিঘা। এছাড়া তিনটে ট্রাস্টে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ডক্টর স্বপ্নকুমার রায়চৌধুরির জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। আগে সিপিএম করতেন, তাঁর গুরু ছিলেন হার্মাদদের নেতা মুসলেম। এরপর তৃণমূলে যোগদান করে মাফিয়া হয়েছেন। এলাকার আম্ফানের ত্রাণ, আবাস যোজনার ঘর, শৌচালয়, একশো দিনের টাকা, মাছের চাষের ভেড়ি সব কিছু খেয়ছেন তিনি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    Sandeshkhali Incident: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপর ‘হামলা’র ঘটনায় তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করেছেন বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুক্রবার সকালে দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ইডির অফিসাররাই। একটি ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলা।  এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক হননি। 

    শুভেন্দুর দাবি

    শুক্রবারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনের ছবি ও নাম নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর চিহ্নিত করা তিন জনের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর এবং শেখ সিরাজুদ্দিন। বাকি এক জনের পরিচয় জানিয়েছেন শুভেন্দুই। তাঁর নাম জিয়াউদ্দিন। নামের সঙ্গে শুভেন্দু তাঁর পরিচয় দিয়ে লেখেন, “ইনি নাম করা অস্ত্র পাচারকারী, খুনি এবং বর্তমানে সরবেড়িয়া-অগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।” তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস এবং উৎসাহে ভর করে শেখ শাহজাহানের মতো দুষ্কৃতীরা রোহিঙ্গাদের একজোট করে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে চাইছে।”

    আরও পড়ুন: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    এনআইএ তদন্তের আর্জি

    উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এদিন ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সংবাদমাধ্যমের উপর হামলার ঘটনায় কারা কারা জড়িত ছিল, নাম উল্লেখ করে এনআইএ-র দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘দেশবিরোধী শক্তি’র বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র কাছে আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিজের এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে ট্যাগ করেন শুভেন্দু। সেই এক্স বার্তায় কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের আর্জি জানানোর পাশাপাশি তিনি জুড়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, ইডির অধিকর্তা এবং সিআরপিএফকেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বর্বোচিত আক্রমণ এবং তাণ্ডব রুখতে ব্যবস্থা নিতে হবে সভ্য সমাজের গণতান্ত্রিক সরকারকে।” শুক্রবার সন্দেশখালিকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V ananda Bose)। তিনি বলেন, “সরকার তার ন্যূনতম কর্তব্যপালনে ব্যর্থ হয়েছে। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে। বাংলায় নয়।”

    ‘মগের মুলুক নয়’

    তিনি বলেন, “বাংলা কোনও মগের মুলুক নয়। সরকারের উচিত তার কর্তব্য করা। যাঁরা ভাবছেন, আমি ডনের মাধ্যমে শাসন করছি, আর তাঁরা শীঘ্রই নিজেদের ‘ডন কুইকজোট’ (স্প্যানিশ মহাকাব্য) হিসেবে দেখতে পাবেন। এটা প্রাক নির্বাচনী পর্বের হিংসা। অবিলম্বে এই হিংসায় লাগাম টানা প্রয়োজন। সমাজের এই হিংসা নিহিত সরকারের সঙ্গেই। চারদিকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে।” রাজ্যপাল বলেন, “হিংসা ও গুন্ডাগিরিতে রাশ টানার সময় এসে গিয়েছে। বাংলায় হিংসার অবসান ঘটবে। অপশাসন চলবে না। সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বর্বরতা ও নৈরাজ্যকে কঠোর হাতে দমন করা। সরকার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংবিধান চলবে নিজের পথে।”

    রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, অবিলম্বে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে রাজভবনে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে নবান্নকে। ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যখন এই বিবৃতি দিচ্ছেন, তার কিছুক্ষণ আগেই কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালির মামলার শুনানি (C V ananda Bose) পর্বে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?”

    আরও পড়ুুন: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির গভীরে পৌঁছতে শুক্রবার সাত সকালে ইডির আধিকারিকরা যান সন্দেহখালিতে। এখানে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দোরে খিল এঁটে বসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। এর পরেই দরজা ভেঙে শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের কয়েকজন জওয়ানও জখম হন। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ডামাডোলের (C V ananda Bose) বাজারে গা-ঢাকা দিতে পারেন শাহজাহান। সরিয়ে ফেলা হতে পারে তাঁর বাড়িতে থাকা (যদি থাকে) কাগজপত্রও।  

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Shahjahan sheikh: ইডির ওপর হামলা! সন্দেশখালির তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ কে এই শাহজাহান?

    Shahjahan sheikh: ইডির ওপর হামলা! সন্দেশখালির তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ কে এই শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে এই শাহজাহান শেখ (Shahjahan Sheikh)? তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা। তিনি জেলা পরিষদের একজন কর্মাধ্যক্ষ। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। তবে তৃণমূলে আসার আগে সিপিএম করতেন। আজ শুক্রবার সাত সকালে তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি তল্লাশি করতে হলে তাঁর অনুগামীরা আক্রমণ করে। গাড়িচালকদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মারের চোটে রক্তাক্ত হন অফিসাররা। একই ভাবে আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও।

    সন্দেশখালির একটা পাতাও নড়ে না তাঁর কথা ছাড়া (Shahjahan Sheikh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) কথা ছাড়া সন্দেশখালির একটি পাতাও নাকি নড়ে না। এর আগেও তাঁর বাড়িতে পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। তাঁর এলাকায় তিনি একপ্রকার অলিখিত বেতাজ বাদশা। তিনি প্রশাসনের শাসন নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। দল সব কিছু জেনেও তাঁকে কখনই সতর্ক করেনি। বরং তাঁকে দলের নানান পদে রাখা হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দলের নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা করেন না তিনি। একটা সময় হেরোইন এবং অবৈধ পাচারকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার ভোটব্যাঙ্ককে নিয়ন্ত্রণ করেন। একপ্রকার ‘বাহুবলী’ থেকে কম কিছু নন তিনি।

    বালু ঘনিষ্ঠ শাহজাহান

    রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ছিলেন শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। সন্দেশখালির একাধিক ভেড়ি, ইটভাটার মালিক তিনি। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাস্তবে যত সম্পত্তির মালিক, তার হিসাব হলফনামায় সঠিকভাবে দেখাননি। পার্ক সার্কাসে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি, মিনাখাঁয় শাসক বিরোধীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। পরে মামলা হাইকোর্টে গেলে পুলিশকে সুরক্ষা দিয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করাতে নির্দেশ দিলেও, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ফের আক্রমণের কারণে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় শাহজাহানের হাত ছিল বলে বিজেপি বার বার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) সন্দেশখালির বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকেরা। বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় ইডির আধিকারিকেরা তালা ভাঙতে গেলে শাহজাহানের অনুগামীরা বাড়ি ঘিরে ফেলে তদন্তকারী অফিসারদের ঘেরাও করে ব্যাপক মারধর করে। এক আফিসারের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর উত্তেজিত তাঁর অনুগামীরা হামলা করে। এরপর নিজেদের প্রাণ হাতে কোনও রকমে পালিয়ে রক্ষা পান সবাই। সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি, ক্যামেরা ভাঙচুর এবং কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সব রকম প্রতিরোধ করার কথা বলেছিলেন। ফলে সেই কারণেই ইডির উপর আক্রমণ হল না তো? এমনটাই বিরোধীদের প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Drugs Smuggling: কাবুলের তালিবানের চালানেই সন্দেশখালির সরিফুলের নাম, মাদক তদন্তে নতুন মোড়

    Drugs Smuggling: কাবুলের তালিবানের চালানেই সন্দেশখালির সরিফুলের নাম, মাদক তদন্তে নতুন মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বন্দরের (Kolkata Port) হেরোইন পাচারের (Drugs smuggling) মামলায় যত দিন যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। ডিআরআই (DRI) এবং গুজরাট এটিএসের (Gujarat ATS) যৌথ তদন্তে প্রকাশ, ৪০ কিলোগ্রাম হেরোইন (Heroin seized) এসেছিল তালিবান (Taliban) শাসনের আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে। ঘটনা হল, যে কনটেনারটি পাঠানোর জন্য জাহাজিরা বিল তৈরি করে তাতে দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া বিলেই সন্দেশখালির সরিফুল ইসলাম মোল্লার (Shariful Islam Molla) নাম রয়েছে। অর্থাৎ মাদক পাচার চক্রের পাণ্ডারা জেনেবুঝেই সরিফুল মোল্লার নামে মাদকের চালান কেটেছে। সরিফুল এন্টারপ্রাইজের কাগজে কলমে মালিক এই সরিফুল মোল্লার জেলিয়াখালির বাড়িটি টালির চালের ভগ্নপ্রায়। তাঁর পক্ষে ১০০ কোটি টাকা খরচ করে হেরোইনের কনটেনার বুক করা সম্ভব নয়।

    এখানেই প্রশ্ন, তা হলে সন্দেশখালির ঠিকানায় মাদক পাচারের মূল মাথা কে? কার এত বড় আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রয়েছে যে আফগানিস্তানে বসে সেখানকার এক তালিবান মোল্লা সন্দেশখালির প্রত্যন্ত সরিফুলের নামে মাদকের চালান তৈরি করছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আফগানিস্তানের ওই তালিবান মাদক মাফিয়া পাকিস্তানের একজন শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে কনটেনারটি পাঠিয়েছিল। পাকিস্তানি শিপিং এজেন্টের পূর্বাপর কারবার নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, উত্তর ২৪ পরগনার মাদক চক্রের সঙ্গে যে সরাসরি আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের যোগাযোগ রয়েছে তা বিস্ময়কর। এতদিন ভাবা হত, দেশে আমদানি হয়ে আসা মাদক পশ্চিমবঙ্গে পাচার হয়ে আসে। কিন্তু সরিফুল মোল্লার যোগসূত্রে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলার মাদক মাফিয়ারা সরাসরি আফগানিস্তান থেকেই মাদক এ রাজ্যে নিয়ে আসে।

    তদন্তকারীরা আরও জানাচ্ছেন, অতীতে মুম্বই, গুজরাট, বেঙ্গালুরু, দিল্লিতে বড় ধরনের হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। দেশের কোথাও মাদক পাচারের সঙ্গে সরাসরি রাজনৈতিক নেতাদের যোগাযোগ মেলেনি। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনায় সরাসরি রাজনৈতিক নেতৃত্বের যোগ স্পষ্ট। ডিআরআই এবং গুজরাট এটিএস সেই যোগ প্রমাণের তদন্ত চলছে। ফলে সন্দেশখালি হেরোইন পাচার কাণ্ডে কিছুদিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন শাসক দলের রাজনৈতিক নেতার গ্রেফতারি এক প্রকার নিশ্চিত।

LinkedIn
Share