Tag: Sandeshkhali

Sandeshkhali

  • Shahjahan Sheikh: পালাতে পারে বিদেশে, সন্দেশখালির শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইডির

    Shahjahan Sheikh: পালাতে পারে বিদেশে, সন্দেশখালির শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিকবার সমন পাঠিয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। তার পরেও বারংবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) ভাই সিরাজউদ্দিন শেখ। ঘটনার পঞ্চান্ন দিন পরে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত শাহজাহানকে। এবার সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করল ইডি।

    বিদেশে পালাতে পারে সিরাজউদ্দিন (Shahjahan Sheikh)

    তদন্ত এড়াতে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করতে পারে সিরাজউদ্দিন। সে যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য দেশের সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে ইডি। সিরাজউদ্দিনের ছবি ও তার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও পাঠানো হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) আর এক ভাই আলমগিরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (গ্রেফতার হতেই দায় ঝেড়ে ফেলতে সাসপেন্ড করা হয় শাহজাহানকে) দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও দিদারবক্স মোল্লাকে।

    সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, মহিলা নির্যাতন, জমি জবরদখল, স্থানীয়দের ওপর জুলুমবাজির যেসব অভিযোগ সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানায় দায়ের হয়েছিল আঠারো থেকে চব্বিশ সালের মধ্যে, সেই অভিযোগগুলিতে নাম রয়েছে শাহজাহান-সহ অন্যদের। সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এলাকাবাসীর অভিযোগ নেওয়ার জন্য যে পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছিল, সেখানে সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অন্তত ১০০টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এতে যেমন ছিল জমি দখলের অভিযোগ, তেমন ছিল অকারণে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও।

    আরও পড়ুুন: ফের ‘কেরালা স্টোরি’র গল্প! বিহার, কর্নাটকে ‘লাভ জিহাদে’র ফাঁদে হিন্দু তরুণীরা

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ সর্দার পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ‘এক আদিবাসী মহিলার ৩৩ শতক চাষের জমি দখল করে মার্কেট তৈরি করেছে সিরাজউদ্দিন। টাকার জন্য সিরাজউদ্দিনের দোরে ঘুরেও ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। গাড়ি করে বসিরহাটে তুলে নিয়ে গিয়ে জমি লিখিয়ে নিয়েছে, ভয়ে কারও কাছে মুখ খুলতে পারিনি।’ ইডি সূত্রে খবর, এসব মামলার তদন্ত সূত্রেই সিরাজউদ্দিনকে তলব করেছিল ইডি।

    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান মায় সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। অভিযোগের আঙুল ওঠে শাহজাহান অনুগামীদের দিকে। তার পর থেকেই নিত্য খবরের শিরোনামে রয়েছে শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) অ্যান্ড কোং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের

    Sandeshkhali: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বিভিন্ন অভিযোগের সিবিআই তদন্তে মামলার সংখ্যা শতাধিক হয়ে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ও আশপাশের অঞ্চলে ত্রাস হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Seikh Shahjahan)। মহিলাদের আন্দোলনের চাপে গ্রেফতার হয়েছেন শাহজাহান এবং অনুগামী শিবু-উত্তম সহ আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী। একই সঙ্গে শতাধিক অভিযোগের মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য বেআইনি অর্থ লগ্নী সংস্থা সারদার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় রাজ্যজুড়ে ১৯৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু এবার সন্দেশখালিতেই মোট মামলা এখনই শতাধিক। আগামী দিনে আরও মামলা দায়ের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

    শতাধিক অভিযোগ জমা

    প্রসঙ্গত সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দাদের কাছ থেকে সিবিআইকে সরাসরি অভিযোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সিবিআইকে ইমেইল আইডি এবং অ্যাপের মাধ্যমে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে সরাসরি অভিযোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এবার এই ইমেইল আইডি ও অ্যাপ থেকে নেওয়া অভিযোগ মিলিয়ে মামলার সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) তদন্তে এক তদন্তকারী অফিসার বলেছেন, “৫ জানুয়ারি ইডির (ed) অফিসার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপরে হামলার ঘটনার পর ফেরার হয়ে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীরা। তখন থেকেই সন্দেশখালীর এই তৃণমূল নেতা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল, খুন, খুনের চেষ্টা, মারধর, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মতো অভিযোগ দায়ের হতে শুরু করে। এমনকী বিভিন্ন গ্রামে শিবির খুলে বসিরহাট জেলা পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করা শুরু করেছিল। কিছু অভিযোগের নিষ্পত্তি অবশ্য পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের তরফে তৎক্ষণাৎ করা হয়েছিল।” অন্যদিকে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর শাহজাহানের দুই সাগরেদ শিবু হাজরা ও দিদার বক্স মোল্লাকে হেফাজতে নিলেন ইডি আধিকারিকেরা। যেহেতু তিনজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাই তাঁদের ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়েছে। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা ও বিভিন্ন সম্পত্তিগত বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

    আরও পড়ুনঃ এই ৫টি উপায় মেনে চললেই এসির বিদ্যুতের খরচ কম হবে

    সারদা মামলার সঙ্গে যোগ

    প্রসঙ্গত বছর দশেক আগে বেআইনি অর্থ লগ্নী সংস্থা সারদার ২৪০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় রাজ্যজুড়ে ১৯৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেখানে শুধু সন্দেশখালিতেই (Sandeshkhali) শাহজাহানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বর্তমানে। তবে এত মামলা একসঙ্গে হলে তদন্তকারী সংস্থার বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে তদন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারদার ক্ষেত্রে ১৯৬টি মামলা একজোট করে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। ১১ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সারদার পাঁচটি মামলা এখনও চলছে। এই মামলাগুলিতে এখনও চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরও জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী একজন ডিআইজির নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে এবং আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে।

    লুক আউট নোটিশ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) মামলায় এবার শেখ শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করল ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, “আমাদের আশঙ্কা তাঁর ভাই সিরাজউদ্দিন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরকে সতর্ক করা হয়েছে। সিরাজের বিরুদ্ধে জমি দখল করে ভেড়ি বানানো, সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন সহ শেখ শাহজাহানকে বিভিন্ন মামলায় সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তদন্তকারীরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সিরাজুদ্দিনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: শাহজাহানকে দেখেও শিক্ষা হয়নি, রেখার সভায় তৃণমূলের “দাদাগিরি”!

    Basirhat: শাহজাহানকে দেখেও শিক্ষা হয়নি, রেখার সভায় তৃণমূলের “দাদাগিরি”!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার করার শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর কী হাল হয়েছে তা রাজ্যের মানুষ দেখেছেন। জেল বন্দি শাহজাহানের অবস্থা দেখেও শিক্ষা নেয়নি তৃণমূল নেতারা। এবার বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের প্রচারের সময় তৃণমূলের একাংশের দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হিঙ্গলগঞ্জের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Basirhat)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় হিঙ্গলগঞ্জের (Basirhat) কালীনগর এলাকায় বিজেপি প্রার্থী তথা সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রর সমর্থনে একটি সভা ছিল। সেই সময়েই তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দলবল নিয়ে সভাস্থলে একপ্রকার ‘দাদাগিরি’ দেখান বলে অভিযোগ। সভাস্থলের যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে বেশ কিছু তপ্ত বাক্য বিনিময় ধরা পড়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, ‘হয়ত তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ভয় পেয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর কাজ এটাই। তারা এটাই করে এসেছে। আজ বসিরহাটের মানুষ এককাট্টা হয়েছেন দেখে, তারা ভয় পাচ্ছে। তারা এতদিন মানুষের ওপর অত্যাচার করে এসেছে। সেই নেশাটাই তো ছাড়তে পারছে না। ওরা চাইছে বিজেপি যেখানে যেখানে সভা করবে, সেখানে সেখানে গিয়ে ভয় দেখাবে ওরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না।’

    আরও পড়ুন: ‘‘সামনের সপ্তাহে বোমা পড়তে চলেছে, বেসামাল হবে তৃণমূল’’, কী ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থীর এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের বসিরহাট শহর কমিটির সভাপতি অভিজিৎ ঘোষের কথায়, ‘এর কতটা সত্যতা আছে, সে বিষয়ে নিশ্চয়ই তাদের হাতে তথ্য আছে। রেখা পাত্র পায়ের তলায় রাজনৈতিক জমি খুঁজে পাচ্ছেন না। শুধু সন্দেশখালি থেকেই তৃণমূল ৩০-৩৫ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি গেল সিবিআই টিম, কথা বললেন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি গেল সিবিআই টিম, কথা বললেন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ঘটনার তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পর বেশ কয়েক বার থানায় এসেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকেরা। শনিবারও তদন্তের সন্দেশখালি যায় সিবিআই টিম। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে সিবিআই ইতিমধ্যে নিজস্ব একটি পোর্টাল চালু করেছে। সেখানে সন্দেশখালির মানুষ তাদের অভাব অভিযোগ, নারী নির্যাতন, জমি লুট সহ একাধিক অভিযোগ জানাতে পারবে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সিবিআই সূত্রের খবর, সেখানে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। একটি দল থানায় যায়। আর অন্য একটি দল যায় গ্রামে।

    কেন সন্দেশখালিতে সিবিআই? (Sandeshkhali)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পোর্টালে অভিযোগের তদন্ত করতে এদিন ১০ জন সিবিআই আধিকারিক সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার সুন্দরখালি, কর্ণ খালি, মাঝেরপাড়া, পাত্রপাড়া, নতুন পড়াসহ একাধিক পাড়ায় গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা জানার চেষ্টা করেন। সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে ইতিমধ্যে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান ও ন্যাজাট থানার পুলিশ আধিকারিকের কাছ থেকে ১৬ এপ্রিল সিবিআই তথ্য নিতে এসেছিল। তারপর এবার সন্দেশখালিতে সিবিআই টিম হানা দিল। প্রসঙ্গত, বসিরহাট পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে ন্যাজাট ও সন্দেশখালি থানার দশটি জায়গায় পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেখানে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেই অভিযোগগুলো সিবিআই আধিকারিকরা রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে হস্তান্তর করে নিজের দায়িত্বে নেন। তারপর এদিন সেই অভিযোগের সত্যতা জানতে সন্দেশখালিতে হাজির হন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ! ভোটের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

    বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই টিম

    সিবিআই আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে এর আগে ওই এলাকায় সিবিআই গিয়েছে বলে শোনা যায়নি। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই সুন্দরীখালিতে অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহিলা নির্যাতন, জমির জবরদখল, স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর জুলুমবাজির যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে শাহজাহান শেখ ছাড়া নাম ছিল শিবু হাজরা এবং অন্যদের। যাঁদের বেশিরভাগই শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অথবা এখনও রয়েছেন। সেই বিষয়ে জানতে এদিন আধিকারিকরা সন্দেশখালি যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: যুবতীর সঙ্গে আশীলন আচরণে অভিযুক্ত তৃণমূল, নির্যাতিতার পাশে সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলারা

    Raiganj: যুবতীর সঙ্গে আশীলন আচরণে অভিযুক্ত তৃণমূল, নির্যাতিতার পাশে সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটল রায়গঞ্জে (Raiganj)। আর সেই নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াতে রায়গঞ্জে এলেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। শুক্রবার রায়গঞ্জে আসেন সন্দেশখালির ১২জনের একটি দল। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের সমর্থনে কালিয়াগঞ্জে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর জনসভায় যোগ দেন তাঁরা। এমনকী হেমতাবাদে এক নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান তাঁরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj)

    ভোটের স্লিপ বিলি করতে গিয়ে এক মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ রায়গঞ্জে (Raiganj) হেমতাবাদে। জানা গিয়েছে, ভোটের স্লিপ দিতে এসে জল চেয়েছিলেন অভিযুক্ত। তারপরই বাড়ির এক যুবতীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। অভিযুক্তকে গাছে বেধে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। বিজেপির জেলা সভাপতিই ভিডিও পোস্ট করেন। অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক তৃণমূলের সমর্থক। এই ঘটনার পর অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন সন্দেশখালির মহিলাদের ১২ জনের একটি দল। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বিগত দিনে উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও একাধিক নারী নির্যাতনের অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিশেষ করে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোরালো আন্দোলনেও নেমেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। এবারে লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালির মহিলাদের বিজেপির হয়ে প্রচারে আসার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: দুঃসহ জ্বালা! আজই কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, চরম সতর্কতা জেলায় জেলায়

    সন্দেশখালির মহিলারা কী বললেন?

    এদিন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা বলেন, শুধু সন্দেশখালি নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে নারীদের ওপরে যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারই বিরুদ্ধে আমরা প্রচারে নেমেছি। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে কারণে আমরা এ জেলায় এসে মানুষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে ফের নারী নির্যাতন হবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের বক্তব্য, নির্বাচনের আগেই যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে ভোটে জেতার পর কি অবস্থা হবে তা ভেবেই ভোটারদের ভোট দেওয়া উচিৎ। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অরিন্দম সরকারের বক্তব্য, অভিযুক্ত তৃণমূল করেন কি না তা জানা নেই। আর সব দলেই খারাপ বা ভাল লোক থাকেন। যদি এমন কেউ করেই থাকেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার ন‍্যাজাট থানার ভাঙ্গিপাড়ার ঘটনা। ২০১৯ সালের ৬ই জুন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিধানসভার ভাঙ্গিপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভা হয়। সেই সভার শেষে এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও দেবদাস মণ্ডলের ওপর হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের। সেই সঙ্গে নিখোঁজ হন দেবদাস মণ্ডল।

    পুলিশের তদন্ত কোন পথে (Sandeshkhali)?

    সেই সময় থেকে দেবদাস মণ্ডলের (Sandeshkhali) খোঁজ না পাওয়ায় তাঁর পরিবার ন‍্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগে নাম উঠে আসে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান সহ তাঁর সাগরেদদের। পরবর্তীকালে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ যায় এফআইআর থেকে। তারপর দেবদাসের পরিবার দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি পুনরায় এফআইআরের নির্দেশ দেন এবং শেখ শাহজাহান নাম বহাল রাখা হয়। তারপর কেটে গেল পাঁচটি বছর।

    নিঁখোজের স্ত্রী কী বলছেন?

    আদৌ কি ফিরবে দেবদাস মণ্ডল (Sandeshkhali)? নাকি সেই দিনই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারপর তাঁর দেহ লোপাট করা হয়েছে কোনও মাছের ভেড়িতে। আজও অজানা তাঁর মৃত্যুর রহস্য। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল।

    বর্তমান অবস্থা

    আজও দেবদাসের খোঁজ পায়নি তাঁর পরিবার। স্ত্রীর দাবি, স্বামী মৃত অথবা জীবিত ফিরে আসুক ঘরে। বর্তমানে শেখ শাহজাহান রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন। পরিবারের (Sandeshkhali) পক্ষ থেকে আদালতের কাছে দাবি করা হয়েছে, দেবদাসের খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্ত করা হোক। তাহলে আসল রহস্য প্রকাশ্যে আসবে। নিহত প্রদীপ মণ্ডলের পরিবার সেই ঘটনার পর থেকে কোথায় আছে, তা এখনও অনেকের অজানা। নিহত সুকান্ত মণ্ডলের পরিবার বলতে একমাত্র তাঁর মা। তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে আর দেখার কেউ নেই। কষ্ট করে সুন্দর একটি পাকা দালান বাড়ি তৈরি করেছিলেন সুকান্ত। বর্তমানে তাঁর সুন্দর একটি বাড়ি থাকলেও সেই বাড়িতে বসবাস করার মতো আর কেউ নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামের মানুষ।

    দেবদাস মণ্ডলের পরিবারে বয়স্ক বাবা-মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন দেবদাস। বর্তমান তাঁর সংসারের  খুবই করুণ দশা। তাঁর বর্তমানে একটি ছোট্ট মেয়ে ও একটি ছোট্ট ছেলে রয়েছে। তারা জানে না তাদের বাবা কবে বাড়ি ফিরে আসবে। তাদের মা পথ চেয়ে বসে আছে কবে তাঁর স্বামী ঘরে ফিরবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ইডির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে নয়া ফন্দি! কুন্তলের পথেই কি শাহজাহান?

    Sheikh Shahjahan: ইডির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে নয়া ফন্দি! কুন্তলের পথেই কি শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার শিরোনামে শেখ শাহজাহান (sheikh shahjahan)। এবার খোদ ইডির (ED) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সোজা আদালতে চিঠি দিলেন সন্দেশখালির (sandeshkhali) এই ত্রাস। ইডির হেফাজতে ‘জোর করে’ বয়ান লেখানো হয়েছে তাঁকে, এই মর্মেই অভিযোগ তুলে আদালতে আবেদন জানালেন তাঁর আইনজীবী। তবে এ প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবীরা আদালতে দাবি করে বলেন, “এই চিঠি শাহজাহানের লেখা নয়, তাঁর আর্জির চিঠিকে কোনও ভাবেই যেন আদালতের রেকর্ডে না রাখা হয়। এই চিঠি গৃহীত হলে এতদিন শাহজাহান যে বয়ান দিয়েছেন, তার আর গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না।”

    উল্লেখ্য সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ একই ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে চিঠি দিয়েছিলেন। এবার তদন্ত থেকে বাঁচার জন্য শেখ শাহজাহান কি একই রাস্তা অবলম্বন করছেন? কার্যত নয়া ফন্দি!

    ঠিক কী হয়েছিল (Sheikh Shahjahan)?

    প্রসঙ্গত, শনিবারই শেষ হয় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে (bankshall court) তোলা হলে প্রশ্ন-উত্তর চলাকালীনই তাঁর আইনজীবী প্রকাশ্যে আনেন শাহজাহানের লেখা ওই চিঠির প্রসঙ্গ। আদালত কক্ষেই পড়ে শোনানো হয় সেই চিঠি। চিঠির বয়ান শুনেই কার্যত শোরগোল পড়ে যায় আদালত কক্ষে।

    শাহজাহানের লেখা চিঠিতে কী ছিল?

    শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) লেখা চিঠিতে যা ছিল তা হল, “গত ১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকাকালীন আমাকে দিয়ে মিথ্যা বয়ান রেকর্ড করানো হয়েছে। একই ভাবে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পছন্দের বয়ান না দিলে আমি, আমার ভাই এবং আত্মীয়দের মাদক মামলায়, জড়িয়ে দেওয়া হবে।”

    পরবর্তী শুনানি ১৫ এপ্রিল

    এরপরেই চিঠির বয়ান নিয়ে ইডির আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন আদালতে। ওই চিঠি আদৌ শাহজাহানের (sheikh shahjahan) লেখা কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই চিঠি কি আবেদন পত্র? তা নিয়েও সওয়াল করেন ইডির আইনজীবীরা। একই ভাবে শাহজাহানের এই চিঠির আবেদন পদ্ধতি এবং বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়। শেষ পর্যন্ত আদালতের তরফ থেকে জানানো হয় চিঠি গ্রহণ করা হলেও ইডির স্পেশাল কোর্টে আগামী ১৫ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর”, বিস্ফোরক দিলীপ

    কুন্তল ঘোষও চিঠি দিয়েছিলেন

    উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বলাগড়ের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ এবং রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যও একই ভাবে চিঠি লিখে অভিযোগ তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। রাজনীতির একাংশের মানুষ অবশ্য মনে করছেন, ধৃত তৃণমূল নেতা তদন্ত থেকে বাঁচার জন্য তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বাঁচার কৌশল করছেন। এখন শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) তদন্ত আগামী দিনে কোন পথে এগিয়ে যায় তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident:সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    Sandeshkhali Incident:সন্দেশখালিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ডিজি-মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল। সাফ জানানো হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) রিপোর্টে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এক ডজন সুপারিশও করেছে কমিশন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করেছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।

    এক ডজন সুপারিশ কমিশনের (Sandeshkhali Incident)

    সন্দেশখালিকাণ্ডে ২১ ফেব্রুয়ারি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ১২ দফা সুপারিশ করেছেন কমিশনের দলের সদস্যরা। এই সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে, আইনের শাসন সম্পর্কে সন্দেশখালিবাসীর (Sandeshkhali Incident) আস্থা ফিরিয়ে আনা, যাঁরা যৌন অপরাধের শিকার, তাঁদের কাউন্সেলিং করানো, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাও। তৎকালীন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনী যে জমি দখল করেছে, সেই জমিও প্রকৃত মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সন্দেশখালি এলাকা থেকে গত কয়েক বছরে যেসব মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে, তাদের উদ্ধারে তদন্ত চালানোর কথাও বলা হয়েছে সুপারিশে। এই এক ডজন সুপারিশের ভিত্তিতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করছে, দু’মাসের মধ্যে তা জানাতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মুখ্যসচিবকে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

    কেলেঙ্কারিতে যুক্ত শাহজাহানের ভাইও!

    এদিকে, সরকারি অর্থ তছরুপ এবং মহিলাদের যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগির ও সঙ্গী শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে (Sandeshkhali Incident)। সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে এমনই অভিযোগ পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের সেই বয়ানের ভিত্তিতেই ইডির বিশেষ আদালতে এমনতর দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার আলমগির, শিবপ্রসাদ এবং জনৈক দিদার মোল্লাকে আদালতে হাজির করানো হয়। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ইডি হেফাজত দিয়েছেন বিচারক। এদিন আদালতে ইডির তরফে বলা হয়, জমি দখলের টাকা পাচার করতে শাহজাহানের সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা গিয়েছে আলমগির, শিবু এবং দিদারের অ্যাকাউন্টে। তারা সেই টাকা কীভাবে রোজগার করেছে, তা জানতে সন্দেশখালির বেশ কিছু বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, তৎকালীন তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই কলঙ্ক মুছতে তড়িঘড়ি তাকে বহিষ্কার করে তৃণমূল) বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির কর্তারা। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই সন্দেশখালি থেকে বের হচ্ছে একের পর কেলেঙ্কারির কেউটে (Sandeshkhali Incident)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর “আলাঘরে” আগুন দিল তৃণমূল! শোরগোল

    Sandeshkhali: বিজেপি কর্মীর “আলাঘরে” আগুন দিল তৃণমূল! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে এক পুলিশ কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। থানায় এই ঘটনায় অভিযোগও করা হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বসিরহাটের সন্দেশখালি থানার খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাটগাছা এলাকার বিজেপি কর্মী সুব্রত মণ্ডলের আলা ঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটের মুখে এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রতবাবু সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিজেপির সক্রিয় কর্মী। এবার লোকসভা নির্বাচনের একাধিক বুথের তিনি দায়িত্বে রয়েছেন। সাংগঠনিক কাজেই তিনি এখন ব্যস্ত রয়েছেন। এরইমধ্যে তাঁর ভেড়ির কাছে থানা একটি আলা ঘরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে গ্রামের মানুষজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে, ততক্ষণে  পুরো আলা ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিজেপি কর্মী সুব্রত মণ্ডল বলেন, আসলে এই এলাকায় আমি সক্রিয় বিজেপি করি বলে তৃণমূল সমস্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এমনকী পানীয় জলের পরিষেবা পর্যন্ত দেয়নি। তারপরও আমাকে দলে টানতে না পেরে এবার এই নোংরামি করল তৃণমূল। ঘরের মধ্যে অনেক জিনিসপত্র ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: ব্যাগ খুলতেই থ পুলিশ, টাকায় ঠাসা প্যাকেট, হাওড়া ব্রিজের কাছে একী কাণ্ড?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, বসিরহাট লোকসভায় তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। তাই, তৃণমূল এসব করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। যদিও এই বিষয়টি পুরোটাই অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা সুরেশ মণ্ডল। তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ সূত্র নেই। পুরোটা তাদের পারিবারিক ব্যাপার, তা থেকে আগুন লাগানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করুক আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rekha Patra: লোকসভার প্রচারে বেরিয়ে ফের অসুস্থ বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র

    Rekha Patra: লোকসভার প্রচারে বেরিয়ে ফের অসুস্থ বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচারে বেরিয়ে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র (Rekha Patra)। গত মাসেও তিনি প্রচারে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে তখন কল্যাণী (Kalyani) এইমস (AIMS) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে এবার স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রেখাদেবী এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন। সন্দেশখালির আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্র (Rekha Patra)। তাঁর হয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন হাজী নুরুল ইসলাম (Haji Nurul Islam)। তিনিও অসুস্থ হয়ে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রচারের ময়দানের বাইরে। তৃণমূল-বিজেপি দুই প্রার্থীই অসুস্থ হওয়ায় ভোটের বাজারে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    হিঙ্গলগঞ্জে প্রচারের পর অসুস্থ

    জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে দলের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন রেখা পাত্র (Rekha Patra)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকশো দলের কর্মী। হিঙ্গলগঞ্জে প্রচার করার পরেই তিনি অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। এরপরই তাঁকে বসিরহাটে একটি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মুখে অক্সিজেনের মাস্ক পড়ানো হয়। যদিও এই সন্দেশখালি প্রার্থীর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে মাঝে মধ্যেই তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে। তবে এদিন চিকিৎসার পর অনেকটাই সুস্থবোধ করছেন তিনি। সুস্থ হয়ে তিনি ফের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ ‘ভারত নয়, কানাডার ভোটে নাক গলিয়েছে চিন’, দাবি সেদেশেরই গোয়েন্দা সংস্থার

    তৃণমূল প্রার্থী নিউমোনিয়া আক্রান্ত

    অন্যদিকে বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলাম নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি এখনও সুস্থ হননি। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রচারে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে। অপর দিকে বসিরহাটে দুবার অসুস্থ হয়েও প্রচারে ফিরে এসেছেন রেখা পাত্র (Rekha Patra)। অনেকেই তাঁকে লড়াকু আখ্যা দিতে শুরু করেছেন।

    তিনি সেই অর্থে রাজনীতিবিদ নন। তবু তাঁর লড়াকু মেজাজের প্রশংসা করছেন বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব। বারংবার অসুস্থ হয়েও প্রচারের ময়দানে ফিরে এসেছেন রেখা পাত্র। যেভাবে সন্দেশখালির আন্দোলনে পুলিশের হুমকির মুখেও তিনি দমে যাননি, ঠিক একইভাবে অসুস্থতাকেও হার মানিয়ে তিনি ফিরে এসেছেন প্রচারের ময়দানে। চিকিৎসকরা তাঁকে বেড রেস্ট নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী। লড়াইয়ের মনোভাবের জন্যই দলের উচ্চ নেতৃত্বের নজরে এসেছেন রেখা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share