Tag: scam

scam

  • Murshidabad: রাজ্যে জাল আধার কার্ড চক্রের পর্দাফাঁস! কীভাবে চলত এই কারবার?

    Murshidabad: রাজ্যে জাল আধার কার্ড চক্রের পর্দাফাঁস! কীভাবে চলত এই কারবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে আধার জালিয়াতি চক্র। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মোটা টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড করিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের গিরিয়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম আব্দুর রহমান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) পূর্ব পাড়ে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। কাঁটাতার পেরিয়ে জেলায় মাঝে মধ্যে অনুপ্রবেশকারীরা চলে আসে। বাংলাদেশিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন এই আব্দুর। বিনিময়ে তিনি মোটা টাকাও নিতেন। দীর্ঘদিন জঙ্গিপুর গিরিয়া স্কুল সংলগ্ন এলাকায় কম্পিউটার দোকান খুলে এই বেআইনি কারবার তিনি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর দোকানে হানা দেয়। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, বায়োমেট্রিক মেশিন-সহ একাধিক ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম তথা গ্যাজেট। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু আধার কার্ডও। ধৃত ব্যক্তি মিঠিপুর এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই বেআইনি কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় নাগরিক হওয়ার অন্যতম ঠিকানা ছিল এই আব্দুরের দোকান। বাংলাদেশীদের ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে দিতেন আব্দুর। বিভিন্ন রকম অপরাধমূলক কাজকর্মে সহযোগিতা করার অভিযোগও রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। ধৃত আব্দুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই কম্পিউটার দোকানের আড়ালে বেআইনি কারবার চালাচ্ছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই ধরনের কারবার কারও একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। ফলে, এর পিছনে কেউ বা কারা রয়েছে। তাদের খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shankar Adhya: ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি! বালুর ঘনিষ্ঠ হতেই শঙ্করের উত্থান তৃণমূলে

    Shankar Adhya: ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি! বালুর ঘনিষ্ঠ হতেই শঙ্করের উত্থান তৃণমূলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির মামলায় বালু ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান  শঙ্কর আঢ্যকে (Shankar Adhya) ইডি গ্রেফতার করেছে। তাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে এই শঙ্কর? দাপুটে তৃণমূল নেতা হলেও আগে তিনি কী করতেন? কীভাবে হয়ে উঠলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা।

    ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি! (Shankar Adhya)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্কর আঢ্যর (Shankar Adhya) বাবা হারাধন আঢ্য একসময় ফুটপাতে কাটাকাপড়ের ব্যবসা করতেন। কোনও রকমে সংসার চলত। ফুটপাতের ওই দোকানে বাবাকে সাহায্য করতেন শঙ্কর। পরে,বনগাঁ পেট্রাপোলে একটি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় দোকানে কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে নিজের নামে লাইসেন্স করে নিজেই বিদেশি মুদ্রা বিনিময় করতেন। ধীরে ধীরে ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকেন শঙ্কর। এরপর বনগাঁ-শিমুলতলা চত্বরে বিদেশি মদের দোকান খোলেন। কোটি টাকার মালিক হয়ে ওঠেন।

    কাউন্সিলর খুনে অভিযুক্ত ছিলেন শঙ্কর

    ২০০৫ সালের প্রথম দিকে জালটাকা কারবারের অভিযোগে ডিআরআই তাঁর অফিসে হানা দেয়। উদ্ধার হয় প্রচুর জাল টাকা। সেই অভিযোগে বেশ কয়েকমাস জেলেও ছিলেন তিনি। ২০০৫ সালে বনগাঁর প্রয়াত বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ শেঠের উদ্যোগে শঙ্কর প্রথম পুরসভার ভোটে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। ২০০৬ সালে বনগাঁ-চাকদা রোড সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সেই সময় চাকদা রোডের পাশে প্রচুর প্রাচীন গাছ বেনামে বিক্রি হয়। সেই গাছের টাকা ও বনগাঁ পুরসভার টাকা লেনদেন নিয়ে শঙ্করের (Shankar Adhya) সঙ্গে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের বিবাদ শুরু হয়। ২০০৬ সালে ২১ জুন বনগাঁ পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর-সহ তাঁদের পরিবার পুরীতে বেড়াতে যান। ২২ জুন সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে খুন হয় বনগাঁর কাউন্সিলর তাপস মিত্র। সেই খুনের দুই অভিযুক্ত ছিলেন শঙ্কর আঢ্য আর বনগাঁর বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর নারায়ণ ঘোষ ওরফে নান্ত। সেই সময় প্রায় তিন বছর পুরীর জেলে ছিলেন দুই অভিযুক্ত।

    জ্যোতিপ্রিয় মাথায় হাত রাখতেই পুরপ্রধান হন শঙ্কর!

    ২০১০ সালে নিজের ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তিনি ভোটে না দাঁড়িয়ে প্রার্থী করেছিলেন স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে। ভোটে জিতে জ্যোৎস্না পুরপ্রধান হন। রাজনৈতিক পদোন্নতি ও সামাজিক প্রভাব বাড়তে শুরু করেছিল ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। সেসময় থেকেই জ্যোতিপ্রিয়বাবুর সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে। ২০১৫ সালে পুর নির্বাচনে বনগাঁর ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে তৃণমূল জয়লাভ করে। ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হন শঙ্কর। জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, বনগাঁর চেয়ারম্যান হন তিনি। পরবর্তী সময়ে তাঁকে বনগাঁ শহর তৃণমূলের সভাপতি করা হয়, বাগদায় দলের পর্যবেক্ষকও করা হয়েছিল। এছাড়াও দলের একাধিক পদ সামলেছেন শঙ্কর (Shankar Adhya)।

    শঙ্করের বিরুদ্ধে দলেই বিদ্রোহ শুরু হয়ছিল

    ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ পুরসভা এলাকায় বিজেপির থেকে ভোটের নিরিখে প্রায় ১৮ হাজার ভোটে পিছিয়ে যায় তৃণমূল। এরপরেই বনগাঁ পুরসভার ১৪ জন কাউন্সিলর শঙ্করের (Shankar Adhya) বিরুদ্ধে স্বৈরাচার ও স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে অনাস্থা এনেছিল। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে শঙ্করকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে, কয়েকজন কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরে আসায় ধ্বনিভোটে জয়লাভ করেন শঙ্কর। সম্প্রতি শঙ্কর জানিয়েছিলেন, জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অনেক অনৈতিক কাজ করে বনগাঁর মানুষের মন থেকে দূরে সরে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বনগাঁয় তৃণমূলের পরাজয়ের পরে শঙ্করকে সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলে কিছুটা কোণঠাসা ছিলেন!

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: কাটমানির খেলা? রাস্তা তৈরির পর দিনই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর, বেরিয়ে আসছে পাথর!

    Balurghat: কাটমানির খেলা? রাস্তা তৈরির পর দিনই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর, বেরিয়ে আসছে পাথর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ত দফতর রাস্তা তৈরিতে ব্যবহার করছে নিম্নমানের সামগ্রী। রাস্তা তৈরির পর দিনই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর। ফাটল ধরছে রাস্তার মাঝে। শুক্রবার সকালে এমন ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়াল বালুরঘাটের কুড়মাইলে (Balurghat)। খারাপ রাস্তার বিষয়টি জানতে পেরে এদিন পূর্ত দফতরে (রাস্তা) লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি। সরকারি নিয়ম মেনেই রাস্তার কাজের দাবির পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে তারা। এদিকে সরকারি নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে এবং কোনও অভিযোগ নেই বলেই পূর্ত দফতরের দাবি।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ (Balurghat)

    বালুরঘাট ব্লকের কামারপাড়া থেকে চিঙ্গিশপুর পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল৷ রাস্তা খানাখন্দে ভরে গিয়েছিল। অবশেষে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। মাস দুয়েক আগে কামারপাড়া থেকে চিঙ্গিশপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে দশ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন করে পিচের প্রলেপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়৷ এর জন্য বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। রাস্তার কাজ প্রায় শেষের দিকে। কামারপাড়া ও চিঙ্গিশপুর, দুই দিক থেকেই রাস্তার কাজ চলছিল। গতকাল কুড়মাইল এলাকায় রাস্তার কাজ হয়। অভিযোগ, রাস্তায় পিচের প্রলেপ দেওয়ার পরই তা উঠে যেতে থাকে। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা তৈরির পর তা ফেটে যায়। হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে পাথর৷ নিম্নমানের রাস্তা তৈরির বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা (Balurghat) এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ জানাতে থাকেন।

    কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি

    ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “গতকাল আমাদের এলাকায় (Balurghat) রাস্তা হয়েছে। কিন্তু সেই রাস্তায় আজ থেকেই পাথর উঠে যাচ্ছে। হাত কিংবা পা দিলেই উঠে যাচ্ছে পাথর। আমরা মনে করছি, এই রাস্তার কাজ অতি নিম্নমানের করা হয়েছে। আগের রাস্তা পাঁচ বছর টিকেছে। কিন্তু এবারের রাস্তা পাঁচ মাসও টিকবে না। আজ আমরা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছি। এভাবে রাস্তা যাতে না করা হয়, সে কথাই তাকে জানানো হয়েছে।” আর এক বাসিন্দা বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করে, বড় যানবাহনও যায়। কিন্তু যেভাবে রাস্তা হচ্ছে, তা অতি নিম্নমানের। পিচ কম দেওয়া হচ্ছে, যে খোয়াগুলি উঠে যাচ্ছে। সেখানে আবার নতুন করে পিচ স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। এটা কখনও কাজের পদ্ধতি হতে পারে না। এটা প্রশাসনের দেখা উচিত। তা না হলে আমরা কাজ আটকে দেব।”

    গলদ দেখছে না পূর্ত দফতর (Balurghat)

    পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিয়ার (রাস্তা) দেবব্রত সরকার বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিম্নমানের কাজ হচ্ছে না। সরকারি নির্দিষ্ট তালিকা মেনেই কাজ হচ্ছে। যদি কোথাও কোন সমস্যা হয়, তা খতিয়ে দেখা হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  •  Nabanna Abhijan: হুইল চেয়ারে করে নবান্ন অভিযান এসএসসি প্রার্থীর, হাওড়া ব্রিজেই আটকালো পুলিশ

     Nabanna Abhijan: হুইল চেয়ারে করে নবান্ন অভিযান এসএসসি প্রার্থীর, হাওড়া ব্রিজেই আটকালো পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তীব্র তোলপাড়। তৃণমূলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে নেতা, বিধায়ক এবং আমলা অনেকেই জেলে। অপর দিকে প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও যোগ্যপ্রার্থীরা নিয়োগ পাচ্ছেন না বলে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন এসএসসি, টেট উত্তীর্ণরা। প্রত্যেক দিনই যোগ্য প্রার্থীরা নিজেদের প্রাপ্য চাকরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দেখা করতে চাইছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী দেখা করছেন না বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। এবার বিশেষ ভাবে সক্ষম এক চাকরি প্রার্থী মালদা থেকে ৩৮৫ কিমি নিজের হুইল চেয়ারে করে নবান্নে অভিযান (Nabanna Abhijan) করলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ তাঁকে রাস্তায় আটকে দেয়। নিখিলের দাবি “ভিক্ষা করে জীবন কাটাতে চাই না। চাকরি চাই।”

    কে এই বিশেষ ভাবে সক্ষম প্রার্থী (Nabanna Abhijan)?

    শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষম উত্তর মালাদার বসিন্দা নিখিল সরকার। তিনি এসএসসি লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন কিন্তু চাকরি মেলেনি। সেই সঙ্গে প্রাথমিক পরীক্ষা টেটেও পাশ করেছিলেন। এই বছর তাঁর বয়সের শেষ সীমা। পরের বছর থেকে আর চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। রাজ্যের নিয়োগ নেই, তাই হুইল চেয়ারেই চাকরির আশা নিয়ে হাওড়া ব্রিজ পাড় হয়ে যেতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু পুলিশ তাঁকে রাস্তায় আটকে দিয়েছে। যাওয়া হল না মুখ্যমন্ত্রীর (Nabanna Abhijan) কাছে। বলতে পারলেন না নিজের কথা।

    নিখিলের বক্তব্য

    মালদার বাসিন্দা নিখিল বলেন, “আমার এখন একটাই স্বপ্ন চাকরিটা লাগবে। আমি কোনও ব্যক্তিদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। দিদিকে এবার সামনাসামনি দেখাতে চাই।” মানসিক ভাবে অত্যন্ত শক্ত নিখিল। তিনি খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছোট থেকেই তাঁর দুই পা তেমন ভাবে কাজ করেনা। হুইল চেয়ারই একমাত্র সম্বল। বাড়িতে এক দিদি রয়েছেন। তিনি দিদির সঙ্গেই থাকেন। নিখিল সমাজে সম্মানের পাত্র হয়ে বাঁচতে চান।

    গত ২৭ নভেম্বর মালদার মান্দাই গ্রাম থেকে নবান্নের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এই বিশেষ ভাবে সক্ষম চাকরি প্রার্থী কী সত্যই নবান্নে (Nabanna Abhijan) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছাতে পারবেন? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই। কলকাতার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ ও কোচবিহার জেলায় অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে এদিন সিবিআই হানা দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল, এই বিধায়কের বাড়ি সিবিআই হানা দিতে পারে। পাশাপাশি বড়ঞাতেও ঝন্টু শেখের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে।

    মানিক ঘনিষ্ঠ বিধায়ক (CBI)

    সিবিআইয়ের (CBI) চারজন আধিকারিক তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে রয়েছেন। বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই বিধায়ক। তিনি ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিবিআই হানা দিতে পারে। প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    বড়ঞায় সিবিআই

    বৃহস্পতিবার সাত সকালে বড়ঞার কুলি চৌরাস্তার মোড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝনটু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁর বাড়ি। তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝন্টুর কী ভূমিকা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর কাছে বেশি নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুন্তলের কাছে তথ্য পেয়ে তা যাচাই করতে কেন্দ্রীয় টিম এসেছে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    কোচবিহারেও হানা দিল সিবিআই

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই (CBI) হানা দিল কোচবিহারে দু’নম্বর ব্লকের রাজারহাটের টেঙর মারির বিএলএডুকেশনের টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। সকাল সকাল সিবিআই এর ৪টি গাড়ি নিয়ে বিশাল টিম তদন্ত করতে কোচবিহারের রাজারহাটের টেংর মারির ওই বিএড কলেজে হানা দেয়। জানা যায়, এই কলেজের মালিক রয়েছেন শ্যামল কর। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও এই কলেজের মালিক রয়েছেন সজল কর এবং শ্যামল কর সহ আরও দুই ভাই। পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর পরই শ্যামল গাঢাকা দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাজনা মানিক দুয়ানি এলাক। দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকার মানুষ এদিন বিক্ষোভ দেখান।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই এলাকায় গত পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারিয়ে ১৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী অতসী পণ্ডিত এবং ১৮ নম্বর বুথে সিপিআইএম প্রার্থী গীতা বৈরাগী জয়ী হন। সেই কারণে ভোগান্তির শিকার হতে  হচ্ছে এই এলাকার মানুষদের। এই এলাকার জন্য দেড় হাজার ফুট রাস্তা তৈরির অনুমোদন হয়। লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর থেকে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু, এই দুটি এলাকায় বিরোধীরা জয়ী হয়েছে। তাই, এই রাস্তাটি বিরোধীদের এলাকায় না হয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদারের বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে। আর দেড় হাজার ফুটের পরিবর্তে ৪০০ ফুট করা হয়েছে। সেখানে ফলক বসানো হয়েছে, যাতে লেখা রয়েছে, বর্তমান আর্থিক বর্ষে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২৯ টাকা খরচা করে লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর হইতে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা নির্মিত হইল। যার ফান্ড নম্বর ১৫ এফসি/২২/২৩। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে লোকজন জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। তাঁদের বক্তব্য, বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী হয়েছে বলে এলাকার রাস্তা তৈরি করা হয়নি। আর দেড় হাজার ফুটের জায়গায় ৪০০ ফুট রাস্তা হয়েছে। আমরা এই দুর্নীতির তদন্ত দাবি করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদার বলেন, এই রাস্তাটি আগে অনুমোদন হয়েছিল। তাই, রাস্তাটি করা হচ্ছে। ভুলবশত ওই বোর্ড বসেছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি। যা হয়েছে নিয়ম মেনে হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন আস্থাভাজনরা! তাই কি মৃত্যুভয় গ্রাস করছে জ্যোতিপ্রিয়কে?

    Ration Scam: পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন আস্থাভাজনরা! তাই কি মৃত্যুভয় গ্রাস করছে জ্যোতিপ্রিয়কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে একে নিভিছে দেউটি! দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন আস্থাভাজনরা। ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন রেশন কেলেঙ্কারিতে (Ration Scam) ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দিন কয়েক আগেও যে জ্যোতিপ্রিয়কে বলতে শোনা গিয়েছিল ১৩ তারিখে দেখা হবে, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার সেই তৃণমূল নেতাকেই দেখা গেল মৃত্যু ভয়ে সন্ত্রস্ত্র অবস্থায়।

    মৃত্যুভয়!

    রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় এদিন বলেন, “শরীর অত্যন্ত খারাপ, মৃত্যুশয্যায় প্রায়। লেফট সাইডটা প্রায় প্যারালিসিস হয়ে গিয়েছে।” সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁকে এও বলতে শোনা যায়, “আমি মরে যাব। অবস্থা খুব খারাপ।” তিনি যে শরীর খারাপের ‘দোহাই’ দিয়ে গ্রেফতারি এড়াতে চাইছেন, তা বলেছেন বিরোধীরা। কারণ, শুক্রবারও তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সতীর্থ বলেছিলেন, “আমার শরীরটা খুব খারাপ। আমার বাঁ হাত ও পা দুটিই প্রায় পক্ষাঘাতের মতো হয়ে গিয়েছে। আমি হাসাপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি। চিকিৎসা করিয়ে ফিরে আসব।”

    ঝুলি থেকে বের হতে পারে বিড়াল

    জ্যোতিপ্রিয় শরীর খারাপ বললেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা বলছেন না। গ্রেফতার (Ration Scam) হওয়ার পরে ইডি হেফাজতের কথা শুনে যেদিন এজলাসেই প্রথম অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মন্ত্রিমশাই, সেদিন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বেসরকারি এক হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, জ্যোতিপ্রিয় সুস্থই। তার পরেই তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি। কেন রাজ্যের মন্ত্রীকে গ্রাস করেছে মৃত্যুভয়? মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের একটা অংশের মতে, মন্ত্রীর একের পর এক আস্থাভাজন যেভাবে মুখ খুলতে শুরু করেছেন, তাতে ঝুলি থেকে বিড়াল বের হওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সত্য ফাঁস হয়ে গেলে সমূহ বিপদ।

    আরও পড়ুুন: ৪ দিনের জেল হেফাজত বালুর, মন্ত্রীর নির্দেশেই ৩ সংস্থার ডিরেক্টর হন স্ত্রী ও কন্যা, দাবি ইডির

    একের পর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি যাবতীয় কেলেঙ্কারির দায় চাপিয়ে যাচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়র ঘাড়ে। মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস সাফ জানান, যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রীর নির্দেশে। মন্ত্রীর পরিচারক রামস্বরূপ শর্মা জানিয়েছেন, সাদা কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র লোকজন। চালকল মালিক বাকিবুর রহমানও জানিয়েছেন, যা হয়েছে, তা মন্ত্রীর নির্দেশেই। দিন গড়ানোর পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন দলীয় নেতৃত্বের একাংশও। প্রত্যাশিতভাবেই মন্ত্রীকে গ্রাস করেছে (Ration Scam) মৃত্যুভয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dakshin Dinajpur: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে রমরমিয়ে চলছে সারের কালোবাজারি, নাজেহাল কৃষক

    Dakshin Dinajpur: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে রমরমিয়ে চলছে সারের কালোবাজারি, নাজেহাল কৃষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur) বন্ধ হয়নি সারের কালো বাজারি। ব্যবসায়ীদের সাসপেন্ড ও শোকজ করা হয়েছে। তাতেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে বন্ধ হয়নি বেআইনি কারবার। নাজেহাল কৃষকরা। আর এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন।

    কৃষকরা কী বললেন? (Dakshin Dinajpur)

    হিলিতে কালোবাজারির অভিযোগে ফের এক সার ব্যবসায়ীকে শোকজ করতেই তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয় সীমান্ত শহরে। যদিও এই ঘটনাকে তেমন বাড়তি গুরুত্ব দিতে চায়নি জেলা কৃষি দফতর। এদিকে জমির ফসল ঘরে উঠতেই ফের জেলায় অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে সারের কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য বলে অভিযোগ তুলেছেন কৃষকেরা। যা নিয়ে প্রশাসনিক উদাসীনতাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, সার বিক্রেতাদের কালোবাজারি নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। চাষের মরশুম শুরু হতেই দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur) মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে সারের কালোবাজারি। যা নিয়ে প্রশাসনকে একপ্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে দেদার কারবার। কৃষকদের বক্তব্য, সরকারের বেধে দেওয়া নির্ধারিত দামের থেকে প্রতি প্যাকেটে প্রায় ৫০০ টাকা করে বেশি আদায় করছে অসাধু কারবারীরা। জেলাজুড়ে সর্বত্র এই অব্যবস্থা চললেও তেমন কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই প্রশাসনের। মদন বিশ্বাস ও অসীম সরকার নামে দুই কৃষক বলেন, সারের কালোবাজারি কোথাও বন্ধ হয়নি। চাষের মরশুম শুরু হতেই তা লাগামহীন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। যা নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।আমরা কৃষকেরা চাই সারের এই কালোবাজারি বন্ধ হোক।

    কৃষি দফতরের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    যদিও কৃষকদের তোলা এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা কৃষি দফতর। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাদের দাবি, দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur) কালোবাজারির অভিযোগে ইতিমধ্যে ১১৫ জন সার ব্যবসায়ীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে ২৫০ জন সার ব্যবসায়ীকে। শুধু তাই নয়, চাষের মরশুম শুরু হতেই বিভিন্ন এলাকায় কালোবাজারির বিরুদ্ধে নানা অভিযানও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। সেই হিসাবেই হিলির এক সার ব্যবসায়ীকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি দফতর। কৃষি দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রণব কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, সারের কালোবাজারি রুখতে আমরা বদ্ধপরিকর। এব্যাপারে নানা সচেতনতার পাশাপাশি কোনও অভিযোগ পেলেই অভিযুক্ত সার ব্যবসায়ীদের শোকজ ও সাসপেন্ড করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: কৃষি দফতরে আবেদনের সাত বছর পর এল অ্যাডমিট কার্ড, তাজ্জব চাকরিপ্রার্থী

    Burdwan: কৃষি দফতরে আবেদনের সাত বছর পর এল অ্যাডমিট কার্ড, তাজ্জব চাকরিপ্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে চাকরি পাওয়ার আশায় ফর্ম ফিল-আপ করেছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। আর সেই পরীক্ষা দেওয়ার অ্যাডমিট কার্ড এসে পৌঁছলো সাত বছর পর। অবাক করার মতো এই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) শহরের নারকেলবাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ১৮ ই মার্চ কাগজে বিজ্ঞাপন দেখেন বর্ধমান (Burdwan) শহরের নারকেলবাগান এলাকার বাসিন্দা আশিসবাবু। সেই বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় রাজ্য কৃষি দফতরে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক পদে ৮১৮ জন নিয়োগ করা হবে। যোগ্যতা ছিল উচ্চ মাধ্যমিক। বিজ্ঞপি নং-০৪/WBSSC/২০১৬. বেতনক্রম ছিল ৫৪০০-২৫২০০। সেই মতো আশিসবাবু ওই পদে  আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, আবেদন করার পর থেকে প্রায় সাত বছর তাঁর কাছে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড বা আনুষঙ্গিক কিছু আসেনি। কিন্তু, আচমকা চলতি বছরের ১ নভেম্বর দুপুর একটা নাগাদ চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রায় সাত বছর পরে সেই পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড হাতে পান আশিসবাবু। যা পেয়ে রীতিমতো উৎসাহিত হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু, অ্যাডমিট খুলেই হতবাক হন। কারণ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে প্রায় সাত বছর আগে, ২০১৬ সালের ১৮ই ডিসেম্বর।

    কী বললেন ওই চাকরি প্রার্থী?

    চাকরিপ্রার্থী আশিসবাবু বলেন, যাঁরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়ে অন্য লোককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। কার ভুলে আমাকে এই খেসারত দিতে হল, তা প্রকাশ্যে আসুক। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও ভাবছি। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলগুলি একযোগে শাসকদল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, যেভাবে রাজ্যে শিক্ষা ও পুরসভার মতো কৃষি দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কৃষিমন্ত্রী কী বললেন?

    যদিও শাসকদলের সাফাই, এটা ডাকযোগে এসেছে। যদি কোনও গলদ থাকে তাহলে সেখানে হয়েছে। কৃষিমন্ত্ৰী প্ৰদীপ মজুমদারের বক্তব্য, এটা ২০১৬ সালের ঘটনা। কবে হয়েছে বলতে পারব না। তবে, এক্ষেত্রে তো কারও দায় থাকলে সেটা ডাক বিভাগের।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুর যোগের হদিশ, ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ কোটি কোটি টাকা!

    Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুর যোগের হদিশ, ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ কোটি কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দু’জনেই। একজন ছিলেন খাদ্য দফতরের মন্ত্রী, বর্তমানে বনমন্ত্রী। আর একজন ব্যবসায়ী। প্রথম জন তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর দ্বিতীয় জন বাকিবুর রহমান। দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইডি।

    ভুয়ো সংস্থায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ

    এমতাবস্থায় ইডির তদন্তকারীরা জেনেছেন, জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে বাকিবুরের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তদন্তে নেমে ইডির আধিকারিকরা জেনেছেন, দুই পরিবারের সদস্যরা একযোগে একাধিক সংস্থা চালাতেন। ওই সব সংস্থা আবার বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করত। ইডি সূত্রে খবর, এ পর্যন্ত যেসব তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে, তা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে দুই পরিবারের যোগ। ইডি সূত্রে খবর, আপাতত তিনটি সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    তিন সংস্থায় যোগ জ্যোতিপ্রিয়র 

    এই তিন সংস্থা হল ‘শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’। এই তিন সংস্থার মারফত ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ১২ কোটি টাকা। এই (Ration Distribution Scam) সংস্থাগুলির প্রতিটির সঙ্গেই কোনও না কোনওভাবে যোগ রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের পরিবারের। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে এই কোম্পানিগুলির সব সম্পত্তি বিক্রি করে লাটে তুলে দেওয়া হয়েছে সংস্থাগুলি। বিক্রি বাবদ পাওয়া গিয়েছিল ২০ কোটি ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ১৯৪ টাকা। বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসের নামে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা গিয়েছে বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘রেশন কেলেঙ্কারিতে খতিয়ে দেখা হোক মমতার ভূমিকা’, ইডিকে আর্জি শুভেন্দুর

    এদিন আদালতে ইডির দাবি, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে সরাসরি যোগ রয়েছে মন্ত্রীর। অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মেরুন ডায়েরিতে বালুদা (জ্যোতিপ্রিয়র ডাক নাম) নামের উল্লেখ রয়েছে। ইডির দাবি, তিনটি ভুয়ো সংস্থা খুলে ১২ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। বাড়ির রাঁধুনির নামেও ভুয়ো কোম্পানি খুলেছিলেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, ওই তিন সংস্থায় জমা পড়েছে ৮ কোটি টাকা।

    ইডি সূত্রে খরব, ওই তিন সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মণিদীপা এবং মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। এই প্রিয়দর্শিনী আবার উচ্চ শিক্ষা সংসদের সচিব। সংস্থাগুলিতে যুক্ত ছিলেন বাকিবুরের পরিবারের সদস্যরাও (Ration Distribution Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share