Tag: scam

scam

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে ‘গুণধর’ কনস্টেবলের খোঁজ মিলল, কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে ‘গুণধর’ কনস্টেবলের খোঁজ মিলল, কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোজিৎ বাগীশের কথা মনে আছে। ‘কোটিপতি কনস্টেবল’। রামপুরহাটে কর্মরত ছিলেন তিনি। রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছেন। এই কনস্টেবলকে নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আরও এক গুণধর কনস্টেবলের হদিশ মিলেছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। যদিও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই কনস্টেবলের নাম সামনে আনতে চাইছে না। ওই কনস্টেবলের দুর্নীতির কাণ্ডকারখানা দেখে চক্ষু চড়কগাছ জেলা পুলিশ কর্তাদের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Alipurduar)

    রামপুরহাটের কনস্টেবলের কোটিপতি হওয়ার রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরমধ্যেই নতুন করে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) কনস্টেবলের কীর্তি সামনে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে ওই পুলিশ কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপস্থিত দেখিয়ে সেই টাকা নিজের এবং আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করতেন বলে অভিযোগ। ৪-৫ বছর ধরে ওই কনস্টেবল রীতিমতো ছক কষে এই টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে। আরও থাকতে পারে বলে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন। এভাবে একজন পুলিশ কর্মী সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতে পারেন, তা পুলিশ কর্তারা ভেবেই পাচ্ছেন না।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশি বলেন, গত কয়েকদিন আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মজুরি প্রদানের অসঙ্গতির বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছি। তাতে দেখা গিয়েছে কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটিতে না এলেও তাদের যে প্রাপ্য ভাতা অন্য অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়াদের জাল বিলগুলিতে উপস্থিত দেখিয়ে সরকারি অর্থ তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বা তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে জমা করেছিলেন। পেমেন্ট সফটওয়্যারে অ্যাকাউন্টের বিবরণ পরিবর্তন করে তিনি এই প্রতারণা করেছেন। আইন মেনে যা যা করার করা হচ্ছে। কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা হলেই ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: পুকুর দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত মন্ত্রীর স্ত্রী, সরকারি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন গ্রামবাসীদের

    Raiganj: পুকুর দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত মন্ত্রীর স্ত্রী, সরকারি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুর খননকাণ্ডে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগে ওঠে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী জ্যেৎস্না রানী বর্মনের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় তিনি রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের ২ নং জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। সেই ঘটনার তদন্তে এসে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে তদন্তকারি অফিসাররা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের-২ নং জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁড়ি সরিয়াবাদ এলাকায়।

    সরকারি আধিকারিকদের কেন ঘেরাও করলেন গ্রামবাসীরা? (Raiganj)

    পুকুর খনন দুর্নীতি মামলায় জেলা প্রশাসনের এমজিএনআরইজিএ বিভাগের তদন্তকারি টিমকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের ২ নং জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁড়ি সরিয়াবাদ এলাকায় পুকুর দুর্নীতি  মামলার তদন্তে শুরু থেকেই গাফিলতি হয়েছে। প্রকৃত তদন্ত হচ্ছে না। নির্দিষ্ট পথে না গিয়ে এলোমেলোভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই মামলার মূল অভিযোগকারী আজগর আলি বলেন, একাধিকবার পুকুর দুর্নীতি মামলায় পরিদর্শনে এসেছেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু, তারা প্রকৃত জায়গায় না গিয়ে অন্যস্থান পরিদর্শন করছেন। গত বেশ কয়েকদিন আগেও একই অভিযোগে তদন্তকারি টিমকে আটকে রাখা হয়েছিল ওই এলাকায়। আজগরবাবু আরও বলেন, সম্প্রতি একটি নোটিশ জারি করেছে প্রশাসন। পঞ্চায়েত সেই নোটিশ পাঠিয়েছে কশেকজন গ্রামবাসীর বাড়িতে। যেখানেও গাফিলতি রয়েছে, যাদের আদতে কোনও পুকুরই নেই তাদের কাছে এই নোটিশে পুকুরের মালিক হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

    পঞ্চায়েতের নোটিশ প্রসঙ্গে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    শেখ আজিজুল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, পঞ্চায়েত থেকে আমার কাছে নোটিশ এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে আমার বাবার নামে পুকুর রয়েছে। কিন্তু, আদতে আমাদেই কোনও পুকুরই নেই। পাশাপাশি এলাকায় তদন্তের জন্য সরকারি আধিকারিকরা এলেও আমাদের সঙ্গে  কোনওরকম সাক্ষাৎ করেনি বলে অভিযোগ। সেকারণে আমাদের আধিকারিকদের আটকে বিক্ষোভ দেখান। একই অভিযোগ আইনুদ্দিন নামে অপর এক গ্রামবাসীর। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত থেকে নোটিশ পাঠিয়ে বলা হয় সকাল ১১ টায় তদন্ত করতে আসবেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু, কেউ আসেনি। পাশাপাশি আমার নামে পুকুর দেখানো হলেও আদতে আমার জমিতে কোনও পুকুরই নেই বলে। যদিও এবিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ তদন্তকারি অফিসাররা।

    পুকুর খননকাণ্ডে কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে জানেন?

    প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের ২ নং জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁড়ি সরিয়াবাদ এলাকায় ২১ টি পুকুর খননের প্রকল্প ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত। অভিযোগ ওঠে তৎকালীন প্রধান ও বর্তমান শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী জ্যেৎস্না রানী বর্মনের বিরুদ্ধে। খাতায় কলমে ২১ টি পুকুর খনন কার্য সম্পন্ন দেখিয়ে প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও চলছে। সেই মামলার প্রক্ষিতেই এদিন তদন্তে আসেন আধিকারিকরা। তদন্তে চূড়ান্ত গাফিলতি হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CID: আদালতের চাপ! অবশেষে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এআই সুশীল বর্মনকে গ্রেফতার করল সিআইডি

    CID: আদালতের চাপ! অবশেষে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এআই সুশীল বর্মনকে গ্রেফতার করল সিআইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার সূতির গোঠা এ আর হাইস্কুলে জাল নথি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার এআই অফ স্কুল সুশীল কুমার বর্মনকে গ্রেফতার করল সিআইডি (CID)। সোমবার ধৃত সুশীলবাবুকে মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতে তোলা হয়। তিন দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। ২১ তারিখে পুনরায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    মুর্শিদাবাদ জেলার সূতির গোঠা এ আর হাইস্কুলে জাল নথি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগের মামলায় তদন্তে নামে সিআইডি। তদন্তে নেমে নথি জাল করে চাকরি পাওয়া শিক্ষক অনিমেষ তেওয়ারিকে গ্রেফতার করে সিআইডি। প্রসঙ্গত উল্লেখ থাকে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিমেষ তেওয়ারির বাবা আশিস তেওয়ারিকে সিআইডি (CID) গ্রেফতার করেছিল। ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা করে সিআইডি। তদন্তে নেমে এই মামলায় শিক্ষা দফতরের কয়েকজন কর্মী এবং আধিকারিকের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলে ছিল। স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য।  কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানিছে সিআইডি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এই রাজ্যের অন্যতম এক জ্বলন্ত ইস্যু। এ তদন্তে নেমে মুর্শিদাবাদের ওই স্কুলের একাধিকবার অভিযান চালান সিআইডি গোয়েন্দারা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং তাঁর ছেলে ভুয়ো শিক্ষক অনিমেষ তেওয়ারিকে গ্রেফতার করা হয়। রাজ্যের যে তদন্তকারী সংস্থা ঠিকমতো কাজ করছে না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এই নিয়োগের বিরুদ্ধে একটা বিরাট চক্র রয়েছে, সেই কারণে আদালত চক্র খোঁজার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিআইডিকে। কিন্তু, মোহভঙ্গ হচ্ছে। বিচারক আরও বলেন সিআইডিকে রিপোর্ট দিয়ে ব্যাখ্যা করতে হবে। কেন এই মামলায় সিবিআই তদন্ত হবে না। এরপরই নড়েচড়ে বসে সিআইডি।

    কী বললেন ধৃত এআই অফ স্কুল?

    সূতির গোঠা হাইস্কুলের নথি জাল করে নিয়োগের ঘটনায় প্রাক্তন ডিআই পূরবী দাস সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল। বর্তমানে তাঁরা জামিনে আছেন। এর আগে সিআইডির জালে ধরা পড়েছিলেন ভুয়ো শিক্ষক অনিমেষ তেওয়ারি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সুশীল কুমার বর্মনের নাম উঠে আসে। এরপরই সিআইডি (CID) তাঁকে গ্রেফতার করে। সুশীল বর্মন এদিন বলেন, আমি নির্দোষ। আমাকে পরিকল্পিতভাবে  ফাঁসানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: এলইডি আলো লাগানো নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, কাঠগড়ায় বালুরঘাট পুরসভা

    Balurghat: এলইডি আলো লাগানো নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, কাঠগড়ায় বালুরঘাট পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলইডি আলো লাগানো নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার বিরুদ্ধে। আর.টি.আই করেও টাকার হিসাবের জবাব না পাওয়ায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বালুরঘাট পুরসভা দুর্নীতির চরম শিখরে বলে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    ২০২২ সালে ২-রা সেপ্টেম্বর বালুরঘাট (Balurghat) শহরে পুরসভার পক্ষ থেকে এল.ই.ডি লাইট লাগানোর জন্য টেন্ডার আহ্বান করে। টেন্ডারে ৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ২২৪ টাকার উল্লেখ করা হয়। এরপর বালুরঘাট শহরে শুরু হয় তেরঙা এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজ। যদিও তার প্রায় মাস খানেকের মধ্যে বালুরঘাট পুরবোর্ড কোনওরূপ টেন্ডার আহ্বান না করেই পুর বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বালুরঘাট শহর জুড়ে তেরাঙা এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজের বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পূর্বের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থাকে। টেন্ডার না ডেকে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার কাজের বরাত শুধুমাত্র সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজের খরচ জানতে চেয়ে আর.টি.আই করেন বালুরঘাট নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ কুন্ডু নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু, পুরসভার তরফ থেকে সেই আর.টি.আই-এর জবাবে জানিয়ে বলা হয়, জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলি ব্যক্তিগত আগ্রহে, জনগণের আগ্রহ নয়। তাই কোনও তথ্য পুরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। ঘটনা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

    কী বললেন বালুরঘাট (Balurghat) নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক?

    বালুরঘাট (Balurghat) নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ কুন্ডুর বক্তব্য, বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন এলাকায় যে ট্রাই কালার লাইট লাগানো হয়েছে, তা প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার বেশি কাজ হয়েছে। অথচ ৯ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার টেন্ডার করে বাকি কাজগুলো নোট সিটে করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সেই কারণেই প্রকৃত তথ্য জানতে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করি। সদুত্তর দেওয়া হয়নি পুরসভার পক্ষ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এই আলোকসজ্জাতে টেন্ডার ছাড়াই বহু টাকার কাজ হয়েছে। আর, এতে যে দুর্নীতি হয়েছে এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়েই এই ধরনের দুর্নীতি চলছে। আর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে দুর্নীতি হবে না এটা তো বিশ্বাসযোগ্য নয়। বালুরঘাট পুরসভা দুর্নীতির চরম শিখরে রয়েছে। এখানে মাদার টেরিজার মূর্ত্তি সহ অনেক মূর্ত্তি লাগানো হচ্ছে, সেখানেও দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন,  টেন্ডার প্রক্রিয়া মেনে সরকারি নিয়ম মেনে যা যা উন্নয়ন মূলক কাজ করা দরকার তা বালুরঘাট পুরসভাতে হচ্ছে। বালুরঘাট পুরসভার কাজ নিয়ে বালুরঘাটবাসী খুশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sonarpur: সোনারপুরের সমবায়ে ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি, ইডি- সিবিআই চেয়ে আন্দোলনে গ্রাহকরা

    Sonarpur: সোনারপুরের সমবায়ে ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি, ইডি- সিবিআই চেয়ে আন্দোলনে গ্রাহকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে (Sonarpur) ১০ কোটির সমবায় দুর্নীতির অভিযোগ, পাওয়া যাচ্ছে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি, ইডি-সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ারে একটি সমবায় সমিতিতে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছিল। সেই দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। সোনারপুরের সমবায়ে উঠল একই দাবি।

    কী বললেন প্রতারিত গ্রাহকরা? (Sonarpur)

    সোনারপুরে (Sonarpur) সমবায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। সোনারপুরের লাঙলবেড়িয়া অঞ্চল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে ১০ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। কামালগাজি-বারুইপুর বাইপাস অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। সমবায় সমিতির গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও কাজ হয়নি। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি, ইডি-সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, লাঙলবেড়িয়া অঞ্চল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে টাকার হিসেব না মেলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে গন্ডগোলের বিষয়টি নজরে আসে। এর ফলে গত ৬ মাস ধরে গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছেন না। এমনকী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সমবায় দফতর, বিডিও, এসপি বারুইপুর, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ককে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। তাঁদের আরও অভিযোগ, ‘অডিট’ করার নামে প্রহসন চলছে এখানে। সমবায়ের যিনি স্পেশাল অফিসার ছিলেন, সেই সৌগত চক্রবর্তীকে বদলি করা হয়েছে। তিনিই এই ‘ষড়যন্ত্রের মূলচক্রী’ বলে অভিযোগ করছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রথমে গ্রাহকরা সমবায় অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে বারুইপুর কামালগাজি বাইপাস রোড অবরোধ করেন। এই ‘দুর্নীতির তদন্তে’ তাঁরা সিবিআই এবং ইডি তদন্তের দাবি করেছেন। এমনই এক গ্রাহকের কথায়, এটা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। গ্রাহকদের অভিযোগ, গত ছ’মাস ধরে ব্যাঙ্কের মোট ৬,৩১৯ জন গ্রাহক তাঁদের জমানো টাকা পাচ্ছেন না। শনিবার লাঙলবেড়িয়ায় এই বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বারুইপুর এবং সোনারপুর (Sonarpur) থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কী বললেন আমনতকারীরা?

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কী বললেন আমনতকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল জমানাতেই আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) একটি সমবায়ে আমানতকারীদের গচ্ছিত কোটি কোটি টাকা তছরুপ হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রতারিতরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই মামলায়  ইডি এবং সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আর্থিক তছরূপের ঘটনায় কয়েক বছর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়ের পাঁচ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও আমানতকারীরা তাদের গচ্ছিত টাকা আজও ফেরত পাননি। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে দুর্নীতির ওই মামলায় সিবিআই ও ইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় খুশি আমানতকারীরা। তাঁদের আশা, কোটি কোটি টাকা তছরূপে জড়িত মূল নাটের গুরুরা এবার সিবিআই ও ইডির জালে ধরা পড়বে।

    কত টাকার দুর্নীতি হয়েছিল? (Alipurduar)

    যদিও বাম আমলে আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি গড়ে উঠেছিল। শুরুর দিকে ওই ওই সংস্থার কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবেই চলছিল। কিন্তু, ২০১৭ সাল থেকেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। ওই সংস্থার প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক ছিল। গ্রাহকরা তাঁদের গচ্ছিত টাকা ফেরত না পেয়ে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সমিতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রাস্তায় নামেন। ২০২০ সালেই বন্ধ হয়ে যায় সমিতির দফতর। এখনও সেই দফতর বন্ধই রয়েছে। ওই সময় অলক রায় নামে এক বাসিন্দা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সমবায় কর্তাদের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সিআইডি তদন্ত হয়েছে। কিন্তু, আমানতকারীরা টাকা ফেরত পেতে ২০২২ সালে সার্কিট বেঞ্চে সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপরেই গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই ও ই ডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক থেকে ঝাল মুড়ি বিক্রেতা কেউ বাদ যায়নি প্রতারণার হাত থেকে। আদালতের নির্দেশে যে কোন দিনই আলিপুরদুয়ারে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা এসে ওই আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত শুরু করবে। প্রতারিত আমানতকারীদের বক্তব্য,আসল রাঘব বোয়াল যারা তারা অধরাই রয়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে ঠিকাদার রয়েছেন। যারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে।

    দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, সিপিএমের কিছু নেতা ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা মানুষের গচ্ছিত ওই টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমি বিধানসভায় এ নিয়ে সরব হয়েছিলাম। আমরা চাই, প্রতারিত মানুষরা তাদের টাকা ফেরত পাবে। অন্যদিকে,  সিপিএমের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সম্পাদক কিশোর দাস জানিয়েছেন, তৃণমূল জামাতেই যারা মানুষের গচ্ছিত টাকা আত্মসাৎ করেছে, তাদের অনেকেই শাসক দলের ছাত্র ছায়ায় রয়েছেন। সিবিআই ও ইডি তদন্ত হলেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিজেপির জেলা নেতা মিঠু দাস বলেন, এই দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল জড়়িত রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম, শোরগোল

    Scam: ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) মামলায় ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকায় উত্তর দিনাজপুরের বিদায়ী জেলা পরিষদ সভাধিপতির নাম। আর ঘটনায় গোটা জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধীরাও এই ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরি করার অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূলের বিদায়ী সভাধিপতির বিরুদ্ধে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় ওই তালিকায় ৩০০ নম্বরে নাম রয়েছে বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মনের। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন। এরপর ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর থেকে বালিজোল হাইস্কুলে বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা পদে যোগদান করেন তিনি। বুধবার ৯০৭ জনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ৩০০ নম্বরে কবিতা বর্মনের নাম রয়েছে। নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে। এনিয়ে তীব্র অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    কী বললেন তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি?

    এ বিষয়ে তৃণমূলের বিদায়ী জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন বলেন, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে ২০১৮ সালে চাকরি পেয়েছি। নিয়মনীতি মেনেই চাকরি হয়েছে। কোনও দুর্নীতি (Scam) করা হয়নি। কী কারণে এই তালিকায় আমার নাম এল, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি। কবিতা বর্মনের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা প্রফুল্ল বর্মন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আমি মর্মাহত। ছোট থেকেই ভালো ছাত্রী ছিলেন আমার স্ত্রী। নিয়ম নীতি মেনেই তাঁর চাকরি হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দলের পক্ষ থেকে কবিতা বর্মনের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে বৈধ কাগজপত্র পেয়েই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা দলের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় বিজেপির রায়গঞ্জ উত্তর শহর মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ যোশি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ৩০০ নম্বরে কবিতা বর্মনের নাম রয়েছে। বিজেপি বরাবর বলে এসেছে যে তৃণমূল নেতাদের বাড়ির বাইরের রেট চার্ট ঝোলানো হোক, যে কোনও চাকরিতে কত টাকা লাগে। যেখানে সাধারণ মানুষ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাচ্ছে না অথচ তৃণমূল নেতা নেত্রীর আত্মীয়রা চাকরি পাচ্ছে। নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে। সমস্তটাই অনৈতিক। আমরা ধিক্কার জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ৩৬ হাজার চাকরিহারাদের তালিকায় নাম রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ের, জেলাজুড়়ে শোরগোল

    Scam: ৩৬ হাজার চাকরিহারাদের তালিকায় নাম রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ের, জেলাজুড়়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী। সম্প্রতি হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি করেছে। আর সেই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ে সুষমা চিকবরাইকের নাম। মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ে সুষমা চিকবরাইক ২০১৬ সালে মাল ব্লকের রাঙ্গামাটি চাবাগানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পদে কাজে যোগ দেন। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশের খবর চাউর হতেই মালবাজার সহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় শোরগোল পড়ে যায়। এই বাতিলের তালিকায় শিলিগুড়িরও ৩৫০ জন শিক্ষককের নাম রয়েছে। এদের চাকরি পাওয়ার পিছনে তৃণমূলের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর হাত রয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশিকা বিবেচনা করার দাবিতে শিলিগুড়ির সেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা আন্দোলনে নেমেছেন।

    কী বলছেন এলাকাবাসী?

    রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। তাই এই দলের কোনও নেতা বা মন্ত্রীর অনৈতিক কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস নেই সাধারণ মানুষের। মন্ত্রীর মেয়ের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে জেনে সকলেই খুশি। মালবাজারের বিভিন্ন অংশের মানুষ জানিয়েছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম চোখে পড়লেও তা বলতে পারি না। কেননা প্রতিবাদ করতে গেলে তৃণমূলের চোখরাঙানি ও হুমকির মুখে পড়তে হয়। তাই মন্ত্রী বুলু চিকবরাইকের মেয়ের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা জেনেও আমরা চুপ থেকেছি। খোঁজ নিলে দেখা যাবে রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে শুধু মেয়েরই নয়, তার আরও অনেক আত্মীয়স্বজনকে চাকরি করে দিয়েছেন তিনি। হাইকোর্টে নিরপেক্ষ তদন্তে হওয়ায় এই বিষয়টি এবার প্রকাশ্যে এসেছে। আমরা এই দিনটির অপেক্ষাতেই ছিলাম।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    চাকরি বাতিলের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে এখবর আর গোপন নেই। এলাকায় সকলে এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। তবুও এনিয়ে সুষমা চিকবরাইক কিছু বলতে চাননি। তাঁর বাবা রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিকবরাইক বলেন, আমার মেয়ের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে। তবে মহামান্য আদালতের রায় নিয়ে আমি কিছু বলব না। আদালতের উপর আমার আস্থা রয়েছে। আমার মেয়ে সুষমা যথেষ্ট যোগ্য ও উপযুক্ত। দু’বার ডবলুবিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছে। ভাইবাও দিয়েছে। আমার মেয়ে পরীক্ষায় বসেই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিল। কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। আবারও পরীক্ষা হলে বসবে এবং নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে।

    চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি হতেই  শিলিগুড়িতে কেন আতঙ্ক?

    এদিকে শিলিগুড়িতে ৩৫০ জন শিক্ষক- শিক্ষিকা হাইকোর্টের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। সদ্য চাকরিহারা শিক্ষক অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) মামলায় সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করছে। এই তদন্তে আমরা প্রথম থেকে সবরকম সহযোগিতা করে এসেছি। তদন্তের মূল দিক হলো, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যারা দুর্নীতি (Scam)  করেছে, সেই মূল অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া। মূল অপরাধীকে খুঁজতে গিয়ে এভাবে আমাদের চাকরি বাতিল করা মেনে নিতে পারছি না। এতে আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বো। আমাদের পরিবার রয়েছে। অনেকের লোন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাকরি হারালে আমরা গভীর সঙ্কটে পড়বো। তবে ফের পরীক্ষায় বসতে নারাজ তারা। অভিজিতবাবু আরও বলেন, সচিন তেন্ডুলকার যেমন রোজ নেমে সেঞ্চুরি করতে পারেনি। সেরকম সবসময় পরীক্ষা বসেই যে আমরা ভাল রেজাল্ট করে পাশ করবো তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কাজেই আবার পরীক্ষায় বসার বিষয়টি কেন আসছে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mandal: অনুব্রত ও তাঁর কন্যার বিপুল সম্পত্তির হদিশ, বাজারমূল্য কত জানেন?

    Anubrata Mandal: অনুব্রত ও তাঁর কন্যার বিপুল সম্পত্তির হদিশ, বাজারমূল্য কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) এখন তিহার জেলে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার তাঁদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলল। জানা গিয়েছে, বোলপুর শহরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ২৪০ কাঠা জমির কাগজ সামনে এসেছে। আর এবার সরকারি খাতায় উঠে এল অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ১২০ কাঠা জমির হিসাব। আর এই সমস্ত জমি রয়েছে বোলপুর পুরসভা এলাকায়।

    বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কবে কেনা হয়েছে, জানেন?

    বোলপুর পুরসভা এলাকায় প্রত্যেক কাঠা জমির দাম ৭ লক্ষ টাকা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ২৪০ কাঠা ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ১২০ কাঠা জমির আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এই সকল জমি কেনা হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। এমনকী ২০১৪ সালে একই দিনে ৭ টি জমি রেজিস্ট্রি হতে দেখা যাচ্ছে অনুব্রত (Anubrata Mandal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে। সুকন্যা মণ্ডলের এই ১২০ কাঠা জমির বাইরেও  শিবশম্ভু রাইস মিলে রয়েছে তাঁর জমি। এই রাইস মিলের নামেও বেশ কিছুটা সম্পত্তি রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে এখন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। আদালতে পেশ করার সময় ইডি এই নথিও সামনে আনতে পারে।

    এত জমি কেনার কারণ কী?

    মনে করা হচ্ছে, গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা এভাবেই জমিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, এই বেশিরভাগ জমি ফাঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই জমিগুলি শুধুমাত্র বিনিয়োগ করার কাজেই লাগানো হয়েছে বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন। একজন সাধারণ মাছ ব্যবসায়ী থেকে কেষ্টর (Anubrata Mandal) রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠা এবং তাঁর সামান্য শিক্ষিকা মেয়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দেখে চক্ষু চরক গাছ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি সামনে আসতেই উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা প্রথম থেকেই মনে করছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal), তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে যা সম্পত্তি রয়েছে তার থেকেও অনেক বেশি পরিমাণ সম্পত্তি তাঁরা তাদের বিভিন্ন আত্মীয়র নামে বিনিয়োগ করে রেখেছেন। আর সেখানে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন উঠছে, যদি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ও তাঁর কন্যারই শুধুমাত্র বোলপুর শহরে ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে থাকে তাহলে তাঁদের আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে কত কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সেটাই এখন তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন কোন পুরসভার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন কোন পুরসভার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চলা তদন্তের মধ্যেই এবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের বাড়ি থেকে ইডি-র উদ্ধার করা নথির সূত্র ধরেই তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। সিবিআই প্রয়োজন মনে করলে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত চালাতে পারবে বলেও জানিয়েছে আদালত। আদালতের রায়ের পরই নন্দীগ্রামের হরিপুরে একটি পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, গরু পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি সামনে এসেছে। এবার এই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। আর এই দুর্নীতিতে শাসকদলের একাধিক বিধায়ক, সাংসদ, প্রাক্তন বিধায়কসহ নেতা, নেত্রীরা যুক্ত রয়েছেন। আমি কয়েকজনের তালিকাও দিয়েছি। আর মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। আমার নাকি বিভিন্ন জেলায় কোটা ছিল। আমি নিশ্চিত করে বলছি, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও যদিও আমার হাতের লেখা সুপারিশের প্রমাণ মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেন, তাহলে আমি তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন কোন পুরসভার জড়িত থাকার কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসলে কলকাতা পুরসভা, বিধাননগর পুরসভার পাশাপাশি বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, খড়দহ, ভাটপাড়া, নৈহাটি, বারাসত, বনগাঁ, মধ্যমগ্রাম, হরিণঘাটা, চাকদা পুরসভা সহ একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, বিধায়করা কেউ বাইরে থাকবেন না। এমনকী এই দুর্নীতিতে পুরমন্ত্রীর জড়িত থাকার অভিযোগও সামনে আসবে। কীভাবে পুরসভায় পুর কর্মী নিয়োগে পরীক্ষার খাতায় কারচুপি করা হয়েছে তা অয়ন শীলের দুর্নীতি চক্র সব কিছু সামনে নিয়ে আসবে। ওএমআর শিট তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আর এই দুর্নীতিতে কতজন ভিতরে ঢুকবেন তার কোনও হিসেব নেই। আগামীদিনে এই পার্টির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। সব কিছুই শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share