Tag: scam

scam

  • Abhijit Ganguly: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: তদন্ত কবে শেষ হবে? সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইকে দ্রুত নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি আরও দুর্নীতির ইঙ্গিত তিনি পাচ্ছেন জানিয়ে তদন্তে লোক বাড়ানোর কথাও বলেছেন হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    সিবিআইকে যা বললেন বিচারপতি

    সোমবার তিনি সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কবে তদন্ত শেষ হবে? এমনকী আরও দুর্নীতি লুকিয়ে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিন একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘গতকাল আমি একটা অনুষ্ঠানে গেছিলাম। সেখানে সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের অনেকেই আমার কাছে জানতে চান, সিবিআই তদন্ত কবে শেষ হবে? আমারও একই প্রশ্ন?’একই সঙ্গে সিবিআই তদন্তের গতি নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘লোক কোথায়? সিটে লোক বাড়ান। দরকার হলে আরও লোক বাড়ানোর নির্দেশ দেব। আমার মনে হয় আরও দুর্নীতি লুকিয়ে রয়েছে।’ প্রসঙ্গত, দিন সাতেক আগেই দিনের শুরুতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে, সিবিআইকে  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, সিটের কয়েকজন আধিকারিক ঠিক মতো কাজ করছেন না। প্রয়োজনে তাঁদের বদল করা হতে পারে। কিন্তু দিনের শেষে,তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলার পর, সিবিআই তদন্তের ওপরই আস্থা রেখেছিলেন মাননীয় বিচারপতি। তিনি বলেছিলেন,‘সিবিআই ম্যাজিক দেখাতে পারে,আশা করব,তারা তা দেখাবে’।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুতে আর একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে আসল অপরাধী কে সবাই জানে। আমার জীবদ্দশায় তারা ধরা পড়বে বলে তো মনে হয় না। আমি তো নিজে ধরতে যেতে পারব না। সবাই মিলে চেষ্টা করে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ‘ তাঁর যুক্তি, সিবিআই আরও বহু মামলার তদন্ত করছে, তাই তাদের সময় লাগছে। লোক বাড়াতেই হবে না হলে তদন্তে গতি আসবে না,মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED Unearths Huge Cash: বিছানার তলায় ১৭ কোটি! মোবাইল গেমিংয়ের নামে কীভাবে চলত লোক ঠকানোর কাজ?

    ED Unearths Huge Cash: বিছানার তলায় ১৭ কোটি! মোবাইল গেমিংয়ের নামে কীভাবে চলত লোক ঠকানোর কাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের যকের ধন উদ্ধার কলকাতায়। গার্ডেনরিচের (Garden Reach Money Scam) পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ কোটি! এমনটাই জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ সকাল দশটা থেকে টাকা গোনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ ৯ ঘণ্টায় ১৭ কোটি টাকা গোনা হয়েছে৷ গোয়ান্দাদের দাবি, ওই বাড়িতে আরও টাকা রয়েছে। তল্লাশি এখনও জারি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ 

    টাকা গোনার মেশিন নিয়েই ওই বাড়িতে হানা দেন ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। টাকার অঙ্ক যে এরকমই বিপুল হতে পারে, তা ধারণা করে আগে থেকেই প্রস্তুতি রেখেছিলেন তাঁরা। উপস্থিত আছেন সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরাও৷ প্রথম কয়েক ঘণ্টা টাকা গোনার পর সাত কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আগে জানিয়েছিল ইডি৷ পরে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৮ কোটি৷ এর পর ১২ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানানো হয়৷ আর এখন নগদের পরিমাণ ১৭ কোটি। ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। 

    ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে আসার জন্য গার্ডেনরিচের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে পৌঁছেছে ট্রাক৷ কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে যাওয়া হবে স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের দফতরে৷ 

    আরও পড়ুন: সাক্ষী সরাতেই হামলা! আক্রান্ত হাওড়ার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই সলমন

    বেআইনি লেনদেনের মামলায় একযোগে কলকাতার ৬ জায়গায় ইডির তল্লাশি চালায়। গার্ডেনরিচ ছাড়াও মোমিনপুর, পার্ক স্ট্রিট, নিউটাউন-সহ ৬ জায়গায় অভিযান। চিনা মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে পুরস্কার জেতার টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে অন্তত ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে গার্ডেনরিচের ব্যসায়ী নিসার খানের (Nesar Khan) বিরুদ্ধে৷ সেই অভিযোগের সূত্রেই এ দিন সকালে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ 

    কোন পথে জালিয়াতি?

    সূত্রের খবর ‘ই-নাগেটস’ নামের একটি গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে চলত প্রতারণা। ঠিক কী ভাবে কোন পথে এই লোক ঠকানোর চক্র চালানো হত তাও জানায় ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, আমির খান ই-নাগেটস নামে মোবাইল গেমিং অ্যাপটি লঞ্চ করেছিলেন। লোক ঠকাতেই এই গেমিং অ্যাপ বাজারে আনা বলেই ইডির হাতে তথ্য উঠে এসেছে। এই গেমিং অ্যাপে খেলার শুরুতে ব্যবহারকারীরা ভালো টাকাই ফেরত পেতেন। সেই টাকা পেতে খুব একটা কসরতও করতে হয় না তাঁদের। ফলে এই খেলার প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়। এই অ্যাপে ২০০ টাকা খরচেই সাধারণ মেম্বার হতে পারতেন যে কেউ।  সাধারণ মেম্বারশিপ নিয়ে খেলা শুরু হত। খেলে কয়েন জিততে হত। একটা কয়েন সমান ১ টাকা। প্রথমে জেতা টাকা ওয়ালেট মারফত ট্রান্সফার করা যেত কিংবা অনলাইন শপিং করা যেত। অ্যাপের মালিকদের প্রথম পর্যায়ে মূল লক্ষ্য ছিল, ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস জিতে নেওয়া, যাতে তাঁরা আরও বেশি করে টাকা খাটান। ব্যবহারকারীরা বড় অঙ্কের টাকা খাটাতেই ওই অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ইডি। তখন একের পর এক কয়েন জিতে মোটা টাকা জিতলে টাকা তোলা যেত না। তখন সার্ভার প্রবলেম বলা হত। আর এভাবেই লোক ঠকাত এই চক্র। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় আমির খানের বিরুদ্ধে। এরপর এই মামলার তদন্তে নামে ইডি।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Primary TET Scam: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    Primary TET Scam: ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (Primary Teachers Recruitment) দুর্নীতির (Primary TET Scam) অভিযোগের তদন্তে কোমর কষে নামল সিবিআই (CBI)। ওই দুর্নীতির ঘটনায় তথ্য তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলতি মাসের ১৬ তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের (Primary Education Board) তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দিতে হবে। সেই কারণে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা কৃতকার্য হয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary Teachers) চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকে ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    সোমবার রাজ্য শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department) থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে পাঠানো এক নির্দেশিকায় ১০টি তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এগুলি হল— নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি, চাকরিতে যোগদানের নথি, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, টেটে যোগ্যতা অর্জনের তথ্য, সর্বস্তরের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রশিক্ষণের শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে), প্যারাটিচার এনগেজমেন্ট লেটার, আগে যদি কোনও কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার শংসাপত্র এবং ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যদি কোনও তথ্য থেকে থাকে, তাও।

    শিক্ষক নিয়োগে যে ‘ভুল’ হয়েছে, বিধানসভায় তা স্বীকারও করে নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শিক্ষায় যদি এক লক্ষ চাকরি হয়ে থাকে, তাহলে তাতে ১০০টি ক্ষেত্রে ভুল রয়েছে। তা আমরা শুধরে নেব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যই প্রমাণ করে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘স্বীকারোক্তি’কে হাতিয়ার করে আক্রমণ শানিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী প্রকারান্তরে বিধানসভায় স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রাথমিক বোর্ড থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তাতেও প্রমাণিত নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধীদের শাস্তি চাই।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী বলেন, আমাদের দাবি, যাঁরা ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নয়, যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দিতে হবে। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে তদন্ত করছে, তাতে গতি এনে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    এদিকে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় এবার পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education) সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)।

     

LinkedIn
Share