Tag: Sheikh Hasina

Sheikh Hasina

  • Sheikh Hasina: ভারতে আশ্রয় পেলেন হাসিনা, অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তায় দিল্লি

    Sheikh Hasina: ভারতে আশ্রয় পেলেন হাসিনা, অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তায় দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভে ভীত হয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ভারতে তিনি আগেও নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছিলেন। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সোনার বাংলা (Unrest Bangladesh) জ্বলছে। কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের আড়ালে নাশকতা বা কোনও ষড়যন্ত্র কাজ করছে কি না তা সময় বলবে। তবে আপাতত বন্ধু হাসিনাকে সাময়িক সাহায্য করছে ভারত। এতে বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত কূটনৈতিক মহল। তবে ভারত অতিথিকে ফেরায় না। আশ্রয় চাইলে আশ্রয় দানই ভারতের নীতি। তাই কয়েকদিন দিল্লিই হাসিনার ঠিকানা।

    ভারতে হাসিনা

    আপাতত ব্রিটেনে যেতে পারছেন না বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। দিল্লিতে গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে রয়েছে তাঁর বিমান। বাংলাদেশ সেনার মালবাহী বিমানে দিল্লির গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে পৌঁছেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর বোন রেয়াত। তিনি ব্রিটেনের নাগরিক। জানা গিয়েছে শেখ হাসিনা লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্রিটেন সরকার তাঁকে অনুমতি দেয়নি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর আপাতত তিনি ভারতেই থাকবেন কয়েকটা দিন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়েছেন।

    আগেও ভারতে ছিলেন হাসিনা 

    ১৯৭৫ সালে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পিতা ও তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশেরই সেনাবাহিনীর একাংশ খুন করেছিল। ঢাকায় সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন মুজিবুর রহমান। তবে দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা যেহেতু বিদেশে ছিলেন তাই বেঁচে গেছিলেন। তাঁদের ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। নয়াদিল্লিতেই স্বামী, পুত্র কন্যা ও বোনকে নিয়ে থাকতেন হাসিনা। তারপর জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের বিরোধী গণআন্দোলনে নেমেছিলেন বা়ংলাদেশের বিরোধী নেত্রী হন। পরে বারবার সরকার গড়েছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী নারী নেত্রী হিসেবে চিহ্নিত হন। সর্বশেষ নির্বাচনে বিপুল জয় পেলেও জনতার বিক্ষোভে তাঁকে দেশ ছাড়তে হল। সোমবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে লেখা হয়ে গেলে হাসিনার পতন কাহিনী। গণবিক্ষোভে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন ছেড়ে সেনাবাহিনীর সাহায্যে ভারতে চলে আসেন শেখ হাসিনা। এর প্রভাব পড়বে ভারতেও এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ষড়যন্ত্রের আভাস

    বাংলাদেশে (Unrest Bangladesh) নতুন করে হিংসা শুরু হতেই সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেছিলেন, বর্তমানে যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তারা ছাত্র নয়, জঙ্গি। এই আবহে রিপোর্টে দাবি করা হয়, হাসিনা সরকার নাকি দিল্লিকে জানিয়েছে, এই আন্দোলনের নেপথ্যে এখন কলকাঠি নাড়ছে জামাতের নিষিদ্ধ ছাত্র সংঘঠন। এবং ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তানের হাইকমিশন থেকে মদত পাচ্ছে তারা। এরপরই সতর্ক হয় ভারত সরকার। ভারত চিরকালই হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বন্ধু দেশ। হাসিনার শাসনকালে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। তাই হাসিনা সরকারের পতনের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে তা সময় বলবে।

    আরও পড়ুন: ‘জামাতের হাতে রাশ, নেপথ্যে পাকিস্তান’! হিংসা নিয়ে দিল্লিকে কী জানাল ঢাকা?

    সেনার অধীনে সরকার

    হাসিনা (Sheikh Hasina) দেশ ছাড়ার পরই বাংলাদেশে সেনার অধীনে অন্তর্বর্তী তদারকি সরকার গঠিত হচ্ছে। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। হাসিনা বাংলাদেশের (Unrest Bangladesh) আকাশসীমা অতিক্রম করার পর তাঁর ভাষণ শুরু হয়। বাংলাদেশ সংসদের স্পিকারকে আপাতত ক্ষমতা হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে খবর। তার পরে তদারকি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে বাংলাদেশে তদারকি সরকার গঠিত হবে। বছরখানেক পরে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে। তবে এ সবই এখন খুবই প্রাথমিক স্তরের বক্তব্য। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তার দিকে কড়া নজর রয়েছে দিল্লির।

    উদ্বিগ্ন ভারত!

    বাংলাদেশী (Unrest Bangladesh) জনগণের কাছ থেকেও ধাক্কা খাওয়ার একটি সত্যিকারের ঝুঁকি রয়েছে — আওয়ামী লীগের শাসনের বছরগুলিতে, বাংলাদেশের বিরোধীরা ভারতকে হাসিনার (Sheikh Hasina) সমর্থনকারী হিসেবেই দেখেছে। তাই হাসিনা-হীন ঢাকায় এখন কারা ক্ষমতায় থাকবেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়া দিল্লি। ভারতের প্রতি তারা কী মনোভাব নেবে তা নিয়ে ভাবতে হবে। অতীতে, যখন বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে বিরোধী দল বা সেনাবাহিনী দেশ শাসন করেছে, তখন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসিনা পরবর্তী সময়ে এই পরিস্থিতি আবার দেখা দিতে পারে,বলে অনুমান দিল্লির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি, গণভবনে লুটপাট!

    Bangladesh Protest: ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত ধানমন্ডি, গণভবনে লুটপাট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িটিকে বাংলাদেশের (Bangladesh Protest) সকলেই চেনেন। কারণ, বহু ইতিহাসের সাক্ষী দেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) এই বাসভবন। আন্দোলনকারীদের লাগাতার আন্দোলনে পিছু হঠলেন হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। বোনকে নিয়ে দেশত্যাগ করলেন। আর তারপরই তাঁদর পৈত্রিক বাসভবনে চলল তান্ডব।

    ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত ভবন! (Bangladesh Protest)

    ধানমন্ডির (Bangladesh Protest) বাড়ির সিঁড়ির মাঝ বরাবর রাখা ছিল বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের বুলেটবিদ্ধ দেহের সাদা-কালো ছবি। পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সময় ওখানেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিব-কন্যা হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সেই বাড়িটিকে পরিণত করেছিলেন সংগ্রহশালায়। সোমবার তাঁর সরকারের পতনের পরেই উন্মত্ত জনতা ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিল মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত সেই ভবনটি।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    গণভবন থেকে আসবাবপত্র নিয়ে চলে যান উন্মত্ত জনতা!

    সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঢাকার বাসভবন, গণভবন (Bangladesh Protest) ছেড়ে ‘নিরাপদ আশ্রয়ের’ উদ্দেশ্যে রওনা হন হাসিনা এবং তাঁর বোন। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গণভবনে চড়াও হন কয়েক হাজার মানুষ। চলতে থাকে যথেচ্ছ লুটপাট। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ লিখেছে বহু সাধারণ মানুষ গণভবনে ঢুকে পড়েন। তাঁদের হাতে গণভবনে ব্যবহৃত জিনিসপত্রও দেখা যায়। গণভবনের ভিতর থেকে ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে নানা আসবাব সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে আসার ছবি, ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই রকমই একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেন বাংলাদেশের এক ছাত্র আন্দোলনকারী। ভিডিও বিবরণে লেখা ‘হাসিনার রুমে’। তাতে দেখা যাচ্ছে, মাথায় বাংলাদেশের পতাকার ফেট্টি বাঁধা এক তরুণ জুতো পায়ে উঠে পড়েছেন একটি পরিপাটি নীল চাদরে মোড়া বিছানায়। পায়ের ওপর পা তুলে বিছানায় শুয়ে তিনি চিৎকার করে জানাচ্ছেন, তাঁরা গণভবনের দখল নিয়েছেন।

    মাংসের হাড় চিবোচ্ছেন আন্দোলনকারীরা!

    একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গণভবনের (Bangladesh Protest) পাকশালে রান্না করা খাবারে দেদার ভোজ সারছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ (সেই ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। তবে সমাজমাধ্যমে বাংলাদেশের অনেকেই ওই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, আন্দোলনকারীরা গণভবনের রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছেন। সোমবার হাসিনার পদত্যাগের খবর আসে অকস্মাৎই। তাঁকে যে বাড়ি ছাড়তে হতে পারে, সে খবর সম্ভবত জানা ছিল না গণভবনের রান্নাঘরের দায়িত্বে যিনি বা যাঁরা থাকেন তাঁদেরও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে থরে থরে সাজানো রয়েছে ভাত, ডাল, মাংসের পাশাপাশি নানা পদ। ভিডিওতে দেখা যায়, সেই খাবারে হামলে পড়েছেন কিছু তরুণ। তারিয়ে তারিয়ে মাংসের হাড় চিবোচ্ছেন তাঁরা।

    <

    p> 

    ধানমন্ডির বাড়িতে দুই মেয়ে বাদে সপরিবারে খুন হন বঙ্গবন্ধু

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান সরকার এবং সেনা নিপীড়নের প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে আমি প্রস্তুত।” তাঁর সেই বক্তৃতা সূচনা করেছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের। যার পরিণামে সে বছরের ডিসেম্বরেই বদলে গিয়েছিল এশিয়ার মানচিত্র। কিন্তু স্বাধীনতার পরে মুজিবের শাসন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ভোরে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির সরকারি বাসভবনে অভ্যুত্থানকারী সেনাদের গুলিতে নৃংশস ভাবে খুন হয়েছিলেন তিনি। শুধু মুজিব নন, ঢাকা শহরের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফজিলা তুন্নেসা, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালও নিহত হয়েছিলেন ঘাতকের বুলেটে। বিদেশে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন মুজিবের দুই কন্যা, হাসিনা এবং রেহানা। ঘটনাচক্রে, সোমবার তাঁরা দু’জন সেনার কপ্টারে ঢাকা ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আগুন ছাই হয়ে গেল মুজিবের স্মৃতি বিড়জিত ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডের সেই সংগ্রহশালা।

    ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বদলে হয়েছিল- ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’!

    বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেনার সমর্থনে প্রেসিডেন্ট হওয়া খোন্দকার মোশতাক আহমেদের সরকার বাংলাদেশ বেতারের নাম পাল্টে রেডিও বাংলাদেশ করেছিল। ৭১’-এর মুক্তিযুদ্ধে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বদলে গিয়ে চালু হয়েছিল – ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী জেল থেকে বেরিয়ে আসে তার পরবর্তী এক বছরের মধ্যেই। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের সমর্থকদের কোণঠাসা করা শুরু হতে থাকে বলে অভিযোগ। সেনাপ্রধানের কুর্সিতে বসে ক্ষমতা দখল করা জিয়াউর রহমান, হুসেন মহম্মদ এরশাদ এমনকী, অবাধ ভোটে ক্ষমতা দখলকারী খালেদা জিয়ার আমলেও সেই সেই ধারা বজায় থাকার অভিযোগ উঠেছে বারে বারে। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের ভোটে জিতে হাসিনা (Sheikh Hasina) দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সেই ধারা কিছুটা বদলেছিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেন। এবার হাসিনা বিরোধী আন্দোলেন ‘নিষিদ্ধ’ জামাতে ইসলামির সক্রিয় অংশগ্রহণ কি আবার ফিরিয়ে আনবে সেই পুরনো স্মৃতি। মুজিবের মূর্তি ভাঙা এবং ধানমন্ডির সংগ্রহশালায় অগ্নিসংযোগ ‘ইঙ্গিতবাহী’ বলেই মনে করছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: বাংলাদেশে ফের সেনা অভ্যুত্থান! ফিরছে প্রায় ১৮ বছর আগের স্মৃতি

    Bangladesh Protest: বাংলাদেশে ফের সেনা অভ্যুত্থান! ফিরছে প্রায় ১৮ বছর আগের স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১৮ বছর পর ফের বাংলাদেশে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী। সেবারও উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ (Bangladesh Protest)। পরে, দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সেনাবাহিনী। এবারও জনরোষের জেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর দেশত্যাগের পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার তিনি বার্তা দেন।

     ঠিক কী বললেন সেনাপ্রধান? (Bangladesh Protest)

    জেনারেল জামান সোমবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণের আগে সব দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে, তিনি বলেন, “সুন্দর পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের (Bangladesh Protest) আন্দোলনকারী পড়ুয়া এবং রাজনৈতিক কর্মীদের শান্ত থাকার আবেদন জানাচ্ছি। আমি কথা দিচ্ছি, প্রতিটি হত্যার বিচার হবে।” এরপর তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন। আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে আলোচনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করব।” প্রসঙ্গত, হাসিনার ইস্তফার দাবিতে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ এবং হিংসার মধ্যেই রবিবার গভীর রাতে জেনারেল জামান জানান, তিনি সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে ঢাকার বাসভবনে বৈঠক করেছিলেন। তার পরেই জল্পনা তৈরি হয়, এবার সরাসরি পরিস্থিতির ওপর হস্তক্ষেপ করতে চলেছে সেনা। সূত্রের খবর, হাসিনা ইস্তফা দিয়ে তদারকি সরকারের ভার দিয়েছেন জাতীয় সংসদের (পার্লামেন্ট) স্পিকার শিরিন সারমিন চৌধুরির হাতে। কিন্তু আওয়ামি লিগের নেত্রী শিরিনকে সেনা মানবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ঘটনাচক্রে, রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনও আওয়ামি লিগের প্রাক্তন নেতা এবং ‘হাসিনা ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত। আর এদিন হাসিনা দেশত্যাগ করার পর সোমবার সেনাপ্রধান সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় আওয়ামি লিগের কোনও নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    ১৭ বছর আগে ঠিক কী হয়েছিল?

    ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি অশান্ত পরিস্থিতিতে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের প্রত্যক্ষ তৎপরতার গঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নেতৃত্বে ছিলেন, অর্থনীতিবিদ তথা বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ফখরুদ্দিন আহমেদ। মূলত, সে সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রধামন্ত্রীত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু, আওয়ামি লিগসহ বিরোধীরা সেই সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগে আন্দোলনে নামায় সক্রিয় হয় সেনা। প্রাথমিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসকে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেন। এরপর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহমেদের সক্রিয়তায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফখরুদ্দিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনটি বড় মাপের সেনা অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছে দেশটি (Bangladesh Protest)। সেনার হাতে নিহত হতে হয়েছে দুই প্রেসিডেন্ট – শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানকে। এছাড়া, গত সাড়ে পাঁচ দশকে একাধিক ছোট-বড় ব্যর্থ অভ্যুত্থানও হয়েছে সে দেশে। এবারও অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশকে শান্ত করতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, দেশ ছেড়েছেন হাসিনা, সীমান্তে নজরদারি বাড়াল ভারত

    Sheikh Hasina: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, দেশ ছেড়েছেন হাসিনা, সীমান্তে নজরদারি বাড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশ এখন অগ্নিগর্ভ। সারা দেশের আন্দোলন এখন হিংসাত্মক এবং সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়েছে। ঢাকার গণভবনে চলছে ব্যাপক লুটপাট। একাধিক জায়গায় ভাঙা হয়েছে শেখ মজিবুর রহমানের মূর্তি, হামলা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতেও। আওয়ামী লিগের অবশ্য দাবি, সবটাই জামাত-এ-ইসলামির ইন্ধনে হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ঘোষণা করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ চালানো হবে। তাই এই আবহে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। ভারতের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তে ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কলকাতা থেকে এডিজি ইস্টার্ন কমান্ড বাহিনীকে সবরকম প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীমান্তে। বিএসএফের ডিজি ইতিমধ্যে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন।

    হাসিনার সুরক্ষার দায়িত্ব নেবে বিএসএফ (Sheikh Hasina)

    সূত্রের খরব, শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ভারতের আগরতলায় অবতরণ করে সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বলে খবর। ভারতে শেখ হাসিনা পদার্পণ করা পর্যন্ত তাঁর যাবতীয় নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার দায়িত্ব নেয় বিএসএফ। ভারতীয় সেনা সবটা দেখলেও মূল পরিচালনার কাজ করবে বিএসএফ। হাসিনা এবং তাঁর পরিজনরা যাতে ভারতে সুরক্ষিত ভাবে প্রবেশ করতে পারেন, সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। একই ভাবে আন্দোলনকারীরা যাতে ভারতে প্রবেশ করে অশান্তি না করতে পারে, সেই দিকেও খেয়াল রাখছে বিএসএফ।

    আরও পড়ুনঃ নেতার পর এবার সাংবাদিক! অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে হিন্দু নিধন হয়েই চলছে

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সম্পূর্ণ দখল নিয়েছে বিএসএফ

    উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এখনও কোনও সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করেনি। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি (Sheikh Hasina) একটি আভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই বিষয়ে ভারত মন্তব্য করেনি। কিন্তু সে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তীব্র সঙ্কটে। যার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরায়। এই জন্য সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। এদিকে, বাংলাদেশের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে দিল্লির নর্থ ব্লক এবং সাউথ ব্লকে চরম তৎপরতা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, বিদেশমন্ত্রক, প্রতিরক্ষামন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সবগুলিই এই এলাকায়। তবে কী ধরনের তৎপরতা রয়েছে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট হয়নি। সীমান্তে যদি বাংলাদেশিরা প্রবেশ করতে চায় তাহলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ হতে পারে, তা ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের পরই জানা যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    Sheikh Hasina: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত গণভবন এখন আন্দোলনকারীদের দখলে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আর এরই মধ্যে খবর,  বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সূত্রের খবর, দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। সোমবার সকালে হাসিনা ও রেহানা তাঁদের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে চলে যান। সেখান থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে উড়ে যান দুই বোন। 

    গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি ছিল— হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের পদত্যাগ। রবিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছিল। আর এরই মধ্যে সোমবার বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন হাসিনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই দেশ ছেড়েছেন তিনি।  পরে, সেনাপ্রধান সেই খবরে সিলমোহর দেন। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। আপনারা শান্তি-শৃঙ্খলার পথে ফিরে আসুন।’’ 

    গণভবন এখন আন্দোলনকারীদের দখলে

    ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের (Bangladesh) রাস্তার দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙছেন তাঁরা। ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গণভবনে লুট চালাচ্ছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। কারও হাতে দামি জিনিসপত্র, কারও হাতে মুরগি। কেউ বা ছুটছেন চেয়ার হাতে। যদিও, সেই ভিডিওর সত্যতায় যাচাই করেনি মাধ্যম। সব মিলিয়ে তুমুল অশান্ত গোটা বাংলাদেশ। পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আবার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের মোবাইল পরিষেবা। পুলিশের পরিবর্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। রাস্তায় নেমে পড়েছে সাঁজোয়া গাড়ি। 

    জাতির উদ্দেশে ভাষণ সেনাপ্রধানের

    হাসিনা ঢাকা ছাড়ার আগেই বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাবাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার আগে বাংলাদেশের বিশিষ্টজন এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওয়াকার উজ জামান। প্রতিটি হত্যার বিচার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের জনতাকে বলেছেন, হিংসা পরিহার করে সংযত হওয়ার এবং শান্তি বজায় রাখার।  

    আরও পড়ুন: ‘জামাতের হাতে রাশ, নেপথ্যে পাকিস্তান’! হিংসা নিয়ে দিল্লিকে কী জানাল ঢাকা?

    সেনার অধীনে তদারকি সরকার গঠিত হতে পারে (Bangladesh) 

    এদিন ভাষণে বাংলাদেশের জনতার উদ্দেশে সেনাপ্রধানের আর্জি, ”আপনারা শান্তি বজায় রাখুন। ভাঙচুর করবেন না। আমি নির্দেশ দিয়েছি পুলিশ বা সেনাবাহিনী গুলি চালাবে না। আমরা এর আগে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করব। আপনারা সেনাবাহিনীর উপর আস্থা রাখুন। সশস্ত্র বাহিনীর উপর আস্থা রাখুন, আমরা সমস্ত দায় দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি। আপনারা এখনই আশাহত হবেন না। আপনাদের যত দাবি আছে, তা আমরা পূরণ করব এবং দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: ‘জামাতের হাতে রাশ, নেপথ্যে পাকিস্তান’! হিংসা নিয়ে দিল্লিকে কী জানাল ঢাকা?

    Bangladesh Protest: ‘জামাতের হাতে রাশ, নেপথ্যে পাকিস্তান’! হিংসা নিয়ে দিল্লিকে কী জানাল ঢাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh Protest) শুরু হওয়া নতুন ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের জেরে ইতিমধ্যেই অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতদের মধ্যে বিক্ষোভকারীরা যেমন রয়েছেন, সেরকমই রয়েছেন প্রায় ১৫ জন পুলিশকর্মী৷ বিক্ষোভে লাগাম টানতে রবিবার সন্ধে থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার৷ এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থাকা ভারতীয়দের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে বিদেশমন্ত্রক৷ ভারতীয়দের বাংলাদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ যাঁরা এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রয়েছেন, তাঁদের চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ 

    সোমবারও উত্তপ্ত পড়শি দেশ

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের পক্ষ থেকে সোমবার ঢাকা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ এই অভিযানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আন্দোলনকারীদের ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের পরিবর্তে তারা আজ, সোমবারই ঢাকায় ছাত্র- নাগরিক অভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছেন৷ মূলত ঢাকা সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে ছাত্র এবং আন্দোলনকারীদের যেভাবে সম্ভব ঢাকায় আসতে বলা হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর (Sheikh Hasina) পদত্যাগের দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে স্টুডেন্টস এগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন নামে আন্দোলকারী সংগঠন ৷ সংঘর্ষে লাগাম টানতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে (Bangladesh Protest)  ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে৷ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

    পাকিস্তানের মদত

    সরকারি সূত্রে খবর, আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ এখন জামাতের হাতে চলে গিয়েছে বলে দিল্লিকে জানিয়েছে ঢাকা। জামাতের ছাত্র সংগঠনের পিছনে ঢাকার পাকিস্তানি হাইকমিশনের মদত রয়েছে বলেও জানিয়েছে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকার। মূলত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে নতুন করে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছে বাংলাদেশের (Bangladesh Protest) ছাত্রদের একাংশ ৷ অভিযোগ, রবিবার সকালে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা যখন অসহযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন, তখন আওয়ামি লিগ, ছাত্র লিগ এবং যুব লিগের সদস্য ও সমর্থকরা বাধা দেন ৷ আর তার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। যদিও নতুন করে ছড়িয়ে পড়া হিংসার পিছনে নাশকতামূলক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তাঁর দাবি, ছাত্র নয়, আন্দোলনের নামে এই হিংসা ছড়ানোর পিছনে রয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা৷ দেশবাসীর কাছে শক্ত হাতে এই সন্ত্রাসবাদীদের দমন করার অনুরোধ করেছেন তিনি৷

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    ভারতীয়দের সতর্কতা

    এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের (Bangladesh Protest) সিলেটে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস থেকে একটি অ্যাডভাইসরি প্রকাশ করা হয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে ৷ সেখানে থাকা ভারতীয়দের জন্য জরুরি ক্ষেত্রে একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে ৷ হাইকমিশনের সেই অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে, “সিলেটে অবস্থিত ভারতের হাইকমিশনের এই সহকারী অফিসের অন্তর্গত এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের বলা হচ্ছে, আপনারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলুন ৷ পাশাপাশি, প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকুন ৷”  

    কোনও প্রয়োজনে জরুরি ফোন নম্বর ব্যবহার করে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের৷ ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের নম্বরগুলি হল- +৮৮০১৯৫৮৩৮৩৬৭৯, +৮৮০১৯৫৮৩৮৩৬৮০, +৮৮০১৯৩৭৪০০৫৯১৷ বাংলাদেশের এই সংঘর্ষে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও৷ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

    Sheikh Hasina: জামাত, ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা জঙ্গি সংগঠনের মতোই, কড়া বার্তা শেখ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেমনভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা হয়, ঠিক সেইভাবেই জামাত ও ছাত্র শিবিরের মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গি সংগঠন জামাতে-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) ও তাদের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পর, ঠিক এই ভাবেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ইতিমধ্যে সেই দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা, জামাত শিবিরের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে ইসালামি জেহাদি সংগঠন আল-কায়দার যোগসূত্র থাকার চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত প্রকাশ্যে এনেছে।

    কী বললেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)?

    বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি নোটিশ দিয়ে এই দুই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, “জামাত (Jamaat-e-Islami) ও ছাত্র শিবিরকে এখন থেকে জঙ্গি সংগঠন ধরেই মোকাবিলা করতে হবে। আমি নিশ্চিত, নিষিদ্ধ হওয়ার পরে এরা আত্মগোপনে করবে এবং নানা ধরনের নাশকতামূলক কাজ করবে। এতদিন রাজনৈতিক ভাবে জামাতের মোকাবিলার পথ চলেছিল। এখন আর উপায় নেই। এই বিপুল পরিমাণে প্রাণহানি এবং নাশকতার তদন্তে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে সাহায্য চাইব।”

    নির্বাচন কমিশন আগেই জামাতকে অবৈধ বলেছে

    প্রায় অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি একাধিক সময়ে আন্দোলন করে দাবি তুলেছেন যে, জামাতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টেও আইনি লড়াইও চলছে। ইতিমধ্যে, বাংলাদেশের সংবিধানকে সর্বোচ্চ হিসেব স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে ২০১৮ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামাতে ইসলামিকে অবৈধ ঘোষণা করে সেদেশের নির্বাচন কমিশন। এবার, সেই দেশের সন্ত্রাস-বিরোধী আইনে পাকিস্তানি সেনাদের সহচর জামাতে ইসলামিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকার।

    আরও পড়ুনঃ অশান্তির জের, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে চলেছে জামাত, বড় সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার

    পাঁচ হাজার ক্যাডারকে ঢাকায় আনা হয়েছিল

    সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী আন্দোলনে, সাধারণ ছাত্রদের ঢাল করে দেশব্যাপি সন্ত্রাস, প্রাণহানি, লুটপাট, ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির মতো পরিস্থিতির জন্য জামাতে ইসলামি এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের বড় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গোয়েন্দারা দাবি করেন, গত তিন মাসে রাজশাহি, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, ফেনি, ফরিদপুর থেকে অন্তত পাঁচ হাজার ক্যাডারকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। দাহ্য, তেল, বিস্ফোরক, দেশি অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। বাগমারা এলাকা থেকে প্রশিক্ষিত নিষিদ্ধ জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গিদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। জেএমবি সরাসরি আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত। আন্দোলনের নামে বড়সড় নাশকতামূলক ছক করেছিল এই জামাত শিবির। তাই কড়া হাতে দমনের পথেই হাঁটছেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Protest: অশান্তি আটকাতে আরও কঠোর হবে বাংলাদেশ সরকার, জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    Bangladesh Protest: অশান্তি আটকাতে আরও কঠোর হবে বাংলাদেশ সরকার, জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলন থামাতে আরও কঠোর হবে বাংলাদেশ (Bangladesh Protest) সরকার। অশান্ত পরিবেশ থেকে দেশকে দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে, ঠিক এমনটাই বার্তা দিলেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘বিবিসি বাংলা’-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে দেশ সম্পর্কে স্পষ্ট অবস্থান জানান তিনি। এদিকে মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। অবস্থার কতটা উন্নতি হয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য সংরক্ষণ নিয়ে প্রথম থেকেই ছাত্র আন্দোলনকে রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিলেন হাসিনা।

    কী বললেন হাসিনা (Bangladesh Protest)

    টানা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের (Bangladesh Protest) কারণে ঢাকা সহ দেশের একটা বড় অংশ বন্ধ হয়ে পড়েছে। রাজধানীর মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ। যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিছিন্ন। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবাকে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের আসতে বারণ করা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। দেশে জারি করা হয়েছে কার্ফু। এই সবকিছুর প্রভাব পড়েছে দেশের শিল্প-কারখানার উপর। ইতি মধ্যে সরকার সব কিছুকে বন্ধ রাখার কথা বলেছে। সেই দেশের ব্যবসায়ী এবং রফতানিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেছেন, “দ্রুত দেশের অবস্থার পরিবর্তন হবে। আমরা পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত করে এনেছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কার্ফু কিছুটা শিথিল করা হবে। ছাত্ররা যা চেয়েছিলেন আদালতের রায়ে তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্দোলন এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের অর্থ কী? পড়ুয়াদের শান্ত থাকার আবেদন জানাই। ছাত্রদের ঢাল করে বিরোধীরা দেশের ক্ষতি সাধন করছেন। দেশের ভাবমূর্তি এবং শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

    আরও পড়ুনঃ কোটা আন্দোলনের জেরে বন্ধের মুখে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেন আন্দোলন?

    ১৯৭২ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার, সরকারি চাকরিতে কোটা বা সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করেছিল। মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল। অন্যন্য বাকি কোটা মিলিয়ে আরও ছিল ২৬ শতাংশ। কিন্তু ২০১৮ সালে হাসিনার সরকার চাকরিতে সব রকম কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়। পরে বিরোধিতা করে সাত জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, সেই দেশের হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্ট হাসিনা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেয়। এরপর সরকার সুপ্রিমকোর্টে মামলা করে। গত রবিবার বাংলাদেশের উচ্চ আদালত রায় প্রদান করেছে যে মাত্র ৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে সরকারি চাকরিতে, বাকি নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। সরকার পক্ষও রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। অপরে পড়ুয়ারা এই রায়ের উপর নেতিবাচক ভাবনার প্রকাশ দেখাচ্ছেন। আন্দোলনে (Bangladesh Protest) মৃত ছাত্রদের জন্য ন্যায় বিচার তাঁরা চাইছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Criticize Mamata: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’! মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    BJP Criticize Mamata: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’! মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। সেই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের (BJP Criticize Mamata)। পুরো বিষয়টির উপরে নজর রাখছে কেন্দ্র সরকার। বাংলাদেশিদের (Unrest Bangladesh) রাজ্যে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করল বিজেপি।

    মমতার মন্তব্যের সমালোচনা মালব্যের

    বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে ফেরাবেন না, রবিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশে। গত কয়েক দিনে সেই আন্দোলনে (Unrest Bangladesh) হিংসা ছড়িয়েছে। মমতার এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির (BJP Criticize Mamata) তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর প্রশ্ন, মমতাকে সেই অধিকারটা কে দিয়েছেন? কোনও রাজ্যের হাতে নাগরিকত্ব বা অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও ক্ষমতা নেই। পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে আছে। সেইসঙ্গে মালব্য অভিযোগ করেন, ভোটে জেতার জন্য বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশ করা লোকজনদের নিজেদের রাজ্যে ঠাঁই দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতা-নেত্রীরা। মালব্যের কথায়, ‘বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার যে ভয়ংকর পরিকল্পনা আছে, তার একটা অংশ হল এই বিষয়টি, যাতে ওরা নির্বাচনে জিততে পারে।’

    মমতার মন্তব্যে অসন্তুষ্ট কেন্দ্র

    মমতার এই মন্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (BJP Criticize Mamata)। সরাসরি কেন্দ্রের তরফে কোনও বিবৃতি জারি না করা হলেও মমতার কথায় মোদি, জয়শংকররা যে প্রসন্ন হননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এক সূত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘এগুলি এমন বিষয়, যেগুলি সামলায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তো কোনও এক্তিয়ারই নেই। এসব মন্তব্য (মমতা যে কথা বলেছেন) সম্পূর্ণভাবে ভুল।’ আর মমতার কথায় যে কোনও পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না, সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশে (Unrest Bangladesh) পড়ুয়াদের যে বিক্ষোভ চলছে, তা নেহাতই সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সংস্কার হবে, হাইকোর্টের রায় খারিজ করে জানাল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট

    Bangladesh: সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সংস্কার হবে, হাইকোর্টের রায় খারিজ করে জানাল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট (Bangladesh Supreme Court)। এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালতে এদিন আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কার করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সংরক্ষণ নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্তকে গত ৫ জুন অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। এরপরেই সংরক্ষণ ইস্যুতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় বাংলাদেশে। অগ্নিগর্ভ হয় সে দেশের পরিস্থিতি। সরকারকে জারি করতে হয় কার্ফু। শতাধিক মানুষ নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামাতে হয় সেনা।

    হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্ত (Bangladesh) অনেকটাই বহাল থাকল

    ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশকে খারিজ করল। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায় শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষেই বেশ কিছুটা গিয়েছে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হুবহু তা এদিন বহাল রাখেনি বাংলাদেশের (Bangladesh) শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে বটে তবে সংরক্ষণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল হয়নি।

    শীর্ষ আদালতের রায়ের বিশ্লেষণ 

    এদিনের রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সন্তানদের জন্য। বাকি ২ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে অন্যান্য শ্রেণীর জন্য। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে। এদিন রায় ঘোষণার পাশাপাশি পড়ুয়াদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে বলেছে শীর্ষ আদালত। শুনানির পরেই বাংলাদেশের (Bangladesh) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট (Bangladesh Supreme Court) জানিয়েছে, হাই কোর্টের রায় বেআইনি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরিতে পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। অন্যান্য শ্রেণির জন্য থাকবে আরও দুই শতাংশ সংরক্ষণ।’’

    কেন সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা। তবে এদিন হাইকোর্টের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share