Tag: Sheikh Hasina

Sheikh Hasina

  • Bangladesh: বাংলাদেশে সংবিধান, প্রশাসন ইত্যাদি সংস্কারে ৬টি কমিশন ইউনূসের, নেই কোনও সংখ্যালঘু!

    Bangladesh: বাংলাদেশে সংবিধান, প্রশাসন ইত্যাদি সংস্কারে ৬টি কমিশন ইউনূসের, নেই কোনও সংখ্যালঘু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে (Bangladesh) আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকারের আমলে সেখানে হিন্দুদের ওপর নৃশংসভাবে অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের কথা বলা হচ্ছে। কমিশন গঠনেও কি মৌলবাদীদের দাপাদাপি, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। 

    কমিশনে নেই কোনও সংখ্যালঘু! (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা মতো ছ’টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হল। পূর্ণাঙ্গভাবে ঘোষিত ছয়টি কমিশনের মোট সদস্য ৫০ জন। এর মধ্যে সাবেক আমলা ১৫, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ২, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ৮, বিচারপতি ও বিচারক ৫, আইনজীবী ৬, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ৬ এবং অন্যান্য পেশার (এনজিও, মানবাধিকারকর্মী, বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি) ৮ জন। এসব পেশাজীবীর মধ্যে নারী পাঁচজন। শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ছয়জনের মধ্যে শুধু একজনের নাম জানানো হয়েছে। এর বাইরে চারটি কমিশনের শুধু প্রধানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০টি কমিশনের প্রধান পদে নারী স্থান পেয়েছেন মাত্র একজন। তা-ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, সংস্কার কমিশনগুলিতে আমলাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রাখা হয়েছে। তবে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষকদের প্রাধান্য বেশি (পাঁচজন)। কিন্তু তার একটিতেও রইলেন না সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্ট্রান জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা! যা নিয়ে উঠল প্রশ্ন। পাশাপাশি, ছ’টি সংস্কার কমিশনে মহিলাদের প্রতিনিধিত্বও ‘অনেক কম’ বলে অভিযোগ উঠল।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, চরম দুর্যোগের আশঙ্কা, এই সময়ে কী করবেন আর কী করবেন না

    চাকমা সার্কেলের প্রধান সরব হয়েছেন

    সংস্কার কমিশনগুলিতে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের (Bangladesh) প্রতিনিধিত্ব না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন চাকমা সার্কেলের প্রধান রাজা দেবাশিস রায়। ১৩ অক্টোবর তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘(সংস্কার কমিশনে) আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, নারী এবং অন্যান্য প্রান্তিক বা সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা হয় সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত বা দৃশ্যমানভাবে অপর্যাপ্ত। এটা একজন নোবেলজয়ীর নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করেছে।’ রাজা দেবাশিস রায় প্রথম আলোকে বলেন, “সংস্কার কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আমাকে ওই কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর কীভাবে সেই নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল হয়ে গেল, সেটি আমি বলতে পারব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    Sheikh Hasina: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফাই দেননি শেখ হাসিনা! এ কী কথা শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ছেলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনেরও দাবি, হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, এমন কোনও প্রামাণ্য নথি তাঁর কাছে নেই। সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন মাস। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকারউজ জামান জানিয়েছেন, হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও হাসিনার ছেলে কিংবা রাষ্ট্রপতির দাবি ভিন্ন।

    কী বলছেন রাষ্ট্রপতি? (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৭(ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হলে ইস্তফাপত্র পাঠাতে হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের দৈনিক ‘মানবজমিন’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শাহবুদ্দিন জানান, হাসিনা দেশ ছাড়ার আগে তাঁকে কিছুই জানাননি। সেনাপ্রধান ওয়াকারকেও তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনিও সুস্পষ্টভাবে তাঁকে কিছু জানাতে পারেননি বলেই দাবি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির। শাহবুদ্দিন বলেন, “ওয়াকারও জানিয়েছিলেন, তিনি শুনেছেন হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।” তবে সেটা হাসিনা রাষ্ট্রপতিকে জানানোর সময় পাননি বলেই অনুমান ওয়াকারের।

    শাহবুদ্দিনের দাবি

    শাহবুদ্দিন জানান, ৫ অগাস্ট (এদিনই দেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ফোন এসেছিল। বলা হয়েছিল, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বঙ্গভবনে আসবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পরেই আবারও ফোন এসেছিল। এবার তাঁকে জানানো হয় হাসিনা আর যাচ্ছেন না রাষ্ট্রপতি ভবনে (বঙ্গভবন)।

    হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, “আমার মা কোথাও লিখিতভাবে পদত্যাগ করেননি।” হাসিনা নিজেও এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। এবার রাষ্ট্রপতিও জানিয়ে দিলেন, হাসিনার পদত্যাগের প্রামাণ্য কোনও নথি বঙ্গভবনে নেই। প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার খবর।

    আরও পড়ুন: কেজরির শিশমহলের কড়ি-বর্গায়ও জমিদারির ছাপ, আপ নেতার হলটা কী?

    ওই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গিয়েছেন, এটাই সত্য। এই বিষয়ে যাতে কখনও কোনও প্রশ্ন না ওঠে, সেজন্য (Bangladesh Crisis) সুপ্রিম কোর্টের মতামতও নেওয়া হয়েছে (Sheikh Hasina)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’! হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

    Sheikh Hasina: ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধ’! হাসিনা-সহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলন পর্বে ‘গণহত্যা এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (International Crimes Tribunal)।  তাঁর দল আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াবদুল কাদের-সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাসিনা-সহ সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাকে। বৃহস্পতিবার এই পদক্ষেপ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    বৃহস্পতিবারের শুনানি পর্বে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর আইনজীবী মহম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘এই অপরাধগুলো বিস্তৃত মাত্রায় সারা বাংলাদেশ জুড়ে সংঘটিত হয়েছে। এই অপরাধে অভিযুক্ত যাঁরা, তাঁরা অসম্ভব রকমের প্রভাবশালী, তাঁদের গ্রেফতার করা না হলে তদন্তের প্রক্রিয়া পরিচালনা করা কঠিন।’’ তাঁর সেই যুক্তি মেনে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মোর্তাজা মজুমদার এবং দুই সদস্য— বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    কোথায় হাসিনা

    প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকে ৭৭ বছরের শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) আর একবারও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বস্তুত, তিনি বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, তা নিয়েও নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলন ও কালক্রমে শুরু হওয়া গণ-আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। গত ৫ অগাস্ট তড়িঘড়ি নিজের বোনকে সঙ্গে নিয়ে নয়া দিল্লি চলে আসেন তিনি। হাসিনার ‘ভারতে থাকা’ নিয়ে পড়শি বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। যদিও ভারত তার প্রেক্ষিতে সরকারিভাবে কোনও সাড়া দেয়নি।

    আরও পড়ুন: বোমাতঙ্ক-ছিনতাইয়ের হুমকি! এবার বিমানেই থাকবেন কমান্ডোরা, ভাবনা এনএসজি-র

    কী করবে ভারত

    হাসিনাকে বিপাকে ফেলতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। তথ্য বলছে, ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা রুজু হলে ঢাকার তরফে নয়াদিল্লির কাছে হাসিনাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে স্বদেশে ফিরে আইনি কার্যাবলী ও ফৌজদারি শুনানির মুখে পড়তে হবে। তবে, কূটনৈতিক মহলের দাবি, বাংলাদেশ বললেই যে ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে প্রত্যার্পণ করতে বাধ্য থাকবে, ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়। হাসিনা যেহেতু এক ‘বর্ণময় রাজনৈতিক চরিত্র’ তাই ভারত সেই আবেদন বাতিলও করতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    Bangladesh: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা এসেছিল মুক্তিযুদ্ধের পর। আর তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভারত তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। অতীতের সেই স্মৃতি এবার অতল গহ্বরে চলে যেতে চলেছে। কারণ, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ঘোষিত হওয়া আটটি জাতীয় দিবসকে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এগুলি জাতীয় দিবস হিসেবে ওপার বাংলায় পরিচিত ছিল। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবার এই সব ছুটি ও জাতীয় দিবসগুলি বাতিল করতে চলেছে বলে খবর।

    বাতিলের তালিকায় কোন কোন তারিখ রয়েছে? (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি এক বৈঠকে আটটি দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীঘ্রই এই দিনগুলি জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাতীয় দিবসের তকমা হারানোর তালিকায় রয়েছে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। ১৫ অগাস্ট মুজিবরের মৃত্যুবার্ষিকী, ৮ অগাস্ট হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন, ৫ অক্টোবর হাসিনার ভাই শেখ কামালের জন্মদিন এবং ১৮ অক্টোবর হাসিনার অপর ভাই শেখ রাসেলের জন্মদিনকেও জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রমনায় মুজিবরের ভাষণকে স্মরণীয় করে রাখতে ওই দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাসিনার সরকার। সেটিকেও বাতিল করা হচ্ছে। এ ছাড়া ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাসিনার আওয়ামী লিগ শাসিত সরকার। ওই দু’টি দিনকেও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

    আরও পড়ুন: ঘুচল অন্ধত্ব, হাতে তরোয়ালের জায়গায় সংবিধান, নব কলেবরে ‘লেডি অফ জাস্টিস’

    চলতি বছরের হাসিনা সরকারের পতন

    চলতি বছরেই বাংলাদেশে (Bangladesh) হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। শুরুটা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে। যা পরবর্তী পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রূপ নেয়। প্রায় দু’মাস ধরে চলা আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতে হয় হাসিনাকে। বাধ্য হন দেশ ছাড়তে। আপাতত অর্থনীতিবিদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে রয়েছে বাংলাদেশের শাসনভার। নতুন করে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারই বাংলাদেশকে পরিচালনা করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: দুর্গাপুজোর আগে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

    Bangladesh: দুর্গাপুজোর আগে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাপঞ্চমীতে এপার বাংলায় দুর্গাপুজোয় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। আর ওপার বাংলায় দুর্গাপুজো করা নিয়ে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছেন হিন্দুরা। এমনিতেই বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলে সেখানকার হিন্দুদের অভিযোগ। পাশাপাশি মৌলবাদীরা লাগাতার হিন্দুদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এই আবহের মাঝে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই দেশে হিন্দুরা যাতে নিরাপদে দুর্গাপুজো পালন করতে পারে, তা দেখার জন্যই ইউনূস সরকারকে কড়়া বার্তা দিয়েছে মার্কিন মুলুক।

    কী বার্তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? (Bangladesh)

    বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজো করতে গিয়ে হিন্দুরা মৌলবাদীদের হুমকির মুখে পড়ছেন। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States) স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, “অবশ্যই, আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চাই। সারা বিশ্বে যা সত্য।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অগাস্টে তাঁর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিবৃতি এসেছে। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায়, কারণ হিন্দুরা তাদের সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো উদযাপন করে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    এমনিতেই বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মুসলমান সংগঠনগুলি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং হুমকির কথা উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি অনুমতি। এমনকী, পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলেও বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে কিশোরগঞ্জের বত্রিশ গোপীনাথ জিউয়ের আখড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। কুমিল্লা জেলাতেও ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। লুট করা হয়েছে মন্দিরের দান বাক্স। নারায়ণগঞ্জ জেলার মিরপাড়া এলাকায় ভাঙচুর করা হয় একটি দুর্গা মন্দিরে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে দুর্গাপুজো হওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বাংলাদেশি হিন্দুরা যাতে শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো তথা শারদোৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্য সেদেশের প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলেই আশা করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভের সময় হিন্দুসহ ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: আবার অশান্ত বাংলাদেশ! ইউনূসের বাসভবন দখলের চেষ্টা, হাসিনার মতোই কি পরিণতি?

    Bangladesh Crisis: আবার অশান্ত বাংলাদেশ! ইউনূসের বাসভবন দখলের চেষ্টা, হাসিনার মতোই কি পরিণতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরল না বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। এবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল মহম্মদ ইউনূসকেও। সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩১ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে সোমবার থেকে ফের ঢাকার (Fresh protests in Bangladesh) রাজপথে নতুন করে শুরু হয়েছে আন্দোলন। হাসিনার মতো এবার ইউনূসের বাসভবনের দিকেও ছুটল উন্মত্ত জনতা।

    নতুন করে আন্দোলন

    সম্প্রতি ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে মিন্টো রোডে অবস্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে পদযাত্রা করে তারা। এদিকে ইউনূসের বাসভবনের সামনে সভা-সমাবেশে করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পুলিশ। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই যমুনা দখল করার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। তবে মিছিল এগোতে থাকলে সেখানে মোতায়েন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।

    আন্দোলন দমনে সক্রিয় পুলিশ

    গত অগাস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পড়েছিলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। জুলাই-অগাস্টের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে এখনও পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশ। এদিকে তার মধ্যেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারকে। সোমবারই, ঢাকার উপকণ্ঠে অবস্থিত আশুলিয়ায়, বকেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান পোশাক শ্রমিকরা। ওই এলাকায় দোকানপাট ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। এই হিংসাত্মক আন্দোলন দমন করতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং আরও ৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: বন্যার জন্য মমতা দায়ী করেছিলেন কেন্দ্রকে, বৈরিতা ভুলে মোদিই রাজ্যকে দিলেন ৪৬৮ কোটি টাকা!

    এরপর সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন। এই নিয়ে বাংলাদেশে (Fresh protests in Bangladesh) এর আগেও বিক্ষোভ-আন্দোলন হয়েছে। তখন ক্ষমতায় ছিল শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকার। সেই সময়, এই ধরনের বেশ কয়েকটি আন্দোলন হয়েছিল। হাসিনা সরকার অবশ্য তাদের দাবি মানেনি। তবে, এখন সরকার পাল্টে গিয়েছে। কিন্তু নতুন অন্তর্বর্তী সরকারও এই দাবি মানবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হিন্দুদের নির্বিচারে পেটাচ্ছে, পেটের চিন্তায় ভারতের কাছে আলু-পেঁয়াজও চাইছে বাংলাদেশ!

    Bangladesh: হিন্দুদের নির্বিচারে পেটাচ্ছে, পেটের চিন্তায় ভারতের কাছে আলু-পেঁয়াজও চাইছে বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর ভারতে ইলিশ রফতানি করত হাসিনা সরকার (Bangladesh)। তবে চিত্রটা বদলে যায় গত অগাস্ট মাসে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার পরেই। ভারত-বিরোধী শক্তি জামাত-বিএনপির সহায়তায় গণভবন দখল করা হয়। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর পরেই সে দেশে শুরু হয় হিন্দুনিধন যজ্ঞ। সমাজ মাধ্যমের পাতায় জামাত-বিএনপি নেতারা একের পর এক ভারত বিরোধী-হিন্দু বিরোধী উস্কানিমূলক পোস্ট করতে থাকেন। এই আবহে ইউনূস সরকার হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেয়, উৎসবের মরশুমে ভারতে ইলিশ পাঠাতে পারবে না তারা। তার পরেই অবশ্য নির্লজ্জের মতো হাত পেতে ২ লাখেরও বেশি মুরগির ডিম আমদানি করে বাংলাদেশ। এবার জামাত-বিএনপি’র কাছে প্রাণভোমরা থাকা ইউনূস সরকারের আর্জি, যেন কোনওভাবেই আলু এবং পেঁয়াজের রফতানি ভারত বন্ধ না করে। এর পাশাপাশি ইলিশ রফতানি করার ইস্যুটি ভারতের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব (Bangladesh) ফেলবে না বলেও জানিয়েছে তারা।

    পেটের চিন্তা বড় চিন্তা (Bangladesh)

    ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সে দেশে অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধি দেখা গিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে। মুরগির ডিমের দাম পৌঁছায় ১৫-১৬ টাকায়। ভারতের কাছ থেকে তা আমদানি করার পরে দাম কমে আসে ৭ থেকে ৮ টাকায়। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর দাম কমবেশি ৭০ টাকা। সে দেশে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আবার ১৪০ টাকা দরে। হাসিনা সরকারের আমলে আলুর দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকার মধ্যে। পেটের চিন্তা, বড় চিন্তা-আপাতত তাই ভারত-বিরোধী ডায়লগ দেওয়া বন্ধ করে সামান্য আলু-পেঁয়াজে সন্তুষ্ট হতে চাইছে তারা। ইলিশ (Hilisha) দেব না হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে ড্যামেজ কন্ট্রোলেও নামতে দেখা গিয়েছে সে দেশের মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতারকে। এক সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর বিবৃতি, ‘‘শুধু ভারত নয়, কোনও দেশেই ইলিশ পাঠাচ্ছি না আমরা। এবার ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশ (Hilisha) ধরাও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।’’

    ১০ জন ব্যবসায়ীকে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে

    জানা গিয়েছে, পেটের তাগিদে ভারত থেকে দ্রুত আলু আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ (Bangladesh)। এ কারণে মোট দশজনকে ‘ইমপোর্ট পারমিট’ (আইপি) দিয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সরকার। গত শুক্রবারই এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলি। তিনি জানান, বাংলাদেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে বন্দরের ১০ জন ব্যবসায়ীকে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘সরকারের উচিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। ভারত থেকে আলু আমদানি হলে দেশের বাজারে দাম অনেকটাই কমে আসবে, এ নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Unrest: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ, আনসার ও ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ! আহত ৪০

    Bangladesh Unrest: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ, আনসার ও ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ! আহত ৪০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ (Bangladesh Unrest) ত্যাগ করার পর কোটা বিরোধী আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে আনসার বাহিনীর বেশ গালায় গালায় ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেই তাল কাটল রবিবার। ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে আনসার বাহিনীর সংঘর্ষে (Student Ansar forces clash) এক সমন্বয়ক-সহ আহত ৪০ জন হয়েছেন। রবিবার রাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অনেকে মনে করছেন এই ঘটনা কার্যত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অশনি সংকেত। আহতদের মধ্যে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকেও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত (Bangladesh Unrest)?

    ঘটনার সূত্রপাত হয় ঢাকায় বাংলাদেশ (Bangladesh Unrest) সরকারের সচিবালয়ে। রবিবার কয়েকশো আনসার সদস্য ঢুকে স্লোগান দিতে শুরু করে। তাদের বক্তব্য ছিল, বৈষম্যের অবসান চেয়ে হাসিনার সরকারের পতন ঘটেছে। অভিযোগ, বিগত সরকারের দ্বারা আনসার বাহিনী সব থেকে বেশি বঞ্চনার শিকার হয়েছে। এবার তারা চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে সরব হয়। তাদের আরও দাবি, প্রতি তিন বছর অন্তর ছয় মাসের জন্য চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়, এই ব্যবস্থার দ্রুত অবসান করতে হবে। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের উদ্দেশে তারা আরও জানায়, হাসিনার সময় ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে পুলিশের মতো আচরণ করেনি আনসাররা। কোথাও প্রকাশ্যে গুলি করা হয়নি, শূন্যে গুলি করা হয়েছিল কেবল। আজকে এই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা অভিযুক্ত পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে রয়েছে, এটা অত্যন্ত অন্যায়।

    আরও পড়ুনঃ আত্মরক্ষার অধিকার! লেবাননে হিজবুল্লার কয়েক ডজন জঙ্গিঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক ইজরায়েলের

    নিয়ন্ত্রণে সেনা বাহিনী

    আনসার সদস্যদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকারীদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়। ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েন সমন্বয়করা। আনসার বাহিনীর সদস্যদের আটকাতে গেলে ব্যাপক গোলমাল বাধে। ঘটনায় একপ্রকার সচিবালয় (Bangladesh Unrest) অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। এরপর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অফিসে আটকে পড়েন উপদেষ্টা এবং আমলা-কর্মচারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ঠিক হয়, ছয় মাস কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাকে অবিলম্বে অবসান করা হবে। পরে বাকি দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। এরপর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সচিবালয় ছাড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। কিন্তু সমন্বয়ক নাহিদ, সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লা সচিবালয়ে ছিলেন। এদিকে আনসাররাও সেখানে অপেক্ষা করেন। অপর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হস্টেলে রটে যায় যে, আনসার বাহিনী সচিবালয় ঘেরাও করেছে। ছাত্ররা উদ্ধার করতে গেলে ব্যাপক সংঘর্ষের (Student Ansar forces clash) ঘটনা ঘটে। চলে দুই পক্ষের মধ্যে ইট বৃষ্টি। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনী নামানো হয়। উপদেষ্টাদের নিরাপদে বাড়িতে ফেরানো হয় এবং আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হাসিনার দলকে নির্মূলের চেষ্টা! গ্রেফতার আওয়ামি লিগ নেত্রী দীপু মনি

    Bangladesh Crisis: হাসিনার দলকে নির্মূলের চেষ্টা! গ্রেফতার আওয়ামি লিগ নেত্রী দীপু মনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছেন আওয়ামি লিগের (Awami League) নেতা-কর্মীরা। এবার প্রাক্তন হাসিনা সরকারের মন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনিকে (Dipu Moni) গ্রেফতার করল ঢাকা পুলিশ (Dhaka Police)। হাসিনা মন্ত্রিসভার সমাজকল্যাণ, বিদেশ ও শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন দীপু। হয়তো সেটাই তাঁর অপরাধ। তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল তা এখনও স্পষ্ট করেনি সেদেশের পুলিশ।

    কেন গ্রেফতার দীপু মনি

    ঢাকা মহানগর পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার সময় বারিধারা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মনিকে। যদিও ঠিক কোন অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশ কিছু জানায়নি। তবে গ্রেফতারের পর আওয়ামি লিগ (Awami League) নেত্রীকে গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে, গত ১৩ অগাস্ট হাসিনা সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত সলমন এফ রহমানকে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (Dhaka Police)। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলন (Bangladesh Crisis) চলাকালীন ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দোকানদারের মৃত্যুর ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। 

    এখানেই শেষ নয়। ১৪ অগাস্ট প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, প্রাক্তন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলিগের (Awami League) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তনভির হাসান সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৬ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয় সেনাবাহিনী থেকে সদ্য বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে। গ্রেফতার করা হয় জলসম্পদ মন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগের নেতা রমেশচন্দ্র সেনকেও।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

    আওয়ামি লিগকে (Awami League) নিষিদ্ধ করার দাবি

    এদিনই ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামি লিগ দলকেই নিষিদ্ধ করা এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে চেয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে তাদের কার্যনির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া এই রিট পিটিশন দায়ের করেছেন। শেখ হাসিনার নামে থাকা যাবতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিরও নাম পরিবর্তন করতে চাওয়া হয়েছে এই আবেদনে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার ওপর এবার গণহত্যার দায় চাপিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের

    Sheikh Hasina: শেখ হাসিনার ওপর এবার গণহত্যার দায় চাপিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ওপর এবার গণহত্যার দায় চাপিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের হল। মূল অভিযোগে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার-বিরোধী আন্দোলন দমন করা ও গণহত্যায় প্রত্যক্ষ মদত ছিল হাসিনা এবং আওয়ামি লিগের। একথাই বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছে। এছাড়াও বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েকটি হত্যা এবং অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। এসবই হাসিনার ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল চলছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    ‘প্রথম আলো’ সূত্রে খবর (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত নেতা আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মহম্মদ বুলবুল কবীরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজি এমএইচ তামিম বুধবার মামলা দায়ের করেন। ঢাকায় ট্রাইব্যুনালের আঞ্চলিক দফতরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন আইনুযায়ী তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপের আবেদন জানান তিনি। তবে এই আবেদনে ঘটনাস্থল হিসেবে সারা বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ১৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হয়েছিল। এই অভিযোগে হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য, উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক এবং আওয়ামি লিগ ও তার ছাত্র-যুব শাখার নেতাদের অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক আতাউর রহমানও বলেন, “এদিন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, গাজি এমএইচ তামিম এই সংক্রান্ত মামলা রুজু করেছেন।”

    আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মুছতে চায় বাংলাদেশ! জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল

    হাসিনা ছাড়া আর কাদের বিরুদ্ধে মামলা?

    ১৪ অগাস্ট রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং প্রাক্তন আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় হাসিনা ছাড়াও উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও রাজনৈতিক নেতাদের আসামি হিসেবে নাম যুক্ত করা রয়েছে। তাঁরা হলেন, প্রাক্তন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী এমএ আরাফাত, প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরি আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাক্তন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও প্রাক্তন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ। এছাড়াও আওয়ামি লিগ, যুব লিগ, ছাত্র লিগ-সহ অন্যান্য শাখা সংগঠনগুলির বিরুদ্ধেও খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share