Tag: sir

  • SIR: তথ্য যাচাইয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল করলে বিএলওদের কড়া শাস্তি! চিঠিতে নির্দেশ সিইও মনোজ আগরওয়ালের

    SIR: তথ্য যাচাইয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল করলে বিএলওদের কড়া শাস্তি! চিঠিতে নির্দেশ সিইও মনোজ আগরওয়ালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর-এর (SIR) কাজে তথ্য যাচাইয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল হলে কোনও ভাবেই রেয়াত করা যাবে না। বিএলওদের কড়া বার্তা দিল মুখ্য নির্বাচনী দফতরের আধিকারিক সিইও। রাজ্যের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাতিল প্রসঙ্গে আর কোনও আপস নয়। তাই কমিশনের তরফে তোড়জোড় নির্দেশ। বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর থেকেই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের কাজ শুরু হয়েছে। ইআরওদের নতুন সফটঅয়্যার দিয়েছে কমিশন (Eelection Commission)। বিএলও উদ্দেশে চিঠি দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গত সপ্তাহে কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে দফতরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

    মনোজ আগরওয়ালের চিঠি (SIR)  

    রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল সমস্ত বিএলওদের (SIR) স্পষ্ট ভাবে  নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, “এসআইআর-এর দায়িত্ব পুরোপুরি বিএলও-দের। ইচ্ছাকৃত ভুল ধরা পড়লে কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না। গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভিত্তি হল ভোটার তালিকা। এই তালিকার নিবিড় সংশোধন একান্ত প্রয়োজন। খসড়া এবং চূড়ান্ত তালিকা নির্মাণে একচুল পরিমাণ ঢিলেমি মেনে নেওয়া চলবে না।”

    বিএলও-দের পাঠানো চিঠিতে কমিশনের (Eelection Commission) তরফে বক্তব্য ছিল— কোনও যোগ্য ভোটার যেন বাদ না পড়ে। কোনও অযোগ্য ভোটার যেন তালিকায় না ঢুকে থাকে। আর যদি এ দু’টি কাজ করতে গিয়ে ফাঁক থাকে তার দায় বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিএলওকেই। একইসঙ্গে কমিশনের তরফে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন যেসব বিএলওরা। পাশাপাশি স্পষ্ট বার্তা কমিশনের যে কাজের প্রশংসা অবশ্যই থাকবে, কিন্তু অবহেলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। দেশের সুরক্ষা এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত।

    বিএলওরা বিএলএদের সঙ্গে এলাকায় বৈঠক করবেন

    নির্বাচন কমিশন (Eelection Commission) দফতরে খবর কোনও ভোটার একের বেশি এনুমারেশন ফর্ম (SIR) জমা দিলে এই প্রযুক্তিতে তথ্য ধরা পড়বে। এরপর শুরু হবে চিহ্নিত করণের কাজ। ইআরও-রা বৃহস্পতিবার থেকে এই প্রযুক্তিতে কাজ করবেন। এর পরে জাল ভোটার পাকড়াও করতে ডিইও, সিইও এবং কমিশন এই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। বিএলওরা নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের বিএলএ-দের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা এবং মতামত গ্রহণ করা হবে। তবে কমিশনের সাফ নির্দেশ এলাকা বা বুথের বাইরে কোনও বৈঠক করা যাবে না।

    খসড়ায় নেই ৫২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৬৩ জন

    কমিশন (Eelection Commission) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই রাজ্যে এসআইআর-এর (SIR)  কারণে বাদ যেতে চলেছে প্রায় ৫০ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এই খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। শেষ পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত ৫২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৬৩ জনের নাম খসড়া তালিকায় থাকবে না। তার মধ্যে রয়েছে মৃত ভোটার, একাধিক জায়গায় নাম রয়েছে এমন, ঠিকানা বদল হয়েছে এমন নাম এবং জাল ভোটারদের নাম। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত ভোটারের সংখ্যা হল ২৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৫ জন, এক ঠিকানা থেকে অন্য ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়েছেন ১৮ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩০২ জন। বি এলওরা খুঁজে পাননি এমন সংখ্যাটাও ৯ লক্ষ ৪২ হাজার ১৬২ জন।

    জ্ঞানেশ কুমারকে আসতে হবে

    বিহারের পর বাংলা সহ দেশজুড়ে ১৩ টি রাজ্যে নিবিড় সংশোধনের (Eelection Commission) কাজ চলছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বিএলওদের মৃত্যু এবং আতঙ্কিত হয়ে মৃত্যুর অজুহাত খাড়া করে বারবার কমিশনকে নিশানা করেছেন। অপর দিকে এসআইআর শুরু হতেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা নিউটাউন, মধ্যমগ্রামের, গুলশান কলোনীর বস্তিগুলিকে খালি করে সীমান্তের বর্ডারে ভিড় করছে। পাশাপাশি এসআইআর-এর কাজ ফাঁকি দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। হিন্দুদের নাম বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আর তাই রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য তালিকার কাজ সরেজমিনে দেখার জন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে খোদ বাংলায় এসে কাজের সমীক্ষা করার দাবি করেছেন। এখন কমিশন কতটা পরিমাণে এসআইআর নির্ভুল করে তাই এখন দেখার।

  • Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহী বৈঠকে শুভেন্দু, কমিশনের দফতরেও গেলেন বিরোধী দলনেতা

    Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহী বৈঠকে শুভেন্দু, কমিশনের দফতরেও গেলেন বিরোধী দলনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই বুধবার দিল্লি গেলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দেখা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে। শাহের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি, এদিন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরেও (Election Commission) যান শুভেন্দু। দেখা করেন নির্বাচন কমিশনার বিবেক জোশীর সঙ্গে।

    অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত

    বুধবার দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সংসদে অমিত শাহের অফিসে তাঁদের বৈঠক হয়। মিনিট ২৫ কথা হয়। তবে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি শুভেন্দু। সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে শুভেন্দুর।

    নির্বাচন কমিশনের দফতরে শুভেন্দু

    সেইসঙ্গে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরেও যান শুভেন্দু। দেখা করেন নির্বাচন কমিশনার বিবেক জোশীর সঙ্গে। জানা গিয়েছে, কমিশনে একাধিক অভিযোগ জানান তিনি। দলের নির্দেশে তিনি নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন বলে বিরোধী দলনেতা জানান। নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “২৬, ২৭ ও ২৮ নভেম্বর বিএলও-দের কাছ থেকে ওটিপি নিয়ে যেভাবে ১ কোটি ২৫ লক্ষ নাম ডিজিটাইজড করা হয়েছে, সেটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক গতিবিধি। অনেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর বাবার নাম, মায়ের নাম পাল্টে দিয়ে এটা করা হয়েছে। একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় এটা দেখবেন।”

    কমিশনকে চিঠিতে শুভেন্দুর দাবি

    এসআইআর এর প্রথম দফার কাজকর্মে বাংলায় বুথ লেবেল অফিসারদের নানাভাবে তৃণমূল ম্যানেজ করেছে বলে বিজেপির অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে এসআইআর (SIR) এর দ্বিতীয় দফা প্রক্রিয়া শুরুর আগে কমিশনকে মঙ্গলবার চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে কমিশনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করে শুভেন্দু সতর্ক করেছেন, “এই পর্যায়ে কোনও আপস হলে চিরস্থায়ী ক্ষতি হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকার সততায়।” চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর দ্বিতীয় ধাপ পুরো প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ, এই ধাপেই দাবি-আপত্তি, নথি জমা ও খতিয়ে দেখার কাজ হয়। সেই কাজেই নাকি ‘অতিমাত্রায় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব’ খাটানো হচ্ছে বলে “নির্ভরযোগ্য ও ধারাবাহিক রিপোর্ট” পাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, এই অভিযোগগুলির কারণেই প্রশ্নের মুখে পড়ছে এসআইআর-এর নিরপেক্ষতা।

    মাইক্রো অবজার্ভারের তত্ত্বাবধানে স্ক্রুটিনি

    শুভেন্দুর দাবি, এসআইআর এর দ্বিতীয় ধাপকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরাপদ রাখতে নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে দু’টি ব্যবস্থা নিতে হবে। এক, পুরো প্রক্রিয়াই রাখতে হবে মাইক্রো অবজার্ভারের কঠোর তত্ত্বাবধানে। এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এই মাইক্রো অবজার্ভারদের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী হওয়া জরুরি। দুই, দাবি-আপত্তি শুনানি ও যাচাইয়ের কাজ ১০০ শতাংশ সিসিটিভি–র আওতায় রাখতে হবে। এবং সেই সমস্ত ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে এসআইআর-এর শেষ দিন পর্যন্ত। তাঁর দাবি, এটা না হলে কারচুপি আটকানো অসম্ভব। চিঠিতে আরও লেখা আছে, ভোটার তালিকা দ্রুত ত্রুটি মুক্ত না হলে ভবিষ্যতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই নির্বাচন কমিশনকে “অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও কঠোর নজরদারি” নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

  • Digital Survey: দেশে শুরু হবে জনগণনা, কবে থেকে জানেন?

    Digital Survey: দেশে শুরু হবে জনগণনা, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে দেশে চলছে এসআইআর। এই পর্বের শেষেই শুরু হয়ে যাবে জনগণনার (Census) কাজ। অন্তত এমনই জানাল (Digital Survey) কেন্দ্র। ২০২৭ সালে হবে জনগণনা। শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সংসদে এমনই ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। যদিও এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে চলতি বছরের ১৬ জুন। মোট দু’দফায় হবে এই সেনসাসের কাজ। প্রথম পর্যায়ে হবে গৃহ তালিকাভুক্তি ও আবাসন জনগণনা। এটি চলবে ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে হবে জনগণনা। এটি হবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং লাদাখের মতো পাহাড়ি অঞ্চলগুলিতে যেহেতু তুষারপাত হয়, তাই সেই সব জায়গায় জনগণনা হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Digital Survey)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, “দেশের সর্বত্র গণনার জন্য ২০২৭ সালের ১ মার্চকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে। তবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের বরফ-ঢাকা অঞ্চলগুলির জন্য জনগণনা হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর রেফারেন্স তারিখ গণ্য হবে। এই প্রক্রিয়াটিতে পূর্ববর্তী অনুশীলনগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্য ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

    প্রশ্নপত্র তৈরি

    প্রশ্নপত্র তৈরির বিষয়ে জনগণের মতামত সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে এমএইচএ জানিয়েছে (Digital Survey), জনগণনার প্রশ্নাবলী কেবল মাত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক, ব্যবহারকারী সংস্থা এবং বিষয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত করা হয়। জনগণনা ২০২৭ সালের মধ্যে দেশব্যাপী একটি প্রি-টেস্ট গত ৩০ নভেম্বরে শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত প্রশ্নাবলী শীঘ্রই বিজ্ঞাপিত হবে বলেই মন্ত্রক জানিয়েছে। জনগণনা বিধি, ১৯৯০ সালের ৬ নম্বর বিধি অনুযায়ী, জনগণনার প্রশ্নাবলী এবং তফশিলগুলি আইনের ধারা ৮-এর উপধারা (১) এর অধীনে সরকারি গেজেটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপিত হয় সরকারি গেজেটের মাধ্যমে। প্রশ্নাবলী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেনসাস কমিশনারের কার্যালয়।

    আগামী জনগণনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হবে ৭০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করা। এটি হবে ভারতের প্রথম ডিজিটাল জনগণনাও। এখানে তথ্য সংগ্রহ করা হবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। তবে যেসব অঞ্চলে এই সুবিধা নেই, সেখানে কাগজ-ভিত্তিক ফর্মও (Census) পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। তবে করোনা অতিমারির কারণে সেই সময় হয়নি (Digital Survey)।

  • Suvendu Adhikari: মৃতদের ‘জ্যান্ত’ করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তৃণমূল! ‘হাতে গরম প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মৃতদের ‘জ্যান্ত’ করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তৃণমূল! ‘হাতে গরম প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআরের (SIR) কথা ঘোষণা হতেই ফুঁসে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। সৌজন্য তো বটেই, হেটো রাজনীতি করতে গিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে (বিরোধীদের অভিযোগ) এসআইআরের প্রতিবাদে পথে নেমে পড়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন (Suvendu Adhikari), ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের বাঁচিয়ে রেখে দিব্যি গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছে তৃণমূল। এসআইআর হলে বাদ পড়বে এদের নাম। স্বাভাবিকভাবেই গদি খুইয়ে পথে বসতে হবে তৃণমূলেশ্বরীকে। রাজ্যের বিরোধী দল প্রথম থেকেই এই দাবিটাই করে আসছে।

    হাতে গরম প্রমাণ (Suvendu Adhikari)

    তাঁদের অভিযোগ, ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের কার্ড কাজে লাগিয়ে ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছে তৃণমূল। তাই এই বিরোধিতা। বিরোধীদের এহেন দাবি যে নিছক গল্পগাছা নয়, তার ‘হাতে গরম প্রমাণ’ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি ছবিও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর দাবি, বিভিন্ন জায়গায় বিডিওদের দিয়ে অপকর্ম করানো হচ্ছে। প্রশাসনকে অপব্যবহার করে প্রভাবিত করা হচ্ছে এসআইআর প্রক্রিয়াকে। শুভেন্দুর দাবি, “কুলতলি, জয়নগর বিধানসভা-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিএলওদের চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়ে।”

    কথোপকথনের নমুনা

    কুলতলির বিডিও যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন তার কথোপকথন নমুনা হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মৃত ব্যক্তিদের নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না পড়ে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নিধেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। যে ভোটাররা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন, তাঁদের তথ্যও অপরিবর্তিত রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে (SIR)।” বিধায়কের (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অমান্য করে প্রশাসন আদৌ কি এই রকম নির্দেশ দিতে পারে?” এই ইস্যুটি খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশনকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। নন্দীগ্রামের বিধায়কের পোস্টের পর এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।

    আইপ্যাককে নিয়ে প্রশ্ন

    সোমবারই সিইও অফিসে গিয়ে মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শুভেন্দু। সিইও-র সঙ্গে বৈঠকের সময় আইপ্যাককে নিশানা করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আইপ্যাকের সাহস হয় কীভাবে, ডেটা এন্ট্রিতে ঢুকছে?” এজন্য সিবিআই তদন্তও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আইপ্যাককে নিয়ে আগেও বোমা ফাটিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ ছিল, তৃণমূল আইপ্যাকের সাহায্য নিয়ে ভোটার তালিকায় ভুয়ো এবং মৃত ভোটারদের নাম রাখছে (SIR)। তাঁর প্রশ্ন, “নির্বাচন কমিশন কি এই প্রশাসনিক অন্তর্ঘাত উপলব্ধি করতে পারছে না?”

    দলদাস প্রশাসনের কীর্তি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “দলদাস প্রশাসনের কীর্তি দেখুন। এই ভয়েস ক্লিপিং ফলতারই একজন বিএলওর যিনি পরিষ্কার অভিযোগ করেছেন, ফলতার বিডিও এবং এআরও গতকাল বিকেল তিনটের পর সব বিএলওদের ফোন করে নির্দেশ দেন, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কোনও মৃত ব্যক্তির নাম কাটা যাবে না। অথচ পরিবারের লোক মৃতদের এনুমারেশন ফর্মে ডিক্লিয়ারেশন স্বাক্ষর করেছেন (Suvendu Adhikari)। বিএলওদের বলা হচ্ছে, ফর্মগুলি আপলোড না করে, অ্যানিম্যাপিং করে ছেড়ে দিতে, কেন যাতে পরে জোচ্চুরি করা যায়!” শুভেন্দু বলেন, “ফলতা নিয়ে অডিও ট্যুইট করেছি। তার পরে কুলতলিতে স্ক্রিনশট দিয়েছি। বলছে, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া মৃত ভোটারের নাম কাটা যাবে না। অথচ তাঁর বাড়ির লোক লিখে দিচ্ছেন ডেড। তবুও রাখতে হবে। এরা হাইকোর্ট, কাউকে মানে না। এদের কপালে অনেক দুঃখ আছে (SIR)।”

    অডিও ক্লিপ জমা দিয়েছিল সিপিএমও

    এদিকে, মৃত ভোটারদের নাম তালিকায় রেখে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছে তৃণমূল। এমন মারাত্মক অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে অডিও ক্লিপ জমা দিয়েছিল সিপিএমও (Suvendu Adhikari)। এর প্রায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এক্স হ্যান্ডেলে একটি অডিও ক্লিপ পোস্ট করে কার্যত একই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, এই অডিও ক্লিপে একটি কণ্ঠস্বর এক বিএলওর। যিনি ফলতার বিডিও এবং এআরওর নামে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছেন। সোমবার সিইওর দফতরে সিপিএমের তরফে যে অডিও ক্লিপ জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানেও শোনা গিয়েছে, মৃতদের নাম ভোটার লিস্টে রেখে দিতে, ডেথ সার্টিফিকেট না দেওয়ার প্রসঙ্গ।

    এদিকে, নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে ২ হাজার ২০৮টি পোলিং স্টেশনে ১০০ শতাংশ পূরণ করা এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। অর্থাৎ এই পোলিং স্টেশনগুলিতে না কোনও মৃত ভোটার আছে, না কোনও স্থানান্তরিত ভোটার। এমনটা কি আদৌ সম্ভব? এই পরিসংখ্যান নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই বারংবার প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভোটার তালিকায় মৃতদের ‘জ্যান্ত’ করে রাখার মরিয়া (SIR) চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল (Suvendu Adhikari)?

  • SIR: আগামী ৭ দিনে কী কী করতে হবে, এসআইআর নিয়ে জেলাশাসকদের চিঠি রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের

    SIR: আগামী ৭ দিনে কী কী করতে হবে, এসআইআর নিয়ে জেলাশাসকদের চিঠি রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর নিয়ে জেলাশাসকদের চিঠি রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের (Election Commission)। অতিরিক্ত সাত দিনে কী কী করতে হবে তা নিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা। উল্লেখ্য এনুমারেশন ফর্ম (SIR) আপলোড করার সময়সীমাকে বৃদ্ধি করে ৪ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। তাই স্পষ্ট নির্দেশ অতরিক্ত সময়কে কাজে লাগিয়ে নিবিড় সংশোধনের কাজকে আরও নির্ভুল করতে হবে। কোনও বৈধ ভোটারদের নাম, ঠিকানা এবং প্রয়োজনীয় তথ্যে যেন ভুল না থাকে তা নিয়েও দেওয়া হয়েছে সতর্কবাণী।

    বিএলও এবং ইআরও-দের এক সপ্তাহ অতিরিক্ত সময় (SIR)

    রবিবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, “এসআইআর-এর প্রক্রিয়া সাতদিন আরও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার কাজকে সম্পন্ন করতে হবে। বিএলও এবং ইআরও-রা এক সপ্তাহ সময় অতিরিক্ত পাবেন। তাই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশ ওই সময়কে ভালো করে কাজে লাগিয়ে ভোটার তালিকাকে আরও শুদ্ধ এবং নির্ভুল করতে হবে। বিএলওদের কাছে থাকা সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম ২ ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। এনুমারেশন ফর্ম ২ তারিখের পরে কোনওভাবেই আর গ্রহণ করা হবে না। ১১ ডিসেম্বরের পর যদি কোনও ফর্ম বাড়ি থেকে জমা নেওয়া হয় তাহলে অ্যাপে সেগুলিকে অসংগ্রহযোগ্য হিসেবে দেখানো হবে।”

    অসাবধান হলে কড়া ব্যবস্থা

    রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিক (Election Commission) আরও জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সময়ে পাওয়া সকল তথ্য পুরনায় ভালো করে মিলিয়ে দেখতে হবে। বিএলও-দের দেওয়া অ্যাপে প্রত্যেক আপলোড করা ফর্মের সঙ্গে মূল হার্ডকপিকে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যে ফর্মগুলি কোনও সংস্থা এবং ব্যক্তি করেছেন তা ভালো করে চেক করতে হবে। সমস্ত কাজের জন্য বিএলও-রাই দায়বদ্ধ থাকবেন। আর যদি কোনও কাজে অসাবধানতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বয়স ভালো করে যাচাই

    কাদের কাদের ক্ষেত্রে পুনরায় যাচাই করতে হবে? এই বিষয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর জানিয়েছে, যেসব ভোটাররা নিজেদের দাবি করছে পরিবারের প্রধান তারা। তাদের ক্ষেত্রে ২০০২ সালের তালিকায় বয়স ৬০ হয়েছে কিনা তা ভালো করে যাচাই করে দেখতে হবে।

    যাদের ২০০২ সালে কেবলমাত্র বাবা মায়ের নাম রয়েছে, তাদের বয়স যদি ২০২৫ সালে ৫০ হয়, আবার ২০০২ সালে বয়স ২৫ বা বেশি হয়, তাহলে কেন তালিকায় নাম নেই, এই প্রশ্নও করতে হবে। ম্যাপ করা বাবা-মায়ের নাম যদি ২০২৫ সালের তালিকার সঙ্গে না মিলে তাহলে ভোটারের বাড়ি গিয়ে বা ফোন করে তথ্যের সঠিক বিষয়কে নিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। বাবা-মায়ের সঙ্গে যদি সন্তানের বয়স ৪৫ বছরের বেশি বা ১৮ বছরের কম হয় তাহলে সেগুলিকে ভালো করে যাচাই করতে হবে।

    পরিবারে গিয়ে ভালো করে তথ্য সংগ্রহ

    পরিবারের কেউ যদি এলাকায় উপস্থিত না থাকে তাহলে বিএলওকে ভোটারের বাড়িতে গিয়ে যাচাই করতে হবে। একই ভাবে ভালো করে নিশ্চয়তার সঙ্গে জানতে হবে অন্য রাজ্য বা জেলায় ভোটার হয়েছে কিনা। অ্যাপে ভুল এন্ট্রি হলে তাকে সংশোধন করতে হবে। সংশোধন করতে গেলে বিএলও-কে ইআরও এবং এইআরও-রা সহযোগিতা করবে। ২০২১ এবং ২০২৪ সালে যেসব বুথ গুলিকে স্পর্শ কাতর বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে ফর্ম ভালো করে যাচাই করতে হবে। ৫০ শতাংশ ম্যাপিং যেখানে যেখানে হয়েছে সেখানে সেখানে তথ্য ভালো করে যাচাই করতে হবে। তালিকায় কোন রকম ভুল থাকবে না।

    মৃতদের নাম বাদ

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরও জানিয়েছে, জন্ম মৃত্যু তথ্য বা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে মৃত ব্যক্তির তথ্য নিতে হবে। মৃত হয়েছে এবং রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে এমন ব্যক্তিদের তথ্য নিতে হবে। মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ করতেই হবে। তথ্য যাচাই করে ইআরওদের এই নাম বাতিলের কাজ করতে হবে। তাই খুব নিবিড় ভাবে ভালো করে তথ্য যাচাই করতে হবে। যদি এন্ট্রি ভুল হয় তাহলে তাকে ভালো করে কারেকশন করতে হবে। যে সব বুথে শূন্য থেকে ২০টি আনকালেক্টেবল ফর্ম রয়েছে বা বেশির ভাগ এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হয়ে ফেরত এসেছে, এখানে বিএলও-রা ঠিকমতো এন্ট্রি করছেন কীভাবে তাও ভালো করে পরীক্ষা করতে হবে।

  • SIR in Bengal: এনুমারেশন ফর্মে ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ! বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের

    SIR in Bengal: এনুমারেশন ফর্মে ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ! বিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিরোধীদের দাবি মেনেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল। সোমবারই বদল আনা হয় অ্যাপে। এনুমারেশন ফর্ম (SIR in Bengal) সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা অ্যাপের মাধ্যমে এন্ট্রি করে থাকেন। সেই অ্যাপে এবার এল ‘এডিট‘ অপশন। বিএলও-রা একবার নাম এন্ট্রি করে ফেললে সেটি আর বদলানোর কোনও উপায় ছিল না এতদিন পর্যন্ত। এবার নির্বাচন কমিশন এমন ব্যবস্থা চালু করল যে ইআরও-রা ওই অ্যাপে এডিট করতে পারবে। অর্থাৎ বিএলও-দের কোনও ভুল হলে ইআরও-রা তা পরিবর্তন করতে পারবে।

    ভুল এন্ট্রি হয়ে থাকলে সংশোধন

    কমিশন সূত্রে খবর, ভোটারদের তথ্য এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে কোনও ভুল হয়ে থাকলে এ বার তা সংশোধন করা যাবে। সোমবারই এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করছে কমিশন (Election Commission)। জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর জন্য যে অতিরিক্ত সময় পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে এই ভ্রম সংশোধনের কাজ সেরে ফেলতে হবে। ভোটারদের তথ্য ডিজিটাইজ করার সময় ‘ভুল এন্ট্রি’ করা নিয়ে সম্প্রতি নানা জায়গা থেকে অভিযোগ উঠছিল। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কমিশনের কাছে বিএলও এবং ইআরও-দের বিরুদ্ধে ভুল এন্ট্রি করার অভিযোগ এনেছিলেন। কারও কারও দাবি, বিএলএ-দের চাপে পড়ে অনেক ক্ষেত্রে ভুল এন্ট্রি করতে বাধ্য হচ্ছিলেন বিএলও-রা। সেই আবহেই এই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তার পরেও অতিরিক্ত সময় পাওয়া গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোথাও কোনও ভুল এন্ট্রি হয়ে থাকলে তা সংশোধন করতে পারবেন বিএলও-রা।

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগকে মান্যতা

    উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী সোমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ জানিয়েছেন, বিএলও-দের চাপ দিয়ে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাকের লোকেরা অবৈধভাবে নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সোমবার শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধিরা সিইও দফতরে হাজির হন। একাধিক দাবি জানিয়ে এদিন ডেপুটেশন দিয়েছেন তাঁরা। তারপরই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত। পর্যবেক্ষক আসার পর বিএলও অ্যাপে এই আমুল পরিবর্তন করা হল বলে জানা যাচ্ছে। কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এমনিতেও ভুল এন্ট্রি থাকলে শুনানিপর্বে সব তথ্য যাচাই করা হবে। কিন্তু এখন জানানো হচ্ছে, ভুল এন্ট্রি আগে থেকেই সংশোধন করে ফেলতে হবে।

  • SIR in Bengal: মৃত ২১ লক্ষ, নিখোঁজ ৫ লক্ষ, ভুয়ো…! বাংলায় এখনও পর্যন্ত বাদের খাতায় ৪৩ লক্ষের বেশি ভোটার

    SIR in Bengal: মৃত ২১ লক্ষ, নিখোঁজ ৫ লক্ষ, ভুয়ো…! বাংলায় এখনও পর্যন্ত বাদের খাতায় ৪৩ লক্ষের বেশি ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR in Bengal) প্রক্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত ৪৩ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। কমিশনের (Election Commission) দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট চারটি ক্ষেত্রে ভাগ করে প্রাথমিক পরিসং‌খ্যান জানানো হয়েছে। আপাতত খসড়া তালিকায় থাকছেন না এই ভোটাররা। এনুমারেশন ফর্ম বিলি এবং সংগ্রহের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছে এই ‘বাদের তালিকা’। যাতে রয়েছে মৃত, স্থানান্তরিত, নিখোঁজ এবং ভুয়ো ভোটার।

    কাদের নাম বাদ যাচ্ছে তালিকায়

    কমিশন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২১ লক্ষ ৪৫ হাজার মৃত ভোটার চিহ্নিত হয়েছে। নিখোঁজ ভোটারের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৩ হাজার। স্থানান্তরিত ভোটারের সংখ্যা সোমবার পর্যন্ত ১৫ লক্ষ ১৩ হাজার। ৯৮ হাজার ৬০০ ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত হয়েছে। কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, এর মধ্যে নিঁখোজ ভোটারের যে পরিসংখ্যান প্রাথমিক ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তার হেরফের হতে পারে। কারণ, নিখোঁজ হিসেবে যে ভোটারদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাঁদের কারও কারও খোঁজ মিললেও মিলতে পারে। কারণ, রবিবারই কমিশনের তরফে এসআইআর-এর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৪ ডিসেম্বরের বদলে ফর্ম বিলি ও সংগ্রেহর কাজ চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যদিও সংখ্যার অদলবদল হলেও, তা খুবই নগণ্য হবে বলেই মনে করছেন কমিশনের কর্তারা।

    কোন জেলায় কীরকম কাজ

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত শতাংশের বিচারে সবচেয়ে বেশি মৃত ভোটার চিহ্নিত হয়েছে উত্তর কলকাতা লোকসভা এলাকায়। আর সংখ্যার দিক থেকে তা সর্বাধিক উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। ফলে কমিশনের খাতায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারেই বলেই প্রাথমিক অনুমান সিইও দফতরের আধিকারিকদের। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যা কত, তা স্পষ্ট হবে ১৬ ডিসেম্বর। ওই দিনই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। তাঁরা জানিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ‘আনকালেক্টেড ফর্ম’ অর্থাৎ বিএলও-র কাছে ভোটারের তরফ থেকে জমা না পড়া এনুমারেশন ফর্মের পরিসংখ্যান ৭ শতাংশ। এছাড়াও একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে ফর্ম ডিজিটাইজডের কাজ। এখনও পর্যন্ত এই ডিজিটাইজডের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বসিরহাট উত্তর। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেখানে ডিজিটাইজড হয়েছে ৯৬.০৫ শতাংশ ফর্ম। আনকালেক্টেড ফর্মের নিরিখেও ‘সাফল্য‘ পেয়েছে এই বিধানসভা কেন্দ্র। মাত্র ৩.৩৭ শতাংশ ফর্ম এখনও ‘আনকালেক্টেড‘, যা গোটা রাজ্য়ের নিরিখে সবচেয়ে কম। আর সবচেয়ে বেশি ‘আনকালেক্টেড ফর্ম‘ রয়েছে ব্যারাকপুরে। মোট ১৫.৬২ শতাংশ।

  • Suvendu Adhikari: এক রাতে ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি! কমিশনের কাছে বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এক রাতে ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি! কমিশনের কাছে বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরও সুরক্ষিত নয়, দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে (CEO Office) এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে। এরমধ্যেই দফতরে ঢুকে সিইও মনোজ আগরওয়ালের (CEO Manoj Agarwal) সঙ্গে বৈঠক শুরু হয় শুভেন্দুদের। সেখানেই একাধিক দাবি তুলে ধরেন তিনি। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, “সময় নিয়ে এসেও এইভাবে বাধার সম্মুখীন হতে হল, এর থেকেই বোঝা যায় সিইও অফিস সুরক্ষিত নয়।”

    ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি!

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের ফর্ম জমা নেওয়ার কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে গুরুতর অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে হাজির হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একগুচ্ছ দাবি জানিয়ে এসেছেন তিনি। মূলত ২৬, ২৭ ও ২৮ নভেম্বরের এন্ট্রি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই তিনদিনের প্রত্যেকটা এন্ট্রি পর্যবেক্ষকদের দিয়ে অডিট করাতে হবে। আধুনিক ব্যবস্থা ব্যবহার করে করতে হবে অডিট। রাতারাতি ১ কোটি ২৫ লক্ষ এন্ট্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। এতে এইআরও, ইআরও ও আইপ্যাক যুক্ত আছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।

    সিইও দফতরে ডেপুটেশন

    শুভেন্দু বলেন, “এটা একটা স্ক্যাম।” বিরোধী দলনেতার দাবি, সারা দেশে এসডিও-দেরই ইআরও করা হয়। এ রাজ্যে ল্যান্ড অফিসারকেও ইআরও করা হল কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু বলেন, “এটা করতে পারেন না। এসডিও র‍্যাঙ্কের অফিসারকেই করতে হবে।” ভোটকুশলী সংস্থা আইপ্যাক এসআইআর-এর ডেটা এন্ট্রি করেছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। বিসিএস, আইএএস-দেরই শুধু ইআরও করতে হবে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, বহু বাংলাদেশি মুসলমান ও মৃতদের নাম ঢোকানো হয়েছে। শুভেন্দুর নেতৃত্বে এদিন সিইও দফতরে ডেপুটেশন দেন বিজেপি বিধায়করা।

    সিইও অফিস অন্যত্র স্থানান্তর

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “৫০০০ বিএলও বেনিয়ম করেছেন, এখনও করছেন। দু’মাস পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (WB CEO) এবং এসআইআর-এর (SIR) কাজের জন্য দিল্লির নিয়োগ করা বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্তর (Subrata Gupta) সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেইসময়েই দফতরের বাইরে অবস্থান করা ‘বিএলও অধিকার রক্ষা’ কমিটির সদস্যরা তাঁদের দেখে চিৎকার করতে থাকেন। শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। শুরু হয় স্লোগান-পাল্টা স্লোগান। মনোজ আগরওয়ালের কাছে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,“অবৈধভাবে সিইও অফিসে আসার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা জেনেছি, সিইও অফিস অন্যত্র স্থানান্তরিত হচ্ছে, সেটা দ্রুত করতে হবে এবং সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।”

  • SIR: দ্রুত সমস্যার সমাধান করে এসআইআর সম্পাদনে সুব্রত গুপ্তকে নিয়োগ কমিশনের

    SIR: দ্রুত সমস্যার সমাধান করে এসআইআর সম্পাদনে সুব্রত গুপ্তকে নিয়োগ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরের (SIR) বিরোধিতায় তৃণমূলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাত চরমে। এই অবস্থায় কমিশন নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল। যাঁকে এই পদে বসানো হয়েছে, তিনি অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সুব্রত গুপ্ত। ক্রমাগত মৃত্যু এবং কাজে বাধার মতো ইস্যুকে পর্যবেক্ষণ করতে শনিবার গুপ্তকে নিয়োগ করা হয়েছে। অন্য দিকে রবিবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ঘোষণা করেছে ১২টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের কাজের সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।

    পর্যবেক্ষক নিয়োগে কাজ দ্রুত এগোবে (SIR)

    বারবার নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) এসআইআর (SIR) ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সমর্থক বিএলওরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে অবস্থান বিক্ষোভও করেছেন। এরপর কমিশন তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তৃণমূলের করা অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এসআইআর একটি নির্দিষ্ট ক্রম এবং নিয়ম মেনে সংবিধানিকভাবেই করা হচ্ছে। ভোটার তালিকা সংশোধন, আপডেট এবং ত্রুটি মুক্ত করার জন্য এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একইভাবে বিএলওদের যারা হুমকি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে আবেদন করে বলা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি যেন অপপ্রচার ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি না করে। এসআইআর প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করতে সুব্রত গুপ্ত এবং ১২ জন আইএএস পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।

    খসড়ার সময়সীমা বৃদ্ধি

    রবিবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে বলা হয়, ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশের জন্য নির্বাচন কর্মীদের আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়়ানো হয়েছে। জমা নেওয়া এবং খতিয়ে দেখার সময়সীমা ১১ ডিসেম্বর শেষ হবে। তবে এই সময়সীমা আগে ৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার তা বাড়ানো হল। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল, এবার সেই খসড়া ভোটার তালিকা ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। বাংলায় তিন পর্যায়ে এসআইআর কাজের প্রথম পর্যায় শেষ হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশন ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত বর্তমান ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারদের সংখ্যা ১৮.৭০ লাখ বলে জানিয়েছে। খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে এমন ভোটারের সংখ্যা ৩৫ লাখ হতে পারে বলে। তবে ৩৫ লাখের এই সংখ্যার মধ্যে ১৮.৭০ লাখ ভোটার রয়েছেন যাঁরা মারা গিয়েছেন। এদিকে, বাকিদের একই নাম একাধিক তালিকায় থাকা, ঠিকানা পরিবর্তন এবং জাল ভোটার হিসেবে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • SIR: বিএলওদের সুরক্ষা দেবে বিজেপি, কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় কমিটি গড়ল পদ্ম-পার্টি

    SIR: বিএলওদের সুরক্ষা দেবে বিজেপি, কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় কমিটি গড়ল পদ্ম-পার্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার লিস্টে নিবিড় তালিকা সংশোধন (SIR) করতে বিএলওদের সুরক্ষা দিতে বিশেষ সমন্বয় কমিটি (BJP National Coordination Committee) গঠন করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ফর্ম বিলি, ফর্ম জমা এবং ডিজিটাইজেশেনের কাজে সমস্যা তৈরি হওয়ায় কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে বিএলওরা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। এবার সমস্যা সমাধান এবং রাজ্যে এসআইআরের কাজকে আরও শুদ্ধ করতে বিজেপি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে। অন্য দিকে তৃণমূল নেতাদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে বিএলওদেরও। তাই বিজেপি এবার সুরক্ষা দেবে বিএলওদের।

    বিজেপির সমন্বয় কমিটিতে কে কে আছেন (BJP National Coordination Committee)?

    নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১৩টি রাজ্যে এসআইআরের কাজ করছে। তবে শাসকদল তৃণমূলের হুমকির মুখে বার বার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বিএলওদের। আর এই অবস্থায় কমিশনের কাজকে দ্রুত কার্যকর করতে এবং বিএলওদের (SIR) কাজের সুবিধা দিতে বিজেপি সমন্বয় কমিটি (BJP National Coordination Committee) করেছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন অসমে বিশেষ সংশোধন করার কাজে সহযোগিতা করার জন্য একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে। তবে কাজের পরিচালনার জন্য কমিশন ইতিমধ্যে রাজ্যে বিশেষ পরিদর্শন করার কাজ করছে।

    বিজেপির এই এসআইআর বিষয়ক সমন্বয় কমিটিতে ৭ জন সদস্যকে নিযুক্ত করেছে। গোটা কমিটিকে নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ। এছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন ডক্টর কে লক্ষ্মণ, কে আন্নামালাই, ওম প্রকাশ ধনখড়, অলকা গুর্জর, ডক্টর অনির্বাণ গাঙ্গুলি এবং জাময়াং সেরিং নামগিলাও। একইভাবে রাজ্যগুলির মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, কেরালা, লাক্ষাদ্বীপ, মধ্যপ্রদেশ, পদুচেরি, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমেও আলাদা আলাদা সমন্বয় কমিটি গঠন হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতি রাজ্যের কমিটিতে ৪-৫ জন করে সদস্য রাখা হবে।

    ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন

    এসআইআর সমন্বয় কমিটির সদস্য (BJP National Coordination Committee) অনির্বাণ গাঙ্গুলি রবিবার নদিয়া জেলায় এসআইআর (SIR) কাজের পর্যালোচনা করেছেন। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনও করবেন তিনি। তৃণমূলকে তোপ দেগে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বিএলওদের হুমকি দিচ্ছে। কাজ করতে রাজনৈতিকভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে। বিএলওদের ঘিরে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৯.৪৩ শতাংশের বেশি ফর্ম গণনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০ কোটির বেশি ভোটারদের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

LinkedIn
Share