Tag: South 24 Parganas

South 24 Parganas

  • Paschim Bardhaman: গ্যাসের রি-কেওয়াইসি’র নামে ফের টাকা নেওয়ার অভিযোগে ধুন্ধুমার

    Paschim Bardhaman: গ্যাসের রি-কেওয়াইসি’র নামে ফের টাকা নেওয়ার অভিযোগে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য যেন মগের মুলুক। সরকার বা প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। যে কাজে টাকা লাগার কথা নয়, সেই কাজে টাকা নেওয়াটা যেন রাজ্যে অলিখিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর প্রশাসন! সে তো চোখ থাকতেই অন্ধ। গ্যাসের ভর্তুকির রি-কেওয়াইসি করে দেওয়ার নামে ডিলাররা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। ফের এমন অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ায় (Paschim Bardhaman)।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Paschim Bardhaman)?

    নতুন নিয়ম অনুযায়ী গ্যাসে ভর্তুকি পেতে হলে রি-কেওয়াইসি করাটা বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে রি-কেওয়াইসির কাজ। গ্যাসের দোকানে তাই লম্বা লম্বা লাইন। কিছু জায়গায় আধার যোগের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে উঠছে অভিযোগ। এই নিয়ে এলাকার (Paschim Bardhaman) মানুষের প্রশাসনের বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষুব্ধ। বৃহস্পতিবার উখড়া (Paschim Bardhaman) গ্রামের নতুন হাটতলা এলাকায় দেখা গেল এরকমই ছবি। চার-পাঁচদিন ধরে নতুন হাটতলায় একটি দোকানের বাইরে উজ্জ্বলা গ্যাসের ভর্তুকির জন্য আধার যোগের কাজ চলছিল অস্থায়ী ক্যাম্প করে। ওই ক্যাম্পে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে আধার যোগের নামে ৪০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তবে টাকা নিলেও কোনও রসিদ না দেওয়ায় সন্দেহ হয় গ্রাহকদের। খোঁজ নিয়ে গ্রাহকরা জানতে পারেন, আধার লিঙ্কের জন্য কোনও টাকা লাগে না। এরপরই টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে সরব হন গ্রাহকদের একাংশ। এরপর ক্যাম্পে ছড়ায় উত্তেজনা।

    ঘটনাস্থলে পুলিশ

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উখড়া (Paschim Bardhaman) ফাঁড়ির পুলিশ। গ্যাসের ডিলার বিশ্বজিৎ মাঝি ও কর্মী নির্মলকুমার ঠাকুরকে আটক করে উখড়া ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয় গ্রাহক সীমা রুইদাস এবং নাসরিন খাতুন বলেন, “রি-কেওয়াইসি’তে আধার যোগের জন্য ৪০ টাকা করে আমাদের কাছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে কোনও রসিদ দেয়নি ওই ডিলার।” ঘটনায় অভিযুক্ত আটক ডিলার বিশ্বজিৎ মাজি বলেন, “ক্যাম্পটি আয়োজন করেছে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। কেন টাকা নেওয়া হয়েছে, সেটা তারাই বলতে পারবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    উখড়া (Paschim Bardhaman) গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মীনা কোল বলেন, “ক্যাম্প করার কথা পঞ্চায়েতকে জানানো হয়নি। আধার যোগের নামে টাকা নেওয়াটা বেআইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি করায় নেই সরকারি সাহায্য! শীতে রাত কাটছে খোলা আকাশের নীচে

    South 24 Parganas: বিজেপি করায় নেই সরকারি সাহায্য! শীতে রাত কাটছে খোলা আকাশের নীচে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার ‘অপরাধে’ খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাতে হচ্ছে বৈদ্য পরিবারকে। রাজ্যে বিরোধী রাজনীতি করাটা যেন অন্যায়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। এমনকী একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ এবং রাজনৈতিক হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল জেলার রাজনীতি। এবার ফের একবার কেবলমাত্র বিজেপি করার জন্য সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। 

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোথায় ঘটেছে (South 24 Parganas)?

    এলাকায় (South 24 Parganas) জল প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে ভাঙা পড়েছে আস্ত বাড়ি। এরপর থেকেই শীতে খোলা আকাশের নীচে অসহায় ভাবে বাস করতে হচ্ছে গোটা পরিবারকে। প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। অগত্যা শীতকালে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানা এলাকার গাববেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রামেশ্বরপুর গ্রামের বৃদ্ধা স্বর্ণলতা বৈদ্য ও তাঁর পরিবার।

    পরিবারের বক্তব্য

    অসহায় পরিবারের (South 24 Parganas) পক্ষে বিধবা বৃদ্ধা স্বর্ণলতা বৈদ্য অভিযোগ করেন, “এলাকায় জলের পাইপ লাইনের কাজ করার সময় গত নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ আমাদের বাড়িটি ভেঙে পড়ে গিয়েছিল। এখন তাই থাকতে হচ্ছে খোলা আকাশের নীচে। সমস্যার কথা স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানালে, পঞ্চায়েত থেকে মাত্র একটি ত্রিপল দেওয়া হয়েছিল। এলাকায় বিজেপি করি বলে প্রশাসন সহযোগিতা করছে না। এখন আমাদের দরকার একটি বাড়ির।” পরিবারের আরও এক সদস্য জয়ন্ত বৈদ্য বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন, শাসকদলের নির্দেশেই সাহায্য করছে না। কিন্তু প্রশাসন যদি তাদের সাহায্য করে, তাহলে হয়তো শীত থেকে একটু নিস্তার পেতে পারেন তাঁরা।

    সরব বিজেপি

    এলাকার (South 24 Parganas) বিজেপি নেতা রণজিৎ হালদার বলেন, “ওই বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন বিজেপি কর্মী। তাই ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকার কোনও সাহায্য করছে না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অবশ্য এই ঘটনায় গাববেড়িয়া (South 24 Parganas) পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সুবীর সর্দার বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই বৃদ্ধাকে আপৎকালীন একটি ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। তবে যেহেতু পিএইচই=র পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে, ফলে এখানে কিছুই করার নেই। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বাড়ির সামনে গাছ কেটে বিজেপি কর্মীকে শিক্ষা! অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: বাড়ির সামনে গাছ কেটে বিজেপি কর্মীকে শিক্ষা! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মীর লাগানো গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ থানার রামগোপালপুর গ্রামে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সত্যব্রত মাইতির নামে থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীর নাম তাপস পট্টনায়ক। ২৫ বছর আগে শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রামগোপালপুর গ্রামে স্ত্রী মনোরমা পট্টনায়ককে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির সামনে জমিতে তিনি গাছ লাগিয়েছিলেন। সেই জমির কিছুটা অংশ খাস জমি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পঁচিশ বছর ধরে জায়গাটি দখল করে থাকার সুবাদে দুয়ারে সরকারে রেকর্ড সংশোধন ও তাঁদের নামে পাট্টার জন্য আবেদন করেছিলেন। এরই মধ্যে তৃণমূল নেতারা দলবল নিয়ে এসে সব বড় বড় গাছ কেটে নিয়ে চলে যায়। তাপস পট্টনায়ক বলেন, গাছগুলিকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। বিজেপি করি বলেই সব গাছ কেটে নিয়ে চলে গেল। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সত্যব্রত মাইতি বলেন, এই ঘটনাটি পুরোটাই পারিবারিক গন্ডগোল। ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে আমার নাম জড়ানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির কাকদ্বীপ ৩ মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক হরেন্দ্রনাথ কামিল্যা বলেন, বিজেপি করে বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। গাছ কাটার জন্য বন দফতরের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন, সেটাও তৃণমূল নেতারা করেনি। তৃণমূলের অত্যাচারে দলীয় কর্মীরা অতিষ্ঠ। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সমবায় ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপে জড়িত তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: সমবায় ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপে জড়িত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় ব্যাঙ্কের কোটি টাকারও বেশি তছরুপের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির খাড়ি এলাকায়। সমবায় ব্যাঙ্কের নাম ‘ইউনিয়ন লার্জ সাইজ প্রাইমারি এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’। ওই সমবায় ব্যাঙ্কটির কাছেই কাশীনগর ব্যাঙ্কের একটি শাখা রয়েছে। অভিযোগ, শাখার ইনচার্জ মোহনলাল হালদার আর্থিক তছরুপ করেছেন। অভিযুক্ত মোহনলাল আবার কাশীনগর পশ্চিমপাড়ার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। আর শাসক দলের নেতা বলেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর,  দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই সমবায় ব্যাঙ্কে হাজার দু’য়েক গ্রাহক আছেন। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে অডিট রিপোর্টের পরেই তৃণমূল নেতা মোহনলালের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সঙ্গে স্থানীয় আরও কিছু তৃণমূল নেতা জড়িত বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে সরব হন আমানতকারী ও শেয়ার হোল্ডাররা। সমবায়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডল বিভাগীয় দফতরে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশেরও দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি ধরা পড়ার পরে মোহনলাল ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। বাকি টাকা ফেরাতে পারেননি। মোহনলাল হালদারের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

    ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    মথুরাপুর-২ বিডিও নাজির হোসেন বলেন, মাস দেড়েক আগে ৩-৪ জন গ্রাহক ওই আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতো জেলা থেকে তদন্তের পরে আর্থিক তছরুপ ধরা পড়েছে। এক কোটির বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পুলিশ সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির তৃণমূলের বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, মোহনলাল এক সময় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। এখন দলের কোনও দায়িত্বে নেই। সমবায় ব্যাঙ্কে টাকা তছরুপ করা ঠিক হয়নি। সাধারণ মানুষের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। না হলে কঠোর শাস্তি পাওয়া দরকার। প্রশাসন কঠোর হাতে ব্যবস্থা নিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নদীর চর দখল করে পাকা বাড়ি! অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক

    South 24 Parganas: নদীর চর দখল করে পাকা বাড়ি! অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের  শিবশক্তি ব্রিজ সংলগ্ন নদীর চরে গড়ে উঠছে পাকা বাড়ি। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষক তৈরি করছেন পাকা বাড়ি। মূলত, তৃণমূলের মদতেই সবুজকে ধ্বংস করে চলছে বেআইনি কারবার। এসবের জন্যই দেখেও দেখছে না প্রশাসন, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)  

    নদীবাঁধ রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বেশি করে ম্যানগ্রোভ লাগানোর কথা বলছেন, সেখানেই এমন ছবি ধরা পড়ল। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের শিবশক্তি ব্রিজ সংলগ্ন অপর পাড়ের নদীর চরের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নদী চরের গাছ কেটে তৈরি করছেন পাকা বাড়ি। এই স্কুলশিক্ষক স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শ্যামসুন্দর ডাকুয়া বলেন, বাড়ি তৈরি করার কাগজপত্র রয়েছে, সেই কারণেই তিনি ঘর তৈরি করছেন। তবে, বাড়ি তৈরির কোনও কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। কোনও অনুমতি ছাড়াই কী করে ঘর তৈরি হচ্ছে বা জলা জমিতে বাড়ি তৈরি করতে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কীভাবে সরকারি নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকার কাগজপত্র থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ বিষয়ে রামগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান প্রভাতকুমার সেনাপতি বলেন, চর দখল করে বাড়ি তৈরি করার কোনও অনুমতি কেউ নেয়নি। কেউ নিজের ইচ্ছে মতো এসব বেআইনি কাজ করতে পারেন। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক কী বললেন?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের বিএলআরও অপূর্ব পান্ডা বলেন, চর দখল করে বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ পেয়েছি। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই শিক্ষকের কাছে কী কাগজ রয়েছে তা জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলেই শিক্ষকের এত সাহস!

    এই বিষয় নিয়ে বিজেপির মথুরাপুর সংগঠনিক জেলা কনভেনর অরুণাভ দাস বলেন, এই সমস্ত বিষয়ের সঙ্গে শাসকদল জড়িত। ওই শিক্ষক শাসকদলের ঘনিষ্ঠ না হলে এত বড় সাহস তিনি দেখাতে পারতেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন! বারুইপুরে তীব্র উত্তেজনা

    South 24 Parganas: গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূলের কর্মীকে কুপিয়ে খুন! বারুইপুরে তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুবককে কুপিয়ে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুর থানার অন্তর্গত বলবনা এলাকায়। নিহতের নাম সইদুল শেখ (৪০)। পুলিশের অনুমান, এলাকায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে এই হত্যা হয়েছে। স্থানীয় মানুষের দাবি, তৃণমূলের দক্ষ সংগঠক ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর প্রচুর সম্পত্তিও বৃদ্ধি হয়েছিল। পথের কাঁটা সরাতেই কি খুন? তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ, বিরোধীরা খুন করেছে। পাল্টা বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই হত্যার কারণ বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    পরিবারের অভিযোগ (South 24 Parganas)

    নিহত সইদুল শেখের স্ত্রী মাজেদা বিবির অভিযোগ, “এলাকায় খেলার মাঠকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ ছিল। সেই বিবাদের জেরেই সইদুলকে শনিবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর সইদুল শেখের পরিবারের সদস্যরা রাতেই তাঁকে বারুইপুর (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানেই রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর।” সেই সঙ্গে মেয়ে রোহিণী খাতুন বলেন, “মাঠে গাড়ি চালাতে গিয়েছিল বলেই প্রথমে বচসা হয়। এরপর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাবাকে পিছন থেকে মাথায় কোপ দেওয়া হয়। এরপর মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করে। রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে এবং প্রতিহিংসার কারণে বাবাকে খুন করা হয়েছে।” মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতেই সেখানে নেমে আসে শোকের ছায়া। ঘটনার খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এই হত্যার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি মাঠ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। সেই মাঠেই নিজের গাড়ি রেখেছিল সইদুল। আর এই কারণে আইজুল, সাদ্দাম, খোকন, কালো, সাগিররা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। এমনকি তাঁকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টাও করে ওই দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে মাথায় কোপও দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে পুলিশ আরও জানিয়েছে অনুমান করা হচ্ছে সইদুলের প্রতিপত্তি বাড়ছিল বিগত কয়েক বছর ধরে। সেটাই সহ্য করতে পারছিল না অভিযুক্তরা। ফলে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।

    আবার স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় দক্ষ সংগঠন তৈরি করেছিল সইদুল। তাঁর নেতৃত্বেই গত পঞ্চায়েতে এই এলাকায় বিজেপি, সিপিএম দাঁত ফোটাতে পারেনি। সেই কারণেই পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। এই ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    বিজেপর বক্তব্য

    এলাকার (South 24 Parganas) বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, “এই হত্যা এলাকার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ ছাড়া আর কিছু না। পুলিশ ঠিক করে তদন্ত করলেই সত্য উঠে আসবে। এই জেলায় যত খুন হয়েছে সব তৃণমূল নেতাদের দ্বারাই হয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা গৌতম দাস বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-সিপিএম হারার পর থেকেই সইদুলকে টার্গেট করা হচ্ছিল। মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হইয়েছে। আমরা হত্যার বিচার চাই”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভোট লুট, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপে সেরা অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার” কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভোট লুট, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপে সেরা অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার” কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র হল ডায়মন্ড হারবার। এবার এই জেলাকে এই বছর ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ ‘সুরক্ষিত পুলিশ জেলা’ বলে ঘোষণা করছে। অভিষেক নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘোষণাকে বিনিময় করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কার্যত এই বিষয়কে নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তীব্র কটক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভোট লুট, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপে সেরা অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার”।

    কী বলেছেন অভিষেক?

    তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “এটা খুব খুশির খবর, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলাকে ২০২২ সালের জন্য সেরা সুরক্ষিত জেলা হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এই সাফল্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য বিশাল প্রশংসা, যাঁরা এটিকে সম্ভব করেছেন। এই সম্মান আমার জেলার জন্য অত্যন্ত সুখবর।” এই বক্তব্যকেই তীব্র সমালোচনা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর পালটা বক্তব্য (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সাম্পাদকের কথায় তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্রকে শিরোনাম করতে চেয়েছেন বলে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পাল্টা লেখেন, “কারও রাজত্বকে শীর্ষ স্থানে দেখানোর প্রচেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পুলিশের এই আচরণে আমি অত্যন্ত বিস্মিত। কার্যত পুরস্কারের নামে এখানে বিষয়কে ছোট করা হয়েছে। এর যাথার্থ নামকরণ করা উচিত ছিল বিরোধিতা দমনের জন্য সেরা জেলা ডায়মন্ড হারবার। অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ, ভোট লুট এবং সেরা বেআইনি কার্যকলাপের জেলা হল এই অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার।”

    পুলিশ প্রশাসন প্রত্যেক বছর ঘোষণা করে থাকে

    রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছর এই ধরনের একটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। ২০২২ সালের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডায়মন্ড হারবারকে নির্বাচন করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়, এই জেলায় অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কম। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দিক থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত।

    বিজেপির অবশ্য দাবি, কার্যত ভাইপোকে মডেল করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষের জনজীবন সবথেকে বেশি বিপন্ন হয়েছে এই জেলায়। বোমা বিস্ফোরণ, গোষ্ঠী সংঘর্ষ, হত্যা, ধর্ষণ এবং অনুপ্রবেশের সমস্যা সব থেকে বেশি এই জেলায় হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আগেও বারবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই নিয়ে সরব হয়েছেন। তাই লোকসভার ভোটের আগে পুলিশকে ব্যবহার করে ভাইপো নিজের ছবিটা বদলাতে চাইছেন। ঠিক এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দলের নেতাদের ‘সঙ্গ’ দিতে অস্বীকার করায় ঘরবন্দি তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলার!

    South 24 Parganas: দলের নেতাদের ‘সঙ্গ’ দিতে অস্বীকার করায় ঘরবন্দি তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরে তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্য এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ঘরবন্দি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার পাপিয়া হালদার। দলের এক অংশের নেতারা এলাকায় ব্যাপক তোলাবাজি করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রতীক দে’র বিয়ের প্রস্তাব অস্বীকার করায় মারধর, হেনস্থার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তুলে বিস্ফোরক হন এই কাউন্সিলার। এমনকি বাড়ির বাইরে বের হলে কটূক্তি এবং অশ্রাব্য গালিগালাজ শুনতে হয় তাঁকে। অবশেষে থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এলাকার সাধারণ মানুষের বক্তব্য, তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের কাছে খোদ তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলারই সুরক্ষিত নন। ঘটনায় তৃণমূল দলের মধ্যেই তীব্র বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। 

    ঠিক কী অভিযোগ করলেন কাউন্সিলার (South 24 Parganas)?

    সোনারপুরের (South 24 Parganas) তৃণমূল কাউন্সিলার পাপিয়া হালদার অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে যে কারণে মানুষ নির্বাচিত করেছেন সেই কাজ আমি করতে পারছি না। এমনকি আমি ঘর থেকে এলাকায় বাইরে বের হতে পারছি না। আমাকে ঘরবন্দি করে রেখেছে দলের কিছু দুষ্কৃতী। আমাকে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গ দিতে হবে বলে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বলা হয় তাদের সকল চাহিদা পূরণ করতে হবে আমাকে। আর যদি আমি তা না করি, তা হলে বাড়ির বাইরে বের হলে মারধর করা হবে আমাকে। এমনকি আমার সমস্ত অফিস তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি আমার এক অফিসে গেলে আমার সামনেই অফিসে তালা মেরে অফিস থেকে বের করে দেয় আমাকে। সাধারণ মানুষের জন্য এলাকায় আমি কোনও কাজ করতে পারছি না। অত্যন্ত ভয়ে রয়েছি। ”

    মূল অভিযুক্ত কে?

    সোনারপুরের (South 24 Parganas) তৃণমূল কাউন্সিলার পাপিয়া হালদার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে প্রতীককুমার দে নামক যুব তৃণমূল নেতার কথা বলেন। এই তৃণমূল নেতা এলাকার প্রভাবশালী। তিনি আগে এই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। পাপিয়া হালদার আরও বলেন, “আমার বাড়ির সামনে এসে রাতের বেলায় আমাকে এবং পরিবারকে হুমকি দেয়। মাদকাসক্ত হয়ে বাড়ির সামনে অশ্লীল মন্তব্য করে। আমি মানসিক ভাবে খুব বিপর্যস্ত। পুলিশের কাছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। সেই সঙ্গে দলকে পাশে থাকার কথা বলেছি।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    অপরদিকে অভিযোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে সোনারপুরের (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা প্রতীককুমার দে বলেন, “দল তদন্ত করলে সমস্ত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হবে। দলের যা সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নেবো। আমি যে কোনও রকম তদন্তের জন্য প্রস্তুত।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fishery: শুধু তৃণমূল নেতারা নন, একই রোগ সরকারি দফতরেও! ফিশারি থেকে দেদার মাছ চুরি!

    Fishery: শুধু তৃণমূল নেতারা নন, একই রোগ সরকারি দফতরেও! ফিশারি থেকে দেদার মাছ চুরি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, রক্ষকই ভক্ষক। আর তা যেন বাস্তবে প্রমাণিত হল রাজ্য সরকারের ফিশারিতে (Fishery)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দশ মাইল এলাকায় ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের এসএফডিসি ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয় ফিশারি। উদ্দেশ্য, স্থানীয় মৎস্যজীবীরা যাতে এই ফিশারির মাধ্যমে অল্প পয়সায় মাছ কিনে তা বাইরে বিক্রি করতে পারেন। আর এই ফিশারিতেই দিনের পর দিন রাতের অন্ধকারে চুরি যাচ্ছিল মাছ। তারই তদন্ত নেমে উঠে এল এক সরকারি আধিকারিকের নাম প্রদীপ মণ্ডল, যিনি ওই ফিশারির দায়িত্বে ছিলেন।

    থানায় অভিযোগ দায়ের (Fishery)

    এলাকার গরিব মৎস্যজীবীরা এই ফিশারির মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর ধরে অল্প পয়সায় মাছ বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছিলেন কিন্তু দিনের পর দিন মাছ চুরি হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এই ফিশারির প্রজেক্ট ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা অভিষেক পাত্র প্রথমে স্থানীয় মানুষদের সন্দেহ করলেও পরবর্তী সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে, ওই ফিশারির দায়িত্বে থাকা আর এক সরকারি কর্মচারী প্রদীপ মণ্ডলের কীর্তি। তিনি নাকি রাতের অন্ধকারে ওই ফিশারি (Fishery) থেকে মাছ চুরি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি মুনাফায় বিক্রি করছিলেন। আর এই বিষয় নিয়ে ফিশারির প্রজেক্ট ইনচার্জ অভিষেক পাত্র ফেজারগঞ্জ থানায় প্রদীপ মণ্ডলের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    ডেপুটেশন স্থানীয় মৎস্যজীবীদের (Fishery)

    এখনও পর্যন্ত দোষী গ্রেফতার না হওয়ার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ফিশারি ইনচার্জ-এর কাছে শুক্রবার ডেপুটেশন জমা দেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। তাঁদের দাবি, যিনি এই ঘটনার সাথে যুক্ত, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক এবং ফিশারি পুনরায় চালু করা হোক। ফিশারি (Fishery) বন্ধ হয়ে গেলে অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তাঁরা। অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে প্রদীপ মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি এই ঘটনার সাথে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: চাষিদের ধান কেনায় সরকারি অফিসারদের সামনেই কাটমানি! ব্যাপক শোরগোল

    South 24 Parganas: চাষিদের ধান কেনায় সরকারি অফিসারদের সামনেই কাটমানি! ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য সরকারের ধানকেনায় চলেছে চরম দুর্নীতি। পাথরপ্রতিমায় সরকারি অফিসারদের সামনে মিল মালিককে কুইন্টাল পিছু আড়াই কিলো কাটমানি দিতে হচ্ছে গরিব চাষিদের। অবশ্য কর্তৃপক্ষের দাবি, ধানে তুষ বা খোসা রয়েছে। যার জন্য আড়াই কিলো করে ধান বাদ দিতে হচ্ছে চাষিদের। এনিয়ে চাষিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। 

    কৃষকদের বক্তব্য (South 24 Parganas)

    সুন্দরবনের (South 24 Parganas) চাষি সুনীল মণ্ডল বলেন, “বর্ষায় বাঁধ ভেঙে মাঠে নোনা জল ঢুকে চাষের বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল। অন্য দিকে চাষের সময় অনাবৃষ্টি, আবার ধান কাটার সময় অকাল বর্ষনে ধান নষ্ট হয়েছে। এর পরেও কিছু ধান তুলে বাড়ি ফিরেছি আমরা। আর সেই ধান এবার রাজ্য সরকারের খামারে বিক্রি করে করতে গিয়ে দিতে হচ্ছে কাটমানি। আমাদের ভাতে মারার কাজ করছে প্রশাসন।” আরেক চাষি সুভাষচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “একে প্রকৃতির মারও, তারপরে চলছে প্রকাশ্যে চুরি।”

    সরকারি কর্মচারী-মিল মালিকের বক্তব্য

    এলাকার (South 24 Parganas) সরকারি এক আধিকারিক শেখ কুতুবুদ্দিন বলেন, “এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। যা ধান বেশি নেওয়া হচ্ছে, তার সবটাই মিল মালিকের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে, এমনকি ধানের খোসা বা তুষের জন্য মেশিন ঠিক করেছে মিলের মালিকেরাই। কিন্তু অন্যদিকে মিল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চাঁদু হাতি বলেন, “এই বিষয় নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়েই চাষিদের সাথে কথা হয়েছে এবং আড়াই কেজি করে ধান বেশি নেওয়ার কাজ চলছে।” ফলে একদিকে যখন চাষের ক্ষতির কারণে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে, তখন এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করলেও কেউই দায় নিতে চাইছে না কাটমানির বিষয়ে। কিন্তু কৃষকদের বক্তব্য, তাঁরা ধান বিক্রির মূল্য পাচ্ছেন না।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় স্থানীয় (South 24 Parganas) বিজেপির নেতা অরুণাভ দাস অভিযোগ করে বলেন, “রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী নিজেই জেলে। তাঁর চেলারা আর কতটা ভালো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে সমস্যার সমাধান চাই আমরা। পরোক্ষভাবে কাটমানির মতো ধানও দিতে হচ্ছে মিল মালিকদের। সরকারি আধিকারিকদের পাশে বসে মিল মালিকরা সেই ধান কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিচ্ছে চাষিদের কাছ থেকে। অবিলম্বে এই দুর্নীতি বন্ধ না হলে বড় আন্দোলনের পথে নামবো আমরা ।” স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মৃণালকুমার মাঝি বলেন, “অভিযোগ সম্পর্কে আমি জানি না। খোঁজ নেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share