Tag: South 24 Parganas

South 24 Parganas

  • South 24 Parganas: আদালতের নির্দেশে ধরা পড়ল তৃণমূলের আবাস-দুর্নীতি! কী হয়েছে জানলে চমকে উঠবেন

    South 24 Parganas: আদালতের নির্দেশে ধরা পড়ল তৃণমূলের আবাস-দুর্নীতি! কী হয়েছে জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে যখন রাজ্যের শাসকদল শিক্ষা থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতির কাঁটায় বিদ্ধ, তখন ফের আবাস যোজনার দুর্নীতির ছবি উঠে এল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভা এলাকায়। আদালতের নির্দেশে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। তদন্তে নেমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় শাসকের দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগে সিলমোহর দিলেন মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিও।

    কীভাবে হয়েছিল এই আবাস দুর্নীতি? (South 24 Parganas)

    প্রতারিত উপভোক্তাদের বক্তব্য, আবাস যোজনায় নাম থাকা ব্যক্তির একটি করে আইডি নম্বর করা হয়েছিল বিডিও অফিস থেকে। তোলা হয়েছিল তাঁদের ভাঙা ঘরের ছবি। সেই আইডি নম্বরের পাশে বসানো হয়েছিল সেই ভাঙা ঘরের ছবিটি। পরে, তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ লোকজনের একটা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ওই আইডির সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে, প্রকৃত প্রাপকের পরিবর্তে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঢুকে যায় তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে। আর এতে সহযোগিতা করেছিল বিডিও অফিস ও পঞ্চায়েতের কিছু অসৎ আধিকারিক।

    আবাস দুর্নীতির বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিলেন বিডিও?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর দু নম্বর ব্লকের নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৭ জন গরিব মানুষের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠেছিল। আর সেই এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা শাসক দল আর প্রশাসনের আধিকারিকদের সহযোগিতায় অন্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে কে বা কারা তুলে নেয়। অবশেষে এই বিষয় নিয়েই নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় বাসিন্দা দীপু বর নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপরই আদালতের নির্দেশে তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়। এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সেই এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা করে ফেরত দেওয়ার নোটিশ দিয়েছেন। এমনকী টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা জানিয়েছেন বিডিও। তবে ইতিমধ্যে সাত-আটজনকে টাকা ফেরত দিতে নোটিশ পাঠালে তাঁদের মধ্যে অনেকেই জানান, কীভাবে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল তাঁরা তা জানেন না। তাঁরা সেই টাকা দিয়ে ঘর করেছেন, এখন কোথা থেকে সেই টাকা ফেরত দেবেন। তবে, এই ২৭ জনের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন শাসকদলের ঘনিষ্ঠ কিংবা তাঁদের আত্মীয়স্বজন।

    দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল থাকতে পারে না, তোপ বিজেপির জেলা সভা

    মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি নবেন্দুসুন্দর নস্কর বলেন, জল ছাড়া যেমন মাছ থাকতে পারে না, ঠিক তেমনি দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে পারে না। শুধুমাত্র নগেন্দ্রপুরই নয়। গোটা রায়দিঘি বিধানসভা জুড়েই এরকম ভুরি ভুরি আবাস দুর্নীতি রয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের রায়দিঘির বিধায়ক অলক জলদাতা বলেন, পুরোটাই কোর্টের বিষয়। আমি এই বিষয়ে সেই ভাবে কোনও কিছু মন্তব্য করবো না। তবে, আমি এইটুকুই বলতে পারি, লিস্ট ওপর থেকে হয়ে আসে, এখানে কেন্দ্রীয় সরকারেরও দোষ রয়েছে। তবে, যারা যারা উপভোক্তা নয়, তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। তারা অবিলম্বে টাকাটা ফেরত দিয়ে দিক। তাহলে হয়তো বিষয়টা মিটে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারল দলেরই লোকজন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারল দলেরই লোকজন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মী সমর্থককে বেধড়ক মার অন্য গোষ্ঠীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর-১ নম্বর ব্লকের ঢোলা থানার ভগবানপুর এলাকায়। আর সেই সিসি টিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির।

    সিসি টিভি ফুটেজে কী দেখা হল? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভগবানপুর এলাকায় স্থানীয় একটি কাঠের মিলের মধ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে কাঠ মিলের কর্মীদেরকে বেধড়ক মারধর করে। সেই হামলার ছবি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যাচ্ছে, একদল দুষ্কৃতী  ওই কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করছে। তবে, এই সিসিটিভি ফুটেজ এর সত্যদার যাচাই করেনি মাধ্যম নিউজ। ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুল রহমান মোল্লা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের প্রথমে কুলপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে।

    পঞ্চায়েতে সিপিএমকে সমর্থন করার অপরাধে হামলা

    জখম তৃণমূল কর্মী নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুল রহমান মোল্লার বক্তব্য, আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো কর্মী। দলে সন্মান, গুরুত্ব না পেয়ে পঞ্চায়েতে সিপিআইএমকে সমর্থন করেছিলাম। এটাই ছিল অপরাধ। তারজন্যই ভগবানপুর এলাকার তৃণমূলের সদস্য নইম সাহার ঘনিষ্ঠ মইমুর পিয়াদা ও তাঁর নেতৃত্বে দুষ্কৃতী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল সদস্য নইম সাহার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুর রহমান মোল্লাই মইমুর পিয়াদাকে বেধড়ক মারধর করেছে। তিনিও গুরুতর জখম হয়ে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে ঢোলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে ঢোলা থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের আদি-নব্য গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল কুলপি, চলল ব্যাপক বোমাবাজি

    South 24 Parganas: তৃণমূলের আদি-নব্য গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল কুলপি, চলল ব্যাপক বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপিতে আইএসএফের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় আদি এবং নব্য তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই সংঘর্ষের সময় এলাকায় প্রচুর বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। এর ফলে কুলপির দৌলতাবাদ এলাকায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, এটি তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল। ভাগের মাল নিয়ে লড়াই চলছে।

    কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত (South 24 Parganas)?

    কুলপির (South 24 Parganas) দৌলতাবাদে আদি তৃণমূল করেন ছেলে। তাঁর মা ফতেমা বলেন, “এলাকায় অনেক দিন ধরে টার্গেট করা হচ্ছিল আদি তৃণমূল যারা করে। বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ির চারপাশে ঘোরাঘুরি করছিল দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে করা হয় ব্যাপক বাড়ি ভাঙচুর এবং বোমাবাজি। সকলে আমরা রীতিমতো ভয়ে রয়েছি।”

    ৪০ টি বোমাবাজির অভিযোগ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা প্রায় ৪০ টি বোমা মারে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আরও অভিযোগ ওঠে, বাড়ি থেকে বাইরে গিয়ে জল আনতে দেওয়া হয় না, ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হয় না। নানাভাবে অত্যাচার করে নব্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ভাঙা হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস এবং সেই সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন ইতিমধ্যেই ৩ জন। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় এক বিজেপি নেত্রী অন্মিয়া শেখ বলেন, “আগে ছিল বুড়িমার বোম। এখন পিসির রাজত্বে চলছে, পিসিমার বোমা। তৃণমূলের রাজত্বে কেউ সুরক্ষিত নয়। সারা রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।”

    পুলিশের ভূমিকা

    ঘটনার পর কুলপি থানা থেকে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত দুই পক্ষের পক্ষ থেকে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের দিয়ে দল চালাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী’, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের দিয়ে দল চালাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী’, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অভিযোগের তির সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ও বর্তমান নামখানা ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দুই অঞ্চল সভাপতির পদ নিয়েই প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর যারজন্য তৃণমূলের এক পক্ষের পক্ষ থেকে দায়ী করা হচ্ছে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রীকে। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগর বিধানসভার নামখানা ব্লকের শিবরামপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ গিরির অভিযোগ বর্তমান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ২০২১ সালে নির্বাচনে জিতে মন্ত্রী হবার পর নিজের মন্ত্রিত্ব বজায় রাখতেই নামখানা সহ বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদেরকে দিয়ে তৃণমূলের সংগঠন চালাচ্ছেন। এমনকী নামখানা ব্লকের বর্তমান ব্লক সভাপতি অভিষেক দাসের বিরুদ্ধেও চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী নিজের মন্ত্রিত্ব বজায় রাখতেই এই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদেরকে দিয়ে সংগঠন চালাচ্ছেন। নামখানা ব্লকের ব্লক সভাপতি অভিষেক দাস পরিকল্পিতভাবে আমার পার্টি অফিসে তালা মেরেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব কী বললেন?

    শিবরামপুর অঞ্চলের বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি পলাশ জানা বলেন, বীরেন্দ্রবাবু পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট হয়ে নামখানা ব্লকে বিজেপিকে জেতানোর চেষ্টা করেছিল। তাই দল তাকে বহিষ্কার করেছে। তবে, এই বিষয় নিয়ে প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বীরেন্দ্র গিরির দাবি, দলের পক্ষ থেকে এখনও সেই ধরনের কোনও নির্দেশ তার কাছে আসেনি। এমনকী দলের এই দুর্নীতির অভিযোগ তিনি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে তুলে ধরার জন্যই পরিকল্পিতভাবে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বীরেন্দ্র গিরির এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার নামখানা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে তাঁকে শাস্তির দাবি তুলে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেস অন্য গোষ্ঠীর কর্মীরা। অন্যদিকে, মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরাকে বার বার ফোন করা হলে তিনি ফোন না তোলায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সোশ্যাল মিডিয়া কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, তৃণমূল একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এটা আমাদের কোনও অভিযোগ নয়। তৃণমূলের নেতারাই এই দুর্নীতির কথা বলছে। সাধারণ মানুষ দেখছে। সময় আসলেই মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পুত্র সন্তান চেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, বিষ দিয়ে চার কন্যাকে হত্যার চেষ্টা বাবার!

    South 24 Parganas: পুত্র সন্তান চেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, বিষ দিয়ে চার কন্যাকে হত্যার চেষ্টা বাবার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা চাইছেন ছেলে, কিন্তু একে একে চার কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় একাবারেই খুশি ছিলেন না বাবা। এই নিয়ে পরিবারে রোজ ঝগড়া, অশান্তি হতো। পরিবারের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল চলছিল। মেয়েরা রীতিমতো বাবার কাছে চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে চার কন্যা সন্তানকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বাবারই বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে শনিবার বিষের ক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে এক কন্যার। বাকি দুই কন্যা বেশ গুরুতর সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে দুই কন্যা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে খবর। ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং থানার বালুইঝাঁকা গ্রামে। পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় মানুষ এই অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে কোঠর শাস্তির দাবি করেছেন।

    অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুইঝাঁকা (South 24 Parganas) গ্রামের এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আমিনুদ্দিন সর্দার। দাম্পত্য কলহের প্রধান কারণ হল তাঁর ছেলে সন্তান চাই। কিন্তু পরপর চারটি মেয়ে হয়। কেন পুত্র সন্তান হচ্ছে না সেই নিয়েই মূল বিবাদ পরিবারে। স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির পর কন্যাদের হত্যার পরিকল্পনা করেন বাবা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চারজনের মধ্যে তিনজনকে পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ান বাবা। ইতি মধ্যে রাবেয়া সর্দার নামক এক কন্যার মৃত্যু হয়েছে। আয়েশা এবং রাচেয়া নামক আরও দুই কন্যা গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বর্তমানে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    অভিযক্তের বক্তব্য

    এই ঘটনায় ক্যানিংয়ের (South 24 Parganas) অভিযুক্ত আমিনুদ্দিন সর্দার বলেন, “স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে তাই কন্যাদের বিষ প্রয়োগ করেছি।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ১০ নভেম্বর পানীয় জলের মধ্যে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছিলেন কন্যাদের। তবে এক মেয়ে খায়নি। বাকি তিনজন এই বিষ খেয়েছিল। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটল এই বিষয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ,  দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন সুকান্ত

    Narendra Modi: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ, দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লাখ লাখ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান হতে চলেছে আগামী ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে। ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের এই অনুষ্ঠানের জন্য দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শুক্রবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দশে রওনা দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন বাংলার সাধু-সন্ত সন্ন্যাসী। সামনেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তাই এই গীতাপাঠের অনুষ্ঠান খুবই গুরুত্বপূর্ণ দলের কাছে। 

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সকালে বলেন, “বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি সম্মিলিত সংস্থা গঠন করা হয়েছে। তাদের উদ্যোগেই লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাশয়কে বিশেষ আমন্ত্রণ জানাতে আজ দিল্লিতে যাচ্ছি। আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেড ময়দানে এই গীতা পাঠের অনুষ্ঠান হবে। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে এসে যোগদান করলে গীতাপাঠের মাত্রা পাবে বিশ্বজনীন। তাঁর উপস্থিতিতে গীতাপাঠের উদ্দেশ্য আরও ব্যাপক সাফল্য পাবে।”

    লোকসভার আগে গীতাপাঠ

    আগামী ২০২৪ সালেই লোকসভার ভোট। ফলে রাজ্য বিজেপি বঙ্গবাসীর মন জয় করতে জনসংযোগের বিষয়ে কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না। এই গীতাপাঠের মধ্যে দিয়ে বঙ্গে ভারতীয়ত্ববোধ, ধর্মীয় আস্থা ও বিশ্বাসকে পুনরায় জাগরণ করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন। এই গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে সরাসরি রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির নাম না থাকলেও দলের একটা যে পরোক্ষ প্রভাব আছে, তা রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন। লোকসভার কথা মাথায় রেখে সাধু-সন্ত দ্বারা আয়োজিত এই গীতা পাঠের রাজনৈতিক তাৎপর্য ব্যাপক মাত্রা যে নিতে চলেছে, সে কথা বলাই বাহুল্য। এই অবস্থায় সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দিল্লি যাত্রা এবং প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ডিপিএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    South 24 Parganas: শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ডিপিএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ১৮৩৪ জনের পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের সবাইকে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। আর এই দাবি নিয়ে ডিপিএসসি অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, পর্ষদ সভাপতি থেকে শুরু করে তৃণমূলের অনেক বিধায়ক এবং সরকারি আধিকারিক গ্রেফতার হয়েছেন। সেই সঙ্গে ধর্মতলায় যোগ্য প্রার্থীরা কয়েক বছর ধরে ধর্নামঞ্চে অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন বলে সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এখনও চাকরির আশায় দিন গুনছেন প্রার্থীরা।

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ কী (South 24 Parganas)?

    শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ডিপিএসসি অফিসের সামনে নিয়োগের দাবি জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ১৮৩৪ জনের প্যানেলের মধ্যে ১৫০৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখও পর্যন্ত ৩২৮ জন চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ পাননি। তাই নিজেদের চাকরির দাবিতে অবস্থানন-বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    চাকরিপ্রার্থী অন্বেষা মৃধা এই প্রসঙ্গে বলেন, “আজ ১৪ বছর অতিক্রান্ত। অবিলম্বে আমাদের ন্যায্য চাকরি দিতে হবে। প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ হচ্ছে না। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু ডিপিএসসি চেয়ারম্যান কোনও সন্তোষজনক উত্তর আমাদের দিচ্ছেন না। আর যদি চাকরিতে নিয়োগ না করা হয়, তাহলে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপিএসসি অফিসের সামনে ধর্নাতে বসবো।”

    আর কী বললেন চাকরিপ্রার্থীর?

    জেলার (South 24 Parganas) ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থী প্রভাস হালদার নিয়োগ ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “তৎকালীন বাম সরকার যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ  করেছিল, সেই সময় থেকে প্রায় আজ ১৪ বছর হয়ে গেল নিয়োগ করা হয়নি। চেয়ারম্যানের কাছে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলা হয়, ওই প্যানেলে ১৭ জনের ডকুমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। পেলে নিয়োগ হবে। ফলে কবে সেই ডকুমেন্ট পাওয়া যাবে আর তার জন্য কি ততদিন আমরা বসে থাকবো? তাই অবিলম্বে নিয়োগ চাই আমরা।”

    ডিপিএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    অন্যদিকে ডিপিএসসি চেয়ারম্যান (South 24 Parganas) অজিত নায়েক বলেন, “প্যানেলের ১৭ জনের ডকুমেন্ট এখনও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হাইকোর্টেও মামলা চলছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত নিয়োগ করাতে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নদিয়া থেকে গ্রেফতার ‘মাস্টারমাইন্ড’

    Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নদিয়া থেকে গ্রেফতার ‘মাস্টারমাইন্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার সময় যত গড়িয়েছে ততই পরিষ্কার হয়ে উঠছে এই খুনের কারণ। গত সোমবার বাড়ির কাছেই খুন হন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। এরপর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় জয়নগর এলাকায়। তবে নেতা খুনের ঘটনায় দলুয়াখাঁকির যোগ রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে। এই গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আনিসুর লস্কর এমনটাই পুলিশ সূত্রে দাবি। মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর করা হয়েছিল তাতে নাম আছে তার। তাঁর বাড়ি দলুয়াখাঁকি এলাকায়। তিনি এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত। নদিয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেখানেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

    কেন খুন করা হল সইফুদ্দিনকে? (Jaynagar)

    পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, সুপারি কিলার দিয়েই জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাই, সবকিছুই পরিকল্পনা মতো হয়েছিল। কারণ হিসেবে উঠে আসছে দুটি তথ্য- ১) ক্রমশ এলাকায় সইফুদ্দিন শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন। এমনকী তিনি শাসকদলের নেতা হওয়ায় এলাকায় বিরাট অট্টালিকা থেকে শুরু করে প্রচুর টাকা-পয়সা করে ফেলেছিলেন। ২) একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ঝামেলা চলছিল। এমনকী পারিবারিক বিবাদও ছিল দীর্ঘদিনের। এমনটাই মনে করছে পুলিশ। প্রায় ১ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই জয়নগর, বকুলতলা, কুলতলি, বারুইপুর, মন্দিরবাজার পুলিশ অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এমনকী একটি স্পেশাল পুলিশ টিমও গঠন করা হয়েছে। টিমের মাথায় রয়েছেন পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ।

    খুন কাণ্ডে বড় ভাইয়ের নাম সামনে আসছে, কে সে?

    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত সাহারুল লস্করকে জিজ্ঞাসাবাদে যে বড় ভাইয়ের নাম উঠে এসেছে, সেই বড় ভাই কে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত জয়নগর (Jaynagar) খুন কাণ্ডে পুলিশের সামনে নাসির হালদার এবং আলাউদ্দিন নামে দুজনের নাম সামনে এসেছে। এই আলাউদ্দিন নাকি নাসির বড় ভাই, তা এখনও পর্যন্ত  পুলিশ তা জানতে পারেনি। তবে, দুজনের বাড়ি মন্দিরবাজার থানার টেকপাঁজা এলাকায় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ধৃত সাহারুল ঘটনার পর চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা মোতালেফ নামে যে ব্যক্তির বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল তিনিও এলাকায় সিপিএম কর্মী বলেই পরিচিত। তবে, ঘটনার পর থেকে সবাই ঘরছাড়া রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, এরা একদিকে যেমন সিপিএম কর্মী বা সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত ছিল, ঠিক তেমনি কেউ দর্জির কাজ, আবার কেউবা ফেরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এই ঘটনায় যে সমস্ত অভিযুক্তের নাম উঠে আসছে তা তাদের সঠিক নাম কিনা তা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি পারিবারিক শত্রুতার কারণে খুন করা হয়েছে সইফুদ্দিনকে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পোকা খাওয়া চাল দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে রেশন ডিলার!

    South 24 Parganas: পোকা খাওয়া চাল দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে রেশন ডিলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে রেশন প্রকল্পে নিম্নমানের পোকা খওয়া চাল দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে রেশান ডিলার। ৩৩ বস্তা চাল আটক করল পুলিশ। রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নিয়ে তীব্র তোলপাড়। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। রেশন দুর্নীতির তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমানের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। বাঁকুড়া, হুগলি, নদিয়ার রাইসমিলে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতেও চলেছিল তাল্লাশি। এই অবস্থায় রেশনে নিম্নমানের চাল দেওয়ায় ফের একবার শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগরে।

    কে এই রেশন ডিলার (South 24 Parganas)?

    রেশনের চাল বিক্রি করে নিম্নমানের চাল অন্য বস্তায় ভর্তি করে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের গ্রাহকদের দিতে এসে ক্ষোভের মুখে পড়লেন খোদ রেশন ডিলার। এরপর রেশন সামগ্রী আটকে দিয়ে তীব্র বিক্ষোভ জানান এলাকার রেশন গ্রাহকেরা। এমনকী অভিযোগে কয়েক গাড়ি চাল আটক করে ক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগরের খাসরামকর খারাপাড়া এলাকায়। এম আর রেশন ডিলারের নাম অঞ্জন দাস।

    পোকায় খাওয়া নিম্নমানের চাল

    এলাকার (South 24 Parganas) স্থানীয় বাসিন্দা আরতী দেবনাথ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মাল সিল করা অবস্থায় না এনে সারের বস্তা এবং সাধারণ বস্তায় ভর্তি করে চাল আনা হয়েছে।” রেশন বিলি করা হচ্ছিল খাসরামকর খাড়াপাড়ায়। রেশন নিতে জড় হয়ে ছিলেন অনেক গ্রাহক। কিন্তু বস্তা খুলতেই আসল চিত্র বেরিয়ে পড়ল। স্থানীয় বাসিন্দা সীমন্ত দেবনাথ বলেন, “চালের মধ্যে রয়েছে বড় বড় পোকা, খড়, লঙ্কা, ডাটা, আলু,পাতা সহ আরও নোংরা জিনিসপত্র। চালগুলিকে পোকায় খেয়ে ফেলেছে বললেই চলে।” এছাড়াও বস্তার গায়ে রয়েছে সার কোম্পানি স্ট্যাম্প। নিম্নমানের এই চাল দেখে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহকরা। পুলিশকে ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ করা হয়।

    রেশন ডিলারের বক্তব্য

    আরও অভিযোগ যে পুজোর সময় ব্রাহ্মণেরা বাড়িতে বাড়িতে যে চাল সংগ্রহ করেণ এবং খিচুড়ি খাওয়ানোর জন্য গ্রামে গ্রামে পুজো উদ্যোক্তারা যে চাল সংগ্রহ করেন, সেই চাল বস্তা ভর্তি করে এনে রেশন ডিলার গ্রাহকদেরকে বিতরণের ব্যবস্থা করেছিলেন। স্থানীয় (South 24 Parganas) রেশন ডিলার অঞ্জন দাস বলেন, “আমি তো গোডাউন থেকে মাল কিনে এনেছি। এই সব কী করে হল বলতে পারছি না।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সাগর থানার পুলিশ। সাগর থানার পুলিশ ৩৩ বস্তা চাল আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন রিশান ডিলারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: লাখ টাকায় ভাড়াটে শার্প শ্যুটার দিয়ে খুন! জয়নগরকাণ্ডে তিনটি মামলা রুজু

    South 24 Parganas: লাখ টাকায় ভাড়াটে শার্প শ্যুটার দিয়ে খুন! জয়নগরকাণ্ডে তিনটি মামলা রুজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরের (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করার পিছনে রয়েছে ভাড়াটে শার্প শ্যুটার। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা প্রথমে এমনটাই আন্দাজ করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের জন্য এক লাখ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল নেতাকে খুনের আগে রীতিমতো রেইকি করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায়।

    খুন করেছে ভাড়াটে খুনি (South 24 Parganas)

    পুলিশের আন্দাজ সম্ভাব্য ভাড়া করে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসা হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরেই সুইফুদ্দিন ভোর বেলায় নামা পড়তে যাচ্ছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁর গতিবিধির উপর বিশেষ নজর রেখেছিল। এরপর তাঁকে কালীপুজোর দিন ভোর বেলায় একদম কাছ থেকে ঘাড়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। খুনের নমুনা সংগ্রহ করে ঘটনায় বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জয়নগরের (South 24 Parganas) এই ঘটনায় পুলিশ মোট তিনটি মামাল রুজু করেছে। যার একটি মামলা হল সইফুদ্দিনের খুনের মামলা, দ্বিতীয়টি হল সাহাবুদ্দিন শেখের পিটিয়ে মারার মামলা এবং তৃতীয় হল গ্রামের একের পর এক বাড়ি পড়ানোর মামলা। পুলিশের দাবি ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?

    এ যেন একেবারে বগটুইয়ের ছায়া। তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর গোটা গ্রামকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘরের মধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন বেশ কয়েজন শিশু, মাহিলা এবং পুরুষ। ঠিক একই ভাবে জয়নগরের (South 24 Parganas) দোলুয়াখাঁকির নস্কর পাড়া এলাকায় তৃণমূল নেতা খুনকে কেন্দ্র করে প্রচুর ঘরবাড়িতে চেলেছে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড এবং তাণ্ডবলীলা। গোটা গ্রাম জুড়ে এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল যে, অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর হত্যা হলে শুরু হয়ে যায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণ। সইফুদ্দিনকে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করেছিল। শব্দ শুনে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন। এরপর তাঁকে নিকটবর্তী পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানা যায়। অপর দিকে প্রথমে হামলাকারীরা সিপিএম সমর্থক জানা গেলেও, সিফুদদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দুইজন হাতনাতে ধরা পড়লে পিটুনিতে মারা যান সাহাবুদ্দিন নামক এক ব্যক্তি। পরে অবশ্য মৃত সাহাবুদ্দদিনের স্ত্রী বলেন, তাঁর স্বামী তৃণমূল কর্মী ছিলেন। ফলে হামলা, হত্যা এবং গ্রামে আগুন দেওয়ার ঘটনা কার্যত শাসক তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল নয় তো? এটাই এখন আলোচনার কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share