Tag: South 24 Parganas

South 24 Parganas

  • South 24 Parganas: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন

    South 24 Parganas: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগকে ঘিরে রণক্ষেত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগর। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে শনিবার মহিষমারি এলাকায় ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঝাঁটাহাতে পুলিশকে ধাওয়া থেকে, পুলিশকে ঝাঁটাপেটা করার ঘটনা ঘটে। মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ নথি। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণভয়ে লুকিয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে র‍্যাফ নামানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জয়নগর থানা থেকে বিশাল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পাল্টা লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়েছিল এক নাবালিকা। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মেয়েটি কোচিং থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। এদিকে, মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। অভিযোগ, তাঁদের কথায় প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। তাঁদের বলা হয়েছিল, জয়নগর থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। পরিবারের দাবি, অভিযোগের কথা শুনেই পুলিশ তৎপর হয়ে উঠলে মেয়েকে হয়তো বাঁচানো যেত। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই মহিষমারি (South 24 Parganas) এলাকায় পুকুর থেকে শিশুর দেহ খুঁজে পায় পুলিশ। তার পর এদিন সকালে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। সেই সঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তারা।

    আরও পড়ুন: কর্মবিরতি উঠল, বৃহত্তর আন্দোলন চলবে বলে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পরিবারের লোকজন (South 24 Parganas) মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের (Police) কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি। উল্টে হেনস্থা করেছে। তাই, পরিবারের ক্ষোভ পুলিশের ওপর গিয়েছে পড়েছে। এলাকার মানুষও তাতে সামিল হন। আর সেই কারণে এদিন ঝাঁটা, লাঠি, বাঁশ নিয়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে চড়াও হন মানুষ। এখন মানুষের রোষের মুখে পড়ে পুলিশ তৎপর হয়েছে। পাশাপাশি, এলাকার মানুষকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টাও চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর গোস্বামী বলেন, “অভিযুক্তকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এখনও পর্যন্ত এক জনই গ্রেফতার। তদন্তের মাধ্যমে আরও কেউ জড়িত কি না, দেখা হবে। আপাতত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। সেটাই আমাদের অগ্রাধিকার।”

    মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর 

    এই ঘটনায় ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিলি লিখেছেন, ‘‘স্তম্ভিত! শিহরিত! কুলতলী থানা এলাকার কৃপাখালী এলাকায় টিউশন পড়ে ফেরার পথে বলপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হলো চতুর্থ শ্রেণীর একজন নাবালিকা ছাত্রীকে। পরে নদীর চর থেকে গ্রামবাসীরা উদ্ধার করলেন ছোট্ট মেয়েটির নিথর দেহ। মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বাংলার অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমার প্রশ্ন, দেবীপক্ষের সূচনাতেও নিস্তার নেই বাংলার মেয়েদের! আপনার অপশাসনে আর কতগুলি বাংলার মেয়ের এই পরিণতি হবে!! ছিঃ’’

    ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। একজনও সাজা পায় না। শাসক দলের ঝাণ্ডার নীচে থাকলে এই অপরাধ কোনওদিনই বন্ধ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দায়িত্ব

    Suvendu Adhikari: নিহত মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিলেন ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার দায়িত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত ৯ মৎস্যজীবী পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে নিহত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

    নিহত মৎস্যজীবীদের পাশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর এফবি বাবা গোবিন্দ নামক একটি ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রলারে মোট ১৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ৮ জন বেঁচে ফিরলেও বাকি ৯ জনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। আর সেই মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারদের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, “মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের সমস্ত ছেলে মেয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব ভারতীয় জনতা পার্টি নেবে। বেশ কিছু মৎস্যজীবী পরিবার এখনও পর্যন্ত বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না বলে আমি জানতে পারলাম। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।” তিনি আরও বলেন, “বার্ধক্য ভাতার বেশিরভাগ টাকাই পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার, তারপরেও রাজ্য সরকার নিজেদের নাম দিয়ে মানুষের কাছে মিথ্যে প্রচার করে। আমি এখানে এসেছি কোনও রাজনীতি করতে নয়, কোনও পতাকা নিয়ে আসিনি। রাজ্যের যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।”

    তৃণমূলকে তুলোধনা

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মৃত মৎস্যজীবীদের বাড়িতে আসার সময় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ওই ব্যক্তি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। আমি চিনি তাঁকে। আমি বলেছি আগে পঞ্চায়েতে জলের ব্যবস্থা করতে তারপর বড় বড় কথা বলতে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এই মৃত মৎস্যজীবীদের নিয়ে প্রথম থেকেই রাজনীতি করেছে। কিন্তু কোনওদিনই তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করেনি। সব সময় মথুরাপুরের বিজেপি নেতৃত্বদের মিথ্যে মামলা দিয়ে তাদেরকে দমানোর চেষ্টা করেছে। গুন্ডাবাহিনী আর পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে মানুষকে হেনস্থা ছাড়া তৃণমূল আর কিছুই করতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বর্গিদের হাত থেকে সুন্দরবনবাসীকে রক্ষা করতে শুরু হয়েছিল মা দুর্গার আরাধনা!

    Durga Puja 2024: বর্গিদের হাত থেকে সুন্দরবনবাসীকে রক্ষা করতে শুরু হয়েছিল মা দুর্গার আরাধনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটু একটু করে সময় যত এগিয়েছে, বেড়েছে পুজোর (Durga Puja 2024) বয়স। এই বছর ৩০৬ তম বর্ষে পদার্পণ করল ঘোষবাড়ির দুর্গাপুজো। ১১৫২ সালে ভগীরথ ঘোষ এই ঘোষবাড়ির পুজোর সূচনা করেন। শোনা যায়, সে যুগে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা প্রায়ই বন্যার কবলে পড়ত। এর পাশাপাশি বর্গিদের আক্রমণও চলত সমানতালে। আর সেই বন্যার প্রকোপের হাত থেকে রক্ষা পেতে ও বর্গিদের আক্রমণ থেকে নিজেদের, প্রজাদের ও সকল গ্রামবাসীর সুরক্ষার্থে করঞ্জলী অঞ্চলে সেই সময় জমিদার ভগীরথ ঘোষ ধুমধাম করে শুরু করেন দুর্গাপুজো। শোনা যায়, সেই সময় জমিদার ভগীরথ ঘোষ কুলপি সহ আশপাশের বেশ কিছু জায়গা কিনে প্রচুর ভূসম্পত্তির মালিক হয়ে উঠেছিলেন। সুবিশাল ছিল তাঁর রাজ্যপাট, ছিল প্রজাবর্গ।

    আর হয় না পাঁঠা বলি (Durga Puja 2024)

    এই দুর্গাপুজোর সময় নাকি দূরদূরান্তের প্রজারা আসতেন এই জমিদার বাড়িতে। পুজোর ক’টা দিন তাঁদের থাকা-খাওয়ার জন্য ছিল আলাদা আলাদা ঘর, আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনা। এই পুজোকে কেন্দ্র করে ছিল বলিদান প্রথা। আর তার জেরেই মাংস মহাপ্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে প্রজারা জড়ো হতেন। পাশাপাশি ভোগপ্রসাদ তৈরির জন্য ছিল বিশাল বিশাল উনুন। সময়ের সঙ্গে রাজবাড়ি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে কালক্রমে করোনা মারণব্যাধির সময় থেকে ঘোষ পরিবারের সদস্যরা পাঁঠা বলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। তাই সেই সময় থেকে আর হয় না পাঁঠা বলি।

    অনুষ্ঠিত হত নাটক, যাত্রা

    তৎকালীন সময়ে দুর্গাদালানের সামনে অনুষ্ঠিত হত নাটক, যাত্রা থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠান (Durga Puja 2024)। ঘোষবাড়ির প্রবেশের সম্মুখে বাঁদিকে তাকালেই চোখে পড়বে সেই যাত্রাদলের ভগ্নপ্রায় গ্রিনরুমের দৃশ্য। এখন সেসবই অতীত। তবে সেই সময়কার জৌলুশ কালক্রমে ধরে রাখা সম্ভব না হলেও এখনও নির্দিষ্ট রীতি মেনে শ্রদ্ধা, নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁরা পুজো করে চলেছেন প্রত্যেক বছর। তবে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি দুর্গাদালানের পাশেই প্রতিষ্ঠিত রয়েছে ‘শ্যামসুন্দর জীউ’-এর মন্দির, যেখানে নিত্যপুজোর পাশাপাশি তিনদিন সাড়ম্বরে পালিত হয় রাস উৎসব। জমিদার আর নেই, জমিদারের জমিদারিত্ব অনেকাংশ কমে গিয়েছে। তবে বংশধরেরা এখনও পর্যন্ত নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে মা দুর্গার আরাধনা করে চলেছেন। দূরদূরান্তের সমস্ত আত্মীয় পুজোর সময় উপস্থিত হন এই ঘোষ পরিবারে। পুজোর চারটে দিন খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে গমগম করে এই ঘোষ পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: বন্দুকের গর্জনেই শুরু হত পুজো, হত পাঁঠা বলি, হোমের আগুন নেভানো হত বিসর্জনে!

    Durga Puja 2024: বন্দুকের গর্জনেই শুরু হত পুজো, হত পাঁঠা বলি, হোমের আগুন নেভানো হত বিসর্জনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলা হয়, পায়রা নাকি শান্তির প্রতীক। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাদ্দনের মণ্ডল বাড়ির ইতিহাসের এখনও সাক্ষ্য বহন করে চলেছে এই পায়রা। তখন অবিভক্ত বাংলা, ১৮র দশকে বেশ কিছু জমিদার দক্ষিণে রাজ্যপাট গড়ে তুলেছিলেন প্রচুর পরিমাণে। নদীপথেই মূলত চলত তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য। আর সেই সময় গোলকচন্দ্র মণ্ডল সাবান, ধান, চালের ব্যবসা করে প্রচুর ভু-সম্পত্তি ক্রয় করেছিলেন। তাঁর জীবদ্দশাতেই গ্রামের মানুষের মঙ্গল কামনার্থে ১৮৫৭ সালে শুরু হয় দুর্গাপুজো। এই বছর তাদের পুজো (Durga Puja 2024) ১৫৯তম বর্ষে পদার্পণ করল।

    খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে নাচগান (Durga Puja 2024)

    বাদ্দনের মণ্ডল পরিবারের পুজো আজও রীতিনীতি মেনে চললেও বেশ কিছু নিয়মের রদবদল হয়েছে সময়ের সঙ্গে। তখন এই পুজোর ৫টা দিন দূর দূরান্তের বহু প্রজাই আসতেন এই জমিদার বাড়িতে। তবে সবার প্রবেশের অগ্রাধিকার ছিল না এই মণ্ডল বাড়িতে। সিংহ দুয়ারের সামনে থাকত বন্দুকধারী দুই দারোয়ান। বাড়ির মহিলারাও সেই সময় আসতে পারতেন না। বিশাল বড় দুর্গা দালানেই পুজোর পাঁচটা দিন খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে নাচগান সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা থাকত। বস্তা বস্তা চিড়ে-গুড় আসত প্রজাদের খাওয়ানোর জন্য। তবে সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। জমিদার নেই, জমিদারের জমিদারিও এখন আর নেই। কিন্তু এখনও রীতি মেনে চলে আসছে মণ্ডল বাড়ির (South 24 Parganas) দুর্গাপুজো। তবে পুজোর নিয়ম কানুনেও এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন।

    সমস্ত কাজই এখন সামলান বাড়ির মহিলারা

    আগে মায়ের সামনে বলি হত। কিন্তু সেই প্রথা আস্তে আস্তে এখন বিলুপ্ত হয়েছে। আগে সন্ধি পুজোর (Durga Puja 2024) সময় বন্দুকের গর্জন শোনা যেত মণ্ডল পরিবারে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই প্রথাও এখন বিলুপ্ত। তবে বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন হলেও রীতি মেনে এখনও চলে আসছে মণ্ডল বাড়ির পুজো। আগে পুজোয় মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও এখন সমস্ত কাজই এখন সামলান বাড়ির মহিলারা। নিয়ম রয়েছে ষষ্ঠীর দিন মায়ের পুজোর সময় যে হোমযজ্ঞের আগুন জালানো হয়, তা গিয়ে নেভে সেই দশমীতে। মায়ের বোধন থেকে শুরু করে কলা বউ স্নান, সন্ধি পুজো, নৈবেদ্য তৈরি-সমস্ত কিছুই এখন বাড়ির মহিলারাই সামলান। পরিবারের সদস্যরা দেশ-বিদেশে যেখানেই থাকুক না কেন, পুজোর পুজোর পাঁচটা দিন এক সাথে আনন্দে মেতে ওঠেন। দূর দূরান্তের বহু মানুষই আসেন এই বাড়ির (South 24 Parganas) পুজো দেখতে। তবে জমিদারের জমিদারিত্ব না থাকলেও তার ইতিহাস এখনও বহন করে চলেছে পায়রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: রায় পছন্দ নয়! অভিষেক-গড়ে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা

    South 24 Parganas: রায় পছন্দ নয়! অভিষেক-গড়ে বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খোদ বিচারক! রায় পছন্দ না হওয়ায় বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হামলা! পকসো মামলার রায় পছন্দ না হওয়ায় হামলা বলে সন্দেহ বিচারকদের। এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার আদালতের বিচারকদের আবাসনে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। গত ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। সেদিন নবান্ন অভিযানে যাওয়া তিনজন মহিলা নেত্রীকে পকসো কেস দিয়ে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) পুলিশ। আদালত সূত্রের খবর, ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়। আইন না মানায় বিচারক পুলিশ রিমান্ড দেননি। এরপরই গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দুজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ অফিসার কুমারেশ দাস বিচারকদের আবাসনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ডায়মন্ড হারবার শিবালয়ে মহকুমা আদালতের বিচারকদের আবাসনে গিয়ে হামলা চালায়। বিদ্যুতের লাইন কাটতে আবাসনে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। বাধা দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। বিচারকের আবাসনে হামলার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। আবাসনে নিরাপত্তায় নিযুক্ত নিরাপত্তা রক্ষীদের নিরাপত্তা বেষ্টনী কতটা নড়বড়ে সেই কঙ্কালসার চেহারা ফুটে উঠেছে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

     চিঠিতে আতঙ্কের কথা জানান বিচারকরা

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলা জজকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানান ডায়মন্ড হারবার আদালতের (Diamond Harbour Court) তিন বিচারক। পরিবার নিয়ে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। দুষ্কৃতীদের কাছে প্রাণঘাতী অস্ত্রও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদেরর। সেই চিঠি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়েছেন জেলা জজ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। চিঠিতে বিচারক ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সাব-ইন্সপেক্টর কুমারেশ দাসের নাম উল্লেখ করেছেন। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও কুমারেশ দাস বলেন, ‘‘কেন আমার নাম নেওয়া হল জানি না। আমি পৈলানে ট্রাফিক ডিউটি করি।’’

    বার অ্যাসোসিয়েশনের কী বক্তব্য?

    বিচারকের আবাসনের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ক্রিমিনাল আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক দেবাংশু পান্ডা। তিনি জানান, বিচারকরা নিরাপদ নন, তাহলে সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা কোথায়? পুলিশ সঠিক তদন্ত শুরু করুক। বিচারকের আবাসনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সকল কর্মীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করুক। ডায়মন্ড হারবার মহকুমার আদালতের আইনজীবীরা বিচারকের আবাসনে হামলার ঘটনায় একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এই ঘটনা কার্যত আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।

    সরব সুকান্তও

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি পোস্ট করেন। সুকান্ত মজুমদার আরও জানান, রাজ্যে বিচারকরাই (South 24 Parganas)  নিরাপদ নন। পুলিশ বিচারকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা কীভাবে দেবে?

    জেলা পুলিস-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    বুধবার দুপুরে ডায়মন্ড হারবার মহকুমার আদালতের এসিজিএমের বিচারকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন জেলার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী। এছাড়াও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে ছিলেন। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী  বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি, খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। বিচারকের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ক্যানিংয়ে হদিশ মিলল সন্দীপ ঘোষের কয়েকশো বিঘা জমিসহ বাংলোর

    Sandip Ghosh: ক্যানিংয়ে হদিশ মিলল সন্দীপ ঘোষের কয়েকশো বিঘা জমিসহ বাংলোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় গত সোমবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। আলিপুরের বিশেষ আদালত সন্দীপকে আট দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার সকালে সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। এই আবহের মধ্যে এবার সন্দীপের একটি বিলাসবহুল বাংলোর হদিশ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার  (South 24 Parganas) ক্যানিংয়ে। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।  

    কয়েকশো বিঘার জমির ওপর বাংলো! (Sandip Ghosh)

    ক্যানিং-২ ব্লকের ঘুটিয়ারি শরিফের নারায়ণপুর মৌজায় কয়েকশো বিঘা ফাঁকা জমির মাঝেই মাথা তুলেছে সবুজরঙা দোতলা একটি বাংলো। বাংলোর ওপরে লেখা ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’। বাংলোটির চারদিকে রয়েছে লম্বা পাঁচিল। স্থানীয়দের একাংশে দাবি, এই বাংলোটি সন্দীপের। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ‘ডাক্তারবাবুকে’ এই বাংলোতে আসতেও দেখছেন তাঁরা। সন্দীপের স্ত্রীর নাম সঙ্গীতা ঘোষ। স্থানীয়দের বক্তব্য, স্ত্রী এবং নিজের নাম মিলিয়ে বাংলোটির নাম দিয়েছিলেন সন্দীপ। বাংলো এবং বাংলো সংলগ্ন কয়েকশো বিঘা জমিতে খামারবাড়ি তৈরি করেছেন স্থানীয় কয়েক জন যুবক। সন্দীপই এই খামারবাড়ি পরিচালনা করতেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “বেশ কয়েক বছর আগে বাংলোটি তৈরি হয়। মাঝে মধ্যে ডাক্তারবাবুকে আসতে দেখেছি। শুনেছিলাম উনি কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ।”

    আরও পড়ুন: সাতসকালে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা ইডির, তালা খুলে ঢুকলেন অফিসাররা

    সন্দীপের বাংলোর রক্ষী কী বললেন?

    সন্দীপের (Sandip Ghosh) বাংলোর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় যুবক জাকির লস্কর। জানা গিয়েছে, জাকির এমনিতে চাষের কাজ করেন। একইসঙ্গে সন্দীপ ঘোষের বাংলোর রক্ষীও। প্রথমে ৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন। পরে তার সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করে দেন সন্দীপ। সন্দীপ কখন বাংলোয় আসতেন, এই প্রশ্নের উত্তরে জাকির বলেন, “সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আসতেন। আবার বিকালে বেরিয়ে যেতেন। পরিবার ছাড়া অন্য কেউ আসতেন না। দিনের বেলা আসতেন বাবা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি নিয়ে। রান্নাখাওয়া সেরে বিকালে বেরিয়েও যেতেন। আমি ওনার কাছে তিন বছর সাড়ে তিন বছর কাজ করছি। আমার কাছেই এই গেটের চাবি। তবে, ভিতরের ঘরের চাবি আমার কাছে নেই। তবে আরজি করের ঘটনার পর আর এখানে আসেননি তিনি। যোগাযোগও করেননি।”

    তবে ইডি সূত্রে খবর, ভেতরের ঘরের চাবি থাকতে পারে পিএ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। যাকে এদিনই সুভাষগ্রামের বাড়ি থেকে আটক করেছে ইডি। তাঁকে এখন এখানে আনা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মন্দির তৈরিতে বিজেপি কর্মীদের বাধা দিল তৃণমূল! বাড়ি ভাঙচুর, হামলা

    South 24 Parganas: মন্দির তৈরিতে বিজেপি কর্মীদের বাধা দিল তৃণমূল! বাড়ি ভাঙচুর, হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন মিটে গেলেও রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত। এর আগেও একাধিকবার বিরোধীদের ওপর আক্রমণের খবর সামনে এসেছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর দক্ষিণ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণরামপুরে সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী-‌সমর্থকদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    শুক্রবার সকালে বিজেপির (BJP) কর্মী-সমর্থকরা কৃষ্ণরামপুরে (South 24 Parganas) একটি মন্দির তৈরি করছিলেন। মন্দির করতে তৃণমূলের নেতাদের অনুমতি নিতে হবে। বিজেপি কর্মীরা সেটা করেননি। এটাই অপরাধ! আর অনুমতি ছাড়া মন্দির তৈরি করার জন্য তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশের লাঠি, রড নিয়ে বিজেপি কর্মী-‌সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাঁদের মারধর করা হয়। ভয়ে বিজেপি কর্মী-‌সমর্থকরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে এই এলাকার প্রায় ৪০টি বিজেপি সমর্থিত বাড়িতে একাধিকবার হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কর্মী-‌সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পুলিশকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে  যখন মন্দির ভাঙার ঘটনা ঘটছে, তখন এই বাংলায় মন্দির তৈরিকে কেন্দ্র করে এইভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন? জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মথুরাপুর থানার পুলিশ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে গোটা বিষয়ের তদন্তের শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    মথুরাপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানবেন্দ্র হালদার বলেন, বিষয়টি জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, মথুরাপুর ১ নম্বর ব্লকের বিরোধী দলনেতা প্রবীর বৈদ্য বলেন, এই ছবিটা শুধুমাত্র মথুরাপুরের নয়, গোটা রাজ্য জুড়েই তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনীরা বিজেপির (BJP) ওপরে হামলা চালাচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মন্দির তৈরিতেও তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলের লোকজন হামলা চালানোর পর উল্টে আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। হামলাকারীদের সকলকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • High Court: “বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে?” রাজ্যের আচরণে বিস্মিত হাইকোর্টের বিচারপতি

    High Court: “বিচারক নিয়োগও কি চুক্তিতে হবে?” রাজ্যের আচরণে বিস্মিত হাইকোর্টের বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই ২৪ পরগনার জেলা আদালতে বহু পদ শূন্য। সেখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (High Court) মামলা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। দুই জেলা আদালতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা (Kolkata) হাইকোর্ট। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। কেন জেলা আদালতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মামলার শুনানির সময় বিচারপতির মন্তব্য, “এমন চলতে থাকলে, এর পরে কি জেলা বিচারকও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হবে?”

    জেলা আদালতে পাঁচশোর বেশি শূন্যপদ (High Court)

    জানা গিয়েছে, দুই জেলা মিলিয়েই রয়েছে পাঁচশোর বেশি শূন্যপদ। উত্তর ২৪ পরগনায় ২৬৭ শূন্যপদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৫৭ শূন্যপদ। সম্প্রতি, এই দুই জেলা আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। আদালতে কেন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হবে? সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা করে আদালত কর্মীদের সংগঠন। বুধবার সেই মামলায় অস্থায়ী নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেপ্টেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণ রুখতে আইন করা উচিত অন্য রাজ্যগুলোরও, বললেন ভিএইচপি কর্তা

    ১০ বছরে আদালতে কর্মী নিয়োগ হয়নি

    বুধবার মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম কলকাতা (Kolkata) আদালতে (High Court) সওয়াল করে বলেন, “সরকারের বিশেষ কিছু দফতর বা বিভাগ রয়েছে, যেখানে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা যায় না। সেই তালিকায় রয়েছে আদালতের কর্মী নিয়োগও।” এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অতীতের নির্দেশের কথাও তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সাল থেকে রাজ্যের জেলা আদালতগুলিতে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। ফলে প্রায় ২৫ শতাংশেরও বেশি শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। আমার প্রশ্ন, ১০ বছর পরেও কেন জেলা আদালতে স্থায়ী নিয়োগ করতে চাইছে না রাজ্য সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজারের ভাইয়ের ডেরায় হানা দিল ইডি, কী তথ্য মিলল?

    ED: ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজারের ভাইয়ের ডেরায় হানা দিল ইডি, কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক জায়গায় মঙ্গলবার সাত সকালে ইডি (ED) হানা দেয়। সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ে এদিন ইডি হানা দেয়। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের ভাই জাহাঙ্গির আলম পাপ্পুর ডেরাতে অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    ভাঙড়ের রাইস মিলেও তৃণমূল নেতার ভাইয়ের নাম জড়াল (ED)

    জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার ভাই জাহাঙ্গিরের পিজি অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে রাইস মিলেও এদিন হানা দেয় ইডি। ইডি (ED) আধিকারিকদের জাহাঙ্গির আলম ওরফে পাপ্পু বলেন, “২০১৬ সালে আব্দুল বারিক বিশ্বাস ও বলরাম সরকার এই রাইস মিল কিনছিলেন। তাতে ১০ শতাংশ শেয়ার ছিল আমার। তবে ২০২১ সালের পর তিনজনই পিজি রাইস মিল বিক্রি করে দেন দেন মুকুলকে।” জানা গিয়েছে, এই মুকুল হচ্ছে দেগঙ্গার তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাই। পাপ্পু আরও বলেন,” তিন বছর আগে আমার ওই রাইস মিলে শেয়ার ছিল। এখন নেই। যখন শেয়ার ছিল, তখন মাঝে মধ্যে যেতাম। এখন আর যাই না। কেন আমার নাম জড়ানো হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। ইডি আধিকারিকদের তদন্তে সবরকম আমরা সহযোগিতা করেছি।”

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    দুই ২৪ পরগনায় চলছে ইডি হানা

    এদিন সকাল থেকে দুই ২৪ পরগনায় চলছে ইডির (ED) তল্লাশি অভিযান। একযোগে তল্লাশি চলছে ভাঙড় (South 24 Parganas), বসিরহাটে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বাড়ি, রাইস মিল, নিউটাউনে বারিকের ফ্ল্যাট এবং বেড়াচাপায় তৃণমূলের দেগঙ্গা ব্লকের সভাপতি আনিসুরের বাড়ির পাশের রাইসমিলে। এদিন ৪০ জন আধিকারিক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একাধিক জায়গায় অভিযান চালান। দেগঙ্গায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির গ্যারাজে লাইন দিয়ে দামী দামী গাড়়ি হদিশ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে কী কী মিলল তা খোলসা করেননি ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Crocodile: বাবাকে বাঁচাতে কুমিরের মুখেই হাত ঢুকিয়ে দিল বারো বছরের ছেলে! তারপর?

    Crocodile: বাবাকে বাঁচাতে কুমিরের মুখেই হাত ঢুকিয়ে দিল বারো বছরের ছেলে! তারপর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবার মুখে নদীতে অনেকবার মাছ ধরার গল্প শুনেছিল বারো বছরের কিশোর। নিজের চোখে মাছ ধরা দেখবে বলে বাবার কাছে বায়না করেছিল সে। এরপর বাবার হাত ধরে নদীতে গিয়ে যে এরকম ঘটনার সাক্ষী হতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ওই খুদে। আস্ত কুমির (Crocodile) মাঝ নদীতে টেনে নিয়ে চলে যায় মৎস্যজীবীকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথর প্রতিমা সত্যদাসপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম আব্বাসউদ্দিন শেখ (৪৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার পুলিশ ও বনদফতরের কর্মীরা। তাঁরা ওই মৎস্যজীবীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Crocodile)

    ছোটো ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই বিকালে মাছ ধরতে ডিঙি নৌকয় গিয়েছিলেন আব্বাসসাহেব। নদীতে সবেমাত্র জাল ফেলেছিলেন। তখনই খপাৎ করে নদীর বুক চিরে উঠে আসে কুমির। করাতের মতো দাঁত তখন কামড় বসিয়েছে আব্বাসের হাতে। বাবার হাতের মাংস খুবলে গিয়েছে। দশ-বারো বছরের ছেলেটা ভয়ে পিছ-পা হয়নি। সেই কুমিরের হা-মুখের ভিতরেই হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিল সে, বাবাকে বাঁচাতে। চোয়াল শক্ত করে টেনে ধরে রাখার চেষ্টা রেখেছিল কুমিরের। আব্বাস চিৎকার করছিলেন, ছোট ছেলেকে বলেছিলেন, লোক ডেকে আনতে। নদীতে সাঁতরে লোকও ডেকে আনে, কিন্তু ততক্ষণে আব্বাসকে মাঝ নদীতে নিয়ে উধাও হয়ে যায় কুমির। একটি স্পিডবোটে করে জগদ্দল নদীতে (South 24 Parganas) তল্লাশি অভিযান চলছে। রাত পর্যন্ত ওই আব্বাসের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সোমবার সকাল থেকে নদীতে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

    আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু

    কুমিরের দাঁতের পাটিতে হাত ঢুকিয়েও লাভ হল না

    আব্বাসের ছোট ছেলে ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। সে বলে, “কুমিরটাকে (Crocodile) আগে দেখতে পাইনি। নদীতে জাল ফেলতেই কুমিরটা বাবার হাত ধরে। হাত দিয়ে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছিল। আমি কী করব তা বুঝতে পারছিলাম না। বাবাকে বাঁচাতে আমি এসে কুমিরের দাঁতের পাটিতে হাত ঢুকিয়ে টানছি। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হল না। কুমিরটা বাবাকে নদীর দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। বাবা বলল, যা লোক ডেকে আন, একা পারবি না, আমি এই দিকটা দেখছি। আমি লোক ডাকতে গিয়েই এসে দেখি সব শেষ।” বাবা আর নেই, বলেই সে কাঁদতে শুরু করল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share