Tag: South 24 Parganas

South 24 Parganas

  • Abhishek Banerjee: অভিষেককে ডেকে বজবজের এলাকাবাসী দেখালেন জমা জলের সমস্যা

    Abhishek Banerjee: অভিষেককে ডেকে বজবজের এলাকাবাসী দেখালেন জমা জলের সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম হোক বা শীতকাল, সারা বছর বাড়ির সামনে জল জমে থাকে। বৃষ্টির দিনে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের পায়ে হাঁটার মতো পরিস্থিতি থাকেনা। অনেকদিনের এই সমস্যার কথা অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে গতকাল রবিবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে দেখালেন জল জমার সমস্যার কথা। তবে গাড়ি থেকেই দেখলেন অভিষেক এবং সেইসঙ্গে দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দিলেন।

    মূল অভিযোগ কী (Abhishek Banerjee)?

    পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ইন্দ্রানী মণ্ডল সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, “প্রায় ১৫-২০ বছরের সমস্যা। পাশের যে ট্যাঙ্ক আছে তা থেকে উপচে পড়ে জল জমে থাকে। আর এই জমা জল থেকে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির দিনে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে যাচ্ছে। এলাকার কাউন্সিলরকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। সামনে ভোট তবুও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। যখন জানলাম এখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যাচ্ছেন, সেটা ভেবেই সমস্যার কথা জানিয়ে বললাম দেখুন কী অবস্থা। এরপর গাড়ি করে এসে দেখেন তিনি। আমাদের কথা শুনলেন। আমরাও দেখালাম সবটা। তবে তিনি আশ্বাস দিলেন সবটাই সমাধান হবে।”

    তৃণমূল কাউন্সিল কী বলেন?

    মহেশতলা স্থানীয় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিল গোপাল সাহাকে ওই বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক। তৃণমূলের সেকেন্ড ইনকমান্ডের নির্দেশ পেতেই কাউন্সিল ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “আমাদের নেতা (Abhishek Banerjee) বলেছেন দ্রুত যাতে সমস্যার সমাধান হয়। আমাদের সাংসদ কথা দিলে কথা রাখেন।”

    গতকাল বজবজ ট্রাঙ্ক রোড এবং মহেশতলায় ৪০ মিলিয়ন গ্যালন পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্প উদ্বোধন করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর উড়াল পুলের নিচ দিয়ে ফিরছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় ডাকঘরের কাছে একটি বাড়ি থেকে হাত দেখালে অভিষেক থামেন এবং এরপর অনুরোধে এলাকার মানুষের কথা শোনেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আরাবুলকে গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ

    South 24 Parganas: আরাবুলকে গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড়ের (South 24 Parganas) প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে। তৃণমূলের এই ‘তাজা নেতাকে’ গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। আইএসএফ-তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। আজ আরাবুলকে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করবে পুলিশ। অন্যদিকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনায় ভাঙড়ে শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনাস্থলে পুলিশ, লাঠিচার্জ

    দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের কোচপুকুরে ব্যাপক উত্তেজনা! আইএসএফ-তৃণমূলের মধ্যে মূলত ঝামেলা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের কোচপুকুরে দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিল তৃণমূল। এই ঘটনায় আইএসএফের পতকা ছিঁড়ে তৃণমূল পতাকা লাগাচ্ছিল বলে অভিযোগ আইএসএফের। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, আগে থেকেই মাটিতে ছেড়া অবস্থায় পড়েছিল আইএসএফের পতাকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের ঝামেলা শুরু হলে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানা যাচ্ছে।

    বোমা উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য (South 24 Parganas)

    আরাবুল ইসলাম গ্রেফতারের পর দিনই ভাঙড়ে (South 24 Parganas) উদ্ধার হল বোমা। এলাকায় পোলেরহাট থানার পোলেরহাট হাই স্কুলের পাশে আবর্জনার স্তূপে উদ্ধার হল তাজা বোমা। স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসার পথে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমে দেখতে পেয়েই স্থানীয় থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পোলেরহাট থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। তবে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষজন সহ পরীক্ষার্থীর আত্মীয় পরিজনেরা। পাশেই হাইস্কুলে পরীক্ষার সেন্টার হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল-আইএসএফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল। একাধিক বার বোমা উদ্ধার, বোমা বিস্ফোরণ এবং হত্যার ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এবার ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, তীব্র ভর্ৎসনা পুলিশকে

    South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, তীব্র ভর্ৎসনা পুলিশকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর স্কুলে ঢুকে হামলার ঘটনা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার দুই দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন আজ এবং সেই সঙ্গে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

    কী বললেন বিচারপতি (South 24 Parganas)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি বসুর নির্দেশের ২০ ঘণ্টা পার হেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি বলে জানায় পুলিশ। আর তাই আজ দুপুর ২টোর সময় বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশ জেলা সুপারের রিপোর্ট তলব করল আদালত। তবে ভার্চুয়ালি হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই ভাবে সেই সঙ্গে হাজির থাকতে হবে নরেন্দ্রপুর থানার আইসিকে।

    পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতারের নির্দেশ ছিল

    নরেন্দ্রপুর (South 24 Parganas) স্কুলের মধ্যে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। পালটা রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোর্টের নির্দেশের পর ৩-৪ জায়গায় তল্লাশি অভিযান করা হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যকে বাড়িতে কেন পাওয়া গেল না সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। একই সঙ্গে ঘটনায় ১২০বি ধারায় মামলা করার নির্দেশ দেয় কোর্ট। যত বড় নেতাই হোক না কেন আগে তাকে গ্রেফতার করতে হবে, ঠিক এইভাবেই নির্দেশ দিয়ে ছিলেন বিচারপতি। অথচ কার্যকর করেনি পুলিশ।

    স্কুল শিক্ষা দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কোর্ট

    জানা গিয়েছে, স্কুল শিক্ষা দফতরের দুই সহ-অধিকর্তা তপন কুমার সিনহা এবং অনিন্দ্য কুমার চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি বসু। বিচারপতি বলেন, “স্কুলের (South 24 Parganas) দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে আপনারা গিয়েছিলেন? গিয়ে কী করলেন? জেলা স্কুলে পরিদর্শকের দুটি রিপোর্টে স্পষ্ট করে আর্থিক দুর্নীতির কথা জানিয়েছে। সেই রিপোর্টকে কীভাবে ছুড়ে ফেলে দিলেন আপনারা? ডিআই দুটো রিপোর্টে আর্থিক নয়ছয়ের কথা বলেছেন। স্কুলের অরাজগতা চলছে শিক্ষকরাই জানিয়েছেন। কিন্তু আপনাদের এই রিপোর্টে কিছুই নেই। তদন্ত নিরপেক্ষা না করে প্রধান শিক্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কেন এফআইআর করা হবে না আপনাদের বিরুদ্ধে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের ভিড়ে গঙ্গাসাগর যেন এক টুকরো ভারত

    Gangasagar: লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের ভিড়ে গঙ্গাসাগর যেন এক টুকরো ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে পূণ্যার্থীদের ভিড়ে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) যেন এক টুকরো ভারতে পরিণত হয়েছে। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে নানা ভাষা, নানা সংস্কৃতির মানুষ এসেছেন সাগরে। নিজেরা নিজেদের মতো করে ভক্তি ভরে সাগরে স্নান করার পাশাপাশি প্রাণ ভরে ভক্তি নিবেদন করে চলছে তর্পন। আবার কেউ কেউ প্রদীপ জ্বালিয়ে করছেন প্রার্থনা। কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে সংসারের পাপ থেকে মুক্ত হতে কেউ সাগরে দিচ্ছেন ডুব আবার কেউ বাছুরের লেজ ধরে হতে চাইছেন বৈতরণী পার। দূরদূরান্ত থেকে আগত সাধু-সন্তরা জটা ধরে সাগরের জলে দিচ্ছেন ডুব। এই পুণ্যস্নানে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে।

    শাহি স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ কখন(Gangasagar)?

    মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থীরা এসেছেন গঙ্গাসাগরে (Gangasagar)। সাগরের জলে ডুব দিয়ে কপিল মুনির মন্দিরের পুজো দিয়ে ঠাকুরের কাছে মঙ্গল কামনা এবং শান্তির জন্য প্রার্থনা জানালেন পুণ্যার্থীরা। রবিবার রাত ১২ টা ১৩ মিনিট থেকে শাহি স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হয়েছে এবং চলবে আজ দুপুর ১২ টা ১৩ পর্যন্ত। আর এই পুণ্যলগ্নে স্নান সারছেন দেশ-বিদেশ থেকে আশা পুণ্যার্থীরা। পুণ্যস্নানের রীতি মেনেই  সাগরে ডুব দেওয়ার পর কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন তীর্থ যাত্রীরা। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্য লাভের আশায় সাগরে এসেছেন পুণ্যার্থীরা। একই ভাবে দেশের বাইরে নেপাল থেকেও এসেছেন অনেক ভক্ত। সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার বিকেল পর্যন্ত ৬৫ লক্ষ ভক্ত স্নান করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    তৎপর প্রশাসন

    গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলার বিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করতে সবদিকে কড়া নজরদারি রয়েছে প্রশাসনের। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রাখা হয়েছে সিসিটিভি। রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়াও ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে আকাশ পথেও বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। প্রবল কুয়াশার জন্য ফেরি চলালচল ব্যাহত হয়েছে। কচুবেড়িয়ায় করা হয়েছে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা। একাধিক এলাকায় রয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। এনডিআরএফ, অসামরিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি এদিন পুণ্যস্নান সারেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়কেরা। এবারের মকরসংক্রান্তিতে নানা ভাষা নানা পরিধান নানান সংস্কৃতির মানুষের ভিড়ে গঙ্গাসাগর যেন এক টুকরো ভারত। প্রশাসনের দাবি এই বছর রেকর্ড সংখ্যক ভিড়ের মাত্রা অতিক্রম করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan sheikh: ইডির ওপর হামলা! সন্দেশখালির তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ কে এই শাহজাহান?

    Shahjahan sheikh: ইডির ওপর হামলা! সন্দেশখালির তৃণমূলের ‘বাহুবলী’ কে এই শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে এই শাহজাহান শেখ (Shahjahan Sheikh)? তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা। তিনি জেলা পরিষদের একজন কর্মাধ্যক্ষ। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। তবে তৃণমূলে আসার আগে সিপিএম করতেন। আজ শুক্রবার সাত সকালে তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি তল্লাশি করতে হলে তাঁর অনুগামীরা আক্রমণ করে। গাড়িচালকদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মারের চোটে রক্তাক্ত হন অফিসাররা। একই ভাবে আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও।

    সন্দেশখালির একটা পাতাও নড়ে না তাঁর কথা ছাড়া (Shahjahan Sheikh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) কথা ছাড়া সন্দেশখালির একটি পাতাও নাকি নড়ে না। এর আগেও তাঁর বাড়িতে পুলিশ গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল। তাঁর এলাকায় তিনি একপ্রকার অলিখিত বেতাজ বাদশা। তিনি প্রশাসনের শাসন নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। দল সব কিছু জেনেও তাঁকে কখনই সতর্ক করেনি। বরং তাঁকে দলের নানান পদে রাখা হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দলের নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা করেন না তিনি। একটা সময় হেরোইন এবং অবৈধ পাচারকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকার ভোটব্যাঙ্ককে নিয়ন্ত্রণ করেন। একপ্রকার ‘বাহুবলী’ থেকে কম কিছু নন তিনি।

    বালু ঘনিষ্ঠ শাহজাহান

    রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ছিলেন শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। সন্দেশখালির একাধিক ভেড়ি, ইটভাটার মালিক তিনি। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাস্তবে যত সম্পত্তির মালিক, তার হিসাব হলফনামায় সঠিকভাবে দেখাননি। পার্ক সার্কাসে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি, মিনাখাঁয় শাসক বিরোধীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। পরে মামলা হাইকোর্টে গেলে পুলিশকে সুরক্ষা দিয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করাতে নির্দেশ দিলেও, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ফের আক্রমণের কারণে মনোনয়ন জমা করতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় শাহজাহানের হাত ছিল বলে বিজেপি বার বার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) সন্দেশখালির বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকেরা। বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় ইডির আধিকারিকেরা তালা ভাঙতে গেলে শাহজাহানের অনুগামীরা বাড়ি ঘিরে ফেলে তদন্তকারী অফিসারদের ঘেরাও করে ব্যাপক মারধর করে। এক আফিসারের মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর উত্তেজিত তাঁর অনুগামীরা হামলা করে। এরপর নিজেদের প্রাণ হাতে কোনও রকমে পালিয়ে রক্ষা পান সবাই। সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি, ক্যামেরা ভাঙচুর এবং কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সব রকম প্রতিরোধ করার কথা বলেছিলেন। ফলে সেই কারণেই ইডির উপর আক্রমণ হল না তো? এমনটাই বিরোধীদের প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ! এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    South 24 Parganas: এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ! এলাকায় তীব্র আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ! জঙ্গলে গর্জন করে জানিয়ে দিল দক্ষিণরায় এখন উপেন্দ্রনগর জঙ্গলে রয়েছে। আর এই বাঘের গর্জন শুনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) লোকালয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এডিএফও অনুরাগ চৌধুরির নেতৃত্বে বনদফতরের একটি বিশেষ দল পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি জানান, “নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল।” রামগঙ্গা, ধনচি ও রায়দিঘি রেঞ্জের অফিসারেরা উপস্থিত হয়েছেন ঘটনাস্থলে।

    লোকালয়ে সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘ (South 24 Parganas)

    লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না প্রকৃত বাঘ আসতে পারে এই এলাকায়। কিন্তু এবার এলাকাবাসীর চোখের সামনে দিয়ে খাল টপকে গেল বাঘ এবং বনদফতরের কর্মীদের কানে পৌঁছালো বাঘের গর্জন। ঠিক তারপরেই বাঘ তাড়ানোর তোড়জোড় শুরু করল সুন্দরবন বনদফতর। এই প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে সারা রাত্রি বনদফতর কর্মীদের সঙ্গে এলাকার মানুষেরা নদী বাঁধে পাহারা দেন। আজ সকাল থেকে শুরু হল নদীর জঙ্গলে জাল ঘেরার কাজ। এলাকায় বাঘকে ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    দুমাস ধরে বাঘ ধরার প্রচেষ্টা

    উল্লেখ্য, দুমাস ধরে বাঘের আতঙ্ক চলছে পাথরপ্রতিমা এলাকায়। কখনও শ্রীধরনগর, কখনও সীতারামপুর ইন্দ্রপুর, রাখালপুর আবার উপেন্দ্রনগর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে। বনদফতরের কর্মীরা গত দুমাস ধরে ঘর ছেড়ে জঙ্গলে নৌকায় বসবাস শুরু করেছে, বাঘের খোঁজে চলছে প্রতিদিন তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত আজ উপেন্দ্রনগর ঠাকুরান নদীর চরে বাঘের গর্জন শুনে দক্ষিণ রায় সেইখানেই আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এরপর শুরু হয়েছে বাঘ ধরার প্রস্তুতি। এখন দেখার দুমাস ধরে যে বাঘ খাঁচায় ঢোকেনি, শ্রীধরনগর (South 24 Parganas) জঙ্গলে খাঁচায় ঢোকে কিনা! এবার যদি খাঁচায় ঢুকে বনদফতর যেমন খুশি হবে তেমনি এলাকাবাসীরও আতঙ্ক কাটবে।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় (South 24 Parganas) চিত্তরঞ্জন মাইতি বলেন, “গতকাল থেকে আমরা বন দফতরের কর্মীর সঙ্গে রাতভর মশাল জ্বালিয়ে অভিযান করে তাল্লাশি চালিয়েছি। বাঘের গর্জনের শব্দ শুনতে পেয়েছি আমরা। আজ সকাল ৯ টা থেকে অভিযান চলছে। নদীর ধারে বনদফতরের সহযোগিতায় এলাকায় জাল দিয়ে ঘেরার কাজ চলছে। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করবো অযথা আতঙ্কিত হবেন না বনদফতরের কর্মীরা সুরক্ষার বিষয়ে কাজ করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: জয়নগর যেন বগটুই, শাসকদলের আক্রোশে জ্বলছে একের পর এক বাড়ি, এলাকায় আতঙ্ক

    South 24 Parganas: জয়নগর যেন বগটুই, শাসকদলের আক্রোশে জ্বলছে একের পর এক বাড়ি, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় কর্মী খুন হওয়ার জেরে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা তাণ্ডব চালাল গ্রামে। সিপিএমের ২০-২৫টি বাড়িতে আগুন লাগানোর পাশাপাশি বামেদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী খুনের ঘটনা জানাজানি হতেই শাসকদলের রোষানলে পড়ে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ। যদিও পুলিশ ওই মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করেনি। সোমবার সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ও আতঙ্ক দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (South 24 Parganas)।

    উল্লেখ্য, এদিনই খুব ভোরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন এখানকার এক পঞ্চায়েত সদস্য। নমাজ পড়তে যাওয়ার সময় তাঁকে দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন লস্কর নামে বছর চল্লিশের ওই তৃণমূল নেতা, যিনি একইসঙ্গে বামুনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য এবং অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ওই পঞ্চায়েতের প্রধান। এরপরই গ্রামের লোকজন তাড়া করে দু’জনকে ধরে ফেলে। এদের মধ্যেই একজনের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের আক্রোশ গিয়ে পড়ে সিপিএমের ওপর। নির্বিচারে চলে ভাঙচুর, মারধর এবং অগ্নি সংযোগ।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা? (South 24 Parganas)

    ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো সোমবার ভোরে ওই তৃণমূল নেতা নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন, ওই নেতা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

    বগটুইয়ের ছায়া?

    এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই বগটুইয়ের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। এখানেও বেছে বেছে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের (South 24 Parganas) ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে দীর্ঘক্ষণ দমকলের গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। বাড়ির পর বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় বহু বাড়ি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কালীপুজোর আগের দিনেই বিজেপির উপর হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, উত্তপ্ত ক্যানিং

    South 24 Parganas: কালীপুজোর আগের দিনেই বিজেপির উপর হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, উত্তপ্ত ক্যানিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোকে ঘিরে বিজেপির উপর হামলা চালালো তৃণমূলের গুন্ডারা। কালীপুজোর ঠিক একদিন আগেই শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল ক্যানিং (South 24 Parganas)। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, ঘটনায় চলেছে কয়েক রাউন্ড গুলিও। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে ফের একবার সরব বিজেপি।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (South 24 Parganas)?

    কালীপুজোর আগের দিন শনিবার সকালে ক্যানিংয়ের (South 24 Parganas) ইটখোলা গ্রাম পাঞ্চায়েতের হরিপদ মোড় নামক জায়গায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা ভীষণ ভাবে আহত হন। ইট, কাঠ, বাঁশ, রড ইত্যাদি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও দুষ্কৃতীদের দ্বারা কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগও জানা গিয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, কালীপুজোকে কেন্দ্র করে এই আক্রমণের সূত্রপাত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ।

    বিজেপির বক্তব্য

    কালীপুজোর পরিচালনা নিয়ে আক্রমণ হয় বলে জানা গিয়েছে। গ্রামের বিজেপি কর্মীরা জানিয়েছেন যে এলাকায় তাঁরা বহুদিন ধরে এই কালীপুজো করে আসছেন। কিন্তু এইবার জোর করে তৃণমূল দখল করতে চেয়েছিল। আর তার প্রতিবাদ করলে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রমণ করা হয়। মূল অভিযোগ স্থানীয় (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ সর্দার এবং অনুগামীদের বিরুদ্ধে। প্রথমে বচসা হলেও ক্রমেই মারামারি করতে শুরু করে তৃণমূলের গুন্ডারা। অভিযোগ আরও যে দুষ্কৃতীরা এলাকায় গুলি চালায়। এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয় এবং বাড়িঘরে ব্যাপক ভাবে ভাঙচুর চালায়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ক্যানিং (South 24 Parganas) স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা বলেন, ‘বিজেপি ইচ্ছে করে নিজেই তৃণমূলের উপর আক্রমণ করলে গোলমালের সুত্রপাত হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দিনেই দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মুর্শিদাবাদের স্কুল শিক্ষিকা নিজের সন্তানের অসুস্থের কথা বার বার জানালেও, স্কুল পরিদর্শক বদলির অনুমতি দেননি। এই অমানবিক আচরণের অভিযোগে বিচারপতি দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিলেন। সেই সঙ্গে শিক্ষিকাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজের বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। অপর দিকে হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে অপসারণের নির্দেশ পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিআই।

    মূল অভিযোগ কী (Justice Abhijit Gangopadhyay)?

    মুর্শিদাবাদের বালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বানানী ঘোষের সন্তান এক বিরল রোগে আক্রান্ত। তাঁর বাড়ি হল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। তাঁকে রোজ বাড়ি থেকে ১২৪ কিলোমিটার যাতায়েত করতে হতো। তাঁর সন্তান সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ডও ক্ষতিগ্রস্ত। ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। সমস্যার কথা জানিয়ে, স্কুল পরিদর্শকের কাছে স্কুল বদলির জন্য বারবার আবেদন করেন শিক্ষিকা। কিন্তু স্কুল পরিদর্শ, শিক্ষিকার আবেদন এবং সমস্যার কথায় কর্ণপাত করছিলেন না। অবশেষে নিরুপায় হয়ে হাইকোর্টে মামলা (Justice Abhijit Gangopadhyay) করেন শিক্ষিকা। 

    অপরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার রবীন্দ্র হালদার নামক এক শিক্ষকের মৃত্যু হয় ২০১৯ সালে। তাঁর প্রথম স্ত্রী কুসুম হালদার এবং দ্বিতীয় স্ত্রী সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় স্ত্রীর বিবাহকে নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। মামালা গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। অবশেষে দ্বিতীয় বিবাহ অবৈধ বলে কোর্ট রায় দেন। এইদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে পেনশেনের টাকা পাওয়ার অনুমোদন দেন ডিআই সুজিত হাইত। এরপর মামলা কোর্টে গেলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ডিআই কীভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে পেনশেনের টাকা নেওয়ার অনুমতি দিলেন! তিনি কি জমিদার! আজ থেকে আর পদে থাকার দরকার নেই।”

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) মুর্শিদাবাদের এই স্কুল পরিদর্শককে অত্যন্ত অমানবিক বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে পরিদর্শক হাইকোর্টে ভুল তথ্য পরিবেশন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। বিচারপতি স্কুল সংক্রান্ত বিষয়ে হলফনামা দিতে বললেন। কিন্তু সেখানেও পরিদর্শক তথ্যের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে জানান যে শিক্ষিকার বদলি আটকানোর পিছনে সঠিক কারণ দিতে পারেননি পরিদর্শক। বিচারপতি খুব স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “সত্যই এটি বিরল রোগ। এই রোগের কথা আমি জানি। সব থেকে অবাক করার কথা হলে সব জেনেও পরিদর্শক কেন বদলির বিরোধিতা করলেন।” এরপর অভিযুক্ত পরিদর্শককে দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মামালাকারী শিক্ষিকাকে নিজের বাড়ির কাছে কোনও স্কুলে বদলি করার নির্দেশ দেন।

    মামালাকারী শিক্ষিকার বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদের স্কুল মামালারীর শিক্ষিকা বলেন, “আমার বার বার আবেদন করেও সমস্যার সমাধান হয়নি। আদালতের নির্দেশকে (Justice Abhijit Gangopadhyay) নিয়েও গড়মসি হতে পারে। শিক্ষা দফতরের কাছে আমার আবেদন দ্রুত আদালতের নির্দেশকে কার্যকর করা হোক”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মগরাহাটে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলের বোর্ডে পঞ্চায়েত প্রধান হল বিজেপির, কী করে?

    South 24 Parganas: মগরাহাটে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূলের বোর্ডে পঞ্চায়েত প্রধান হল বিজেপির, কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বলে বোধ হয় ভাগ্য। বিজেপির ঝুলিতে আসন সংখ্যা মাত্র পাঁচটি। সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল। তাতে কী হয়েছে, নাম মাত্র আসন নিয়ে পঞ্চায়েতে প্রধান হল বিজেপি (BJP)। আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও তৃণমূলকে কিছুটা বাধ্য হয়ে তা হজম করতে হল। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    কী করে পঞ্চায়েত প্রধান হল বিজেপির? (South 24 Parganas)

    পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও বোর্ড গঠনে বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীকে পঞ্চায়েত প্রধান করল তৃণমূল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত (South 24 Parganas) প্রধান পদের আসনটি এসসি সংরক্ষিত। পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ১৩টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিজেপি পেয়েছে ৫টি, সিপিএম-১টি, কংগ্রেস-১টি এবং নির্দল-১টি আসনে জয়লাভ করেছে। তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও প্রধান হলেন বিজেপির জয়ী সদস্য। কারণ, হিসেবে জানা গিয়েছে, প্রধান পদের আসনটি এসসি সংরক্ষিত। শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটিমাত্র আসন এসসি সংরক্ষিত রয়েছে। সেই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের পদ্মা মিস্ত্রির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিজেপির সুপ্রিয়া মণ্ডল। জয়লাভ করে বিজেপি প্রার্থী সুপ্রিয়া মণ্ডল। ফলে, তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও প্রধান পদের আসনটি এসসি সংরক্ষিত থাকায় তা বিজেপি প্রার্থীকে প্রধান নির্বাচিত করতে হয়েছে বলা জানা যায়।

    প্রধান নির্বাচিত হয়ে কী বললেন বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্য?

    এই বিষয় নিয়ে বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্য তথা পঞ্চায়েত প্রধান সুপ্রিয়া মণ্ডল বলেন, নিয়ম মেনেই এই পঞ্চায়েতে আমি প্রধান নির্বাচিত হয়েছি। আগামী দিনে দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে আমি লড়াই চালিয়ে যাব। বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই একসাথে মানুষের পাশে থেকে আমরা কাজ করব। এলাকার উন্নয়ন করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

    কী বললেন তৃণমূল নেতত্ব?

    মগরাহাট পশ্চিম যুব তৃণমূলের সভাপতি ইমরান হাসান বলেন, পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। কিন্তু, প্রধান পদটি সংরক্ষিত থাকায় বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্যকে প্রধান করা হয়েছে। তিনি আমাদের উন্নয়নে সামিল হয়ে মানুষের জন্যই কাজ করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share