Tag: South 24 Parganas

South 24 Parganas

  • Calcutta High Court: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।  তদন্ত করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় প্রকল্পের নামে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। 

    অনিয়মের অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যে বেনিয়ম হয়েছে বলে বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ তুলেছিল। অভিযোগের জেরেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে টিম পাঠিয়ে ছিল। রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যে বেনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও ৷ জানানো হয়েছিল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র ৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি’! বিরোধী বৈঠককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আদালতের নির্দেশ

    এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর তরফে সওয়াল করা হয়, ন্যায্য ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসছেনই না, তাঁদের নামে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এক ব্যক্তির বহু অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, অথচ টাকা পৌঁছয়নি। আবার অন্য এলাকার লোকের নামে বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, জেলায় আবাস যোজনার প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে বিস্তর গরমিল রয়েছে। আরও অভিযোগ, ন্যায্য প্রাপকদের বঞ্চিত করে বেআইনিভাবে একাধিক ব্যক্তির নাম তালিকায় তোলা হয়েছে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পুলিশ নিয়ে মনোনয়ন দিতে গিয়েও আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা

    Panchayat Election 2023: পুলিশ নিয়ে মনোনয়ন দিতে গিয়েও আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023) মনোনয়নের শেষ দিনেও উত্তাল রাজ্য। চোপড়ায় গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দুই কর্মীর। ভাঙড় ২ তে যেসব প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেননি, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। একই ঘটনা ঘটে মিনাখাঁতে। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজেপি প্রার্থীদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন করতে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় তাঁদের উপর আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই বলে মনে করছে বিরোধী দলগুলি।

    কী হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023) উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়ায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা না করতে পারলে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজ্য পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন করাতে নিয়ে যাবে। রাজ্য পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে গাড়িতে করে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নিয়ে যায়। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। বিজেপির অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে এবং আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা করতে দিল না রাজ্যর শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

    বিজেপির জেলা ইনচার্জের বক্তব্য

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজেপির ইন চার্জ কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে থানা থেকে পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নমিনেশন (panchayat election 2023) দিতে যাচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময় হঠাৎই আমাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট মারা হয়। এর ফলে গাড়ির কাচ ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। তারপর বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। বেশ কিছু মহিলা বিজেপি কর্মী ছিলেন। তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড়শোর বেশি। দুষ্কৃতীদের হাতে লাঠি, বাঁশ, রড ইত্যাদি ছিল। বিজেপি কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, পুরো জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে জীবন সঙ্কটের কারণে আর বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভবপর হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মনোনয়ন জমা দিতে এসে নিখোঁজ সিপিএম প্রার্থী, অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: মনোনয়ন জমা দিতে এসে নিখোঁজ সিপিএম প্রার্থী, অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুর দেড়টা নাগাদ কাকদ্বীপ (South 24 Parganas) বিডিও অফিসের ভিতর থেকে সিপিএম প্রার্থীরা বাইরে বের হতে গেলে, বিডিও অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশের উপস্থিতিতেই সিপিএম প্রার্থীদের উপর হামলা চালায়। এমনকি রাস্তায় ফেলে দিয়ে মারধর করে জামা ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ করে সিপিএম। অশান্তি এখানেই থেমে থাকেনি, বিডিও অফিস থেকে ফেরার সময় এক সিপিএম প্রার্থী নিখোঁজ হয়েছেন বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগও করা হয়েছে বলে জানা গেছে এইদিন। 

    দক্ষিণ চব্বিশ (South 24 Parganas) পরগণায় কী হয়েছে?

    কাকদ্বীপে (South 24 Parganas) আজকে দুপুর বারোটার সময়, স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত বসন্তপুর এলাকার ১২৩ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী শান্তনু দাস বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে ঢোকেন। এরপরই তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে বিডিও অফিস থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। প্রথমে বিডিও অফিসের কাছে রঞ্জিত হাতির বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তারপরে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে চলে যায় বলে সিপিএমের অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত ওই সিপিএম প্রার্থীর ফোন সুইচ অফ আছে, কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সিপিএমের পক্ষ থেকে বিডিও এবং কাকদ্বীপ আইসিকে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর থেকে প্রশাসনের আধিকারিকরা ওই সিপিএম প্রার্থীর খোঁজ চালাচ্ছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান মেলেনি বলে জানা গেছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতা?

    কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) সিপিএম নেতা রাম দাস বলেন, প্রথম থেকেই বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়। আমাদের অনেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বিডিও অফিস থেকে সকলে ফিরে এলেও শান্তনু দাসকে আর সঙ্গে নিয়ে ফিরতে পারেননি। শান্তনুকে বিডিও অফিস থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রার্থীর নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার (South 24 Parganas) তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সিপিএম একটা সাজানো ঘটনা রচনা করছে। তিনি আরও বলেন, সিপিএম চাইছে ঝামেলা পাকিয়ে, হাইকোর্টে গিয়ে কেস করে, ভোট প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দিতে কিন্তু সিপিএমের এই আশা পূর্ণ হবে না।

    নিখোঁজ সিপিএম প্রার্থীকে পুলিশ কবে উদ্ধার করে বাড়িতে ফেরাবে, তাই এখন দেখার।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।” রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও লাভলী মৈত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতানেত্রীর নাম করে তিনি বলেন, “সব দলই ঝান্ডা তুলবে, মানুষ যাকে গ্রহণ করবে সে ক্ষমতায় থাকবে। আপনারা কত বড় মস্তান? আপনাদের থেকে অনেক বড় মস্তান কেষ্ট এখন তিহার জেলে রয়েছে। আপনারা থাকবেন, অন্য কেউ থাকবে না, তা চলতে পারে না। অন্যায়, দুর্নীতি, চুরির প্রতিবাদ হবে না, এটা হতে পারে না। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না, জেনে রাখুন মমতা। বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।”

    সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়কের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসন নিয়ে সোনারপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে, প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি বলেন, “২০০৯ সালে সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৫৮ টাকা। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয় ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৬০ টাকা। ২০২১ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৬৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। রকেটের থেকেও বেশি গতিতে বেড়েই চলেছে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ। এর থেকেই প্রমাণিত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দুর্নীতি করে হয়েছে। এই চোরেদের উৎখাত করতে হবে।”

    শাসক দলের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের যোগ নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের অন্য দুই দল কংগ্রেস ও সিপিএমের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “শাসক দলের সঙ্গে সেটিং রয়েছে দুই দলের। ২০১১ সালে বিরোধী দলনেতা ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তখনও বিরোধিতার কোনও ছবি ধরা পড়েনি। ২০১৬ সালে বিরোধী দলনেতা হন আব্দুল মান্নান। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরাও কোনও আন্দোলন করেননি। বর্তমানে বিরোধী দল বিজেপি। দুর্নীতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি বার বার সোচ্চার হয়েছে। তাই আগামী দিনে এই পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    SSC Scam: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়াতে পাঁচিল ঘেরা এলাকার মধ্যে সরকারি নথি পোড়ানোর অভিযোগ উঠল। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই নথি পোড়ালো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিবিআই-এর একটি দল। সিবিআই আধিকারিকরা আপাতত পুড়ে যাওয়া নথিতে কখনও বালি, কখনও নিজেদের বোতল থেকে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। জ্বলন্ত কাগজ ধরতে গিয়ে হাত পুড়ছে আধিকারিকদেরও। 

    কী ঘটেছিল

    স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল নেতা সকালে লরি বোঝাই কাগজপত্র নিয়ে যান ভাঙড়ের আন্দুলবেড়িয়ার বাগানবাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি মাঠে। সেখানে কাগজগুলি একসঙ্গে জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকেই খবর পায় সিবিআই। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। কাগজে সরকারি স্ট্যাম্প দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, সেগুলো নিয়োগ (SSC Scam) সংক্রান্ত কোনও নথির হতে পারে। কারণ যে তৃণমূল নেতারা লরিতে কাগজ এনেছিলেন, স্থানীয় এলাকায় তাঁরা আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। 

    আরও পড়ুন: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    নথি উদ্ধারের চেষ্টা

    আগুন নিভিয়ে অর্ধেক পুড়ে যাওয়া নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বেশ কিছু আধপোড়া নথি উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে বালি ফেলে নিভিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই মুহূর্তে সেখানে রয়েছেন সাত থেকে আট জনের সিবিআই আধিকারিকের দল। গোটা বাগানবাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই নথিতেই হয়তো কোনও বড় ‘ক্লু’ ছিল, সেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল। সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়েছে, লরি লরি কাগজ এনে জমা করা হয়েছে বাগানবাড়িতে। যে বাগানবাড়িতে নথি পোড়ানো হয়েছে, তার মালিকানা হিসাবে নাম উঠে আসছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডল ও রাকেশ রায় চৌধুরীর। বাগানবাড়ির চতুর্দিকে কালো ছাই পড়ে রয়েছে। সেখান থেকেই ঝলসে যাওয়া কাগজের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করছেন আধিকারিকরা। পুড়ে যাওয়া এই নথির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) সম্পর্ক থাকতে পারে,বলে মনে করছে সিবিআই। সেই কারণেই তারা তড়িঘড়ি এলাকায় ছুটে গিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhangar Arms: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙড়ে অস্ত্র-বোমা কারখানার হদিশ, ধৃত ২

    Bhangar Arms: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙড়ে অস্ত্র-বোমা কারখানার হদিশ, ধৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই অস্ত্র কারখানার খোঁজ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (Bhangar Arms)। বুধবার সারা রাতের তল্লাশি অভিযানের পরে ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। এই ঘটনায় নজরুল মোল্লা ও শামসুদ্দিন রহমান নামে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি 

    জানা গিয়েছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। নাটাপুকুর এলাকায় নজরুল মোল্লার বাড়ি (Bhangar Arms) পৌঁছে পুলিশ দেখে, বাবা-ছেলে মিলে বোমা বাঁধছে। এক কথায় হাতেনাতে তাদের ধরে পুলিশ। সেই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র পুলিশের হাতে আসে। উদ্ধার হয়েছে ১টি একনলা বন্দুক, ১টি কার্তুজ, ৫টি সকেট বোমা ও ১৫ কিলোগ্রাম বোমা বানানোর মশলা।

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করুন ১৮৩ জনের ভুয়ো নিয়োগের তালিকা, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের    

    তল্লাশি অভিযান শেষ হলে, থানায় ফিরে নিয়ম মাফিক সাংবাদিক বৈঠক করেন কাশীপুর থানার ওসি। সামনে সাজিয়ে রাখেন উদ্ধার হওয়া সামগ্রী (Bhangar Arms)। তিনটি টেবিল ভরে রাখা হয় সেই সামগ্রী।  

    ধৃতদের বৃহস্পতিবার সকালে বারুইপুর আদালতে চালান করেছে কাশীপুর থানা (Bhangar Arms)। এই অস্ত্র কারখানার পিছনে মূল মাথাদের সন্ধান পেতে, এই দুজনকে হেফাজতে রাখতে চায় পুলিশ। এই সব বোমা ও অস্ত্র কাদের কাছে বিক্রি করা হত তাও জানার চেষ্টা চলছে।  

    অস্ত্র কারখানার খোঁজ মিলতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দাবি (Bhangar Arms), ধৃত নবিরুল শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতী। এর আগে একাধিকবার সে আইএসএফ কর্মীদের হুমকি দিয়েছে। এলাকায় বোমাবাজি করা তার নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Bhangar: ‘‌দ্বিতীয়বার দেখলে এখানেই গুলি করে দেব,’‌ মহিলাকে হুমকি তৃণমূল নেতার! ভিডিও ভাইরাল

    Bhangar: ‘‌দ্বিতীয়বার দেখলে এখানেই গুলি করে দেব,’‌ মহিলাকে হুমকি তৃণমূল নেতার! ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দফায় দফায় সিন্ডিকেট (TMC syndicate) তাণ্ডব থেকে হুমকি, বেশ কিছুদিন ধরেই খবরে তৃণমূল নেতাদের দাদাগিরি। বগটুই, ঝালদা, রানিগঞ্জ, হাঁসখালি, খড়দহ, ফলতা, বাঁশদ্রোণীর পর তালিকায় এবার নয়া সংযোজন- ভাঙড়। আবার প্রকাশ্যে এল আরও এক তৃণমূল নেতার শাসানি-হুমকি। এবার পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে এক মহিলাকে গুলি করে খুন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। 

    ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 parganas) ভাঙর (Bhangar) ১ নম্বর ব্লকের চন্দনেশ্বর এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম শাহজাহান মোল্লা। তিনি ভাঙর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্য়মে (social media) ভাইরাল (Viral video) হওয়ার পরই বিষয়টি নজরে আসে। হুমকির জেরে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ওই আক্রান্ত মহিলার গোটা পরিবার।

    স্থানীয়  সূত্রে খবর, আক্রান্ত মহিলার নাম তন্দ্রা দাস। ওই মহিলার অভিযোগ, ‘‘প্রায় সাড়ে ১৪ বিঘা পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই শাহজাহানের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক বিবাদ চলছে। এই জমিতে রয়েছে এক বিশাল আমবাগান। শাহজাহান গায়ের জোরে এই জমি দখল করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। তাঁর আরও অভিযোগ, এই জমিতে একটি অবৈতনিক ফ্রি স্কুল চালাতেন তিনি। এই কাজে তাঁর মা-ও সাহায্য করতেন। উদ্দেশ্য ছিল এলাকার দুস্থ পরিবারের ছেলে-মেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ দেওয়া। কিন্তু বছর খানেক আগে সেই স্কুল ভেঙে দিয়েছেন শাহজাহান মোল্লা। 

    অভিযোগকারিণীর আরও জানিয়েছেন,  ৮ এপ্রিল তিনি এবং তাঁর মা ফের বিতর্কিত জমির আমবাগানে গিয়েছিলেন। সেই সময় শাহজাহান মোল্লা এবং তাঁর দলবল তাঁদের উপরে চড়াও হয়। রডের বাড়ি মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী মাটিতে পড়ার পরও পায়ে রডের বাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। গায়ে কীটনাশক ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। শাহজাহান মোল্লা গুলি করে খুনের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। 

    পুলিশের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন আক্রান্ত মহিলা। তাঁর অভিযোগ, যে সময় শাহজাহান তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল, সেই সময় তৃণমূল নেতার দুই দেহরক্ষী ও পুলিশকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কেউই আটকাননি। অভিযোগকারিণীর বয়ানে কাঠগড়ায় ভাঙড় থানাও। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের না করার অভিযোগও করেছেন আক্রান্ত মহিলা৷ তাঁর অভিযোগ, পুলিশের দ্বারস্থ হলে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান, তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেওয়া যাবে না। মহিলা জানিয়েছেন, শেষমেশ তিনি একটি জেনারেল ডায়েরি করে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। 

    যদিও, ভাঙড় থানা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা যদিও হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। রেকর্ড করা অডিও ক্লিপটি তাঁর নয় বলেও দাবি করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভাঙরের এই ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তন্দ্রাকে উদ্দেশ্য করে শাহাজাহান মোল্লা বলছেন, ‘‌দ্বিতীয়বার দেখলে এখানেই গুলি করে দেব।’‌ যদিও এই ভিডিয়ো–র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ঘটনার জেরে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে ওই আক্রান্ত মহিলার গোটা পরিবার।  

    তৃণমূল নেতাদের প্রভাব এবং দলগত প্রভাব স্থানীয় পুলিশের উপরে কতটা তা ঝালদাকাণ্ডে সামনে এসেছে। যেখানে কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দুকে গুলি করে খুনের ঘটনায় ভাইরাল হয়েছে স্থানীয় থানার আইসি-র অডিও ক্লিপ। যেখানে আইসি-কে পরিস্কার বলতে শোনা যাচ্ছে ঝালদা পুরসভার পুরবোর্ড গঠন নিয়ে তপন কান্দুর সঙ্গে দরকষাকষি নিয়ে সওয়াল করতে। যদিও, এই ঘটনায় এখন সিবিআই তদন্ত চলছে। সেই একই রকম ঘটনার সাদৃশ্য যেন ভাঙড় থানার ভূমিকাতেও। 

    রাজ্যজুড়েই বারবার সামনে আসছে তৃণমূল নেতাদের দাপট এবং গোষ্ঠীকোন্দল। ফলতায় এক ইঞ্জিনিয়ার এবং তাঁর স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেছেন এক তৃণমূল নেতা। সেই ইঞ্জিনিয়ার এখন বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন এবং নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। খড়দহর রহড়ায় রাস্তার উপরেই এক তৃণমূল কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। 

    যেখানে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। সেখানে কীভাবে দিনে-দুপুরে একজন মহিলাকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের হুমকি- এই নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন এবং রাজ্য সরকারকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নিশানা করেছেন। পুলিশের বলে বলীয়ান হয়ে শাসকদলের নেতারা এমন আচরণ করছেন। 

    বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষও ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রাকাশ্যে কাউন্সিলার খুন হয়ে যাচ্ছে। হুমকি শুধু নয়, মেরেও দেওয়া হচ্ছে। মহিলাদেরকেও ছাড়া হচ্ছে না। আইনকানুন বলে কিছু নেই। আইনশৃঙ্খলার এই পরিস্থিতির মধ্যে কত কিছু বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে, কেউ কি পাগল হয়েছে এমন পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যে কোনও বিনিয়োগ করবে? 

     

     

LinkedIn
Share