Tag: Strait of Hormuz

  • Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাউদাউ করে জ্বলছে ইরানের তেলকূপ। সেই আগুনের লেলিহান শিখা যত ছড়াচ্ছে, ততই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিশ্বে। না, কোনও পরিবেশজনিত কারণে এই উদ্বেগ নয়। এই উদ্বেগ বিশ্বের চালিকা শক্তিকে ঘিরে। এই চিন্তা জ্বালানি তেলকে (Crude Oil Crisis) ঘিরে।

    শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষের (Israel Iran Conflict) মাঝে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজারেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের একের পর এক তেলের খনিতে আছড়ে পড়ছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তেহরানও। ফলে, সংঘর্ষ থামার ইঙ্গিত তো নেই-ই, উল্টে তার পরিধি ও প্রভাব আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি চাপা উৎকণ্ঠা (Crude Oil Crisis)।

    দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র ইরান

    কেন? বিশ্বের খনিজ তেলের ভান্ডারের প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে ইরানের হাতে। বিশ্বে তেল রফতানিকারী দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে রয়েছে ইরান। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারী দেশগুলির সংস্থা ওপেক-এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র এটি। ইরান সহ বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রগুলির গোষ্ঠী অয়েল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (সংক্ষেপে ওপেক) গড়ে দৈনিক ১২ কোটি ব্যারেল তেল উৎপাদন করে (Crude Oil Crisis)। এর মধ্যে, ইরান প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৪ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে, যার মধ্যে প্রায় ১৭ লক্ষ ব্যারেল রফতানি করা হয়। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইরান একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে।

    আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি

    তথ্য বলছে, ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষ (Israel Iran Conflict) শুরু হওয়া ইস্তক, বিশ্বের দৈনিক তেল উৎপাদনের পরিমাণ ১২ কোটি থেকে কমে ৯.৭ কোটি ব্যারেল হয়েছে। ধরে নেওয়া যেতে পারে, এই ঘাটতি ইরানের থেকেই উৎপন্ন। ফলে, ইরানের যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব তেলের বাজারে (Crude Oil Crisis)। যুদ্ধ শুরু ইস্তক আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নির্ধারণের মানদণ্ড ব্রেন্ট-এর প্রকাশিত দৈনিক মূল্য তালিকা অনুযায়ী, জুন মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০.২ শতাংশ বেড়েছে। গত ১৪টি সেশনে বেড়েছে ৯ বার! অর্থাৎ, সেশন-প্রতি ১.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি।

    ৮৫ শতাংশ তেল আমদানি করে ভারত

    বিশ্বে তেল আমদানিকারী দেশগুলির অন্যতম ভারত। বর্তমানে, প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলই অন্য দেশ থেকে আমদানি করে ভারত। তবে, বিগত ২ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কমিয়েছে ভারত। এখন এই ৮৫ শতাংশের মধ্যে ৪০ শতাংশ তেলই ভারত কেনে রাশিয়া থেকে। এটা চালু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে। সেই সময় অত্যন্ত সুকৌশল অবলম্বন করে রাশিয়া থেকে সস্তায় বিপুল পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি শুরু করে ভারত। একটা সময় ছিল, যখন ভারত ২৭টি দেশ (মূলত ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত) থেকে তেল আমদানি করত। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০। ফলে, ভারতের হাতে একাধিক বিকল্প রয়েছে। যার জেরে দেশের তেল সরবরাহ সুরক্ষা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    হরমুজ প্রণালির গুরুত্ব কতটা?

    তবে, ভারতের আশঙ্কা কি একেবারেই নেই? না, অবশ্যই রয়েছে। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের (Israel Iran Conflict) জেরে যদি হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একটা আশঙ্কা (Crude Oil Crisis) তৈরি হতে পারে। কী এই হরমুজ প্রণালি? কোথায় অবস্থিত? কেন এতটা তাৎপর্যপূর্ণ? হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়।হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই হরমুজ প্রণালির উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সবচেয়ে বড় কথা, এর নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ইরানের হাতে।

    কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে?

    মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা তেল মূলত হরমুজ প্রণালি রুট দিয়ে ভারতে আসে। শুধু ভারত নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ। বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) প্রতিদিন এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি। আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেলের বেশি তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত।

    ভারতের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ৩৩ শতাংশ এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। এই রাস্তা বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ (Crude Oil Crisis) বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    বিকল্প পথ তৈরি ভারতের

    তাহলে ভারতের সামনে উপায় কী? পশ্চিম এশিয়ায় সম্ভাব্য টালমাটাল পরস্থিতির (Israel Iran Conflict) কথা চিন্তা করে আগাম বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করেছে ভারত। এখন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত। যেগুলি ভারত মহাসাগর হয়ে আসে। তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে, সেই পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবে, তাতে অর্থ ও সময় দুই বেশি ব্যয় হবে। ফলে, বাড়বে তেলের দাম। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    যদিও, দেশে জ্বালানি তেল নিয়ে সঙ্কট তৈরি হবে না বলে অভয় দিচ্ছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের মতে, দাম বাড়লেও, সরবরাহের কোনও ঘাটতি হবে না। তৈরি হবে না দেশে তেলের ভান্ডারগুলিতে যে পরিমাণ তেল মজুত রয়েছে, তাতে কোনও সঙ্কট তৈরি হবে না বলেই আশ্বাস দিচ্ছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৫৬ লক্ষ ব্যারেল তেল ব্যবহার হয় ভারতে (Israel Iran Conflict)। এর মধ্যে মাত্র ১৫ থেকে ২০ লক্ষ ব্যারেল পরিমাণ তেল হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। বাকিগুলি এখন আসে অন্য রুট দিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে এই রুটের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে দিল্লি। উপরন্তু, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ১০ দিনের তেল।

    ফলে, এখনই ভারতের চিন্তার কিছু নেই (Crude Oil Crisis)।

  • Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল মধ্যে যুদ্ধ ক্রমশই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এই আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ হরমুজ প্রণালি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালি। এই হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।

    ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত হল হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz)

    হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়। হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত, তবে জাহাজের জন্য প্রকৃত নাব্য চ্যানেলটি মাত্র কয়েক কিলোমিটারই প্রশস্ত রয়েছে। এই কারণেই এই অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হরমুজ প্রণালির কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রয়েছে। এগুলি হল—ইরানের আব্বাস বন্দর, এই বন্দর মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ কেন্দ্র। হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি রয়েছে ওমানের সোহার বন্দর, এই বন্দর বাণিজ্য তথা জাহাজের রুট বদলের জন্য ব্যবহৃত হয়। হরমুজ প্রণালিতে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ফুজাইরা বন্দর, এই বন্দরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ এবং জাহাজ বন্দর হিসেবে পরিচিত।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন যায় বিশ্বের পাঁচ ভাগের একভাগ তেল

    হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) মাধ্যমেই আশেপাশের বেশিরভাগ উপসাগরীয় দেশ তেল ও গ্যাস রফতানি করে। এই কারণে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল প্রতিদিন (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি।

    ভারতের ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (EIA) যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত। ভারতের (India) ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে তা দেশের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। বিপুলভাবে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম। এই হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে ভারতের রফতানি (Strait of Hormuz)

    অন্যদিকে, এই পথ (Strait of Hormuz) দিয়ে ভারত রফতানিও করে অনেক কিছু। যেমন যন্ত্রপাতি, বস্ত্র, গয়না, রাসায়নিক ইত্যাদি। যার ফলে এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হতে পারে। একইসঙ্গে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয় এবং তার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ে, তাহলে বিমান সংস্থা ও টায়ার শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের টাকাও ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়বে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তখন আর্থিক নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে হবে, বিশেষ করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    বিকল্প কী রয়েছে ভারতের কাছে?

    মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত, তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত এপ্রিল মাসে ভারত আফ্রিকার দেশগুলি থেকে ১২ শতাংশ তেল আমদানি করেছিল, গত মে মাসে সেটা কমে দাঁড়ায় ৫ শতাংশে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংঘাত শুরু হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যদি হরমুজ প্রণালি সত্যিই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে আফ্রিকার দেশগুলি থেকে তেল কেনার কথা ভারত (India) ভাববে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এখান থেকে তেল নিয়ে তেলের ঘাটতি কতটা মেটানো যাবে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ৯.৫ দিনের তেল। তবে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তেল নিয়ে ভাবতে হবে ভারতকে।

LinkedIn
Share