Tag: Supreme Court of India

Supreme Court of India

  • Supreme Court: বিবাহ বিচ্ছেদের বিশেষ ক্ষেত্রে আর ৬ মাস অপেক্ষা নয়! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: বিবাহ বিচ্ছেদের বিশেষ ক্ষেত্রে আর ৬ মাস অপেক্ষা নয়! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ছয় মাস বাধ্যতামূলকভাবে (Six Month Wait Mandatory) অপেক্ষা করতে হবে না। ক্ষেত্রবিশেষে এই নিয়ম বাতিল করাতে মত দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Courts Order On Divorce)। সোমবার ‘বাধ্যতামূলক’ সেই সময়সীমা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে সম্পর্ক তিক্ত, খাদের কিনারায় এসে ঠেকেছে, আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে অপেক্ষা করা যুক্তিহীন। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কউল, সঞ্জীব খান্না, এএস ওকা, বিক্রম নাথ এবং জেকে মাহেশ্বরীর পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানায়, কোনও ভেঙে যাওয়া বৈবাহিক সম্পর্ক যদি আর কোনও ভাবেই মেরামত করা সম্ভব না হয়, তবেই এই বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করবে আদালত। আদালত এই বিশেষ অবস্থাকে এক কথায় বলছে, ‘পুনরুদ্ধারের অসাধ্য বৈবাহিক সম্পর্ক’। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের এই সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি ধারাটি নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল। যেখানে ডিভোর্সের নোটিশ প্রদানের দিন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ছয় মাস অপেক্ষার কথা বলা আছে। ওই সময়ের মধ্যে আদালতও ডিভোর্সের ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে পারে না। 

    আরও পড়ুন: মে মাসের গরমে বাংলা টেক্কা দেবে রাজস্থানকে! কবে থেকে শুরু তাপপ্রবাহ?

    এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে ৬ মাসের বাধ্যতামূলক ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ না দিয়েই বিবাহ ভেঙে দেওয়া যেতে পারে। তবে তা পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহ-বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র প্রযোজ্য। কোন কোন ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ ছাড়া কোনও গতি নেই বলে বিবেচিত হবে তা আদালত চিহ্নিত করেছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে তার উল্লেখ থাকবে। বিশেষ পরিস্থিতিটির ব্যাখ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানের দায়িত্ব কে নেবেন, সম্পত্তির ভাগ কে পাবেন, এ সব কিছু খতিয়ে দেখে আদালতই ঠিক করবে বিবাহবিচ্ছেদের আর্জিটির দ্রুত মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন কিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CJI DY Chandrachud: ‘তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন…’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন, জানেন?  

    CJI DY Chandrachud: ‘তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন…’, প্রধান বিচারপতি কেন বললেন, জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন। তাই জামিন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত হন। জেলাস্তরের বিচারকরা সচরাচর এটাই করেন। শনিবার একথা জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (Bar Council of India) তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানেই জেলাস্তরের বিচারকদের মনোভাবের কথা তুলে ধরেন দেশের প্রধান বিচারপতি।

    জেলাস্তরের বিচারব্যবস্থার নানা সমস্যা…

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানেই নিয়ম করে তিনি তুলে ধরেছেন জেলাস্তরের বিচারব্যবস্থার নানা সমস্যার কথা। বারংবার তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হয় জেলাস্তরের আদালতগুলির বিচারকদের। এদিন ফের শোনা গেল সেই কথারই প্রতিধ্বনি।

    দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, উচ্চ আদালতগুলি জামিনের আবেদনে ভরে উঠেছে। একেবারে তৃণমূলস্তরের বিচারকরা জামিন মঞ্জুর করতে সামগ্রিকভাবে অনিচ্ছুক থাকেন। কিন্তু কেন? এর কারণ এটা নয় যে, তাঁরা অপরাধের প্রকৃতি বুঝতে অপারগ। তিনি বলেন, আসলে জঘণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন দিলে নিশানা হয়ে যেতে পারেন, এই ভয় তাঁরা পান। এদিন বার কাউন্সিলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। এই পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। নভেম্বরের ৮ তারিখে অবসর নেন তিনি।

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) ২০১৬ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হওয়ার আগে ২০১৩ সালে, এলাহাবাদ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০০ সালে, বম্বে হাইকোর্টের বিচারক ছিলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে বম্বে এইচসি দ্বারা সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত হন ও তিনি ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবেও নিযুক্ত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SC on Pregnancy Termination: অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত

    SC on Pregnancy Termination: অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার গর্ভপাত (Abortion) নিয়ে একটি অন্তর্বতীকালীন নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভবতী অবস্থায় লিভ-ইন সম্পর্কে (Live in Relation) থেকে বেরোনোর ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের অনুমতি দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    সম্প্রতি গর্ভপাত নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ২৫ বছর বয়সী মহিলা। তাঁর দাবি ছিল, তিনি অবিবাহিত এবং আর্থিক ভাবেও সচ্ছল নন। এছাড়াও তাঁর সঙ্গী তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন। গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ায় গর্ভপাতের আর্জি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়, এই সময় গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া মানে ভ্রূণ হত্যার সমান। তারপরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। 

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    এবার ওই মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত। দিল্লি এইমসের এক বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর শীর্ষ আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, যে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও ঝুঁকি ছাড়াই গর্ভপাত করা যেতে পারে। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বিষয়টিতে দিল্লি হাইকোর্ট ‘অযথা’ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এদিনের পর্যবেক্ষণে বিশেষভাবে অবিবাহিত মহিলাদের ওপর জোর দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে, যেহেতু আবেদনকারী অবিবাহিতা, তাই তাঁকে গর্ভধারণের জন্যে বাধ্য করা যেতে পারে না।  

    সম্প্রতি সরকারের নতুন নিয়ম অর্থাৎ মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি আইন ২০২১ অনুযায়ী গর্ভপাতের সময়সীমা ২০ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম প্রযোজ্য হতে হবে, যেমন কোনও মহিলা যদি যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের শিকার হন, বিধবা, বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিবন্ধী, মানসিকভাবে অসুস্থ, ভ্রূণের বিকৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু অবিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে ওই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। 

    সুপ্রিম কোর্টের কাছে ওই অবিবাহিত মহিলা তাঁর ২৩ সপ্তাহ ৫ দিনের গর্ভাবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গর্ভপাতের আবেদন জানিয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মহিলার যদি প্রাণের কোনও ঝুঁকি না থাকে তবে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে গর্ভপাত করাতে পারবেন এবং তাঁর রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।   

     

  • SC on Prostitution: যৌনকর্মীদের সমমর্যাদা, সমান আইনি অধিকার প্রাপ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    SC on Prostitution: যৌনকর্মীদের সমমর্যাদা, সমান আইনি অধিকার প্রাপ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পতিতাবৃত্তিকে (Prostitution) পেশা হিসেবে চিহ্নিত করা বা যৌনকর্মীদের  (sex workers) আইনি সুরক্ষা প্রদান  করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)। সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সাবালক ও স্বেচ্ছায় আসা যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে অযথা হেনস্থা ও ফৌজদারি পদক্ষেপ গ্রহণ যেন না করা হয়। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, পেশা যাই হোক, যৌনকর্মীদের সমমর্যাদা ও সমান অধিকার প্রাপ্য। ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। 

    শীর্ষ আদালতে একটি আবেদনের শুনানি  চলছিল যেখানে বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯ (covid-19) অতিমারীর কারণে যৌনকর্মীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে যৌনকর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য গঠিত একটি প্যানেলের সুপারিশের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ। 

    বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের (L Nageswara Rao) নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই সংক্রান্ত ছ’টি নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, যৌনকর্মীরা আইনের সমান সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী। ফৌজদারি আইন অবশ্যই বয়স এবং সম্মতির ভিত্তিতে সকল ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। যখন এটা স্পষ্ট যে যৌনকর্মী একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এবং সম্মতিতে যৌনকর্মে অংশ নিচ্ছেন, পুলিশকে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করা বা কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এটা বলার দরকার নেই যে, পেশা যাই হোক না কেন, সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে (Article 21) এদেশের প্রতিটি ব্যক্তির একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকার রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার! দিল্লি থেকে আই এএস অফিসারকে বদলি লাদাখে, স্ত্রীকে পাঠানো হল অরুণাচল

    আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, অনৈতিক ট্র্যাফিক (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫৬-এর অধীনে কর্তব্যরত কর্তৃপক্ষেকে মনে রাখাতে হবে যে, সাংবিধানিক সুরক্ষা এই দেশের সমস্ত ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। আদালতের মতে, কোনও যৌনকর্মী যদি যৌন নিপীড়নের শিকার হন, তাঁকে আইন অনুযায়ী দ্রুত শারীরিক পরীক্ষা করে তদন্ত শুরু করতে হবে। যৌনকর্মীদের চিকিৎসা সহায়তা সহ সবধরনের পরিষেবা প্রদান করতে হবে, যা একজন যৌন নিপীড়িতাকে আইন অনুযায়ী দেওয়া প্রয়োজন। 

    আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও পতিতালয়ে অভিযানের সময় যৌনকর্মীদের “গ্রেফতার করা বা শাস্তি দেওয়া বা হয়রানির শিকার হওয়া” উচিত নয় কারণ “স্বেচ্ছায় যৌনকর্ম বেআইনি নয় এবং শুধুমাত্র পতিতালয় চালানো বেআইনি।” আদালতের মতে, “এটা লক্ষ্য করা গেছে যে যৌনকর্মীদের প্রতি পুলিশের মনোভাব প্রায়শই নৃশংস এবং সহিংস। যেন তাঁরা এমন একটি শ্রেণিভুক্ত, যাঁদের অধিকার স্বীকৃত নয়।

    শীর্ষ আদালতের অভিমত, মা যৌনপেশায় আছেন, শুধু সেই যুক্তিতে সন্তানকে তাঁর মায়ের কাছ থেকে সরিয়েও নেওয়া যাবে না। পাশাপাশি কোনও যৌনকর্মী যদি তাঁর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে যান, তা হলে সেটিও সমান মনোযোগের সঙ্গে দেখতে হবে পুলিশকর্মীদের।  পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে যৌনকর্মীদের অধিকারের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া উচিত। সমস্ত মৌলিক মানবাধিকার এবং সংবিধান স্বীকৃত সমস্ত নাগরিকের জন্য রক্ষিত অন্যান্য অধিকার যৌনকর্মীদেরও প্রাপ্য।

    পুলিশের উচিত, সকল যৌনকর্মীদের সাথে মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করা এবং তাঁদের মৌখিক এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা না করা। যৌনকর্মীদের ওপর কখনই হিংসা বা তাঁদের কোনও যৌন  কার্যকলাপে বাধ্য করা উচিত নয় বলে জাবনিয়েছে বেঞ্চ। 

    সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশেও কিছু নির্দেশিকা বজায় রাখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চের নির্দেশ, কোনও ঘটনা ঘটলে যৌনকর্মীদের পরিচয় যেন প্রকাশ্যে না আসে, সে ব্যাপারে গণমাধ্যম, সংবাদপত্রকে সতর্ক থাকতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট এই সুপারিশগুলোর ব্যাপারে কেন্দ্রের মতামতও জানতে চেয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ জুলাই। সে দিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের অভিমত শুনবে শীর্ষ আদালত।

     

     

  • NEET PG 2022: পেছাচ্ছে না নীট স্নাতকোত্তর পরীক্ষা, জানাল শীর্ষ আদালত

    NEET PG 2022: পেছাচ্ছে না নীট স্নাতকোত্তর পরীক্ষা, জানাল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারি উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকা স্নাতকোত্তর নীট (NEET PG 2022) পরীক্ষা পেছানোর আর্জি খারিজ করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। পূর্ব নির্ধারিত দিন, অর্থাৎ ২১ মে-তেই হবে নীট স্নাতকোত্তর। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্যে আদালতে আর্জি জানিয়ে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ।

    শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, “পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে বিশৃঙ্খলা এবং অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। অসংখ্য পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ক্ষতগ্রস্থ হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।”  আদালতের দাবি, এবছর ২ লক্ষ ৬ হাজার ডাক্তারি উচ্চশিক্ষা প্রার্থী পরীক্ষায় বসার জন্যে আবেদন করেছেন। পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেলে তাদের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। 

    ২০২১ সালের নীট স্নাতকোত্তরের কাউন্সেলিংয়ের সঙ্গেই পরীক্ষা হওয়ার কারণ দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশিকা পরীক্ষা (Entrance Exam) পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই মামলায় শুক্রবার শীর্ষ আদালতে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, “যেসব পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন এখন পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়বেন। এছাড়া পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে চিকিৎসা ব্যবস্থাও ব্যপকভাবে প্রভাবিত হবে।” 

    আরও পড়ুন: ফের স্থগিত হতে পারে এবছরের নীট পরীক্ষা, প্রতিনিধি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৈঠকের পর এমনই সম্ভবনা দেখা দিয়েছে

    আগামী ২১ মে নীট পরীক্ষার দিন ধার্য হয়। কিন্তু কাউন্সেলিং এবং পরীক্ষার মধ্যে ব্যবধান খুব কম হওয়ায় পড়ার সময় পাবেন না পরীক্ষার্থীরা, এই কারণ দেখিয়ে পরীক্ষা পেছানোর আর্জি জানায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল  অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Association)। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দেওয়া উচিৎ পরীক্ষার্থীদের, বলে দাবি  জানায় আইএমএ।  

    ২০২১- এর ২৫ অক্টোবর নীট পিজির কাউন্সেলিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়। জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা শুরু হলেও আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত জটিলতায় আবার তা পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট ওই কাউন্সেলিং বাতিল করে নতুন করে ৩১ মার্চ কাউন্সেলিং করার নির্দেশ দেয়। কাউন্সেলিং দেরিতে হওয়াতেই পরীক্ষা স্থগিতের আবেদন জানিয়েছিল আইএমএ।

  • Future CJ Pardiwala: মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী, রায়ে মানবিক স্পর্শ, জানুন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য 

    Future CJ Pardiwala: মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী, রায়ে মানবিক স্পর্শ, জানুন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি পদে শপথ নিলেন জামশেদ বুরজোর পারদিওয়ালা। ২০২৮ সালের মে মাসে তিনি হবেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice)। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে দু’বছর তিন মাস। মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী এই বিচারক কোনও দম্পতির মধ্যে অশান্তি মেটাতে নিজের বাইরে গিয়েও চেষ্টা করেন। তাঁর প্রতিটি রায়ে দেন ‘মানবিকতার স্পর্শ’।  

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা (J B Pardiwala) ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা এই দুই বিচারপতিকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। 

    এর আগে গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন বিচারক জামশেদ বুরজোর পারদিওয়ালা। নতুন দুই বিচারপতি শপথ নেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের মোট বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে হল ৩৪। তবে, তা ১০ মে পর্যন্ত। ১০ মে অবসর নেওয়ার কথা বিচারপতি বিনীত সরনের। বিচারপতি ধুলিয়া, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট থেকে পদোন্নতি হওয়া দ্বিতীয় বিচারপতি। অপরদিকে, বিচারপতি পারদিওয়ালা চতুর্থ পার্সি যিনি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে উন্নীত হলেন।   

    ১১ বছর আগে বিচারক হন পারদিওয়ালা। কয়েকজন প্রবীণ বিচারপতি ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে প্রতিযোগীতায় হারিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের এই পদে আসীন হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ ৩০ মাস ৩৪ জন বিচারপতির পদ শূন্য ছিল। সম্প্রতি ওই পদগুলি পূরণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নতুন বিচারপতিদের নাম সুপারিশ করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক তা অনুমোদন করে। 

    গত ১১ বছর উচ্চ আদালতে বিচারপতি থাকাকালীন পারদিওয়ালার বিভিন্ন রায় সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছে। কোভিড অতিমহামারীর সময় একাধিকবার তিনি সরকারকে তিরস্কার করেছেন। ওই সময় তিনি পুরীতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার অনুমতি দেননি। একটি রায়ে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। সেজন্য তাঁকে ইমপিচ করার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছিল।   

    বিচারপতি পারদিওয়ালার ডাক নাম জাপু। গুজরাতের দক্ষিণে এক পার্সি পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর দাদু কাওয়াসজি নভরোজ পারদিওয়ালা, ১৯২৯ সালে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ১৯৫৮ সাল অবধি আইনের পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জামশেদ পারদিওয়ালার বাবা  বুরজোর কাওয়াসজি পারদিওয়ালা ওকালতির পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন। তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গুজরাত বিধানসভার স্পিকার ছিলেন।

    জামশেদ পারদিওয়ালা ১৯৮৮ সাল থেকে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ২০১১ সালে তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন। ২০১৩ সালে তাঁকে ওই পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু জাল উনওয়ালা জানিয়েছেন, একসময় ভাল টেনিস খেলতেন পারদিওয়ালা। তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। অদৃষ্টও মেনে চলেন। 

    পারদিওয়ালা তরুণ আইনজীবীদের কাছে একজন অত্যন্ত পছন্দের বিচারপতি। তাঁরা বলেন, পারদিওয়ালার ভাষার ওপরে তাঁর যথেষ্ট দখল আছে। সর্বোপরি তিনি প্রতিটি রায়ে মানবিক স্পর্শ দেন। এক প্রবীণ অ্যাডভোকেট বলেন, বিচারপতি পারদিওয়ালা যদি দেখেন এমন কোনও দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছে যাঁদের সন্তান আছে, তাঁদের তিনি নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান। দু’জনের কাছে আবেদন করেন, সন্তানের কথা ভেবে আপনারা বিচ্ছিন্ন হবেন না। এমনকি বৈবাহিক ধর্ষনেরও বিরোধীতা করেন এই ‘মানবিক’ বিচারপতি। 

     

LinkedIn
Share