Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: ‘জানেন কীভাবে ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন অভিষেক?’ বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘জানেন কীভাবে ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন অভিষেক?’ বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে ৭ লক্ষেরও বেশি ভোটে জয় পেয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর এই ভোটের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর বিস্ফোরক অভিযোগ, ৯০০ বেশি বুথে ইভিএম-এ টেপ লাগানো ছিল। প্রতি বুথে ৮ জন করে পোলিং এজেন্ট, আর বাইরে জাহাঙ্গির বাহিনী। ভোট না দিলে দেওয়া হয়েছিল মারধরের হুমকিও।

    কীভাবে ভোট হয়েছিল, বললেন শুভেন্দু

    সম্প্রতি এক সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, “তিনি নাকি সাত লক্ষ ভোটে জিতেছেন। জানেন, ৯০০-র বেশি বুথে সেলোটেপ লাগানো ছিল। ৮ জন করে পোলিং এজেন্ট জাহাঙ্গির বাহিনীর। আপনি যদি গিয়ে ভিতর থেকে চিৎকার করেন, যে আমি পদ্মফুল বা অন্য কোনও প্রতীক খুঁজে পাচ্ছি না, তাহলে আপনি যখন বুথ থেকে বেরোবেন, তখনই মারবে। আবার যদি নাও টেপেন, শব্দ না হয়, তাও মারবে। এই করে সাত লক্ষ ভোটে জিতেছে।” শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই অভিযোগ নিছক রাজনৈতিক আক্রমণ নয়, বরং এর মধ্যেই তিনি তুলে ধরেছেন ভোটব্যবস্থার উপর আস্থার সংকট। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, ভোটারদের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারকে নষ্ট করে গোপনে কারচুপি চালানো হয়েছিল। অভিষেককে বিঁধে শুভেন্দু বলেছেন,“টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। কয়লা খায়, বালি খায়, গরু পাচার করে, দেশি মদের প্রতি বোতল থেকে আড়াই টাকা করে তোলে, ডিয়ার লটারি ওর ব্যবসা। ওই ৭ লাখ ১৫ হাজার ভোটে জিতেছে? প্রমাণ করে দেব ডায়মন্ড হারবারে কী কায়দায় ভোট হয়েছিল, কী কায়দায় লুট হয়েছিল?”

    সাজানো কারচুপির ফল

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে রেকর্ড সাত লক্ষ ১০ হাজার ভোটে জিতেছেন অভিষেক। আর এই জয়ের ব্যবধান নিয়েই সরব বিজেপি। কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে বিস্ফোরক এই একই অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছিলেন, ডায়মন্ডহারবারে কয়েক লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এরপরই অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Suvendu-Abhishek) প্রতিনিধি পেনড্রাইভে তথ্য নিয়ে অনুরাগ ঠাকুরের বাড়িতে পৌঁছন। শুভেন্দু এদিন বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে সোমেন মিত্র অনেক বড় নেতা ছিলেন, তিনি ৭০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। অনেক বড় নেতা আবু হাসনাত খান, তিনি ৫০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। অনেক বড় নেতা শমীক লাহিড়ি, তিনি ৯০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। অনেক বড় নেতা বামপন্থী অমল দত্ত, তিনিও সামান্য ভোটে জিতেছিলেন।” অভিষেকের এই জয় কোনওভাবেই স্বাভাবিক নয়, বরং সুচারুভাবে সাজানো কারচুপির ফল।

  • Sukanta Majumdar: মেডিক্যালে ভর্তি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের, বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মেডিক্যালে ভর্তি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের, বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যে এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া (West Bengal)। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ডেন্টালে ভর্তি। এ নিয়ে সামনে এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার বিজ্ঞপ্তি। জানা যাচ্ছে, ওবিসি জটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিজের সামাজিক মাধ্যমে সুকান্তবাবু লিখেছেন, রাজ্যে মেডিক্যালে ভর্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। হঠাৎ করেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি ‘জরুরি বিজ্ঞপ্ত’রি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য মেডিক্যাল-ডেন্টাল কাউন্সেলিং ও ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে রাজ্যের হাজার হাজার মেডিক্যালপ্রার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন (Sukanta Majumdar), রাজনীতির জন্য এক নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে তুষ্ট করতেই কি কাউন্সেলিং বন্ধ করে দেওয়া হল? সংরক্ষণের নামে কোনও বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কি এই পদক্ষেপ? তাঁর কটাক্ষ, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পরীক্ষায় সফল ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

    মমতা সরকারকে আক্রমণ শুভেন্দুর (West Bengal)

    সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ এবং জয়েন্ট ফল না প্রকাশ করার ইস্যুতে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে তিনি বলেন, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী! যত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে, তত মমতার ঘনিষ্ঠদের প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়বে, ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।” তাঁর দাবি, এইভাবে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায়, জাতীয় ওবিসি (OBC) তালিকার বাইরে থাকা ৭৬টি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই তালিকায় ঢোকাতে চায়। একই সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও যাতে এরা বঞ্চিত না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলত, সকল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলির পথে।

    উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে (Sukanta Majumdar)

    প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের এমন বিজ্ঞপ্তির ফলে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। কতদিন এভাবে চলবে, এনিয়েও উঠছে প্রশ্ন, এবং তাদের বছর নষ্ট হবে কিনা, সে আশঙ্কাও করছেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত কী কারণে স্বাস্থ্য ভবন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই এমবিবিএস ও বিডিএস (বিডিএস মানে ডেন্টাল)-এর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের কাজ রবিবার রাতেই মিটে গিয়েছিল। বুধবারেই এর ফল প্রকাশের কথা ছিল, অর্থাৎ ২০ অগাস্ট। জানা যাচ্ছে, এ রাজ্যে পাঁচ হাজারের বেশি আসন রয়েছে, যেখানে পছন্দের ভিত্তিতে নাম দাখিলের হিসেবে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন ইতিমধ্যে ১১ হাজার পড়ুয়া। কিন্তু এর ঠিক পরেই স্থগিত করে দেওয়া হয় কাউন্সেলিং।

    অনেক মেধাবী পড়ুয়া রাজ্যের বাইরে পা বাড়াবেন?

    এর ফলে একেবারে অনিশ্চয়তা শুরু হয় ১১ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে। মেডিকেল পড়ুয়াদের ভর্তি থেকে শুরু করে বার্ষিক যে পরীক্ষা—সেটা সমস্তটাই সারাদেশের এনএমসির একটি গাইডলাইন মেনে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এর জন্য দায়ী স্বাস্থ্য ভবন, কারণ গোটা দেশের সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলার মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। ভর্তি প্রক্রিয়াতে অচলাবস্থা। এই আবহে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অনেক মেধাবী পড়ুয়া রাজ্যের বাইরে পা বাড়াবেন, এবং রাজ্যের বাইরে কোনও জায়গায় তারা ভর্তি হবেন। অন্যদিকে জয়েন্টের ফল কবে প্রকাশ হবে? সে প্রশ্নেরও উত্তর মিলছে না। কারণ, ওবিসি জটিলতা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে পুরোটাই এখন অন্ধকারে চলছে।

  • Suvendu Adhikari: জয়েন্টের ফল কেন বেরোচ্ছে না? মমতাকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জয়েন্টের ফল কেন বেরোচ্ছে না? মমতাকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও বেরোয়নি রাজ্য জয়েন্টের ফল। আদালতে মামলা চলছে। সোমবার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করার পথে হাঁটছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Mamata Banerjee Govt)। সোমবার রাজভবনের (Rajbhavan) বাইরে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কার্যত এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। ইচ্ছে করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে বেসরকারি জায়গায় প্রক্রিয়া চালু রাখা হয়েছে। আদতে এমন কাজ করে বাংলার পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি শুভেন্দুর।

    ৫ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাত করে রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের কাছে বিজেপির ১৫ জন বিধায়ক এসেছিলাম আমরা। বিধায়কদের যারা শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত তাঁরা আজ এসেছিলেন। ছাত্রছাত্রী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান সবটাই বাংলায় বিপন্ন। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর যা করছে এধরনের শিক্ষা বিপর্যয় স্বাধীনতার পর দেশে হয়নি। বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর চলছে রাজ্য। তিন মাস আগে বাংলায় উচ্চ মাধ্যমিক এর রেজাল্ট বেরিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ভর্তির প্রক্রিয়া সরকারি প্রতিষ্ঠানে এখনও শুরু হয়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রেজাল্ট এখনও প্রকাশ পায়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পর ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়ে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে অন্য রাজ্যে। এই ঘটনায় রাজ্যের ৫ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত।’’

    ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ

    এতদিন আইনি জটিলতা থাকলেও সম্প্রতি জয়েন্টের ফলপ্রকাশে বাধা নেই বলেই জানায় আদালত। তারপরও সেই ফল প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। কেন জয়েন্টের ফলপ্রকাশ হচ্ছে না, এর দুটি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়কের কথায়, জাতীয় ওবিসি (OBC) তালিকার বাইরে থাকা ৭৬টি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই তালিকায় ঢোকাতে চায়। একই সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও যাতে এরা বঞ্চিত না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলত, সকল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলির পথে। এই প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘বিগত কয়েক বছরে চিটফান্ড (Chitfund) উঠে গেছে ইডি-সিবিআইয়ের চাপে। তাই এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী! যত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে, তত মমতার ঘনিষ্ঠদের প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়বে, ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।’’ তাঁর দাবি, এইভাবে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে তৃণমূল সরকার।

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এব্যাপারে আমরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছি। বিকাশ ভবনে গেলে মেরে তুলে দেবে। নবান্ন তো যেতেই দেবে না। তাই আমরা রাজ্যপালের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছি। আমরা অনুরোধ করেছি এব্যাপারে রাজ্যপাল আমাদের যেন রিপোর্ট দেন যে রাজ্য কী করল।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে (Suvendu Attacks Mamata) হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু জানান, এই সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে সামনের সপ্তাহে সবাইকে নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে ধর্নায় বসবেন। কারা থাকবে এই ধর্নায় তাও স্পষ্ট করেছেন শুভেন্দু। জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়করা তো থাকবেনই, একই সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষাবিদদের নিয়ে ধর্না কর্মসূচি করা হবে। আর এক্ষেত্রেও যদি পুলিশি অনুমতি না মেলে তাহলে হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকের আগে পুলিশ-ঘরণীদের প্রশিক্ষণ! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সাংবাদিক বৈঠকের আগে পুলিশ-ঘরণীদের প্রশিক্ষণ! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যরত পুলিশের স্ত্রী-রা আইন অনুযায়ী সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি নজিরবিহীনভাবে পুলিশের কয়েকজন ঘরণী সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রেস ক্লাবে। তাঁদের দাবি ছিল কেন পুলিশের বাড়ির মেয়ে-বৌদের হেনস্থা করা হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান তাঁরা। এই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, আগে থেকেই এই মহিলাদের ‘ট্রেনিং’ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই পরিকল্পিত সাংবাদিক বৈঠকের আগের ঘটনার ছবি ও ভিডিও দেখান বিরোধী দলনেতা।

    রাজ্যপালের দ্বারস্থ

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “আইন অনুযায়ী পুলিকর্মীদের স্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে না। আমরা মামলা করব। আমরা রাজ্যপালকে এটা জানিয়েছি। ওনাকে তদন্ত করতে বলেছি। এটা সার্ভিস রুলের অবমামনা। অফিসারদের স্ত্রীদের দিয়ে অভিযোগা কারনো হয়। মূলত আমাকেই টার্গেট করা হয়। বিরোাধী দলনেতা নিজে পুলিশকে অশালীন কথা বলছেন, এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।” এরপর তিনি বলেন, “আজ সমস্ত পর্দা ফাঁস করব।” এরপর বলতে শুরু করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “কলকাতা পুলিশের কর্মরত অফিসারদের বাড়ির গৃহিণীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাইরে দেখানো হয় পুলিশের স্ত্রীরা প্রতিবাদ করছেন। এই অনুষ্ঠান থেকে মূলত আমায় টার্গেট হয়েছে।”

    মানহানির মামলা করবেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর দাবি, কলকাতা পুলিশের শান্তনু সিনহা বিশ্বাস তিনি একটি সংগঠন তৈরি করেছেন। নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আবাসিক মহিলা বৃন্দ ভবানী-ভবন’। কলকাতা পুলিশ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ এই সংগঠন তৈরি করেছে। প্রেস ক্লাবে যাওয়ার আগে এদের জড়ো করা হয়েছিল পিটিএস অডিটোরিয়ামে। শুভেন্দু বলেন, “এদের ব্রিফ করেন শান্তনু, বিজিতেশ্বর রাউত। এই শান্তনু ও বিজিতেশ্বর দু’জনই প্রমোশন পেয়েছেন। তিনটে সরকারি বাস আনা হয়েছে। সরকারি কি না জানি না। রুট ২৩০। যে বাস ওসি আলিপুর এনেছে প্রেস ক্লাবে। কলকাতা পুলিশের একটি গাড়িও ব্যবহার হয়েছে। নম্বর-ডব্লুবি০৪জি৯৫৭১ ( WB04G9571)।” শুভেন্দু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁর উকিল আইনি নোটিস দিয়েছে। তিনদিন অতিবাহিত হয়েছে। এই সপ্তাহেই শুভেন্দু মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

    কারা ছিলেন ওই বৈঠকে

    এরপর যে যে পুলিশের স্ত্রীরা সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন তাঁদের নাম পরিচয় জানান শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ওই দিন উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমানের স্ত্রী সালমা সুলতানা। এই আতাউর রহমান বিজিএল এমটিএস ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে পোস্টেড। ওইদিন ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চট্টোপাধ্যায় দে। যিনি কনস্টেবল সায়ন্ত দে-র স্ত্রী। এছাড়াও ছিলেন এএসআই অতনু বাজের স্ত্রী। এই বিষয়টি রাজ্যপালকেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে পুলিশ কর্মীদের স্ত্রীরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠক থেকে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপিকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছিল তাদের। পুলিশকর্মীদের স্ত্রীদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামীদের প্রায়শই অশালীন ভাষায় কথা বলা থেকে শুরু করে হেনস্থা এমনকী জুতো দেখানোর মতো ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে পুলিশকর্মীদের স্ত্রীদের নিশানায় ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

    মনোজ ভার্মাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মিথ্যে মামলার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে এদিন নিশানায় আনেন শুভেন্দু। সোমবার সল্টলেকে বিজেপির দফতরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “কলকাতার সিপি, একজন কুখ্যাত আইপিএস। গোটা জঙ্গলমহলে অত্যাচার করেছেন এই মনোজ ভার্মা…২০০৯, ‘১০,’১১-এর আগে পর্যন্ত। আদিবাসী ছেলেগুলিকে মাওবাদী তকমা দিয়ে তুলে এনে মারতেন। এই কুখ্যাত লোকটি সেদিন অভয়ার মায়ের উপর অত্যাচার করিয়েছেন।” শুভেন্দুর কথায়,  ৯ অগাস্ট আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের ডাকে ‘অরাজনৈতিক’ নবান্ন অভিযান হয়েছিল। যেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ, যুবনেতা, মহিলা মোর্চার উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো ছিল। শুভেন্দুর অভিযোগ, “সাঁতরাগাছি পয়েন্টে কোনও বিশৃঙ্খলতার ঘটনা হয়নি, পুলিশ মিথ্যে মামলা দিয়েছে। হাওড়া ময়দানে অল্প বিস্তর হয়েছিল, পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। রানিগঞ্জ থেকে দুজনকে তুলে আনা হয়েছে, তাঁরা জামিনও পেয়েছেন।”

    কী করে ডিসি পদে শান্তনু সিনহা বিশ্বাস

    শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, শান্তনু সিনহা বিশ্বাসকে ডিসি করা হবে বলে ৮টা নতুন পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। দেড় বছরে তিনবার প্রোমোশন করিয়ে কয়েকদিন আগেই ডিসি করা হয়েছে। তিনি জানান, বেআইনিভাবে এই কাজ করা হয়েছে। শীঘ্রই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে এনিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি এও জানান, এই ইস্যু নিয়ে আজ বিকেলেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা।

  • Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    Nabanna Aabhiyan: নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার, অবস্থান বিক্ষোভ শুভেন্দুর, সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Aabhiyan) ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতার পার্কস্ট্রিটে। পুলিশের মারে জখম শতাধিক আন্দোলনকারী। শাঁখা ভাঙল আরজিকরকাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের। নবান্ন অভিযানে বাধা পেয়ে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের বিরুদ্ধে। বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।”

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি (Nabanna Aabhiyan)

    আরজিকর কাণ্ডের বর্ষপূর্তি ৯ অগাস্ট। এখনও বিচার পাননি নির্যাতিতার পরিবার। এরই প্রতিবাদে এদিন ডাক দেওয়া হয়েছিল নবান্ন অভিযানের। এই অভিযানে ছিলেন নির্যাতিতা প্রয়াত চিকিৎসকের মা-বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও। এদিনের অভিযানে দলীয় ঝান্ডা ছাড়াই যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জায়েন্ট কিলার (বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোয় রাজ্যে এই নামেই পরিচিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা) শুভেন্দু অধিকারীও।

    ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা

    নবান্ন চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা (আগে এটাই ছিল ১৪৪ ধারা)। তাই সেখানে কোনও আন্দোলন করা যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীরা যাতে নবান্নের কাছ অবধি পৌঁছতে না পারে, তাই ত্রিস্ত্ররীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল পুলিশ। তবে পুলিশের কথায় কান না দিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের দিকে যাত্রার চেষ্টা করেছে একের পর এক মিছিল। হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছি, পার্কস্ট্রিট, ডোরিনা ক্রসিং সর্বত্রই পুলিশ আটকে দিয়েছে মিছিলের গতি। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙেও কোথাও কোথাও এগিয়েছে মিছিল। সাঁতরাগাছিতে লোহার ব্যারিকেডগুলি বাঁধা ছিল শেকল দিয়ে। সেই ব্যারিকেডের ওপরই উঠে পড়েন আন্দোলনকারীদের অনেকে। পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গায় ‘শান্তি বজায় রাখুন’, ‘ডোন্ট ক্রস লাইন’ লেখা ব্যানার থাকলেও, সে-সবের তোয়াক্কা না করেই চলতে থাকে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা।

    লাঠিচার্জ পুলিশের

    এদিন নবান্ন অভিযানের শুরুতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে বাধা দেয় পুলিশ। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ বিধানসভা থেকে তিনি সরাসরি চলে যান ডোরিনা ক্রসিংয়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ অর্জুন সিং-সহ অন্য (Nabanna Aabhiyan) নেতারা। মিছিল রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে পৌঁছতেই শুভেন্দুর পথ আটকায় পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। খানিকক্ষণ বচসার পরে মিছিলের রুট বদল করে জওহরলাল নেহরু রোড ধরে নবান্ন অভিমুখে যাত্রা করে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল। মিছিল যখন পার্কস্ট্রিটে পৌঁছয়, তখনই এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হন শতাধিক বিক্ষোভকারী। এঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। পুলিশের লাঠির আঘাতেই ভেঙে যায় নিহত তরুণী চিকিৎসকের মায়ের হাতের শাঁখা। এরই প্রতিবাদে পার্কস্ট্রিটেই অবস্থানে বসে পড়েন শুভেন্দু, অগ্নিমিত্রা এবং বিক্ষোভকারীদের একটা বড় অংশ।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাঁর সঙ্গীদের মারধর করা হয়েছে। জখম হয়েছেন বিধায়করা। নির্যাতিতার মা-বাবাকেও মারা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পার্কস্ট্রিট মোড়ে এক পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা। ভেঙে গিয়েছে তাঁর হাতের শাঁখাও। বস্তুত, এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন (Suvendu Adhikari) নির্যাতিতার মা ও বাবা। তাঁরা ছিলেন পার্কস্ট্রিটের মিছিলে। সেখানে বাধা পেয়ে জনা তিরিশেক সমর্থক নিয়ে তাঁরা রেসকোর্সের পাশ দিয়ে এগোতে থাকেন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে। সেখানে ফের আটকানো হয় তাঁদের। মাথায় চোট লাগায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে।

    সাঁতরাগাছিতে জ্বলল আগুন

    এদিকে (Nabanna Aabhiyan), ডোরিনা ক্রসিংয়ে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। হাওড়ার সাঁতরাগাছিতেও ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। বিক্ষোভকারীদের গতিরোধ করতে ব্যারিকেডের ওপারে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরিই ছিল পুলিশ। ‘দফা এক, দাবি এক – মমতার পদত্যাগ’ এই স্লোগান দিতে দিতে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও হাজার চেষ্টা করেও সেই ব্যারিকেড ভাঙতে পারেননি তাঁরা। জানা গিয়েছে, এদিনের নবান্ন অভিযান রুখতে সাঁতরাগাছি-সহ যেসব জায়গায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল, সেগুলি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সিমেন্ট, লোহার বিম এবং মোটা লোহার রড। তাই আটকানো গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, এর আগে একবার বিজেপির ডাকা নবান্ন অভিযানের সময় গলিপথ ধরে নবান্নের প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতেই এবার আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। সেই ঘেরাটোপ ভাঙতে না পেরে সাঁতরাগাছিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    পার্কস্ট্রিটে শুভেন্দুর নেতৃত্বে মিছিল আটকাতেই পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, “অনুব্রত ঠিকই বলেছিল।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যখন জনগণের ন্যায়বিচারের দাবি দমন করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে (Nabanna Aabhiyan), তখন বোঝা যায় অনুব্রত মণ্ডলের কথার মধ্যে কিছু সত্যি ছিল।” তিনি বলেন, “নির্যাতিতার মা-বাবাকেও রেহাই দেয়নি পুলিশ।” তাঁর দাবি, আজ ৫০ হাজার লোক হয়েছে। পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে, ১০০ জনেরও বেশি জখম হয়েছেন। তিনি বলেন, “আজকের লড়াই বাংলা বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই। তাই নির্যাতিতার বাবা-মা যতক্ষণ চাইবেন, এই অবস্থান চলবে।” শুভেন্দু বলেন, “একটাও বিজেপির ঝান্ডা নেই। অথচ ১৮ জনকে ভর্তি করা হয়েছে রেলের হাসপাতালে (Suvendu Adhikari)।” বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “কাকিমার (নির্যাতিতার মায়ের) শাঁখা ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। আগে মেয়েকে মেরেছে। এবার শাঁখা ভেঙে দিয়েছে। এটাই পুলিশের চরিত্র (Nabanna Aabhiyan)।”

  • Suvendu Adhikari: “বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকলে, আমি মর্গে থাকতাম,” কোচবিহারে কনভয়ে হামলায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকলে, আমি মর্গে থাকতাম,” কোচবিহারে কনভয়ে হামলায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি যদি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতাম, তাহলে মর্গে থাকতাম।” মর্মস্পর্শী কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। কোচবিহারে কনভয়ে হামলার ঘটনায় গর্জে উঠলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এর শেষ দেখে ছাড়ব।” ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে আসা উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) আক্রমণ শানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি মমতাকে হারানো লোক। সত্যিকারের সনাতনী হয়ে থাকলে, এর হিসেব আমি নেব। বদলও হবে, বদলাও হবে। উদয়ন গুহ, তোমার সঙ্গে আমার হিসেব হবে।” তিনি বলেন, “গতকাল গভীর রাতে রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপিকে মেল করে বিচারপতি মান্থার ২টি অর্ডার জানিয়ে সমস্ত তথ্য দিয়ে এসেছি। বাগডোগরা থেকে সকাল ১০টায় কোচবিহারের উদ্দেশ যাত্রা করি। শ্রাবণ মাস, বাবা মহাদেবের আশীর্বাদ, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এসেছি।”

    মমতাকে হারিয়েছি, তাই এত রাগ (Suvendu Adhikari)

    এর পরেই তিনি বলেন, “মমতাকে হারিয়েছি। তাই ওদের এত রাগ। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে এসেছি। বাংলাদেশ থেকে হু হু করে লোক ঢোকাচ্ছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যেই খাগড়াবাড়ি ঢুকেছি, অমনি উন্মত্ত হায়নার দল, উদয়ন গুহের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমি যদি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতাম, তাহলে আমার মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে ফুল দিতে হত আপনাদের। প্রত্যক্ষ খুনি যদি উদয়ন গুহ হন, তাহলে পরোক্ষ রাজীব কুমার। এর শেষ দেখে ছাড়ব।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি মমতাকে হারানো লোক। সত্যিকারের সনাতনী হয়ে থাকলে, এর হিসেব আমি নেব। বদলও হবে, বদলাও হবে। উদয়ন গুহ, তোমার সঙ্গে আমার হিসেব হবে।” এসআইআর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “কোনও হিন্দুর সমস্যা হবে না, কোনও রাজবংশীরও সমস্যা হবে না। একটাও বাংলাদেশি মুসলমান, রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় থাকবে না।”

    শুভেন্দুর কনভয়ে হামলা

    প্রসঙ্গত, বিজেপি বিধায়কদের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় পৌঁছন তিনি। পরে রওনা দেন কোচবিহারের উদ্দেশে। শুভেন্দুর কনভয় খাগড়াবাড়িতে পৌঁছতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয়, গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। শুভেন্দুর গাড়ির কাচও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “গাড়ির সামনের কাচ ভাঙতে পারেনি। পাথর দিয়ে পিছনের কাচ ভেঙেছে। এটা তো সাধারণ গাড়ি নয়। কনভয়ে হামলা নয়, মেরে ফেলার জন্যই পাথর ছুড়েছিল। বুলেটপ্রুফ গাড়ি না থাকলে, কিছু থাকত নাকি (Udayan Guha)!”

    জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু

    জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু। তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতার কনভয়ে হামলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, পুলিশি নিরাপত্তা ঢিলেঢালা ছিল। কোচবিহারে হামলার মুখে পড়ার পর শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজিপিকে চিঠি দিচ্ছেন। নিরাপত্তা নিয়ে আদালতের নির্দেশ মনে করিয়েই চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সোমবারই শুভেন্দুর আইনজীবী অনীশ মুখোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশের ডিজিপি, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে চিঠি দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ মেনেই কর্মসূচি করেছেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই নির্দেশ ঠিকঠাক কার্যকর হয়নি বলেই অভিযোগ। জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তার অধিকারী একজন রাস্তা গিয়ে গেলে কীভাবে চারপাশে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।

    ভাইপোর নির্দেশে মেরে ফেলার জন্য হামলা

    এদিন শুভেন্দু বলেন, “ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মেরে ফেলার জন্য হামলা চালানো হয়েছিল। ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, উদয়ন গুহ আক্রমণ করেছেন।” রাজ্যের (Udayan Guha) বিরোধী দলনেতার দাবি, এই হামলার পেছনে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এনে কাঠের ডান্ডা ও পাথর দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই তাঁর কনভয়ে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে।

    কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “যখন কোচবিহারে আমাদের (Suvendu Adhikari) গাড়ি ঢোকে, তখন খুব ভালো করেই জানতাম, উদয়নবাবুর এই ধরণের পরিকল্পনা আছে। উনি স্থানীয় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে বসে রয়েছেন।  সেখানেই আমাদের কনভয় থামানো হয়।” তিনি বলেন, “আমরা বারংবার আমাদের দেহরক্ষীদের বলে দিয়েছিলাম, ওরা যা করে করুক, গাড়ি ভেঙে ফেলে, ফেলুক। আপনারা গাড়ি থেকে নামবেন না। বা কোনও ধরণের প্ররোচনায় পদক্ষেপ করবেন না। তা-ই হয়েছে। একেবারে গাড়ির ভিতর থেকে ভিডিও আছে (Suvendu Adhikari)।”

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ভুয়ো ভোটারদের নাম কাটা পড়বেই’’, মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ভুয়ো ভোটারদের নাম কাটা পড়বেই’’, মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথ লেভেল অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বতন্ত্র সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এটা গণতন্ত্রের উপর আঘাত। ভোটার তালিকা সংশোধন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Suvendu Attacks Mamata) কড়া সমালোচন করলে রাজ্যার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৈধ ভোটারদের নাম যাতে বাদ না যায়, বিএলও-দের বারবার সেই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআরে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে প্রায় ৬৪ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার পর বীরভূমের সভা থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা।

    মমতাকে চ্যালেঞ্জ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করার ভঙ্গিতে মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে অনেক নাম বাদ পড়বেই। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ‘সতর্কবার্তা’ দিয়েছিলেন বিএলওদের উদ্দেশে। কারও নাম যেন বাদ না পড়ে, রাজ‍্য সরকারের কর্মী হিসাবে তা নিশ্চিত করতে বলেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শুভেন্দু দাবি করলেন, ভোটার তালিকা থেকে ‘অবৈধ’ এবং ‘ভুয়ো’ নাম বাদ যাওয়া কেউ আটকাতে পারবেন না। বিজেপির রাজ‍্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু মঙ্গলবার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কোনও নাম বাদ যেতে দেবেন না। আমি বলছি, নাম বাদ যাবেই।’’

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দুর কথায়, ‘‘রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, মৃত ভোটার, একাধিক জায়গার ভোটার তালিকা নাম থাকা ভোটার এবং মুখ্যমন্ত্রী ও আইপ‍্যাকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হওয়া ভুয়ো ভোটারদের নাম কিছুতেই তালিকায় থাকবে না। এই সব নাম কাটা পড়বেই।’’ বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলতে তিনি কাদের বোঝাতে চাইছেন, সে ব‍্যাখ‍্যাও বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট ভাবে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিস্টানরা চলে এসেছেন, তাঁরা অনুপ্রবেশকারী নন। তাঁরা সিএএ-র মাধ্যমে বৈধ ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।’’ বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা আইপ‍্যাক প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে অনেক ভুয়ো নাম ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে রেখেছে। এই সব ভোটারের কোনও অস্তিত্ব নেই বলে শুভেন্দুর দাবি। ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত কোনও নির্বাচনেই তৃণমূল প্রকৃত জনমত পেয়ে জেতেনি, এই ভুয়ো ভোটারদের জোরে জিতেছে বলে তিনি দাবি করেন। ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১০ বছরে রাজ‍্যের ৮০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি হয়েছে বলে শুভেন্দু দাবি করেন। এই বৃদ্ধি ‘অস্বাভাবিক’ বলেও তাঁর অভিযোগ। ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’য় এই সব ‘গরমিল’ ধরা পড়ে যাবে বলে বিরোধী দলনেতা মনে করছেন।

    কমিশনের নির্দেশ মানছে না রাজ্য

    শুভেন্দুর অভিযোগ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুথ লেভেল অফিসারদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হলে ভোট হবে কীভাবে! প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করুক কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিঠি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকেও সুর চড়ান তিনি। তাঁর দাবি, বিভিন্ন জায়গায় বিডিও, এসডিও-রা তৃণমূল ক্যাডারদের বিএলও করেছেন। এমনকী ২৬ হাজার চাকরিহারাদেরও মধ্যে থেকেও কোথাও কোথাও বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। শুধু বিএলও নয়, ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) নিয়োগ নিয়েও শুভেন্দুর বড় অভিযোগ। বলেছেন, ‘‘দেশজুড়ে নির্দেশ আছে মহকুমাশাসক ছাড়া কেউ ইআরও হতে পারবেন না। অথচ রাজ্যে এই নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে তাঁর নিশানায় রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পস্থ। তিনি নিজে নির্দেশিকা ভেঙেছেন বলে দাবি শুভেন্দুর।

     

  • BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালিদের ওপর নির্যাতন নিয়ে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যা অভিযোগ ফাঁস হয়ে যেতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিল বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের দাবি, মমতার মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গিয়েছে। তৃণমূলকে আক্রমণ করে গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন?

    বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতার আড়ালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল যে কতটা নোংরা রাজনীতি করে চলেছে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এল। মুখোশ খসে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুয়ো ন্যারেটিভের। আরও একবার প্রকট হল তৃণমূলের উস্কানিমূলক ও মিথ্যাচারে ভরা বিদ্বেষমূলক নীতি। রবিবার, মমতা একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন, আধার যাচাইয়ের নামে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর নির্যাতন করছে দিল্লি পুলিশ। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে মারধর করছে দিল্লি পুলিশ।

    কী অভিযোগ ছিল?

    মমতার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, তাঁর দেড় বছরের শিশু ও স্ত্রীকে কীভাবে মেরেছে দিল্লি পুলিশ, সেই বর্ণনা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আক্রান্ত মহিলা দাবি করেছিলেন, সাধারণ পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর ঘরে এসে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এর পর তাঁকে ও তাঁর শিশুসন্তানকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর দেড় বছরের শিশুসন্তানকে কোল থেকে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। যার জেরে আহত হয় শিশুটি। এর পর ওই মহিলার স্বামী ২৫ হাজার টাকা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের মুক্ত করেন।

    কী বলল দিল্লি পুলিশ?

    সোমবার, মমতার তোলা যাবতীয় দাবিকে ‘‘ভুয়ো’’ বলে উড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। সংবাদমাধ্যমকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তা “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার”। আরও জানানো হয়, শাজনুর পারভিন নামে মহিলা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি খারিজ করে দেন পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। তিনি বলেন, “স্থানীয় গোয়েন্দার মাধ্যমে সেই ভিডিওর ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। নানা প্রযুক্তিগত পরীক্ষানিরিক্ষাও করা হয় এবং সেই ভিত্তিতেই একাধিক প্রমাণ জড়ো করে তদন্তকারী দল।”

    ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা…

    দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিকের দাবি, ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তিনি নিজের ইচ্ছে মতো তাঁর বাসস্থানের কাছাকাছি বিভিন্ন গলিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সঙ্গে ২ সন্তান। ফলে, বিবরণের সঙ্গে ছবি না মেলায় সত্যতা জানতে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় ওই মহিলা স্বীকার করেন, মালদার চাঁচলে তাঁর এক আত্মীয় রয়েছেন, যিনি তৃণমূল কর্মী। তাঁর কথাতেই ওই ভিডিও তৈরি করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ওই মহিলা। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর সঙ্গেই অভিষেক ধানিয়া বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।’’

    মমতাকে তুলোধনা বিজেপির

    দিল্লি পুলিশের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ শুরু করে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা জেনে গেছে জনতা।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই পুরো ঘটনাটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনা করে করেছেন। বিষয়টি শুধু বাঙালির জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং বিভক্ত করার মরিয়া প্ররোচনা!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন যে আপনার বাড়ির বাচ্চাদের কোটিপতি করতে হবে বলে আপনি বাচ্চাদের নিয়েও রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন? আপনার লজ্জা করে না? এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রীর গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’

  • Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলা হচ্ছে—এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, গত এক সপ্তাহে সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭০ হাজারেরও বেশি নতুন ভোটার ফর্ম জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত এই সংখ্যাটি ২০ থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে থাকে। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের সহযোগিতায় বেআইনিভাবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করে তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন, ২৫ জুলাইয়ের পর জারি হওয়া কোনও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট যেন SIR এর সময় বৈধ হিসেবে গৃহীত না হয়।

    অগাস্টেই শুরু SIR

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। অর্থাৎ অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে চালু হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, তারা প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহেই বাংলায় ৭০ হাজারেরও বেশি নাগরিক অনলাইনে ভোটার কার্ড সংশোধন করার আবেদন করেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, এই আবেদনগুলির অধিকাংশই এসেছে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে—যা ইতিমধ্যে কমিশনের নজরে এসেছে।

    নবান্নের নির্দেশে দেওয়া হচ্ছে ডোমিসাইল, তোপ শুভেন্দুর

    সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (নবান্ন) থেকে জেলাশাসক ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে উদারভাবে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই নির্দেশনামূলক জেলার তালিকায় রয়েছে—নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কোচবিহার।

    অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আবেদন

    শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, গত সপ্তাহে রাজ্যে ভোটার তালিকায় নতুন নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের অপব্যবহার করে অবৈধ বাসিন্দাদের বৈধ ভোটারে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • Suvendu Adhikari: খেজুরিতে জোড়া মৃত্যু, খুনের অভিযোগ শুভেন্দুর, সোমবার বনধের ডাক

    Suvendu Adhikari: খেজুরিতে জোড়া মৃত্যু, খুনের অভিযোগ শুভেন্দুর, সোমবার বনধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার ভাঙনমারি গ্রামে দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতদের পরিবার দাবি করছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত খুন। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও স্পষ্ট বিবৃতি দেয়নি। মৃতদের মধ্যে একজন হলেন সুজিত দাস, অপরজন সুধীর পাইক। সুজিতের বাবা শশাঙ্ক শেখর দাস অভিযোগ করেছেন, “এটা বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা নয়। আমার ছেলেকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে (Khejuri)। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।” একই অভিযোগ তুলেছেন সুধীর পাইকের পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করছে।

    সুসংগঠিত খুন দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহরম উপলক্ষে শুক্রবার রাতে ভাঙনমারিতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। শনিবার সকালে সেই অনুষ্ঠানস্থলের কাছেই সুজিত ও সুধীরের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পরিবারের দাবি। ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শনে যান স্থানীয় বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, পরে পৌঁছান বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং সুসংগঠিত খুন। এই ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে করতে হবে।” তাঁর আরও দাবি, “ময়নাতদন্ত রাজ্য সরকারি হাসপাতালে হলেও কোনও আপত্তি নেই, তবে সেখানে কেন্দ্রীয় হাসপাতালের একজন চিকিৎসক উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরও ময়নাতদন্তের সময় থাকতে দিতে হবে।”

    অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয় দাবি বিজেপির

    এছাড়াও তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “হিন্দু হওয়ার কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের হত্যা করেছে। কাউকে ছাড়া হবে না।” শুভেন্দু ঘোষনা করেছেন, শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত খেজুরিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া সোমবার হিন্দু সংগঠনগুলির ডাকে খেজুরিতে বন্‌ধ পালিত হবে। খেজুরির জনকা থেকে বিদ্যাপীঠ মোড় পর্যন্ত মিছিলে তিনি নিজেই নেতৃত্ব দেবেন। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সুজিত ও সুধীর ওই রাতে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেই অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খেজুরি জুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

LinkedIn
Share