Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Nagrakata Incident: ‘নাগরাকাটায় পরিকল্পিত হামলা চালায় তৃণমূল’, মমতা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা কেন্দ্রীয় বিজেপির

    Nagrakata Incident: ‘নাগরাকাটায় পরিকল্পিত হামলা চালায় তৃণমূল’, মমতা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা কেন্দ্রীয় বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে নয় কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিও শুট করতেই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এমনই দাবি করলেন।। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র তৃণমূলকে তালিবানি মানসিকতার বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের মারার ঘটনার প্রসঙ্গে রাজ্যের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

    কেন গিয়েছিলেন মমতা?

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, “কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিও শুট করতে, লোক দেখাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক মিনিটের কম সময় থাকেন। আর বাইরে বেরিয়ে এসেই ভিডিও শুট করে বলেন, কেবল কানের নীচে একটু চোট লেগেছে। আসলে চোখের নীচের কয়েক সেন্টিমিটার দূরত্বেই হাড় ভেঙেছে, চোখটা নষ্ট হয়ে যেতে পারত।” শেহজাদ বলেন, “আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘৃণ্যভাবে মারা হয়েছে। ওনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। ওনার পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক, চোখটা নষ্ট হতে বসেছিল। কোনওভাবে রক্ষা করা গিয়েছে। আইসিইউ তে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর এক্স রে রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, মুখে চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আরেকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে হেনস্থা করা হয়েছে।”

    গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা

    পুরো হামলার নেপথ্যে তৃণমূল জড়িত বলে আরও একবার অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র শেহজাদ। তিনি বলেন, “গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা। উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে যাঁরা দাঁড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর হামলা হল। তৃণমূল নেতাকর্মীরা তালিবানি সংস্কৃতি পালন করছে। শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা হয়েছে। শঙ্কর ঘোষও বলেছেন, কীভাবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে পরিকল্পিত হামলা ছিল। কেন্দ্রীয় জওয়ানরাও রক্ষা পাননি।” উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই এমন দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করেন। একই দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারীও। এই হামলার পিছনে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশিরা জড়িত বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।

    এখনও পর্যন্ত অধরা অভিযুক্তরা

    বর্তমানে শিলিগুড়ি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খগেন। ওষুধের ও বিশ্রামের মাধ্যমে আপাতত তাঁর চোখের নীচের হাড় জোড়ার চেষ্টা চলছে। চার সপ্তাহ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যদি তাতে উন্নতি না হয়, তাহলে অপারেশন করে পাত বসানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে দিল্লির এইমসেও নিয়ে যাওয়ার হতে পারে খগেনকে। ইতিমধ্যেই ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপির তরফে। কিন্তু ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, এখনও পর্যন্ত এক জনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

  • Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় (Nagrakata Case) বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির এক সাংসদ ও বিধায়ক। তার পর কেটে গিয়েছে আস্ত দুটো দিন। তার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি কাউকেই। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ‘স্নেহচ্ছায়া’য় বেড়ে চলায় পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। সেই কারণেই এবার পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বুধবার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন সুকান্ত। শিলিগুড়িতে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা মার হবে। এখনও সময় আছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।”

    সুকান্তর হুঁশিয়ারি (Sukanta Majumder)

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, “খগেন মুর্মু কেবল সাংসদ নন, তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক পদেও থেকেছেন। শঙ্কর ঘোষ আমাদের বিধায়ক। এঁরা ছাড়াও সেদিন যাঁরা যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।” অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলেও অভিযোগ সুকান্তর। বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বলেন, “খগেন মুর্মুর মুখের হাড় ভেঙে গিয়েছে। ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে। কথা বলতে পারবেন না চার সপ্তাহ। যারা ওঁকে আক্রমণ করেছিল, তারা প্রকাশ্যে বলেছে, আমরা দিদির সৈনিক। শঙ্কর ঘোষ নিজে আমায় এ কথা বলেছেন। এখানে বিজেপি কেন আসবে, তা-ই নিয়ে ঝামেলা। আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যাদের নাম ও ছবি দেখা গিয়েছে, পুলিশ যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বিজেপির মতো করেই ট্রিটমেন্ট করবে।”

    দুষ্কৃতীদের পোস্টার টাঙানো হবে

    সুকান্ত বলেন, “এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন? আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশের বেতন হবে, আর কেউ গ্রেফতার হবে না! এটা মেনে নেওয়া যায় না। হয় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, নয়তো পাল্টা মারব আমরা।” তিনি বলেন, “যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের পোস্টার বড় বড় করে টাঙানো হবে জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ির রাস্তায় রাস্তায়। আমাদের ক্ষমতা আছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে। আমরা চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকাতে পারি। পাঁচ হাজার লোক দিয়ে ঘেরাও-ও করতে পারি। কিন্তু আমরা এসব করি না (Nagrakata Case)।” ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের দায় চাপানো হয় বিজেপির ঘাড়ে। এদিন সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন সুকান্ত। বলেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূল আছে নাকি? কংগ্রেস থেকে কয়েকজন টিকিট না পেয়ে তৃণমূল সেজে রয়েছে। আমরা কোথাও দলীয় অফিস ভাঙচুর করি না। এটা আমাদের স্বভাব নয়।” তাঁর প্রশ্ন, “ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গিয়ে কী হবে? ওখানে ওদের তো কেউ নেই।”

    নিশানা মমতাকেও

    জখম সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন (Sukanta Majumder) তাঁকেও নিশানা করেন সুকান্ত। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসে নাটক করছেন, উনি এখানে থাকা সত্ত্বেও এমন হবে কেন? আদিবাসী সমাজের মানুষকে এমন আক্রমণ করা হবে কেন?” সুকান্ত বলেন, “৮জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ক্যামেরায় হামলাকারীদের মুখও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কী করছে তারা?” মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “এমন পুলিশমন্ত্রী থাকার চেয়ে তাঁকে বন্যার জলে ফেলে দিলে ভালো হয়!” এর পরেই তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে।”

    ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    এদিকে, মঙ্গলবারই শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (Nagrakata Case) খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছিলেন (Sukanta Majumder) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ছাব্বিশে এই রক্তের বদলা হবে সুদ সমেত। উশুল করবে বাংলা। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা হবে। জলপাইগুড়ির এসপি, ডিজিপি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। স্পিকারের কল আসবে।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, খগেন মুর্মুকে দেখতে এলেও, আর এক আহত বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, খগেন মুর্মুর চোট প্রসঙ্গে মিথ্যেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর বক্তব্য, “বিজেপি সাংসদকে দেখতে এসে মমতা জিজ্ঞেস করেছেন, লাগল কীভাবে? তাঁর প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল, মারল কীভাবে, মারলই বা কারা?” তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক (Nagrakata Case)।”

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই (Sukanta Majumder) এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যকে অবিলম্বে রিপোর্ট দিতে হবে, তা না হলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

  • Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ বদলা হবে”, নাগরাকাটার ঘটনায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ বদলা হবে”, নাগরাকাটার ঘটনায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ তার বদলা নেবে মানুষ। শাসক দল তৃণমূলকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার নাগরাকাটার ঘটনায় (Nagrakata Incident) পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করছে বিজেপি। নাগরাকাটার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি এই মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    এনআইএ তদন্তের দাবি

    মঙ্গলবার শিলিগুড়ির হাসপাতালে আহত সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি বলেন, ‘ছাব্বিশে (election 2026) এই রক্তের বদলা হবে, সুদ সহ উসুল করবে বাংলার মানুষ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। এসটি কমিশন, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা হস্তক্ষেপ করেছেন। জলপাইগুড়ির এসপি আর ডিজি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। ডাক আসবেই। রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সিবিআই অথবা এনআইএ তদন্তের যে দাবি জানিয়েছেন, তাকে আমি সমর্থন করি।’

     মুখ্যমন্ত্রীর আচরণের কড়া সমালোচনা

    এদিনই শিলিগুড়ির হাসপাতালে গিয়ে বিজেপি-র আহত সাংসদ খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও ওই হাসপাতালেই আহত বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে দেখতে যাননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণেরও কড়া সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, তা নিয়ে আমাদের দলের অনেক কর্মী সমর্থকই ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সৌজন্য বজায় রাখতে বলেছি। উনি একজনের সঙ্গে দেখা করেছেন একজনের সঙ্গে করেননি। উনি এখানে এসে প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে লাগল? অথচ যারা অভিযুক্ত তাদের গ্রেফতার করছেন না।’

    শাসকদলের মদত স্পষ্ট, বললেন শুভেন্দু

    নাগরাকাটায় (Nagrakata Incident) বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে চোখের নীচে হাড় ভেঙে গিয়েছে খগেন মুর্মুর। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, দুর্গত এলাকায় ৩০-৪০টা কনভয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর তাতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “৮ জন বিধায়ক, ৩ জন সাংসদ ছিলেন, পাঁচ খানা গাড়ি ছিল, আর ১২টা মিডিয়ার গাড়ি ছিল।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, “কে বলছেন! যাঁর জন্য চার ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকে, দড়ি ঘেরা থাকে, আর যিনি ২৫০-৩০০ গাড়ি নিয়ে বের হন। যাঁর জোড়া হেলিকপ্টার রয়েছে, জোড়া চার্টার্ড ফ্লাইট রয়েছে, তারপরও যখন রাস্তায় বের হন, রাস্তা বন্ধ করে দেন। তাঁর মুখ থেকে এসব কথা মানায় না।” এই ঘটনার পিছনে শাসকদলের মদত স্পষ্ট, বলে জানান বিরোধী দলনেতা। একই সঙ্গে এই ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। দলের সাংসদের ওপর হামলার ২৪ ঘণ্টা পরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ‘শূন্য’ গ্রেফতারি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির।

  • Khagen Murmu: ভেঙেছে চোখের নীচের হাড়, অস্ত্রোপচার হবে খগেন মুর্মুর, রাজ্যের রিপোর্ট তলব লোকসভার স্পিকারের

    Khagen Murmu: ভেঙেছে চোখের নীচের হাড়, অস্ত্রোপচার হবে খগেন মুর্মুর, রাজ্যের রিপোর্ট তলব লোকসভার স্পিকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাংসদ বিজেপির (BJP) খগেন মুর্মু (Khagen Murmu)। আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। সাংসদের ওপর হামলার ঘটনায় এবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। রাজ্য অবিলম্বে রিপোর্ট না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়িতে সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরণ রিজিজু বলেন, “আমাদের লোকসভার স্পিকারের ওপরেও ঘৃণ্য হামলা হয়েছে। নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রাজ্য রিপোর্ট দিতে দেরি করলে প্রিভিলেজ অ্যাকশন নেওয়া হবে। নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত হবে।” তিনি বলেন, “কেবল সাংসদ-বিধায়কের বিষয় নয়, প্রত্যেক নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ভারতে আইন আছে। সেই আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কেউ যদি কারও ওপর হামলা চালায়, দাদাগিরি করে, তাহলে তো পদক্ষেপ করতেই হবে।”

    চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে (Khagen Murmu)

    জানা গিয়েছে, খগেন মুর্মুর চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে। তিনি ভর্তি রয়েছেন শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে। তবে এখানেই অস্ত্রোপচার হবে নাকি তাঁকে দিল্লির এমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটা এখনও নির্ধারিত হয়নি। যেহেতু চোখের নীচের হাড় ভেঙেছে, সেক্ষেত্রে চোখের মণি কিংবা তার আশপাশের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন চিকিৎসকরা। জখম সাংসদের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সাংসদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওই হামলায় বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে সাংসদ খগেন মুর্মুর। তাঁর চোখের নীচের (Khagen Murmu) অংশের একটি হাড় ভেঙে গিয়েছে বলেই আমায় জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।” তিনি বলেন, “ওঁর অবস্থা খুব গুরুতর। চোখের নীচের অংশের একটা হাড় ভেঙে গিয়েছে। চিকিৎসকরা বললেন, অস্ত্রোপচার করতে হবে। ওই অংশটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” হাসপাতাল সূত্রে (BJP) খবর, এদিন বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানো হবে জখম হওয়া বিজেপি সাংসদের। উপস্থিত থাকবেন চিকিৎসকদের একটি দলও। খগেনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বিজেপির রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতৃত্বের। তাঁরাই চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতাল নির্বাচন করবেন। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির ওই বেসরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে খগেনকে দিল্লির এইমসেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

    শঙ্কর ঘোষের অবস্থার উন্নতি

    এদিকে, জখম বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। সোমবার রাতেই শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছিলেন, শঙ্কর ঘোষ ‘আউট অফ ডেঞ্জার’। মঙ্গলবার তাঁর একটি এমআরআই পরীক্ষা হওয়ার কথা। তারপর কবে তাঁকে ছাড়া হবে, সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্তও নিতে পারেন চিকিৎসকরা (Khagen Murmu)। এদিকে, জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, এখনও গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্তদের (BJP)। ইতিমধ্যেই ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। ওই ঘটনায় পদ্মশিবির কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূলকে। তার পরেও এখনও অধরা অভিযুক্তরা।

    অসুস্থ রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে দুর্যোগ কবলিত নাগরাকাটায় একাধিক এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বামনডাঙায় ঢোকার আগে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দুজন। লাঠি, জুতো নিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হন কয়েকশো মানুষ। নদী থেকে পাথর তুলে ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতেই গুরুতর চোট পান দুজনে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্তদের (Khagen Murmu)। এদিকে, রাজ্যপালের এদিনের কর্মসূচি অনুযায়ী, ময়নাগুড়িতে বন্যা ও বৃষ্টিবধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করার কথা ছিল। কথা ছিল সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলারও। তবে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই সফর বাতিল করতে হয়েছে তাঁকে। ঠিক কী কারণে রাজ্যপাল অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তা নিয়ে রাজভবনের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি (BJP)।

    উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। টানা ২৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মে মাসে হাসপাতাল থেকে রাজভবনে ফিরেছিলেন তিনি। সেবার প্রথমে তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, পরে বাইপাশের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন রাজ্যপাল (Khagen Murmu)।

  • Nagrakata Incident: নাগরাকাটা নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি, উত্তরবঙ্গের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে শুভেন্দু

    Nagrakata Incident: নাগরাকাটা নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি, উত্তরবঙ্গের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় (Nagrakata Incident) বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলার পর শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পোস্টে ফিরল কোচবিহার স্মৃতি। ছবি দিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা দাবি করলেন, একই দুষ্কৃতীদের বারবার বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয় বিজেপি বিধায়কদের উপর হামলা করার জন্য। পাশাপাশি এর সঙ্গে জুড়লেন তৃণমূলের সন্ত্রাসবাদ মডেল-এর তত্ত্বও। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি সহ বন্যাবিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যাবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে সোমবার নাগরাকাটায় আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করবেন তিনি।

    শুভেন্দুর নিশানায় কারা

    ফেসবুক পোস্টে চার জনের ছবি দিয়ে নাম উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি…এই চারজন হলেন সইফুল হক, আইনুল আনসারি, রমজান আলি এবং পিঙ্কি খাতুন। এরপর ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী আরও লিখেছেন, ঠিক যেই সব দুর্বৃত্তদের এনেছিল কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে আমার ওপর আক্রমণ করতে, সেই ভাবেই এখানেও একই ভাবে সেই ‘বিশেষ সম্প্রদায়ের’ কিছু উচ্ছৃঙ্খল আইন অমান্যকারীদের পরিকল্পিত ভাবে জড়ো করা হয় এই ঘৃণ্য অপরাধ-অরাজকতা ঘটাতে। এরপর তিনি আরও লেখেন, এরা নিজেরাই আতঙ্কিত যে মমতা সরকার চলে গেলে এদের বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাবে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে এদের খোলা ছাড় দিতে হবে, নয় তো এরাই কোনও দিন ঘটী উল্টে দেবে। এরা একে অপরের পরিপূরক তাই রাজ্যে আইনের শাসন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।

    হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    নাক-মুখ থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছে। রুমাল, গামছা কোনও কিছু দিয়েই রক্ত বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সোমবার এই ভয়াবহ ছবি দেখা গিয়েছে নাগরাকাটায় (Nagrakata Incident)। গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। আক্রান্ত হয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। এই ঘটনা মোটেই সাধারণ নয়। ফলত বেলা যত গড়িয়েছে ততই চড়েছে রাজনৈতিক পারদ। কিন্তু গ্রেফতারি থেকেছে শূন্য। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারির জন্য পুলিশকে ‘সময় বেঁধে’ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, কারা এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে। পুলিশ আজ বিকালের মধ্য়ে কোনও ব্যবস্থা না নিলে আগামিকাল আমরা কলকাতা হাইকোর্টের ভ্য়াকেশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হব।’

    সন্ত্রাসবাদ মডেল

    সোমবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি পোস্টে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘তৃণমূলের সেই এক ‘সন্ত্রাসবাদ মডেল’, দেখুন কাদের ব্যবহার করা হয় আজকের নাগরাকাটায় সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষদের ওপর এই নির্মম প্রাণঘাতী আক্রমণ ঘটাতে।’ এর পরেই তিনি ছবিতে গোল দাগ দিয়ে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে তাদের নামও লিখে দেন সেখানে। তাঁর দাবি, এঁরাই কোচবিহারে তাঁর কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল। আর কিছুটা সময় পেরলেই পূর্ণ হবে ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু বিজেপি সাংসদকে ঘিরে মারের ঘটনায় অভিযুক্তদের কি পাকড়াও করা যাবে? রাজ্য পুলিশের দিকে সেই প্রশ্নই তুলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, গতকালের ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্য়ে কাউকেই পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই দায় ঠেলেছে গেরুয়া শিবির। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও সরব হতে দেখা গিয়েছে এই নিয়ে। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।

    আজ উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টি আর ভূমিধসে কার্যত লণ্ডভণ্ড উত্তরবঙ্গ (North Bengal Flood)। ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গে। তবে আজও হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে উত্তরের জেলাগুলি। এখনও চারপাশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতির ধ্বংসলীলার নমুনা। বৃষ্টি আর ধসে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে মিরিক, দার্জিলিংয়ের। জলের তোড়ে ভেঙে যায় দার্জিলিঙের মিরিক ব্লকের দুধিয়া সেতু। দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৬ জন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মিরিকে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাও থাকবেন তাঁর সঙ্গে। বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতাদের উত্তরবঙ্গ সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যেই সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন। এদিকে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

  • Rain in Kolkata: “নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Rain in Kolkata: “নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের সূচনার পরেপরেই প্রবল বর্ষণে (Rain in Kolkata) জমা জলে নাজেহাল কলকাতা শহর এবং শহর সংলগ্ন এলাকা। ইতিমধ্যে শহরে ১০ জনের মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী কার্যত দুদিন সরকারি-বেসরকারি দফতরে কর্মীদের বাড়ি থেকেই কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। বিপর্যয় উত্তরণে বেসামাল হয়ে আগেভাগেই সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এত বড় দুর্যোগ আসতে চলেছে এমন ইঙ্গিত তো আগে থেকেই আবহাওয়া দফতর দিয়েছিল! প্রস্তুতি বা সুরক্ষার ব্যাপার ভেবে কেন নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা? কলকাতায় জলজমার জন্য ফরাক্কা-ডিভিসিকে দায়ী করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার মিথ্যাচারকে একযোগে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু-সুকান্ত (Suvendu Adhikari)। মমতার দাবিকে খারিজ করেছে ডিভিসিও। তারাও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে, “ফরাক্কার জল কলকাতায় যায় না।” পুজোর মুখে চরম দুর্ভোগে কলকাতাবাসী, আর তাতেই চরম চাপে তৃণমূল কংগ্রেস।

    ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি প্রকাশ্যে মিথ্যাচার (Rain in Kolkata)

    বৃষ্টির জল জমে কার্যত অবরুদ্ধ গোটা কলকাতা শহর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বলেন, “রাজ্যবাসীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যর্থতার খেসারত দিতে হচ্ছে। তিনি এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টিকে (Rain in Kolkata) হঠাৎ ও আকস্মিক বলে চালানোর চেষ্টা করে আসল সত্যকে চেপে দেওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করলেন। আসলে তিনি এবং তার সরকার প্রশাসনিকভাবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ, আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই প্রকাশ্যে মিথ্যাচার করছেন।”

    সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন

    কলকাতার মেয়র ববি হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তোপ দেগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আবহাওয়া দফতর (IMD) আগেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছিল। কলকাতা ও আশেপাশের এলাকা জলমগ্ন হবার অনেক আগেই রাজ্য সরকার এই সতর্কবার্তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল। মানুষ জলমগ্ন রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Rain in Kolkata) হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন আর শহরের জলমগ্ন রাস্তায় তাদের প্রাণহীন দেহ ভাসছে এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যও রাজ্যবাসীকে দেখতে হচ্ছে কারণ এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে ছিলেন। আগাম সতর্কতা পেয়েও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। শুধুমাত্র প্রশাসনিক অবহেলা ও অব্যবস্থার কারণে এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে গেলো। আর সেই ব্যর্থতা ঢাকতে মাননীয়া ঈশ্বরের দোহাই দিচ্ছেন।”

    পুজোর আগে এতোগুলি মৃত্যু

    জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Rain in Kolkata) হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সিইএসসি এবং সঞ্জীব গয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছেন। সম্পূর্ণ বিষয়ের উপর নজর রাখছেন তিনি। এই নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পাল্টা সুকান্ত মজুমদার, মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, “পুজোর আগে এতোগুলি পরিবার নিজেদের পরিজনদের হারালেন। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিইএসসি এবং সঞ্জীব গোয়েঙ্কার উপর যে দায় চাপিয়ে দিয়েছেন তা ঠিক নয়। দায় এড়িয়ে অন্যের অপর দায় চাপানো ঠিক নয়। দেশের কোনও মেট্রোপলিটন শহরে বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকে না । সম্প্রতি বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদে জল জমে ছিল কিন্তু বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে কোনও মানুষের মৃত্যু ঘটেনি। কলকাতায় বারবার এমন ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার! সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কাদের সম্পর্ক রয়েছে? ভোটের সময় কারা টাকা নিয়েছে সবাই জানে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে।”

    ডিভিসির অজুহাত মমতার

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যর্থতাকে ঢাকতে সামাজিক মাধ্যমে ডিভিসির ওপর দায় ঠেলেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আকস্মিক দুর্যোগের (Rain in Kolkata) আক্রমণে বিপর্যয়ে কলকাতা শহরের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। ডিভিসির একতরফা জল ছাড়ায় রাজ্য এমনিতেই প্লাবিত ছিল, নদী, খাল সব টইটুম্বুর ছিল। ফরাক্কা ব্যারেজ দিয়ে আসছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের প্রচুর জল, যেখানে ড্রেজিং না হওয়ায় সমস্যা তো ছিলই। তার ওপরে এলো জল।” পাল্টা ডিভিসির সাফ কথা, “ডিভিসির জল কলকাতায় যায় না। আমতা হয়ে গঙ্গায় মিশে যায়, কলকাতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।”

  • Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন করে ফেললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পিতৃপক্ষে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করায় মমতাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই একাধিক প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর অভিযোগ, পিতৃপক্ষ চলাকালীন দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে হিন্দুদের প্রথায় আঘাত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষ হিন্দু চান্দ্র ক্যালেন্ডারের ১৫ বা ১৬ দিনের একটি সময়কাল। এই সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদানের মাধ্যমেও অনেকে স্মরণ ও সম্মান জানান পিতৃপুরুষদের। এই পিতৃপক্ষ শেষ হয় মহালয়ায়। পরের দিন থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ। এদিনই শুরু হয় নবরাত্রি উৎসবের।

    রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন (Suvendu Adhikari)

    পিতৃপক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর প্যান্ডেল উদ্বোধন প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এটি হিন্দু প্রথার ওপর আক্রমণ। আজ পিতৃপক্ষের শেষ দিন। পিতৃপক্ষ চলাকালীন কোনও শুভ কাজ করা হয় না।” তাঁর অভিযোগ, ছ’মাস পরে নির্বাচন। একে সামনে রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন। বিজেপির এই নেতার দাবি, মমতার প্রশাসন সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, “তারা (সংখ্যালঘুরা) চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষা কিছুই পাননি। তিনি তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। তাই তিনি ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করছেন। তিনি দুর্গাপূজার মতো হিন্দু উৎসবকে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, যা মোটেই ঠিক নয়।”

    ‘হিজাব’ নিয়ে তোপ

    এদিন মমতা উদ্বোধন করেন হাতিবাগান, টালা প্রত্যয় এবং শ্রীভূমির প্যান্ডেলের। হাতিবাগান সর্বজনীন মাতৃ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করতে যাওয়ার সময় টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। ছাতা না নিয়ে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী একটি চাদর নিয়ে হিজাবের মতো করে পরে নেন। তৃণমূল নেত্রীর এহেন আচরণেও ক্ষুব্ধ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, “হিজাব পরে উনি একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিচ্ছেন। এটা সরাসরি হিন্দু আস্থা, হিন্দু রীতিনীতি এবং পরম্পরায় আঘাত।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “হিন্দুরা যেহেতু বিভক্ত, সবাই যেহেতু ভোট দিতে যান না, ভোট দিতে গেলেও, অনেকে অনেকভাবে ভোট দেন, ভাগ করেন, একটা বিশেষ মেসেজ দিচ্ছেন (Mamata Banerjee) ৩২-৩৩ শতাংশ ভোটারকে যে, আমি সম্পূর্ণভাবে ধর্মনিরপেক্ষ, আমি নাস্তিক, নাস্তিক নয়, আমি প্রো-মুসলিম লিগ। ভোটব্যাংককে একজোট করতে গিয়ে স্পষ্ট বার্তা (Suvendu Adhikari)।”

  • Suvendu Adhikari: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শুভেন্দু। তার পরের দিনই আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পদ্ম ফোটার কথা বললেন তিনি। এর আগেও একাধিকবার শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছে, ২০২৬ সালে রাজ্য থেকে বিদায় হবে তৃণমূল কংগ্রেসের, মুখ্যমন্ত্রিত্ব খোয়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না (Suvendu Adhikari)

    এদিন শুভেন্দু বলেন, “দেশের যতগুলি রাজ্যেই বিজেপি সরকার গঠন করুক না কেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে যদি বিজেপি না আসে, তাহলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতারা প্রত্যেকেই বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী। এক সময়ের ৩টি আসন যদি পরে ৭৭ হতে পারে, বা ১০ শতাংশ ভোট যখন ৪০ শতাংশে আসতে পারে, তাহলে আসন সংখ্যা ১৭৭, আর ভোট ৪৫ শতাংশ না হওয়ার কোনও কারণ নেই।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় চান। কোনও দলের ঝান্ডা ছেড়ে, সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছে প্রশ্ন করলে বহু মানুষ একই উত্তর দেবেন। তাঁরা বলবেন, বিজেপির হাত ধরেই বাংলায় পরিবর্তন চাই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিই একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প।”

    বিজেপিই একমাত্র বিকল্প

    রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এটা এমন একটা রাজ্য যেখানে ৯ বছর পরে চাকরির পরীক্ষা হয়, তাও আবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। এখানে এমনও অনেক যুবক রয়েছেন যাঁরা একটা প্যান্ট তিনবার সেলাই করে পরেন। তাঁরা জানেন বেকারত্বের জ্বালা।” কেন অন্য কোনও দল নয়, বিজেপিই একমাত্র বিকল্প, এদিন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। বলেন, “যে রাজ্যেই বিজেপি সরকার রয়েছে, সেটা যাঁদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হোক না কেন, নজরদারি থাকে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর দেশপ্রেম, মমত্ববোধ, জনগণের প্রতি একাত্মতা সর্বজনবিদিত। প্রধানমন্ত্রীর সততা নিয়ে বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলতে পারেননি, ভবিষ্যতেও পারবেন না।”

    একদম সাফ করে দেব

    এদিকে, সোমবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, “যাদবপুরে যারা সংবিধান মানে না, যারা হেরোইন আর চরসের আখড়া করে রেখেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের লালন-পালন করেন। কারণ ভোটের সময় এরা ‘নো ভোট টু মোদি’ স্লোগান দেয়।” পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বিজেপি (BJP) এলে যে যাদবপুরের হাল বদলে যাবে, এদিন সেই আশ্বাসও দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু। বলেন, “বিজেপিকে আনুন, একদম সাফ করে দেব আমরা। যাদবপুরে যত জঞ্জাল আছে, সব পরিষ্কার করে দেব।” তিনি বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এবং ফের তাকে মূল স্রোতে শামিল করতে হলে বিজেপিকে আনতেই হবে। বিজেপি এলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।”

    বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থার খবর মিথ্যে প্রচার

    ভিন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যে বলেও জানিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এগুলো বেশিরভাগই ভুয়ো প্রচার। হরিয়ানা সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, সেখানে আটক হওয়া এক হাজার বাংলাভাষীর মধ্যে ৯১৫ জনই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।” তিনি বলেন, “যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ায়, তারা আর যাই হোক না কেন, বাংলা ও বাঙালির রক্ষক হতে পারে না।”

    শাহ সন্দর্শনে শুভেন্দু

    এদিকে, সোমবার হঠাৎই দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। নয়াদিল্লিতে শাহের বাসভবনে দু’জনের বৈঠক হয় মিনিট পঁয়তাল্লিশেক ধরে (BJP)। শাহের সঙ্গে বৈঠকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন শুভেন্দু। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। শুভেন্দু অবশ্য নিজেই লিখেছেন, ‘তাঁদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তবে ঠিক কী কী বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে জানাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মাস ছয়েক পরেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। শুভেন্দু-সহ (Suvendu Adhikari) বিজেপি নেতাদের দাবি, এবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। চলতি বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা বিহারে। তার পরেই বাংলায় ঘাঁটি গাড়বেন অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, পুজোর পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যাতায়াত বাড়বে এ রাজ্যে। এই আবহে শাহ-শুভেন্দুর এই বৈঠক (যাকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলছেন ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’) তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (BJP)।

  • Suvendu Adhikari: দুর্গাপুজোয় আমন্ত্রণ থেকে রাজ্য রাজনীতি, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: দুর্গাপুজোয় আমন্ত্রণ থেকে রাজ্য রাজনীতি, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সরকারি বাসভবনে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলল এই বৈঠক। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা সমস্যা এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে।

    বৈঠক নিয়ে সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন শুভেন্দু?

    এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মনীয় শ্রী অমিত শাহ জির সাথে আজ ওনার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ ওনার সাথে আলোচনা হয়েছে।’’ শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘‘ ব্যস্ততা সত্বেও প্রায় ৪৫ মিনিট মতো উনি আমাকে সময় দিয়েছেন এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’ শুধু রাজনৈতিক কথাবার্তা নয়, বৈঠকে ব্যক্তিগত আমন্ত্রণও জানান শুভেন্দু। জানা গেছে, আসন্ন দুর্গাপুজোয় বাংলায় এসে মাতৃ আরাধনার সাক্ষী থাকতে অমিত শাহকে অনুরোধ করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘সম্মানীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে আমি আসন্ন দুর্গাপুজোয় পশ্চিমবঙ্গে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’’

    বৈঠকে উঠে এসেছে শুভেন্দুর নিরাপত্তা প্রসঙ্গও

    আলোচনার সময়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নিরাপত্তা প্রসঙ্গও গুরুত্ব পায়। অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা হিসেবে বাংলায় তাঁকে বারবার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় সুরক্ষার বিষয়টিও বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির সংগঠনকে সক্রিয় করে তোলার জন্য এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃতপক্ষে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও সক্রিয় ও চাঙ্গা করে তোলা যায়, সেই রূপরেখা নিয়েই মূলত এদিনের বৈঠকে বিস্তৃত আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। তাঁদের মতে, বুথস্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করা, নেতৃত্ব ও কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ এসব নিয়েই আলোচনা হতে পারে। তাই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • Suvendu Adhikari: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে”, মতুয়া ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে”, মতুয়া ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে। তাই সনাতনীদের যত খুশি আক্রমণ করা যায়।” মতুয়া ইস্যুতে (Matua Issue) ঠিক এই ভাষায়ই দলবদলু তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বলেছিলেন মহুয়া? (Suvendu Adhikari)

    মহুয়া কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তৃণমূলের টিকিটে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন তিনি। দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরের একটি সভা থেকে মহুয়াকে বলতে শোনা যায়, “সারা বছর ধরে তৃণমূল, আর ভোটের সময় সনাতনী! এটা কী অঙ্ক ভাই?” তিনি আরও বলেন, “কাজের সময় মমতা, রাস্তার সময় মমতা। কাঠের মালা পরে সব তো চলে আসেন ভাই ভাতা নিতে! তখন কী হয়?” তাঁর অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভান্ডারে অন্যদের তুলনায় তফশিলি জাতি, জনজাতির মহিলারা বেশি টাকা পান। তাও মতুয়া প্রধান বিভিন্ন বুথে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, “আমার কথা টিভিতে দেখানো হয়, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না!”

    আক্রমণ শুভেন্দুর

    তৃণমূল সাংসদের এহেন মন্তব্য (Matua Issue) ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে মতুয়া সমাজে। সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর তীব্র নিন্দে করেন মহুয়ার। এবার তাঁকে নিশানা করলেন শুভেন্দু। মহুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় কৃষ্ণনগরেই সভার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানেই তৃণমূল সাংসদকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এখানকার সাংসদের কত বড় সাহস! একবার নয়, বারেবারে হিন্দু সংস্কৃতি, বৈষ্ণব, নমঃশূদ্র, মতুয়া এবং তাঁদের ধর্মীয় রীতিনীতি, তাঁদের গুরুদেবের দেখানো পথকে অপমান করেন। প্রতিবাদ হয় না কেন? আমাদের সংস্কৃতি আমরাই রক্ষা করব।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা এই বাংলা দিয়ে গিয়েছেন আমাদের। এই বাংলা আমরা বাংলাদেশি মুসলমান, রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দেব না।” ছাব্বিশের (Suvendu Adhikari) নির্বাচনে হিন্দুদের আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, “করিমপুর হাতে রয়েছে, তেহট্ট যায় যায় করছে, চাপড়া, কালীগঞ্জ, দেবগ্রামের কী অবস্থা, শিবরাত্রির সলতের মতো টিম টিম করে জ্বলছে কৃষ্ণনগরটা। ধুবুলিয়া অবধি এসে গিয়েছে। আর ১৭ কিলোমিটার বাকি রয়েছে।”

    মতুয়া সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ

    প্রসঙ্গত, এই বিষয়টিও উল্লেখ করেছিলেন মহুয়া। তিনিও দাবি করেছিলেন, ওই এলাকায় ১০০টি ভোটের মধ্যে ৮৫টি যায় বিজেপিতে, আর বাকি ১৫টি যায় অন্য দলে (Matua Issue)। মহুয়ার ওই বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মতুয়ারা। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক সুকেশচন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেন, মহুয়ার মন্তব্য মতুয়া ও নমঃশূদ্র সমাজের ধর্মীয় অনুভূতি ও আত্মসম্মানে আঘাত করেছে। চিঠিতে তাঁর দাবি, ‘আচারমালা নিয়ে কটাক্ষ করে মহুয়া কাঠের মালা বলে যা বলেছেন, তা ঘোরতর অবমাননাকর।’ এত কিছুর পরেও (Suvendu Adhikari) ক্ষমা চাননি মমতা। কেন তিনি ক্ষমা চাননি, সেই প্রশ্নের উত্তরই এদিন দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মহুয়া ক্ষমা চাননি কেন? কারণ তিনি মমতার ছোট বোন। তিনি ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে। তাই জানেন, সনাতনীদের যত খুশি আক্রমণ করা যায় (Suvendu Adhikari)।”

LinkedIn
Share