Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Bihar Assembly Election 2025: বিহার পদ্মময়, কুর্সিতে ফিরছে এনডিএ, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন মহাজোটেই!

    Bihar Assembly Election 2025: বিহার পদ্মময়, কুর্সিতে ফিরছে এনডিএ, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন মহাজোটেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ (NDA) ঝড়ে বিহারে (Bihar Assembly Election 2025) কুপোকাত আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাজোট। কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে উঠে এল বামেরা। লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বীর আরজেডি নেমে গেল তিন নম্বরে। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। এর মধ্যে এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ২০৮টি। তেজস্বীর দল এগিয়ে রয়েছে ৪১টি আসনে। এনডিএ যে ২০৮টি আসনে জয় পেতে চলেছে, তার মধ্যে পদ্মের একার ঝুলিতেই পড়েছে ৯০টিরও বেশি আসন। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের হাতে যেতে চলেছে ৮১টি আসনের রাশ।

    উল্লসিত বঙ্গ বিজেপি (Bihar Assembly Election 2025)

    বিহারের গেরুয়া ঝড়ে যারপরনাই উল্লসিত বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিহারে গেরুয়া ঝড়। এবার পালা বাংলার। এসআইআর দিয়ে শুদ্ধ ভোটার তালিকায় ভোটে জিতবে বিজেপি। একদম চিন্তা করবেন না, বিহারে এসআইআরের পরে ভোট হয়েছে। অপশাসনের তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলাকে পরিষ্কার করবে বিজেপি।” প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁয়ের গলায়ও। তিনিও বলেন, “বিহারে জয়ের পথে আমরা, এবার পালা বাংলার।” চলতি বছরই নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে চালাচ্ছে এসআইআর কর্মসূচি। এই কর্মসূচির নান্দীমুখ হয়েছিল বিহারে। তার পরেই এনডিএর বিপুল জয়ে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

    কুর্সি ধরে রাখার লড়াই

    কেবল এসআইআর নয়, বিহারের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এবার আরও একটি কারণে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল নীতীশ কুমারের এই রাজ্য। নীতীশের নেতৃত্বে এ রাজ্যে এনডিএ লড়লেও, তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটের ময়দানে নামে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগটবন্ধন। নীতীশের কাছে এই নির্বাচন ছিল ২০ বছরের কুর্সি ধরে রাখার লড়াই। আর তেজস্বীর লড়াই ছিল বিহারের মসনদে বসা। নির্বাচন হওয়ার পরেই যে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজনীতির অন্দরমহলে, সেটি হল তেজস্বী কি পারবেন নীতীশকে মাত দিতে? নাকি ক্ষমতা ধরে রাখবে বিহারে জঙ্গলরাজের অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন ফেরানো ‘সুশাসন বাবু’? নীতীশ জমানায় বিহারে যে সুশাসন ফিরেছে তার হাতে গরম প্রমাণ তো এই বিধানসভা নির্বাচনই। এ রাজ্যের একটি বুথেও পুনর্নির্বাচন হয়নি। লাঠালাঠি-হানাহানির কোনও খবরও মেলেনি কোথাও (NDA)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে বিহারবাসী ভোট দিয়েছেন দু’হাত উপুড় করে।

    এনডিএর জয়জয়কার

    এদিন সকালে গণনা শুরু হতেই দেখা যায়, একের পর এক আসনে এগিয়ে চলেছে এনডিএ। এনডিএর জয়ের লেখচিত্র যেমন তরতরিয়ে (Bihar Assembly Election 2025) ওপর দিকে উঠছে, ঠিক তেমনিই দ্রুত নীচে নামছে মহাগটবন্ধনের জয়ের গ্রাফ। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গিয়েছিল, বিজেপি ছাপিয়ে গিয়েছিল নীতীশের জেডিইউকে। সেবার ১১৫টি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল নীতীশের দল, জয়ী হয়েছিল মাত্র ৪৩টি আসনে। আর ১১০টি আসনে লড়ে ৭৪টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গণনার ফল অনুযায়ী, ২০৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। আর মহাগটবন্ধনের ঝুলিতে পড়তে চলেছে মাত্র ৩৬টি আসন। গেরুয়া ঝড়ে পায়ের তলায় মাটিই খুঁজে পায়নি কংগ্রেস। তারা এগিয়ে রয়েছে মাত্র একটি আসনে। এমতাবস্থায় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেসকে ডুবন্ত নৌকার সঙ্গে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল) নিজেও ডুবছেন, জোটসঙ্গীদেরও ডোবাচ্ছেন। তিনি সব সময় অ্যাটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমার কথা বলে বেড়ান। আমার মনে হয়, তিনি সব বোমা নিজের দল এবং জোটসঙ্গীদের ওপরই ফাটিয়েছেন। অন্তত ভোটের ফল তো তা-ই বলছে (Bihar Assembly Election 2025)।”

    মহাগটবন্ধন ভূপতিত

    এদিকে, বিহারে মহাগটবন্ধন ভূপতিত হতেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়লেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের শোচনীয় হালে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুর। তিনি বলেন, “বিপুল সংখ্যক মানুষের রায় যে এনডিএর সঙ্গেই রয়েছে, তা ভীষণভাবে (NDA) স্পষ্ট। এটি হতাশাজনক। যদি শেষ পর্যন্ত এটিই চূড়ান্ত ফল হয়, তা হলে আমাদের আত্মসমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আত্মসমালোচনা বলতে আমি শুধু এ বিষয়ে বসে চিন্তাভাবনা করার কথা বলছি না। কৌশলগত দিক থেকে বার্তা দেওয়ার দিক থেকে এবং সাংগঠনিক দিক থেকে আমাদের কী ভুল হয়েছে, তাও দেখতে হবে।” থারুর বলেন, “আমি বিহার ভোটে প্রচার করিনি। আমাকে প্রচার করার জন্য ডাকাও হয়নি। তাই আমি এ বিষয়ে সরাসরি কোনও তথ্য দিতে পারব না (Bihar Assembly Election 2025)। তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কোথায় ভুল হয়েছে, তা অবশ্যই আমাদের দলের নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করা উচিত।”

    পিন্ডি চটকাল ইন্ডির!

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল যে জোট গঠন করেছিল, সেই ‘ইন্ডি’ জোটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। বিহারে মহাগটবন্ধন পরাভূত হতেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাদের সাফ কথা, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস যে ব্যর্থ, তা আরও একবার প্রমাণিত (NDA)। এনডিএ ঝড়ে বিহারে কাবু ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টিও। এই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-ই মমতার দলকে গত বিধানসভায় নির্বাচনী বৈতরণী পার করে দিয়েছিল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের। সেই ‘কিং-মেকারে’র দলই স্বভূমিতে (পিকে বিহারেরই বাসিন্দা) স্বখাত সলিলে। নিজের রাজ্যেই খাতা খুলতে পারেনি পিকের দল। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় পিকে মমতার দলকে জেতাতে কতটা সফল হবে, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।

    রেকর্ড ভাঙল এনডিএ

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলে এনডিএ ভেঙে দিয়েছে নিজেই নিজের রেকর্ড (Bihar Assembly Election 2025)। ২০১০ সালের তারা পেয়েছিল ২০৬টি আসন। এবার এদিন বিকেল পর্যন্ত এনডিএ এগিয়ে রয়েছে ২০৮টি কেন্দ্রে। প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় দু’দফায়। প্রথম দফায় ভোট হয়েছিল ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোট হয়েছে ১১ নভেম্বর। সব মিলিয়ে দু’দফায় ভোটদানের হার ছিল ৬৭.১৩ শতাংশ। বেশিরভাগ এক্সিট পোলে এনডিএর ক্লিন সুইপের পূর্বাভাস মিললেও, আরজেডির তেজস্বী যাদব সেই ভবিষ্যদ্বাণী উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছিলেন, মহাজোট বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গড়বে। যদিও সেই আশা আপাতত দূরঅস্ত।

    পতনের পথে তেজস্বী

    এদিন বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, নিজের গড় রাঘোপুর আসনে পিছিয়ে পড়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তেজস্বীর পাশাপাশি হারতে চলেছেন লালুর আর এক ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবও। আরজেডি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলেন লালু। তার পরেই ‘জনশক্তি জনতা দল’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নেমে পড়েন লড়াইয়ের ময়দানেও। মহুয়া কেন্দ্রে প্রার্থী হন তেজপ্রতাপ স্বয়ং। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে তিনি নেমে গিয়েছেন চতুর্থ স্থানে (Bihar Assembly Election 2025)। এদিকে, বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নেমেই কিস্তিমাত করে দিয়েছেন জনপ্রিয় গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর। আলিনগর কেন্দ্রে জিততে চলেছেন (NDA) তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই!

    এনডিএর জয়জয়কারের ছবি সামনে আসতেই রাজধানী পাটনায় নীতীশ কুমারের কার্যালয়ে উচ্ছ্বাসের ছবি। সেলিব্রেশনে মেতেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাও। জানা গিয়েছে, বিহারে দশমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। গত বারের চেয়ে এবার আরজেডির শক্তি কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এদিন সন্ধেয় নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোদি-শাহ জুটি

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারে বিজেপির হয়ে বাজিমাত করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জুটি। বিজেপির এই দুই সৈনিক যেসব জায়গায়ই প্রচারে গিয়েছেন, সেখানেই পদ্মের রমরমা। এঁদের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত (Bihar Assembly Election 2025) দিয়েছেন নীতীশের দলের নেতা-কর্মীরা। সব মিলিয়ে বিহার ফের এনডিএর (NDA) দখলে।

  • Sukanta Majumdar: “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই”, বিজেপি বিধায়কদের বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই”, বিজেপি বিধায়কদের বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে এসআইআর আবহে রাজনৈতিক উত্তাপ এখনই চরম শিখরে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির বোঝা। অপর দিকে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা পাল্লা দিয়ে রোজ বাড়ছে। চাকরি নেই কর্মস্থান নেই, নেই রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডিএ। সংখ্যালঘু তোষণ এবং হিন্দু নির্যাতণের মতো ঘটনা এই রাজ্যে অহরহ ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিধায়কদের ২০২৬ সালের বিধানসভায় ফের জিতে আসার বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর সাফ কথা, “বিধানসভায় ফের ফিরে আসা চাইই চাই।”

    আরেকবার জয়ী হয়ে আসতে হবে (Sukanta Majumdar)

    বুধবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে বিজেপি বিধায়কগণ এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বৈঠক করেন। এখানে একদিকে বিভিন্ন এলাকার সমস্যা বিষয়ে যেমন কথা হয়, ঠিক একই ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কোন সহযোগিতা প্রয়োজন তা নিয়েও বিধায়কদের মতামত জানতে চান সুকান্ত মজুমদার। হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস সময়, তাই সময়কে কাজে লাগিয়ে কীভাবে মানুষের বেশি বেশি সমর্থন নিয়ে আরেকবার বিধানসভায় জয়ী হয়ে আসা যায়, সেই বিষয়ে পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই বৈঠককে বিজয়া সম্মিলনী বলা হয়েছে।

    আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক

    এদিনের সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে বিজেপি বিধায়কদের সুকান্ত সাফ বার্তা দেন, “প্রত্যেকে বিজেপি বিধায়কদের আবারও ফিরে আসতে হবে। আপনাদের অনেকেই নানা প্রলোভন, চাপ, হুমকির মুখে থেকেও দল ছাড়েননি। আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক। আপনাদের সাহসের জন্যই সংগঠন টিকে আছে। আপনাদের অনেকেই নানা প্রলোভন, চাপ, হুমকির মুখে থেকেও দল ছাড়েননি। আপনারা দলের প্রকৃত সৈনিক। আপনাদের সাহসের জন্যই সংগঠন টিকে আছে।” এদিন ঠিক ১২ টা নাগাদ বিধানসভায় আসেন সুকান্ত। উল্লেখ্য রাজ্য বিধানসভায় নিজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন সময়েও এসেছলেন। নানা সময়ে বিধায়ক এবং কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছেন। তবে সুকান্তর আসাকে ঘিরে বিজেপি বিধায়কদের ঘিরে প্রস্তুতি ছিল দেখার মতো। ফটকের বাইরে স্বাগত পোস্ট ঝোলানো হয়েছিল। বেশিরভাগ বিধায়ক এদিন উপস্থিত ছিলেন বিধানসভায়। একইভাবে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ২০২১ সালে বিজেপির জয়ী বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৭৭। এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫। আর সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই বিধানসভা স্তরে দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এই বিশেষ বৈঠক হয়েছে বলে মনে করছেন ওয়াকি বহাল মহল।

  • Suvendu Adhikari: ১৩ লক্ষ ডবল এন্ট্রি! এসআইআর প্রক্রিয়ায় অনিয়মের ‘প্রমাণ’ নিয়ে কমিশনে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১৩ লক্ষ ডবল এন্ট্রি! এসআইআর প্রক্রিয়ায় অনিয়মের ‘প্রমাণ’ নিয়ে কমিশনে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের (West Bengal) পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় বড়সড় গরমিল রয়েছে অভিযোগ বিজেপির। বুধবার নির্বাচন কমিশনের হাতে এ বিষয়ে বিস্তারিত নথি তুলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ দলের একাধিক নেতৃত্ব। বুধবার ফের একবার রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের দফতরে হাজির হয় বিজেপি নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটারের তথ্য নিয়ে গরমিল রয়েছে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, একই নাম একাধিক ভোটার তালিকায় রয়েছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তিদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রমাণ ও কাগজপত্র বুধবার কমিশনের হাতে তুলে দেন বিজেপি নেতারা।

    ভুয়ো ভোটারের সাহায্যেই জয়ী তৃণমূল 

    বুধবার ভুয়ো ভোটারের নথি কলকাতায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যান শুভেন্দু। তাঁকে এভাবে নথি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রবেশ করতে দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়৷ সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিরোধী দলনেতা জানান, তাঁরা সারা রাজ্যের ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ভুয়ো ভোটারের তালিকা জমা দিলেন৷ একটি পেন ড্রাইভে সব তথ্য আছে৷ এর মধ্যে পুরুলিয়া, বীরভূম, তমলুক, কাঁথি ও কোচবিহারের ভুয়ো ভোটার সংক্রান্ত নথির হার্ডকপি জমা দিচ্ছেন৷ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, এই ভুয়ো ভোটারের সাহায্যেই তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয় প্রতিবার৷

    তদন্তের আবেদন শুভেন্দুর

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মমতার পায়ে কাঁটা ফুটেছে, তাই চিৎকার করছে। নির্বাচন কমিশন এখন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে, তাই তৃণমূলের সাপরা রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটারের তথ্য আমরা কমিশনকে দিচ্ছি — সবই ডাবল এন্ট্রি।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় ভোটার তালিকা সংশোধন বা এসআইআর (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া চলাকালীন অনিয়ম হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে শাসক দলের প্রভাব খাটিয়ে ভুল তথ্য ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপির দাবি, এই গরমিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর সরাসরি আঘাত। তাই কমিশনের কাছে তারা সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন।

    ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা রক্ষা জরুরি

    দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “গণতন্ত্রে ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা রক্ষা করা জরুরি। মৃত বা ভুয়ো ভোটারদের নাম থাকা মানেই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।” রাজ্যে এসআইআরের (SIR) কাজ পুরোদমে চলছে। বাড়ি বাড়ি বিএলও অভিযানে (BLO) এখনও পর্যন্ত ৭ কোটির বেশি এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form) বিলি হয়ে গিয়েছে। বিজেপি প্রথম থেকেই দাবি করেছে, বহু ভুয়ো ভোটার তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। তাই এসআইআরের বিরোধী তাঁরা। এই অভিযোগ কতটা সত্যি তার ‘প্রমাণ’ দিতেই বুধবার তথ্য জমা দিতে সিইও অফিসে এসেছিলেন শুভেন্দু। বিপুল নথি জমা দিয়ে তিনি দাবি করেছেন, ভোটার তালিকায় ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ডবল এন্ট্রি (Double Entry) রয়েছে। সেই তথ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেবই দেওয়া হয়েছে কমিশনে।

    বিএলও নিয়ে অসন্তোষ

    অন্যদিকে, বিএলও নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ECI) কার্যপদ্ধতি ও রিপোর্টে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP)। অভিযোগ, ৫ হাজার ৭০০ বিএলও-র রাজনৈতিক পরিচয়সহ অভিযোগ জমা দেওয়ার পরও কমিশন এখনও পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট দেয়নি। বিজেপির তরফে এও দাবি করা হয়েছে, কমিশন জানিয়েছে তারা ৭০ শতাংশ রিপোর্ট পেয়েছে, তবে তার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আরও জানান হয়েছে, এ পর্যন্ত ৩০০ জন বিএলও বদলি করা হলেও মূল অভিযোগের সুরাহা হয়নি। গেরুয়া শিবির জানায়, তারা বিশেষভাবে ৬৫ জন বিএলও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল, কিন্তু কমিশন সেই অভিযোগকে ‘যথাযথ নয়’ বলে জানিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, আইপ্যাকের সঙ্গে যুক্ত কিছু ইআরও ও এইআরও-কে (ERO, AERO) সতর্ক করা প্রয়োজন। দলের দাবি, অনেক জায়গায় বিজেপির বিএলএ-২ কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। এছাড়া দলের বক্তব্য, “পুলিশের আচরণ তৃণমূল ক্যাডারের মতো।” বিজেপি কমিশনের কাছে বিএলও-বিএলএ সংক্রান্ত কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।

    শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    মৃত ভোটার নিয়ে বিজেপি দাবি করেছে, নন-আধার মৃতের সংখ্যা ১৩ লক্ষ, আধার-সংযুক্ত মৃতের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ। এই তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপির দাবি, যাদের ভাতা বন্ধ হয়েছে (যেমন মৃত ভোটারদের), সেই তথ্য সরকার থেকে কমিশন যেন সরাসরি সংগ্রহ করে। সিইও অফিসে বসে ভুয়ো ভোটারদের উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর সরাসরি হুঁশিয়ারি – যারা জল মিশিয়ে ভোটার তালিকায় থাকার চেষ্টা করছেন, তাদের কপালে দুর্ভোগ আছে। এক্ষেত্রে কমিশনের সব কাজ নিয়েও যে তারা সন্তুষ্ট নয় সে কথাও স্পষ্ট করেছে বিজেপি। এমনকী কমিশন স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করতে পারবে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে তাদের তরফে।

  • SIR: বিএলএ নিয়োগে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে কমিশন, নির্দেশ এসেছে লিখিত আকারে

    SIR: বিএলএ নিয়োগে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে কমিশন, নির্দেশ এসেছে লিখিত আকারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর-এ (SIR) বিএলএ নিয়োগে রাজ্যে বড়সড় পরিবর্তন আনল নির্বাচন কমিশন। আগের নিয়মে নির্দিষ্ট পোলিং স্টেশনের উপর বিএলও নিয়োগ করা হত। এইবার থেকে সেই নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে। নিয়োগে যুক্ত বুথ লেভেলের এজেন্টকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের খসড়া ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখতে হবে এবং মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম চিহ্নিত করতে হবে। এই নতুন নিয়ম এবার লিখিত ভাবে এসে গেছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    তালিকা তৈরিতে আরও বেশী কার্যকর (SIR)

    কমিশনের নির্দেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছেন, “জাতীয় নির্বাচন কমিশন বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA) নিয়োগে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সময়োপযোগী এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। পুরোনো নির্দেশিকাতে বর্ণিত ছিল যে শুধুমাত্র উক্ত বুথের ভোটারই ওই বুথের বিএলএ হতে পারবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নতুন নির্দেশিকাতে উল্লেখ করেছেন যদি কোনও বুথে বিএলএ নিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় তবে ওই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্য যে কোনও বুথের ভোটার অন্য কোনও বুথেও বিএলএ হতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের বিএলএ নিয়োগের এই পরিধি বৃদ্ধিতে সকল রাজনৈতিক দল উপকৃত হবেন। এতে অনুপ্রবেশকারী ও মৃত ভোটারদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে। নতুন এই নির্দেশিকা শক্তিশালী ও স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরিতে আরও বেশি কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়। বাস্তব পরিস্থিতিকে বিচার করে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপের জন্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে আমি ধন্যবাদ জানাই।”

    বিএলওদের কাজে নজর রাখতে পরাবেন বিএলএরা

    উল্লেখ্য রাজ্যে এসআইআর (SIR) করার ক্ষেত্রে বিএলও-দের পাশাপাশি বিএলএ-দের ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভোট কেন্দ্র অনুসারে নিযুক্ত বিএলএরা থাকবেন বিএলওদের সঙ্গে। তাঁরা এবার থেকে নজর রাখতে পরাবেন বিএলওদের কাজে। কমিশন ৮ দিনের সময় দিয়েছিল। এই সময়ে মোট ৬ কোটি ৫৬ লক্ষের বেশি ভোটারের কাছে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে দিয়েছে বিএলওরা। মোট ভোটারের ৮৫.৭১ শতাংশ ফর্ম বিলি হয়েছে। তবে এখনও ১৫ শতাংশ ভোটার এনুমারেশন ফর্ম পাননি। তবে ১১ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক ভোটারের কাছে ওই ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপর নেওয়া হবে ফর্ম গ্রহণ, আগামী ৯ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ভোটার রয়েছেন ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ৫২৯।

  • Suvendu Adhikari: “সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি”, নন্দীগ্রামের ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তিতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি”, নন্দীগ্রামের ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর বর্ষপূর্তিতে মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ নভেম্বর ‘রক্তাক্ত সূর্যোদয়’-এর ১৮তম বর্ষপূর্তিতে নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শহিদ স্মরণ কর্মসূচিতে যোগদান করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১৮ বছর আগে এদিন ঘটেছিল ‘অপারেশন সূর্যোদয়’। নন্দীগ্রাম (Nandigram), শুধুমাত্র একটি জায়গার নাম নয়, নন্দীগ্রাম হল ইতিহাস, যা কোনও সময়েই বাংলার মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের মাটি আন্দোলনের মাটি, জমি রক্ষা, মাটি রক্ষা এবং এক আশ্রয়ের মাটি। মানুষের বিশ্বাসের মাটিকে কেড়ে নিতে পারেনি তৎকালীন বাম শাসনও। সিপিএমের অশুভ শক্তি জোর করে জমি দখল করতে চাওয়ার আগ্রাসী মনোভাবকে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল সাধারণ মানুষ। এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী।

    লালকৃষ্ণ-রাজনাথ-সুষমা স্বরাজ এসেছিলেন (Suvendu Adhikari)

    ১৮ বছর আগেকার অত্যাচারের কথা মনে করিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ১৮তম বর্ষ। আমরা আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত ছিলাম, ৪২ টা মামলা খেয়েছি। আমরা এইদিন এইভাবেই উদযাপন করি। এখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের শান্তিপূর্ণ নিরস্ত্র মিছিলে চপ্পল পরে কালো পোশাক পরা গড়বেতা কেশপুর থেকে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী আনা হয়েছিল। হামলা করেছিল সাধারণ জনতার উপর। মোট ১১ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। এই জন্য আত্মবলিদান যারা দিয়েছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তবে শাসন ক্ষমতা এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা ভেবে এখানেই তৃণমূলের লোকজনও আসে। কিন্তু একক ভাবে শুধু তৃণমূল ছিল না, নন্দীগ্রামের (Nandigram) আন্দোলনে লালকৃষ্ণ আডবাণীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। খেজুরির দিকে সমস্ত অবরোধকে তিনিই তুলেছিলেন। গণহত্যার একদিন পর লালকৃষ্ণ আডবাণী, রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ সকলে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় লোকসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। টানা ৬২ দিন সংসদ বন্ধ ছিল। তাই নন্দীগ্রামের উপর নেমে আসা তৎকালীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সকলেই আসতে পারেন।”

    কালো পতাকায় বিক্ষোভ

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন সকাল ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে নিজের কর্মসূচি পালন করেন। অপর দিকে শুভেন্দুর কর্মকাণ্ডের পর তৃণমূলের কর্মসূচি পালন করে। শুভেন্দু নিজের নির্ধারিত সময়েই শহিদ বেদিতে পৌঁছে যান। কালো পতাকা হাতে পদযাত্রা করে বেদিতে মাল্যদান করেন। তিনি মনে করেন কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকায় নয়, বাম শাসনের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে যে কোনও মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পারেন। তবে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) আন্দোলনে বিজেপি ছিল। লালকৃষ্ণ আডবাণীর অবদান ভোলার মতো নয়। তিনি অবরোধ তুলে ধরেছিলেন।”

    চারপাঁচটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেননি

    তৃণমূল যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল পরবর্তী সময়ে সেই কথা পালন করেনি। আর তাই নন্দীগ্রামে এই শহিদ দিবসের দিনেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু আজও পর্যন্ত দিয়ে উঠতে পারেননি। আপনাকে শহিদ মিনার সভার উদ্বোধনে ডাকেনি বলে রাগ করেছেন। আপনাকে কেন ডেকে উদ্বোধন করতে হবে? আমি ফিরোজা বিবি এবং রাধারানী আড়িকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছি। আমি আপনি তো ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছি। উনারা কিছুই পাননি। একজন নিজের সন্তানকে হারিয়েছিলেন অপর জন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।” শুধু এখানেই শুভেন্দু থেমে থাকেননি, শুভেন্দু আরও বলেন, “নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেয়নি। আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠতে পারেননি। চারপাঁচটি পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। ওদের দোষ ছিল কারণ বিজেপিতে যোগদান করেছিল। আমি নিজে ওদের টাকা দিয়েছি। এই ঘটনার কথা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। আসল পরিবর্তন ২০১১ সালে হয়নি। আমরা ভুল করেছি। এইবার জনগণকে নিয়ে আসল পরিবর্তন আনবো।”

  • Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনবেন, কথা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বর্ধমান (Bardhhaman) থেকে তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একাধিক বড় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি তিনি রতন টাটার উল্লেখ করা “গুড এম, ব্যাড এম” মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন।

    গুড-এম, ব্যাড-এম মন্তব্য

    এসআইআর নিয়ে মিথ্য়াচারের অভিযোগ তুলে বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর সেখানেই টাটাকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তৃণমূলকে হারাতে মানুষকে একজোট হতে আহ্বান জানান তিনি। রবিবার বর্ধমানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “রতন টাটা বলে গিয়েছিলেন, মাথায় ট্রিগার লাগিয়ে বাংলা ছাড়তে বাধ্য করল। আমি খারাপ এম-কে ছাড়লাম, ভাল এম-এর কাছে যাচ্ছি। খারাপ এম-এর নাম আমরা বলিনি, রতন টাটা বলেছেন। খারাপ এম-এর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর ভাল এম-এর নাম রতন টাটা বলে গিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি।” হুগলির সিঙ্গুর থেকে ন্যানোর কারখানা গুজরাতের সানন্দে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল প্রয়াত শিল্পপতিকে।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, বিজেপি সরকার আসলে টাটাকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি উন্নয়ন, শিল্প ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেন। তৃণমূলকে ‘চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত’ আখ্যা দেন। তিনি সংখ্যা-ভিত্তিক সমস্যার কথাও তুলেছেন—“২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার, ৬০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, ৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ” এগুলির জন্য তিনি তৃণমূলকেই দায়ী করেন এবং পরিবর্তনের আহ্বান জানান। গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার কাজই নির্বাচন কমিশন করেছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। এসআইআর নিয়ে শুভেন্দু তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেন, বাংলার পরিচয় ও ভোটার-তালিকা নিয়ে অভিযোগ তোলেন, এবং বলেন যে অনুপ্রবেশ বা অবৈধ এন্ট্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কনভয়ে হামলা চালাল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুধবার নদিয়ায় পরপর কর্মসূচি ছিল সুকান্তর। সেখান থেকে ফেরার সময়ই এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার পিছনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর দাবি, এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের এক শ্রেণির মানুষকে উস্কে দিয়েছেন। যার ফলেই এই ধরনের হামলা হচ্ছে।

    আহত বিজেপি কর্মী হাসপাতালে

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের সরকার পাড়ায় বিজেপি-র একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সুকান্তর কনভয়ে থাকা একাধিক গাড়ি পিছিয়ে পড়ে ভুল রাস্তায় চলে যায়। তারপর নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি ঘোরানোর সময় হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের দফতর থেকে অনেকে সুকান্তর কনভয়ে থাকা গাড়িতে হামলা চালায়। তারা কনভয়কে বাধা দেয়, গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। হামলাকারীদের হাতে লাঠি ছিল বলেও অভিযোগ। দলীয় কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পেয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুকান্ত। তাঁর সঙ্গেই বিজেপি-র অনেক নেতা-কর্মীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।

    সুরক্ষার জন্য ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা!

    প্রথমে নদিয়ার তাহেরপুরে একটি কর্মসূচি ছিল সুকান্ত মজুমদারের। পরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিপেটা করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত। এরপর পৌঁছন নবদ্বীপে। বর্তমানে সেখানে রাশ উৎসব চলছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সুকান্ত নবদ্বীপে গিয়ে রাস উপলক্ষে শ্যামা মায়ের পুজো দেন এবং বিজেপির একটি বুক স্টলের উদ্বোধন করেন। ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। এদিন কনভয়ে থাকা গাড়িতে এবং দলীয় কর্মীদের উপর হামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে সুকান্ত বলেছেন, “আমার দুই কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, রক্তের হিসেব আমরা বুঝে নেব। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে, বিজেপি নিজেরাই ব্যবস্থা নিতে জানে। সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আবার আমরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি করব। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আমরা লড়ব। বার বার যদি আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়, তা হলে এ বার থেকে ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডাও রাখতে হবে নিজেদের সুরক্ষার জন্য।”

    এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে

    কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে হামলা হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খগেন মুর্মু। সেই ঘটনার পর এবার হামলার শিকার সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এটা নিত্যদিনের কাজ হয়ে গিয়েছে। আইনের শাসন নেই। নেতাদের এই অবস্থা হলে কর্মীদের কী হবে! কেন্দ্রীয় সরকারের এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার পিছনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপি।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার নদিয়া জেলার নবদ্বীপে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের একাধিক গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় বিজেপি নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপর্ণা নন্দী এবং নাদিয়া দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস আহত হয়েছেন। অর্জুন বিশ্বাস, শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মীরা গুরুতর জখম হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ‘অ্যান্টি-এসআইআর’ রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় সমাজের একাংশকে উস্কে দিয়েছিলেন। এসআইআর প্রক্রিয়াকে এনআরসি বলে আখ্যা দিয়ে তিনি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “যে এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেই জেলার পুলিশ সুপার হলেন ‘কুখ্যাত আধিকারিক’ অমরনাথ কে., যিনি প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত প্রিভিলেজ কমিটির তলবেও হাজিরা দেননি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে আতঙ্কে রয়েছে। তাঁদের এই প্রতিক্রিয়াই শেষ পর্যন্ত বাংলায় তাদের বিদায়ের পথ আরও মসৃণ করবে।”

  • Suvendu Adhikari: “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে, এখন সাপ বেরোচ্ছে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে, এখন সাপ বেরোচ্ছে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় নিবিড় সমীক্ষা (SIR) ঘোষণার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ধরা পড়তে শুরু করেছে। অবৈধ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ৪ নভেম্বর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর-এর কাজ শুরু হবে। তাই অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে পালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তোপ দেগে বলেন, “নির্বাচন কমিশন গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়েছে। এখন সাপ বেরোচ্ছে।”

    বাংলাদেশি মুসলমানদের ডিপোর্ট করবে বিএসএফ (Suvendu Adhikari)

    ৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিএলওরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু করবেন। টানা তিন মাস কাজ চলবে। ২০২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। আর তাই কাগজে কলমে ধরা পড়ার আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারত ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট কথায় বলেন, “আজকে বলছি পালাও, হাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা রয়েছে। ৪ তারিখের আগেই পালাও। ৪ তারিখের পর যে ফর্মগুলি রিটার্ন (SIR) আসবে না, বাংলাদেশি মুসলমানদের ডিপোর্ট করবে বিএসএফ। যে রাস্তা দিয়ে এসেছেন সেই রাস্তা দিয়ে পালান। ৭ ফেব্রুয়ারি ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে রাজ্যের পুলিশও বাঁচাতে পারবে না।”

    ২০-২৫ শতাংশ মুসলিম বাংলাদেশি পালিয়েছে

    জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণার করার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গত কয়েকদিনে প্রচুর বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। আসলে সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে যাতেই এই লোকগুলি ধরা পড়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “২০-২৫ শতাংশ মুসলিম বাংলাদেশি পালিয়েছে। সীমান্ত এলাকার গ্রাম ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। নিউটাউনে কাজের লোকেগুলি নেই। গর্তে কার্বলিক দিলে সাপ বেরোয়। জাতীয় নির্বাচন কমিশন অ্যাসিড দিয়েছে। সাপগুলি এখন বেরহচ্ছে।”

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর নিয়ে এতো বিরোধিতা কেন? এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সারা দেশে মোট ১২টি রাজ্যে হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিন সাহেবের রাজ্যে হচ্ছে, শুধু অবিজেপি শাসিত নয়, একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যেও এইআইআর হচ্ছে। কোথাও তো কোনও আন্দোলন বা হইচই নেই। সব কিছুতেই যেন গেল গেল রব। এই রাজ্যেই কেন?”

    অপর দিকে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “এসআইআরে গরিব লোকেরা খুব কষ্টে পড়বে, তাদের কাছে কাগজ কম আছে।” আবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনকে বিজেপি ব্যবহার করছে।” তবে নরমেগরমে ভোটের আগেই এসআইআর আবহে বঙ্গরাজনীতি এখন বিরাট উত্তাল।

  • Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি টেকাতে তৃণমূলের হাতিয়ার সেই এনআরসি জুজু! পানিহাটিতে প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তি এনআরসির ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। রাজ্যে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পানিহাটির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল মিথ্যাচার করছে বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয়দের একাংশেরও দাবি, অযথা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসক দল।

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ (Suvendu Adhikari)

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ খুলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যিনি মারা গিয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁর নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। তিনি তখন ভোট দিয়েছেন। ফলে এসআইআর হলে তো তাঁর চিন্তার কিছু নেই। তাছাড়া, যে পরিবারের কথা বলা হচ্ছে, তারা তৃণমূল করে। মৃতের আত্মীয় বলতেও তেমন কেউ নেই। দেখা উচিত, সুইসাইড নোট কে লিখেছেন।” তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “ওঁরা বলেছিলেন এসআইআর হতে দেব না, ঘেরাও করা হবে। বাস্তবে দেখা গেল, এসআইআর হচ্ছে এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নামও বাদ পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপোর রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। মমতা কালীঘাটে বাটি নিয়ে বসবেন, ভাইপো যাবেন জেলে।”

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে নথি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “ফলতার ১৭৬ নম্বর পার্টে চাঁদপালা সন্তোষপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের ক্ষেত্রে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত দিব্যেন্দু সরকার ফলতা ব্লকের হরিণডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।” তাঁকে বিএলওর পদ থেকে সরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বিএলওদের বিহারের কথা মনে করাব। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় ৫২ জন এখনও জেলে রয়েছেন। ভাবতে পারেন ওখানে নীতীশ কুমারের পুলিশ বলে জেলে, এখানে কিছু হবে না। কিন্তু আপনাদের জেলে পাঠাতে আমরা সবরকম বন্দোবস্ত করব। তাই বিজেপি কিংবা অন্য কোনও (SIR) পার্টির কথা না শুনে সঠিকভাবে কাজ করুন, কেবল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে (Suvendu Adhikari)।”

  • Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণা করেছে এই রাজ্যে। দেশজুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১২টি রাজ্যে রীতিমতো কাজও শুরু হয়েগিয়েছ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা এসআইআর-এর বিরোধিতা করে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, ‘দেখে নেবো। যেখানেই থাকেন খুঁজে বার করব।’ এবার অভিষেককে আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কাছের আমলাদের নিয়ে তালিকা তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারিতেই হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন।” এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবশ্য সাফ কথা কোনও অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় রাখা যাবে না। পাশাপাশি কোনও বৈধ ভোটারের নামও তালিকা থেকে বাদ যাবে না।

    ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট বানিয়েছে (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হুগলির ভদ্রেশ্বরে দক্ষিণপাড়া সারদাপল্লিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন। এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এসআইআর নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের বিরুদ্ধে নাম না করে তোপ দাগেন। আইপ্যাক ও ভাইপো বলে সম্বোধন করেন। শুভেন্দু বলেন, “আইপ্যাক ভাইপো আর ভাইপোর কাছে আইএএস-রা ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট (SIR) বানিয়েছে। তবে কোনও লাভ হবে না। কমিশনের নজরদারি কঠিন থাকবে। আমরাও কড়া ভাবে নজর রাখব। এসআইআর কেউ আটকাতে পারবে না, এসআইআর হলেই ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত হবে।”

    ভারতীয়দের কোনও চিন্তা নেই…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এসআইআর প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা বলেছিলাম এসআইআর হবে। অনুপ্রবশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। যারা ভারতীয় নয়, তারা কেন ভারতে ভোট দেবে? এই তালিকায় কোনও ভারতীয়দের চিন্তা নেই সে যে দল করুক না কেন। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের কোনও চিন্তা নেই। একইভাবে ভারতীয় মুসলমানদেরও চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভারতীয়দের জন্য কোনও ভয় নেই। ভাষা ও জাতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কারণে আলাদা না হওয়ার কথা বলছি। পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা কমছে। হিন্দুরা নিজের নিজের ধর্মপালনে সবরকম ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আমাদের হাজার হাজার বছরের পরম্পরাকে মানতে চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। হিন্দু ধর্ম-উৎসব, পালা-পার্বণে এক অশুভশক্তি বিরাট প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। স্বাধীনতার পর পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশে ৩৩ শতাংশ হিন্দু ছিল। এখন তা কমে মাত্র ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৮৫ শতাংশ। ২০৩১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা হবে ৬৫ শতাংশে নেমে আসবে।”

    মা কালীকে উনি প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন…

    আবার একই দিনে দুর্গাপুরে স্বপ্ন উড়ান-এর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হাতে ত্রিশূল নিয়ে রণংদেহী মেজাজে তৃণমূলের অপশক্তির বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “ঠিক ভাবে বাংলায় এসআইআর হলে অনেকেই প্রাক্তন হয়ে যাবে। মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন মমতা। আর ভাতা, ভিক্ষাতে তিনি চটকদারির রাজনীতি করেন। কারণ উনি জানেন, ওনার সঙ্গে সলিড ৩৫% ভোট রয়েছে। আরও ১০%-এর দিকে ভাতা ছুড়ে দেন। তাতে যা আসে। তারপর তো ছাপ্পা আছে। কিন্তু এসআইআর হলে কোনও কিছুই হবে না।”

    তবে বিহারে এসআইআর (SIR) ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই রাজ্যে যাতে জাল ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ যায় তা নিয়েই তৎপর কমিশন। মমতা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাজে বাধা দিলে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট হয় কিনা তাই এখন দেখার।

LinkedIn
Share