Tag: Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari

  • Suvendu Adhikari: সাংসদ শিশির অধিকারীর উপর হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর, কী বললেন?

    Suvendu Adhikari: সাংসদ শিশির অধিকারীর উপর হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রবীণদের গায়ে পাথর ছুড়ল তৃণমূল। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম সংঘের কৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংসদ শিশির অধিকারীর গাড়িতে হামলার প্রেক্ষিতে একথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ৮৬ বছরের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যাঁর অন্যতম অবদান রয়েছে, তাঁর গায়ে পাথর ছোড়া মানে পশ্চিমবাংলার সমস্ত প্রবীণদের গায়ে পাথর ছোড়া।

    জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম সংঘের কৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওড়িশার জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ও সভাপতি ভবানী প্রসাদ দৈতাপতি প্রভু সহ তপন বিধানসভার বিধায়ক বুধরাই টুডু, গঙ্গারামপুর বিধানসভার বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। জন্মাষ্টমীর তিথিতে তপন রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম সংঘের নতুন মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনে এসেছিলেন। বুধবার তপনে এসে জগন্নাথ দেবের বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় যোগদান করেন তিনি। এরপর তপন এলাকার প্রধান রাস্তা পরিক্রমা করে রাধাগোবিন্দ মন্দিরে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তিনি। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ আমরা তপনের রাধাগোবিন্দ মন্দিরে উপস্থিত হয়েছি। এখানে জগন্নাথ মন্দিরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। আজকের এই পূর্ণ দিনে আমরা সবাই মিলিত হয়ে হাজার হাজার বছরের পুরনো সনাতন ধর্ম যাতে আরও বেশি প্রসারিত হয়, সেজন্য আজকে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীর উপাচার্যর বেতন বন্ধের হুমকি নিয়ে ফের সরব শুভেন্দু

    এছাড়াও বিধানসভায় আগামীকাল গান সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, কাল বিধানসভায় বলব। সেখানে দেখতে পাবেন বিরোধী দলনেতার ভূমিকা কী। উপচার্যের বেতন বন্ধের হুমকি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বেতন বন্ধ করে দেখুক। একজনের বেতন বন্ধ করেছিল হাইকোর্ট, কান মুলে দিয়েছে। লেকচার কম মেরে বেতন বন্ধ করে দেখুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করে শেষ প্রচারে ঝড় তুললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করে শেষ প্রচারে ঝড় তুললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে ঝড় তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দুপুরে দলীয় প্রার্থী তাপসী রায়ের সমর্থনে বানারহাট চা বাগানে তিনি যান। সেখানে গিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা।

    তৃণমূলকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, চা-শ্রমিকদের পি এফের টাকা তুলে দেওয়ার নাম করে বাগানের তৃণমূল নেতারা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি এদিন তিনি তৃণমূল সরকারকে চোরের সরকার বলেন। চা-শ্রমিকদের নিয়ে সভায় তিনি মঞ্চ থেকে সাফ বলেন, এই সরকার গোটা রাজ্য জুড়ে চুরি করছে। যদি তৃণমূল এই বিধানসভা ভোটে জেতে তাহলে এলাকার সমস্ত উন্নয়নের টাকা তারা চুরি করবে। সাধারণ মানুষ তাঁদের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাছাড়া বানারহাট এলাকার বড় সমস্যা হল হাতিনালা। এই নালা দিয়ে ভুটান থেকে জল ঢুকে প্রতি বছর বানারহাটকে প্লাবিত করে। তাতে প্রচুর ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হন এলাকার মানুষ। এই সমস্যার পাকাপাকিভাবে সমাধান করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগীতা প্রয়োজন। কারণ, এর একদিকে ভুটান, আরেকদিকে রেল লাইন, তার ঠিক পাশেই রয়েছে তেলের পাইপ। সবগুলি দফতরই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। তাই বিজেপির বিধায়ক হলে তিনি দলগতভাবে কেন্দ্র সরকারের কাছে বিষয়টি সমাধানের আবেদন রাখতে পারবেন। তার ওপর বিজেপির প্রার্থীর স্বামী দেশের হয়ে প্রান দিয়েছেন। তিনিও নিজেকে দেশের জন্য, এলাকার মানুষের জন্য নিয়োজিত করতে চান। তাই এলাকায় চোরদের ঠেকাতে এবং সাধারণ মানুষের চুরি আটকাতে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করার আহ্বান জানান। এদিন বানারহাট ছাড়াও ধূপগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় তিনি পায়ে হেঁটেও প্রচার করেন। এদিন বানারহাটের এই সভার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিক, মিতালি রায় সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। বানারহাটের মোগলকাটা, তোতাপাড়া চা-বাগান সহ অন্যান্য এলাকায় প্রচার করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ধামসা মাদল নিয়ে বাগানের বিভিন্ন এলাকায় র‍্যালি করেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রীর রাজবংশী ও মতুয়াদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে সুকান্ত

    এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজবংশী ও মতুয়াদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়িতে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল এবং সভার আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলে পা মেলান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লোডশেডিং-এ জেরবার, সংস্থার অফিসের সামনে ধর্নার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: লোডশেডিং-এ জেরবার, সংস্থার অফিসের সামনে ধর্নার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বাড়ায়, অস্বস্তিকর গরম বেড়েছে রাজ্যে। এরই মধ্যে দোসর হয়েছে লোডশেডিং। বিগত কয়েকদিন ধরেই গরমের সঙ্গে লোডশেডিং-এ নাজেহাল রাজ্যের মানুষ। পরিস্থিতি বদল না হলে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসের সামনে বসে ধর্নার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরিস্থিতি বদলের দাবিতে চাঁচল সমেত রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও চলছে দফায় দফায় লোডশেডিং। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই সমস্যা দেখা যায় বাঁকুড়া জেলাতে। একাধিক জায়গায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা করে কারেন্ট থাকছে না জেলাতে। পাশাপাশি হুগলি জেলাতেও দেখা গেছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। যার জন্য নাজেহাল সাধারণ মানুষ। সন্ধ্যা হলে বাড়িতে জ্বলে উঠছে চার্জার লাইট অথবা মোমবাতি। একই পরিস্থিতি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে।  দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও রয়েছে একই পরিস্থিতি। সেখানে জলপাইগুড়ি থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর সর্বত্র একই পরিস্থিতি। কোচবিহার জেলার দিনহাটা, মাথাভাঙ্গা তুফানগঞ্জে চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। মালদাতে আবার এই সমস্যা চলছে বিগত সাত দিন ধরে। সেখানকার স্থানীয় মানুষদের দাবি যে রাত্রি হলেই নাকি লোডশেডিং হচ্ছে (Suvendu Adhikari)। 

    লোডশেডিং নিয়ে কি বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    বিদ্যুৎ বিভ্রাট এর চেয়ে পরিস্থিতি সারা রাজ্য জুড়ে চলছে, তা অবিলম্বে যদি বদল না হয় তাহলে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার অফিসের সামনে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন,‘‘পশ্চিমবঙ্গের দেউলিয়া সরকার পয়সার অভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা কমাতে বাধ্য হয়েছে। যার ফলে ঘাটতির পরিমাণ ১২০০ মেগাওয়াট।’’

    বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে কী বলছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস

    রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে অবশ্য সাফাই দিতে শোনা যায় এই পরিস্থিতিতে। অরূপ বিশ্বাসের দাবি, আমাদের পুজো প্রস্তুতি চলছে। উত্তরবঙ্গে পুজোর আগে বৃষ্টি বেশি হয়। তার বদল হচ্ছে। ট্রান্সফর্মা বদল হচ্ছে। তা মাাইকিং করেই করা হচ্ছে। পুজোর জন্য এই সমস্য়াটা হচ্ছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দেশ, এতে হতাশ বিরোধীরা’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দেশ, এতে হতাশ বিরোধীরা’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে দেশ। পৃথিবীর মধ্যে ক্রমশ দ্রুত বেড়ে চলা প্রধান অর্থনীতি হয়ে উঠছে। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এমনই পোস্ট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন এই পরিসংখ্যান তুলে ধরার পাশাপাশি মুম্বইয়ের অভিজাত হোটেলে চলা বিরোধী জোটের নেতাদের বৈঠককেও তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে ভারতের জিডিপি গত এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে বিশ্বের উন্নত দেশগুলির থেকেও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রিপোর্ট প্রকাশ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কোন রায় বছরের সেরা?

    কী লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)? 

    শুক্রবার তিনি (Suvendu Adhikari) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘ভারতের অর্থনীতির দ্রুত এগিয়ে চলেছে এবং দেশের এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই।’’ রীতিমতো পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জিডিপির বৃদ্ধিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া, জাপান, চিনকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত।

    বিরোধী জোটের নেতাদের নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    এই পরিসংখ্যান তুলে ধরার পাশাপাশি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন তীব্র আক্রমণ শানান মুম্বইয়ের গ্রান্ড হায়াত হোটেলে বিরোধী জোটের নেতা নেত্রীদেরও। তিনি বলেন, ‘‘মুম্বইয়ের গ্র্যান্ড ডাহায়াত হোটেলে নেতা-নেত্রীরা ভারতের এই অর্থনৈতিক উন্নতি দেখে নিশ্চয়ই হতাশ হবেন।’’

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে থানার আইসি-কে নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে থানার আইসি-কে নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুট, তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তো ছিলই। এবার এক সরকারী কর্মী কৌশিক চন্দ্র এবং বানারহাট থানার আইসি-কে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনের কাজে ব্যবহার না করার জন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের কাছে অনুরোধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়িতে তিনি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করেই এই আবেদন জানান তিনি।

    নব তৃণমূল নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এখন তৃণমূল হচ্ছে নব তৃণমূল। এরা লিফট দিয়ে ওঠে আর প্যারাসুটে নামে। এরা সাইকেল চড়তে জানে না। এরা দামি গাড়ি চড়ে মানুষের সেবা করে। এই দলের নেতাদের অধিকাংশই বড় গাড়ি চড়ে বেড়ায়। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, আমি যখন সেচমন্ত্রী ছিলাম, সেই সময় তখনকার ধূপগুড়ির বিধায়ককে ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম সেচের কাজের জন্য। সেই টাকাও আত্মসাৎ হয়েছে। সেই বিধায়ক এখন ভোটের ময়দানেও নেই বলে টিপ্পনী কাটতেও ছাড়েননি তিনি। এছাড়া গোটা রাজ্যে যেভাবে সব কিছুতে লুট হচ্ছে, মানুষ সেটা দেখছে এবং দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়তে বিজেপিকেই ভোট দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    ধূপগুড়ি পুরসভা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?(Suvendu Adhikari)

    বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ের সমর্থনে ধূপগুড়িতে সভা করেন বিরোধী দলনেতা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন, ধূপগুড়ি পুরসভাতে লুট হয়েছে। কোনও কাজই পুরসভা করেনি। যে পুরসভা জঞ্জাল সাফ করতে পারে না, একটা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারে না, তারা কোনও দিনও সুশাসন দিতে পারে না। এই পুরসভায় বিভিন্ন কাজের টাকা লুট হয়েছে। অবৈধ নিয়োগও হয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে চুরি করছে। প্রত্যেক জায়গায় তাদের এজেন্ট বসিয়ে রেখেছে। তারা টাকা তুলে তৃণমূলকে পৌঁছে দিচ্ছে। এরা টাকা রোজগারের জন্য দল করে না। কয়লা, গরু, বালি তো আছেই, এবার তারা পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালটও খেয়েছে। তার ওপর তাদের আরও আয় ডিয়ার লটারি থেকে। এই লটারি প্রচুর পরিবার ধ্বংস করে দিচ্ছে। ১ কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষকে সর্বসান্ত করে দিচ্ছে। আর এর প্রাইজ পাচ্ছে অনুব্রত মন্ডল, তার মেয়ে বিভিন্ন বিধায়ক সহ দলের বড় বড় নেতারা। তাই এই ভোটে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। যদি এই ভোটে তৃণমূল জয়ী হয় তাহলে সেটা চোরেদের জয় হবে। চুরি আটকাতে তাই তৃণমূলকে ভোট নয়। এদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যদি এই বিধানসভায় বিজেপি জেতে তা হলে রেল, জাতীয় সড়ক সহ আরও অনেক কিছু উন্নতি করবে বিজেপি। এদিন গরমকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন সভায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সাগরদিঘিতে জিততে পারেনি, ধূপগুড়িতেও পারবে না’, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘সাগরদিঘিতে জিততে পারেনি, ধূপগুড়িতেও পারবে না’, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মানেই চোর, আর এই দলটার নাম এখন তৃণমূল নয়, তোলামূল। ধূপগুড়িতে নির্বাচনী সভা করতে এসে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে ভোট লুট করেছে, এবারের নির্বাচনে মানুষ তার জবাব দেবে। আগামী লোকসভা ভোটেও মানুষ জবাব দেবে। সাগরদিঘিতে ভোট হয়েছিল জিততে পারেনি, এখানেও পারবে না। বুধবার বিকেলে ধূপগুড়ি শহরে শুভেন্দু অধিকারী দলীয় প্রার্থী তাপসী রায়কে সঙ্গে নিয়ে একটি র‍্যালি করেন। র‍্যালিটি গোটা ধূপগুড়ি শহর পরিক্রমা করে নেতাজিপাড়ার সভাস্থলে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালিতে প্রচুর কর্মী সমর্থক অংশ নিয়েছিলেন।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই দলের প্রধান কাজ হলো চুরি। কীভাবে সাধারণ মানুষের টাকা মেরে দিয়ে নিজেদের পকেট ভর্তি করা যায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য। নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর আখ্যা দিয়ে বলেন, বালি,পাথর, কয়লা গরু,চাকরি চুরি তো করেইছেন। গরিব মানুষের আবাস যোজনার টাকাও ছাড়েননি। প্রায় ৫০ লক্ষ আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হয়েছে সেখানে ধূপগুড়িও ছিল। কিন্তু, ধূপগুড়ির মানুষও এই প্রকল্পের টাকা পান নি। সভায় বক্তব্য রাখার মাঝখানেই কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের নামে চোর চোর স্লোগান তোলেন।

    ধূপগুড়িবাসীকে কী বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    ধূপগুড়িবাসীর প্রতি আবেদন রেখে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, যদি তৃণমূল জেতে তাহলে চোরেরা জিতবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়,অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্যরা জিতবে। তাই, এই চোরেদের কোনওভাবেই ভোট না দিতে সকলের কাছে আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই চোরেদের সর্দার কিছুদিনের মধ্যেই জেলে যাবে। রাজ্যের মানুষ এদের প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ বুজে গেছে। এখন অপেক্ষা শুধু ফলাফলের। এদিন এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ অন্যান্য জেলা নেতারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে স্থায়ী সমিতির ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ বিজেপির

    Nandigram: নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে স্থায়ী সমিতির ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) শেষ হাসি হাসল বিজেপিই। নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন করল গেরুয়া শিবির। স্থায়ী কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সামান্য উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আর বিজেপি স্থায়ী সমিতিতে জয়ী হওয়ায় কর্মীরাও উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

    স্থায়ী সমিতিতে কত ভোটে জয়ী হল বিজেপি? (Nandigram)

    মঙ্গলার নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটির নির্বাচন ছিল। মোট ভোটার ৪৪। যার মধ্যে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ১৫, প্রধান ৬ এবং বিধায়ক মিলে মোট ২২ জন। আর তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ১৫, প্রধান ৪, জেলা পরিষদের সদস্য ২, মোট ২১।  সাংসদ ১। ভোটাভুটির সময় তৃণমূলের ২ টি ভোট বাতিল হয়। তৃণমূলের একজন বিজেপিকে সমর্থন করে। ফলাফল হয়ে দাঁড়ায় বিজেপি ২৪ এবং তৃণমূল ১৮। ফলে, স্থায়ী সমিতির কমিটিতে এগিয়ে থাকলো বিজেপি। ভোটাভুটির পর তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা পঞ্চায়েত সমিতির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি, দলীয় সদস্য অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বিডিও জোর করে নির্বাচন প্রক্রিয়া আয়োজন করে। বিডিও-র অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এরপর বিজেপি কর্মীরাও এসবের প্রতিবাদ করতে থাকে। ফলে, দুই রাজনৈতিক দলের উত্তেজনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন স্থায়ী কমিটি নিজেদের দখলে আনতে পেরে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, স্থায়ী সমিতি গঠন করব ঘোষণা করেছিলাম। সেটাই হয়েছে। তৃণমূল ঘর ঠিক রাখতে পারেনি। তাই আমরা ২৪ টি সমর্থন পেয়েছি। আগেই বলেছিলাম নন্দীগ্রামে (Nandigram) কীভাবে বোর্ড গঠন করতে হয় তা আমার জানা আছে। সেটা পরিস্কার হয়ে গেলো।

    কী বললেন তমলুকের সাংসদ?

    এদিন স্থায়ী কমিটি নির্বাচনে নন্দীগ্রাম-১ (Nandigram) পঞ্চায়েত সমিতিতে আসেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, সাংবিধানিক অধিকার বলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। যদিও তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন কৌশলে এড়িয়ে যান। শুভেন্দু অধিকারী সব সময় বলে থাকেন তমলুকের সাংসদ তাদের। তবে কি তমলুকের তৃণমূলের সাংসদ বিজেপিকে সমর্থন করলেন? যার ফলে তাদের সংখ্যা ২৪ হল। সাংসদ বলেন, নন্দীগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে সোমবার দুপুরে মোচপোল গ্রামে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিস্ফোরণে  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। বিরোধী দলনেতাকে সামনে পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ  উগরে দেন এলাকাবাসী।

    বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    এদিন বেলা তিনটে নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দত্তপুকুর গ্রামে যান।  বিস্ফোরণস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে তিনি গাড়ি থেকে নামেন।  সেখান থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে যান। রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি সকলকে বলেন, ভরসা রাখুন, বোমা বিস্ফোরণের এনআইএ তদন্ত হবে। এরপর তিনি বিস্ফোরণস্থলে যান। বোমা বিস্ফোরণের উল্টো দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির  ছাদে ওঠেন তিনি। সেখান থেকে দুর্ঘটনাস্থল তিনি খতিয়ে দেখেন। সেখানে থেকে নীচে নেমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বিরোধী দলনেতাকে  সামনে পেয়ে বলেন, তৃণমূলের মদতেই বেআইনি বাজি কারখানা চলতো।  পুলিশ নিয়মিত মাসোয়ারা নিত। তাদের কাছে অভিযোগ জানালে উল্টে তারা আমাদের ধমক দিত। ঘটনার দিনও পুলিশ মাসোহারা নিয়ে যায়। বোমা বিস্ফোরণে  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক সদস্য বলেন, বিস্ফোরণ আমাদের বাড়ির সমস্ত কিছু ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। বিষয়টি দেখবেন। তিনি এ বিষয়ে আশ্বাস দেন এবং একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি তিনি ঘুরে দেখেন।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, বিস্ফোরণে আরডিএক্স ব্যবহার করা ছিল। আমরা এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিস্ফোরণে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। গ্রামবাসীরা প্রত্যেকেই চাইছেন এনআইএ তদন্ত হোক তার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। পাশাপাশি তিনি এদিন আরও জানান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও দত্তপুকুর থানার আইসি দুজন মিলিত হয়ে এই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে”, বিস্ফোরণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে”, বিস্ফোরণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে।” রবিবার সকালে বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে। উনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) তো বড় বড় কথা বলেছিলেন। মুখ্যসচিবকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বাজি কারখানার শ্রমিকদের আলাদা কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুই হয়নি।”

    শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “উনি নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির চোরদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এসব বিষয়ে তাঁর নজর নেই। তাঁর নজর কীভাবে চোরদের বাঁচানো যায়, তা নিয়ে। তাই এরকম ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে।” বারাসত বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    আক্রমণ সুকান্তরও 

    তিনি বলেন, “গোটা বাংলাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দশজনের জীবন চলে যাওয়ার জন্য দায়ী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর সরকার এবং তাঁর দল। এই অপদার্থগুলো যতদিন বাংলায় থাকবে, বাংলার মানুষ মারা যাবে।” তিনি বলেন, “গত কয়েকদিনে কতজন মারা গেল, হিসেব করুন। মিজোরামে মারা গেল কুড়িজনের ওপরে। এখানে মারা গেল দশজন। মুখ্যমন্ত্রী কী চাইছেন? গোটা রাজ্যটাকে কি শ্মশান বানাবেন? শ্মশান বানিয়ে তাঁর শান্তি হবে? এই দশের সংখ্যা তো আরও বাড়বে মনে হচ্ছে। বেআইনি কারখানা চলছে। তৃণমূলের নেতারা ওখান থেকে তোলা তোলে, খোঁজ নিন। দেখবেন তৃণমূলের কোনও না কোনও নেতা ওখান থেকে হপ্তা পায়, মাসে মাসে টাকা পায়। তাই পুলিশ কিছু করে না। আমরা তো আগেই বলেছি, বোমার স্তূপের ওপর বাংলা দাঁড়িয়ে আছে।”

    আরও পড়ুুন: “রথীন ঘোষ সব জানতেন”, বারাসত বিস্ফোরণকাণ্ডে জনতার কাঠগড়ায় মন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণ (Barasat Blast) ঘটে মোছপোলের ওই বাজি কারখানায়। তখন কাজ করছিলেন ২৬ জন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় জানা যায়নি, ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও জখম ১৪জনকে উদ্ধার করে ভর্তি (Suvendu Adhikari) করা হয়েছে বারাসত জেলা হাসপাতালে। বিস্ফোরণকাণ্ডে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari:  ‘লোকসভাতে প্রতিটা বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করব’, খেজুরির সভা থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভাতে প্রতিটা বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করব’, খেজুরির সভা থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিসিমণি মিটিং হয়েছে? কয়লা ভাইপো খেজুরিতে মিটিং হয়েছে ! ১৪৪ ! মামার বাড়ির আবদার! লোকসভাতে প্রতিটি বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করবো। এভাবেই  শনিবার বিকেলে খেজুরির আলিপুর বাজারে বিজেপির জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কারণ, এর আগে গত শনিবার খেজুরির আলিপুর বাজারে বিজেপির জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু, হঠাৎই পুলিশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সভার অনুমতি বাতিল করে। সেদিন খেজুরির বুকে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে শুভেন্দু বলেছিলেন,আলিপুর বাজারেই সভা করব আগামী শনিবার। আদালতের অনুমতি নিয়েই সভা হবে। আর হলও তাই।

    পুলিশকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এরপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বক্তব্যের শুরুতে পুলিশকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে কখনও ‘মামা’ বলে  সম্বোধন করেন। কখনও মমতা পুলিশ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ফ্যাক্টর নয়। সমস্যা হচ্ছে মমতা পুলিশ। এরপরই তিনি বলেন,মমতার পুলিশের থেকেও ব্রিটিশ পুলিশ অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। সেই ব্রিটিশ পুলিশকে খেদিয়ে ছিল যে মেদিনীপুর। সেখানে  মিথ্যা মামলা দিয়ে, গাঁজার কেস দিয়ে, অস্ত্র মামলা দিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না।  সংঘবদ্ধ থাকুন। সামনে কঠিন লড়াই।  ২০২৪ সালে মোদীকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করার নির্বাচন। কাঁথি লোকসভা তিন লক্ষ ভোটে বিজেপি জিতবে বলেও তিনি দাবি করেন।

    তৃণমূল কর্মীদের ব্যালট খাওয়া নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আমরা জানি, কয়লা, গরু, পাথর, বালি খায়। আমরা জানতাম না তৃণমূল ব্যালট পেপার খায় বলে। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক,  মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি তৃণমূল কংগ্রেস ইভিএম খেতে পারবে না লোকসভায় ইভিএমের আকার এত বড় আর তার সঙ্গে রয়েছে ভিভিপ্যাড। এই দুটো তৃণমূলের ছোট চোর তো পরের কথা, চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ক্ষমতা নেই ইভিএম খেয়ে ফেলার। 

    দলবদলু দুই সদস্যকে কী বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। কারণ,বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরেছে। বিজেপির মন্ডল সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী সেই উদয় শঙ্কর মাইতিকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, নিশ্চিতভাবে দল পরিবর্তনের অধিকার সবার আছে। কিন্তু,তার আগে পঞ্চায়েত সমিতিতে পদত্যাগ করা উচিত উদয়ের। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সব কর্মাধ্যক্ষ বিজেপির হবে বলেও হুংকার দেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন,১০ লক্ষ করে টাকার বিনিময়ে বিজেপির দুজন নিজের মনুষ্যত্ব, নিজের হিন্দুত্ব, নিজের রাষ্ট্রবাদ, নিজের দেশপ্রেম বিক্রি করেছেন এবং গণদেবতাকে অমর্যাদা করেছেন।  এরপরই নিজের উদাহরণ টেনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ১৭ ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে বিধানসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ১৯ শে ডিসেম্বর অমিত শাহের হাত ধরে পদ্ম ফুলের পতাকা ধরেছিলাম। এই কাজটা যদি উদয় করত তাহলে, আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share