Tag: Terrorist

Terrorist

  • Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি (Terrorist) সন্দেহে গ্রেফতার মালদহের সুজাপুরের নাজিরপুর এলাকার যুবক। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হল হাসনাত শেখকে। সাহারানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police) এসটিএফ (STF)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের (Al Queda Indian Sub Continent) সদস্য। ২০১৫ সালে খুন হন বাংলাদেশি ব্লগার (Blogger) অভিজিৎ রায়। ওই ঘটনায় হাসনাতের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। ধৃতকে জেরা করে এ রাজ্যে জঙ্গিদের শেকড় কতটা গভীরে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।  

    পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পঁচিশের হাসনাত প্রথমে সুজাপুরের লাল মহম্মদ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। পরে পড়াশোনা করে বর্ধমানের একটি মাদ্রাসায়। বছর সাতেক আগে ধর্মশিক্ষার জন্য সে চলে যায় উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের একটি মাদ্রাসায়। মাস চারেক পরে মৌলবী হয়ে ফেরার কথা ছিল তার। ঘটনার জেরে বিস্মিত হাসনাতের প্রতিবেশীরা। নাজিরপুর এলাকায় ভদ্র ও মৃদুভাষী হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। তাই তার সঙ্গে জঙ্গিযোগের খবর মেনে নিতে পারছেন না হাসনাতের পরিবারও। হাসনাতের মা রেজি বিবি বলেন, কিছু দিন আগেই ছেলে বাড়ি ঘুরে গেল। ওর কাছে ফোন ছিল না। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার মাদ্রাসা হস্টেলের সুপারের ফোন থেকে বাড়িতে কথা বলত। আমি বিশ্বাস করি না জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ওর আছে।   

    আরও পড়ুন : বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    তবে এসটিএফ সূত্রে খবর, হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সদস্য। সূত্র মারফত তদন্তকারীরা খবর পেয়েছিলেন, বাংলাদেশি ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনের নেপথ্যে ছিল আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট নামক জঙ্গি সংগঠনের হাত। ওই ঘটনায় সম্প্রতি ফয়জল আহমেদ নামে ধৃত এক বাংলাদেশিকে জেরা করে হাসনাতের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এর পরেই হাসনাতকে গ্রেফতার করতে উঠপড়ে লাগে পুলিশ। প্রথমে তদন্তকারীরা যান সুজাপুরে। সেখানে তার নাগাল পাননি তাঁরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন, হাসনাত রয়েছে সাহারানপুরে। এর পরেই তদন্তকারীদের একটি দল চলে যায় সেখানে। দিন কয়েক ধরে কড়া নজর রাখা হয় হাসনাতের গতিবিধির ওপর। শেষমেশ বুধবার গ্রেফতার করা হয় তাকে। নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়।

    উত্তর ২৪ পরগনার শাসন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর। গত এক মাসেরও কম সময়ে এই এলাকা গুলি থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন জঙ্গি। এবার সেই তালিকায় উঠল মালদহের সুজাপুরের নামও। কারণ সাহারানপুরে ধৃত হাসনাত এখানকারই বাসিন্দা।  

    বাংলা কি তবে ক্রমেই জঙ্গিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • NIA raid: সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে দক্ষিণের দুই রাজ্যে ৩৮ জায়গায় তল্লাশি এনএইএ-র

    NIA raid: সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে দক্ষিণের দুই রাজ্যে ৩৮ জায়গায় তল্লাশি এনএইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের সন্ধানে এবার দক্ষিণের দুই রাজ্যে তল্লাশি শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। রবিবার দিনভর অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) এবং তেলাঙ্গানায় (Telangana) সব মিলিয়ে মোট ৩৮টি জায়গায় হানা দিল এনআইএ-র দল। এর মধ্যে শুধু মাত্র অন্ধ্রপ্রদেশেই ২৩টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তেলঙ্গানার নিজামাবাদে এক ব্যক্তির বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা। তাঁকে সোমবার এনআইএ দফতরে তলব করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।  

    রবিবার সকালে একসঙ্গে এনআইএ-র ২৩টি দল অন্ধ্রপ্রদেশের ২৩টি জায়গায় হানা দিয়েছে। সন্ত্রাসে মদত এবং বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (PFI) সদস্যদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদও করেন  এনআইএ গোয়েন্দারা। কুর্নুল, গুন্টুর, নেল্লোরের পাশাপাশি নিজ়ামাবাদেও হানা দেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পিএফআই-এর জেলা আহ্বায়ক সাদুল্লাহ, ও সংগঠনের সদস্য মহম্মদ ইমরান এবং মহম্মদ আবদুল মোবিনকে জেরার জন্য পাকড়াও করে আনা হয়েছে। ক্যারাটে শেখানোর  নাম করে অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং হিংসা ছড়ানোর মতো অভিযোগে রয়েছে এই কজনের বিরুদ্ধে। সেই বিষয়েই জেরা করা হয়। আড়াই মাস আগেই ক্যারাটে শিক্ষক আব্দুল কাদের এবং আরও তিনজনকে যুবকদের সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দেওয়া এবং বেআইনিভাবে অস্ত্র শিক্ষা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে নিজামাবাদ পুলিশ। গত ৪ জুলাই নিজামাবাদ থানায় মামলা দায়ের হয়। এরপরে এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পায় এনআইএ। 

    তেলাঙ্গানার নিজ়ামাবাদে শাহিদ চৌসি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট এবং ব্যাঙ্কের পাসবই বাজেয়াপ্ত করেছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। তাঁকে হায়দ্রাবাদে  এনআইএ দফতরে সোমবার ডাকা হয়েছে। শাহিদের দাবি, তিনি কোনওবেআইনি লেনদেন বা হিংসার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি একটি পরিষেবা কেন্দ্র চালান। কিন্তু তদন্তকারীরা তাঁর কোনও কথাই শুনতে চাননি বলেও অভিযোগ।  

    আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক! দীর্ঘ ৩০ বছর পর কাশ্মীরে খুলল সিনেমা হল 

     নানদয়াল এবং কুর্নুলে স্থানীয় বাসিন্দারা গোয়েন্দাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অশান্তিও ছড়ায়। পুলিশের অনুমান ওই এলাকাতে বেশ কিছু পিএফআই সদস্যের বাড়ি। আর সেই কারণে তল্লাশি অভিযানে ব্যাঘাত ঘটাতেই পূর্ব পরিকল্পিত এই অশান্ত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান ওই এলাকার অনেক যুবককে মার্শাল আর্ট এবং অস্ত্র বিদ্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হিংসা ছড়ানোর কথা বলতেও শেখানো হয়েছে তাদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Army: ভারতীয় সেনার উপর আত্মঘাতী হামলা চালাতে টাকা দিয়েছিল পাক কর্নেল! জেরায় স্বীকার ধৃত জঙ্গির

    Indian Army: ভারতীয় সেনার উপর আত্মঘাতী হামলা চালাতে টাকা দিয়েছিল পাক কর্নেল! জেরায় স্বীকার ধৃত জঙ্গির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) উপর হামলা চালানোর জন্য টাকা দিয়েছিল পাক সেনা (Pakistan Army) কর্নেল ইউনুস চৌধুরি। জানাল, ভারতীয় সেনার জালে ধরা পড়া এক পাকিস্তানি জঙ্গি (Pak Terrorist)। সেনা সূত্রে খবর, ২১ অগাস্ট জম্মুর রাজৌরি জেলায় নওশেরার ঝাঙ্গর সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা। কিন্তু নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পুঁতে রাখা মাইন ফিল্ডের ফাঁদে পড়ে যায় তারা।

    সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control) বরাবর সন্দেহজনক গতিবিধি দেখতে পান জওয়ানরা (Army Jawans)। পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের জমিতে অনুপ্রবেশের (Terrorists Infiltration) চেষ্টা করতে দেখা যায় কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীকে। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কিছুটা ঢুকেও পড়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ওই জেহাদিরা। কিন্তু সেখানে পেতে রাখা মাইন ফিল্ডে পা দিতেই বিস্ফোরণে খতম হয় দু’জন জঙ্গি। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে তাবারক হোসেন (Pak Militant Tabarak Hussain) নামের এক সন্ত্রাসবাদী। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন। ধৃত জঙ্গি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার সবজকোট গ্রামের বাসিন্দা। জেরায় সে জানায়, পাক সেনার কর্নেল ইউনুস চৌধুরি তাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ভারতীয় সেনার উপর হামলার নির্দেশ দেয়।

     

     

    তাবারক হোসেনের কথায়, “আরও চার পাঁচজনের সঙ্গে আমি এখানে একটি আত্মঘাতী হামলার উদ্দেশে এসেছিলাম ৷ ভারতীয় সেনার ১-২ টো চৌকিতে রেকিও করেছি আমরা৷ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর রজ্জাকের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছি আমি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপরে আক্রমণ চালানোর জন্য ৬ মাস প্রশিক্ষণ নিই। পাকিস্তানি সেনা পরিচালিত লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি শিবিরেও একাধিকবার গিয়েছি।” সঙ্গী জঙ্গিদের বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই সে ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়ে বলে অভিযোগ তাবারকের ৷ 

    আরও পড়ুন: বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান! দৌড়ে এগিয়ে কে?

    রজৌরির (Rajouri) সেনা হাসাপাতালের কম্যান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার রাজীব নায়ার জানিয়েছেন, হুসেনের অবস্থা স্থিতিশীল ৷ তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে ৷ খাওয়ানোও হয়েছে ৷  ঘটনাচক্রে, একই সেক্টর থেকে ২০১৬ সালেও তাবারক হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল ভারতীয় সেনা। সে বার তার সঙ্গে ধরা পড়ে তার ভাই হারুন আলিও। মানবিকতার খাতিরে ২০১৭ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয় দুজনকেই।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • LeT Terrorist: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই লস্কর জঙ্গিকে আটক করলেন উপত্যকার বাসিন্দারা

    LeT Terrorist: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই লস্কর জঙ্গিকে আটক করলেন উপত্যকার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই কুখ্যাত লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিকে (Terrorist) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেরাই আটক করলেন জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রিয়াসি (Reasi) জেলার তুকসান ধোক (Tukson Dhok) গ্রামের বাসিন্দারা। সন্ত্রাসবাদীদের তুলে দিলেন পুলিশের হাতে। নিরাপত্তা বাহিনীর খাতায় এই দুই জঙ্গিরই নাম ছিল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় ছিল। তাদের কাছে মজুত ছিল একে-৪৭ রাইফেল, গ্রেনেডের মতো ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ। তা সত্ত্বেও পিছপা হননি গ্রামবাসীরা। নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য ছাড়াই তাঁরা করে ফেললেন অসাধ্য সাধন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, ৩ জুলাই।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি  

    একাধিক ট্যুইট করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের এই অসীম সাহসের ভূয়সী প্রশংসা করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। জম্মুর এডিজিপি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘অসীম সাহসের জন্য রিয়াসি জেলার তুকসান ধোক গ্রামবাসীদের অভিনন্দন জানাই। এলইটি-র দুই জঙ্গিকে গ্রামবাসীরা অস্ত্রসহ আটক করেছে। ২টি একে৪৭ রাইফেল, ৭টি গ্রেনেড এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। জম্মুর ডিজিপি গ্রামবাসীদের জন্য ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।’ 

    আরও পড়ুন: উপত্যকায় হিন্দু শিক্ষিকা রজনী বালার হত্যায় জড়িত জঙ্গি নিহত

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই লস্কর সন্ত্রাসবাদীর নাম ফয়জল আহমেদ দার ওরফে বশির আহমেদ দার এবং তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। প্রথমজন পুলওয়ামার এবং পরের জন রাজৌরির বাসিন্দা। এছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও ওই গ্রামবাসীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য পৃথক পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অসীম সাহসিকতার জন্য আমি রিয়াসির তুকসান ধোক গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাই। তাঁরা দুই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীকে ধরেছেন। সাধারণ মানুষ এই ধরনের সংকল্প নিলে সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না। সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার গ্রামবাসীদের ৫ লক্ষ টাকা নদগ পুরস্কার দেবে।’      

    কিছুদিন আগেই রাজৌরি জেলার এক এলাকায় লস্কর-ই-তৈবার একটি ঘাঁটির সন্ধান পেয়েছিল জুম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। দুই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক সন্ধান মিলেছিল। ওই অভিযানের সময়, নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। পুলিশ তালিবকে পলাতক হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তার খোঁজে পুরস্কারের ঘোষণাও করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তালিব হুসেনের সঙ্গে কাসিম নামে এক পাকিস্তানি লস্কর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এছাড়া, কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে।      
      

  • Let Terrorist: লস্কর জঙ্গিকে খালি হাতে পাকড়াও, কেমন ছিল সেই রোমহর্ষক রাত?

    Let Terrorist: লস্কর জঙ্গিকে খালি হাতে পাকড়াও, কেমন ছিল সেই রোমহর্ষক রাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এর আগেও এখানে আতঙ্কবাদীরা এসেছে। কিন্তু আমাদের বড়রা তাদের সঙ্গে লড়াই করে তাড়িয়েছে। আমরা আর আতঙ্কবাদকে ফিরতে দেব না।” কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার তুকসান গ্রামের এক বাসিন্দা দৃপ্ত কন্ঠে এই প্রতিজ্ঞা করেন। একদিন আগেই দুই কুখ্যাত লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিকে (Terrorist) জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আটক করেছেন এই তুকসান ধোক (Tukson Dhok) গ্রামের বাসিন্দারা। এই সাহসী কাজের জন্যে সরকারের তরফ থেকে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই লস্কর জঙ্গিকে আটক করলেন উপত্যকার বাসিন্দারা  

    কাশ্মীরের এই ছোট্ট গ্রামটিতে ৩০০-৩৫০ পরিবারের বাস। ৫০ বছর আগেই এই অঞ্চল থেকে বহু মুসলিম পরিবার অন্যত্র গিয়ে বাসা বেঁধেছে। গরমে এই গ্রামের বাসিন্দারা গবাদি পশুদের নিয়ে চলে যায় উপেক্ষাকৃত উঁচু অঞ্চলে। শীতকালে আবার ফিরে আসে তারা। এখানেই পাকড়াও করা হয় ওই দুই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে।

    আরও পড়ুন: কুপওয়ারায় খতম ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র

    ওইদিন জঙ্গি পাকড়াও -এর ঘটনায় জড়িত থাকা এক যুবক বলেন, “কিছুদিন আগেই ওই দুই ব্যক্তি এসে থাকতে শুরু করে গ্রামে। নিজেদের ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয় তারা। যার বাড়িতে  থাকত সেই বাড়ির মালিককে ফোন সুইচ অফ করতে বলে। তাতে ওই ব্যক্তির সন্দেহ হয়। রাত ১০ নাগাদ ওই ব্যক্তি কোনও রকমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ভাইকে ফোন করে। ভাই পেশায় ট্রাক চালক। ব্যক্তিটি ভাইকে জানায় সন্দেহভাজনদের কথা। এও বলে যে তার প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। তারপর সেই ট্রাক চালক গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানায়। চলে পরিকল্পনা। সবাই রাতের বেলায়  ওই বাড়ির বাইরে জড়ো হয়। ভোর পর্যন্ত অপেক্ষা । ৫টা নাগাদ জানালা দিয়ে  জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে পড়ে গ্রামবাসীরা। তখনও ঘুমোচ্ছিল ওই জঙ্গিরা। কয়েকজন ওদের সামনে রাখা ব্যাগগুলি সরিয়ে দেয়। বাকিরা মিলে ওই দুজনকে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে ফেলে। তারপরেই স্থানীয় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।”   

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই লস্কর সন্ত্রাসবাদীর নাম ফয়জল আহমেদ দার ওরফে বশির আহমেদ দার এবং তালিব হুসেন ওরফে হায়দার শাহ। প্রথমজন পুলওয়ামার এবং পরের জন রাজৌরির বাসিন্দা। জম্মু-কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট জেনারেল মনোজ সিনহাও ওই গ্রামবাসীদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘অসীম সাহসিকতার জন্য আমি রিয়াসির তুকসান ধোক গ্রামের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানাই। তাঁরা দুই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীকে ধরেছেন। সাধারণ মানুষ এই ধরনের সংকল্প নিলে সন্ত্রাসবাদীদের দৌরাত্ম্য শেষ হতে বেশি সময় লাগবে না। সন্ত্রাসবাদী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার গ্রামবাসীদের ৫ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার দেবে।’ 

      

  • Abdul Rehman Makki: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    Abdul Rehman Makki: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি (Pakistan) জঙ্গিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি (Terrorist) ঘোষণায় বাধা হয়ে দাঁড়াল চিন (China)। প্রত্যাশিতভাবেই প্রতিবেশী এই দুই দেশের দূরত্ব এক লপ্তে বেড়ে গেল বেশ খানিকটা। এর আগেও একাধিকবার ভারতের (India) প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে ড্রাগনের দেশ। তবে এবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ভারত ও আমেরিকার (US) তরফে। তাতেও বাধার প্রাচীর তুলে দিল চিন।

    লস্কর-ই-তৈবার প্রধান, ২৬/১১ মুম্বই হামলার চাঁই হাফিজ সইদের আত্মীয় আবদুল রহমান মাক্কি (Abdul Rehman Makki)।  এই মাক্কিকে আগেই জঙ্গি ঘোষণা করেছে আমেরিকা। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে রাষ্ট্রসংঘে মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাব জমা দেয় জো বাইডেনের দেশ। প্রস্তাব দেওয়া হয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইসিস ও আলকায়দা নিষেধাজ্ঞা কমিটিকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ভেটো প্রয়োগ করে শি জিন পিংয়ের দেশ।  

    আরও পড়ুন : বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

    এর আগেও একাধিকবার পাকিস্তানি জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় ভারতের প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে চিন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘে কূটনৈতিকভাবে জয়ী হয় ভারত। দিল্লির আবেদন মেনে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মাসুদ আজাহারকে জঙ্গি ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পনেরটি দেশের মধ্যে স্থায়ী সদস্য হিসেবে একমাত্র চিনই তাতে ভেটো দেয়। ২০০৯ সালে ভারত প্রথম ওই প্রস্তাব জমা দেয়। ২০১৬ সালে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সঙ্গে মিলে ফের প্রস্তাব দেয় ভারত। মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে তাকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। ২০১৭ সালে ফের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। এই দফায়ও ভেটো প্রয়োগ করে চিন। এরপর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স একটি খসড়া জমা দিয়ে গ্রেফতারের দাবি জানায় মাসুদকে। এই সময় কেবল আমেরিকাই মাক্কিকে বিশেষ জঙ্গি বলে উল্লেখ করে।

    আরও পড়ুন : জঙ্গি দমনে কঠোর এনআইএ, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি

    ২০২০ সালে পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আদালত মাক্কিকে দোষী সাব্যস্ত করে। সন্ত্রাসবাদমূলক কাজকর্ম, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। সম্প্রতি গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে গোটা বিশ্বে যখন সমালোচিত হচ্ছিল ভারত, তখন নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিল চিন। মাক্কিকে জঙ্গি ঘোষণার প্রশ্নে ফের যোজন দূরত্ব তৈরি হল প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে।  

     

  • Amreen Bhat: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি

    Amreen Bhat: ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম টিভি অভিনেত্রীর হত্যাকারী দুই লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিকেশ টিভি অভিনেত্রী আমরীন ভাটের (Amreen Bhat) হত্যায় জড়িত দুই দুই লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গি। কাশ্মীরের অবন্তিপোরায় (Awantipora) এনকাউন্টারে এই দুই জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। 

    ইসলামিক ফতোয়া না মানায় বুধবার রাতে আমরীন ভাটকে বুধবার বদগামের হাশরু গ্রামে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেই সময় অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিল তাঁর ১০ বছরে ভাইপো, সেও আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হল তাঁর হত্যাকারীদের। 

    কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা (Omar Abdulla) ট্যুইটে প্রতিক্রিয়া জানান, “আমরীন ভাটের খুনের ঘটনায় দুঃখিত এবং হতবাক। আমরীনকে তাঁর প্রাণ দিতে হল এবং তাঁর ভাইপো আহত। ঈশ্বর তাঁকে স্বর্গে ঠাঁই দিক।”

    আরও পড়ুন: কুপওয়ারায় গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর জঙ্গি, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র
     
    কাশ্মীরে লাগাতার অভিযান চালিয়ে সম্প্রতি বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৩ দিনে নিকেশ করা হয়েছে ১০ জঙ্গিকে। এদের মধ্যে ৩ জন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। বাকি ৭ জন লস্করের সদস্য। 

    [tw]


    [/tw]

    মৃত জঙ্গিদের মধ্যে কাশ্মীরের টিভি অভিনেত্রী আমরীন ভাট হত্যাকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিরাও ছিল বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। তাদের নাম শাকির আহমেদ ওয়াজা এবং আফরিন আফতাব। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।  

    [tw]


    [/tw]

    টেলিভিশন অভিনেত্রী আমরীন ভাট কাশ্মীরে বেশ জনপ্রিয় মুখ। টিকটক-সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বেশ সক্রিয় ছিলেন। পুলিশের ধারণা, ইসলামিক ফতোয়া না মানায় তাঁকে টার্গেট করে জঙ্গি গোষ্ঠী।

    আরও পড়ুন: যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, অশান্তি এড়াতে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ানো হল নিরাপত্তা

     

  • Kashmiri Pandits: “হয় কাশ্মীর ছাড়ো, নয় মরো”, পণ্ডিতদের হুমকি-চিঠি জঙ্গিদের

    Kashmiri Pandits: “হয় কাশ্মীর ছাড়ো, নয় মরো”, পণ্ডিতদের হুমকি-চিঠি জঙ্গিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হয় কাশ্মীর (Kashmir) ছাড়ো, নয় মরো! কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) এই হুমকি চিঠি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-ইসলাম (Lashkar-e-Islam)। যার জেরে ভূস্বর্গে ফের জাঁকিয়ে বসেছে ভয়। এদিকে পরিস্থিতির মোকাবিলায় “পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার” (PAGD) সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

    বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে কাশ্মীরের বদগাম জেলার চাদুরা শহরে পণ্ডিত সম্প্রয়াদের এক সরকারি কর্মীকে অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। রাহুল ভাট (Rahul Bhatt) নামের ওই সরকারি কর্মীর হত্যার দায় স্বীকার করে কাশ্মীর টাইগার্স নামে এক জঙ্গি সংগঠন। ঘটনার প্রতিবাদে এবং অবলিম্বে জঙ্গিদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের জঙ্গি সংগঠনের হুমকি চিঠি। কাশ্মীরের পুলওয়ামার হালওয়ায় একটি শরণার্থী কলোনিতে থাকেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। রবিবার হুমকি চিঠি আসে সেখানেই। হালওয়ার শরণার্থী কলোনির সভাপতিকে লেখা ছোট্ট একটি চিঠিতে দেওয়া হয়েছে খুনের হুমকি।

    লস্কর-ই-ইসলামের লেটারহেড সম্বলিত ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “সমস্ত শরণার্থী এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রতিনিধিদের বলছি, হয় কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাও নয়তো মৃত্যুর মুখোমুখি হও! যে সমস্ত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কাশ্মীরকে ইজরায়েল বানাতে চায়, এখানকার মুসলিমদের খুন করতে চায়, তাদের কাশ্মীরে জায়গা নেই। ওই চিঠিতে জঙ্গিরা জানিয়েছে, চাইলে এই পণ্ডিতরা নিজেদের নিরাপত্তা দ্বিগুণ এমনকি তিনগুণও করে নিতে পারেন, কিন্তু তাতে লাভ হবে না।” চিঠির শেষ লাইনে লেখা, তোমরা মরবেই।

    আরও পড়ুন : অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার সংগঠনের (people’s Alliance for Gupkar declaration) সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স (National Conference) প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ (Farooq Abdulla), পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti), সিপিআই(এম) নেতা এম ওয়াই তারিগামি (Tarigami), এনসি এমপি হাসনাইন মাসুদি ও আওয়ামী ন্যাশনেল কনফারেন্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাফফর শাহ। ওই বৈঠকে মনোজ  জানান, উপত্যকায় নিরপরাধদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। উপত্যকার কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের সরকারি কর্মচারীদের আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।

    নয়ের দশকে নির্বিচারে হিন্দু পণ্ডিতদের খুন করেছিল জঙ্গিরা। ভয়ে উপত্যকা ছাড়েন পণ্ডিতরা। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের তখতে বসেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয় নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। উনিশে ফের ক্ষমতায় এসে কাশ্মীর থেকে রদ করে ৩৭০ ধারা (Article 370)। তার পর আক্ষরিক অর্থেই ভূস্বর্গ হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর। পাকিস্তানে (Pakistan) পট পরিবর্তনের পর ফের শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত হিংসা।

     

  • Hizbul Terrorists: কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম হিজবুলের সবচেয়ে পুরনো সদস্যসহ মোট তিন জঙ্গি

    Hizbul Terrorists: কাশ্মীরে সেনা অভিযানে খতম হিজবুলের সবচেয়ে পুরনো সদস্যসহ মোট তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ (Anantnag) জেলার পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে খতম তিন হিজবুল মুজাহিদিন (hizbul mujahideen) জঙ্গি (Terrorist)। অমরনাথ যাত্রীদের উপর আক্রমণ করার ছক কষেই ওই জঙ্গিরা সেখানে ঘাঁটি গেড়েছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)।   

    শুক্রবার যে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে এক জন এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সবচেয়ে পুরনো সদস্য বলে পুলিশের তরফে জানা গেছে। মৃত ওই জঙ্গির নাম আশরাফ মোলভি (Ashraf Molvi)। কাশ্মীর পুলিশের আইজি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “আশরাফ মোলভি সহ অন্য দুই জঙ্গি সেনা অভিযানে নিহত হয়েছে। অমরনাথ যাত্রার রাস্তায় এই জঙ্গিদের নিকেশ করতে পারা পুলিশের জন্য বড় সাফল্য।”    

    সেনা সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের কাছাকাছি জঙ্গলে জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরই  নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। জঙ্গিরা গুলি চালালে পাল্টা গুলি চালায় সেনা। এর পরেই সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যায় ওই তিন জঙ্গি।   
     
    ২০১৩ সাল থেকে এই জঙ্গির বিরুদ্ধে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তকমা ছিল। আশরাফ মোলভি ছাড়াও নিহত হয়েছে মহম্মদ রফিক দ্রাঙ্গে এবং জামির তান্ত্রে ওরফে আকিব। এরা প্রত্যেকেই হিজবুল সদস্য হিসেবে পরিচিত। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে অমরনাথের যাত্রীদের মধ্যে।

    পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, আইইডি (IED) বিস্ফোরক প্ল্যান্ট করা, সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলাসহ একাধিক নাশকতার চক্রান্তের অভিযোগ রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের কুখ্যাত  জঙ্গি মোলভির বিরুদ্ধে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ১৯৯৯ সালে  বেআইনি অস্ত্র পাচার দিয়ে প্রথম অপরাধ জগতে প্রবেশ করে মোলভি। এই জঙ্গির নির্দেশেই ২০২১ সালে পঞ্চায়েত প্রধান গুলাম রসুল এবং তাঁর স্ত্রী জওহরা বেগমকে অনন্তনাগের লালচকে হত্যা করা হয়। অনন্তনাগ এলাকায় এবারও কোনও বড় বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক ছিল হিজবুলের। এনকাউন্টারে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা ছাড়াও আরও এক হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্র জানান, ”মহম্মদ ইশৎাক শেরগোজরি নামে এক হিজমুল মুজাহিদিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নয়গাঁ এলাকার বাসিন্দা ওই জঙ্গিকেও অনন্তনাগ থেকেই পাকড়াও করেছে পুলিশ।”   

     

LinkedIn
Share