Tag: Terrorist

Terrorist

  • Khalistan Terrorist: সিনেমা, খেলায় টাকা লগ্নি করছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা! বিস্ফোরক তথ্য এনআইএ-র চার্জশিটে  

    Khalistan Terrorist: সিনেমা, খেলায় টাকা লগ্নি করছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা! বিস্ফোরক তথ্য এনআইএ-র চার্জশিটে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মত প্রকাশের স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে কানাডায় ঘাঁটি গাড়ছে খালিস্তানপন্থীরা। ভারতে নাশকতামূলক কাজকর্ম চালাতে একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিরা (Khalistan Terrorist)। কখনও সিনেমা, কখনও ক্লাব, কখনও আবার পানশালায় বিনিয়োগ করেছে তারা। কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও লগ্নি করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্র থেকে যে মোটা অঙ্কের টাকা আয় হয়, তাতেই চালানো হয় জঙ্গি কার্যকলাপ।

    হাওয়ালার মাধ্যমে কানাডায় পাঠানো হত টাকা

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএর চার্জশিটেই একথা জানানো হয়েছে। এনআইএর দাবি, খালিস্তানপন্থীদের (Khalistan Terrorist) টাকার উৎস মূলত তোলাবাজি, অস্ত্র এবং মাদক চোরাচালান থেকে। ভারত থেকে এভাবে রোজগার করা টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কানাডায়। সেই টাকাই লগ্নি করা হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। যার আয় থেকে পোষা হচ্ছে জঙ্গি। এনআইএ কর্তারা জানান, ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ এই দু’ বছরে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই অন্তত ১৩ বার হাওয়ালার মাধ্যমে কানাডা ও থাইল্যান্ডে ৫ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে।

    টাকা লগ্নি বিভিন্ন ক্ষেত্রে 

    নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে এনআইএর এক আধিকারিক জানান, তোলাবাজি, বেআইনি মদ, অস্ত্র ও ড্রাগের চোরাচালান থেকে পাওয়া টাকা কানাডায় নিয়ে যাওয়ার পিছনে হাত রয়েছে গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের। বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর সঙ্গে খালিস্তানপন্থী বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। এনআইএর দাবি, ভারত থেকে খালিস্তানপন্থীরা যে অর্থ সংগ্রহ করত, তার হিসেব রাখে সৎবীর সিং ওরফে স্যাম নামে এক ব্যক্তি। সে-ই সিনেমা, ইয়ট ও কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে টাকা লগ্নি করেছে।

    আরও পড়ুুন: কালো টাকা সরাতে ১০ বছরে ২৬ বার বিদেশযাত্রা? কাকে নিয়ে পোস্ট শুভেন্দুর?

    বর্তমানে জেলে রয়েছে বিষ্ণোই। গোয়েন্দারা জেনেছেন, ২০২০ সালে ৪০ লাখ ও তার পরের বছর ৬০ লাখ টাকা পাঠানো হয় কানাডায়। বিষ্ণোইয়ের সেই টাকা গিয়েছে গোল্ডি ও স্যামের (Khalistan Terrorist) কাছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ভারত থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা গিয়েছে কানাডায়। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে কানাডায় খুন হন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে দাবি জাস্টিন ট্রুডো সরকারের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে নয়াদিল্লি। আন্তর্জাতিক একটি মহলের মতে, গ্যাংস্টারদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয় নিজ্জর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kashmir: করছে সরকারি চাকরি! তিন দশক ধরে গা ঢাকা দেওয়া আট জঙ্গি গ্রেফতার কাশ্মীরে

    Kashmir: করছে সরকারি চাকরি! তিন দশক ধরে গা ঢাকা দেওয়া আট জঙ্গি গ্রেফতার কাশ্মীরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার উদ্দেশে, জম্মু ও কাশ্মীরের তদন্ত সংস্থা এসআইএ সন্ত্রাস সংক্রান্ত মামলায় পলাতক সকলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সমাজে সাধারণ মানুষের মধ্যে গা-ঢাকা দেওয়া এই জঙ্গিদের খুঁজে বের করে তাদের আদালতে হাজির করার জন্য একটি বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে। তাতেই মিলল সাফল্য। তিন দশক ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার পর গ্রেফতার হয়েছে আট জঙ্গি। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের ডোডা জেলা থেকে তদন্ত সংস্থা এসআইএ এবং সিআইডির আধিকারিকরা তাঁদের গ্রেফতার করেছেন। 

    ধৃতদের মধ্যে এক জন সরকারি চাকুরিজীবী

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক জন সরকারি চাকরিজীবী ছিল। ধৃতেরা বিচারব্যবস্থার চোখ এড়িয়ে বিগত কয়েক দশক ধরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ধৃত আট জঙ্গির নাম আদিল ফারুক ফরিদি, মহম্মদ ইকবাল ওরফে জাভেদ, মুজাহিদ হুসেন ওরফে নিসার আহমদ, তারিক হুসেন, ইশতিয়াক আহমদ, আজাজ আহমদ, জামিল আহমদ এবং ইশফাক আহমদ। এঁদের মধ্যে ফরিদি জম্মুর শিক্ষা দফতরের কর্মী ছিল। অন্য দিকে, ইশফাক ডোডা কোর্টে মুহুরির কাজ করত। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের সকলের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের শীঘ্রই জম্মুর আদালতে পেশ করা হবে।

    আরও পড়ুন: ফের অশান্ত মণিপুর, চলতি সপ্তাহে হিংসায় নিহত ৬, আহত ১৩

    কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করার বিশেষ অভিযান

    কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, সেই রাজ্যকে সন্ত্রাসশূন্য করার লক্ষ্যে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ৩২৭টি সন্ত্রাসবাদী ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৭৩৪ জন নিখোঁজ অপরাধীর তালিকা রয়েছে এসআইএ-র হাতে। যার মধ্যে ৩৬৯ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই ৩৬৯ জনের মধ্যে ১২৭ জন পলাতক, ৮০ জন মারা গিয়েছেন এবং ৪৫ জন পাকিস্তান-সহ অন্যান্য দেশে গা ঢাকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

    পাঞ্জাবে গ্রেফতার পাক জঙ্গির ৬ শাকরেদ

    অন্যদিকে, পাঞ্জাব পুলিশের অ্যান্টি গ্যাংস্টার ফোর্স (Punjab Police’s AGTF) ও মোহালি পুলিশের (Mohali Police) যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হল আইএসআই-এর মদতপুষ্ট পাকিস্তানি জঙ্গি হরবিন্দার সিংয়ের (Harwinder Sing) ৬ সঙ্গী। ধৃতদের মধ্যে একজন গত এপ্রিল মাসে পাতিয়ালায় (Patiala) জোড়া খুনে অভিযুক্ত। খুনের পর থেকেই পলাতক ছিল সে। ধৃতদের কাছ থেকে ৫টি পিস্তল ও ২০টি তাজা কার্তুজ বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • J&K Encounter: পুলওয়ামায় সেনার হাতে নিহত লস্কর কমান্ডার সহ ২ জঙ্গি

    J&K Encounter: পুলওয়ামায় সেনার হাতে নিহত লস্কর কমান্ডার সহ ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর সংঘর্ষ চলার পর শেষ পর্যন্ত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী (Security Force)। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে (Encounter) সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। রবিবার রাত থেকেই সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল উপত্যকা। রাতভর সেই সংঘর্ষ চলে। সোমবার সকালে সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, লড়াই সফল। ২ জঙ্গি নিহত। সেই সঙ্গে পুলওয়ামাও আপাতত নিরাপদ হাতেই রয়েছে। 

    রাতভর লড়াই

    রবিবারই কাশ্মীর (J&K Encounter) জোন পুলিশের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, পুলওয়ামা জেলার ল্যারো-পারিগাম এলাকায় এনকাউন্টার শুরু হয়েছে। গোপন সূত্রে আগেই খবর মিলেছিল, পুলওয়ামার পারিগাম গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে কয়েকজন জঙ্গি। তাদের ধরতেই অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও, তারা তা শোনেনি। উল্টে নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। এরপরই এনকাউন্টার শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত এই দুই নিহত জঙ্গির পরিচয় জানা যায়নি, তবে অনুমান করা হচ্ছে নিহত ২ জঙ্গির একজন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। সম্ভবত, ওই জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ কমান্ডার পদে ছিল দুজনের কোনও একজন। ওই দুই জঙ্গির দেহ উদ্ধার করলে বিশদে জানা যাবে বলে অনুমান সেনাবাহিনীর।

    আরও পড়ুন: বালুরঘাটে বৈঠক করেই লোকসভার রণকৌশল স্থির করলেন সুকান্ত মজুমদার

    কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের যে চেষ্টা চলছে তা ২ সপ্তাহ আগেই জেনেছিল সেনাবাহিনী। কাশ্মীর জোনের পুলিশ জানিয়েছেন, পুলওয়ামাতে যে নতুন করে ঘাঁটি গাড়ার চেষ্টা করছে জঙ্গি বাহিনী সেই খবর আগে থেকেই ছিল। সেই পরিকল্পনা মাফিক রবিবার গভীর রাতে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় বড় রকমের জঙ্গি হানা ঘটেছিল। শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি যাওয়ার সময়ে আত্মঘাতী হামলা হয়। ওই জঙ্গি হানায় সিআরপিএফের চল্লিশ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • STF: মেধাবী ছাত্রও জঙ্গি! এসটিএফের জালে যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    STF: মেধাবী ছাত্রও জঙ্গি! এসটিএফের জালে যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামারবাড়িতে ঘুরতে এসে এসটিএফের (STF) জালে ধরা পড়ল এক যুবক। তাকে জঙ্গি সন্দেহে হুগলি থেকে গ্রেফতার করল রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) (STF)। হুগলির দাদপুরে মামার বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে সে ছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম সেখ নাসিম। তাঁর মামার বাড়ি দাদপুরের আমড়া গ্রামে। অসুস্থ দিদিমাকে দেখতে রবিবার বিকালে দাদপুরে গিয়েছিল নাসিম। সেখানেই সে ছিল।

    ধৃত যুবক কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত?

    পুলিশ জানিয়েছে, নাসিমের বাড়ি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। সে আল কায়দার সঙ্গে জড়িত। বহু তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে মৌলানা পাশ করে, পড়াশোনা করছিল পাঁশকুড়ায়। মাঝে মধ্যে সে হুগলির দাদপুরে আমড়া গ্রামে মামারবাড়িতে আসত। মামারবাড়িতে এসে সে কয়েকদিন থাকত। এই এলাকায় সে এই ধরনের কোনও কার্যকলাপ শুরু করেছিল কি না এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা তা খতিয়ে দেখছেন।

    কী করে ধরা পড়ল সে?

    দাদপুরের আমড়া গ্রামে নাসিমের মামারবাড়িতে আচমকা পুলিশ হানা দেয়। বাড়িটিকে চারিদিকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপরই এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা বাড়িতে ঢোকেন। নাসিমের মামা গোলাম মোস্তাফা বলেন, দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেয়ে আমি বাইরের দরজা খুলে দেখি পুলিশ। জিজ্ঞাসা করে নাসিম কোথায়? নাসিম তখন দোতলার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এসটিএফের টিম এরপরেই উপরে উঠে যায়। তাকে ঘুম থেকে তুলে বাড়িতেই কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে দাদপুর থানায় নিয়ে যায়। অ্যারেস্ট মেমোতে সই করিয়ে কলকাতায় নিয়ে যায় তাকে। তিনি আরও বলেন, দিদিমার শরীর খারাপ থাকায় সে এখানে এসেছিল। পুলিশ বলছে ভাগ্নে জঙ্গি সংগঠনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। মইনুদ্দিন নামে কাউকে সে চেনে কিনা জিজ্ঞাসা করছিল। ভাগ্নে বলেছিল সে এমন কোনও কাজে যুক্ত নয়।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    এসটিএফের এই অভিযানে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে আমড়া গ্রামে। নাসিমের মামারবাড়ির সামনে গ্রামবাসীরা জড়ো হন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘নাসিম পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেল। শুনলাম সে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আমরা ভাবতে পারছি না।’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Perfume Bomb: ধৃত জঙ্গি আগে স্কুলশিক্ষক ছিল! প্রথমবার ‘পারফিউম বম্ব’ উদ্ধার কাশ্মীরে

    Perfume Bomb: ধৃত জঙ্গি আগে স্কুলশিক্ষক ছিল! প্রথমবার ‘পারফিউম বম্ব’ উদ্ধার কাশ্মীরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুগন্ধির বোতলে ভরে রাখা হয় বিস্ফোরক। সেটি বসিয়ে রাখা হয় রাস্তায়। কৌতূহল বশে সুগন্ধীর বোতল কুড়িয়ে নিয়ে খুলতে গেলেই ঘটবে বিস্ফোরণ। যার জেরে হয় মৃত্যু নয় চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়া। কাশ্মীরের সরকারি স্কুল শিক্ষক থেকে জঙ্গি বনে যাওয়া আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকেই মিলেছে পারফিউম বম্ব (Perfume Bomb)। জানা গিয়েছে, ধৃত আরিফ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তৈবার সদস্য। এই ধরনের বিস্ফোরক এর আগে কোনওদিন জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) দেখা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    সুগন্ধির বোতলে…

    চলতি মাসের ২১ তারিখে জম্মু-কাশ্মীরের নারওয়ালে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হন ৯ জন। বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে আরিফের হদিশ পায় পুলিশ। তদন্ত করে দেখা যায়, সুগন্ধির বোতলে আইইডি ভরে ঘটানো হয়েছিল বিস্ফোরণ।

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং বলেন, ধৃত আরিফের কাছে ডিসেম্বরের শেষ দিকে তিনটি আইইডি আসে। এর মধ্যে দুটি ২০ জানুয়ারি মারওয়াল এলাকায় পুঁতে রেখেছিল আরিফ। ২১ তারিখ ২০ মিনিটের ব্যবধানে ওই দুটি আইইডি (Perfume Bomb) বিস্ফোরণ হয়। প্রথমটির বিস্ফোরণের ফলে ৯ জন জখম হয়েছিলেন। তদন্তে নেমে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আরিফ কাসিম নামে পাকিস্তানের এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির সঙ্গে গত তিন বছর ধরে যোগাযোগ রেখে চলছিল। জেরায় নিজের কাছে থাকা পারফিউম আইইডি-র কথা জানায় আরিফ।

    আরও পড়ুুন: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের প্রধান বলেন, পাকিস্তান তার মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ প্রচার করার জন্য এবং সারা বিশ্বে হাজার হাজার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার জন্য কুখ্যাত। জম্মু-কাশ্মীর বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের টার্গেটে রয়েছে। পাকিস্তানিরা জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করতে চায়। দিলবাগ জানান, এই ধরনের সুগন্ধির বোতলে (Perfume Bomb) বিস্ফোরক ভরে নাশকতা চালানোর ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তিনি জানান, জেরায় আরিফ স্বীকার করেছে গত বছর ২৪ মে বৈষ্ণোদেবীগামী তীর্থযাত্রীদের বাসের ওপর হামলার ঘটনায়ও হাত ছিল তার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Pakistan: ‘আমাদের তৈরি মুজাহিদিন এখন জঙ্গি হয়েছে’, স্বীকারোক্তি পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর

    Pakistan: ‘আমাদের তৈরি মুজাহিদিন এখন জঙ্গি হয়েছে’, স্বীকারোক্তি পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুজাহিদিন তৈরির কোনও প্রয়োজন আমাদের ছিল না। আমরা মুজাহিদিন সৃষ্টি করেছিলাম। তারাই এখন জঙ্গি হয়েছে। কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি আর কেউ নন, পাকিস্তানের (Pakistan) অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ স্বয়ং। এবং বললেন পাক সংসদের উচ্চ কক্ষে। ঘটনার জন্য সানাউল্লাহ দুষছেন ইমরান খানের সরকারকে। তিনি বলেন, ইমরান খানের সরকার তেহেরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের কয়েকজনকে জেল থেকে মুক্ত করে দিয়েছিল। এদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

    বিস্ফোরণ…

    গত সোমবার পেশোয়ারে পাক (Pakistan) পুলিশের সদর দফতর লাগোয়া মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় এলাকায় অন্তত ৪০০ পুলিশ কর্মী উপস্থিত ছিলেন। নমাজ পড়ার সময় হওয়ায় আরও বহু পুলিশ কর্মী মসজিদে এসেছিলেন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ভেঙে পড়ে মসজিদের দেওয়াল। ধসে পড়ে মসজিদের ছাদও। খাইবার পাখতুনখোয়ার পুলিশ প্রধান মোজাজ্জম জাহ আনসারি বলেন, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ১০ থেকে ১২ কেজি বিস্ফোরক বেঁধে অতিথির ছদ্মবেশে মসজিদে এসেছিলেন আত্মঘাতী জঙ্গি। নমাজ শুরু হতেই বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। পাক পুলিশের দাবি, জঙ্গি দমন অভিযানে যাওয়া পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভাঙতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে মসজিদে। পেশোয়ার পুলিশের প্রধান মহম্মদ ইজাজ খান বলেন, জঙ্গি দমন কার্যকলাপে আমরা প্রথম সারিতে রয়েছি। এই জন্যই আমাদের নিশানা করা হল। উদ্দেশ্য ছিল, বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া।

    আরও পড়ুুন: এ কোন সংস্কৃতি! সুকান্ত-সুভাষকে কুরুচিকর আক্রমণ তৃণমূলের, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী (Pakistan) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিকে জানান, মৃতদের মধ্যে ৯৭ জনই পুলিশ আধিকারিক। বাকি তিনজন সাধারণ মানুষ। আহত ২৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি স্বীকার করেছেন, টিটিপি, আগে যে সংগঠন তেহেরিক-ই-তালিবান-ই পাকিস্তান একটি ছাতার মতো, যার তলায় রয়েছে একাধিক ইসলামিস্ট সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী। এরাই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে। এরা অস্ত্র সমর্পণ করে আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করবে, এটা ভাবাই ভুল ছিল।

    প্রসঙ্গত, পেশোয়ারের ওই মসজিদে বিস্ফোরণের পর টিটিপির একটি অংশ ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল। যদিও কয়েক ঘণ্টা পরেই টিটিপির মুখপাত্র ট্যুইটবার্তায় জানান, মসজিদে আক্রমণের কোনও উদ্দেশ্য তাঁদের ছিল না। পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, যাঁরা পাকিস্তানকে রক্ষা করছিলেন, জঙ্গিরা তাঁদেরই টার্গেট করল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Delhi Terror: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লিতে নাশকতার ছক! আরও চার জঙ্গির খোঁজ

    Delhi Terror: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লিতে নাশকতার ছক! আরও চার জঙ্গির খোঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে, জাহাঙ্গীরপুরী এলাকা (Delhi Terror) থেকে জঙ্গি সন্দেহে আরও চার সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীরা ড্রপডেড পদ্ধতির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পেয়েছে এবং একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের মাধ্যমে সীমান্তের ওপারে তাদের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।

    কী জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ?          

    পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “দিল্লি (Delhi Terror) পুলিশ আরও ৪ সন্দেহভাজনকে খুঁজছে। তারা ড্রপ-ডেড পদ্ধতির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পেয়েছিল এবং সিগন্যাল অ্যাপে পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তারা উত্তরাখণ্ডের একটি অজ্ঞাত স্থান থেকে অস্ত্র পেয়েছে। বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।”  

    জানুয়ারির শুরুতে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী এলাকা থেকে দুই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেপ্তার করার পর, পুরো বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশের মতে এই সন্ত্রাসীরা রাজ্যের বিভিন্ন নামীদামী ব্যক্তিত্বের ওপর হামলা চালানোর বরাত পেয়েছিল। 

    এই ঘটনায় ৮ জনের জড়িত থাকার অনুমান করছে পুলিশ। এদের মধ্যে চার জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “সীমান্তের ওপারে থাকা হ্যান্ডলাররা সিগন্যাল অ্যাপে নির্দেশ পাঠাত। তারপরে তারা গুগল ম্যাপের মাধ্যমে অস্ত্র ভর্তি ব্যাগের অবস্থান একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করে নিত। সন্ত্রাসীদের এই মডিউলে প্রায় ৮ জন জড়িত থাকতে পারে। যার মধ্যে ৪ জন এখনও ভারতে রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২ জন অস্ত্র সরবরাহ করত এবং ২ জন অস্ত্রগুলিকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে তাদের বসদের কাছে অস্ত্রের গুগল লোকেশন পাঠাত।”

    আরও পড়ুন: চলতি বছরের অক্টোবরেই সম্পন্ন হবে রাম মন্দিরের প্রথম তলার নির্মাণ!

    সূত্রের মতে, সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলি উত্তরাখণ্ডের একটি অজানা স্থানে পাওয়া গিয়েছে। এখন তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

    সম্প্রতি রাজধানীর (Delhi) রাস্তায় উদ্ধার (Delhi Terror) হয়েছে এক ব্যক্তির ছিন্নভিন্ন দেহ। ধৃতদের নাম জগজিৎ সিং এবং নৌসাদ। অভিযোগ, ধৃত এই দুই জঙ্গি সেই ব্যক্তিকে খুন করে  তাঁর দেহ আট টুকরো ছড়িয়ে দিয়েছিল রাস্তার মাঝে। এক চাঞ্চল্যকর তথ্যও এসেছে দিল্লি পুলিশের হাতে। ৩৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এসেছে পুলিশের হাতে। মৃতদেহের ভিডিও করে সোহেল বলে এক ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। লস্কর-ই-তৈবা- র সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সোহেলে। এই সোহেলের অ্যাকাউন্ট থেকেই নৌসাদের অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Terrorist: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাওড়ায় এসটিএফের জালে ২ জঙ্গি , আইএস যোগ?

    Terrorist: প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে হাওড়ায় এসটিএফের জালে ২ জঙ্গি , আইএস যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে আইএসআইএসের (ISIS) সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহে (Terrorist) দুজনকে গ্রেফতার করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। শুক্রবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হল বছর আঠাশের মহম্মদ সাদ্দাম এবং বছর তিরিশের সঈদ আহমেদ। হাওড়ার বিদ্যাসাগর সেতু থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।

    সাদ্দাম ও আহমেদ…

    পুলিশের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, সাদ্দাম এমটেক ছুট। সে গুরগাঁও ভিত্তিক এক সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত। আর আহমেদ কাজ করে তার বাবার ফার্মে। জানা গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ও ১২২ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের অন্য এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ধৃতেরা তরুণদের নিয়োগ করার কাজে লিপ্ত ছিল। তারা অস্ত্র সংগ্রহ করত। জোগাড় করত বিস্ফোরক। সংগ্রহ করত অর্থও। তারা খলিফার শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিল।

    পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের ডেরায় (Terrorist) হানা দেওয়া হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু জিনিস। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হার্ড ড্রাইভ, পেন ড্রাইভ, নোটবুক, ডেবিট কার্ড এবং একটি টু-হুইলার। জিহাদি সাহিত্য, কয়েকটি জিহাদি চ্যানেলের তালিকা এবং কয়েকটি কোম্পানির নাম লেখা কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে সাদ্দামকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তা জানেন না বলেই দাবি তাঁর পরিবারের। সাদ্দামের এক আত্মীয় বলেন, তারা (পুলিশ) এল, তার মোবাইল এবং কম্পিউটারটা নিয়ে চলে গেল। আমরা জানি না কেন তাকে গ্রেফতার করা হল।

    আরও পড়ুুন: অপরাধী ধরতে গিয়ে ফের আক্রান্ত পুলিশ, ছিনিয়ে নিয়ে গেল ২ অভিযুক্তকে

    এসটিএফ সূত্রে খবর, সাদ্দামের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে মিলেছে আইএস জঙ্গিদের নৃশংস খুনের ভিডিও। বিদেশ যাওয়ার ছক কষেছিল সাদ্দাম। সেই মতো তৈরি করেছিল পাসপোর্টও। এসটিএফের দাবি, সুইসাইড স্কোয়াড সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করছিল সাদ্দাম। মিলেছে পাকিস্তান-যোগও। পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত সাদ্দাম। টেলিগ্রাম, সোশ্যাল মিডিয়ার চলত সাংকেতিক ভাষায় কথাবার্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • NIA Raid: সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের খুঁজতে তল্লাশি এনআইএ-র, আইনজীবী সহ গ্রেফতার ২

    NIA Raid: সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের খুঁজতে তল্লাশি এনআইএ-র, আইনজীবী সহ গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা অপরাধী এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগকারীদের (Gangster Nexus) খুঁজে বের করা। তা করতে গিয়ে মঙ্গলবার একই সঙ্গে অন্তত ৫০টি জায়গায় অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA Raid)। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার অভিযান চলেছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি সহ উত্তর ভারতের (India) পাঁচ রাজ্যে। এনআইয়ের (NIA) এক পদস্থ কর্তা বলেন, ভারত থেকে পালানো বেশ কয়েকজন গ্যাংস্টার এখন পাকিস্তান, কানাডা, মালয়েশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশে থেকে ছক কষছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্তদের খোঁজে নেমেছে এনআইএ।

    এনআইএ সূত্রে খবর, এদিন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দুজন। একজন আইনজীবী আশিফ খান। তিনি দিল্লির (Delhi) বাসিন্দা। অন্যজন রাজেশ ওরফে রাজু মোটা। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানা থেকে। এনআইএ-র এক মুখপাত্র জানান, চারটি অস্ত্র এবং গুলি সহ কয়েকটি পিস্তল বাজেয়াপ্ত হয়েছে ধৃত আইনজীবীর বাড়ি থেকে। তিনি জানান, তদন্ত (NIA Raid) চালানোর সময় এটা জানা গিয়েছে যে আইনজীবী আশিফ খান গ্যাংস্টারদের সংস্পর্শে ছিলেন। যেসব গ্যাংস্টার জেলে বন্দি রয়েছে কিংবা জেলের বাইরে রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর। বিভিন্ন অবৈধ কাজকর্ম করতে অপরাধীদের সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করতেন ওই আইনজীবী। এনআইএ-র মুখপাত্র জানান, রাজেশের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তার নামে প্রচুর ক্রিমিনাল কেস রয়েছে।

    ওই আধিকারিক আরও জানান, রাজু অবৈধভাবে মদ-মাফিয়া নেটওয়ার্কও চালায় তার মহল্লায়। কয়েকজন সাগরেদকে নিয়ে এই কারবার চালায় সে। সে হরিয়ানার কুখ্যাত গ্যাংস্টার সন্দীপ ওরফে কালা জাঠেদির সহযোগী। এনআইএ সূত্রে খবর, মদের ব্যবসায় রাজু মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। অবৈধ নানা উপায়েও রোজগার করে সে।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর অভিযোগের তদন্তে জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি এনআইএ-র, গ্রেফতার ১

    এনআইএ এদিন তল্লাশি চালিয়েছে রাজস্থানের চুরুর সম্পত নেহ্রা চত্বরে। হরিয়ানার কুখ্যাত গ্যাংস্টার নরেশ শেঠীর ডেরাও তল্লাশি চালিয়েছে। হরিয়ানারই সুরেন্দর ওরফে চিকুর ডেরায়ও এদিন চালানো হয়েচছে তল্লাশি। উত্তর পূর্ব দিল্লির সন্দীপ ওরফে বান্দার এবং সেলিম ওরফে পিস্তলের বাড়িতেও হানা দেন এনআইএ-র গোয়েন্দারা। পাঞ্জাবের ভাতিন্দায়ও এক আইনজীবীর বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। গুরপ্রীত সিং সিধু নামে ওই আইনজীবী তা স্বীকারও করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Terrorist killed in Kashmir: কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য! খতম পরিযায়ী শ্রমিক হত্যাকারী লস্কর জঙ্গি

    Terrorist killed in Kashmir: কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য! খতম পরিযায়ী শ্রমিক হত্যাকারী লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেল কাশ্মীর পুলিশ। গত সোমবারের গ্রেনেড হামলায় জড়িত এক জঙ্গিকে গুলি করে খতম করা হল (Terrorist killed in Kashmir)। সোমবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সোপিয়ান (Shopian) জেলার হারমেন এলাকায় গ্রেনেড হামলা (grenade attack) চালায় জঙ্গিরা। আর এতে প্রাণ হারিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের দুই শ্রমিকও। তাঁদের নাম মনীশ কুমার ও রাম সাগর। তাঁদের দুজনেরই বাড়ি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনৌজ (Kanooj) জেলায়। ফলে এই হামলার সঙ্গে জড়িতে দুই জঙ্গিকে গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছিল, আর আজ তাদের মধ্যে একজনকে নিকেশ করা হয়েছে। 

    কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল, মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছিল যে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের কমান্ডারদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত জঙ্গির নাম ইমরান বাসির গনি এবং সে লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। একেই আজ খতম করা হয়েছে (Terrorist killed in Kashmir) বলে কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে। 

    শুধুমাত্র সোমবারের এই গ্রেনেড হামলাই নয়, এই বছরে একাধিক বার পরিযায়ী শ্রমিকদেরকে নিশানায় রেখেছে সন্ত্রাসবাদীরা। ফলে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতমাসের ২ তারিখে পুলওয়ামায় মুনির উল ইসলাম নামে পশ্চিমবঙ্গের এক পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গি। এর আগে ১১ আগস্ট বান্দিপোরা জেলার সুম্বলে বিহারের মাধেপোরার পরিযায়ী শ্রমিক মোহাম্মদ আমরেজও জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, এই বছর, কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক সহ ১৭ জন লোক জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! কাশ্মীরি পণ্ডিতের পর সোপিয়ানে জঙ্গি হামলায় নিহত ২ পরিযায়ী শ্রমিক

    এছাড়াও কাশ্মীরি পণ্ডিতরাও রয়েছেন সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায়। সোমবারের গ্রেনেড হামলার দুদিন আগেই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিত পূরণ কৃষ্ণন ভাট। তিনি দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার চৌধুরী গুন্ড এলাকার বাসিন্দা। পণ্ডিত খুনের দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘কাশ্মীর ফ্রিডাম ফাইটার’। এই ঘটনার পরেই উপত্যকায় প্রতিবাদে নেমেছেন কাশ্মীরা পণ্ডিতরা। পুনর্বাসনের দাবিতে ফের গর্জে উঠেছেন তাঁরা। এ বছর এর আগে একাধিক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করা হয়েছে। মে মাসেই বুদগামে তেহসিলদারের অফিসে ঢুকে ৩৬ বছর বয়সী রাহুল ভাটকে খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা।

LinkedIn
Share