Tag: tmc

tmc

  • Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    Amit Shah on SIR: ‘বিদেশিদের ভোট হারানোর ভয়েই কি এসআইআর-এর বিরোধিতা?’, নাম না করে মমতাকে তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে দু’দিনের আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে অনুপ্রবেশ প্রশ্নে সরব হলেন অমিত শাহ (Amit Shah on SIR)। কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতৃত্ব অনুপ্রবেশকারীদের সুরক্ষা কবচ দিতেই এসআইআর-এর বিরুদ্ধে সরব। এমনই দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘‘একজনও বিদেশিকে ভোট দিতে দেব না। আমাদের নীতি হল, ডিকেক্ট, ডিলিট অ্যান্ড ডিপোর্ট।’’ একই সঙ্গে ২২১৬ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এখনও ৫৬৩ কিলোমিটার বেড়া না হওয়ায় দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই।

    ভিনদেশিরা কেন ভোট দেবেন?

    লোকসভায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) আলোচনা-পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- প্রশ্ন তোলেন, বিরোধীরা কেন এসআইআর নিয়ে বিরোধিতা করছেন? ভিনদেশি ভোটারদের কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার আছে? কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে? বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘‘এসআইআর আর কিছু নয়, এটা স্রেফ ভোটার তালিকার সংশোধন। আমি মেনে নিচ্ছি যে এটার কারণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ঘা লাগবে। ওই দলগুলির প্রতি একদিক থেকে আমার সহানুভূতিও আছে। কারণ দেশের ভোটাররা তো ভোট দেন না। কয়েকটি ভোট বিদেশিরা দিয়ে দিতেন, সেটাও চলে যাবে। কিন্তু ভারতীয় হিসেবে আমাদের ঠিক করতে হবে যে এই দেশের সাংসদদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে, রাজ্যের বিধায়কদের নির্বাচনের জন্য বিদেশিদের ভোটাধিকার দেওয়া উচিত কি? আমাদের মতে, সেটা দেওয়া উচিত নয়।’’

    ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষ কেন?

    নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শাহ। তিনি বলেন যে বিজেপিও নির্বাচনে হেরেছে। কিন্তু ভোটে হারলেই নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেনি। এখন মমতা, হেমন্ত সোরেন, এমকে স্টালিনরাও কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছেন। আগে শুধু কংগ্রেস সেই কাজটা করত। কিন্তু বন্ধুত্বের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে ইন্ডি জোটের দলগুলিতেও। তারইমধ্যে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপরে চটে যান শাহ। বুধবার লোকসভায় শাহ অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধীরা এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। বুধবার লোকসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শাহ বাংলার সীমান্তে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তোলেন। রাজ্যের দিকে অনুপ্রবেশকারী তোষণের অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন শীঘ্রই পূর্ণ হবে

    পাশাপাশি, ‘অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের’ স্বপ্ন খুব শীঘ্রই পূর্ণ হবে বলেই এদিন বার্তা দিলেন শাহ। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্য়ে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর কাজ শেষ। কিন্তু ৫৬৩ কিলোমিটার এখনও বাকি। অসম, ত্রিপুরায় কাজ শেষ। শুধু বাংলা এখনও বাকি।’ এই কাঁটাতার না বসানোর নেপথ্যে অনুপ্রবেশকারী তোষণকেই দায়ী করেছেন শাহ। তাঁর দাবি, ‘রাহুলের মতো অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে তৃণমূলেরও ওদের মতোই অবস্থা হবে। বিজেপি জয় ছিনিয়ে নেবে।’ অবশ্য শুধু অনুপ্রবেশ ইস্যুতেই থেমে থাকেননি শাহ। ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে আলোচনায় রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ‘সাফ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহের কথায়, ‘এসআইআর বিরোধিতা করলে বিহারের মতো বাংলা-তামিলনাড়ুতেও সাফ হয়ে যাবে।’

    রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র বিতর্ক

    এর পাশাপাশি বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর অতীতে করা অভিযোগেরও এদিন জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেস সাংসদ হরিয়ানায় ভোটচুরির অভিযোগও করেছিলেন। এই নিয়ে রাহুল ও শাহের মধ্যে তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়। রাহুল সংসদে দাঁড়িয়ে শাহকে সাংবাদিক বৈঠক করা নিয়ে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ বলেন, ‘‘সংসদ এভাবে চলবে না। আমি যে ক্রমে কথা বলব তা আমি সিদ্ধান্ত নেব। আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই যে আমি ৩০ বছর ধরে বিধানসভা এবং সংসদে নির্বাচিত হয়েছি। সংসদীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।’’

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা শাহের

    নেহরু-গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে ভোটচুরি প্রসঙ্গে এদিন শাহ বলেন, ‘‘আপনার পরিবার ভোটচোর। স্বাধীনতার পরে কংগ্রেসের অন্দরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ২৮টি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সমর্থন পেয়েছিলেন, যেখানে নেহরু পেয়েছিলেন মাত্র দু’টি। কিন্তু প্যাটেলের বদলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নেহরু। এটিই ছিল দেশের প্রথম ভোটচুরি।’’ নেহরু প্রসঙ্গের পরে জরুরি অবস্থার কথা টেনে শাহ নিশানা করেন ইন্দিরাকে। তিনি বলেন, ‘‘এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল। তখন তিনি গদি বাঁচাতে সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। এটি ছিল গণতন্ত্রের উপর আঘাত এবং ভোটচুরির দ্বিতীয় নির্লজ্জ উদাহরণ।’’ তাঁর নিশানা থেকে বাদ পড়েননি রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধীও। শাহ অভিযোগ করেন, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘সোনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার আগে কী ভাবে ভোটার হয়েছিলেন? ভোটচুরির এই তৃতীয় উদাহরণটি সম্প্রতি দেওয়ানি আদালতেও গিয়েছে।’’

  • SIR In Bengal: মৃত্যুহীন বুথ ২২০৮ থেকে নামল ২টিতে! বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নামের সংখ্যা বাড়ল

    SIR In Bengal: মৃত্যুহীন বুথ ২২০৮ থেকে নামল ২টিতে! বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নামের সংখ্যা বাড়ল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ প্রায় শেষের পথে। ১৬ ডিসেম্বর এসআইআর-এর (SIR In Bengal) খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। বাংলায় ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের আবহে এখনও পর্যন্ত বাদ যেতে পারে ৫৬ লাখেরও বেশি ভোটারের নাম। সোমবার পর্যন্ত এই তথ্যই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই সংখ্যাটা বাড়ছে।

    ৫৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩১ জনের নাম বাদের তালিকায়

    নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩১ জনের নাম বাদের তালিকায় চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৪৫। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২৯, নিখোঁজ ভোটার ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭১০, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২১৫, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮৩২। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও একাধিক জেলায় এখনও আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা আপলোড করা হয়নি। এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, মূলত চারটি ক্ষেত্রে একটি ফর্ম ‘আনকালেক্টবল’ থাকে। যদি কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়ে থাকে, দ্বিতীয়ত যদি কোনও ভোটারের দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকে, তৃতীয়ত যদি কোনও ভোটার নিখোঁজ থাকেন এবং চতুর্থ হল যদি কোনও ভোটার পাকাপাকিভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়ে যান।

    মৃত্যুহীন বুথ নামল মাত্র ২ টিতে

    অন্যদিকে, রাজ্যের মোট দু’হাজারেরও বেশি বুথে কোনও ‘মৃত’ ভোটার নেই বলে জানা গিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, ২ হাজার ২০৮টি পোলিং স্টেশনে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত কিংবা ডুপ্লিকেট ভোটারের খোঁজ মেলেনি। তার ফলে পূরণ করা সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম ফেরত আসে। এই অবাক করা তথ্য সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট চায় তারা। এরপর ২২০৮টি যে বুথ ছিল সেটা কমতে কমতে এসে দাঁড়াল ২টি বুথে। প্রথমে ২,২০৮, দ্বিতীয়বার ৪৮০, তৃতীয়বার ২৯, চতুর্থবার ৭ ৭-এর পর এবার মৃত্যুহীন বুথ নামল মাত্র ২টিতে! শুধুমাত্র হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরেই এই বুথ রয়েছে। যেখানে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত হওয়া, ডুপ্লিকেট ভোটার নেই। অর্থাৎ, গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচন কমিশন যে ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার কথা বলছিল বারবার, সেই প্রক্রিয়া চলছে।

    বিজেপি-নেতৃত্বের কথাই ঠিক প্রমাণিত

    ২২০৮টি বুথে কোনও ‘আন-কালেক্টবল’ ফর্ম নেই, এ বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপি নেতারা। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, “আমি শুধু একটা কথাই বলব, যদি কেউ মরতে না চান, যদি সারাজীবন বেঁচে থাকতে চান, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসুন। নিশ্চিতভাবে বেঁচে থাকবেন। ২০০০-এর উপর বুথে কোনও মৃত্যু হয়নি, কেউ অন্য কোথাও যায়নি, এটাই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। অদ্ভুত এক ভূতুড়ে জায়গা। আর জেলা প্রশাসন হচ্ছে গেছো ভূত।” বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা আমাদের পিসি সরকারের ম্যাজিক। আমাদের যে পিসির সরকার…অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই সমস্ত এলাকায় কেউ মারা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষকে বলব ওই এলাকাতেই, সবাই নিজের নিজের জেলায় যে বুথে কেউ মারা যায়নি, সেই বুথে ভোটার তালিকায় নাম লেখান। যাতে কেউ মারা না যান। ওখানে গেলে আপনারা অমরত্ব লাভ করবেন।” এনিয়ে পাল্টা দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দেখা গেল বিজেপি-নেতৃত্বের কথাই ঠিক হলো।

  • Election Commission: “শুধু ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়”, তৃণমূলকে সাফ জানিয়ে দিল কমিশন

    Election Commission: “শুধু ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়”, তৃণমূলকে সাফ জানিয়ে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেবলমাত্র ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়।” ঠিক এই ভাষায়ই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কমিশন এও জানিয়ে দিয়েছে, রাজনৈতিক বক্তব্য থাকতেই পারে, কিন্তু এসআইআর (SIR) নিয়ে যাতে কোনও ভুল প্রচার করা না হয়, বিএলওদের কোনও হুমকি না দেওয়া হয়। রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধি দলকে কমিশন এও জানিয়েছে, নির্বাচন আইন মেনে পুরো প্রক্রিয়া হয়। সেই আইন মেনেই যাতে সবটা হয়, সেটা দেখতে হবে সবাইকে।

    এসআইআরের নান্দীমুখ (Election Commission)

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে এসআইআরের। কোনও গন্ডগোল ছাড়াই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে এই প্রক্রিয়া। এর পর পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর। আর তার পরেই হইচই পড়ে গিয়েছে বাংলায়। বাকি ১১টি রাজ্যের কোথাও কোনও উচ্চবাচ্য না থাকলেও, চিল-চিৎকার জুড়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিরোধীদের অভিযোগ, নানা অছিলায় তারা এসআইআর নিয়ে হাওয়া গরম করে চলেছে এই প্রক্রিয়া ঘোষণা হওয়ার দিন থেকেই। শুধু তাই নয়, এসআইআর নিয়ে রাজনীতি করতে (নিন্দকরা বলছেন) পথে নেমে পড়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দেশে তো নয়ই, স্বাধীন ভারতেও যা বিরলতম ঘটনা বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    নির্বাচন কমিশনের দফতরে তৃণমূল

    শুক্রবার, সটান নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে হাজির হন তৃণমূলের ১০ জন প্রতিনিধি (Election Commission)। সূত্রের খবর, সেখানেই তাঁদের কার্যত আইনের পাঠ পড়িয়ে দিয়েছেন কমিশনের কর্তারা। কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিএলওদের ওপর প্রভাব খাটানো যাবে না। কোনওরকম চাপ ছাড়াই মৃত, স্থানান্তরিত এবং একই ভোটারের একাধিক জায়গায় থাকা নাম বাদ দিতে হবে। তৃণমূলের তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৯ ডিসেম্বরের পর এসআইআর সংক্রান্ত দাবি এবং আপত্তি জমা দিতে বলা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা তাঁদেরও দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। ততদিন পর্যন্ত বিএলও, ইআরও এবং ডিইওদের কাজে যাতে শাসক দল হস্তক্ষেপ না করে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।

    বিএলওদের চাপ

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার বিষয়টিও উল্লেখ করেছে কমিশন। সেই অফিস আরও নিরাপদ জায়গায় (Election Commission) স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশকে বলা (SIR) হয়েছে, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএলওদের চাপ বা ভয় দেখানোর বিষয়টি দেখার জন্য চিঠিও পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে। এদিন দিল্লিতে কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের ১০জনের একটি প্রতিনিধি দল। কমিশন তাঁদের জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কোনও বক্তব্য কিংবা মতামত দেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে যাতে কোনও ভুল কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো না হয়, তা দেখতে হবে। সূত্রের খবর, ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে তৃণমূলকে বিরত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা।

    অতিরিক্ত ভাতা

    যেহেতু বিএলও এবং ইআরও বাড়তি কাজ করছেন, তাই তাঁদের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিন সেই বিষয়টিও স্মরণ (Election Commission) করিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। কমিশনের আধিকারিকরা জানান, অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনও টাকা এই ভাতার জন্য (SIR) বরাদ্দ করা হয়নি। দেরি না করে যাতে অবিলম্বে এই ভাতার টাকা বিএলও এবং ইআরওদের দিয়ে দেওয়া হয়, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। রাজ্যের শাসক দলের বাধার প্রাচীর ডিঙিয়েও যে এ রাজ্যে এসআইআরের কাজ মসৃণ গতিতে চলছে, তা মনে করিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তারা জানিয়েছে, ৮৫ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজড করে ফেলেছেন বিএলওরা। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ফর্ম আপলোড হয়েছে সব চেয়ে বেশি। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ফুল বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় তৃণমূলকে বলে দিয়েছে যে নির্বাচনের পবিত্রতা রক্ষা করুন। তৃণমূলকে লাইনে আসতে বলেছে।”

    এদিকে, বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে আসছেন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত। জেলায় জেলায় এসআইআর প্রক্রিয়ার কাজ খতিয়ে দেখবেন তিনি। অবশ্য (SIR) তিনি একা নন, আরও ১১ জন আইএএস পদমর্যাদার আধিকারিকও আসবেন তাঁর সঙ্গে। এসআইআর প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠানো হবে বিশেষ পর্যবেক্ষককে (Election Commission)।

  • Suvendu Adhikari: ডাক পেয়েও নবান্নে লোকায়ুক্তের বৈঠকে যোগ দেবেন না শুভেন্দু, কারণটাও জানালেন বিরোধী দলনেতা

    Suvendu Adhikari: ডাক পেয়েও নবান্নে লোকায়ুক্তের বৈঠকে যোগ দেবেন না শুভেন্দু, কারণটাও জানালেন বিরোধী দলনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন লোকায়ুক্ত চূড়ান্ত করার বৈঠকে, উপস্থিত থাকবেন না বিরোধী দলনেতা। ডাক পেলেও নবান্নে যাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। লোকায়ুক্তের পরবর্তী বৈঠক (Lokayukta Meeting) হবে আগামী সোমবার, ১ ডিসেম্বর৷ নবান্নে ওই বৈঠক হতে চলেছে৷ সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নিয়ম অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও থাকার কথা ওই বৈঠকে৷ নিয়ম মেনেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছে৷

    কেন যাবেন না শুভেন্দু

    শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘প্রথমত মুখ্যমন্ত্রী লোকায়ুক্তের রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করেননি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ একাধিক নির্বাচিত বিধায়কদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় চার্জশিট জমা করা হয়েছে। চার্জশিট হওয়া নির্বাচিত সদস্যের বিরুদ্ধে বিধানসভায় রিপোর্ট দিতে হয়। সেই রিপোর্ট উনি কোনও দিন দেননি। এখানে কোনও রিপোর্ট কোনওদিন পেশ করা হয় না। সবটাই আসলে লোক দেখানো। এরকম লোক দেখানো কোন বৈঠকে আমি যাব না।’’ লোকায়ুক্তের পরবর্তী কমিশনার কে হবেন, সেই ইঙ্গিতও দেন শুভেন্দু অধিকারী৷ বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘মনোজ পন্থ যদি এক্সটেনশন না-পান, দেখা যাবে হয়তো তাঁকেই লোকায়ুক্তের কমিশনার করে দেওয়া হবে। সংবিধানকে যিনি মানেন না, সেই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে বিরোধী দলনেতা যান না।’’

    মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোন মিটিং নয়

    ২০১৮ সালে লোকায়ুক্ত নিযুক্ত করার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান লোকায়ুক্ত হলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার রায়। তিনি প্রথমবার নিযুক্ত হন নভেম্বর ২০১৮-তে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমাকে স্বরাষ্ট্র সচিব চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমি যাব না। যেভাবে আমার দলের সাংসদকে মারা হয়েছে তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোন মিটিংয়ে যাওয়ার আর প্রশ্নই ওঠে না।’’ উত্তরবঙ্গে মালদা উত্তরের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনাও টেনে আনেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি খগেন মুর্মুর রক্ত দেখার পরে কোনও সুস্থ চেতনা সম্পন্ন মানুষ এই অত্যাচারী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারেন না।’’

    বিজেপি কীভাবে কাজ করবে

    তৃণমূল কংগ্রেস এখন সর্বভারতীয় সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস লিখছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারী জানান যে গোয়া-নাগাল্যান্ড-মেঘালয় আর ত্রিপুরার নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের যে সর্বভারতীয় তকমাটা ছিল, সেটা তারা হারিয়েছে। কারণ, জাতীয় পার্টি হওয়ার জন্য যত সংখ্যক ভোটের প্রয়োজন, সেটা তারা পায়নি বলেই তারা সেই তকমা হারিয়েছে। এটা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম। তিনি আরও বলেন, ‘‘আর তিন চার মাস পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না, তখন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে এবং তখন প্রতি বছর এই রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করা হবে। লোকায়যুক্তকে মামলা করার জন্য সরকার সম্মতি জানাবে।’’

  • Suvendu on SIR: ‘‘জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে’’, রাজ্যে এসআইআর সফল করার ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu on SIR: ‘‘জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে’’, রাজ্যে এসআইআর সফল করার ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং এসআইআর নিয়ে ফের একবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, তৃণমূল আদতে কোনও দলই নয়। অবৈধ ভোটাররা তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক। জিহাদে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। তাই এই দলটাকে ছেড়ে এসেছেন তিনি। মথুরাপুরে (Mathurapur) বিজেপির সভায় উপস্থিত হয়ে এমনই দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu on SIR)। একই সঙ্গে রাজ্যবাসীর কাছে এসআইআর সফল করার আহ্বান জানান।

    তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক

    সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে ভিড় দেখা যাচ্ছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। এসআইআর শুরু হওয়ার পর একে একে অনেকেই বাংলাদেশ ফিরে যাচ্ছেন। সেই আবহে এদিন মন্দিরবাজারের সভা থেকে এসআইআর সফল করার ডাক দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu on SIR) বলেন, “অবৈধ রেশন কার্ড, অবৈধ ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে। কয়েকদিন আগে আমি বলেছিলাম, গর্তে কার্বোলিক অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পিলপিল করে সাপেরা বেরিয়ে আসছে। এই সন্দেশখালিতে দেখুন, শাহজাহান জেলের ভিতরে থেকে…কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা জেল…মোবাইল ফোন ব্যবহার করে মাছ-মাংস খেয়ে…ওখান থেকে ফোনে ফোনে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নির্দেশ দিচ্ছেন, বিএলওকে কী ভাষা! আজ, এসআইআর সফল করুন আপনারা। কী হিন্দু, কী ভারতীয় মুসলিম একযোগে এসআইআর সফল করুন। নইলে এরা আমাদের রেশন খাচ্ছে। খাদ্য জিহাদ।” বিজেপি আগে থেকেই দাবি করে আসছে যে, এসআইআর হলে মৃত এবং ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে যা আদতে তৃণমূল ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজে লাগিয়েছে।

    খাদ্য-জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ

    মথুরাপুরে (Mathurapur) বিজেপির সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu on SIR)। সেই সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, এক সময় তৃণমূল দলকে ছুড়ে ফেলে এসেছেন তিনি। এটা কোনও দলই নয়! শুভেন্দুর কথায়, ”আমি যদি সেদিন নন্দীগ্রামের মানুষকে নিয়ে লড়াই না করতাম তাহলে দিদি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন। মুখ্যমন্ত্রী হতে হত না।” স্পষ্টত এই মন্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করেছেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গারা ঢুকে ন্যায্যদের রেশন ছিনিয়ে নিচ্ছে। এটাই খাদ্য জিহাদ (Food Jihad)। তারা পরপর জমি দখল করে নিচ্ছে, ল্যান্ড জিহাদ। বিধায়কের বক্তব্য, এইভাবে চলতে থাকলে গোটা রাজ্যটাই (West Bengal) এদের দখলে চলে যাবে। তাই সকলের উচিত, একজোট হয়ে এসআইআর-কে সমর্থন করা এবং তৃণমূল সরকারের অবসান ঘটাতে সাহায্য করা।

  • Suvendu Adhikari: ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ কমিশনে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ কমিশনে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো, অবৈধ ভোটার দিয়ে তালিকা ভরিয়ে রাখার স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়াকে বিকৃত করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখেছেন। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রক্রিয়া এবং পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বিকেলে জ্ঞানেশকে মমতার পাল্টা চিঠি লিখলেন শুভেন্দু। চিঠিতে এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছিলেন মমতা। দীর্ঘ চিঠিতে একাধিক উদাহরণ দিয়ে শুভেন্দু লিখলেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য এসআইআর সঠিক ভাবে সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। ভারতের গণতন্ত্র রক্ষার জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ।

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে চিঠি লিখেছেন, তা আদতে কোনও গঠনমূলক কারণে নয়, অবৈধ ভোটব্যাঙ্ককে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। এমন বার্তাই কমিশনে পৌঁছে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন তিনি। কর্তব্যরত আধিকারিক ও সাধারণ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে চিঠি লিখেছেন মমতা। পাল্টা চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, আদতে রাজ্যের শাসক দল ভোটের স্বার্থে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের এতদিন ধরে সুরক্ষা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন, জায়গায় জায়গায় বাংলাদেশিদের ঘর ছাড়ার হিড়িক বেড়েছে। হাকিমপুরে বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় বাড়ছে, এমন ছবিও সামনে এসেছে। শুভেন্দুর চিঠিতে সেই ঘটনারও উল্লেখ আছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, মমতার চিঠি আদতে নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের যে আস্থা, তাতে আঘাত হানছে। সঙ্গে শুভেন্দু এও উল্লেখ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে বিএলও দের হুমকি দিয়েছেন।

    মুকুল রায়ের মামলার কথা

    মমতার চিঠি ছিল তিন পাতার। শুভেন্দু পাল্টা চিঠিটি লিখেছেন চার পাতার। সেই চিঠিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, শুধু ভোট চুরি করা নয়। মমতার রাজনৈতিক ধরন হল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকেও চুরি করা। সে কারণেই হাইকোর্ট মুকুল রায়ের বিধানসভার সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছে। এসআইআরের চাপ সইতে না-পেরে দুই বিএলও-র মৃত্যু, মানুষের হেনস্থা, আলু তোলার মরসুমে এই প্রক্রিয়া চাপিয়ে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ করেছেন মমতা। শুভেন্দু তাঁর চিঠিতে পাল্টা যুক্তির জাল বুনতে চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিএলওদের অর্থবৃদ্ধির ফাইল এখনও রাজ্যের অর্থ দফতর এখনও ফেলে রেখেছে।

    ‘‘বাংলায় কায়েম জঙ্গলরাজ’’

    শুভেন্দুর বক্তব্য, গত তিন মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রী বারংবার বিএলওদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন, ভোটের পরে রাজ্য সরকারের চাকরিই তাঁদের করতে হবে। যা কমিশনের নির্দেশ পালনের বদলে রাজনৈতিক দাসত্ব পালনে প্ররোচনা দিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী মনোজ আগারওয়ালের বিরুদ্ধেও মমতা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তা-ও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে মমতা যে ভাবে চিঠি লিখেছেন, তা নিয়ে কমিশনের কঠোর মনোভাব নেওয়া উচিত বলে জ্ঞানেশকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর আরও বক্তব্য, এই চিঠিই প্রমাণ করে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ কায়েম হয়েছে। এ প্রসঙ্গেই তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা উল্লেখ করছেন শুভেন্দু। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কমিশনই এ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে সারা বাংলা জুড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরা কোনও কাজই করেনি। তাহলে স্বচ্ছ নির্বাচন হল কীভাবে প্রশ্ন শুভেন্দুর।

    সাংবিধানিক সংস্থার উপর সরাসরি আক্রমণ

    এসআইআর বন্ধের দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাংবিধানিক সংস্থার উপর সরাসরি আক্রমণ করেছেন, বলে দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়,  এসআইআর কোনো নতুন প্রক্রিয়া নয়, দেশে এটা নবমবারের মতো হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই উনি মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, সিইসি-কে গালিগালাজ করছেন।

    ‘‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’’

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর (এসআইআর) অধীনে ৫০.৪০ কোটিরও বেশি ভোটার, যা প্রায় ৯৯ শতাংশ, গণনার ফর্ম পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৫০.৯৭ কোটি ভোটার রয়েছেন। এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ এবং পুদুচেরি।

    ‘‘এসআইআর না হলে নির্বাচনও হবে না’’

    বিজেপি নেতা আরও যোগ করেন,‘‘এসআইআর না হলে নির্বাচনও হবে না। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা না এলে এপ্রিলে নির্বাচন হবে না। মৃত, ভুয়ো এবং অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে হট্টগোল করছেন… যখন ১ কোটিরও বেশি ভোটার বাদ যাবে, যারা হয় মৃত, ভুয়ো অথবা অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, তখন উনি কীভাবে জিতবেন… বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ভোটের পার্থক্য মাত্র ২২ লক্ষ…’’

  • Bihar Assembly Election 2025: বিহার পদ্মময়, কুর্সিতে ফিরছে এনডিএ, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন মহাজোটেই!

    Bihar Assembly Election 2025: বিহার পদ্মময়, কুর্সিতে ফিরছে এনডিএ, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন মহাজোটেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ (NDA) ঝড়ে বিহারে (Bihar Assembly Election 2025) কুপোকাত আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাজোট। কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে উঠে এল বামেরা। লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বীর আরজেডি নেমে গেল তিন নম্বরে। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। এর মধ্যে এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ২০৮টি। তেজস্বীর দল এগিয়ে রয়েছে ৪১টি আসনে। এনডিএ যে ২০৮টি আসনে জয় পেতে চলেছে, তার মধ্যে পদ্মের একার ঝুলিতেই পড়েছে ৯০টিরও বেশি আসন। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের হাতে যেতে চলেছে ৮১টি আসনের রাশ।

    উল্লসিত বঙ্গ বিজেপি (Bihar Assembly Election 2025)

    বিহারের গেরুয়া ঝড়ে যারপরনাই উল্লসিত বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিহারে গেরুয়া ঝড়। এবার পালা বাংলার। এসআইআর দিয়ে শুদ্ধ ভোটার তালিকায় ভোটে জিতবে বিজেপি। একদম চিন্তা করবেন না, বিহারে এসআইআরের পরে ভোট হয়েছে। অপশাসনের তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলাকে পরিষ্কার করবে বিজেপি।” প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁয়ের গলায়ও। তিনিও বলেন, “বিহারে জয়ের পথে আমরা, এবার পালা বাংলার।” চলতি বছরই নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে চালাচ্ছে এসআইআর কর্মসূচি। এই কর্মসূচির নান্দীমুখ হয়েছিল বিহারে। তার পরেই এনডিএর বিপুল জয়ে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

    কুর্সি ধরে রাখার লড়াই

    কেবল এসআইআর নয়, বিহারের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এবার আরও একটি কারণে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল নীতীশ কুমারের এই রাজ্য। নীতীশের নেতৃত্বে এ রাজ্যে এনডিএ লড়লেও, তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটের ময়দানে নামে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগটবন্ধন। নীতীশের কাছে এই নির্বাচন ছিল ২০ বছরের কুর্সি ধরে রাখার লড়াই। আর তেজস্বীর লড়াই ছিল বিহারের মসনদে বসা। নির্বাচন হওয়ার পরেই যে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজনীতির অন্দরমহলে, সেটি হল তেজস্বী কি পারবেন নীতীশকে মাত দিতে? নাকি ক্ষমতা ধরে রাখবে বিহারে জঙ্গলরাজের অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন ফেরানো ‘সুশাসন বাবু’? নীতীশ জমানায় বিহারে যে সুশাসন ফিরেছে তার হাতে গরম প্রমাণ তো এই বিধানসভা নির্বাচনই। এ রাজ্যের একটি বুথেও পুনর্নির্বাচন হয়নি। লাঠালাঠি-হানাহানির কোনও খবরও মেলেনি কোথাও (NDA)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে বিহারবাসী ভোট দিয়েছেন দু’হাত উপুড় করে।

    এনডিএর জয়জয়কার

    এদিন সকালে গণনা শুরু হতেই দেখা যায়, একের পর এক আসনে এগিয়ে চলেছে এনডিএ। এনডিএর জয়ের লেখচিত্র যেমন তরতরিয়ে (Bihar Assembly Election 2025) ওপর দিকে উঠছে, ঠিক তেমনিই দ্রুত নীচে নামছে মহাগটবন্ধনের জয়ের গ্রাফ। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গিয়েছিল, বিজেপি ছাপিয়ে গিয়েছিল নীতীশের জেডিইউকে। সেবার ১১৫টি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল নীতীশের দল, জয়ী হয়েছিল মাত্র ৪৩টি আসনে। আর ১১০টি আসনে লড়ে ৭৪টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গণনার ফল অনুযায়ী, ২০৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। আর মহাগটবন্ধনের ঝুলিতে পড়তে চলেছে মাত্র ৩৬টি আসন। গেরুয়া ঝড়ে পায়ের তলায় মাটিই খুঁজে পায়নি কংগ্রেস। তারা এগিয়ে রয়েছে মাত্র একটি আসনে। এমতাবস্থায় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেসকে ডুবন্ত নৌকার সঙ্গে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল) নিজেও ডুবছেন, জোটসঙ্গীদেরও ডোবাচ্ছেন। তিনি সব সময় অ্যাটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমার কথা বলে বেড়ান। আমার মনে হয়, তিনি সব বোমা নিজের দল এবং জোটসঙ্গীদের ওপরই ফাটিয়েছেন। অন্তত ভোটের ফল তো তা-ই বলছে (Bihar Assembly Election 2025)।”

    মহাগটবন্ধন ভূপতিত

    এদিকে, বিহারে মহাগটবন্ধন ভূপতিত হতেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়লেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের শোচনীয় হালে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুর। তিনি বলেন, “বিপুল সংখ্যক মানুষের রায় যে এনডিএর সঙ্গেই রয়েছে, তা ভীষণভাবে (NDA) স্পষ্ট। এটি হতাশাজনক। যদি শেষ পর্যন্ত এটিই চূড়ান্ত ফল হয়, তা হলে আমাদের আত্মসমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আত্মসমালোচনা বলতে আমি শুধু এ বিষয়ে বসে চিন্তাভাবনা করার কথা বলছি না। কৌশলগত দিক থেকে বার্তা দেওয়ার দিক থেকে এবং সাংগঠনিক দিক থেকে আমাদের কী ভুল হয়েছে, তাও দেখতে হবে।” থারুর বলেন, “আমি বিহার ভোটে প্রচার করিনি। আমাকে প্রচার করার জন্য ডাকাও হয়নি। তাই আমি এ বিষয়ে সরাসরি কোনও তথ্য দিতে পারব না (Bihar Assembly Election 2025)। তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কোথায় ভুল হয়েছে, তা অবশ্যই আমাদের দলের নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করা উচিত।”

    পিন্ডি চটকাল ইন্ডির!

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল যে জোট গঠন করেছিল, সেই ‘ইন্ডি’ জোটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। বিহারে মহাগটবন্ধন পরাভূত হতেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাদের সাফ কথা, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস যে ব্যর্থ, তা আরও একবার প্রমাণিত (NDA)। এনডিএ ঝড়ে বিহারে কাবু ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টিও। এই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-ই মমতার দলকে গত বিধানসভায় নির্বাচনী বৈতরণী পার করে দিয়েছিল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের। সেই ‘কিং-মেকারে’র দলই স্বভূমিতে (পিকে বিহারেরই বাসিন্দা) স্বখাত সলিলে। নিজের রাজ্যেই খাতা খুলতে পারেনি পিকের দল। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় পিকে মমতার দলকে জেতাতে কতটা সফল হবে, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।

    রেকর্ড ভাঙল এনডিএ

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলে এনডিএ ভেঙে দিয়েছে নিজেই নিজের রেকর্ড (Bihar Assembly Election 2025)। ২০১০ সালের তারা পেয়েছিল ২০৬টি আসন। এবার এদিন বিকেল পর্যন্ত এনডিএ এগিয়ে রয়েছে ২০৮টি কেন্দ্রে। প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় দু’দফায়। প্রথম দফায় ভোট হয়েছিল ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোট হয়েছে ১১ নভেম্বর। সব মিলিয়ে দু’দফায় ভোটদানের হার ছিল ৬৭.১৩ শতাংশ। বেশিরভাগ এক্সিট পোলে এনডিএর ক্লিন সুইপের পূর্বাভাস মিললেও, আরজেডির তেজস্বী যাদব সেই ভবিষ্যদ্বাণী উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছিলেন, মহাজোট বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গড়বে। যদিও সেই আশা আপাতত দূরঅস্ত।

    পতনের পথে তেজস্বী

    এদিন বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, নিজের গড় রাঘোপুর আসনে পিছিয়ে পড়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তেজস্বীর পাশাপাশি হারতে চলেছেন লালুর আর এক ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবও। আরজেডি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলেন লালু। তার পরেই ‘জনশক্তি জনতা দল’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নেমে পড়েন লড়াইয়ের ময়দানেও। মহুয়া কেন্দ্রে প্রার্থী হন তেজপ্রতাপ স্বয়ং। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে তিনি নেমে গিয়েছেন চতুর্থ স্থানে (Bihar Assembly Election 2025)। এদিকে, বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নেমেই কিস্তিমাত করে দিয়েছেন জনপ্রিয় গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর। আলিনগর কেন্দ্রে জিততে চলেছেন (NDA) তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই!

    এনডিএর জয়জয়কারের ছবি সামনে আসতেই রাজধানী পাটনায় নীতীশ কুমারের কার্যালয়ে উচ্ছ্বাসের ছবি। সেলিব্রেশনে মেতেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাও। জানা গিয়েছে, বিহারে দশমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। গত বারের চেয়ে এবার আরজেডির শক্তি কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এদিন সন্ধেয় নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোদি-শাহ জুটি

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারে বিজেপির হয়ে বাজিমাত করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জুটি। বিজেপির এই দুই সৈনিক যেসব জায়গায়ই প্রচারে গিয়েছেন, সেখানেই পদ্মের রমরমা। এঁদের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত (Bihar Assembly Election 2025) দিয়েছেন নীতীশের দলের নেতা-কর্মীরা। সব মিলিয়ে বিহার ফের এনডিএর (NDA) দখলে।

  • Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    Tata in West Bengal: জিতলে টাটা-কে বাংলায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনবেন, কথা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বর্ধমান (Bardhhaman) থেকে তৃণমূলকে (TMC) আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একাধিক বড় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে টাটা গোষ্ঠীকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি তিনি রতন টাটার উল্লেখ করা “গুড এম, ব্যাড এম” মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন।

    গুড-এম, ব্যাড-এম মন্তব্য

    এসআইআর নিয়ে মিথ্য়াচারের অভিযোগ তুলে বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর সেখানেই টাটাকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তৃণমূলকে হারাতে মানুষকে একজোট হতে আহ্বান জানান তিনি। রবিবার বর্ধমানে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “রতন টাটা বলে গিয়েছিলেন, মাথায় ট্রিগার লাগিয়ে বাংলা ছাড়তে বাধ্য করল। আমি খারাপ এম-কে ছাড়লাম, ভাল এম-এর কাছে যাচ্ছি। খারাপ এম-এর নাম আমরা বলিনি, রতন টাটা বলেছেন। খারাপ এম-এর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর ভাল এম-এর নাম রতন টাটা বলে গিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি।” হুগলির সিঙ্গুর থেকে ন্যানোর কারখানা গুজরাতের সানন্দে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল প্রয়াত শিল্পপতিকে।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, বিজেপি সরকার আসলে টাটাকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি উন্নয়ন, শিল্প ও কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেন। তৃণমূলকে ‘চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত’ আখ্যা দেন। তিনি সংখ্যা-ভিত্তিক সমস্যার কথাও তুলেছেন—“২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার, ৬০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, ৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ” এগুলির জন্য তিনি তৃণমূলকেই দায়ী করেন এবং পরিবর্তনের আহ্বান জানান। গর্তে কার্বলিক অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার কাজই নির্বাচন কমিশন করেছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। এসআইআর নিয়ে শুভেন্দু তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেন, বাংলার পরিচয় ও ভোটার-তালিকা নিয়ে অভিযোগ তোলেন, এবং বলেন যে অনুপ্রবেশ বা অবৈধ এন্ট্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • Aadhaar Card: এসআইআর শুরুর হতেই ঝোপে মিলল ভোটার কার্ডের পাহাড়, জলে ভাসছে শয়ে শয়ে আধার! কোথা থেকে এল?

    Aadhaar Card: এসআইআর শুরুর হতেই ঝোপে মিলল ভোটার কার্ডের পাহাড়, জলে ভাসছে শয়ে শয়ে আধার! কোথা থেকে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) জন্য মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে এনুমারেশন ফর্ম বিলি শুরু হয়েছে। আর পরদিন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে জলাশয় থেকে পাওয়া গেল কয়েকশো আধার কার্ড। তিনটি বস্তায় ভরে আধার কার্ড-সহ অন্যান্য কাগজপত্র রাতের অন্ধকারে কেউ ফেলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, রাজগঞ্জ বিডিও বিতর্কের মধ্যে ওই অফিসের পিছনের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর ভোটার কার্ড। কে বা কারা এই ভোটার কার্ডগুলি সেখানে ফেলে দিয়েছে তা এখনও রহস্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারীরা প্রথমে ভোটার কার্ডগুলো পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন। তবে সাফাই কর্মীরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। বিজেপির দাবি, এসআইআর-র ভয়ে এই ভুয়ো আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ফেলে দেওয়া হয়েছে।

    কোথা থেকে এল এত আধার কার্ড

    পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের বরডাঙা এলাকার একটি বিলে বুধবার সকালে আধার কার্ডগুলি ভেসে থাকতে দেখে এলাকার মানুষজন। খোঁজ করতে গিয়ে তিনটি বস্তা দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় জলে ভেসে থাকা আধার কার্ড ও একটি বস্তা। জলের নিচে থাকা আরও দুটি বস্তা ভর্তি আধার কার্ডগুলি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে এলাকাবাসীর উদ্দেশে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে, কেউ আধার কার্ড পেলে, তা যেন প্রশাসন কিংবা থানায় জমা দেয়। কে বা কারা আধার কার্ডগুলি রাতের অন্ধকারে জলে ফেলে রেখে গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে এলাকাবাসীরা জানান, আধার কার্ডে যে ছবি রয়েছে তা অপরিচিত। তাদের কেউ চেনে না। লক্ষ্মণ মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমার এখানে জমি রয়েছে। আজ সকালে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। তারা তিনটে বস্তা দেখতে পান। একটি বস্তা বিল থেকে বের করে আনেন। বাকি দুটি বের করতে পারেননি। কার্ডগুলো দেখেছি। কার্ডে আমাদের এখানকার কারও নাম লেখা নেই।”

    ভোটার কার্ডের পাহাড়

    অন্যদিকে, সরকারি অফিসের এত কাছেই এত সংখ্যক ভোটার কার্ড ঝোপ থেকে উদ্ধার হওয়াও প্রশ্ন তৈরি করেছে। প্রশ্ন উঠছে, এল কোথা থেকে? এগুলো কি ভুলবশত ফেলা হয়েছে, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও অন্য রহস্য রয়েছে এর পিছনে।সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিডিও অফিস চত্বরের ঝোপের মধ্যে যে সকল ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে, এপিক নম্বর একেবারেই বৈধ। এপিক কার্ডে থাকা নাম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাচ্ছে। এই রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে রয়েছে খুনের মামলাও। এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই রাজগঞ্জেই এই ঘটনা, স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন জাগাচ্ছে। কী উদ্দেশ্যে এত শয়ে শয়ে বৈধ ভোটার কার্ড ফেলে দেওয়া হল, তা সবথেকে বড় প্রশ্ন। ব্লকের এক কর্মী বললেন, “আসলে অফিস পরিস্কার করা হয়েছে। অনেক পুরনোকাগজপত্র ফেলা হয়েছে।” অর্থাৎ এই ভোটারকার্ডগুলোকে পুরনো কাগজপত্র বলেই উড়িয়ে দিলেন তিনি।

    এসআইআর শুরু হতেই অবৈধ কার্ড

    বিজেপি তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, আধার কার্ডগুলি অবৈধ। আর এসআইআর শুরু হতেই এই অবৈধ আধার কার্ড নষ্ট করতেই ফেলে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা পরিমল মিস্ত্রি বলেন, “হয়তো এগুলো ভুয়ো আধার কার্ড। কী জন্য বস্তাভর্তি আধার কার্ড ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা তদন্তে করে দেখা দরকার। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।” রাজগঞ্জের ঘটনা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “রাজগঞ্জের ওই বিডিও হয়েছেন চুরির নম্বরে। যেখানে গিয়েছেন, সেখানেই সমস্যা তৈরি করেছেন। ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন।”

  • Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কনভয়ে হামলা চালাল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুধবার নদিয়ায় পরপর কর্মসূচি ছিল সুকান্তর। সেখান থেকে ফেরার সময়ই এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার পিছনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর দাবি, এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের এক শ্রেণির মানুষকে উস্কে দিয়েছেন। যার ফলেই এই ধরনের হামলা হচ্ছে।

    আহত বিজেপি কর্মী হাসপাতালে

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের সরকার পাড়ায় বিজেপি-র একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সুকান্তর কনভয়ে থাকা একাধিক গাড়ি পিছিয়ে পড়ে ভুল রাস্তায় চলে যায়। তারপর নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি ঘোরানোর সময় হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের দফতর থেকে অনেকে সুকান্তর কনভয়ে থাকা গাড়িতে হামলা চালায়। তারা কনভয়কে বাধা দেয়, গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। হামলাকারীদের হাতে লাঠি ছিল বলেও অভিযোগ। দলীয় কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পেয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুকান্ত। তাঁর সঙ্গেই বিজেপি-র অনেক নেতা-কর্মীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।

    সুরক্ষার জন্য ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা!

    প্রথমে নদিয়ার তাহেরপুরে একটি কর্মসূচি ছিল সুকান্ত মজুমদারের। পরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিপেটা করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত। এরপর পৌঁছন নবদ্বীপে। বর্তমানে সেখানে রাশ উৎসব চলছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সুকান্ত নবদ্বীপে গিয়ে রাস উপলক্ষে শ্যামা মায়ের পুজো দেন এবং বিজেপির একটি বুক স্টলের উদ্বোধন করেন। ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। এদিন কনভয়ে থাকা গাড়িতে এবং দলীয় কর্মীদের উপর হামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে সুকান্ত বলেছেন, “আমার দুই কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, রক্তের হিসেব আমরা বুঝে নেব। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে, বিজেপি নিজেরাই ব্যবস্থা নিতে জানে। সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আবার আমরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি করব। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আমরা লড়ব। বার বার যদি আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়, তা হলে এ বার থেকে ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডাও রাখতে হবে নিজেদের সুরক্ষার জন্য।”

    এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে

    কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে হামলা হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খগেন মুর্মু। সেই ঘটনার পর এবার হামলার শিকার সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এটা নিত্যদিনের কাজ হয়ে গিয়েছে। আইনের শাসন নেই। নেতাদের এই অবস্থা হলে কর্মীদের কী হবে! কেন্দ্রীয় সরকারের এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার পিছনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপি।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার নদিয়া জেলার নবদ্বীপে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের একাধিক গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় বিজেপি নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপর্ণা নন্দী এবং নাদিয়া দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস আহত হয়েছেন। অর্জুন বিশ্বাস, শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মীরা গুরুতর জখম হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ‘অ্যান্টি-এসআইআর’ রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় সমাজের একাংশকে উস্কে দিয়েছিলেন। এসআইআর প্রক্রিয়াকে এনআরসি বলে আখ্যা দিয়ে তিনি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “যে এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেই জেলার পুলিশ সুপার হলেন ‘কুখ্যাত আধিকারিক’ অমরনাথ কে., যিনি প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত প্রিভিলেজ কমিটির তলবেও হাজিরা দেননি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে আতঙ্কে রয়েছে। তাঁদের এই প্রতিক্রিয়াই শেষ পর্যন্ত বাংলায় তাদের বিদায়ের পথ আরও মসৃণ করবে।”

LinkedIn
Share