Tag: TMC INNER CLASH

TMC INNER CLASH

  • Panihati: পানিহাটির অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Panihati: পানিহাটির অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন দমদম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। পানীয় জলের সঙ্কটের জন্য তৃণমূল পরিচালিত পুর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছিলেন বাসিন্দারা। এবার সেই বোর্ডেরই পুরপ্রধান পানিহাটি (Panihati) পুরসভার সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন। ভোটের আগে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    পানিহাটি অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন চেয়ারম্যান (Panihati)

    পানিহাটি (Panihati) পুরসভায় ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩৫টি। গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ বোর্ড মিটিং। পানীয় জল, জঞ্জাল, বিদ্যুৎ, নিকাশি নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। তার ওপর ঠিকাদারদের প্রায় ১৫ কোটি টাকার মতো বকেয়া থাকায় তারাও কোনও কাজে হাত দিচ্ছেন না। ফলে, থমকে উন্নয়নের কাজ। একপ্রকার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পানিহাটি জুড়ে। এই অবস্থার মধ্যে চেয়ারম্যানকে সরানোর জন্য কাউন্সিলরদের একটা অংশ সরব হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুরবোর্ড ক্ষমতায় থাকার পরও কোনও কাজ হচ্ছে না। আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে শহর। পানীয় জলের সঙ্কট তো রয়েছে। এই অবস্থা কাটিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক আমরা চাই। অন্যদিকে,পানিহাটি (Panihati) পুরসভার সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল নেতার নির্দেশে বাড়িতে মজুত বোমা তৈরির মশলা-আগ্নেয়াস্ত্র”, জানালো ধৃত দুষ্কৃতী

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    মানুষের ক্ষোভ যখন দিনে দিনে বাড়ছে তখন পুরপ্রধানের চেয়ারে বসে পানিহাটির (Panihati) সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন পুরপ্রধান মলয় রায়। তিনি বললেন, ঠিকাদারদের যে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে বলা হচ্ছে সেই কাজ হয়েছে ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ওই কাজ করা হয়েছিল। যার বেশিরভাগই হয়েছিল কোনওরকম টেন্ডার, ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া। স্বপক্ষে কাগজপত্রও ঠিকঠাক নেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে বিপুল পরিমাণ ওই টাকার কাজ কিভাবে হলো? যদিও তা নিয়ে খোলসা না করলেও পুরো প্রক্রিয়াটার পিছনে কারোর না কারোর মদত ছিল বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান। তিনি বলেন, ‘ আমি পুরপ্রধানের চেয়ারে বসার পর থেকে সমান্তরাল প্রশাসন চালানো হচ্ছে। বোর্ড মিটিং ডাকলে কাউন্সিলরদের একটা অংশ ইচ্ছাকৃত ভাবে হাজির হচ্ছেন না। যাতে বোর্ড মিটিং না হয়। ঠিকাদাররা কাজ করতে চাইছেন না।

    পানিহাটির বিধায়ক কী বললেন?

    পানিহাটির (Panihati) বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘ প্রথমত আমি পুরসভা দেখিনা। তার ওপর চেয়ারম্যান তো অসুস্থ।আর সেকারণে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব তাকে পদত্যাগ করতে বললেও তিনি করেননি। তবে আমি নির্বাচনের মুখে মুখ খুলতে চাইনা। কাউকে চটাতেও চাইনা। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব পুরপ্রধানের। উনি যদি নিজের ব্যর্থতাকে তদন্ত দিয়ে ঢাকতে চান করবেন’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “পঞ্চায়েতে ঢুকে আমাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালালো দলেরই লোকজন”, বললেন তৃণমূলের প্রধান

    Howrah: “পঞ্চায়েতে ঢুকে আমাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালালো দলেরই লোকজন”, বললেন তৃণমূলের প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে প্রকাশ্যেই চলল গুলি। রাস্তা বা কোনও তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে নয়। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই চলল গুলি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়ায় তিন নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে।  ফলে, এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নামানো হয়েছে র‍্যাফ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ তিনজন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে ওই পঞ্চায়েত (Howrah) অফিসের মধ্যে ঢোকে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই গুলি চালায় তারা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চলেছে স্থানীয়দের দাবি। প্রাণ বাঁচাতে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়েন টুকটুকি। হামলাকারীরাও তৃণমূলের কর্মী। সরাসরি গুলি না লাগলেও এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বাবা-সহ মোট দু’জন জখম হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দখলে থাকা ওই পঞ্চায়েতের প্রধান এবং প্রাক্তন এক সদস্যের মধ্যে ঝামেলার জেরেই গুলি চলেছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাজিদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ‘এক ফোনে দিদিভাই’ কর্মসূচি চালু করলেন অগ্নিমিত্রা, ট্রেনে জনসংযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    তৃণমূলের লোকই গুলি চালিয়েছে দাবি প্রধানের

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখ বলেন, “আমরা অফিসের মধ্যে বসেছিলাম। আমি সই করছিলাম। তিন জন ঢোকে। আমার কথা জিজ্ঞাসা করে। তার পরেই পকেট থেকে বন্দুক বার করে গুলি চালাতে শুরু করে। আমার বাবা, কাকার গায়ে গুলি লেগেছে। আমাকেও টার্গেট করা হয়। আমি প্রাণ বাঁচাতে টেবিলের তলায় ঢুকে পড়ি। একটা বন্দুক কেড়ে নিয়েছি। প্রাক্তন সদস্য শেখ সাজিদই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ওর লোকেরাই গুলি চালিয়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: “দেখে না দল, ১০ টাকা দিয়ে সাহায্যও করেনি”, সুব্রত বক্সির সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

    Arambagh: “দেখে না দল, ১০ টাকা দিয়ে সাহায্যও করেনি”, সুব্রত বক্সির সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে দলের নেতা কর্মীরা সরব হয়েছিলেন। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। প্রার্থী বদল করে আরামবাগে (Arambagh) তৃণমূল আসন ধরে রাখার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে।  প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আঁচ মিটতে না মিটতেই তৃণমূলের আসল চেহারা ফের প্রকাশ্যে চলে এল। দলেরই কর্মীরা তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দল করে ঘরছাড়া হতে হয়েছে। স্বজনহারা হতে হয়েছে। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও মেলেনি কিছুই। আর তাতেই ক্ষোভ ফুঁসছেন তৃণমূলের শহিদ পরিবারের সদস্যরা। আর তৃণমূলের শীর্ষনেতা সুব্রত বক্সির সামনেই তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলের শহিদ পরিবার। আর ভোটের মুখে এই ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল।

    সুব্রত বক্সির সামনেই বিক্ষোভ (Arambagh)

    শনিবার আরামবাগে (Arambagh) এসেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ ও তৃণমূলের শীর্ষনেতা সুব্রত বক্সি। আর তাঁকে দেখে দরজার বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গোঘাটের ছয় শহিদ পরিবারের লোকজন। ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি করেন তাঁরা। অভিযোগ, তাঁদের কথা কেউ শোনেননি। তাঁদের ভিতরেও যেতে দেওয়া হয়নি। প্রতিশ্রুতি মতো এই ছয় পরিবারের কাউকেই চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অথচ তাঁদের বলা হয়েছে চাকরি হয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভরত এক ব্যক্তি বলেন, “২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছে। ২০২৪ সাল হয়ে গেল দল দেখে না। আমাদের ১০টাকা দিয়েও দল সাহায্য করেনি। আমরা কী অপরাধ করেছি।” তবে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “শহিদ পরিবারগুলির সঙ্গে সুব্রত বক্সি কথা বলেছেন। তাই তিনি বলার পর আমি আর কিছু বলব না।”

    আরও পড়ুন: সৌগতর সমর্থনে শহর তৃণমূলের মিছিল, গরহাজির প্রার্থী, বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বস্তুত, সালটা ২০০৬। অভিযোগ, তৎকালীন বাম আমলে সিপিএমের দ্বারা অত্যাচারিত হয়, এই ছয় পরিবারের লোকজন। দল করতে গিয়ে শহিদ হয়েছে। বিগত বারো বছর ধরে ঘর ছাড়া ছিলেন তাঁরা। বার বার তৃণমূলের ওপরমহলে গিয়েও কোনও সুবিচার পাননি বলে দাবি ওই সকল পরিবারগুলির। শনিবার দুপুরে আরামবাগের (Arambagh) রবীন্দ্র ভবনে পৌঁছন সুব্রত বক্সি। এরপরই এই ছয় পরিবারের লোকজন সোজা হাজির হয়ে যান। কিন্তু, তাঁদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। কেউ কোনও কথা শুনতে চাননি। এরপরই তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khardah: সৌগতর সমর্থনে শহর তৃণমূলের মিছিল, গরহাজির প্রার্থী, বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Khardah: সৌগতর সমর্থনে শহর তৃণমূলের মিছিল, গরহাজির প্রার্থী, বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমদম লোকসভার খড়দায় (Khardah) শাসক দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শহর তৃণমূলের সভাপতির ডাকা মিছিলে গরহাজির পুরসভার চেয়ারম্যান সহ একাধিক কাউন্সিলর। ফলে, ভোট যত এগিয়ে আসছে তত বেআব্রু হচ্ছে খড়দায় শাসক দলের কোন্দল। পরিস্থিতি এমন যে রীতিমতো আড়াআড়ি বিভাজন হয়ে গিয়েছে তৃণমূল।

    তৃণমূলের মিছিলে নেই বিধায়ক, চেয়ারম্যান ও একাধিক কাউন্সিলর (Khardah)

    গত ১ মার্চ খড়দা (Khardah) রবীন্দ্রভবনে নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের আহ্বানে দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে কর্মী সভায় অনুপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল খড়দা পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর সহ ব্লক স্তরের অনেক নেতাকে। সেই কাউন্সিলরদেরই একাংশ খড়দা শহর তৃণমূলের ব্যানারে রহড়া মন্দিরপাড়া থেকে মাঠ রাস্তা মোড় পর্যন্ত সৌগত রায়ের সমর্থনে মিছিল করলেন। যদিও এদিনের মিছিলে মন্ত্রী কিংবা তাঁর গোষ্ঠীর কেউ, পুরসভার পুরপ্রধান থেকে গোটা আটেক কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন।  রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এদিনের মিছিল ছিল পাল্টা শক্তি প্রদর্শন। মিছিলের সামনের সারিতে শহর তৃণমূল সভাপতি ও কাউন্সিলর সুকণ্ঠ বণিক, উপ পুরপ্রধান সায়ন মজুমদার সহ কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি গেল সিবিআই টিম, কথা বললেন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে

    পাল্টা মিছিলের ডাক তৃণমূল বিধায়কের

    মন্ত্রীর ডাকা কর্মী সভায় সৌগত রায় উপস্থিত থাকলেও এদিনের মিছিলে সৌগত রায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। যদিও আয়োজকদের দাবি, হঠাৎ করেই মিছিল ঠিক হওয়ায় সৌগত রায়ের অন্য জায়গায় প্রচার কর্মসূচি থাকায় তিনি আসতে পারেননি। এতে অবশ্য তারা দোষের কিছু দেখছেন না। এদিকে জানা গিয়েছে, এদিনের মিছিলের পাল্টা হিসেবে আগামী রবিবার মন্ত্রীর গোষ্ঠীর লোকজন মন্ত্রী এবং তাদের প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে মোড়লপাড়া থেকে খড়দা স্টেশন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে। তবে, খড়দা দ্বন্দ্ব যে সহজেই মিটবে না, তা শোভনদেব এবং সৌগত রায়ের কথাতেই স্পষ্ট হওয়া গিয়েছে। শোভনদেব বলেন, “মিছিল সম্পর্কে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। গোষ্ঠী থাকতে পারে, দ্বন্দ্ব তো করছি না। আমি কোনও কর্মসূচি করলে একজনকে বাদ দিয়ে সবাইকেই বলি।”  কিন্তু সেই একজন কে, তা খোলসা করেননি মন্ত্রী। আবার সৌগত রায় বলেন, “যারা আলাদা মিছিল করেছেন, তারাও দলের অনুগত সৈনিক। আমি বিশ্বাস করি তারা এমন কিছু করবেন না যাতে দলের ক্ষতি হয়।”

    প্রার্থী আসেননি বলে বিধায়ককে জানানো হয়নি

    খড়দহ শহর তৃণমূলের সভাপতি সুকণ্ঠ বণিক বলেন, “মন্ত্রী প্রচণ্ড ব্যস্ত মানুষ। যেহেতু এদিন প্রার্থী সময় দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন, তাই ওনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রার্থী এলে অবশ্যই বলতাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “দলটা করতে দেবে না ব্লক সভাপতি”, বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: “দলটা করতে দেবে না ব্লক সভাপতি”, বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ব্লক সভাপতির নেতৃত্বের হামলার ঘটনা ঘটেছে। দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার বদুয়া এলাকায় গ্রাম্য বিবাদের জেরে অশান্তি বাধে। বিষয়টি জানার পরই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদ এলাকায় আসেন। পরে, বৈঠক করে সমস্যার সমাধান করা হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার তৃণমূল নেতা কামাল হোসনের পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা হয়। কামাল হোসেন বলেন, গ্রামের গন্ডগোলে পরিবারের কেউ জড়িত নয়। তারপরও ওরা আমাদের ওপর হামলা চালাল। বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। শনিবার সকালে আমার এক আত্মীয় বাজারে গেলে প্রকাশ্যে তাঁকে মারধর করা হয়। ও গুরুতর জখম হয়েছে। প্রথমে কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসলে ব্লক সভাপতি আমাদের তৃণমূল দলটা করতে দেবে না। কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত করে এসব করা হচ্ছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। জেলা সভাপতিকেও বলেছি। এই ধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না। এতে এলাকায় দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    ব্লক সভাপতি কী সাফাই দিলেন?

    বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর চক্রের সভাপতি গোলাম মুর্শেদ বলেন, গ্রাম্য বিবাদের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরসঙ্গে অন্য কোনও কারণ নেই। আর ও তৃণমূলের কোনও পদে নেই। কংগ্রেসের সঙ্গে কে রয়েছে তা এলাকার মানুষ জানে। অকারণে আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলে কোনও লাভ নেই। আর দলে কোনও কোন্দল নেই। সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

    BJP: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুরে সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandopadhyay) । আর অভিষেক এলাকা ছাড়তেই সন্ধ্যা বেলায় তৃণমূলে বড় ভাঙ্গন ধরাল বিজেপি (BJP)। উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ির (Dhupguri) অন্তর্গত মাগুরমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইশচালা গ্রামে তৃণমূলের (TMC) শতাধিক কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন। যারা যোগদান করেছেন তাদের মধ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান বুথ সভাপতিও রয়েছেন। 

    অভিষেক চলে যেতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান (BJP)

    লোকসভা ভোটের মুখে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছে বিজেপি (bjp)। কারণ, শাসকদলের ঘরে সিঁধ কেটে তারা নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ধুপগুড়ির দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা শেষ করে এলাকা ছাড়তেই তৃণমূলের কর্মীরা ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখালেন। শুক্রবার রাতে বিজেপির ঘরোয়া বৈঠকে তারা পুরনো দল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে নেন। বিজেপির ওই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন জলপাইগুড়ির বিদায়ী সংসদ তথা এবারেরও বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায়। তাঁর হাত ধরেই কর্মীরা বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা আর করা যায় না। দুর্নীতিগ্রস্তরা সামনের সারিতে রয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে যোগ! কেন বারবার ভিন রাজ্যের জঙ্গিরা বাংলাতেই আশ্রয় নেয়?

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ জানান, “তৃণমূল থেকে চলে আসা নেতাদের সঙ্গে তাঁদের অনুগামী প্রায় দেড়শো পরিবার বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে আগামী শুক্রবার। একেবারে প্রথম দফাতেই ভোট জলপাইগুড়িতে। হাতে বাকি আর এক সপ্তাহেরও কম। ঠিক সেই সময়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান লোকসভা ভোটের ময়দানে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন দেখার। তবে এই যোগদানের প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক শিবিরের থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়লেন জেলা সম্পাদক

    Basirhat: বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূলে ভাঙন! দল ছাড়লেন জেলা সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ জানিয়ে দল ছাড়লেন বসিরহাটের (Basirhat) এক তৃণমূল নেতা। নাম ভাস্কর মিত্র। তিনি আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) জেলা সম্পাদক ছিলেন। তিনি শুক্রবার দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। তিনি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন।

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় পোস্ট

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় ওই নেতা অভিযোগ জানিয়ে লেখেন, দলের বেশ কয়েকটি শাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও আইএনটিটিউসিকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ঠিক সেই কারণেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংগঠনের কোনও কার্যক্রম হচ্ছে না। অন্যদিকে বিজেপি (BJP) সহ অন্যান্য দলগুলি শ্রমিক সংগঠনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। কিন্তু তাঁর নিজের বলে এই সংগঠন নাম কা ওয়াস্তে রেখে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভাস্কর বাবুর। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মানতে নারাজ ওই নেতা। তিনি আরও লিখেছেন, “শ্রমিকরা আজ দিশেহারা। বছরে একটা মিছিল করা ছাড়া দলের তরফে আর কোন বার্তা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছয় না। এরকম সংগঠনের সঙ্গী হয়ে কোন লাভ নেই।” যদিও একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন দলকে ভালবাসলে কোন পদের (Basirhat) প্রয়োজন হয় না।

    দলে গুরুত্ব নেই 

    দল ছাড়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন, “বিজেপির প্রোগ্রামে টোটো, অটো, বাস ইউনিয়নের কর্মীরা ফ্ল্যাগ বেঁধে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনো লাভ হয় না। তাই শ্রমিক সংগঠনের পদে থাকার কোন মানে দাঁড়ায় না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে শ্রমিকদের কোনও সমন্বয় সাধন নেই। তাই আমি পদ ছেড়েছি।” বিজেপির দাবি, প্রত্যেক শ্রমিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে। যদিও তৃণমূল টোটো, অটো ও বাস সংগঠন সঙ্গে যুক্ত সকল শ্রমিকদের ভয় দেখিয়ে রাখে। তবে এটা ঠিক যে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে (Basirhat) কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না শুধু টাকা তোলার সময় নেতারা আছেন। শ্রমিকদের কথা ভাবার জন্য তারা কেউ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: জাকিরের নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিল বাইরন, ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন তৃণমূল জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। আর এ নিয়েই বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের অনুগামীদের সঙ্গে শুরু হয় তৃণমূলের একাংশের কোন্দল। এই দ্বন্দ্বের মাঝেই জাকিরের তৈরি করা নির্বাচনী কমিটি ভেঙে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন বাইরন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    জোর করে বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না (Murshidabad)

    তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক জাকির হোসেনের সঙ্গে সাগরদিঘির বিধায়কের লড়াই দীর্ঘ দিনের। বস্তুত, বিড়ি ব্যবসায় দু’জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক ময়দানেও। নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সাগরদিঘি বিধানসভায় আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন জাকির। সেই কমিটি ভেঙে দেন বিধায়ক বাইরন। এই প্রসঙ্গে বাইরন বলেন, “সাগরদিঘিতে নির্বাচন পরিচালনার জন্য পৃথক কমিটি, কনভেনার, পর্যবেক্ষকের পদ তৈরি করে নির্বাচনী প্রচার চালানোর কথা বলা হচ্ছে। তবে জেলার অন্য বিধানসভার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা খলিলুর রহমানের হয়ে ‘খাটবেন’, তাঁদের নিয়ে কমিটি তৈরি করব। জোর করে বাইরে থেকে কেউ কিছু চাপিয়ে দেওয়া কমিটি মানব না।” জাকিরের নাম না করে তিনি আরও বলেন, “জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অন্য এক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জোর করে কোনও কমিটি তৈরি করে দেবে, আর আমরা বসে বসে দেখব, এটা হতে পারে না। পাশাপাশি তৃণমূলের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী খলিলুর রহমানকে সর্বাধিক ভোটে জয়যুক্ত করব।”

    আরও পড়ুন: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    জাকির কী সাফাই দিলেন?

    বাইরনের নির্বাচন কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভালোভাবে মেনে নেননি জাকির। তিনি বলেন, “আমি একক সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও কমিটি করিনি। দল যেটা অনুমোদন করেছে, সেটাই হয়েছে। কে মানবে, কে মানবে না সেটা দল দেখবে।”

    কটাক্ষ করেছে বিজেপি

    বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, “ভাগের বখরা নিয়ে টানাটানি হলে তৃণমূলের মধ্যে একটু গুঁতোগুঁতি হয়, এটা আমরা সব জায়গাতেই দেখছি। সাগরদিঘিও তার ব্যতিক্রম নয়। তৃণমূলের ওপর মানুষের আস্থা নেই। কয়েকদিন আগে অনুন্নয়ন নিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে ঘেরাওয়ের ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Krishnanagar: প্রার্থীর সামনেই সম্মুখসমরে দুই গোষ্ঠী, চাপে মহুয়া

    Krishnanagar: প্রার্থীর সামনেই সম্মুখসমরে দুই গোষ্ঠী, চাপে মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহুয়া মৈত্রর (Mahua moitra) নির্বাচনী প্রচারে ভরদুপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল নেতা (TMC) জেবের শেখের নামে গো ব্যাক স্লোগান দিল তৃণমূল কর্মীরা। এদিন কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) লোকসভা কেন্দ্রের চাপড়া (Chapra)  থানার হাতিশালা (hatishala) জিদা এলাকায় চলছিল মহুয়া মৈত্রের নির্বাচনী প্রচার(Election campaign)। এরপরই তাঁর গাড়িতে দেখা যায় জেবের শেখকে। জেবের শেখ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করলেও ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে লড়াই করেছিলেন। জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়া নির্দল (Independent) জেবের শেখকে মহুয়া মৈত্র জেলা সভাপতি হওয়ার পর পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘দলের কোনও দিশা নেই, সনাতন ধর্ম বিরোধী’, ইস্তফা দিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভ

    তৃণমূল কর্মীকে হুমকি মহুয়ার

    এদিন মহুয়া মৈত্রের পাশে তাঁকে দেখতে পেয়েই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা যায়, গাড়ি থেকে জেবের শেখকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই জেবের শেখের নামে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে তারা। যদিও ক্ষুব্ধ কর্মীদের থামাতে দেখা যায় মহুয়া মৈত্রকে। কর্মীদের থামানোর সময় মহুয়াকে ধমক দিতে দেখা যায়। সেই সময়কার ঘটনা ক্যামেরাবন্দী করছিলেন এক তৃণমূল কর্মী। মহুয়া তাঁকে হুমকির সুরে বলেন, “ক্যামেরা বন্ধ কর। ছবি ডিলিট কর। নাহলে আমার কাছে খাবে এক।”

    সাংবাদিকদের  ‘দু-পয়সার’ বলেছিলেন মহুয়া 

    মহুয়া মৈত্রর উগ্র মেজাজের কথা সকলেরই জানা। ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডের তদন্তচলাকীন তদন্তকারীদের মেজাজ হারিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন তিনি। পরে দোষী সাব্যবস্ত হয়ে তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন।  সাংবাদিকদের  ‘দু-পয়সার’ মন্তব্য করে নিন্দা কুড়িয়েছিলেন তিনি। এবার তার এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে নিজেদের দলের নেতাকেই তাড়ানো এবং ধমকের ঘটনায় তৃণমূলের নড়বড়ে সংগঠনের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এল। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আধিকারিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচার করব না’, ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানালেন হুমায়ুন

    Murshidabad: ‘ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচার করব না’, ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানালেন হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে প্রথমদিন থেকে মেনে নিতে পারেননি ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বিদ্রোহ সামাল দিতেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফিরহাদ হাকিম তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু, তাতে বরফ গলেনি। বহরমপুরের প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিলমোহর দিয়েছেন। সেই শীর্ষ নেতৃত্বকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে হুমায়ুন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউসুফের হয়ে তিনি প্রচার করবেন না। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বড় সংসারে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকে। আলোচনায় সবটা মিটে গেছে। দলের হয়ে সবাই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে।”

    ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকেও কাটল না জট (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তিনটি লোকসভা আসনে তৃণমূলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সাংগঠনিক নেতৃত্ব, বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। স্বাভাবিকভাবে তাতে আমন্ত্রিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ এবং ভরতপুরে বিধায়ক হুমায়ুন। বহরমপুরের প্রার্থী পছন্দ-না হওয়ায় প্রথমে ওই দু’জনই দলের লোকসভা প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে প্রস্তুতি বৈঠক থেকে মুর্শিদাবাদের তাঁদের নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “যারা এখন বিদ্রোহ করছেন, তাঁরা যেন এটা ভুলে না-যান ২০২৬ সালে তাঁদেরও ভোট আছে।” সাংগঠনিক বৈঠক শেষে দলের জেলা চেয়ারম্যান নিয়ামত শেখ এবং বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে একটি বেসরকারি হোটেলে একান্তে বৈঠকও করেন ফিরহাদ। কিন্তু, সেই বৈঠক শেষেও দেখা গেল নিজেদের অবস্থানে অনড় দুই তৃণমূল বিধায়ক। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে কোনও ভাবেই তাঁরা মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন দু’জন।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলে মোহভঙ্গ,ভোটের মুখে একঝাঁক ছাত্র-যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, “রাগ-অভিমান কারও ওপর করিনি। তাই সেটা ভঞ্জন হওয়ারও কারণ নেই। আমার কাছে অনেক ‘অফার’ রয়েছে। তবে অন্য কোনও দলে আমি যাব না। এই দলেই থাকব এবং এই দলেরই অন্যায় দেখলে, ভুল দেখলে প্রতিবাদ করব। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর হয়ে আমি কখনও প্রচার করব না। অন্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার করব, না কি নিজের জন্যই প্রচার করব, সেটা সময় বলবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share