Tag: TMC INNER CLASH

TMC INNER CLASH

  • Durgapur: শিল্পতালুকে কাজ চেয়ে আক্রান্ত স্থানীয়রা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Durgapur: শিল্পতালুকে কাজ চেয়ে আক্রান্ত স্থানীয়রা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রমিক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুরের (Durgapur) পানাগড় শিল্প তালুকের  রাষ্ট্রায়ত্ব তেল সংস্থার বটলিং প্লান্ট চত্বর। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল ব্লক নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে বুদবুদ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে, স্থানীয়দের বাধায় কাজ করতে বাধা পান ঠিকাদার সংস্থা। স্থানীয়রা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। আর ঠিকাদারের হয়ে ব্লক নেতৃত্ব দালালি করতে আসে বলে অভিযোগ। তারা হামলা চালায়। ফলে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) পানাগড় শিল্পতালুকে বটলিং প্লান্টে নতুন ঠিকাদার সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে। বুধবার বহিরাগত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে কারখানার সামনে জড়ো হন। তাঁরা বহিরাগতদের কার্যত ঢুকতে বাধা দেন। এরপরই ঠিকাদারের হয়ে দাঁড়ান তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। ব্লক নেতৃত্বে পক্ষ থেকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় চারজন জখম হন। স্থানীয়দের বক্তব্য, কারখানায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে কাজ করাচ্ছে ঠিকাদার। আমরা সবাই তৃণমূল করি। অথচ আমাদের কাজ না দিয়ে বাইরের লোকজনকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এটা আমরা মেনে নেব না। তাই, আমরা বাধা দিতে গেলে ওরা হামলা চালায়। আসলে ঠিকাদারের হয়ে তৃণমূলের একাংশ দালালি করতে এসেছে। ওরা হামলা চালিয়েছে।

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা জগবন্ধু বাউরি বলেন, নিয়ম মেনে ঠিকাদার কাজের বরাদ পেয়েছেন। তিনি কাজ করতে এলে কিছু মানুষ তাদের বাধা দেয়। আর বহিরাগতদের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সামান্য উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে, তা মিটে গিয়েছে। আমরা চাই, যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন, তিনি যাতে সুষ্ঠভাবে কাজ করতে পারেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা রমণ শর্মা বলেন, শিল্পতালুকে গোষ্ঠী কোন্দলে নতুন নয়। আর টাকার বিনিময়ে কারখানায় নিজের লোক ঢোকানো হয়। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এবার সেই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের কোন্দলের জেরে প্লান্টের কাজ না বন্ধ হয়ে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ফের কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব, মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, নিন্দার ঝড়

    Birbhum: ফের কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব, মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে বীরভূমে (Birbhum)। কেষ্টর অনুগামীরা চাঙা হয়ে ওঠেন। জেলার কোর কমিটি থেকে বাদ দিয়ে কেষ্ট বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত কাজল সেখের ডানা ছাঁটা হয়। কিন্তু তারপরও শিক্ষা হয়নি! ফের অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় কাজল শেখের অনুগামীরা। সূত্রের খবর, হাতাহাতিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নানুরের থুপসারা অঞ্চলের ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কেন হামলা? (Birbhum)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে (Birbhum) কাজল-কেষ্ট বিবাদ নতুন নয়। মুকুল শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী কেষ্ট অনুগামী হিসেবে পরিচিত। কাজল শেখের অনুগামীদের সঙ্গে তিনি মেলামেশাও করেন না। কাজলের হয়ে তিনি কেন কাজ করেন না, এটাই তাঁর অপরাধ। আর সেই জন্যই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। কাজল অনুগামীদের হামলায় আহত হয়েছেন মুকুল শেখ। তিনি আবার থুপসরা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী সরিনা বিবিকেও বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হয়েছে। হামলার জেরে ফেটেছে মাথা। হাতও ভেঙে গিয়েছে সরিনা বিবির। ছাড় পায়নি তাঁদের দুই মেয়ে। সব থেকে নির্মম ঘটনা হচ্ছে, তৃণমূল কর্মীর দুই মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কাজল অনুগামীরা তাদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী চরম আতঙ্কিত। তারা ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণের নিন্দা করেছেন সকলে। থুপসারা অঞ্চলের যুব নেতা সেখ আজাহার, থুপসারা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জামরুল শেখ ও তৃণমূল নেতা আলম শেখের নেতৃত্বে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। আহতের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় নানুর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কাজল শেখ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূলের দ্বন্দ্বে তালাবন্ধ উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এক বছর পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের

    Durgapur: তৃণমূলের দ্বন্দ্বে তালাবন্ধ উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এক বছর পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার দখলে থাকবে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তাই নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। আর ওই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ঘ এক বছর ধরে তালাবন্ধ উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তার জেরে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছিলেন প্রসূতি ও যক্ষারোগীরা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তালা ভাঙতে দৌড়তে হল বিডিওতে। এমনই নজিরবিহীন ঘটনাে ঘটেছে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার বুদবুদের দেবশালা অঞ্চলের পশ্চিম চণ্ডীপুরে।

    তৃণমূলের কোন্দলে তালা ঝুলেছিল উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে! (Durgapur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে আউশগ্রাম জঙ্গলমহলবাসীর সুবিধার্থে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার বুদবুদের দেবশালার কাঁকোড়ায় পশ্চিম চণ্ডীপুরে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। সেখানে দেবশালা অঞ্চলের কাঁকোড়া, কলমডাঙা, সহ ১০ টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেতেন। মূলত প্রসূতি, বয়স্ক ও যক্ষা রোগীরা বেশী উপকৃত হতেন। গত ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এলাকাটি জঙ্গলমহল। অনগ্রসর সম্প্রদায়ের বসবাস। সরকারি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির একাংশ দখল করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ক্লাবঘর করতে চেয়েছিল। তাই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে তালা ঝুলে যায়। অভিযোগ, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়েছিল। বিবাদের জেরে শেষ পর্যন্ত তালা ঝুলে যায় উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তার জেরে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ। বিপাকে পড়েন গর্ভবতী মা’য়েরা ও যক্ষা রোগীরা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার আউশগ্রাম-২ বিডিও চিন্ময় দাস বুদবুদ থানার পুলিশকে নিয়ে দেবশালা অঞ্চলের পশ্চিম চন্ডিপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে  আসেন। তালা ভেঙে দেওয়া হয়।

    স্বাস্থ্যকর্মী কী বললেন?

    পশ্চিম চন্ডিপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী সোমা ঘোষ জানান, খুব অসুবিধে হচ্ছিল। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা সমস্যায় পড়ছিলেন। নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। যক্ষা রোগীদের জামতাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওষুধের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ফের পরিষেবা চালু হল।

    উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল কংগ্রেসের আউশগ্রাম-২ ব্লক সভাপতি আব্দুল লালন বলেন, “দল কখনই এধরনের কাজে মদত দেয় না। যারা তালা ঝুলিয়েছিল, তারা সমাজবিরোধী।” বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার ওবিসি মোর্চার সহ সভাপতি সৌমেন পাত্র বলেন,” তৃণমূলের কোন্দলের জন্য ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। এটা অমানবিক, বেদনাদায়ক ঘটনা। আশ্চর্যের বিষয়, বহু আবেদনের পর বন্ধ তালা ভাঙতে পুলিশ-প্রশাসনের এক বছর সময় লাগল। শাসকদলের কাছে কত’টা অসহায় পুলিশ ও প্রশাসন, এটা তারই প্রমাণ।”

    এবার তালা মারলে কড়া ব্যবস্থা

    আউশগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের বিডিও চিন্ময় দাস বলেন, “কে বা কারা তালা ঝুলিয়েছিল, পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। এরপর যদি কেউ তালা মারে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, তাহলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদাধিকার অনুযায়ী কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের এক সময়ের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কাঁচরাপাড়া পুরসভা। অথচ তিনি সেই পুরসভাতেই আর যান না। কার্যত কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে মুকুলপুত্রকে। পুরসভায় কেন যান না, তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন তিনি নিজেই।

    ঠিক কী বলেছেন শুভ্রাংশু? (Subhranshu Roy)

    শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বলেন, আমি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। আমাকে ট্রেড লাইসেন্স, অ্যাসেসমেন্ট দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দফতরে বেশিরভাগই অনলাইনে কাজ হয়ে যায়। ফলে, পুরসভায় আমার কোনও কাজ নেই। পুরসভায় গিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে হয়। এমনকী বিল্ডিং-এর অনুমোদনের দায়িত্ব রয়েছে আমার ওপর। তবে, সেটা দোতলা পর্যন্ত। তার ওপরে বিল্ডিং হলে তার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের ওপরে রয়েছে। ফলে, এই দফতরে আমার বিশেষ কোনও কাজ নেই বললেই চলে। থাকল পড়ে বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব। তবে, এই কাজ করতে গেলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে। সেখানেও আমার কোনও স্বাধীনতা নেই। অথচ পুরসভাকে আরও অনেক ভালোভাবে চালানো যেতে পারত। অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা যেত। কিন্তু, কোনও কিছুই করা হচ্ছে না। আর পুরসভায় গিয়ে ঠুঁটো হয়ে চুপচাপ বসে থাকতে আমি রাজি নই। আমি এসবের কোনও তোয়াক্কা করি না। আর কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না। বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান হচ্ছেন কমল অধিকারী। তিনি বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ভাই।

    অর্জুনের পাশে দাঁড়িয়ে সোমনাথ-সুবোধকে তুলোধনা

    দিন দুয়েক আগে অর্জুন সিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে তুলোধনা করেছিলেন। দলের অনুমতি পেলে দুজনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানিয়েছিলেন। আর অর্জুনের বিরুদ্ধে বারবার সোমনাথ শ্যাম মুখ খোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তিনি। কারণ, সাংসদ তৃণমূলের শীর্য নেতৃত্বের কথা মতো দলে এসেছেন। যা বলার তা দলের ভিতরে বলা উচিত। সবমিলিয়ে শুভ্রাংশু রায়ের এই কোণঠাসা নিয়ে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ‘কাটমানির বিনিময়ে হচ্ছে নিয়োগ’, তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তুললেন ব্লক সভাপতি

    Durgapur: ‘কাটমানির বিনিময়ে হচ্ছে নিয়োগ’, তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তুললেন ব্লক সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয়দের কাজে নিয়োগের দাবিতে রবিবার দুর্গাপুরের (Durgapur) অন্ডাল বিমানবন্দরের প্রবেশপথের পাশে সমাবেশ করল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন। উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, কালোবরণ মণ্ডল, কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিক মণ্ডল সহ অন্যরা। সেই সভায় তৃণমূলের একাংশ কাটমানির বিনিময়ে নিয়োগ করছে বলে সরব হন ব্লক নেতৃত্ব। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কাটমানির বিনিময়ে নিয়োগ করছে তৃণমূল! (Durgapur)

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা শ্রমিক নেতা কালোবরণ মণ্ডল বলেন, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক (Durgapur) ও অন্ডাল ব্লকের একাধিক মৌজার জমি অধিগ্রহণ করেই অন্ডাল বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সেভাবে হয়নি। কর্তৃপক্ষ নিজের ইচ্ছেমতো বাইরে থেকে লোক এনে কাজে নিয়োগ করেছে। আগামী দিনে এই জিনিস আর মানা হবে না, নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে উক্ত দুটি ব্লকের বেকার যুবক, যুবতীদের নিয়োগের দাবিতে সংগঠন কাজ করবে বলে জানান কালোবরণবাবু। পাশাপাশি কালোবাবু বলেন, একশ্রেণির নেতা কাটমানির বিনিময়ে এই প্রজেক্টে বাইরে থেকে লোক এনে নিয়োগ করছেন। নিজেদের পকেট ভরছেন। মঞ্চে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের সামনে কালোবরণ মণ্ডল নাম না করেই দলের এক শ্রেণির নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি বলেন, দলের জেলা নেতৃত্বদের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন, না হলে আগামী দিনে এই বিমান বন্দর এলাকায় সামগ্রিকভাবে আন্দোলন হবে।

    শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    অভিজিৎবাবু বলেন, বিমানবন্দরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন থাকলেও তা সক্রিয় নয়। সংগঠনকে সক্রিয় করে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত নতুন কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির নেতৃত্বেই সংগঠন শ্রমিক স্বার্থের কাজ করবে। আগামী দিনে বিমানবন্দর এলাকায় অনুসারী শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কর্মী নিয়োগ ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেই বিষয়ে সংগঠনকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন অভিজিৎবাবু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: বৈঠকে ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি, পানিহাটিতে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Panihati: বৈঠকে ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি, পানিহাটিতে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটি (Panihati) পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়কে সরাতে তৎপর কাউন্সিলরদের একাংশ। দলীয় মিটিংয়ে কাউন্সিলরদের একটা বড় অংশ ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি জানান। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি উঠল (Panihati)  

    একদিকে ভাগাড় সমস্যা, অন্যদিকে রাস্তাঘাট, নিকাশি, স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ দৈনন্দিন পরিষেবা প্রদানে নাজেহাল অবস্থা পানিহাটি (Panihati) পুরসভার। পুর কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কথা এখন পানিহাটির মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। পুরসভার পরিষেবা অব্যাহত রাখতে রবিবার সোদপুর সরকারি কোয়ার্টারে তৃণমূলের অফিসে দলের ৩৩ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সাংসদ সৌগত রায় এবং বিধায়ক নির্মল ঘোষ। বৈঠকের শুরুতে কাউন্সিলরদের একটা অংশ পানিহাটি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান মলয় রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন। অভিযোগ করেন, পুরসভা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান পরিবর্তনের দাবিও তোলেন তাঁরা। যদিও সৌগত রায় তাঁদের থামিয়ে দেন। সাংসদ তাঁদের উদ্দেশে বলেন, চাইলেই চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা যায় না। তার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমে দলকে সেটা জানাতে হয়। তারপর দল যদি মনে করে তবেই চেয়ারম্যান বদল সম্ভব। তখনই কাউন্সিলরদের তরফে কয়েকজন বলে ওঠেন দু-একদিনের মধ্যেই আমরা সেই চিঠি দলের কাছে পৌঁছে দেব। তাঁকে সামনে বসিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলের কাউন্সিলরদের একের পর এক উক্তিতে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কাউন্সিলরদের বিরত করেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এরপরই পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এদিনের বৈঠক থেকে উঠে আসে।

    নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে

    নতুন কমিটিতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পাঁচ সিআইসি সদস্য সহ দলের দুই কাউন্সিলর প্রবীর ভট্টাচার্য এবং সম্রাট চক্রবর্তী রয়েছেন। এই দুজন আবার পানিহাটি (Panihati) শহর তৃণমূলের সভাপতি। দলীয় স্তরে ওই কমিটির তালিকা শীঘ্রই সাংসদ এবং বিধায়কের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে চেয়ারম্যানকে। নির্মল ঘোষ বলেন,  ‘পুরসভা যাতে ঠিকঠাকভাবে চলে তা নিয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে। ভাগাড়, রাস্তাঘাট সহ একাধিক ইস্যু এদিন আলোচিত হয়েছে। চেয়ারম্যানের শারীরিক সমস্যার কারণে কাজ পরিচালনায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর পছন্দ মতো কয়েকজনকে নিয়ে একটি কমিটি করার। ওই কমিটির তালিকা শীঘ্রই দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করেই কাজ করতে বলা হয়েছে। যাতে পুরবাসী কোনও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন’। 

    বৈঠকের বিষয়ে জানেন না দলের জেলা সভাপতি

    চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘কিছু বিষয় নিয়ে নিশ্চিত আলোচনা হয়েছে। এটা দলের ভিতরের বিষয়। বাইরে কিছু বলব না’। তবে দলের ব্যাপার হলেও রবিবারের বৈঠকের বিষয়ে দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায়কে বিষয়টি না জানানোয় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এদিনের বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। দলীয় ব্যাপারে  দলের জেলা সভাপতিকে নিশ্চিতভাবে জানানো উচিত ছিল। সৌগত রায়, নির্মল ঘোষ আমাকে কিছু জানাননি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Subhranshu Roy: বারাকপুরে ছত্রখান তৃণমূল, দলেরই দুই বিধায়ককে তুলোধনা করলেন মুকুলপুত্র

    Subhranshu Roy: বারাকপুরে ছত্রখান তৃণমূল, দলেরই দুই বিধায়ককে তুলোধনা করলেন মুকুলপুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এবং বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে ২০১৯ সালের আগে বীজপুরের বিধায়ক কোথায় ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভ্রাংশু। সোমনাথ-সুবোধ জুটিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুকুলপুত্র। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী বলেছেন মুকুলপুত্র? (Subhranshu Roy)

    ৩০ জানুয়ারি কাঁচড়াপাড়ার বাবু ব্লকে রক্তদান শিবিরের মঞ্চ থেকে সাংসদ অর্জুন সিং-কে নিশানা করেছিলেন দুই বিধায়ক। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ নিয়েও তাঁরা সরব হয়েছেন। ২০২৪ সালে আগের মতো তাণ্ডব চালালে তাঁর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ পথে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই দুই বিধায়কের নিশানায় ছিলেন মূলত অর্জুন সিং। দুই বিধায়কের বক্তব্য রাখার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার তাঁর জবাব দিলেন বীজপুর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা কাঁচড়াপাড়ার উপ-পুরপ্রধান শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। তিনি অর্জুন সিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের হাত ধরে সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই, তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার অর্থ দলীয় নেতৃত্ব তাঁরা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর নাম না করে মুকুলপুত্র বলেন, যিনি বা যারা ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর তাণ্ডবের কথা বলছেন, তাঁরা তখন কোন দলে ছিলেন। তাঁর বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, বীজপুরের বর্তমান বিধায়ক তখন তো বিজেপিতে ছিলেন। অপরদিকে নাম না করেই জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকেও আক্রমণ করেন শুভ্রাংশু। তিনি বলেন, যিনি বড় বড় কথা বলছেন। তিনি তো তৃণমূল সম্পর্সে কিছুই জানেন না। আর ২০১৯ সালের উন্নয়নের কথা বলছেন, তার আগে তাহলে উন্নয়ন হয়নি। আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, দল অনুমতি দিলে আমি তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রস্তুত। আর তিনি দুই বিধায়ককে পরামর্শ দেওয়ার ঢঙে বলেন, যা বলার দলের অভ্যন্তরে বলা উচিত। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মমতার জেলা সফরের দিনই এলোপাথাড়ি গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন

    Murshidabad: মমতার জেলা সফরের দিনই এলোপাথাড়ি গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের পর এবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থানার আমানিগঞ্জ। বুধবার রাতে এলোপাথাড়ি গুলিতে তৃণমূল কর্মীকে ঝাঁঝরা করে দিল দুষ্কৃতীরা। মৃতের নাম শ্যামবাবু রায়। সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বুধবারই জেলা সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক সেরে চলে যাওয়ার পর রাতেই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়। আর অভিযোগের তির তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তারা এখন নির্দল করে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে বহরমপুরে তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপরই ফের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা ঘটল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আমানিগঞ্জ এলাকায় তৃণমূল কর্মী শ্যামবাবু রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের আর এক গোষ্ঠীর বিবাদ চলছিল। টিকিট না পেয়ে তারা নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিল। আর শ্যামবাবু তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোটে খেটেছিলেন। কিন্তু, গ্রামে নির্দল প্রার্থী জয়লাভ করে। ফলে, নির্দলরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। মাঝে মধ্যে গন্ডগোল লেগেই থাকত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাবুর গ্রামে একটি বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে দাদার সঙ্গে তিনি খেতে যান। হামলাকারীদের সেই বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে পটকা ফাটানো নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, মিটেও যায়। এরপর শ্যামবাবু বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁকে রাস্তাতেই আটকায়। প্রথমে বেধড়ক মারধর করে। পরে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করা হয়। এরপরই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালায়।

    চোখের সামনে ভাইকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল ওরা

    নিহত তৃণমূল কর্মীর দাদা রামেশ্বর রায় বলেন, আমার ভাইয়ের পাঁচ মাসের সন্তান রয়েছে। ভাই মন দিয়ে তৃণমূল দলটা করত। হামলাকারীরা আগে তৃণমূল করত। এখন ওরা নির্দল করে। মাঝে মধ্যে ওরা মিটিং করে গ্রামে অশান্তি তৈরি করে। ভাইয়ের সঙ্গে আমি নিমন্ত্রণ খেয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তাতেই ওরা আমাদের আটকায়। আমি কিছুটা পিছনে ছিলাম। ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখে আমি এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ দেখানোর সাহস পাইনি। আমি ছুটে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচাই। চোখের সামনে ভাইকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল ওরা। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, হামলাকারীদের ফাঁসি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: অপরাধীদের নিয়ে ঘুরছেন অর্জুন! পুলিশের কাছে নালিশ তৃণমূল বিধায়কের

    Arjun Singh: অপরাধীদের নিয়ে ঘুরছেন অর্জুন! পুলিশের কাছে নালিশ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ফের অর্জুন-সোমনাথ-সুবোধ দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে। সাংসদ  অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। একইসঙ্গে বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী অর্জুনের (Arjun Singh) বিরুদ্ধে  সমালোচনা করেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বলে সাংসদ এবং বিধায়কদের মধ্যে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় রাজনৈতিক মহলে  চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    অর্জুনকে (Arjun Singh) পল্টুরাম বললেন সুবোধ

    মঙ্গলবার কাঁচরাপাড়া কাঁপা মোড় সংলগ্ন বাবু ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। রক্তদান শিবিরের মঞ্চ থেকে আবারও বিস্ফোরক সুবোধ এবং সোমনাথ। দুজনেরই আক্রমণের লক্ষ্য ছিল সংসদ অর্জুন সিং(Arjun Singh)। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দলের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বলেন, ২০১৯ সালে বীজপুর থেকে টিটাগড় যে সন্ত্রাস, তাণ্ডব হয়েছিল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও তা করার চেষ্টা হচ্ছে। রাজ্যের সেরা থানার পুরস্কার পাওয়া বীজপুরকে নতুন করে অশান্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এরপরই সুবোধ অধিকারীর গলায় কার্যত হুঁশিয়ারির সুর। সাংসদ অর্জুন সিং কে নিশানা করে বলেন, ‘ তিনি দাগী আসামীদের নিয়ে বীজপুরে অনেক জায়গায় পিকনিক করছেন। সেই ছবি আমি পুলিশ এবং প্রশাসনকে পাঠিয়েছি।  ২০১৯ সালে প্রতিবাদ হয়েছে। আবারও আমি সাবধান করতে চাই। আবারও যদি এই কাজ করতে যান তাহলে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে এবং সামল দিতে হবে আপনাকে’। সাংসদের নাম না করে সুবোধের কটাক্ষ, পল্টুরাম নীতীশ কুমার এখানেও আছে। যে ছেলেকে বিজেপিতে ঢুকিয়ে রেখেছে এবং নিজে তৃণমূলে ঘোরাঘুরি করছে। অর্থাৎ এক পা বিজেপিতে এবং এক পা তৃণমূলে। আবার আমাদের নামেই গুজব ছড়ানো হচ্ছে আমরা নাকি দিল্লিতে গিয়েছি বিজেপিতে যোগদান করার জন্য! আমরা তো তৃণমূলেই থাকবো, কিন্তু তিনি যে আগামী দিনে আবার পল্টুরাম হবেন না তার গ্যারান্টি কে নেবে? এরপরই মঞ্চের সামনে আসনে বসা মানুষদের উদ্দেশে সুবোধ বলেন, ‘ ২০২৪ সালে আবার অনেক পল্টুরাম পাবেন। তারা অনেক কথা বলবে। কিন্তু, সেদিকে কান দেবেন না’।

    জগদ্দলের বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের নিশানাতেও সেই অর্জুন সিং (Arjun Singh)। একসময়ের মুকুল রায়ের খাস তালুক কাঁচরাপাড়ায় দাঁড়িয়ে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘এখানে নাকি বড় বড় নেতারা থাকতেন। যারা পাল্টিবাজ। সেই পাল্টিবাজদের মত কিছু নেতা গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছেন আমি এবং সুবোধ নাকি দিল্লিতে রওনা দিয়েছি বিজেপিতে যোগদান করতে।  আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা পাল্টিবাজ নই। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের খুন করার চক্রান্ত করছে সাংসদ। এর আগে ইছাপুরে শহর তৃণমূলের সভাপতি গোপাল মজুমদারের পিছনেও সাংসদের হাত রয়েছে। ভারাটে খুনিরা তা স্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: সেচ দফতরের কড়া সমালোচনায় অর্জুন! তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    Arjun Singh: সেচ দফতরের কড়া সমালোচনায় অর্জুন! তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গা ভাঙনে সেচ দফতরের কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে কড়া সমালোচনা করলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। গারুলিয়া পুরসভার কাঙ্গালী ঘাট এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের সেচ দফতরের  পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে গঙ্গা বাঁধানোর কাজ চলছে। সেই কাজের অবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার গারুলিয়াতে যান অর্জুন সিং। পাথরের বোল্ডার না দিয়ে শাল-বল্লা দিয়ে গঙ্গা ভাঙনের উদ্যোগ নেওয়ায় সেচ দফতরের কড়া সমালোচনা করেন অর্জুন সিং।

    ফের ভাঙনের আশঙ্কা করলেন অর্জুন (Arjun Singh)

    অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে বড় বড় বোল্ডার দিয়ে পার বাঁধানো উচিত। না হলে ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। শাল-বল্লা দিয়ে ভাঙ্গন মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কারণ, এর আগে এভাবে  কাজ করা হলেও ফের ভাঙন হয়েছে সেই এলাকায়। দেড় কোটি টাকা খরচ করে অবৈজ্ঞানিকভাবে কাজ করছে সেচ দফতর। এতে ভাঙন মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। হুগলির চন্দননগরের উদাহরণ টেনে অর্জুন বলেন, ওই এলাকায় বোল্ডার দিয়ে কাজ করা হয়েছে বলে ভাঙন হয়নি। আর এই এলাকায় গঙ্গার পার কাঁচা বলে বার বার ভাঙন হচ্ছে। ঘটনা ক্রমে, রাজ্যের সেচ মন্ত্রী হচ্ছেন পার্থ ভৌমিক। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ২০১৯ সালের পর থেকে পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে অর্জুনের রাজনৈতিক কিছুটা দূরত্ব রয়েছে। অর্জুনের বিরুদ্ধে গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। তাঁরা দুজনেই সেচমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এমনিতেই সোমনাথ-সুবোধের সঙ্গে অর্জুনের দ্বন্দ্ব বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে সেচ দফতরের কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় পার্থ এবং অর্জুনের দূরত্ব আরও বাড়ল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের নতুন করে মাথাচাড়া দেবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share