Tag: tmc

tmc

  • Bhatpara: জয়নগর, আমডাঙার পর এবার ভাটপাড়া! গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল কর্মী

    Bhatpara: জয়নগর, আমডাঙার পর এবার ভাটপাড়া! গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথেই তৃণমূল কর্মীকে গুলিত খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার তৃণমূলের প্রধানকে বোমা মেরে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা ঘটল। এবার ঘটনাস্থল ভাটপাড়া (Bhatpara)। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ভিক্কি যাদব। তৃণমূল কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত। তাঁর বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানি তালাব এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhatpara)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ভিক্কি যাদব নামে এক তৃণমূল কর্মী। বাইকে করে তিনজন যুবক তৃণমূল কর্মীর সামনে এসে দাঁড়ায়। ভিক্কিকে জিজ্ঞাসা করে, তুমহারা নাম ভিক্কি হ্যায়। পরিচয় জানার পরে খুব কাছ থেকে ১১ রাউন্ড গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ভিক্কি যাদবের শরীরের পরপর নয় রাউন্ড গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় ভিক্কিকে প্রথমে ভাটপাড়ার (Bhatpara) স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোম নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ঘটনার পর পরই হামলাকারীরা বাইক করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    দুদিন আগে জেল থেকে হুমকি ফোন এসেছিল

    জানা গিয়েছে, ভিক্কি যাদব একসময় বিজেপি করতেন। আকাশ যাদব নামে এক বিজেপি কর্মীর তিনি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগেই আকাশ খুন হন। সেই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন ভিক্কি। অর্জুন সিংহের ভাইপো সৌরভ সিংয়ের ছায়া সঙ্গী ছিলেন ভিকি। তৃণমূলে যোগদান করার পর একাধিক দলীয় কর্মসূচিতেই ভিক্কিকে দেখা যেত। ছট পুজোতেও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আকাশ খুনের ঘটনায় ভিকি সাক্ষীর জন্য বেশ কয়েকজন একন জেলে রয়েছে। দুদিন আগে ভিক্কির কাছে জেল থেকে ফোন এসেছিল। তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। সেই হুমকি ফোন পেয়েও ততটা গুরুত্ব দেননি তিনি। এরপরই এদিনের হামলার ঘটনা ঘটল।

    শহর তৃণমূলের সভাপতির কী বক্তব্য?

    ভাটপাড়়া (Bhatpara) শহর তৃণমূলে সভাপতি দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ভিক্কি আমাদের দলে সক্রিয় কর্মী। তার উপর অভাবে হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসনকে তদন্তের দাবী জানিয়েছে। যে বা যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের আদি-নব্য গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল কুলপি, চলল ব্যাপক বোমাবাজি

    South 24 Parganas: তৃণমূলের আদি-নব্য গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল কুলপি, চলল ব্যাপক বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপিতে আইএসএফের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় আদি এবং নব্য তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই সংঘর্ষের সময় এলাকায় প্রচুর বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। এর ফলে কুলপির দৌলতাবাদ এলাকায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, এটি তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল। ভাগের মাল নিয়ে লড়াই চলছে।

    কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত (South 24 Parganas)?

    কুলপির (South 24 Parganas) দৌলতাবাদে আদি তৃণমূল করেন ছেলে। তাঁর মা ফতেমা বলেন, “এলাকায় অনেক দিন ধরে টার্গেট করা হচ্ছিল আদি তৃণমূল যারা করে। বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ির চারপাশে ঘোরাঘুরি করছিল দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে করা হয় ব্যাপক বাড়ি ভাঙচুর এবং বোমাবাজি। সকলে আমরা রীতিমতো ভয়ে রয়েছি।”

    ৪০ টি বোমাবাজির অভিযোগ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা প্রায় ৪০ টি বোমা মারে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আরও অভিযোগ ওঠে, বাড়ি থেকে বাইরে গিয়ে জল আনতে দেওয়া হয় না, ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হয় না। নানাভাবে অত্যাচার করে নব্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ভাঙা হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস এবং সেই সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন ইতিমধ্যেই ৩ জন। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় এক বিজেপি নেত্রী অন্মিয়া শেখ বলেন, “আগে ছিল বুড়িমার বোম। এখন পিসির রাজত্বে চলছে, পিসিমার বোমা। তৃণমূলের রাজত্বে কেউ সুরক্ষিত নয়। সারা রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।”

    পুলিশের ভূমিকা

    ঘটনার পর কুলপি থানা থেকে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত দুই পক্ষের পক্ষ থেকে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ নিদান দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি

    Malda: বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ নিদান দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বেশি আক্রমণাত্মক হচ্ছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। দুদিন আগেই কোচবিহারের দলীয় সভায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে মারার নিদান দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ হুমকি দিলেন মালদা (Malda) জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    মালদার (Malda) বামনগোলায় পথসভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন আব্দুর রহিম বক্সি। তিনি বলেন, ‘বিজেপি সাংসদ খগেনবাবুরা ৩৫ কোটি টাকা পান, কত টাকা কমিশনে কাজ বিক্রি করেছেন ঠিকাদরদের কাছে। সেই ৩৫ কোটি টাকা কোথায় তার হিসেব দিতে হবে। এরপরেই তিনি বলেন, ‘বহু কথা বলেছেন,বড় বড় আওয়াজ তুলছেন, মানুষ কিন্তু এবার ছেড়ে কথা বলবে না। যে মুখ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন, যে মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা বলে মানুষদের বিভ্রান্ত করছেন, সেই মুখ থেকে জিভটা টেনে ছিঁড়ে বের করে মানুষ প্রমাণ করবে যে মানুষ আপনাদের সঙ্গে নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই কলোনির হাটে যে রাস্তাগুলো হয়নি এখানে কেন্দ্রীয় সরকার যত বঞ্চনা করুক, খগেন মুর্মু যত বঞ্চনা করুক, জুয়েল মুর্মু যত বিরোধিতা করুক আর বিজেপি যত বিরোধিতা করুক, সমস্ত রাস্তা তৃণমূল কংগ্রেস করবে।’ মূলত বেহাল রাস্তার কারণে খাটিয়া নিয়ে রোগী নিয়ে যেতে রাস্তাতেই রোগীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা থেকে বাঁচতে রাস্তা তৈরির সাফাই দিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন?

    বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু বলেন, ‘আমরা কারও জিভ ছিঁড়তে রাজি নই। এই মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। মালদায় (Malda) অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ার জন্য এক মহিলার মৃত্যু দুঃখজনক। তবে এমজিএনআরজিএ-র কাজ হলে রাজ্য সরকার সেই কাজ করবে। সেটা বিধায়কের দেখার কথা নয়। স্থানীয় গ্রামের প্রশাসনের দেখা উচিত।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Udayan Guha: বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে পেটানোর নিদান দিলেন উদয়ন

    Udayan Guha: বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে পেটানোর নিদান দিলেন উদয়ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূলের। কোন্দলে জর্জরিত শাসক দল। বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিয়ে হারানো মাটি ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গড় ভেটাগুড়িতে সভা করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। সভা থেকেই বিজেপিকে হুমকি দিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বললেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী? (Udayan Guha)

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গড় ভেটাগুড়িতে মিছিল করতে গিয়ে নাম না করে বিজেপি কর্মীদের হুংকার দেন তিনি। কার্যত গায়ে হাত তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বলেন,’এখানে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা এই মিছিলে হেঁটেছেন আমি মিছিলে নিজে পিছনে থেকে ওনাদের সামনে রেখেছি। তবে তাঁদের কারও গায়ে যদি একটু আঁচড় পড়ে নিজে মন্ত্রী হয়ে বলছি বাড়ি থেকে বের করে করে পেটানো হবে।’ নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে হুঁশিয়ারি পাল্টা হুঁশিয়ারির ‘খেলা’ চলছে। বিরোধীদের ঠেকাতেও নীশিথের গড় দখলে ‘দিনহাটা বাহিনীর’ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘ওদের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে আমাদের কাছে দিনহাটা বাহিনী।’ তবে, মিছিলে কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল অনেকটাই কম। এমনকী মিছিলে দেখা যায়নি স্থানীয় নেতা কর্মীদের একাংশকে। তাহলে দলীয় কোন্দল না কি অন্য কোনও কারণ তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রীও নজরে আসে। আর মিছিলে কম লোক হওয়ার পিছনে উত্তর দিতে গিয়েও বিজেপিকেই দায়ী করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ভয়ে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছেন।’ একই সঙ্গে এও স্বীকার করে বলেছেন, ‘ভেটাগুড়িতে কম সংখ্যক তৃণমূল কর্মী রয়েছে। যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সকলেই উপস্থিত ছিলেন এই কর্মসূচিতে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: সমবায়ের অনুষ্ঠানেই বিজেপির কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Purba Medinipur: সমবায়ের অনুষ্ঠানেই বিজেপির কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায়ের অনুষ্ঠানে বিজেপির উপর তৃণমূলের ব্যাপক আক্রমণের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মহিষাদলে। অনুষ্ঠানের মধ্যে চলে হাতাহাতি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি। ঘটনায় বেশ কিছু বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবাদে বিজেপি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ জানায়। যদিও ঘটনায় শাসক দল, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগকে অস্বীকার করেছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Purba Medinipur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের সমবায়ের শতবর্ষের উদযাপন অনুষ্ঠান। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মহিষাদলের জালপাই সমবায়েও একই ভাবে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী সহ পঞ্চায়েত, ব্লক এবং জেলা প্রশাসনের নানান সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে ডাক পাননি বিজেপি পরিচালিত ইতামগরা ২ পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাস। এরপর এলাকার বিজেপি কর্মীরা প্রধানের নেতৃত্বে উপস্থিত হন অনুষ্ঠানে। তারপর পুলিশের সামনেই তৃণমূলের কর্মীরা আচমকা বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। কার্যত বিজেপির কর্মীদের উপর লাঠি, বাঁশ, চেয়ার ছুড়ে একতরফা ব্যাপক মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।

    ঘটনায় বিজেপির বক্তব্য

    অনুষ্ঠানে মারধরের পর বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে তেরপেখ্যা কাপাসএড়্যা (Purba Medinipur) সড়কে অবস্থান বিক্ষোভ করে। বিজেপির প্রধান রামকৃষ্ণ দাস বলেন, “এলাকায় মানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে তৃণমূল নিজের গায়ের জোরে শতবর্ষের অনুষ্ঠান করেছে। এই সমবায়ে সকলের অধিকার রয়েছে। বাইরে থেকে লোক এনে অনুষ্ঠান করলে আমরা প্রতিবাদ করি। এই প্রতিবাদের জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর হামলা করে। পুলিশের সমানেই আমাদের উপর বেধড়ক মারধর চলে। পুলিশ কোনও রকম সক্রিয়তা দেখায়নি। পুলিশ যদি দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামী দিনে বড় আন্দোলন করবো।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের মহিষাদলের (Purba Medinipur) বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “সমবায়ের অনুষ্ঠানের কারা আসবেন তা ঠিক করার একমাত্র অধিকার রয়েছে নির্বাচিত বোর্ডের। বিজেপি সর্বত্র অশান্তির সৃষ্টি করছে। শুভেন্দুর নির্দেশেই এলাকায় গোলমাল করছে বিজেপি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Joynagar: জয়নগর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার তিন তৃণমূল কর্মী

    Joynagar: জয়নগর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার তিন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগর কাণ্ডে নতুন করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নজরুল মণ্ডল, আকবর ঢালি এবং আমানুল্লাহ জমাদার। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িই দলুয়াখাকিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। তৃণমূল নেতা খুনের পর গন্ডগোলের ঘটনায় দলীয় কর্মীরা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল নেতা খুনের পরই একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল

    তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের মামলার পাশপাশি, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলাতেই রবিবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৩ নভেম্বর জয়নগরের বামনগাছির পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে মসজিদ নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন।  মসজিদের সিঁড়িতে সবে পা রেখেছিলেন তিনি। এমন সময়ে তাঁর ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এসেছিলেন। রক্তাক্ত দেহটি তুলে দৌড়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি সইফুদ্দিনকে। খুনের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দলুয়াখাকি গ্রাম। সইফুদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় দু’জন ধরা পড়ে যান স্থানীয়দের হাতে। অভিযোগ, সাহাবুদ্দিন নামে তাঁদের একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অন্য জন, শাহরুল শেখকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    শাসক দলের নেতা খুনের পরই সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়

    তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর পরই তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ২০-২৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের মহিলাদের মারধর করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, বেছে বেছে শুধুমাত্র সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আনিসুর লস্করকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও কামালউদ্দিন ঢালি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার জয়নগরের দলুয়াখাকিতে ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের দিয়ে দল চালাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী’, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের দিয়ে দল চালাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী’, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অভিযোগের তির সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ও বর্তমান নামখানা ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দুই অঞ্চল সভাপতির পদ নিয়েই প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর যারজন্য তৃণমূলের এক পক্ষের পক্ষ থেকে দায়ী করা হচ্ছে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রীকে। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগর বিধানসভার নামখানা ব্লকের শিবরামপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ গিরির অভিযোগ বর্তমান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ২০২১ সালে নির্বাচনে জিতে মন্ত্রী হবার পর নিজের মন্ত্রিত্ব বজায় রাখতেই নামখানা সহ বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদেরকে দিয়ে তৃণমূলের সংগঠন চালাচ্ছেন। এমনকী নামখানা ব্লকের বর্তমান ব্লক সভাপতি অভিষেক দাসের বিরুদ্ধেও চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী নিজের মন্ত্রিত্ব বজায় রাখতেই এই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদেরকে দিয়ে সংগঠন চালাচ্ছেন। নামখানা ব্লকের ব্লক সভাপতি অভিষেক দাস পরিকল্পিতভাবে আমার পার্টি অফিসে তালা মেরেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব কী বললেন?

    শিবরামপুর অঞ্চলের বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি পলাশ জানা বলেন, বীরেন্দ্রবাবু পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট হয়ে নামখানা ব্লকে বিজেপিকে জেতানোর চেষ্টা করেছিল। তাই দল তাকে বহিষ্কার করেছে। তবে, এই বিষয় নিয়ে প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বীরেন্দ্র গিরির দাবি, দলের পক্ষ থেকে এখনও সেই ধরনের কোনও নির্দেশ তার কাছে আসেনি। এমনকী দলের এই দুর্নীতির অভিযোগ তিনি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে তুলে ধরার জন্যই পরিকল্পিতভাবে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বীরেন্দ্র গিরির এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার নামখানা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে তাঁকে শাস্তির দাবি তুলে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেস অন্য গোষ্ঠীর কর্মীরা। অন্যদিকে, মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরাকে বার বার ফোন করা হলে তিনি ফোন না তোলায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সোশ্যাল মিডিয়া কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, তৃণমূল একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এটা আমাদের কোনও অভিযোগ নয়। তৃণমূলের নেতারাই এই দুর্নীতির কথা বলছে। সাধারণ মানুষ দেখছে। সময় আসলেই মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মীরা, কেন জানেন?

    Cooch Behar: তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীভাঙন কবলিত কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দারা বাঁধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বহুদিন ধরে। বৃহস্পতিবার সেখানে হাজির হন কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। আর তাঁকে হাতের নাগালে পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাসিন্দারা। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়েই দলের টিকিটে জেতা কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    বৃহস্পতিবার কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়ডাক নদী সংলগ্ন গেদারচর এলাকায় পরিদর্শনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। সেখানে গেলে নিজের দলের কর্মীরাই চৈতিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। তাঁকে ঘিরে চলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। সেই সময় ব্লক সভাপতিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বাসন্তী বর্মনের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে বক্সিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চৈতিকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে কর্মাধ্যক্ষ বলেন, কোনও বিক্ষোভ নয়। এলাকার মানুষ দাবিদাওয়ার বিষয় আমার কাছে তুলে ধরেছে।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীবাঁধের দাবি উঠলেও কর্মাধ্যক্ষকে কখনও এলাকায় দেখা যায়নি। কিন্তু সকাল থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এলাকায় হাজির হন। কী উদ্দেশ্য তাঁর? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, নিজের নির্বাচনী এলাকায় অবৈধভাবে রায়ডাক নদী থেকে বালি পাথর পাচারের জেরে ভাঙছে নদীবাঁধ। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু, কর্মাধ্যক্ষের তাতে কোনও হেলদোল নেই।

    বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূল নেতাদের কয়লা চোর, বালি চোর ও পাথর চোর বলেছি। এবার গ্রামবাসীরাও একই কথা বললেন। গ্রামের মানুষ যখন নেতাকে চোর বলছেন, তখন অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারকে উৎখাত করতে হবে। রাজ্যে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। এটা বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার কোনও বক্তব্য নয়। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতার ঘনিষ্ঠ আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত নারায়ণ (জহর) মজুমদার এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি একথা জানিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন বর্ষীয়ান ওই তৃণমূল নেতা? (Alipurduar)

    নিজের হাতে তৈরি করা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কার্যকলাপের বিতশ্রদ্ধ হয়ে এদিন মমতা সরকারকে উৎখাত করতে আমজনতাকেও জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন জহরবাবু। জহরবাবু একসময় বিধানসভার প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি তিনি সরকারি আইনজীবীও ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে জহরবাবুর মতো একজন ৮২ বছরের বর্ষীয়ান নেতার এ ধরনের মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্যান পালন দফতরে আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের দাবি জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত কিছুই হয়নি। উলটে কেন তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তারজন্য প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, সরকারি আর্থিক তছরুপ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুবিচার হয় না। এ রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রকে ফেরাতে বিরোধী সব দলকে সব মানুষকে একজোট হতে হবে। যেখানে যে দল শক্তিশালী সেই দলকে শক্তিশালী করে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। জহরবাবু দাবি করেন, দলে পুরানোদের কোনও মর্যাদা নেই। যারা শাসক দলে এখনও রয়েছেন তাদের ৭০ শতাংশ মানুষও এই দলের উপর তিতিবিরক্ত হয়ে রয়েছেন। ওই মানুষগুলো সামনের লোকসভা ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন।

    কী বললেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি?

    তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক  বলেন, জহর বাবু শ্রদ্ধেয় মানুষ। তিনি ঠিক কি বলেছেন, তা আমার জানা নেই। তাই তাঁকে নিয়ে আগেভাগে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টহীন বীরভূমে প্রশ্নের মুখে এবার তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী

    Anubrata Mondal: কেষ্টহীন বীরভূমে প্রশ্নের মুখে এবার তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পর বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কমবেশি করা হয়। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূল এই কর্মসূচি ঘটা করেই পালন করে। আর তৃণমূলের বীরভূম জেলার ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) তাঁর খাসতালুকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতেন জাঁকজমক করে। কেষ্ট হীন বীরভূমে এবার দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো পেরিয়ে গেলেও তৃণমূল বিজয়া সম্মিলনীক আয়োজন করতে পারল না বলে দলের অন্দরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করে হত কেষ্ট-র বিজয়া সম্মিলনী (Anubrata Mondal)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) প্রতি বছর বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতেন। জেলার সাংসদ, বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহসভাপতি, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং দলের শাখা সংগঠনের নেতারা থাকতেনই। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ থাকলেও জেলা স্তরে এখনও বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতে পারেননি বর্তমান জেলা নেতৃত্ব। কবে হবে সেই আয়োজন, স্পষ্ট নয় সেটাও। দলের কর্মীদের একাংশের দাবি, এর থেকেই পরিষ্কার, অনুব্রত এক বছরের বেশি সময় ধরে না-থাকলেও এখনও দলের ‘ছন্নছাড়া’ ভাবটা কাটেনি। কেষ্ট অনুগামী এক তৃণমূল নেতা বলেন, কেষ্টদা থাকলে এসব ভাবা যেত না। গতবারও বিজয়া সম্মিলনী হয়েছিল সুন্দরভাবে। এবার সেটা হল না। এমনিতেই তিহার জেলে কেষ্ট থাকার পরও দল এতদিন তাঁর উপর আস্থা রেখেছিলেন। কিন্ত, এবার জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানেদের নামের যে তালিকা দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে অনুব্রত মণ্ডলের নাম নেই। ফলে, তাঁকে ছেঁটে ফেলা হল বলেই মনে করছেন অনুব্রতের অনুগামীরা। জানা গিয়েছে, শুধু বিজয়া সম্মিলনী নয়, নিজেদের মধ্যে সমন্বয়, বোঝাপড়ার অভাব, জেলার বিভিন্ন সাংগঠনিক সমস্যা নিয়ে আলোচনাও বকেয়া। সেই জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর বৈঠক হতে পারে কোর কমিটির। তার পরেই সিদ্ধান্ত সামনে আসার সম্ভাবনা।

    জেলা তৃণমূলের এক নেতার কী বক্তব্য?

    জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী  বলেন, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) থাকাকালীন বিজয়া সম্মিলনী জেলা স্তরেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবার সেটা ব্লক ও অঞ্চল স্তরে নামানো হয়েছে। সেইজন্য দেরি হচ্ছে। আমরা শীঘ্রই বৈঠক করে এ ব্যাপারে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share