Tag: tmc

tmc

  • Leaps and Bounds: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    Leaps and Bounds: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেঁসে যেতে বসেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুচিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়! অন্তত এমনই জল্পনা জোরালো হয়েছে ইদানিং। এর কারণ দিন কয়েক আগে নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) অফিসে হানা দিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা বাজেয়াপ্ত করেছেন রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট।

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তল্লাশি

    ওই অফিস থেকে তিনটি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। আরও কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে রুজিরার দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের মধ্য কলকাতা শাখার দুটি অ্যাকাউন্ট। এই শাখায় যে অ্যাকাউন্টটি রয়েছে অভিষেকের স্ত্রীর, সেখানে তাঁর নাম রয়েছে রুজিরা নারুলা। এই ব্যাঙ্কেই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নামেও একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টের ১৪২ পাতার স্টেটমেন্ট বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, ২১ অগাস্ট তদন্তকারীরা হানা দেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে (Leaps and Bounds)। সেখানে টানা ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালান তাঁরা। 

    বাজেয়াপ্ত বহু নথি 

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস তৈরি হওয়ার আগে ওই সংস্থার নাম ছিল অনিমেষ ট্রেড লিঙ্ক। সেই সংস্থা হাতবদল হয়। নতুন নাম হয় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। এ সংক্রান্ত নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তল্লাশি চালানোর সময় আলিপুর এবং বিষ্ণুপুরে নথিভুক্ত হওয়া বেশ কিছু জমির দলিলও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। সংস্থার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি এবং স্টেটমেন্টও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।

    এদিকে, ইডির তৎপরতার (Leaps and Bounds) বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে দায়ের করা সেই মামলায় অভিষেকের আইনজীবীর প্রশ্ন, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ইডির দায়ের করা ইসিআইআর খারিজের আবেদনের রায়দান যখন স্থগিত, তখন কি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি এই তৎপরতা দেখাতে পারে?

    আরও পড়ুুন: এই কি শিক্ষার পরিবেশ? কলেজ চত্বরে বসেই গাঁজায় সুখটান তৃণমূল ছাত্রনেতার!

    সোমবারই নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় অভিষেককে জেরা না করায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইডি। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বিচারপতি সিনহার এহেন মন্তব্যের পর অভিষেকের কাছে ইডির সমন পৌঁছনো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সেই কারণে এবার বিচারপতি ঘোষের বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়ে সমন এড়াতে চাইছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heritage Building: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবনে তৃণমূল-সিপিএমের জোড়া দখলদারি! সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট

    Heritage Building: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবনে তৃণমূল-সিপিএমের জোড়া দখলদারি! সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবন এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল (Heritage Building) হল থেকে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তৃণমূলের এই পুরসভা এলাকায় সিপিএমের কো-অর্ডিনেশন কমিটি এই হেরিটেজ ভবনের এক অংশ দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দোকানঘর বানিয়েছে খোদ তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাও।

    হাইকোর্টের কী নির্দেশ (Heritage Building)?

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই হেরিটেজ বিল্ডিংকে (Heritage Building) রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশে বলা হয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হেরিটেজ ভবনের এলাকা চিহ্নিত করতে হবে এবং বিল্ডিং সংলগ্ন অবৈধ নির্মাণ দ্রুত ভেঙে ফেলতে হবে। এই বিষয়ে জেলাশাসককে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।

    কীভাবে জবরদখলে হেরিটেজ বিল্ডিং (Heritage Building)?

    রানি ভিক্টোরিয়ার বড় পুত্রের নাম অ্যাঁলবার্ট এডওয়ার্ড (Heritage Building)। ১৯০১ সাল থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন তিনি। তাঁর স্মরণেই বাঁকুড়া সদরে তৈরি হওয়া ভবনের নামকরণ করা হয়। ১৯১১ সালে এই ভবনটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই হেরিটেজ ভবনের একটি ভাগ দখল করে হয়েছে স্টাফ কোয়ার্টার এবং বেশ কিছু পাকা দোকানঘর তৈরি করছে বাঁকুড়া পুরসভা। অন্যদিকে এই হেরিটেজ বিল্ডিং-এর আরেকটি অংশ দখল করেছে বাম কর্মচারী সংগঠনের স্টেট কো-অর্ডিনেশন কমিটি।

    কেন আদালতে মামলা হয়েছিল?

    হেরিটেজ বিল্ডিংয়ে (Heritage Building) বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে এলাকা দখলমুক্ত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বাঁকুড়ার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সমাজ নামে এক সংগঠন। এই অভিযোগের আগেই হাইকোর্ট জেলার ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। উল্লেখ্য এই রিপোর্টে বেআইনি দখলদারির বিষয়ে বিস্তৃত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে এলাকা দখলমুক্ত করার কথা বলা হয়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ায়, লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের

    Nadia: পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ায়, লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড। শুক্রবার দুপুরে নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে শাসক এবং বিরোধী দলের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চলের সৃষ্টি হল। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠি, বাঁশ দিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির।

    গন্ডগোলের সূত্রপাত কীভাবে (Nadia)?

    জানা গেছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৫ টি আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণগঞ্জ (Nadia)পঞ্চায়েতে ১৩ টি আসনে জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পায় ১২ টি আসন। এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল ও বিজেপি ১টি করে আসনে জয়লাভ করে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ টিতে। অভিযোগ, এদিন পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন করতে গিয়ে তৃণমূল সমর্থিত একজন জয়ী সদস্য বিজেপির সদস্যদের মধ্যে গিয়ে বসেন। তৃণমূলের ওই সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করতেই উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসার সৃষ্টি হয়। ওই সদস্যার সার্টিফিকেট ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তৃণমূল আশ্রিত কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারে গুরুতর জখম বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক বলে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে সরাসরি আঙুল তুলতে দেখা যায় বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের। জখম ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে।

    অভিযোগের জবাবে কী বলল তৃণমূল (Nadia)?

    যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সমর্থিত পঞ্চায়েত প্রধান মদন ঘোষ। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত উপ সমিতির (Nadia) ভোটাভুটি শুরু হলে উপস্থিত বিরোধী শিবিরের কর্মীরা তাদের এক সদস্যাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে তাঁর ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। তার ফলেই বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে বৈঠক করেই লোকসভার রণকৌশল স্থির করলেন সুকান্ত মজুমদার

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে বৈঠক করেই লোকসভার রণকৌশল স্থির করলেন সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পক্ষ থেকে বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) জেলা বিজেপির কোর কমিটি এবং জেলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হল শনিবারে। বিজেপির জেলা কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক এবং রেনুকা লজে জেলা কমিটির বৈঠক সম্পন্ন হল। বিজেপির জেলা কোর কমিটি এবং জেলা কমিটির দুটি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। জেলা কমিটির বৈঠকে জেলা নেতৃত্ব ছাড়াও বিভিন্ন মণ্ডল সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দুটি বৈঠকেই সাংগঠনিক বিষয়ের পাশাপাশি আলোচনার মূল বিষয় ছিল, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করা। পাশাপাশি তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

    কী বললেন সুকান্ত (Dakshin Dinajpur)?

    আজ বালুঘাটের সাংসদ (Dakshin Dinajpur) তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, জেলার সাংগঠনিক বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। লোকসভা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা এই প্রশ্নে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করতে যে কাজ করা দরকার বা পরিবর্তন করা দরকার, সে বিষয়ে এইদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।

    যাদবপুর র‍্যাগিংয়ের বিষয় নিয়ে কী বলেন?

    যাদবপুর হোস্টেলে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠে আসার তথ্য নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই যে তথাকথিত বামপন্থীদের নগ্ন চেহারা প্রকাশিত হয়েছে। বামেরা দিন দিন উলঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা বার বার বলছি, এদের পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্কারা রয়েছে। ২০১১ সালে বামফ্রন্টকে সরানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত মাওবাদীদের হেল্প নিয়েছিলেন।

    র‍্যাগিং বন্ধের পদক্ষেপ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, র‍্যাগিং বন্ধ করার জন্য আমি আগেই বলেছি ইউজিসি গাইড লাইন অনুসরণ করলেই রাগিং বন্ধ হয়ে যাবে। ইউজিসি গাইড লাইন অনুসরণ করতে বলুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। বৈঠকের পর বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) থেকে ধূপগুড়ি উপনির্বাচন নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, উপনির্বাচনে সবাই ঝাঁপাবে। আমরাও ঝাঁপাচ্ছি এবং আমরা একশো শতাংশ জিতবো। আমরা ধূপগুড়ি উপনির্বাচন জিততে চলেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: কলকাতার বুকে বুলডোজার চালিয়ে ভাঙা হল বিজেপি নেতার বাড়ি, অভিযুক্ত শাসক দল

    BJP: কলকাতার বুকে বুলডোজার চালিয়ে ভাঙা হল বিজেপি নেতার বাড়ি, অভিযুক্ত শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার বুকে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল বিজেপি (BJP) নেতার বাড়ির একাংশ। অভিযুক্ত শাসকদলের স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এবং কাউন্সিলর। শুক্রবার কলকাতার বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের বাড়ির একতলা ভেঙে দেয় পুরসভা। বর্তমানে সুনীল সিং বিজেপির কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য। অতীতে শ্যামপুকুর বিধানসভার আহ্বায়কের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। সুনীল সিং সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন যে বিজেপি (BJP) করার অপরাধেই তাঁর বাড়ি ভেঙেছে তৃণমূল।

    সুনীল সিং-এর অনুপস্থিতিতেই ভাঙা হয় বাড়ি

    সূত্রের খবর, এদিন যখন বুলডোজার দিয়ে সুনীল সিংয়ের বাড়ির একাংশ ভাঙা হচ্ছিল তখন সে সময় এই বিজেপি (BJP) নেতা বাড়িতে ছিলেন না। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা, যিনি একজন ডায়ালিসিসের রোগী। আরও অভিযোগ, বাড়িতে বুলডোজার চালানোর আগে পর্যন্ত কোনও রকমের নোটিশ আসেনি, কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও তাদের সামনেই বুলডোজার চালানো হয় বলে অভিযোগ। সুনীল সিংয়ের বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিডন স্ট্রিটের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। শনিবারও রাজনৈতিক উত্তেজনার পরিবেশ রয়েছে সেখানে। বিজেপি নেতা সুনীল সিং জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এদিন সুনীল সিং বলেন, ‘‘তৃণমূল সন্ত্রাসের রাজনীতি করতে চাইছে। আমি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিলাম, তাই পুরসভাকে দিয়ে আমার বাড়ির একতলার দোকান ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল।’’

    কী বলছে তৃণমূল?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকনাথ চট্টোপাধ্যায়, সুনীল সিংয়ের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন। এবং তিনি বলেন যে ওটা ছিল বেআইনি নির্মাণ, এর সঙ্গে রাজনীতির (BJP) কোনও সম্পর্ক নেই।  কিন্তু তৃণমূলের এই যুক্তির সঙ্গে সহমত নন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, এই ধরনের আরও দোকান বাড়ি অজস্র রয়েছে। বিডন স্ট্রিট সমেত সারা কলকাতা জুড়ে, কিন্তু বেছে বেছে সুনীল সিংয়ের বাড়িকেই টার্গেট করা হলো। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্বকেও তুলছেন স্থানীয়রা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের হাতছাড়া শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতি। জেলার মধ্যে এই প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল বিজেপি। অতীতে কখনও বামফ্রন্ট, পরবর্তীতে তৃণমূলের হলেও শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি এই প্রথম দখল করল বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। 

    কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি হলেন নৃপেন মণ্ডল। তিনি হরিপুর ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছিলেন। অপরদিকে সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন চঞ্চল চক্রবর্তী, তিনি আবার ফুলিয়া টাউনশিপ ২৮ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছেন। পঞ্চায়েত সমিতি দখলের পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিজয়োল্লাস লক্ষ্য করা যায়। এদিনের বোর্ড গঠন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস, চাকদা বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    বিজেপি সাংসদের বক্তব্য

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Nadia) দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ যেভাবে বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোটই দেবে না মানুষ। তিনি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, থানার ওসি অঞ্চল সভাপতির মতো আচরণ করছেন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া, মারধর করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। শাসকের এত হিংসার পরেও মানুষ বিজেপিকে জয়যুক্ত করেছেন। এই জয় সাধারণ মানুষের জয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করলেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না শান্তিপুরের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তাঁর দাবি, বিজেপি বারবার দাবি করে এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়বে। যেদিন এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার হবে, সেদিন এই রাজ্য উত্তরপ্রদেশে পরিণত হবে। এই রাজ্যে তৃণমূল আছে বলেই মা বোনেরা এখনও স্বাধীনভাবে রাস্তায় বেরোতে পারছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) খানাকুলের রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে আজ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হয়েছিল তৃণমূল এবং বিজেপির প্রচুর কর্মী সমর্থক। টসে জিতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি, আর এরপর শুরু হয় এরপর তীব্র উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় চারিদিকে। তৃণমূলের কর্মীরা বহিরাগত গুন্ডাদের নিয়ে চড়াও হয় বিজেপির উপরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় প্রচুর পুলিশ।

    কেন উত্তেজনা (Hooghly)?

    বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল বহিরাগত লোক নিয়ে অশান্তি করতে আসে। আর তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে এলাকার সাধারণ মানুষ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা খানাকুলের (Hooghly) রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েত চত্বরে। আরও জানাগেছে, এই পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল ৯ টি করে মোট আসনের সমান সামন হয়ে গেছে। এইদিন বোর্ড গঠনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপক্ষেরই মতামত নিয়েই টস করে, আর তাতে ফলাফল ঘোষণা হলে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় বিজেপি বোর্ড গঠন করে। বিজেপি প্রধানের পদ দখল করে। ঠিক তার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকায়। ঘটনার জেরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) বিজেপি নেতা অশোক মালিক বলেন, এখানে বিজেপি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে। আর তাই বিজেপি বোর্ড গঠন করায় বহিরাগত গুন্ডাদের ভাড়া করে এনে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। কিন্তু মানুষ জেগে গেছে। তৃণমূলের চোরদের মানুষ চিনে নিয়েছে। এবার আসল খেলা খেলবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই আসন সমান সমান হওয়ার জন্য অনেক তৃণমূল কর্মী এবং বিজয়ী প্রার্থীরা বিজেপিতে যোগদান করতে চাইছে। এই চোরেদের পাশে মানুষ নেই বলে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে দুষ্কৃতীরা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) এক তৃণমূল নেতা সুকুমার শিকদার বলেন পাশের পঞ্চায়েতে আমার বাড়ি, আমি নিজে তৃণমূল কংগ্রেস করি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত গঠন হবে বলে এসছি। কিন্তু এসে দেখি বিজেপির পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর উপরেও আক্রমণ হয়েছে বলে জানান তিনি। এই এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যা গরিষ্ঠতায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও আরামবাগের (Hooghly) সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতে প্রধান পদ দখল নিলো বিজেপি। এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য হুগলিতে। উপপ্রধান আসনে তৃণমূল বসলেও, সংরক্ষণের কারণে, প্রধানের আসন হাতছাড়া হলো তৃণমূলের। অপর দিকে প্রধানে বাজিমাত বিজেপির।

    আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েতে কত আসন  (Hooghly)?

    সালেপুর  (Hooghly) পঞ্চায়েতে মোট ১৬ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬ টি আসন জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই পঞ্চায়েত প্রধান আসন দখল নিলো বিজেপি। এখানে ৬ টি বিজেপি পেলেও, ১০ টি আসনে জয়ী হয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তার পরেও সংরক্ষিত আসনের জেরে প্রধান হতে পারেনি তৃণমূল।

    আসন সংরক্ষণ কেমন?

    জানা গেছে, ওই পঞ্চায়েতের  (Hooghly) প্রধান আসন এসটি(ST) ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল  সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন দখল করলেও এসটি এবং মহিলা কেউ জয়ী হতে পারেনি। আর তার জেরেই কম আসন পেয়েও প্রধানের আসনে বসলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী পূর্ণিমা মান্ডি। যদিও উপপ্রধান পদে বসেন তৃণমূলের সত্যজিত চক্রবর্তী। এইদিনে বোর্ড গঠনে পঞ্চায়েতের সামনে জমায়েত হয় প্রচুর বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকরা। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।

    বিজেপির বক্তব্য

    প্রধান বিজেপির হতেই আনন্দে উচ্ছ্বাসে বিজেপি সমর্থকদের। গেরুয়া আবির খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সালেপুর পঞ্চায়েতে  (Hooghly) প্রধান নির্বাচিত হয়ে পূর্ণিমা মান্ডি বলেন যে এলাকায় অনেক কাজ করতে হবে। এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেন এবং পানীয় জলের সমস্যাগুলিকে আগে মেটাতে হবে। যাঁদের ঘর বাড়ি নেই তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষায় জমা জলে ডেঙ্গির প্রভাব থেকে সকলকে সচেতন করতে হবে। জনগণের জন্য সরকারের সকল প্রকল্পের সুভিধা গুলিকে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ব্লকের এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রধান প্রার্থী আদিবাসী সমাজের জন্য সংরক্ষিত। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে এখানে। আমরা তৃণমূল মাত্র ৫ ভোটে পরাজিত হয়েছি। আমাদের তৃণমূল দলের নির্দেশে উপপ্রধান পদের জন্য একজনকে স্থির করা হয়েছে। আগামী দিনে পঞ্চায়েত চালাতে গিয়ে বিজেপি যদি অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের ১০ জন সদস্যদের নিয়েই প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ করব। আশাকরি প্রধান সহযোগিতা করবেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: আইপ্যাকের দেওয়া প্রধানকে অপছন্দ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েতে ঝুললো তালা

    Paschim Medinipur: আইপ্যাকের দেওয়া প্রধানকে অপছন্দ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েতে ঝুললো তালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: না পসন্দ আইপ্যাকের খামবন্দি প্রধানের নাম। সরাসরি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মূল গেটেই তালা ঝোলালো তৃণমূলের যুব সমর্থকরা। ঘটনাকে ঘিরে পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) যুব-মাদার তৃণমূলের মধ্যে তীব্র শোরগোল। তৃণমূলের অঞ্চল যুব নেতৃত্বের দাবি, ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে প্রধানকে। অন্যদিকে ব্লক সভাপতির সাফ জবাব, দলের নির্দেশ মানতেই হবে, না হলে দল ছাড়তে হবে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই দেখা যায়, গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মূল গেটে তালার উপর চেন জড়িয়ে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাত যত বাড়ে, তাকে ঘিরেই তোলপাড় এলাকা। স্থানীয় তৃণমূলের রাজনগর এলাকার যুব নেতার দাবি, ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হোক এবারের প্রধান। অন্যদিকে দাসপুর ১ ব্লক তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি বলেন, দলের যে নির্দেশ তা মানতেই হবে। দল ভোটাভুটিকে অনুমোদন করে না।

    তৃণমূল যুব সম্পাদকের বক্তব্য

    এলাকার (Paschim Medinipur) যুব সম্পাদক প্রবীর মাল বলেন, অঞ্চলের কোর কমিটি আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। আইপ্যাকের সঙ্গে আঁতাত করে এক তরফা নিজেদের কাছের মানুষকে নিয়ে বোর্ড গঠন করেছেন ব্লক সভাপতি। তাই আমরা এই চাপিয়ে দেওয়া প্রধান অর্চনা সামন্তকে মানছি না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমাদের না জানিয়ে রীতিমতো লুকিয়ে এই রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দলে গণতন্ত্র নেই।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    ব্লক সভাপতি (Paschim Medinipur) সুকুমার পাত্র বলেন, সকলের সিদ্ধান্ত পছন্দ নাও হতে পারে। দাসপুর, চন্দ্রকোনাতে ভোটাভুটিতে নির্বাচন হলেও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে তা হবে না। কারণ দলের স্পষ্ট কোনও নির্দেশ নেই। দল যেভাবে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে বলবে, আমরাও ঠিক একই ভাবে সিদ্ধান্ত নেবো। যেহেতু এই পঞ্চায়েতে মহিলা সংরক্ষণ রয়েছে, তাই বোর্ডের প্রধান মহিলাকে করা হয়েছে। আর যাঁরা দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ভোটাভুটি বা নাম প্রস্তাব করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: বোর্ড হাতছাড়া হচ্ছে দেখে এবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র ছিঁড়ে টপাটপ মুখে!

    Panchayat Board: বোর্ড হাতছাড়া হচ্ছে দেখে এবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র ছিঁড়ে টপাটপ মুখে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় গণনা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে ব্যালট খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদারের এমন অভিযোগে চক্ষু চড়ক গাছ হয়েছিল ভোটারদের। শেষে কিনা তাঁদের জনমত পেটে! এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। এবার সেই অবাক করা ঘটনার পুনরাবৃত্তি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Panchayat Board)৷ তৃণমূল সদস্যা এবার খেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ব্যালট নয়। তাঁর পেটে গেল বিজেপি প্রার্থীর জয়ের শংসাপত্র। আর এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনায় তোলপাড় উত্তর দিনাজপুর জেলা৷

    কীভাবে ঘটল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা (Panchayat Board)?

    জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নং কমলাবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন (Panchayat Board) প্রক্রিয়া ছিল। ফলে সকাল থেকেই টান টান উত্তেজনার পরিবেশ ছিল। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় শুরু হয় যাবতীয় প্রক্রিয়া। অথচ বেলা বাড়তেই আচমকা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরে যখন প্রধান নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি চলছিল, তখন হঠাৎ তৃণমূলের এক সদস্যা বিজেপির জয়ী সদস্যর শংসাপত্র হাত থেকে কেড়ে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে টপাটপ মুখে পুড়ে নেন। যা দেখে হতভম্ব হয়ে যান সেখানে উপস্থিত অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এমন ঘটনা মনে করিয়ে দিল গত মাসে সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা কেন্দ্রে ব্যালট খেয়ে নেওয়ার ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যবাসী নিন্দায় মুখর হয়। এবার সেই ছায়া উত্তর দিনাজপুরে পড়ল।

    কী জানালেন বিজেপির সদস্য, কী জবাব দিল তৃণমূল?

    বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল সরকারের অভিযোগ, পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন (Panchayat Board) প্রক্রিয়া যখন শেষ পর্যায়ে, তখন তৃণমূল সদস্য সোনা টোপ্পা তাঁদের এক সদস্যর হাত থেকে শংসাপত্র ছিনিয়ে খেয়ে নেন। বোর্ড হাতছাড়া হতে দেখে এমনই পথ বেছে নেয় তৃণমূল, যাতে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে না পারে৷ কিন্তু তৃণমূলের সেই অপচেষ্টা রুখে দিয়ে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পেরেছে। যদিও বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের সোনা টোপ্প৷ তাঁর দাবি, বিজেপি ভোটাভুটি করতে চাইছিল না। সে কারণে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share