Tag: tmc

tmc

  • TMC Conflict: দলের পুর-চেয়ারম্যানকে ফের অপসারণের দাবি! আন্দোলনে তৃণমূলেরই কাউন্সিলররা

    TMC Conflict: দলের পুর-চেয়ারম্যানকে ফের অপসারণের দাবি! আন্দোলনে তৃণমূলেরই কাউন্সিলররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যানের অপসারণকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) ফের প্রকাশ্যে। পুর চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আগেই পদত্যাগের দাবি জানিয়ে এসেছিলেন সিংহভাগ তৃণমূল কাউন্সিলর। এবার রীতিমতো পথসভা করে পুর-চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তাঁরা। তাঁর পদত্যাগের দাবি জানালেন দলের কাউন্সিলররা। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের নেতৃত্ব।

    ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে মিছিলে নেই পুর-চেয়ারম্যান (TMC Conflict)

    দাঁইহাট পুরসভার মোট ১৪ টি ওয়ার্ড রয়েছে। সবকটিই শাসকদলের দখলে। বিগত একবছর ধরেই পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের একাংশ ক্ষোভপ্রকাশ করে আসছিলেন। সম্প্রতি ভাইস চেয়ারম্যান অজিত বন্দোপাধ্যায় সহ ১১ জন কাউন্সিলর প্রদীপ রায়ের পদত্যাগের (TMC Conflict) দাবিতে অভিযোগ জানিয়ে আসেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমসহ দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। বিগত প্রায় একবছর ধরেই পুরসভার বোর্ড মিটিংগুলিতেও অংশ নেওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন কাউন্সিলরদের একাংশ। সোমবার বিকেলে  একুশে জুলাইয়ের সভার সমর্থনে দাঁইহাটে মিছিল করা হয়। মূলত, ভাইস-চেয়ারম্যান সহ ১১ জন কাউন্সিলর এই মিছিলে ছিলেন। তবে, এই মিছিলে দেখা যায়নি দাঁইহাট শহর তৃণমূলের সভাপতি রাধানাথ ভট্টাচার্য এবং পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়কে। দাঁইহাটের স্টেশনবাজার তৃণমূল কার্যালয় থেকে এই মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় পুরমার্কেটের সামনে। শেষে পথসভা হয়। এই পথসভায় ভাইস চেয়ারম্যান অজিত বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্যের আগাগোড়াই ছিল দলীয় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের দাবি, ” আমি চেয়ারম্যান থাকবো, না কি সরে যাব, সেটা দলই ঠিক করবে। একুশে জুলাইয়ের সমর্থনে প্রচার মিছিলের বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।”

    আরও পড়ুন: রায়গঞ্জে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে সুকান্ত-শুভেন্দুর মিছিলে পড়ল ডিম, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পথসভা করে কী দাবি জানালেন তৃণমূল কাউন্সিলররা?

    ভাইস চেয়ারম্যান (Dainhat) অজিত বন্দোপাধ্যায় বলেন,” আমরা ১১ জন কাউন্সিলর উপস্থিত হয়েছি। বর্তমান চেয়ারম্যান সবাইকে নিয়ে চলতে পারছেন না। চেয়ারম্যানের কাছে এঁরা কেউ সম্মান পান না। মহিলা কাউন্সিলররা সম্মান পাচ্ছেন না বলে তাঁরা চেয়ারম্যানের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। দাঁইহাটের পরিষেবা এখন একদম বন্ধ। রাস্তাঘাট, নর্দমা, ডাষ্টবিন পরিষ্কার করা হয় না। দুর্গন্ধ ছড়ায়। জল দিয়ে পোকা বের হচ্ছে, সেদিকে লক্ষ্য রাখেন না চেয়ারম্যান। আমরা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছি।

    তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব কী বললেন?

     একুশে জুলাইয়ের সমর্থনে প্রচার মিছিল থেকে এভাবে দলেরই চেয়ারম্যানের (Dainhat) পদত্যাগ দাবি ওঠায় অস্বস্তিতে দলের জেলা নেতৃত্ব। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়  বলেন,”দলের মধ্যে ক্ষোভ -বিক্ষোভ থাকলেও দলীয় নেতৃত্বকে জানানো দরকার। এভাবে রাস্তায় এসে ঝগড়া করা দলবিরোধী কাজ। ওরা ভুল করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    CV Anand Bose: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালকে (CV Anand Bose) নানা সময় অসম্মান প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের ছোট-বড় নেতাকেও। কটু কথা বলতে শোনা গিয়েছে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকেও। এবার রাজ্যপালের অফিসকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA Action)। কলকাতার ডিসি এবং ডিসিপি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার প্রেক্ষিতেই পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    রাজ্যপালের চিঠি (CV Anand Bose)

    জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের পাঠানো চিঠিতে নাম গিয়েছিল ডিসি বিনীত গোয়েল এবং ডিসিপি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের। গোয়েল ও মুখোপাধ্যায়কে অপসারণের আর্জি জানিয়ে নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইএএস, আইপিএস ক্যাডার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তথা ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। তার জেরেই পদক্ষেপ হতে চলেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। যদিও দুই পুলিশ কর্তাই জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। রাজ্যের তরফেও এখনও কিছু জানানো হয়নি তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে রা কাড়েনি রাজভবনও।

    বাংলা থেকে সরানোর চক্রান্ত!

    এদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিব গোপালিকার বিরুদ্ধেও আইএসএস কার্যবিধি লঙ্ঘন ও দুর্নীতিতে সাহায্য করা ও উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে রাজ্যপাল এও লিখেছেন, বাংলা থেকে তাঁকে সরাতে চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেই চক্রান্তে শামিল রয়েছেন এই আধিকারিকরাও। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন রাজভবনের এক কর্মী। ওই মহিলা প্রথমে অভিযোগ জানান রাজভবনের অফিসার ইনচার্জের কাছে। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যপাল তাঁকে কু-ইঙ্গিত করছিলেন। সেদিন সন্ধেয় চেম্বারে ডেকে পাঠিয়ে অশালীন আচরণ করেন বলেও অভিযোগ। রাজভবনের অফিসার ইনচার্জের কাছে অভিযোগ জানানোর পর তিনি সটান চলে যান হেয়ারস্ট্রিট থানায়।

    আর পড়ুন: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা না গেলেও, অভিযোগকারিণীর বয়ানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করতে (MHA Action) শুরু করে কলকাতা পুলিশ। এর পরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট ডিসির বিরুদ্ধে ‘অল ইন্ডিয়া সার্ভিসেসে’র অফিসারদের আচরণবিধি সংক্রান্ত শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bogtui: ফের খবরে বগটুই! মাটির নীচে মিলল জার ভর্তি বোমা, শোরগোল

    Bogtui: ফের খবরে বগটুই! মাটির নীচে মিলল জার ভর্তি বোমা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরে বীরভূমের বগটুই (Bogtui) গ্রাম। এই গ্রামে জার ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়েছে। মাটি চাপা দেওয়া ছিল জারটি। বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে ১০০ ফুটের মধ্যে এই বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়। শনিবার রামপুরহাট থানার পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কীভাবে মিলল বোমা?(Bogtui)

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২১ মার্চ বগটুই (Bogtui) গণহত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তার প্রায় আড়াই বছর পর সেই গ্রামে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ২০২২ সালের ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন মিহিলাল শেখ। বগটুইকাণ্ডে তিনি হারিয়েছিলেন স্ত্রী, মা ও সন্তানকে। পরে, বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটেও লড়েন পদ্ম প্রতীকে। বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে মিহিলাল শেখের আত্মীয় ফটিক শেখের বাড়িও আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মিহিলাল ও ফটিকের বাড়ির অদূরে প্লাস্টিকের জারে বোমাগুলি রাখা ছিল। অভিযোগ, অন্ধকারে কেউ মাটি খুঁড়ে এই জার রেখে যায়। শনিবার সেখানে গাছ বসানোর সময় মাটি গর্ত করতে গেলে তা নজরে আসে। এরপরই রামপুরহাট থানায় তা জানানো হয়। রামপুরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডেও।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দা মিহিলাল শেখ বলেন, “এর আগেও বোমা (Bomb) উদ্ধার হয়েছে। খুবই স্পর্শকাতর এলাকা। এর আগেও তো এ গ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমার পরিবারকে আগুন লাগিয়ে শেষ করা হয়েছে। আমার পুরো পরিবারকে শেষ করেছে। এখন এ গ্রাম তৃণমূলেরই হাতে। গ্রাম, পঞ্চায়েত সবই ওদের হাতে। সেখানে বোমা (Bomb) উদ্ধার হলে সেটাও দেখতে হবে। এটা নিয়ে নতুন করে আর কী বলব। তবে প্রশাসন এখন যথেষ্ট সজাগ। কোথাও কোনও ঝামেলা যাতে না হয় সেদিকে নজর রয়েছে। আমরা এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: “যাঁরা ইসলাম ধর্মে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা”, ‘হাকিমি’ মন্তব্যে তোপ বিজেপির

    Firhad Hakim: “যাঁরা ইসলাম ধর্মে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা”, ‘হাকিমি’ মন্তব্যে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি সাধারণ কোনও মানুষ নন, তিনি কলকাতার মেয়র (Firhad Hakim)। রাজ্যের মন্ত্রীও বটে। আজ্ঞে হ্যাঁ, তৃণমূল পরিচালিত মন্ত্রিসভার সদস্য ফিরহাদ হাকিমই দিন তিনেক আগে ‘অল ইন্ডিয়া কোরান কম্পিটিশনে’ কথাগুলি বলেছিলেন বলে অভিযোগ। রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন ‘অপমানজনক’ ও ‘বিভাজনমূলক’ কথাবার্তায় হইচই রাজ্যজুড়ে। এই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই নেতা বলেন, “যাঁরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা। তাঁরা দুর্ভাগ্য নিয়েই জন্মেছেন। তাঁদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করতে হবে আমাদের।”

    ফিরহাদকে তোপ সুকান্তের (Firhad Hakim)

    ফিরহাদের এহেন মন্তব্যে হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ফিরহাদ হাকিম যে মন্তব্য করেছেন, সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। (উনি) ইঙ্গিত দিয়েছেন যে যাঁরা মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি, তাঁরা দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। (আর ইঙ্গিত করেছেন যে) আল্লাহকে খুশি করার উপায় হল ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়া। এই মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর এবং বিভাজনকারী। এই ধরনের মন্তব্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্যের নীতি ক্ষুণ্ণ হয়।”

    বিস্ফোরক মালব্যও

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “তৃণমূল যে বাংলায় চূড়ান্তভাবে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে, তা ওপেন-সিক্রেট। পার্টির (পড়ুন, তৃণমূলের) এই নিরন্তর তু্ষ্টিকরণের রাজনীতির উদাহরণ এটি। নির্বাচনে জয় এবং নির্বাচনোত্তর হিংসাই তৃণমূলকে সাহসী করে তুলেছে। তাই এরা আগের চেয়েও বিস্ফোরক সব মন্তব্য করছে।

    আর পড়ুন: ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মাসুদ, কেমন হবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক?

    তৃণমূলের জেসিবির সেই তরুণকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারের ঘটনা শারিয়া আইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই ঘটনাকে আবার সমর্থন করেছেন চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুর রহমান। এই কাজ একটি মুসলিম রাষ্ট্রে পরিচিত ঘটনা। এই ঘটনা তৃণমূলের লুকোনো অ্যাজেন্ডার বহিঃপ্রকাশ। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও প্রকাশ করে ফেললেন দলের লুকোনো অ্যাজেন্ডা (Firhad Hakim)।…”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রামপুরহাটের স্কুলে শুক্রবার স্পেশাল ‘টিফিন ব্রেক’ কোন ছাত্রদের জন্য? সরব সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রামপুরহাটের স্কুলে শুক্রবার স্পেশাল ‘টিফিন ব্রেক’ কোন ছাত্রদের জন্য? সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের রামপুরহাট জীতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের একটি নোটিশকে কেন্দ্র করে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। স্কুল তার পড়ুয়াদের জন্য এই ধরনের নোটিশ দিতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিতর্কিত এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদরও (Sukanta Majumdar)।

    কী রয়েছে নোটিশে? (Sukanta Majumdar)

    রামপুরহাট জীতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনে ২৯ জুন জারি করা নোটিশকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ জারি করে নির্দেশ দিয়েছে, শুক্রবার দুই দফায় টিফিন ব্রেক দেওয়া হবে স্কুলে। প্রথম ব্রেক বেলা ১২:১০ মিনিট থেকে ১ :১০ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয় ব্রেক অন্যান্য দিনের মতোই বেলা ১: ৪৫ মিনিটে শুরু হয়ে ২:২০ তে শেষ হবে। আর এই নোটিশকে উল্লেখ করেই রাজ্য বিজেপির ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজো করতে দেন না, সেই রাজ্যেই মুসলিম ছাত্রদের জন্য শুক্রবার বেলা বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত স্পেশাল টিফিন আওয়ারের ব্যবস্থা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এই সময়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা নমাজ পড়তে মসজিদে যায়। সেই সময় ছাত্র-ছাত্রীদের নমাজের সুবিধা করে দিতে এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপি (BJP)।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুক্রবার বিশেষ টিফিনের নির্দেশ নিয়ে সরব সুকান্ত

    আর এর বিরুদ্ধে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পার্টি অফিসে ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১২৪ তম জন্ম জয়ন্তী পালন অনুষ্ঠানে মুখ খুলেছেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, স্কুলে এই ধরনের নির্দেশিকার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের সকলের সমান অধিকার। সকলের জন্যই সমানভাবে চলবে। স্কুলে যে কারণে ইউনিফর্ম বা ড্রেস কোড চালু রয়েছে। এই ধরনের নির্দেশ বা সিদ্ধান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: টানা ৩ বছর সহবাস করেও অস্বীকার! তৃণমূল কাউন্সিলরের কুকীর্তি ফাঁস যুবতীর

    Barrackpore: টানা ৩ বছর সহবাস করেও অস্বীকার! তৃণমূল কাউন্সিলরের কুকীর্তি ফাঁস যুবতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ তিন বছর ধরে সহবাস করেছেন তৃণমূল নেতা। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা ভঙ্গ করেছেন। চাঞ্চল্যকর অভিযোগটি উঠেছে উত্তর বারকপুর (Barrackpore) পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শাসকদলের কাউন্সিলর (TMC Councilor) প্রসূন সরকার ওরফে শুভদীপ সরকারের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, যুবনেতা দেবরাজ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যদিও তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে অভিযোগে তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে। এলাকায় শোরগোল পড়েছে।

    অভিযোগকারিণী মহিলার বক্তব্য (Barrackpore)

    অভিযোগকারিণী মহিলা বলেছেন, “গত তিন বছর আগে তৃণমূল কাউন্সিলর (Barrackpore) প্রসূনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। প্রথমে কাউন্সিলর প্রেমের প্রস্তাব দেন কিন্তু তাতে আমি রাজি না হলে আমাকে ব্যাপক ধমক-চমক দেন। এরপর সম্পর্ক করতে চেয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে আমি সম্পর্কে রাজি হই। পরবর্তীতে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। আমাদের মধ্যে দুজনের ঘনিষ্ঠতার অনেকটা বেড়ে যায়। আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বেশ কয়েকবার সহবাসও করে ওঁই কাউন্সিলর। এরপর পরবর্তী সময়ে তাঁর ফোন থেকে জানতে পারি, তিনি বিবাহিত এবং তাঁর একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বাচ্চার পরিচয় জানতে চাইলে অস্বীকার করেন তিনি। আমি জানতে পারি আগেও তিনি ৩টি বিয়ে করেছেন, আমি ৪ নম্বর হতে পারতাম। তাঁর পরিবারে জানালে, পরিবারের লোক আমাকে গুরুত্ব দেননি। এরপর আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের বিচার চাই।”

    আরও পড়ুনঃ “নরেন্দ্র মোদি শ্রীরামচন্দ্রের অবতার”, ছবিতে দুধ ঢেলে পুজো করা হল বর্ধমানে

    তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবারের বক্তব্য

    শুক্রবার দুপুরে নির্যাতিতা তরুণী বারাকপুর (Barrackpore) মহিলা থানায়, ওঁই তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপর দিকে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা বলেছেন, “একটি মেয়ে, প্রসূনের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন কিন্তু এসব একতরফা অভিযোগ। আমার ছেলে বিবাহিত, ওঁর একটা ছেলে সন্তান আছে। ওঁই মেয়ের অভিযোগের ভিত্তি নেই। মেয়েটির মানসিক চিকিৎসা করা দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় দলের পুর-চেয়ারম্যানে অনাস্থা! পদত্যাগ করলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর

    Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় দলের পুর-চেয়ারম্যানে অনাস্থা! পদত্যাগ করলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) তৃণমূল পরিচালিত বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই ১২ জন কাউন্সিলর এর আগে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। যদিও কাউন্সিলরদের দাবি মেনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে এবার পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন বাঁশবেড়িয়ার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ভোটে তৃণমূল হারতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! (Hooghly)

    লোকসভা ভোটে বাঁশবেড়িয়া (Hooghly) পুরসভা এলাকায় সাড়ে ১১ হাজার ভোটে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। তারপরই দেখা যায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, যারা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, তাঁরা মিটিং ডাকেন না। তাই প্রথম বোর্ড মিটিংয়ে বিভিন্ন দফতরের ৬ ‘টি স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরি হলেও তা নিষ্ক্রিয়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার শাসকদলের কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বারবার এই ধরনের পদক্ষেপ করায় দল বিড়ম্বনায় পড়ছে বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মীরা। এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “চেয়ারম্যান আমাদের কথা শোনেন না। নিজের পছন্দের কয়েকজন লোক দিয়ে কাজ করান। আমাদের কোনও গুরুত্ব দেন না। চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে নিজেদের ওয়ার্ডে পরিষেবা দিতে পারি না। যার ফলে লোকসভা ভোটে আমাদের হার হয়েছে। এমনকী আমরা কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার কোনও কাজ করতে পারছি না। স্ট্যান্ডিং কমিটি আমাদের কাছে অলঙ্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও মিটিং হয় না। যা কিছু সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান নিজেই নেন।” কাউন্সিলর (Trinamool Congress) প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, “তিনটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মাথায় রয়েছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, তিনিও কোনও মিটিং ডাকেন না। সমস্ত বিষয়ে আমরা দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছি, তারা নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ! গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তি

    Bankura: তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ! গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে ২৯টি আসন পেয়ে রাজ্যে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু তবুও দলের মধ্যে কোন্দল যেন থামছেই না। জেলায় জেলায় একাধিক গোষ্ঠী কোন্দলের খবর উঠে এসেছে। এবার বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা ব্লকের তৃণমূল কার্যালয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ উঠেছে। কার্যালয়ে (TMC office) ঢুকে রীতিমতো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে দলের কর্মীরাই। ঘটনায় মূল অভিযোগের তির তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ খাঁ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।

    মিছিল এবং পাল্টা মিছিলে উত্তাল (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের ২১ জুলাই নিয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ওন্দার ওই তৃণমূলের কার্যালয়ে। কিন্তু এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অরূপ খাঁ এবং ওন্দার ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম কুমার বীটের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। রীতিমতো দুই তৃণমূল নেতার অনুগামীদের মধ্যে মিছিল এবং পাল্টা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুই মিছিল পরস্পর মুখোমুখি হলেই সাময়িক ভাবে উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো পুলিশ (Bankura) ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়।

    লাঠি, ইট, পাথর ছুড়ে আক্রমণ

    পুলিশ সাময়িক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিলে আবার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পক্ষ, আরেক পক্ষকে চেয়ার, লাঠি, ইট, পাথর ছুড়ে আক্রমণ করে। এরপর চলে কার্যালয়ে ব্যাপক (TMC office) ভাঙচুর। তবে অবশেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু দুই পক্ষকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর দিতে চাননি কেউই। অপরে জেলা (Bankura) তৃণমূলও তীব্র অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ রানিগঞ্জের সিয়ারসোল রাজবাড়ির রথযাত্রা ১৫০ বছরের পুরাতন, জানুন তার ইতিহাস

    আগেও হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল

    তৃণমূলের জেলায় জেলায় (Bankura) গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত। গত এক সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জায়গায় তৃণমূলের নবীন এবং প্রবীণ নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। পুরুলিয়া লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো দলের কোন্দল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের গলায় দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য শোনা গিয়েছে। কামারহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর নিজে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোলাবাজির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। একই সঙ্গে বারাকপুর তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক দলের কর্মীদের তোলাবাজির বিরুদ্ধে বলেছেন যে কেউ ১ টাকা চাইলে জেলে ঢোকাবো। ফলে শাসক দলের অন্দরে কোন্দল এবং বিস্ফোরক মন্তব্যের কারণে চরম অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পোলিং এজেন্টকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার হাতে থেকে বাদ যাননি পোলিং এজেন্টের স্ত্রী এবং পুত্র। শনিবার ভোরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরের চৌহাটি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম গোবিন্দ অধিকারী। গোবিন্দের স্ত্রী নমিতা অধিকারী এবং পুত্র গৌরব অধিকারীও গুরুতর জখম হন। প্রথমে তিন জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এম আর বাঙুর হাসপাতালে। পরে, সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে কুকুর মারা নিয়ে বিজেপি কর্মী গোবিন্দ অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সুভাষ দেবনাথের  ঝামেলা হয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে তিক্ততা বৃদ্ধি পায়। শনিবারের রাজনীতির কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে, না এর সঙ্গে কুকুর নিয়ে ঝামেলার যোগ রয়েছে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। শনিবার ভোর ৩টের পর বিজেপি কর্মীর বাড়িতে (South 24 Parganas) দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে এবং পুত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। বাড়িতে গোবিন্দের কন্যাও ছিলেন। তবে তাঁর ওপর হামলা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আটক করা হয়েছে আক্রান্তদের প্রতিবেশী সুভাষ দেবনাথ এবং তাঁর পুত্র সুমিত দেবনাথকে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা দেবনাথ চক্রবর্তী বলেন, “ভোটে গোবিন্দ আমাদের দলের পোলিং এজেন্ট হয়েছিলেন। আমাদের ওয়ার্ডে বিজেপি (BJP) এগিয়েও ছিল। যাঁরা গোবিন্দদের মেরেছেন, তাঁরা তৃণমূল করেন। সন্ত্রাস করতেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।” অন্যদিকে,তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব পুরোহিত বলেন, “একটি কুকুর মারাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছিল। সুভাষ দেবনাথের নামে গোবিন্দ অধিকারী মামলা করেছিল। সোনারপুর থানা বিষয়টি দেখেছে। শনিবার ভোরে আমার কাছে ফোন আসে গোবিন্দ এবং তাঁর পরিবারকে চপার দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে শুনেছি। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। দুই পরিবারের বিবাদ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jute Mill: বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল, কাজ হারালেন সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক

    Jute Mill: বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল, কাজ হারালেন সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল (Jute mill) । শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে সাসপেনশনের নোটিশ দেখতে পান। এরপরই কারখানার গেটের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ হারালেন।

    কী কারণে বন্ধ করা হল মিল? (Jute mill)

    জানা গিয়েছে, আচমকা সাময়িক সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা বন্ধের নোটিশ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বন্ধের নোটিশে উৎপাদনের ঘাটতিকেই দায়ী করেছে মালিক পক্ষ। নোটিশে লেখা রয়েছে, এস ফোর তাঁত বিভাগের শ্রমিকদের একাংশ ঠিকমতো কাজ করছেন না। হেল্পারদের কাজে লাগিয়ে তারা দীর্ঘক্ষণ টিফিনের জন্য সময় ব্যয় করে।  এতে উৎপাদন ঘাটতি হচ্ছে। শ্রমিকরা বলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই মিল (Jute mill) কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে মিল খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আমরা আন্দোলনে নামব।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, জুটমিলে স্থায়ী শ্রমিকের বদলে অস্থায়ী শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন। তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে মিলে কাজের পরিবেশ নষ্ট করছে। ফলে, মিল কর্তৃপক্ষ এসব শ্রমিক নিয়ে মিল চালাতে পারছে না। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার অনেক অর্ডার দিচ্ছে। ঠিকা শ্রমিকরা কাজ করতে চাইছে না। রাজ্য সরকারের উদাসীনতা এরজন্য দায়ী। তৃণমূল বিধায়ক (Jagaddal) সোমনাথ শ্যাম বলেন,  মিলে মালের অর্ডার নেই। তাই সাময়িক বন্ধ রেখেছেন মালিক পক্ষ। অর্ডার মিললে ফের ঠিকমতো মিল চলবে। আসলে এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। আর কোনও কারণ নেই। অর্ডার না থাকায় কোনও মিল (Jagaddal) সাত দিন চলছে না। যত দিন যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার অর্ডার কমিয়ে দিচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share