Tag: tmc

tmc

  • Chandranath Sinha: সম্মতি মিলল রাজ্যপালের, আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথকে

    Chandranath Sinha: সম্মতি মিলল রাজ্যপালের, আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption) রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha) বিরুদ্ধে আদালতে যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার আদালতে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মন্ত্রীকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ইডি আদালতে সশরীরে উপস্থিত থেকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সংবিধানের নিয়ম (Chandranath Sinha)

    প্রসঙ্গত, চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে আদালতে আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় আদালতে তা গৃহীত হয়নি। কারণ, সংবিধান অনুযায়ী কোনও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে রাজ্যপালের সম্মতি জরুরি। এই প্রক্রিয়ার অভাবেই ঝুলে ছিল মামলাটি। শেষমেশ রাজভবনের অনুমোদন মেলায় বুধবার কাটল জট। রাজ্যপালের অনুমোদন মানেই রাজ্যের কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল। তার পরেই মন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ আদালতের। জানা গিয়েছে, এই মামলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু-সহ বেশ কয়েকজনকে। তাই তাঁদেরও এই চার্জশিটের কপি পাঠাতে হবে। কারণ তাঁরাও বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। এবার সেই তালিকায়ই যুক্ত হলেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।

    প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলা

    ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে বলাগড়ের তৃণমূলের যুবনেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে উঠে আসে চন্দ্রনাথের নাম। তাঁর বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি অভিযানও চালিয়েছিল ইডি। এই অভিযানে মন্ত্রীর বাড়ি (Chandranath Sinha) থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই টাকার কোনও হিসেব দিতে পারেননি মন্ত্রিমশাই। এদিকে, তাঁর অ্যাকাউন্টে থাকা দেড় কোটি টাকা সম্পর্কে ইডির অনুমান, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই টাকা জমা পড়েছিল। জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা থাকা এই টাকার উৎস কী, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। চলতি মাসের শুরুতে কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন ইডির আধিকারিকরা। তাতেই রাজ্যপালের সিলমোহর পড়ায় মন্ত্রীকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ।

    দু’-দু’বার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ

    প্রসঙ্গত, এর (Recruitment Corruption) আগে দু’-দু’বার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। দিন কয়েক আগে ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন তিনি। এবার এল আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ। মূলত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরুর পর থেকেই নানা স্তরে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন, বেআইনি নিয়োগ, সুপারিশ এবং ক্ষমতার (Chandranath Sinha) অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে আসে। তদন্তে ইডি এবং সিবিআই নানা সময় বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল অর্থ নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয় জনমানসে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই ছিল দুর্নীতিতে ভরা এবং রাজ্যের শাসক দলের একাংশের সক্রিয় মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি করা সম্ভব ছিল না (Recruitment Corruption)।

    প্রশ্ন হল, পার্থর মতো কারামন্ত্রীরও (Chandranath Sinha) কি ঠাঁই হতে চলেছে গারদের ছোট্ট কুঠুরিতে?

  • Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর ডাক পেয়েও ২২ অগাস্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মমতা, ভোট ব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। সৌজন্য দেখিয়েছে কেন্দ্রও। তবে ‘পাছে লোকে কিছু বলে’! তার ওপর আবার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করার খেসারত দিতে হতে পারে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে। তাই ডাক পেয়েও ২২ অগাস্ট কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত সূত্রের খবর এমনই। এদিন দমদমে মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ১৪ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আমন্ত্রণপত্রে রেলমন্ত্রী লিখেছেন, “যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে আয়োজিত কর্মসূচিতে আপনাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমরা বিনীতভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।”

    যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

    তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কিছু রাজনৈতিক ও প্রাসঙ্গিক কারণেই এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার গ্রিন লাইনের শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড অংশ, অরেঞ্জ লাইনের হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি ক্রসিং)- বেলেঘাটা অংশ এবং ইয়োলো লাইনের নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ বিমানবন্দর (বিমানবন্দর) অংশে মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একই সঙ্গে তিন মেট্রো লাইনের উদ্বোধন এবং তার সময় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল। তাদের দাবি, আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করা হচ্ছে। যদিও রাজ্য বিজেপির তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ। তারা মেট্রো প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ার জন্য দায়ী করেছে রাজ্য সরকারকে।

    শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতার অভাবের কারণেই ইস্ট-ওয়েস্ট (গ্রিন লাইন)-সহ বাংলায় ৪৩টি রেল প্রকল্প বিলম্বিত হয়েছে। এই কারণে চিংড়িঘাটায় অরেঞ্জ লাইনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তা না হলে এটিও এতদিনে সল্টলেক সেক্টর-৫ এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যেত।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার পরেও কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে চাইছেন না মমতা? এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। আসুন, একে একে জেনে নিই সেগুলি (Mamata Banerjee)।

    ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতার দল

    প্রথমত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে বিপাকে পড়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র সদস্য তাঁর দল (PM Modi)। এই ‘ইন্ডি’ জোটেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসও। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করে ফের ‘ইন্ডি’ জোটের সদস্য দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়তে চাননি মমতা। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে উপস্থিত থাকার পরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে তিনি আর বিভিন্ন রেলপ্রকল্প নিয়ে ‘গালগপ্পো’ করতে পারবেন না। বরং প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত থাকলে ভোট প্রচারে বেরিয়ে বুক বাজিয়ে তিনি বলতে পারবেন, এসব প্রকল্পই আমার করা। এতদিনে রূপায়ণ করা হচ্ছে। প্রচারে ফের একবার নিজের ঢাক নিজেই পেটাতে পারবেন মমতা।

    নজরুল মঞ্চে অসন্তোষ

    তৃতীয়ত, এর আগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের আচরণ সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। রাগ সামলাতে না পেরে মঞ্চেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ফের যাতে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করবেন না তিনি। চতুর্থত, মমতার প্রশাসনিক সভায় আজ পর্যন্ত ঠাঁই হয়নি কোনও বিরোধী জনপ্রতিনিধির। পাছে কোনও অপ্রিয় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তাই আমন্ত্রণ জানানো হয় না তাঁদের (PM Modi)। ওয়াকিবহালের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় মমতার অনুপস্থিত থাকার এটাও একটা কারণ (Mamata Banerjee)।

    ভোটব্যাঙ্কে থাবা পড়ার ভয়

    সর্বোপরি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে ছাব্বিশের নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের বিরাগভাজন হতে হতে পারে মমতাকে। ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে তিল তিল করে মুসলিম-প্রীতির যে মুখোশ তিনি তৈরি করেছেন এবং পরেও রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করলে পাছে তা খসে যায়, তাই আমন্ত্রণ পেয়েও (PM Modi) রেলের ওই অনুষ্ঠানে হাজির না হওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)।

    ‘সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ’!

  • Birbhum News: নয়ডায় ভুয়ো থানা খুলে শ্রীঘরে একদা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা, নাম জড়িয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতেও

    Birbhum News: নয়ডায় ভুয়ো থানা খুলে শ্রীঘরে একদা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা, নাম জড়িয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum News) বিভাস অধিকারী ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাঁর নাম জড়িয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে। এবার উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় আস্ত একটা ভুয়ো থানা খোলার জন্য গ্রেফতার করা হল বীরভূমের এই প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে (Bivas Adhikari)। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও পাঁচজনকে। রয়েছে তাঁর ছেলেও। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে নয়ডায় একটা অফিস খুলে প্রতারণা চালাচ্ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। একদা তৃণমূল নেতার এই অফিসের সামনে বোর্ড লাগানো ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’।

    ভুয়ো আধিকারিক সেজে লোকের কাছে টাকা তুলত (Birbhum News)

    শুধু তাই নয়, লোকজনকে তাঁরা আন্তর্জাতিক তদন্তকারী সংস্থার অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং সে ক্ষেত্রে তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো পরিচয়পত্র। কী না হত না! পুলিশ অফিসার, আবার কখনও বা তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক সেজে মানুষকে ভয় দেখানো হত, আর এরপরে টাকা তোলা হত। গোপন সূত্রে এই খবর পায় পুলিশ। তারপরেই তারা অভিযানে নামে। এরপরেই গ্রেফতার করা হল একদা তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারী এবং তাঁর ছেলে সহ ছয় অভিযুক্তকে।

    তৃণমূল ছেড়ে খুলেছিলেন সর্বভারতীয় আর্য মহাসভা নামের সংগঠন

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের (Birbhum News) নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি ছিলেন বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari)। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম উঠে এসেছিল তাঁরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বিভাস অধিকারীকে। পরে অবশ্য তৃণমূল ছেড়ে সর্বভারতীয় আর্য মহাসভা নামে একটি নতুন দল গঠন করেন বিভাস অধিকারী। আসলে একদা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকা মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পর এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিভাসের নাম উঠে আসে। মানিক ভট্টাচার্যের ফ্ল্যাটে যখন তল্লাশি চালানো হয় (Birbhum News), তখনই ইডি তদন্তকারীদের হাতে আসে বিভাস অধিকারীর নাম। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল যখন গ্রেফতার হন, তখনই তৃণমূল ছেড়ে দেন বিভাস অধিকারী। নয়ডার একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ করার কাজ করত এবং সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াত। দেখা গিয়েছে, জাতীয়-আন্তর্জাতিক কিছু জাল নথি এবং পুলিশের লোগোও তারা ব্যবহার করত প্রতারণার কাজে।

    কী বলছেন সেন্ট্রাল নয়ডার ডিসিপি

    সেন্ট্রাল নয়ডার ডিসিপি শক্তি মোহন অবস্থি বলেন, “এরা সকলেই গত ৪ জুন তাদের ভুয়ো অফিস খোলার জন্য একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল ৷ সেখানে একটি বোর্ড লাগিয়ে এক সপ্তাহ ধরে কাজও করছিল। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে দেখা যায়, তারা ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’-এর নামে নিজেদেরকে সমান্তরাল পুলিশ ব্যবস্থা হিসেবে তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করছিল।”ডিসিপি আরও বলেন, “অভিযুক্তদের ব্যবহৃত পুলিশের লোগোটি আসলটির সঙ্গে অনেকাংশেই মিলে যায় ৷ তাদের লোগোর কোনও কপিরাইট, ট্রেডমার্ক বা রেজিস্টেশন পাওয়া যায়নি ৷ মূলত মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই লোগো ব্যবহার করেছে তারা।” উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, এদের কাছ থেকে ১৭টি স্ট্যাম্প, নয়টি মোবাইল ফোন, নয়টি পরিচয়পত্র, ছয়টি চেক বই, একটি প্যান কার্ড, একটি ভোটার আইডি কার্ড, ছয়টি এটিএম কার্ড, তিনটি ভিজিটিং কার্ড, মন্ত্রক থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট, কম্পিউটার এবং চারটি আন্তর্জাতিক পুলিশ এবং অপরাধ তদন্ত ব্যুরোর বোর্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: “বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকলে, আমি মর্গে থাকতাম,” কোচবিহারে কনভয়ে হামলায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকলে, আমি মর্গে থাকতাম,” কোচবিহারে কনভয়ে হামলায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি যদি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতাম, তাহলে মর্গে থাকতাম।” মর্মস্পর্শী কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। কোচবিহারে কনভয়ে হামলার ঘটনায় গর্জে উঠলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এর শেষ দেখে ছাড়ব।” ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে আসা উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) আক্রমণ শানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি মমতাকে হারানো লোক। সত্যিকারের সনাতনী হয়ে থাকলে, এর হিসেব আমি নেব। বদলও হবে, বদলাও হবে। উদয়ন গুহ, তোমার সঙ্গে আমার হিসেব হবে।” তিনি বলেন, “গতকাল গভীর রাতে রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপিকে মেল করে বিচারপতি মান্থার ২টি অর্ডার জানিয়ে সমস্ত তথ্য দিয়ে এসেছি। বাগডোগরা থেকে সকাল ১০টায় কোচবিহারের উদ্দেশ যাত্রা করি। শ্রাবণ মাস, বাবা মহাদেবের আশীর্বাদ, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এসেছি।”

    মমতাকে হারিয়েছি, তাই এত রাগ (Suvendu Adhikari)

    এর পরেই তিনি বলেন, “মমতাকে হারিয়েছি। তাই ওদের এত রাগ। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে এসেছি। বাংলাদেশ থেকে হু হু করে লোক ঢোকাচ্ছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যেই খাগড়াবাড়ি ঢুকেছি, অমনি উন্মত্ত হায়নার দল, উদয়ন গুহের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমি যদি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতাম, তাহলে আমার মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে ফুল দিতে হত আপনাদের। প্রত্যক্ষ খুনি যদি উদয়ন গুহ হন, তাহলে পরোক্ষ রাজীব কুমার। এর শেষ দেখে ছাড়ব।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি মমতাকে হারানো লোক। সত্যিকারের সনাতনী হয়ে থাকলে, এর হিসেব আমি নেব। বদলও হবে, বদলাও হবে। উদয়ন গুহ, তোমার সঙ্গে আমার হিসেব হবে।” এসআইআর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “কোনও হিন্দুর সমস্যা হবে না, কোনও রাজবংশীরও সমস্যা হবে না। একটাও বাংলাদেশি মুসলমান, রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় থাকবে না।”

    শুভেন্দুর কনভয়ে হামলা

    প্রসঙ্গত, বিজেপি বিধায়কদের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় পৌঁছন তিনি। পরে রওনা দেন কোচবিহারের উদ্দেশে। শুভেন্দুর কনভয় খাগড়াবাড়িতে পৌঁছতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয়, গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। শুভেন্দুর গাড়ির কাচও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “গাড়ির সামনের কাচ ভাঙতে পারেনি। পাথর দিয়ে পিছনের কাচ ভেঙেছে। এটা তো সাধারণ গাড়ি নয়। কনভয়ে হামলা নয়, মেরে ফেলার জন্যই পাথর ছুড়েছিল। বুলেটপ্রুফ গাড়ি না থাকলে, কিছু থাকত নাকি (Udayan Guha)!”

    জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু

    জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু। তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতার কনভয়ে হামলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, পুলিশি নিরাপত্তা ঢিলেঢালা ছিল। কোচবিহারে হামলার মুখে পড়ার পর শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজিপিকে চিঠি দিচ্ছেন। নিরাপত্তা নিয়ে আদালতের নির্দেশ মনে করিয়েই চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সোমবারই শুভেন্দুর আইনজীবী অনীশ মুখোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশের ডিজিপি, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে চিঠি দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ মেনেই কর্মসূচি করেছেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই নির্দেশ ঠিকঠাক কার্যকর হয়নি বলেই অভিযোগ। জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তার অধিকারী একজন রাস্তা গিয়ে গেলে কীভাবে চারপাশে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।

    ভাইপোর নির্দেশে মেরে ফেলার জন্য হামলা

    এদিন শুভেন্দু বলেন, “ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মেরে ফেলার জন্য হামলা চালানো হয়েছিল। ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, উদয়ন গুহ আক্রমণ করেছেন।” রাজ্যের (Udayan Guha) বিরোধী দলনেতার দাবি, এই হামলার পেছনে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এনে কাঠের ডান্ডা ও পাথর দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই তাঁর কনভয়ে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে।

    কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “যখন কোচবিহারে আমাদের (Suvendu Adhikari) গাড়ি ঢোকে, তখন খুব ভালো করেই জানতাম, উদয়নবাবুর এই ধরণের পরিকল্পনা আছে। উনি স্থানীয় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে বসে রয়েছেন।  সেখানেই আমাদের কনভয় থামানো হয়।” তিনি বলেন, “আমরা বারংবার আমাদের দেহরক্ষীদের বলে দিয়েছিলাম, ওরা যা করে করুক, গাড়ি ভেঙে ফেলে, ফেলুক। আপনারা গাড়ি থেকে নামবেন না। বা কোনও ধরণের প্ররোচনায় পদক্ষেপ করবেন না। তা-ই হয়েছে। একেবারে গাড়ির ভিতর থেকে ভিডিও আছে (Suvendu Adhikari)।”

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও

    Calcutta High Court: সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তিন বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ।

    শাহজাহানের আবেদনের গ্রহণযোগ্যতাই নেই (Calcutta High Court)

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতাই নেই। গত ৩০ জুন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ। সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তাকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশও দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৮ জুন খুন হন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। নিখোঁজ হয়ে যান দেবদাস মণ্ডল। যদিও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দেবদাসকেও খুন করা হয়েছে। খুনের অভিযোগ ছিল শেখ শাহজাহানের এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে। আদালতের দ্বারস্থ হন প্রদীপ মণ্ডলের স্ত্রী পদ্মা ও দেবদাসের স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল গায়েন। সেই মামলায়ই এই নির্দেশ দেয় আদালত।

    চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল শাহজাহানের নাম

    জানা গিয়েছে, এই খুনের মামলায় প্রথমে যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে নাম ছিল শাহজাহানের। পরে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে যাওয়ার পর চার্জশিট থেকে বাদ যায় শাহজাহানের নাম। ২০২২ সালেও একটি খুনের মামলায় চার্জশিটে ছিল শাহজাহানের নাম। সেবারও জামিন পেয়ে (Calcutta High Court) যান তিনি। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির অঘোষিত শাসক হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের শাহজাহান ইতিমধ্যেই রেশন কেলেঙ্কারি ও ইডি অফিসারদের ওপর হামলার মামলায় জেলবন্দি। প্রায় দু’মাস গা-ঢাকা দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপর প্রথমে সিবিআই এবং পরে ইডি দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই হেফাজতে নেয় তাঁকে। এই অবস্থায় আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখায় শাহজাহানের রক্তচাপ যে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য (Sandeshkhali)।

    মৌরসি পাট্টায় পরিণত করেছিলেন শাহজাহান

    সন্দেশখালিকে কার্যত নিজের মৌরসি পাট্টায় পরিণত করেছিলেন শাহজাহান। তিনি ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতিও তিনিই। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৩ সালে এই শাহজাহানই করতেন সন্দেশখালি-সরবেড়িয়া রুটের ট্রেকারের হেল্পারি। তাঁর মামা ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। সেই সূত্রে বাম আমলে ভেড়ির ব্যবসায় পা রেখেছিলেন শাহজাহান। স্থানীয়দের একাংশের আবার অভিযোগ, শাহজাহান বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। সন্দেশখালির মাছের ভেড়ির রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি (Calcutta High Court) প্রথমদিকে তিনি শোনা যায় গরিবদের সাহায্যও করতেন। তখনও শাহজাহান হয়ে ওঠেননি ‘সন্দেশখালির বাঘ’। বাম জমানার একেবারে শেষের দিকে স্থানীয় বিধায়ক অনন্ত রায়ের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন শাহজাহান। শোনা যায়, সেই সময় থেকেই তিনি হাত পাকিয়েছিলেন কাঠ ও গরু পাচারে। মানুষ পাচারের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

    শাহজাহান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে

    ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শাহজাহান যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই বস্তুত সক্রিয়ভাবে রাজনীতির জগতে পা রাখেন তিনি। মাথায় জ্যোতিপ্রিয়র আশীর্বাদী হাত থাকায় তৃণমূলের পদ পেতেও বিশেষ বেগ পেতে হয়নি শাহজাহানকে। যদিও বাম আমলে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ থাকলেও, কোনও পদ ছিল না শাহজাহানের। তৃণমূলের পদ পাওয়ার পরেই শাহজাহান হয়ে ওঠেন ‘শের-ই-সন্দেশখালি’। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা-রাজনীতিক নুসরত জাহানকে লিড পাইয়ে (Sandeshkhali) দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা ছিল এই শাহজাহানেরই (Calcutta High Court)।

    দলের এই ‘সম্পদ’কে খুশি করতে পদ

    দলের এই ‘সম্পদ’কে খুশি করতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির প্রার্থী করে শাহজাহানকে। নির্বাচনে জিতে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষও হন তিনি। এর পরে পরেই রেশন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। তদন্ত শুরু হতেই উঠে আসে শাহজাহানের নাম। তাঁকে ধরতে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন ইডির কর্তারা। সেদিন শাহজাহান বাড়ির ভেতরে থাকলেও, বাইরে বের হননি। উল্টে শাহজাহান বাহিনীর হামলার মুখে পড়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। ঘটনাটিকে সেদিন তৃণমূল নেতারা ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘এটি ইডির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান’।

    মুখোশ খুলে পড়ে শাহজাহানের

    এই ‘গণঅভ্যুত্থানে’র পরেই মুখোশ খুলে পড়ে শাহজাহানের। মুখ খোলেন স্থানীয়রা। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে জমিজমা দখলের অভিযোগ করেন, কেউ আবার শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সরব হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা-ঢাকা দেন শাহজাহান। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের। শেষমেশ পুলিশের জালে পড়েন সন্দেশখালির বাঘ। দলের গায়ে যাতে শাহজাহানের কলঙ্ক (Sandeshkhali) না লাগে, তাই (Calcutta High Court) তাঁকে করে দেওয়া হয় ‘প্রাক্তনী’।

  • West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শিল্প ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগামী রাজ্য (West Bengal Trade) ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু গত এক দশকে রাজ্য থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির ধারাবাহিক প্রস্থান (Companies exit from Bengal) এখন এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে ৬,৬৮৮টি সংস্থা তাদের রেজিস্টার্ড অফিস পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়েছে। চুপচাপ বড় বড় সংস্থা নিজেদের অফিস সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও প্রতিবাদও হয়নি তৃণমূল-শাসিত বাংলায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি নিজেদের অফিস সরে নিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। উদ্যোগপতিদের কথায়, ওই রাজ্যগুলিতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং নীতির স্থিতিশীলতা স্পষ্ট।

    ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো

    রাজ্যে (West Bengal Trade) পালা বদলের পর ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রহ সরকারের ক্ষমতায় আসার সময় থেকে শুরু হয় শিল্পপতির ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি। কিন্তু ২০১৫–১৬ থেকে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত সময়টা হল সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এই তিন বছরে ২,৮১৪টি কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। যা রাজ্য ত্যাগের মোট সংস্থার প্রায় ৪২ শতাংশ। ২০১৭–১৮ সালে সর্বাধিক ১,০২৭টি কোম্পানি রাজ্যছাড়া হয়, যা ছিল ইঙ্গিতবহ। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক দিক হল, ১০০-রও বেশি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যারা স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড, তারাও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ে। এরা কেবলমাত্র আর্থিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বহু মানুষের চাকরি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে জড়িত। এই সরে যাওয়া দেশের বিনিয়োগ-বাজারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

    বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই ‘প্রেফার্ড ডেস্টিনেশন’

    পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যে সব সংস্থা (Companies exit from Bengal) চলে গিয়েছে, দেখা যায় তাদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই। মহারাষ্ট্র (১,৩০৮টি), দিল্লি (১,২৯৭টি) ও উত্তরপ্রদেশে(৮৭৯টি) সরে যায় সংস্থাগুলি। মোট ৩,৪৮৪টি কোম্পানি, প্রায় ৫২ শতাংশ, এই তিন রাজ্যেই সরে গিয়েছে। ছত্তিশগড়, গুজরাট, রাজস্থান, অসমের মতো রাজ্যগুলিও তালিকায় রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে শিল্পনীতির মধ্যে স্পষ্টতা, স্থায়িত্ব এবং বাস্তবায়নের ইচ্ছা রয়েছে। বিপরীতে, কংগ্রেস বা তৃণমূল-শাসিত রাজ্যগুলি বিনিয়োগের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ, বলেই মনে করছেন উদ্যোগপতিরা।

    প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ₹৩৯,১৩৩ কোটির বিনিয়োগে চতুর্থ স্থানে ছিল (IEM Part A), সেখানে বাস্তবায়িত বিনিয়োগে (IEM Part B) মাত্র ₹৩,৭৩৫ কোটি টাকা রাজ্যে এসেছে। এক বছরে আরও কমেছে—২০২৩ সালে যা ছিল ₹৪,৯৩০ কোটি। এই ব্যাপক ফারাক বিনিয়োগকারীদের (Companies exit from Bengal) আস্থাহীনতার স্পষ্ট প্রতিফলন। কথা আর কাজে বিরাট ব্যবধান শিল্পপতিদের দ্বিধাগ্রস্ত করছে।

    শিল্পোন্নয়ন-পরিকাঠামোয় পিছিয়ে পড়া রাজ্য

    পশ্চিমবঙ্গ এখনও ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ড ব্যাঙ্কের (India Industrial Land Bank) অংশ নয়, যেখানে দেশের ২,৮৮৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের তথ্য রয়েছে। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক অনীহা ও স্বচ্ছতার অভাবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। এমনকি এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য হয়েও ১১তম স্থানে রয়েছে, যা এক অদ্ভুত বৈপরীত্য তুলে ধরে।

    নীতির অস্পষ্টতা মূল সমস্যা

    শিল্পোন্নয়ন ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল সিঙ্গুর আন্দোলনের উত্তরাধিকার। টাটার ন্যানো কারখানা আটকে যাওয়ার পরে, তৃণমূল সরকার ‘হ্যান্ডস-অফ’ ভূমি নীতি গ্রহণ করে। ফলে রাজ্য (West Bengal Trade) শিল্পের জন্য জমি দিতে অস্বীকার করে এবং কোম্পানিগুলিকে হাজার হাজার জমির মালিকের সঙ্গে নিজেরা চুক্তি করতে হয়—যা বড় শিল্পপ্রকল্পের ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে ওঠে। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে, রাজ্য সরকার হঠাৎ করেই ১৯৯৩ সাল থেকে চালু থাকা আটটি শিল্প ভর্তুকি প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ডালমিয়া ভারত ও বিরলা কর্পোরেশনের মতো কোম্পানি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪৩০ কোটি টাকার বেশি দাবি আটকে গেছে।

    রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে উন্নয়ন হয় না

    রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের (Companies exit from Bengal) ঘাটতি বাড়ছে। দক্ষ পেশাজীবীরা রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি (GSDP)-তে জাতীয় জিডিপি (GDP)-র অংশীদারিত্ব ১৯৬০–৬১ সালের ১০.৫% থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতন কেবলমাত্র পরিসংখ্যান নয়, একটি বড় আঞ্চলিক অসাম্যের চিত্র। ৬,৬৮৮টি কোম্পানির রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আজকের বিশ্বে শুধুমাত্র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা দিয়ে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। বিনিয়োগের জন্য চাই স্থিতিশীল নীতি, জমির স্বচ্ছতা, এবং প্রশাসনিক সদিচ্ছা। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal Trade) অবস্থা থেকে বোঝা যায়, শাসনব্যবস্থা উন্নয়নবান্ধব না হলে, শিল্প আসবে না, কর্মসংস্থান হবে না, আর রাজ্য দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রনির্ভর হয়ে পড়বে।

  • Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধস নামলে খোয়াতে হতে পারে গদি। তাই কি কলকাতার পার্ক সার্কাস রেলওয়ে স্টেশন থেকে দখলদারদের হঠাতে (Eviction Drive) একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও, রেলকে সাহায্য করেনি তৃণমূল পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) একটি দাবির পর। ভনিতা ছেড়ে ফেরা যাক খবরে।

    রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ (Ashwini Vaishnaw)

    পার্ক সার্কাস এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। এই এলাকায় রেললাইন দখল করেও দিব্যিই ব্যবসা করে চলেছেন কিছু মানুষ। তার ফলে নিত্য বিস্তর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় রেলযাত্রীদের। সেই কারণেই রেলস্টেশনের ধার থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে বারংবার অভিযান চালিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে সহযোগিতা না করায় উচ্ছেদ অভিযান সফল হয়নি বলে জানালেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য রেলমন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, পার্ক সার্কাস স্টেশনকে দখলদার মুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কথা। লিখিত উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, “দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পার্ক সার্কাস রেলস্টেশনে সময়ে সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় রেল। কিন্তু রাজ্য সরকার এই কাজে সাহায্য করেনি। তাই অভিযান সফল হয়নি।”

    কী বললেন রেলমন্ত্রী?

    ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগে ভারতীয় রেল সব সময় সাড়া দেয়। স্টেশনগুলিতে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী থাকেন। সিসিটিভির নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সময়, স্থান ও কী ধরনের হুমকি রয়েছে, তা দেখেশুনে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।” তিনি (Ashwini Vaishnaw) জানান, আরপিএফ মোতায়েনের বিষয়টি নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়। সরকারের রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হয়। অপরাধ দমনে যথাযথ পদক্ষেপ করে রেল। স্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্পর্কে রেলমন্ত্রী জানান, এটা নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। স্টেশন চত্বরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে রেলমন্ত্রক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হচ্ছে, বর্জ্য পদার্থ ফেলার আলাদা আলাদা ডাস্টবিন রাখা হয়েছে, জল নিকাশি ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে এবং ঘন ঘন স্টেশন পরিষ্কার (Eviction Drive) রাখার কাজ চলছে। পে অ্যান্ড ইউজ প্রকল্পের মাধ্যমে শৌচালয়গুলিকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজও হচ্ছে (Ashwini Vaishnaw) নিয়মিত।

  • Mithun Chakraborty: ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’, তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি’’, তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে নাকি বাঙালিদের ওপর অত্যাচার চলছে। এমনই মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণ করতে ভুয়ো ভিডিও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে শাসক নেতাদের। বৃহস্পতিবার ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী সাফ বললেন, ‘‘দেশের কোথাও বাঙালিদের ওপর কোনও অত্যাচার হয়নি। আসলে সামনে ভোট, তাই তৃণমূল এটাকে ইস্যু করে কাজে লাগাতে চাইছে।’’ অন্যদিকে ভোটার তালিকা ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে বড় দাবি করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তাঁর দাবি, ‘‘ভোটার লিস্ট থেকে ভুয়ো ভোটার বের করে দিলে তৃণমূল ৭০টা সিটও পাবে না।’’

    তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ মিঠুনের (Mithun Chakraborty)

    বিজেপি নেতার (Mithun Chakraborty) বক্তব্য, ‘‘কোথাও কোনও বাঙালির ওপর অত্যাচার বা কোনও সত্যিকারের নাগরিককে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। বেছে বেছে তাঁদেরই বাদ দেওয়া হচ্ছে যারা বেআইনিভাবে প্রবেশ করেছিলেন।’’ তৃণমূলের আক্রমণের সামনে যাতে মাথা নত না করে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কমিশনকে যোগ্য সাহায্য করতে বাংলার সমস্ত নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানিয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘প্রতিটি এলাকায় কর্মীদের বলব, খোঁজখবর শুরু করুন, কারা অনুপ্রবেশ করে বাংলায় রয়েছে। কারও ওপর কোনও আক্রমণ হলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’’এজন্য বৃহস্পতিবার নিজের দুটি ফোন নম্বরও দিতে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তীকে। পাশাপাশি এদিন তিনি বাঙালি বিদ্বেষ ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ভিন রাজ্যে কোথাও কোনও রকমভাবে বাঙালিকে হেনস্থা করা হচ্ছে না। যে দল বলছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের দল না, সেই দল আদৌ বাংলার দল তো? নাকি অন্য কোন দেশের দল?’’

    বাংলায় স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন নিয়ে কী বললেন মহাগুরু?

    প্রসঙ্গত, বিহারে চালু হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা SIR। এখানেই দেখা গেছে, ভোটার তালিকায় লক্ষ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়ে গেছেন। এমনকি অনেক মৃত ব্যক্তির নাম এখনও তালিকায় রয়েছে, এবং কারও কারও নাম দুই জায়গায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের নাগরিকরাও বিহারের ভোটার তালিকায় রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলতে দেখা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকে। তিনি তৃণমূল ও মমতা সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। বিজেপি নেতা মিঠুন বলেন, ‘‘যারা বেছে বেছে এখানে এসেছেন, তাদের বেছে বেছে ফেলে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গে বেশি সমস্যা, তাই এত চেঁচামেচি হচ্ছে। ওরা জানে, যদি বেছে বেছে যাদের তোলা দরকার, তাদের তোলা হয়—তাহলে এই সরকার ৭০টা আসনও পাবে না।’’

    মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে হুঁশিয়ারি মিঠুনের (Mithun Chakraborty)

    তৃণমূলকে (Tmc) হুঁশিয়ারি দিয়ে মিঠুন বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে যা ঘটে গেছে তেমন ঘটনা আর ঘটলে আমরা আর চুপ করে থাকব না। ২৬-এর বিধান সভা ভোটে তৃণমূলের বিসর্জন অনিবার্য।’’ নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে এদিন তৃণমূলের তোলা যাবতীয় অভিযোগকে নস্যাৎ করে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘বেছে বেছে ইলেকশন কমিশন কেন নাম বাদ দেবে? তাদেরই বেছে বেছে বাদ দেওয়া হচ্ছে যারা বেছে বেছে এদেশে অবৈধভাবে এসেছেন। বাংলায় এরকম ঘটনা অনেক বেশি, তাই তৃণমূল চেঁচামেচি করছে।’’

    তৃণমূলের অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা’

    বাঙালি বিদ্বেষ নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ ‘ডাহা মিথ্যা’ বলেও এদিন তিনি উল্লেখ করেছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিজে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেল খুলেছি, যেখানে বেশিরভাগই বাঙালি পরিযায়ী। তবে সেখানে কোনও বাংলাদেশি নেই। যদি বাংলাদেশি কেউ থাকেন তাঁকে অবশ্যই বাংলাদেশি বলেই চিহ্নিত করা হবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বেশ চাপের রয়েছে। নারী নির্যাতন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, মুর্শিদাবাদ হিংসায় রাজ্যজুড়ে এক ধরনের অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন মহিলা সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে একের পর এক দুর্নীতি সামনে এসেই যাচ্ছে শাসক দলের। এই আবহে তৃণমূলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা একেবারেই নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে সামনে বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ফলে, রাজ্যবাসীর দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য ‘বাইরের রাজ্যে বাঙালিদের উপর নির্যাতন’ বলে একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব সামনে এনে প্রচার চালাতে শুরু করেছে তৃণমূল, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    অনেকেই বলছেন, ভিনরাজ্যে বাঙালিদের উপর অত্যাচার—এই মিথ্যা অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করছে তৃণমূল, যাতে রাজ্যের প্রকৃত দুরবস্থা ঢাকা পড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবচিত্র অন্য কথা বলছে। কোথাও কোনও বাঙালি নির্যাতিত হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস এখন ‘ব্যাকফুটে’ এবং রাজনৈতিকভাবে সেই অবস্থান থেকে বেরোতে নানা কৌশল নিচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম হল—বাঙালিদের সঙ্গে ‘বৈষম্য’র মিথ্যা তত্ত্ব।

  • TMC Rule: তৃণমূলের আমলে রাজ্য থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে ৬ হাজার ৬৮৮টি সংস্থা! সংসদে জানাল কেন্দ্র

    TMC Rule: তৃণমূলের আমলে রাজ্য থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছে ৬ হাজার ৬৮৮টি সংস্থা! সংসদে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির অস্মিতাকে হাতিয়ার করে ২১ জুলাই ধর্মতলার জনসভায় (West Bengal) হাওয়া গরম করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের (TMC Rule) সর্বময়কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরের দিনই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের করুণ দশার ছবি তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তিনি জানান, ১ এপ্রিল ২০১১ থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত গত ১৪ বছরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরে গিয়েছে ৬ হাজার ৬৮৮টি সংস্থা। এদিন রাজ্যসভার সদস্য তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য দেন মন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের মে মাসে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসানের পর রাজ্যের ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস।

    অমিত মালব্যর কটাক্ষ (TMC Rule)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জবাবের প্রেক্ষিতে বিজেপির জাতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা  করেন। তিনি লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে ১ এপ্রিল ২০১১ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬ হাজার ৬৮৮টি কোম্পানি তাদের রেজিস্টার্ড অফিস অন্য ভারতীয় রাজ্যে স্থানান্তর করেছে। এই ৬ হাজার ৬৮৮টির মধ্যে ১১০টি কোম্পানি সেই সময় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ছিল।” শানিত বাক্যবাণেও এদিন মালব্য বেঁধেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, “এই ব্যাপক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির স্থানান্তর রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনের শিল্প পরিবেশের একটি হতাশাজনক ছবি তুলে ধরে।” তিনি বলেন, “এক সময় যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ছিল শিল্প-ব্যবসার কেন্দ্র, সেখানে আজ দুর্বল শাসন, নীতির অস্থিরতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাবের কারণে কোম্পানিগুলি রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছে (West Bengal)।”

    কী বললেন মন্ত্রী

    এদিন রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ সালে যথাক্রমে ৮৬৯, ৯১৮ এবং ১,০২৭টি কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে তাদের রেজিস্টার্ড অফিস স্থানান্তর করেছে। এই তিন বছরের সময়টা তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদের সঙ্গে মিলে যায় (TMC Rule)। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার আগেও শমীক এই ইস্যুটি তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে রাজ্য থেকে শিল্পপতিরা পালিয়ে যাচ্ছেন।

    আগেও প্রশ্ন করেছিলেন শমীক

    গত ডিসেম্বরেও রাজ্যসভায় শমীক মোট চারটি প্রশ্ন জমা দিয়েছিলেন। তারই একটি ছিল, ২০১৯ থেকে ২০২৪ এই পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গের ক’টি সংস্থা ঠিকানা বদলে অন্য রাজ্যে গিয়েছে? সেই সময়ও লিখিত বিবৃতিতে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ভারতের কোম্পানি আইনের ১৩(৪) ধারা মোতাবেক যে কোনও সংস্থা তাদের ঠিকানা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে। এই স্থানান্তরের কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, “প্রশাসনিক কাজের সুবিধা-অসুবিধার জন্য অনেকে ঠিকানা বদল করেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিচালন খরচ এবং পরিচালনার সুবিধার মতো কারণও দেখিয়েছে অনেক সংস্থা (TMC Rule)।”

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে কটাক্ষ শমীকের

    কেন্দ্রের তরফে ওই তথ্য হাতে পেয়েই সেবার রাজ্য সরকার আয়োজিত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন শমীক। তিনি বলেছিলেন, “এই রাজ্যে সরকারি খরচে ঢাকঢোল পিটিয়ে গ্লোবাল বিজনেস সামিট হয়। কিন্তু কোনও সংস্থা টিকে থাকে না। এটা আমরা অনেক দিন ধরেই বলছি (West Bengal)। এবার কেন্দ্রের রিপোর্টে সেটা সত্য বলে জানা গেল।” বিজেপি সাংসদ এও বলেছিলেন, “গোটা দেশেই যখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে, নতুন নতুন বিনিয়োগ আসছে, তখন বাংলায় কাজের পরিবেশ না থাকায় একের পর এক সংস্থা রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছে (TMC Rule)। প্রসঙ্গত, বাম জমানায় শ্রমিক ধর্মঘট ও ‘বিদ্রোহে’র জেরে ঝাঁপ পড়েছিল একের পর কারখানায়। তৃণমূল জমানায় সেগুলির কোনওটিরও ঝাঁপ খোলেনি, বরং বন্ধ হয়ে গিয়েছে আরও অনেক সংস্থা। পেটের টানে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন বহু বাঙালি। একুশের মঞ্চে এসবের ধারপাশ দিয়ে যাননি তৃণমূল নেত্রী। যদিও

    জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা মমতার

    শমীকের অভিযোগ খণ্ডন করতে ধর্মতলার সমাবেশ মঞ্চকেই বেছে নিয়েছিলেন মমতা। ওই সমাবেশে জনতার দৃষ্টি ঘোরাতে উল্টে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকেই দোষেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ওরা (বিজেপি) বলে বাংলায় কাজ নেই, তাই মানুষ চলে যাচ্ছে। আমি তথ্য দিচ্ছি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ২৩ হাজার মানুষ দেশ ছেড়েছেন। ২০১৯ সালে ৭ হাজার, ২০২০ সালে ৫ হাজার, ২০২১ সালে সাড়ে ৭ হাজার, ২০২২ সালে ৮ হাজার, ২০২৩ সালে ৫ হাজার ১০০, ২০২৪ সালে ৪ হাজার ৩০০ ও ২০২৫ সালে সাড়ে ৩ হাজার জন দেশ ছেড়েছেন। বিদেশমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী মোট ১৭ লাখ ১০ হাজার ৮৯০ জন দেশ ছেড়েছেন। কিন্তু কোনও শিল্পপতিকে (West Bengal) বাংলার বাইরে যেতে হয়নি। বরং তাঁরা বাংলায় আসছেন। কারণ এখানে ব্যবসার প্রসার ঘটছে।” যদিও তিনি জানাননি, কোন কোন শিল্পপতি বাংলায় আসছেন, কতগুলিই বা শিল্প হয়েছে (TMC Rule)।

  • Shamik Bhattacharya: তৃণমূলের নয়া হাতিয়ার বাঙালি অস্মিতা, মমতাকে ধুয়ে দিলেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: তৃণমূলের নয়া হাতিয়ার বাঙালি অস্মিতা, মমতাকে ধুয়ে দিলেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোঁতা হয়ে গিয়েছে মুসলমানদের নিয়ে তৃণমূলের তৈরি করা হাতিয়ার। তাই এবার নয়া অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাব্বিশের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে সোমবারই ছিল শেষ ২১ জুলাই। এদিন ধর্মতলার জনসভায় (পোশাকি নাম শহিদ দিবস। তবে এটা বললে যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের অপমান করা হয়। কারণ যেদিনের ঘটনা নিয়ে এদিন তর্পণ (!) করা হল, সেটি ছিল আদতে একটি নিখাদ রাজনৈতিক কর্মসূচি, তাও তৃণমূলের নয়, যুব কংগ্রেসের। কংগ্রেসের দাবি, তাদের কর্মসূচিকে হাইজ্যাক করা হয়েছে।) আগামী বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছেন।

    তুরুপের তাস বাঙালির অস্মিতা (Shamik Bhattacharya)

    ওই নির্বাচনে তৃণমূলের তুরুপের তাস যে হতে যাচ্ছে বাঙালির অস্মিতা, এদিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। ধর্মতলার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বরং এজন্য তৃণমূল নেত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শমীক। এদিন রোদ ঝলমলে দিনে যখন কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা অবরুদ্ধ করে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা, তখন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের (মায়ানমারের মুসলমান) আশ্রয় দিচ্ছে তৃণমূল। ওদের আমরা তাড়াবই।”

    কী বললেন শমীক?

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে নিশানা করে শমীক বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা ভাষাকে আক্রমণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আক্রমণ করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বন্দে মাতরমকে আক্রমণ করেছেন। আক্রমণ করেছেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের অমর সৃষ্টিকে।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের যে হিন্দু সাংসদরা নিজেদের অবস্থান বদল করে পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, সেই ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।” তৃণমূল নেত্রীর দাবিকে কটাক্ষ করে শমীক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী না কি ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়ে দিয়েছেন! বেকারত্ব কমেছে কীভাবে? চপ শিল্প, চায়ের দোকানকে এমএসএমই-র মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে পরিসংখ্যান বিকৃত করা হচ্ছে।”

    মমতাকে গুচ্ছের প্রশ্ন শমীকের

    তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে এদিন এক গুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Shamik Bhattacharya)। শমীক বলেন, “কত পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজ করছেন? পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা কেন পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন?” তিনি বলেন, “সামান্যতম আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর অভিভাবকরা তাকে ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। কেন বেঙ্গালুরু শহরের দ্বিতীয় কথ্য ভাষা বাংলা? কেন সেখানে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি করছে? তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে কত মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন?”

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও তৃণমূলকে তুলোধনা

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন শমীক (Shamik Bhattacharya)। তিনি বলেন, “যাঁরা এক সময় এ দেশ ছেড়ে ও দেশে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ফিরে আসছেন। যাঁরা এই দেশটাকে ‘দার ইল হর্ব’ বলতেন, ‘নাপাক’ বলতেন, যাঁরা ওপারে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে আবার এখানে এসে ঢুকেছেন, আমরা তাঁদের চিহ্নিত করতে চাই। তাঁদের ফেরত পাঠাতে চাই (TMC)।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সিপিএমের সময় থেকে যেভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার লিস্টে নাম তোলা হয়েছিল, রেশন কার্ড পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, খাস জমি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই একই পথ অনুসরণ করে সেটাকে আরও কদর্যভাবে বাস্তবায়িত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। রোহিঙ্গাদের ডেকে এনে বিভিন্ন জায়গায় বস্তিতে বসানো হয়েছে। কলকাতার ভিতরে বসানো হয়েছে। বিধাননগরে বসানো হয়েছে।”

    রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়

    তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় রোহিঙ্গাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল, সেখানকার কক্সবাজারের কী অবস্থা? ওপারে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন, আর পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সীমান্তবর্তী জেলায় সংখ্যালঘুরা উৎসব পালন করছেন!” এদিন ধর্মতলার সমাবেশে বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। সে প্রসঙ্গে শমীক বলেন, “যেখানে বিজেপির সরকার রয়েছে, সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলা হয়। ধর্মতলায় একটি লাইন থেকে যেভাবে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ছড়ানো হয়েছিল, সেই জন্যই সংযোগ কাটা হয়েছে।”

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিকে, এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উত্তরবঙ্গ রওনা (Shamik Bhattacharya) হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। তৃণমূলের শহিদ দিবসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ওটা সভা নয়, ওখানে পাগলু ডান্স হবে।” শুভেন্দু বলেন, “দেখছেন না নাচতে নাচতে আসছে। জলঙ্গি থেকে বাসের ভেতরে (TMC) নাচতে নাচতে আসছে বাজনা বাজিয়ে। পুরুলিয়া থেকে জোর করে যাদের আনা হয়েছিল, তারা ইতিমধ্যেই পালিয়েছে।”

LinkedIn
Share