Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব, ভাইপোকে জেলে পাঠাব”, আগুনে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব, ভাইপোকে জেলে পাঠাব”, আগুনে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরেও হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব।” বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    নন্দীগ্রামে হার মমতার (Suvendu Adhikari)

    ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পদ্ম-প্রার্থী শুভেন্দু। ওই নির্বাচনে প্রায় দু’হাজার ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ধরাশায়ী করেন শুভেন্দু। পরে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখেন মমতা। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে মমতা স্বয়ং হারলেও, তাঁর দল তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, মন্ত্রী পদে থাকতে গেলে ছ’মাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে আসতে হয়। সেই মতো ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন করিয়ে তৃণমূল জিতিয়ে আনে মমতাকে। গদি টিকে যায় তৃণমূল নেত্রীর।

    ভবানীপুরেই প্রার্থী মমতা

    অতএব, সেই ‘নিরাপদ’ ভবানীপুরেই যে এবারও মমতা প্রার্থী হতে চলেছেন, তা বলাই বাহুল্য। শুভেন্দুর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও বিধানসভা আসনে দাঁড়িয়ে মমতা যে আর মুখ পোড়াতে চান না, তা স্পষ্ট তাঁদের দলের নেতাদের কথায়ই। মঙ্গলবার বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল তৃণমূল। উত্তরবঙ্গ সফরে থাকায় এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি যে ভবানীপুর থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন, এদিনের অনুষ্ঠানে তা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তৃণমূল নেত্রীর জয়ের মার্জিনও এদিনের (Suvendu Adhikari) অনুষ্ঠানে বেঁধে দেন তৃণমূলের আর এক নেতা তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র এবং মমতার সতীর্থ ফিরহাদ হাকিম। সুব্রত বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চলেছেন। প্রচুর ভোটে তাঁকে জেতাতে হবে।” ফিরহাদ হাকিমও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১ লাখ ভোটে জয়ী করব (BJP)।”

    মমতার গলায় কি আতঙ্কের সুর!

    তৃণমূল নেতারা এমনতর ‘দিবাস্বপ্ন’ দেখলেও, রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু-হেতু এবার ভবানীপুরকেও আর তেমন ‘নিরাপদ’ বলে ভাবছেন না খোদ তৃণমূল নেত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর অডিও বার্তা শোনানো হয়। সেটাই সকলকে শোনান ফিরহাদ। তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “ভবানীপুরটা বাইরে থেকে লোক এনে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরো পরিকল্পনা করে (Suvendu Adhikari)। আমি আউটসাইডার মানে যাঁরা বেঙ্গলে থাকেন, তাঁদের বলছি না। যাঁরা হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে, টাকা খরচ করে জায়গা কিনে, বাড়ি তৈরি করে, স্থানীয় কাউকে কিছু টাকা দিয়ে বেরিয়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের কথা।” ভবানীপুর কেন্দ্রটি নিয়ে যে তৃণমূল সুপ্রিমো সিঁদুরে মেঘ দেখছেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও। তিনি বলেন, “ওরা (তৃণমূল) মমতার জয় নিয়ে সন্দিহান। তাই প্রথমেই ভবানীপুর নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।”

    কী বললেন শুভেন্দু

    এহেন প্রেক্ষিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হারাব, হারাব। ২০ হাজারে হারাব। ভবানীপুরে এসআইআর (SIR)-এর পরে হারাব ওঁকে। ৮টা ওয়ার্ডের ৫টায় বিজেপির লিড আছে। বিজেপিই হারাবে। যে দাঁড়াবে, সে-ই হারাবে। বিজেপি ওখানে ২০১৪ সালে ওদের হারিয়েছে। এসআইআর-এর পরে উনি হারবেন (BJP)।” এর পরেই তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনাকে হটাবই। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। প্রাক্তন করব। আপনার ভাইপোকে জেলে পাঠাব।” প্রসঙ্গত, এর আগে অন্য একটি সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, “নন্দীগ্রামে মমতাকে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাব।” তার পরেই রাজ্যজুড়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তাহলে কি এবারও ভাবানীপুরে মুখোমুখি হচ্ছেন যুযুধান দু’পক্ষের দুই দাপুটে নেতা মমতা-শুভেন্দু? সে ব্যাপারে অবশ্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজে কিছুই বলেননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপিতে কে, কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা ঠিক করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই ভবানীপুরে মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথ হতে চলেছে কিনা, তা বলবে সময়। তবে ওই কেন্দ্রে যে এবারও ঘাসফুলের প্রার্থী হচ্ছেন মমতা, তা ঘোষণা করে দিয়েছেন সুব্রত।

    ভবানীপুর নিয়ে উদ্বেগ

    তবে ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়ে যে খোদ তৃণমূল নেত্রীই উদ্বেগে (BJP) রয়েছেন, তা ধরা পড়েছে তাঁর গলায়। এদিন অডিও বার্তায় মমতাকেও বলতে শোনা যায়, “সেই জায়গাগুলো (ভবানীপুরের) আদৌ…যাঁরা ফ্ল্যাট কিনছেন, তাঁরা না পাচ্ছেন জল, না পাচ্ছেন ড্রেনেজ সিস্টেম…না পাচ্ছেন ঠিকমতো ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে আমরা কেন এটা বুঝব না…সব কিছু দেখে রাখতে হবে আমাদের। কারণ দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা সবই তো আমাদের। সেই জন্যই আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে। সবাই ভালো থাকুন।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, ভবানীপুরে মমতাকে হারাতে শুভেন্দু যেভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। তাই উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিতে চাইছেন ভবানীপুরে। যে উন্নয়নের জন্য হা-পিত্যেশ করে (BJP) বসে রয়েছেন ভবানীপুরের বাসিন্দারা (Suvendu Adhikari)!

  • Durgapur Gangrape: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না!”, আক্ষেপ শুভেন্দুর

    Durgapur Gangrape: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না!”, আক্ষেপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না! আমরা লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী।” সোমবার দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডের (Durgapur Gangrape) শিকার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। সোমবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সামনে ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্না মঞ্চ বেঁধেছিল বিজেপি। পদ্মশিবিরকে সেই মঞ্চ বাঁধায় পুলিশ প্রথমে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত পুলিশ কর্তাদের তর্কাতর্কি পর্যন্ত শুরু হয়ে যায়। পরে ওই মঞ্চে উপস্থিত হন শুভেন্দু। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভিযোগে সোচ্চার হন তিনি।

    ‘আমরা লজ্জিত’ (Durgapur Gangrape)

    এই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সটান চলে যান নির্যাতিতার বাড়িতে। পরে বলেন, “ওঁর পরিবার জানিয়েছে, আরও ভালো চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে ওরা ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যেতে চায়। আমি শুনে আরও লজ্জিত হয়েছি যে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি, ফোনও করেননি। অথচ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি ফোন করে সহানুভূতি জানিয়েছেন।” এদিকে, দুর্গাপুরের ওই গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gangrape) সোমবার পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। রবিবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার সকালে আরও একজনকে ধরা হয়। তাকে জেরা করে পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ।

    শুভেন্দুর তোপ

    অন্যদিকে, দুর্গাপুরকাণ্ডের মেডিক্যাল রিপোর্টে ইতিমধ্যেই ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে। দুর্গাপুরের এই কাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল-যোগের অভিযোগে সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত মোট চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আজকে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী, তৃণমূলের ক্যাডার। ওঁর বাবা পার্টির পোর্টফোলিও হোল্ডার।” তিনি বলেন, “এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী জড়িত। শাসক যেখানে শোষক, সেখানে আইনের শাসন ও বিচার পাওয়ার কোনও জায়গা নেই।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বয়ানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে।

    তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা যখন জঙ্গলের মধ্যে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠীকে ঘিরে ধরেছিলেন, তখন বেশ কিছুক্ষণের জন্য তাঁর সহপাঠী তাঁকে সেখানে ফেলে চলে এসেছিলেন। আধঘণ্টা পরে তিনি আবারও সেখানে যান এবং নির্যাতিতাকে নিয়ে আসেন। কেন তিনি প্রথমে চলে গিয়েছিলেন, কেনই বা পরে সহপাঠীকে ফেরত নিতে এসেছিলেন (Shuvendu Adhikari), সেই সব মিসিং লিঙ্ক খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ (Durgapur Gangrape)।

  • Mamata Banerjee: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে এল ওই তরুণী?”, দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

    Mamata Banerjee: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে এল ওই তরুণী?”, দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ‘দুধেল গাই’দের চটিয়ে ভোটব্যাংকে ধস নামাতে রাজি নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! আর তাই, দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর গণধর্ষণের (Durgapur Gang Rape) ঘটনায় তিনি নিরাপত্তার দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বেসরকারি কলেজগুলির ঘাড়ে। গভীর রাতে ছাত্রীটি কীভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে পারল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Mamata Banerjee)

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  “সে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ত। দায়িত্ব কার? সে রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে এল?”  তিনি বলেন, “বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলিকেই তাদের ছাত্রছাত্রীদের এবং রাতের সংস্কৃতির দায়িত্ব নিতে হবে। ওদের বাইরে আসতে দেওয়া উচিত নয়। ওদের নিজেদের সুরক্ষা করতে হবে। এটা জঙ্গলের এলাকা।” ভোটের আগে গা থেকে কলঙ্কের কালি মুছে ফেলতে ওড়িশার বিজেপি সরকারকেও নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ওড়িশায় সমুদ্রসৈকতে মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়েছে। ওড়িশা সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে?” তিনি বলেন, “মণিপুর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ওড়িশায় এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। আমরা মনে করি, সেখানকার সরকারগুলিরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

    বিজেপির তোপ

    বিজেপির অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) যৌন হিংসার ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পরিবর্তে ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া লেখেন, “নির্লজ্জ @মমতাঅফিসিয়াল নারীসমাজের কলঙ্ক, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য আরও বেশি করে। আরজিকর ও সন্দেশখালির পর, এখন এই নৃশংস ঘটনায়ও ন্যায়বিচারের বদলে তিনি ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করছেন!” তিনি বলেন, “একজন মুখ্যমন্ত্রী যিনি মেয়েদের নিরাপত্তা (Durgapur Gang Rape) নিশ্চিত করার বদলে বলেন রাতে বাইরে না যেতে, তাঁর অফিসে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। মানুষ এখন বুঝতে পারছেন যে তাঁরা এক অরাজকতাবাদী, নির্মম মমতার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত এবং আইনের আওতায় তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে।” বিজেপির মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বেটিকে দোষারোপ করেন এবং ধর্ষকের পক্ষ নেন।” তিনি বলেন, “বারবার আরজি কর, সন্দেশখালি, পার্ক স্ট্রিট — তিনি এভাবেই মন্তব্য করেছেন।” অতীতে মমতার বিতর্কিত মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে পুনাওয়ালা প্রশ্ন তোলেন, “যাঁরা গতকাল চিৎকার করছিলেন সুপ্রিয়া শ্রীনেতে, প্রিয়াঙ্কা বঢরা, রাহুল গান্ধী ইত্যাদি — তাঁরা কি এবার মুখ খুলবেন?”

    মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বাবা

    প্রসঙ্গত, ওড়িশার জলেশ্বরের ওই তরুণী দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজে এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। শুক্রবার রাতে তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন। তখনই কয়েকজন ওই তরুণীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ঘটনায় শোকাহত তরুণীর বাবা জানান, তিনি মেয়েকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। পশ্চিমবঙ্গে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, “এখানে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। যে কোনও মুহূর্তে ওকে এখানে মেরে ফেলতে পারে। তাই আমরা ওকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছে। আমরা চাই না ও বাংলায় থাকুক। ও ওড়িশায় গিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রশাসন আমাদের সাহায্য করছে (Mamata Banerjee)।”

    এদিকে, দুর্গাপুরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে একজনকে। ওই তরুণীর পুরুষ বন্ধুটিকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর (Durgapur Gang Rape)। ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আহ্বান জানাচ্ছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনের বিধান অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন। আমি ওড়িশার প্রবীণ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি যেন তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। ওড়িশা সরকার ভুক্তভোগীর পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে (Mamata Banerjee)।” উল্লেখ্য যে, বছরখানেক আগে কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কলকাতার একটি আইন কলেজের এক ছাত্রীও (Durgapur Gang Rape)।

  • Nagrakata Incident: ‘নাগরাকাটায় পরিকল্পিত হামলা চালায় তৃণমূল’, মমতা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা কেন্দ্রীয় বিজেপির

    Nagrakata Incident: ‘নাগরাকাটায় পরিকল্পিত হামলা চালায় তৃণমূল’, মমতা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা কেন্দ্রীয় বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে দেখতে নয় কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিও শুট করতেই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এমনই দাবি করলেন।। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র তৃণমূলকে তালিবানি মানসিকতার বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের মারার ঘটনার প্রসঙ্গে রাজ্যের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

    কেন গিয়েছিলেন মমতা?

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, “কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিও শুট করতে, লোক দেখাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক মিনিটের কম সময় থাকেন। আর বাইরে বেরিয়ে এসেই ভিডিও শুট করে বলেন, কেবল কানের নীচে একটু চোট লেগেছে। আসলে চোখের নীচের কয়েক সেন্টিমিটার দূরত্বেই হাড় ভেঙেছে, চোখটা নষ্ট হয়ে যেতে পারত।” শেহজাদ বলেন, “আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘৃণ্যভাবে মারা হয়েছে। ওনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। ওনার পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক, চোখটা নষ্ট হতে বসেছিল। কোনওভাবে রক্ষা করা গিয়েছে। আইসিইউ তে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর এক্স রে রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, মুখে চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আরেকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে হেনস্থা করা হয়েছে।”

    গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা

    পুরো হামলার নেপথ্যে তৃণমূল জড়িত বলে আরও একবার অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র শেহজাদ। তিনি বলেন, “গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা। উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে যাঁরা দাঁড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর হামলা হল। তৃণমূল নেতাকর্মীরা তালিবানি সংস্কৃতি পালন করছে। শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা হয়েছে। শঙ্কর ঘোষও বলেছেন, কীভাবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে পরিকল্পিত হামলা ছিল। কেন্দ্রীয় জওয়ানরাও রক্ষা পাননি।” উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই এমন দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করেন। একই দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারীও। এই হামলার পিছনে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশিরা জড়িত বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।

    এখনও পর্যন্ত অধরা অভিযুক্তরা

    বর্তমানে শিলিগুড়ি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খগেন। ওষুধের ও বিশ্রামের মাধ্যমে আপাতত তাঁর চোখের নীচের হাড় জোড়ার চেষ্টা চলছে। চার সপ্তাহ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যদি তাতে উন্নতি না হয়, তাহলে অপারেশন করে পাত বসানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে দিল্লির এইমসেও নিয়ে যাওয়ার হতে পারে খগেনকে। ইতিমধ্যেই ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপির তরফে। কিন্তু ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও, এখনও পর্যন্ত এক জনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

  • Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় (Nagrakata Case) বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির এক সাংসদ ও বিধায়ক। তার পর কেটে গিয়েছে আস্ত দুটো দিন। তার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি কাউকেই। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ‘স্নেহচ্ছায়া’য় বেড়ে চলায় পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। সেই কারণেই এবার পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বুধবার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন সুকান্ত। শিলিগুড়িতে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা মার হবে। এখনও সময় আছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।”

    সুকান্তর হুঁশিয়ারি (Sukanta Majumder)

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, “খগেন মুর্মু কেবল সাংসদ নন, তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক পদেও থেকেছেন। শঙ্কর ঘোষ আমাদের বিধায়ক। এঁরা ছাড়াও সেদিন যাঁরা যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।” অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলেও অভিযোগ সুকান্তর। বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বলেন, “খগেন মুর্মুর মুখের হাড় ভেঙে গিয়েছে। ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে। কথা বলতে পারবেন না চার সপ্তাহ। যারা ওঁকে আক্রমণ করেছিল, তারা প্রকাশ্যে বলেছে, আমরা দিদির সৈনিক। শঙ্কর ঘোষ নিজে আমায় এ কথা বলেছেন। এখানে বিজেপি কেন আসবে, তা-ই নিয়ে ঝামেলা। আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যাদের নাম ও ছবি দেখা গিয়েছে, পুলিশ যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বিজেপির মতো করেই ট্রিটমেন্ট করবে।”

    দুষ্কৃতীদের পোস্টার টাঙানো হবে

    সুকান্ত বলেন, “এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন? আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশের বেতন হবে, আর কেউ গ্রেফতার হবে না! এটা মেনে নেওয়া যায় না। হয় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, নয়তো পাল্টা মারব আমরা।” তিনি বলেন, “যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের পোস্টার বড় বড় করে টাঙানো হবে জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ির রাস্তায় রাস্তায়। আমাদের ক্ষমতা আছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে। আমরা চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকাতে পারি। পাঁচ হাজার লোক দিয়ে ঘেরাও-ও করতে পারি। কিন্তু আমরা এসব করি না (Nagrakata Case)।” ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের দায় চাপানো হয় বিজেপির ঘাড়ে। এদিন সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন সুকান্ত। বলেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূল আছে নাকি? কংগ্রেস থেকে কয়েকজন টিকিট না পেয়ে তৃণমূল সেজে রয়েছে। আমরা কোথাও দলীয় অফিস ভাঙচুর করি না। এটা আমাদের স্বভাব নয়।” তাঁর প্রশ্ন, “ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গিয়ে কী হবে? ওখানে ওদের তো কেউ নেই।”

    নিশানা মমতাকেও

    জখম সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন (Sukanta Majumder) তাঁকেও নিশানা করেন সুকান্ত। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসে নাটক করছেন, উনি এখানে থাকা সত্ত্বেও এমন হবে কেন? আদিবাসী সমাজের মানুষকে এমন আক্রমণ করা হবে কেন?” সুকান্ত বলেন, “৮জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ক্যামেরায় হামলাকারীদের মুখও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কী করছে তারা?” মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “এমন পুলিশমন্ত্রী থাকার চেয়ে তাঁকে বন্যার জলে ফেলে দিলে ভালো হয়!” এর পরেই তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে।”

    ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    এদিকে, মঙ্গলবারই শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (Nagrakata Case) খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছিলেন (Sukanta Majumder) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ছাব্বিশে এই রক্তের বদলা হবে সুদ সমেত। উশুল করবে বাংলা। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা হবে। জলপাইগুড়ির এসপি, ডিজিপি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। স্পিকারের কল আসবে।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, খগেন মুর্মুকে দেখতে এলেও, আর এক আহত বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, খগেন মুর্মুর চোট প্রসঙ্গে মিথ্যেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর বক্তব্য, “বিজেপি সাংসদকে দেখতে এসে মমতা জিজ্ঞেস করেছেন, লাগল কীভাবে? তাঁর প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল, মারল কীভাবে, মারলই বা কারা?” তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক (Nagrakata Case)।”

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই (Sukanta Majumder) এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যকে অবিলম্বে রিপোর্ট দিতে হবে, তা না হলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

  • Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ বদলা হবে”, নাগরাকাটার ঘটনায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ বদলা হবে”, নাগরাকাটার ঘটনায় হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সুদ সহ তার বদলা নেবে মানুষ। শাসক দল তৃণমূলকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার নাগরাকাটার ঘটনায় (Nagrakata Incident) পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করছে বিজেপি। নাগরাকাটার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি এই মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    এনআইএ তদন্তের দাবি

    মঙ্গলবার শিলিগুড়ির হাসপাতালে আহত সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি বলেন, ‘ছাব্বিশে (election 2026) এই রক্তের বদলা হবে, সুদ সহ উসুল করবে বাংলার মানুষ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। এসটি কমিশন, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা হস্তক্ষেপ করেছেন। জলপাইগুড়ির এসপি আর ডিজি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। ডাক আসবেই। রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সিবিআই অথবা এনআইএ তদন্তের যে দাবি জানিয়েছেন, তাকে আমি সমর্থন করি।’

     মুখ্যমন্ত্রীর আচরণের কড়া সমালোচনা

    এদিনই শিলিগুড়ির হাসপাতালে গিয়ে বিজেপি-র আহত সাংসদ খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও ওই হাসপাতালেই আহত বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে দেখতে যাননি তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণেরও কড়া সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, তা নিয়ে আমাদের দলের অনেক কর্মী সমর্থকই ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সৌজন্য বজায় রাখতে বলেছি। উনি একজনের সঙ্গে দেখা করেছেন একজনের সঙ্গে করেননি। উনি এখানে এসে প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে লাগল? অথচ যারা অভিযুক্ত তাদের গ্রেফতার করছেন না।’

    শাসকদলের মদত স্পষ্ট, বললেন শুভেন্দু

    নাগরাকাটায় (Nagrakata Incident) বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে চোখের নীচে হাড় ভেঙে গিয়েছে খগেন মুর্মুর। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, দুর্গত এলাকায় ৩০-৪০টা কনভয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর তাতেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “৮ জন বিধায়ক, ৩ জন সাংসদ ছিলেন, পাঁচ খানা গাড়ি ছিল, আর ১২টা মিডিয়ার গাড়ি ছিল।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, “কে বলছেন! যাঁর জন্য চার ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকে, দড়ি ঘেরা থাকে, আর যিনি ২৫০-৩০০ গাড়ি নিয়ে বের হন। যাঁর জোড়া হেলিকপ্টার রয়েছে, জোড়া চার্টার্ড ফ্লাইট রয়েছে, তারপরও যখন রাস্তায় বের হন, রাস্তা বন্ধ করে দেন। তাঁর মুখ থেকে এসব কথা মানায় না।” এই ঘটনার পিছনে শাসকদলের মদত স্পষ্ট, বলে জানান বিরোধী দলনেতা। একই সঙ্গে এই ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। দলের সাংসদের ওপর হামলার ২৪ ঘণ্টা পরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ‘শূন্য’ গ্রেফতারি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির।

  • BJP: খগেন-শংকরের ওপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    BJP: খগেন-শংকরের ওপর হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় এনআইএ (জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা) (NIA Probe) তদন্তের দাবি জানাল রাজ্য বিজেপি (BJP)। ঘটনার পর আস্ত একটা দিন কেটে গেলেও, অভিযুক্তদের এখনও কেন গ্রেফতার করা হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে মিরিকের বিপর্যস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। রিজিজু এবং শুভেন্দুর সঙ্গে রয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্তও।

    শমীকের হুঁশিয়ারি (BJP)

    বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদের ওপর হামলার ঘটনার উল্লেখ করে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে শমীক বলেন, আমরা এই ঘটনার জন্য এনআইএ তদন্ত দাবি করছি। বারবার এই ঘটনা চলতে পারে না। কেউ যদি মনে করে থাকেন, কোনও সাংসদকে আক্রমণ করে, রক্তাক্ত করে বিজেপিকে ভীতসন্ত্রস্ত করা যাবে, তা হলে ভুল করছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে না পারায় রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন শমীক। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, যাঁরা গত কাল এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাঁরা যদি পাতালেও থাকেন, আমাদের সরকার (কেন্দ্র) তাঁদের আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে টেনে বের করবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, যাঁরা এ নিয়ে নানা ধরনের বিবৃতি দিচ্ছেন, তাঁরাও মনে রাখবেন সব দিন এক রকম যায় না। আমরা কোনও ধরনের হিংসায় বিশ্বাস করি না। রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, এটা তৃণমূল মেড বন্যা। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে শমীক বলেন, জলপাইগুড়িতে এক হাজারেরও বেশি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কোচবিহারের মতো শহরের মানুষও মনে করতে পারছেন না, তাঁরা তাঁদের ওয়ার্ডগুলিতে শেষবার কবে এত জল দেখেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কুকর্মের ফলে আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলছেন, এটা ম্যান মেড বন্যা। এটা তৃণমূল মেড বন্যা।

    শমীকের দাবি

    শমীকের দাবি, তাঁদের দলের পক্ষ থেকে বিধায়করা বারংবার উত্তরবঙ্গের সেচ ব্যবস্থার উন্নতির (NIA Probe) কথা বলা হলেও, তা করা হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে মনোজ ওঁরাও এবং দীপক বর্মণ বারবার উত্তরবঙ্গের সেচ ব্যবস্থা, জল নিকাশি ব্যবস্থা, বাঁধ নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তুলেছেন, পরিবর্তন যে দরকার, তাও বলেছেন। কিন্তু এই সরকারটা খেলা-মেলা-মোচ্ছবের সরকার। এই সরকার কার্নিভালের সরকার। এই সরকার ফেসিয়ালের সরকার। এই সরকার কোনও ধরনের মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারেনি (BJP)। খগেন ও শঙ্করের ওপর হামলাকে ফের পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছে বিজেপি। যে এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে তৃণমূল রাজনৈতিক সুবিধা করতে না পারার জন্যই ছক কষে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও অভিযোগ শমীকের।

    এবার ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত মনোজ ওঁরাও

    এদিকে, বিজেপি নেতা খগেন এবং শংকরের ওপর হামলার রেশ মেলানোর আগেই ফের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপির এক বিধায়ক। মঙ্গলবার আক্রান্ত হন কুমারগ্রামের বিধায় মনোজ কুমার ওঁরাও। এদিন তিনি তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করতে গিয়েছিলেন। সেখানে দুষ্কৃতীরা তাঁকে আক্রমণ করে। ভাঙচুর করা হয় দুটি গাড়ি (NIA Probe)। বিধায়কের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধর করে তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্রও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণে জখম হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তিন মহিলা কর্মীও (BJP)। তাঁদের মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাঁরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মনোজ বলেন, আমি প্রত্যন্ত বিত্তিবাড়িতে এসেছিলাম ত্রাণ বিতরণ করতে। তৃণমূলের হার্মাদরা আমাদের ওপর হামলা করল। তৃণমূল ত্রাণ দেবে না, আমাদেরও ত্রাণ দিতে দেবে না। তিনি বলেন, প্রতিবারই বন্যা হয়। কোনও বাঁধ দেওয়া হয় না। প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নেই। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। কিন্তু তৃণমূল আমাদের সাহায্য করতে দিচ্ছে না। তবে আমাদের মেরে ফেললেও, আমরা মানুষের পাশে থাকব।

    দিদি দিদি বলে স্লোগান

    প্রসঙ্গত, সোমবারই নাগরাকাটায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শংকর ঘোষ (BJP)। দুষ্কৃতীরা দিদি দিদি বলে স্লোগানও দিচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। হামলাকারীরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ পদ্মশিবিরের। এ নিয়ে (NIA Probe) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং (BJP)।

  • Nagrakata Incident: নাগরাকাটা নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি, উত্তরবঙ্গের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে শুভেন্দু

    Nagrakata Incident: নাগরাকাটা নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি, উত্তরবঙ্গের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় (Nagrakata Incident) বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলার পর শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পোস্টে ফিরল কোচবিহার স্মৃতি। ছবি দিয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা দাবি করলেন, একই দুষ্কৃতীদের বারবার বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয় বিজেপি বিধায়কদের উপর হামলা করার জন্য। পাশাপাশি এর সঙ্গে জুড়লেন তৃণমূলের সন্ত্রাসবাদ মডেল-এর তত্ত্বও। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি সহ বন্যাবিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যাবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেইসঙ্গে সোমবার নাগরাকাটায় আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করবেন তিনি।

    শুভেন্দুর নিশানায় কারা

    ফেসবুক পোস্টে চার জনের ছবি দিয়ে নাম উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি…এই চারজন হলেন সইফুল হক, আইনুল আনসারি, রমজান আলি এবং পিঙ্কি খাতুন। এরপর ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী আরও লিখেছেন, ঠিক যেই সব দুর্বৃত্তদের এনেছিল কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে আমার ওপর আক্রমণ করতে, সেই ভাবেই এখানেও একই ভাবে সেই ‘বিশেষ সম্প্রদায়ের’ কিছু উচ্ছৃঙ্খল আইন অমান্যকারীদের পরিকল্পিত ভাবে জড়ো করা হয় এই ঘৃণ্য অপরাধ-অরাজকতা ঘটাতে। এরপর তিনি আরও লেখেন, এরা নিজেরাই আতঙ্কিত যে মমতা সরকার চলে গেলে এদের বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাবে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত যে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে এদের খোলা ছাড় দিতে হবে, নয় তো এরাই কোনও দিন ঘটী উল্টে দেবে। এরা একে অপরের পরিপূরক তাই রাজ্যে আইনের শাসন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।

    হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    নাক-মুখ থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছে। রুমাল, গামছা কোনও কিছু দিয়েই রক্ত বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সোমবার এই ভয়াবহ ছবি দেখা গিয়েছে নাগরাকাটায় (Nagrakata Incident)। গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। আক্রান্ত হয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। এই ঘটনা মোটেই সাধারণ নয়। ফলত বেলা যত গড়িয়েছে ততই চড়েছে রাজনৈতিক পারদ। কিন্তু গ্রেফতারি থেকেছে শূন্য। ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারির জন্য পুলিশকে ‘সময় বেঁধে’ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, কারা এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে। পুলিশ আজ বিকালের মধ্য়ে কোনও ব্যবস্থা না নিলে আগামিকাল আমরা কলকাতা হাইকোর্টের ভ্য়াকেশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হব।’

    সন্ত্রাসবাদ মডেল

    সোমবার বিকেলে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি পোস্টে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘তৃণমূলের সেই এক ‘সন্ত্রাসবাদ মডেল’, দেখুন কাদের ব্যবহার করা হয় আজকের নাগরাকাটায় সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষদের ওপর এই নির্মম প্রাণঘাতী আক্রমণ ঘটাতে।’ এর পরেই তিনি ছবিতে গোল দাগ দিয়ে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে তাদের নামও লিখে দেন সেখানে। তাঁর দাবি, এঁরাই কোচবিহারে তাঁর কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল। আর কিছুটা সময় পেরলেই পূর্ণ হবে ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু বিজেপি সাংসদকে ঘিরে মারের ঘটনায় অভিযুক্তদের কি পাকড়াও করা যাবে? রাজ্য পুলিশের দিকে সেই প্রশ্নই তুলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, গতকালের ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্য়ে কাউকেই পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ। বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই দায় ঠেলেছে গেরুয়া শিবির। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও সরব হতে দেখা গিয়েছে এই নিয়ে। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।

    আজ উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টি আর ভূমিধসে কার্যত লণ্ডভণ্ড উত্তরবঙ্গ (North Bengal Flood)। ধীরে ধীরে আবহাওয়ার উন্নতি হতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গে। তবে আজও হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে উত্তরের জেলাগুলি। এখনও চারপাশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতির ধ্বংসলীলার নমুনা। বৃষ্টি আর ধসে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে মিরিক, দার্জিলিংয়ের। জলের তোড়ে ভেঙে যায় দার্জিলিঙের মিরিক ব্লকের দুধিয়া সেতু। দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৬ জন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মিরিকে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও। দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তাও থাকবেন তাঁর সঙ্গে। বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতাদের উত্তরবঙ্গ সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যেই সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন। এদিকে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

  • Nagrakata Incident: নাগরাকাটার ঘটনায় এখনও গ্রেফতারি শূন্য! শাহের উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে জল্পনা

    Nagrakata Incident: নাগরাকাটার ঘটনায় এখনও গ্রেফতারি শূন্য! শাহের উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বিধ্বস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শন (Nagrakata Incident) করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই হামলার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সমাজমাধ্যমে বাংলায় লিখেছেন, ‘‘যে ভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরা—যাঁদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেন—পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।’’

    নাগরাকাটার ঘটনায় এখনও গ্রেফতারি শূন্য

    ত্রাণ দিতে গিয়ে প্রকাশ্যে হামলার ঘটনায় এখনও গ্রেফতারি শূন্য। নাগরাকাটায় আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় ক্যামেরাবন্দি হয়ে আছে হামলাকারীরা। নির্দিষ্ট করে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে। তাও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশের সামনেই বেনজির এই গুন্ডামির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে ফেসবুক পোস্টে চার জনের ছবি দিয়ে নাম উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, তৃণমূলের সেই এক ‘সন্ত্রাসবাদ মডেল’। ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই রাজ্যে কোনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, কোনও আইন-শৃঙ্খলা বলে কোনও কিছু অবশিষ্ট নেই। এই সরকার কার্যত একটা লুটেরাদের সরকার হয়ে গেছে।”

    কী ঘটেছিল নাগরাকাটায়

    ডুয়ার্সের নাগরাকাটা। সাম্প্রতিক বন্যায় এলাকার মানুষ একেবারে সর্বস্বান্ত। ঘরবাড়ি জলমগ্ন, ফসল নষ্ট, বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ শিবিরে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে যান বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ খগেন মূর্মূ। উদ্দেশ্য ছিল বানভাসি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা সরেজমিনে দেখা এবং তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়া। কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধায়ক ও সাংসদের গাড়ি নাগরাকাটার ভেতর প্রবেশ করার সময় হঠাৎ একদল উত্তেজিত লোক তাঁদের ঘিরে ধরে। অভিযোগ উঠেছে, ওইসময় ইট-পাথরের বৃষ্টি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ভাঙচুর চালানো হয় শংকর ঘোষের গাড়িতে। গাড়ির জানলার কাচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। অভিযোগ বিক্ষোভকারীরা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু মাথা নদীর পাথর ছুড়ে ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থাতেই তাঁকে গাড়িতে তুলে দেয় তার নিরাপত্তারক্ষীরা। শঙ্কর ঘোষকেও হেনস্থা করে বিক্ষোভকারীরা।

    খগেন মুর্মুকে এমসে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা

    সোমবার সকালের এই হামলায় রক্তাক্ত অবস্থায় খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন। খগেন মুর্মুর বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। সাংসদকে এমসে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সোমবার সন্ধ্যায় শঙ্কর ঘোষকে ফোন করে তাঁর ও খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁরা কেমন রয়েছেন তা খোঁজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি খগেন মুর্মুকে চিকিৎসার জন্য দিল্লির এমসে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন।

    মোদির নিশানায় মমতা সরকার

    জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় হিংসার জন্য সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি নেতাদেরও। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তাঁরা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।’’

    তীব্র নিন্দা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের

    রাজ্য বিজেপি নেতাদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সাংবাদিক বৈঠক করে নিন্দা জানিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্পিকার ওম বিড়লা ও রাজ্যপালকে নালিশ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার নাগরাকাটায় যাবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় যাবেন সুকান্ত মজুমদারও। বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।

    শাহের উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে জল্পনা

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর ন্যক্করজনক হামলা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমেই বাড়ছে। এই আবহে উত্তরবঙ্গ সফরে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, ৮ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন তিনি। তবে বঙ্গ বিজেপির নেতারা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না। তাঁদের বক্তব্য, “বর্তমানে আমাদের অগ্রাধিকার দুর্গত মানুষদের পাশে থাকা।” তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, খগেন মুর্মুর উপর হামলার পর বিজেপির কৌশল বদলাতে পারে উত্তরবঙ্গে। তাই শাহের সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই বাড়ছে জল্পনা।

  • North Bengal Disaster: ‘দিদি দিদি বলতে বলতে তেড়ে এল’! ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় আক্রান্ত বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক

    North Bengal Disaster: ‘দিদি দিদি বলতে বলতে তেড়ে এল’! ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় আক্রান্ত বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে (North Bengal Disaster) দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে মার খেতে হল বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কদের। ধস বিধ্বস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন শঙ্কর ঘোষ, খগেন মুর্মু সহ বিজেপির সাংসদ ও বিধায়করা। সেখানে গিয়ে মারধরের মুখে পড়েন তাঁরা। এলাকার কিছু মানুষের গুন্ডামির মুখে নাকাল হন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। প্রবল আঘাত ও মারে মাথা ফেটে যায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। রক্তে সারা মুখ ভিজে যায় তাঁর। পিছন থেকে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে ধাক্কা মারা হয়। গাড়ি করে জখম মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে ‘ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার’ কথা বর্ণনা করলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

    গাড়ির সিটের তলায় শুয়ে প্রাণে বাঁচলেন

    শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ অভিযোগ করলেন, কিছু মানুষ ‘দিদি দিদি’ বলে তাঁদের দিকে তেড়ে যান। প্রথমে গালাগালি এবং তার পর মারধর। বিধায়কের দাবি, গাড়ির সিটের তলায় প্রায় শুয়ে না পড়লে তাঁর মাথা ফেটে যেত। দুপুর ২টো নাগাদ ফেসবুক লাইভে আসেন শঙ্কর। তখন গাড়িতে তিনি বসে। আতঙ্কের ছাপ চোখেমুখে। পাশের আসনে শুয়ে রয়েছেন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন। তাঁর পাঞ্জাবিতে রক্তের দাগ। শঙ্কর জানান, প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু করিয়ে শিলিগুড়ি নিয়ে যাচ্ছেন সাংসদকে। ফেসবুক লাইভে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির দিকে রওনা দিয়েছি আমরা। খগেনদা (মুর্মু) রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমাদের আগের গাড়ির একটাও কাচ নেই। আমার সারা শরীর কাচে ভর্তি। প্রাথমিক চিকিৎসা করে এসেছি। খগেনদার অবস্থা দেখুন… ত্রাণ দেওয়ার জন্য খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলাম আমরা। একটি বোটে জয়ন্তদা, দীপকদা ছিলেন। একটি বোটে সমীরদারা নদীর অপরপ্রান্তের মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যান। আমি খগেনদা এই প্রান্তের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সেই সময় কিছু লোক ‘দিদি দিদি’ করে আমার কাছে আসেন। কেন আমরা এসেছি, কী করব এখানে— এই সব জিজ্ঞাসা করে প্রথমে গালাগালি তার পর তারা পিছন থেকে মারধর শুরু করেন। এখন শিলিগুড়ির দিকে রওনা দিয়েছি। ‘রিলিফ’ দিতে এসে দেখুন আমাদের সাংসদের কী অবস্থা করেছে। আমার মাথায় বাটাম চালাতে গিয়েছিল। সিটে বসে পড়েছিলাম।’’

    রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন

    নাগরাকাটার বামনডাঙা যাওয়ার মুখে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়িতে পাথর, জুতো, লাঠি ছোড়া হয়। বিক্ষোভের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদরা। পিছনে তৃণমূল আছে, অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা। শঙ্কর ঘোষ ও খগেন মুর্মু, কোনওক্রমে পালান পরিস্থিতি থেকে। সঙ্গে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও আটকানো যায়নি আক্রমণ। ছবিতে দেখা যায়, খগেন মুর্মুর জামাকাপড় রক্তে ভেসে গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়ির মধ্যে বসে ছালেন তিনি। তাঁর কপাল, চোখ রক্তে ভরা। ঝর ঝর করে পড়ছে তা পাঞ্জাবি ও উত্তরীয়তে। কোনওভাবেই রক্ত আটকানো যাচ্ছে না। ভিডিওতে দেখা যায়, এক দল লোকজন নিরাপত্তারক্ষীদেরও তোয়াক্কা না করে তাদের ঠেলে ফেলার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির নেতারা। এই ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “দলমত নির্বিশেষে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের পাশে দাঁড়ানোর সময় এটা। অথচ এরকম একটা সময়ে রাজনীতি করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। সাংসদকে প্রাণে মেরে ফেলার মতো করে আক্রমণ করা হল, এটা মেনে নেওয়া যায় না।” দলের সাংসদ এবং বিধায়কের উপর হামলার নিন্দা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুন্ডারা পরিকল্পিত ভাবে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলা চালিয়েছে।’’

    এলাকায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী

    বৃষ্টি এবং ধসে পাহাড় থেকে তরাই এবং সমতল, উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। এই অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলি আলাদা আলাদা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছোচ্ছে। পূর্ব ঘোষণা মাফিক সোমবার সকালে শিলিগুড়ি যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ প্রমুখ। ছিলেন খগেন, শঙ্করেরাও। এর পর তাঁরা বিপর্যস্ত বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি দেখতে বেরিয়ে পড়েন। বামনডাঙায় ঢোকার আগে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দু’জনে। লাঠি, জুতো নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হন কয়েকশো মানুষ। নদী থেকে পাথর তুলে তাঁদের গাড়ি লক্ষ করে ছোড়া হয়। তাতেই মাথা ফেটে যায় খগেনের। গলগল করে রক্ত ঝরতে থাকে। ধাক্কা দেওয়া হয় শঙ্করকেও। আপাতত দুই নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখনও এলাকায় জড়ো হয়ে রয়েছেন কয়েকশো মানুষ। কেন্দ্রীয় বাহিনীও এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। তাতেও উত্তেজনা কমছে না বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

LinkedIn
Share