Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয় জেলে থাকলেও রেশন বণ্টনে চলছে তৃণমূল নেতাদের চোরাকারবার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয় জেলে থাকলেও রেশন বণ্টনে চলছে তৃণমূল নেতাদের চোরাকারবার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC) একাধিক দুর্নীতিতে ব্যাপক ভাবে জেরবার। স্কুল শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে একশ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, মিড ডে মিল, রেশন বণ্টন, সমবায়, পুর নিয়োগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা সহ একাধিক ইস্যুতে বিজেপির নিশানায় মমতার সরকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর সহযোগীরা গ্রেফতার হওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গে কোটি কোটি টাকার রেশন কেলেঙ্কারি চলছে।”

    চাল মিলগুলিতে পাচার করছে রেশন সামগ্রী (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) দুর্নীতি প্রশ্নে একহাত নিয়ে বলেন, “রাজ্যের রেশন বিতরণ জন বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল সরকার এই রেশনের চাল ব্যক্তিগত মালিকানাধীন চাল কলের মিলগুলিতে পাচার করছে। পরবর্তী সময়ে এই চাল পালিশ করে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।” একই ভাবে একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে রেশনের চাল কীভাবে পাচার করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় সরকার পক্ষের লোক অত্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। শাসক দলের নেতারা এই দুর্নীতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

    ইডিকে তদন্তের আর্জি

    বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মমতাকে তোপ দেগে আরও বলেন, “সরকারের নাকের ডগায় বসে তৃণমূল (TMC) নেতারা প্রকাশ্যে চুরি করছে। মমতা সরকার বেসরকারি রাইস মিলের কাছে জনগণের প্রাপ্য রেশন চোরা চালান করছে। এই চোরাকারবারকে আটকাতে আমি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আনুরোধ জানাবো। কেন্দ্র সরকারের সম্পত্তি কীভাবে লুট করছে রাজ্যের তৃণমূলের নেতারা, সেই দিকে দৃষ্টিপাত করতে বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: তৃণমূল নেতার বাড়িতে এনআইএ অভিযান, বাজেয়াপ্ত মোটা ডায়েরি, ল্যাপটপ ব্যাগ

    NIA: তৃণমূল নেতার বাড়িতে এনআইএ অভিযান, বাজেয়াপ্ত মোটা ডায়েরি, ল্যাপটপ ব্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতে এনআইএ (NIA) অভিযান। শুক্রবার সকালে কাঁথির তৃণমূল নেতা মানব পড়ুয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার ৭-৮জন আধিকারিকের একটি দল। মানব পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। বেশ কিছুক্ষণ পরে যখন তদন্তকারীরা মানবের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁদের হাতে সাদা কাপড়ে মোড়া বেশ কয়েকটি মোটা ডায়েরি ও একটি ল্যাপটপ ব্যাগ। রবিবার কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে নির্বাচন। এই নির্বাচনে তৃণমূলের বাজি মানবই। বিজেপির দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালাচ্ছে এনআইএ।   

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    আদত বাড়ি ভূপতিনগরে হলেও, বর্তমানে কাঁথিতেই থাকেন মানব। তদন্তের পরে তিনি বলেন, “২০২২ সালে নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় যে মামলা হয়েছিল, তার তদন্তেই এনআইএর প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। আমি তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করেছি। ওঁরা বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি করেছেন। এর পর ওঁরা চলে গেলেন।” তিনি বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ ছিল না। তবে আগামিদিনে তদন্তকারীরা আবার আসবেন কিনা, সেটা ওঁরাই বলতে পারবেন।”

    ভয়াবহ বিস্ফোরণ

    ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর রাত ১১টা নাগাদ ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই বিস্ফোরণে রাজকুমার-সহ মৃত্যু হয়, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। অভিযোগ, তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেই ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় এনআইএর (NIA) হাতে। সেই তদন্তেই শুক্রবার কাঁথি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মানবের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই হয় না”, বাংলাদেশের মৌলবাদীদের কড়া বার্তা দিলেন দিলীপ

    বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় এনআইএ অত্যন্ত ধীর গতিতে তদন্ত চালাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ এনআইএ সেই ঘটনার তদন্তের জন্য একজনের বাড়িতে অভিযানে এসেছিল। এই তদন্ত দ্রুত শেষ করে অভিযুক্তদের (TMC) গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি (NIA)।”

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP TMC Clash: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তপ্ত নন্দীগ্রাম, বোমাবাজি, গুলি

    BJP TMC Clash: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে তপ্ত নন্দীগ্রাম, বোমাবাজি, গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় নির্বাচনে চলল গুলি। হল বোমাবাজিও। বাদ যায়নি অগ্নিসংযোগও। রবিবার নির্বাচন ছিল তমলুকের এগ্রিকালচার সোসাইটির। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে এদিন বেলার দিকে সংঘর্ষ (BJP TMC Clash) বাঁধে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কাঞ্চননগর গ্রামে। খবর পেয়ে এলাকায় যায় পুলিশ।

    পুলিশের সামনেই হয় বোমাবাজি (BJP TMC Clash)

    পুলিশের সামনেই হয় বোমাবাজি। চলে গুলিও। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তপ্ত পরিস্থিতির জেরে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। ঘটনার জেরে ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভয়ে ভোট দিতে যাননি বহু ভোটার। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, “শনিবার থেকেই বুথ এলাকায় জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। ১০০ মিটারের বাইরে ক্যাম্প করার কথা বলা হয়েছিল। অথচ সেখানে রীতিমতো প্রহসন চালিয়েছে তৃণমূল। পুলিশের সামনেই ব্যাপক বোমাবাজি করেছে ওরা। আমাদের এক নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন (BJP TMC Clash), “এই ঘটনার জেরে আমি নিজেও আমার ভোটটা দিতে পারিনি। নন্দীগ্রামের ভোটারদের ওপর তৃণমূলের আস্থা নেই বলেই এমন বোমাবাজি করছে।”

    আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতনের মাশুল! বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ ত্রিপুরার হোটেলের দ্বার

    ভীত স্থানীয় বাসিন্দারা

    এদিন সকাল আটটা থেকে কাঞ্চননগর হাইস্কুলে শুরু হয় কৃষি সমবায়ের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন ২২ জন। নির্বাচন শুরুর দিকে নির্বিঘ্নে ভোট হলেও, বেলা বাড়তেই শুরু হয় উত্তেজনা। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তার পরেই শুরু হয় বোমাবাজি, চলে গুলিও। দেবপ্রসাদ মাইতি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমার বাড়ি এখানেই। বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎই দেখি, কয়েকজন এসে বোমাবাজি করে পালিয়ে যায়। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি (BJP TMC Clash)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Issue: ‘‘আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

    Bangladesh Issue: ‘‘আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ইস্যুতে (Bangladesh Issue) সংসদে তৃণমূলকে ধুয়ে দিলেন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য, জগন্নাথ সরকার। রাজ্য সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে ‘বাংলায় ঢুকে আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করছে বাংলাদেশিরা’ এমনই মন্তব্য করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের পর প্রতিদিনই সেখানে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দুরা। মঙ্গলবার সাংসদে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনার সময়ই রাজ্যে অনুপ্রবেশের কথা তুলে মমতা সরকারের বিপক্ষে গর্জে ওঠেন বিজেপি সাংসদরা। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে বাংলায় অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছে তৃণমূল, এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য।

    রাজ্য সরকার মদতে অনুপ্রবেশ

    রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের প্রশ্ন, “বাঙালি হিন্দু হওয়া কি অপরাধ?” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বেছে বেছে হিন্দুদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে। মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, আর্থিক তছরুপ হচ্ছে, রাতের বেলা ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে ইসলামে। কাঁটাতারের বেড়া মধ্যে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। এপারে এসেও শান্তি নেই। দিনের পর দিন অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে। সরকারি মদতেই হচ্ছে। তছনছ হচ্ছে সরকারি সম্পদ। ভাঙা হচ্ছে মন্দির। বেলডাঙা, হাওড়া, উলুবেড়িয়ার মতো জায়গায় সরকারি মদতে দাঙ্গা ছড়াচ্ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “এগুলি হচ্ছে সরকারি মদতে। রাজ্য সরকার মদত দিচ্ছে হাওড়া উলুবেড়িয়ায় সন্ত্রাস হতে।” জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা আসছে বলেই মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। হুগলি, হাওড়া, নদিয়ার কিছু অংশেও একই সমস্যা। অনুপ্রবেশ ইস্যুতে প্রথম থেকেই বাংলার শাসকদল কেন্দ্রীয় সরকার, অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিএসএফ-কেই দায়ী করে এসেছে। এক্ষেত্রেও তারা বল ঠেলেছে মোদি সরকারের দিকেই। এদিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠানোর আবেদন করুক কেন্দ্র।” 

    ভোটবাক্সের রাজনীতি

    বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, রাজ্যে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে মঙ্গলবারও রাজ্যসভায় মমতা সরকারের দিকে আঙুল তোলেন বিজেপি-র শমীক ভট্টাচার্য। রোহিঙ্গারা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় জমিয়েছে, অথচ রাজ্যের সরকার কিছু করছে না বলে দাবি করেন তিনি। শমীক বলেন, ‘‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, ভারত সরকারের পরমাণু বিভাগের অধীনে রয়েছে। এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্র হাই সিকিওরিটি জোন বলে বিবেচিত হয়। অথচ উত্তরের দেওয়ালের বাইরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা এসে ভিড় জমিয়েছেন। সব বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা এমন এক রাজ্যে রয়েছি, যেখানে অনুপ্রবেশকারীদের স্বাগত জানানো হয়। দুই হাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাই। পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বাইরে রোহিঙ্গারা বসে থাকলে, আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে। পুলিশের কাছে চার চার বার গেলেও সে নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। রাজ্যের সরকারের জন্যই আজ এমন পরিস্থিতি রাজ্যের সরকার অনুপ্রবেশে অনুপ্রেরণা জোগায়। বাংলাদেশের কথা পরে হবে। প্রতিদিন যে অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা যে প্রশ্নের মুখে, তার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার।’’ ভোটবাক্স ধরে রাখতে রাজ্যের সরকার অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে বলেও দাবি করেন শমীক।

    অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রের নিশানা

    প্রসঙ্গত, এর আগেও বাংলাদেশ (Bangladesh Issue) থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সরকারকে নিশানা করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। শাহের কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ, স্থানীয় প্রশাসনই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি একই কারণে। স্থানীয় প্রশাসন প্রশ্রয় দিচ্ছে। বিএসএফ তো সব জায়গায় আছে। অসমেও আছে, বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডেও আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে কোথাও নদীনালা রয়েছে, কোথাও পাহাড় রয়েছে। সর্বত্র সুরক্ষা সম্ভব নয়। রাজ্যের ভূমিরাজস্ব দফতর, অনুপ্রবেশের সময় কী করে? জেলাশাসকেরাই বা কী করছেন? পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হচ্ছে না কেন? কেন্দ্রীয় সরকারকে কেন জানানো হচ্ছে না?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • INDI Block Rift: ফের প্রকাশ্যে ‘ইন্ডি’ জোটের ফাটল, কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গরহাজির তৃণমূল, সপা

    INDI Block Rift: ফের প্রকাশ্যে ‘ইন্ডি’ জোটের ফাটল, কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গরহাজির তৃণমূল, সপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটের (INDI Block Rift) বৈঠকে গরহাজির ছিল তৃণমূল। একবার নয়, দু’দু’বার। তখনই বোঝা গিয়েছিল ফের ফাটল ধরেছে ইন্ডি জোটে। আদানি ঘুষকাণ্ডে ফের একবার প্রকাশ্যে এল ইন্ডি জোটের অন্দরের কোন্দল। আদানি ঘুষকাণ্ডে মঙ্গলবার কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন যৌথ প্রতিবাদে যোগ দিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (TMC SP Skip)।

    বিজেপির কটাক্ষ (INDI Block Rift)

    এদিন ঘুষকাণ্ডের প্রতিবাদে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের বিভিন্ন শরিকদল। এই কর্মসূচিতে সামনের সারিতে ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হয়নি তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টি। ইন্ডি জোটের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টির অনুপস্থিতিকে বিরোধী জোটে ফাটল (INDI Block Rift) বলে দাবি করেছে পদ্ম পার্টি। রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কংগ্রেস যেখানেই যায়, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে।” ইন্ডি জোটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আপনারা অবস্থাটা দেখুন। কখনও তৃণমূল থাকে না, তো কখনও আবার আম আদমি পার্টি থাকে না।”

    তৃণমূলের সাফাই

    ইন্ডি জোটের প্রতিবাদ সভায় গরহাজির থাকার (INDI Block Rift) প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সাংসদ তথা লোকসভার উপদলনেতা কাকলি ঘোষদস্তিদারের সাফাই, “আমাদের দল সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি সংসদে তুলে ধরবে।” তিনি জানান, তৃণমূল চায় মসৃণভাবে সংসদের কাজ পরিচালিত হোক। কাকলি বলেন, “আমরা সংসদ অচল করতে চাই না। বিভিন্ন বিষয়ে ব্যর্থতার জন্য আমরা এই সরকারের জবাব চাই।”

    প্রসঙ্গত, সোমবার সংসদে কক্ষ সমন্বয় নিয়ে ইন্ডি জোটের বৈঠকেও যায়নি তৃণমূল। তার আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাসভবনে আয়োজিত ইন্ডি জোটের বৈঠকেও গরহাজির ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে শামিল হল না অখিলেশের দলও (INDI Block Rift)। এদিকে, সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা এদিন দেখা করেছেন লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে। সাম্ভাল ইস্যুতে আলোচনার (TMC SP Skip) জন্য অনুরোধও করেছেন। সমাজবাদী পার্টির নেতাদের মতে, আদানির বিষয়টি সাম্ভালের মতো বড় নয়। সাংসদ সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, “আমাদের কাছে আদানির চেয়ে কৃষকরা একটি বড় সমস্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC: ফাটল হচ্ছে চওড়া! ফের ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক এড়াল তৃণমূল, কেন জানেন?

    TMC: ফাটল হচ্ছে চওড়া! ফের ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক এড়াল তৃণমূল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে হয়ে গেল ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ওই জোটে যোগ দিয়েছিলেন জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা। এই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল (TMC)। ছাব্বিশে এ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। বাম এবং বিজেপির পাশাপাশি এ রাজ্যে কংগ্রেসও তৃণমূলের ঘোষিত শত্রু।

    দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে দিল তৃণমূল। তাছাড়া, সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ রাজ্যে কংগ্রেস কোনও ক্যারিশ্মা দেখাতে না পারায় রাহুল গান্ধীর দলকে আর ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই কারণেই ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দেননি ঘাসফুল শিবিরের ছোট কোনও নেতাও।

    ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল

    সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে ইন্ডি জোটের নেতাদের নিজের বাসভবনে বৈঠকে ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে সংসদে মোদি সরকারকে চেপে ধরা হবে, সেই কৌশল স্থির করতেই ডাকা হয়েছিল বৈঠক। বৈঠকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ, শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই এবং ডিএমকে-সহ ১৩টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত কেবল তৃণমূল।

    সোমের পর আজ, বুধবারও ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। এদিন দুপুর ১টায় নিজেদের সংসদীয় দলের আলাদা বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।  মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে সরব হবে ঘাসফুল শিবির।  এ নিয়ে রণকৌশল চূড়ান্ত করতে এদিন (TMC) সংসদ ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে গুরু দায়িত্বে বাঙালি, মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাথায় কলকাতার জয়ন্ত

    কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “বিজেপি, আদানির বিরুদ্ধে বিরোধীদের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে, সেই ঐক্যের বিরোধিতা করতে হবে। ঐক্যের বিরোধিতার যে দাদন, সেটা তৃণমূল নিয়েছে। তাই বিরোধীদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চাইছে।” 

    ইন্ডি জোটের বৈঠকে গরহাজির রইলেও, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মমতা। হেমন্তর দল ইন্ডি জোটের শরিক। রাজনৈতিক মহলের মতে, ইন্ডি জোটের বৈঠকে হাজির না হয়ে হেমন্তের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতা বোঝাতে চাইছেন, তিনি ইন্ডি জোটেই আছেন। তবে তাঁকে বসানো হোক চালকের আসনে।

    একটা আঞ্চলিক দলের হাতে কি ইন্ডি জোটের স্টিয়ারিং তুলে দেবে কংগ্রেস? উঠছে প্রশ্ন (TMC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Parliament Winter Session: আজ থেকে শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, কোন কোন বিল পাশ হতে পারে?

    Parliament Winter Session: আজ থেকে শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, কোন কোন বিল পাশ হতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Winter Session)। চলবে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই অধিবেশনে ওয়াকফ সংশোধনী বিল সহ মোট ১৬টি বিল উপস্থাপনের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে, মোদি সরকার একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতে তৎপর হবে, সেই সময় বিরোধীরা মণিপুর, ওয়াকফ, আদানি ইস্যুতে বাধাসৃষ্টি করে সভার স্বাভাবিক কাজ ভণ্ডুল করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত থাকবে। রবিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে হওয়া সর্বদল বৈঠকে বিরোধীরা তাদের নানা দাবির কথা জানিয়ে দিয়েছে। সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বিরোধীদের অনুরোধ করেছেন সব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য সংসদ চলতে দেওয়া জরুরি। 

    আলোচনার জন্য সম্ভাব্য বিলগুলো

    এই অধিবেশনে (Parliament Winter Session) ওয়াকফ সংশোধনী বিল এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিলসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আলোচনা ও বিবেচনার জন্য আসতে পারে। লোকসভায় পেশ করা হবে ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী) বিল এবং রেলওয়ে আইন সংশোধনী বিল। এছাড়া, সরকারের “এক দেশ এক নির্বাচন” বিলটি এই অধিবেশনে পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিলটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইন, ব্যাঙ্কিং প্রবিধান আইন, রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আইন, এবং ব্যাঙ্কিং কোম্পানির আইন সংশোধন করবে। রাজ্যসভায় ২০২৪ সালের ভারতীয় বায়ুযান বিধেয়ক পেশ করা হবে, যা বিমান চলাচল, ডিজাইন, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবহার, অপারেশন, বিক্রয়, রফতানি ও আমদানির নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মনিষেধ সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবে। সরকার যে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল এই অধিবেশনেই পাশ করাতে আগ্রহী বিজেপির একাধিক সূত্র থেকে তার আভাস মিলেছে। ওয়াকফ ইস্যুতে সরকার পিছু হটবে না, শনিবারই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    আরও পড়ুন: দেশের যুব সমাজের প্রশংসা করলেন মোদি, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

     বিরোধীদের দাবি

    সর্বদলীয় বৈঠকে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে সরব হয়েছে। তবে তৃণমূল আলাদা করে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। সোমবার বেলা ১১’টায় অধিবেশন (Parliament Winter Session) শুরুর আগে রাজ্যসভা ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা যথাক্রমে মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও রাহুল গান্ধীর চেম্বারে বিরোধীরা মিলিত হবেন। সেখানেই বিরোধীদের দাবি হিসাবে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে সিলমোহর দেওয়ার কথা। রবিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন খাড়্গে, রাহুলও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kosba Clash: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কসবায় গুলি করে মারার চেষ্টা তৃণমূল কাউন্সিলরকে!

    Kosba Clash: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কসবায় গুলি করে মারার চেষ্টা তৃণমূল কাউন্সিলরকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের নেতা। রাজ্যও তৃণমূলের (TMC Inner Clash) দখলে। সেই রাজ্যেই তৃণমূলের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ল এক দুষ্কৃতী (Kosba Clash)। বরাত জেরে বেঁচে গিয়েছেন সুশান্ত। গ্রেফতার হয়েছে মূল ষড়যন্ত্রী জনৈক গুলজার। প্রশ্নটা সেখানে নয়, যে প্রশ্নটা তৃণমূল নেতাদের বুকেও ভয় ধরিয়ে দিয়েছে, তা হল দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই কী দুষ্কৃতীর চাঁদমারিতে পরিণত হয়েছিলেন সুশান্ত?

    ‘টাগ অফ ওয়ার’

    এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের যেতে হবে দক্ষিণ কলকাতার কবসা অঞ্চলে। এই অঞ্চলেরই নেতা সুশান্ত। কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। তাঁকে যেখানে খুন করার চেষ্টা করা হয়, সেই জায়গাটা আবার পড়ে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্না। ২০১০ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত ১০৭-এর কাউন্সিলর ছিলেন সুশান্ত। আসনটিকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় সুশান্তকে সরানো হয় পাশের কেন্দ্রে। ১০৭-এ প্রার্থী করা হয় লিপিকাকে। পুরসভা নির্বাচনে দু’জনেই জিতেছেন ঘাসফুলের টিকিটে। তার পর থেকে এলাকার দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দুই কাউন্সিলরের মধ্যে চলছে ‘টাগ অফ ওয়ার’।

    গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব!

    অথচ, সুশান্ত ও লিপিকা দু’জনেই রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খানের কাছের লোক (Kosba Clash)। লিপিকাকে জাভেদের লোক বলেই চেনেন তৃণমূলের লোকজন। আবার সুশান্তর সঙ্গেও জাভেদের সম্পর্কও বেশ ভালো। এহেন সমীকরণের চালচিত্র যেখানে শোভা পাচ্ছে, সেখানেই কিনা প্রকাশ্যে গুলি করা হল সুশান্তকে লক্ষ্য করে! এবং তার পরেও কোনও মন্তব্য করেননি জাভেদ। লিপিকাও স্পিকটি নট। দায়সারা গোছের উত্তর দিয়েছেন সুশান্ত। তিনি বলেন, “এর মধ্যে রাজনীতি নেই।” বিরোধীদের হাত রয়েছে, তাও বলছেন না তিনি। তাহলে কী পরকীয়া কিংবা পারিবারিক শত্রুতা?

    আরও পড়ুন: লাহোরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাক জঙ্গি লখভি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

    স্থানীয় সূত্রে খবর, দুটোর কোনওটাই নয়। তাঁদের দাবি, ঘটনার নেপথ্য রয়েছে নির্ভেজাল রাজনীতি। সুশান্ত ১০৮ এর কাউন্সিলর হলেও, পুরানো ওয়ার্ডের দখল ছাড়েননি। লিপিকো গোষ্ঠীর দাপটে তাঁর বাহিনী অবশ্য কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাই তৃণমূলের জমানায় তৃণমূলেরই এক কাউন্সিলরকে প্রকাশ্যে গুলি করার সাহস দেখাল দুষ্কৃতী। বুকের পাটা আছে বলতে হয়!

    খেয়োখেয়ির এই রাজনীতিতে আর যাই হোক উন্নয়ন হয় না বলেই দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের মতে, উন্নয়ন না হলেও, ‘কামাই’ হয়। যে ‘কামাই’কে ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। চলে গোলা-গুলি (TMC Inner Clash)। আক্রান্ত হন খোদ শাসক দলের নেতাই (Kosba Clash)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal By Polls: বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা তৃণমূলের, অভিযোগ অমিত মালব্যের

    West Bengal By Polls: বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা তৃণমূলের, অভিযোগ অমিত মালব্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনেও (West Bengal By Polls) অশান্তি বাংলায়! বুধবার বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) অভিযোগ করেন, মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে পদ্ম প্রার্থী রাহুল লোহারের গাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা। কেবল গাড়ি ভাঙচুর নয়, দুষ্কৃতীরা ওই গাড়িতে প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ।

    অমিত মালব্যের ট্যুইট-বাণ

    এক্স হ্যান্ডেলে মালব্য লেখেন, “মুজনাই চা বাগানের বুথ নম্বর ১৪/৬২-তে মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের ওপর আক্রমণ হয়েছে। রাহুল একজন আদিবাসী, চা বাগানের শ্রমিকদের নেতা। তৃণমূলের গুন্ডারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং তাঁকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের তত্ত্বাবধানে ঘটেছে।” তিনি আরও লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মুখ্যমন্ত্রী কম, তিনি বরং একটি অপরাধ চক্রের প্রধানের চেয়ে বেশি।”

    কী বলছেন প্রার্থী

    বুধবার সকালে রাহুল মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তিনি বলেন, “আমার নির্বাচনী ক্ষেত্রের জনগণ এই নির্বাচনে নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের জবাব দেবে।” রাহুল বলেন, “২০১৪ সাল থেকে মাদারিহাটের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করে (West Bengal By Polls) আসছেন… আমি আত্মবিশ্বাসী যে মানুষ এই উপনির্বাচনে সরকারের দুর্নীতি ও নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে জবাব দেবে।” তিনি বলেন, “প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি ভোটার নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।” উপনির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী রাহুল। বলেন, “আমরা ১০০ শতাংশ জিতব।”

    আরও পড়ুন: “রাজাকারদের লাগানো আগুনেই মৃত্যু হয়েছিল মা-বোনের”, খাড়্গেকে মনে করিয়ে দিলেন যোগী

    বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা। লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে জিতে তিনি গিয়েছেন সংসদে। সেই কারণেই হচ্ছে উপনির্বাচন। এদিন উপনির্বাচন হয়েছে এ রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬টি কেন্দ্রে। এগুলি হল আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, কোচবিহারের সিতাই, বাঁকুড়ার তালডাংরা, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও হাড়োয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর। এই (Amit Malviya) কেন্দ্রগুলির ফল ঘোষণা হবে ২৩ নভেম্বর (West Bengal By Polls)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।   

     

  • Sukanta Majumder: “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে”, দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে”, দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী সেই রাজ্যের নারীরা কি সুরক্ষিত? তৃণমূলের শাসনে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। দোষীরা শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। নির্যাতিতারা ন্যায় বিচার পায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল মাত্র চেক দিয়েই ধামাচাপা দিতে চান। একাধিক অভিযোগের বাণে তৃণমূলকে বিদ্ধ করেছে বিজেপি। একদিনের দলীয় কর্মশালায় বক্তব্য রেখে আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি বলেন, “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার (Bulldozer) দাঁড়িয়ে থাকবে।”

    মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন (Sukanta Majumder)?

    পূর্ব বর্ধমানের কালনায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যান বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। সেখানে বিজেপির সদস্য সংগ্রহের কর্মশালায় মমতার প্রশাসনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আজকে জয়নগর হোক বা আরজিকর হোক, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন? মেয়ের বাবা-মাকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের হাতে চেক ধরাও।” সুকান্তর মুখে বাংলার বুলডোজার (Bulldozer) নীতিতে যেন উত্তর প্রদেশের যোগীরাজের ছায়া দেখতে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুনঃ ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    কেন্দ্রের অন্নপূর্ণা প্রকল্প

    এদিন এই সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বিজেপির মহিলা কর্মীদের জন্য অন্নপূর্ণা প্রকল্পের কথা বলেন। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের তিন হাজার করে টাকা দেবে বলে জানানো হয়। তাঁরা কীভাবে ফর্ম ফিলাপ করবেন সেই বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই ভাবে রাজ্যের নারী সুরক্ষার প্রসঙ্গ দিয়ে মুখ খোলেন তিনি। কীভাবে বাংলায় নারীরা নিগৃহীত, নির্যাতিত হচ্ছেন সেই কথাও তুলে ধরেন। তবে নারী নির্যাতন রুখতে যোগী বাবার বুলডোজার (Bulldozer) অন্যতম প্রধান অস্ত্র সেই দিকটার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    কয়েকমাস ধরে অব্যাহত নারী নির্যাতন

    উল্লেখ্য রাজ্যে গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। প্রতিবাদে রাজ্য, দেশ তথা বিদেশেও আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। শুধু তাই নয় গত কয়েক মাসে জয়নগর, কৃষ্ণনগর, মালদা, চাঁচল, ভূপতিনগর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, সন্দেশখালি সহ একাধিক জায়গায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিশেষ বিল পাশ করলেও এখনও নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাই বিজেপি এবার বুলডোজারের (Bulldozer) কথা তুলতেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share